আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. আল মাহমুদ
খ. রফিক আজাদ
গ. আবুল হাসান
ঘ. আবুল হোসেন
ব্যাখ্যাঃ

‘পৃথক পালঙ্ক’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা হলেন আবুল হাসান। তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান আধুনিক কবি। এই কাব্যগ্রন্থটি তার স্বল্পস্থায়ী জীবনে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম।

ক. রসুল বিজয়
খ. মক্কা বিজয়
গ. রসুলচরিত
ঘ. মক্কানামা
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ রসুল বিজয়

কবি জৈনুদ্দিনের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের নাম "রসুল বিজয়"। এটি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এই কাব্যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবন ও কর্ম এবং বিভিন্ন যুদ্ধ সম্পর্কিত বর্ণনা রয়েছে।

ক. বিনয় ঘোষ
খ. সুবিনয় ঘোষ
গ. বিনয় ভট্টাচার্য
ঘ. বিনয় বর্মণ
ব্যাখ্যাঃ

‘বিদ্যাসাগর ও বাঙালি সমাজ’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন বিনয় ঘোষ

এটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবন ও কর্ম এবং উনিশ শতকের বাঙালি সমাজে তার প্রভাব নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।

ক. গো-জীবন
খ. ইসলামের জয়
গ. এর উপায় কী
ঘ. বসন্তকুমারী নাটক
ব্যাখ্যাঃ

মীর মশাররফ হোসেনের 'গো-জীবন' (১৮৮৯) প্রবন্ধটিতে হিন্দু-মুসলমানের বিরোধের প্রসঙ্গ বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে।

এই প্রবন্ধে তিনি মূলত গরু কোরবানি এবং এর অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যেকার সংঘাত এড়িয়ে একটি সহনশীল অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে গোহত্যার বিরূপ প্রভাব এবং উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি যুক্তির মাধ্যমে তুলে ধরেন।

যদিও এটি একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ, তবে এখানে হিন্দু-মুসলমানের বিরোধের একটি স্পর্শকাতর বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখকের নিজস্ব মতামত ও বিশ্লেষণ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

ক. সৈয়দ শামসুল হক
খ. শামসুর রাহমান
গ. হাসান হাফিজুর রহমান
ঘ. আহসান হাবীব
ব্যাখ্যাঃ

‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা হলেন শামসুর রাহমান

এই কাব্যগ্রন্থটি ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় এবং এটি তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি।

ক. আবুল ফজল
খ. আবদুল কাদির
গ. জাহানারা ইমাম
ঘ. মুশতারি শফী
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ আবুল ফজল

‘দুর্দিনের দিনলিপি’ স্মৃতিগ্ৰন্থটি আবুল ফজলের লেখা। এটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার লেখকের দিনলিপি।

ক. রফিক আজাদ
খ. শঙ্খ ঘােষ
গ. শক্তি চট্টোপাধ্যায়
ঘ. শামসুর রাহমান
ব্যাখ্যাঃ

‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’ কাব্যগ্রন্থের কবি হলেন শঙ্খ ঘোষ

এটি তাঁর একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ যা আধুনিক সমাজের বিজ্ঞাপনসর্বস্বতাকে এবং মানুষের ভেতরের সত্তা কিভাবে ক্রমশ ঢাকা পড়ে যাচ্ছে, সেই বিষয়টিকে তুলে ধরে।

ক. আনিসুর রহমান
খ. রেহমান সােবহান
গ. নুরুল ইসলাম
ঘ. রওনক জাহান
ব্যাখ্যাঃ

‘Untranquil Recollections: The Years of Fulfilment’ শীর্ষক গ্রন্থটির লেখক হলেন রেহমান সোবহান। তিনি বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী। গ্রন্থটিতে তিনি তার কর্মজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোকপাত করেছেন।

ক. অসীম সাহা
খ. অরুণ বসু
গ. আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
ঘ. সৈয়দ শামসুল হক
ব্যাখ্যাঃ

সৈয়দ শামসুল হক "পরানের গহীন ভিতর" কাব্যের কবি।

এটি তার একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ, যা ১৯৮০ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই কাব্যে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

ক. রাজা রামমোহন রায়
খ. গোলকনাথ শর্মা
গ. রামরাম বসু
ঘ. মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
ব্যাখ্যাঃ

'বেদান্তগ্রন্থ' (১৮১৫) এবং 'বেদান্ত সার' (১৮১৫) এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রাজা রামমোহন রায় রচনা করেন। তিনি বেদান্ত দর্শনের একেশ্বরবাদী ভাবধারা প্রচারের উদ্দেশ্যে এই গ্রন্থগুলো রচনা করেছিলেন।

ক. হুমায়ুন আজাদ
খ. হেলাল হাফিজ
গ. আসাদ চৌধুরী
ঘ. রফিক আজাদ
ব্যাখ্যাঃ

'অলৌকিক ইস্টিমার' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা হলেন হুমায়ুন আজাদ

এটি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ, যা ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

ক. বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান
খ. আধুনিক বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান
গ. ধ্বনিবিজ্ঞানের কথা
ঘ. ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব
ব্যাখ্যাঃ

ড. মুহম্মদ আবদুল হাই রচিত ধ্বনিবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের নাম হলো 'ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব'। এটি ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়।

ক. পলাশীর যুদ্ধ
খ. তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধ
গ. ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ
ঘ. ছিয়াত্তরের মন্বন্তর
ব্যাখ্যাঃ

কবি কায়কোবাদ রচিত বিখ্যাত মহাকাব্য 'মহাশ্মশান'-এর ঐতিহাসিক পটভূমি ছিল ১৭৬১ সালের তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধ

এই যুদ্ধ ছিল ভারতের উদীয়মান হিন্দুশক্তি মারাঠাদের সঙ্গে মুসলিমশক্তি তথা আহমদ শাহ আবদালীর নেতৃত্বে রোহিলা-অধিপতি নজীবউদ্দৌলার মধ্যে সংঘটিত এক ভয়াবহ যুদ্ধ। যদিও এই যুদ্ধে মুসলমানরা জয়লাভ করেছিল, কিন্তু কবির দৃষ্টিতে এটি উভয় পক্ষের জন্যই ছিল এক বিশাল শক্তিক্ষয় ও ধ্বংসের প্রতিচ্ছবি। এই কারণেই কবি এই যুদ্ধক্ষেত্রকে 'মহাশ্মশান' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, যেখানে মানবতা ও উভয় জাতির গৌরবই যেন শ্মশানে পরিণত হয়েছিল।

ক. রহু চণ্ডালের হাড়
খ. কৈবর্ত খণ্ড
গ. ফুল বউ
ঘ. অলীক মানুষ
ব্যাখ্যাঃ

সৈয়দ মুস্তফা সিরাজের গ্রন্থটি হলো অলীক মানুষ

এটি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং বহুল প্রশংসিত উপন্যাস, যার জন্য তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।

ক. প্রবোধচন্দ্র সেন
খ. প্রমথনাথ বিশি
গ. প্রমথ চৌধুরী
ঘ. প্রদ্যুম্ন মিত্র
ব্যাখ্যাঃ

‘তেল নুন লকড়ি’ গ্রন্থটি প্রমথনাথ বিশি-র রচিত। এটি তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য রম্যরচনা সংকলন।

ক. কামাল হোসেন
খ. এস. এ. করিম
গ. নুরুল ইসলাম
ঘ. আনিসুর রহমান
ব্যাখ্যাঃ

'Making of a Nation Bangladesh' গ্রন্থের রচয়িতা হলেন অধ্যাপক নুরুল ইসলাম

ক. সাত সাগরের মাঝি
খ. পাখির বাসা
গ. হাতেমতাই
ঘ. নৌফেল ও হাতেম
ক. বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
খ. বিয়ে পাগলা বুড়ো
গ. কিঞ্চিত জলযোগ
ঘ. কল্কি অবতার
ব্যাখ্যাঃ

"বিয়ে পাগলা বুড়ো" দীনবন্ধু মিত্র রচিত একটি প্রহসন। এটি বাংলা সাহিত্যে সামাজিক ব্যঙ্গধর্মী নাটকের অন্যতম উদাহরণ। এই প্রহসনে সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কার, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের অযৌক্তিকভাবে বিয়ের প্রতি আসক্তি এবং সামাজিক অনিয়মকে তীক্ষ্ণভাবে ব্যঙ্গ করা হয়েছে।

ক. কাজী নজরুল ইসলাম
খ. ফররুখ আহমদ
গ. আব্দুল কাদির
ঘ. বন্দে আলী মিয়া
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা সাহিত্যে ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ হিসেবে পরিচিত ফররুখ আহমদ সাত সাগরের মাঝি কাব্য গ্রন্হটি রচনা করেন। ১৯৪৪ সালে প্রকাশিত এই কাব্য গ্রন্হের উল্লেখযোগ্য কিছু কবিতা হলো: পাঞ্জেরী, সিন্দবাদ, আকাশ-নাবিক, ডাহুক, এইসব রাত্রি ইত্যাদি।

ক. বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
খ. বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
গ. বাংলা সাহিত্যের কথা
ঘ. বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা
ব্যাখ্যাঃ
গ্রন্থের নাম প্রকাশকাল রচয়িতা
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য (বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ) ১৮৬৬ সাল দীনেশচন্দ্র সেন
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ১৯৪০ সাল ড. সুকুমার সেন
বাংলা সাহিত্যের কথা ১৯৫৩ সাল ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা ১ম খণ্ড ১৯৫৯, ২য় খণ্ড ১৯৬৩ ড. গোপাল হালদার
ক. মাগধীয় ব্যাকরণ
খ. গৌড়ীয় ব্যাকরণ
গ. মাতৃভাষা ব্যাকরণ
ঘ. ভাষা ও ব্যাকরণ
ব্যাখ্যাঃ

রাজা রামমোহন রায় প্রথম বাঙালি হিসেবে ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ (১৮৩৩) রচনা করেন। তার অন্যান্য রচনা হচ্ছে ‘বেদান্তসার’ (১৮১৫), ‘ভট্টাচার্যের সহিত বিচার’ (১৮১৭), ‘সহমরণ বিষয়ক প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ’ (১৮১৮) ইত্যাদি।

ক. সিকানদার আবু জাফর
খ. আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
গ. ফররুখ আহমদ
ঘ. আহসান হাবীব
ব্যাখ্যাঃ

'আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি'- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ রচিত কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশিত হয় ১৯৮১ সালে। এ লেখকের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে 'সাতনরী হার', ‘কখনও রং কখনও সুর’, ‘কমলের চোখ’, ‘সহিষ্ণু প্রতিক্ষা’, ‘প্রেমের কবিতা’, ‘নির্বাচিত কবিতা’ ইত্যাদি।

ক. মালিক জয়সী
খ. ফেরদৌসী
গ. সৈয়দ হামজা
ঘ. কাজী দৌলত উজির বাহরাম খাঁ
ব্যাখ্যাঃ

ইরানের বিখ্যাত মহাকাব্য ‘শাহ্‌নামা’ গজনির পজনভি রাজবংশের অধিপতি সুলতান মাহমুদের রাজসভার কবি আবুল কাসিম মনসুর ফেরদৌসী রচনা করেন।

ক. অবকাশ রঞ্জিনী
খ. বৃত্রসংহার
গ. বিরহ বিলাপ
ঘ. বীরাঙ্গনা কাব্য
ব্যাখ্যাঃ

মহাকাব্য হলো কোনো জাতির উত্থান-পতনের কাহিনি ওজস্বী ছন্দে বর্ণিত সাহিত্যকর্ম। কিছু বিখ্যাত মহাকাব্য হলো রামায়ণ (বাল্মীকি), মহাভারত (কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস), মেঘনাদবধ কাব্য (মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ১৮৬১), বৃত্রসংহার-১ম ও ২য় খণ্ড (হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ১৮৭৫ ও ১৮৭৭), মহাশ্মশান (কায়কোবাদ, ১৯০৪), স্পেন বিজয় (সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী, ১৯১৪), ইলিয়াড (হোমার), প্যারাডাইস লস্ট (মিল্টন) ইত্যাদি। ‘বৃত্র’ নামক অসুর কর্তৃক স্বর্গবিজয় ও দেবরাজ ইন্দ্র কর্তৃক স্বর্গের অধিকার পুনঃস্থাপন ও বৃত্রাসুরের নিধনই ‘বৃত্রসংহার’ মহাকাব্যের উপজীব্য।

ক. মুন্সী আব্দুল লতিফ
খ. কাজী আকরাম হোসেন
গ. গিরিশচন্দ্র সেন
ঘ. শেখ আব্দুল জব্বার
ব্যাখ্যাঃ

শেখ ফরীদুদ্‌দীন সাত্তারের ফারসি ভাষায় রচিত ‘তাজকেরাতুল আওলিয়া’ অবলম্বনে ভাই গিরিশচন্দ্র সেন ‘তাপসমালা’ গ্রন্থ টি রচনা করেন। উল্লেখ্য, গিরিশচন্দ্র সেন প্রথম বাংলায় পূর্ণাঙ্গ কুরআন শরীফ অনুবাদ করেন।

ক. সুকুমার সেন
খ. দীনেশচন্দ্র সেন
গ. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
ঘ. অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক দীনেশচন্দ্র সেন (১৮৬৬-১৯৩৯ খ্রি) ১৮৯৬ সালে ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ নামে প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের সুশৃঙ্খল ও তথ্যসমৃদ্ধ ধারাবাহিক ইতিহাসমূলক এ গ্রন্হটি রচনা করেন। আর এটিই বাংলা সাহিত্যের প্রথম যথার্থ ইতিহাস গ্রন্হ হিসেবে স্বীকৃত। অন্যদিকে ড. সুকুমার সেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এবং অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ইতিহাস বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্হগুলো হলো যথাক্রমে ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ (১৯৪০), ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’ (১৯৫৯) এবং ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ (১ম খণ্ড) (১৯৫৯)।

ক. ভাষার ইতিবৃত্ত
খ. আধুনিক ভাষাতত্ত্ব
গ. মনীষা মঞ্জুষা
ঘ. বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান
ব্যাখ্যাঃ

‘মনীষা মঞ্জুষা’ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০৬-১৯৮২ খ্রি) রচিত এক সংকলন গ্রন্হ। দু খণ্ডের এ গ্রন্হের প্রথম খণ্ড ১৯৭৫ সালে এবং দ্বিতীয় খণ্ড ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত হয়। ‘আধুনিক ভাষাতত্ত্ব’ গবেষণা গ্রন্হটি রচনা করেন আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ। ‘বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ গ্রন্হটি সম্পাদনা করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। উল্লেখ্য ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত আরেকটি ভাষাতত্ত্ব হলো ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’।

ক. আশা-আকাঙ্ক্ষার সমর্থনে
খ. ভবিষ্যতের বাঙালি
গ. উন্নত জীবন
ঘ. সভ্যতা
ব্যাখ্যাঃ

বিশিষ্ট সাহিত্যিক এস. ওয়াজেদ আলী (১৮৯০-১৯৫১ খ্রি) রচিত ‘ভবিষ্যতের বাঙালী’ (১৯৪৩) একটি প্রবন্ধ গ্রন্হ। তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্হের মধ্যে রয়েছে ‍মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ (প্রবন্ধ), গুলদাস্তা (১৯২৭), প্রাচ্য ও প্রতীচ্য (১৯৪৩) ইত্যাদি।

ক. দৌলত উজির বাহরাম খান
খ. মাগন ঠাকুর
গ. আলাওল
ঘ. শাহ্ মুহম্মদ সগীর
ব্যাখ্যাঃ

মধ্যযুগের বাংলা প্রণয়োপাখ্যানগুলোর অন্যতম ‘ইউসুফ-জোলেখা’র কাহিনি। ইউসুফ-জোলেখার যেসব পুঁথি পাওয়া গেছে তার মধ্যে কবি শাহ মুহম্মদ সগীর প্রণীত ‘ইউসুফ-জোলেখা’ অন্যতম।

ক. দীনেশচন্দ্র সেনগুপ্ত
খ. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
গ. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
ঘ. সুকুমার সেন
ব্যাখ্যাঃ

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক দীনেশচন্দ্র সেন (১৮৬৬-১৯৩৯ খ্রি.) কর্তৃক রচিত ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ গ্রন্হটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম যথার্থ ইতিহাস গ্রন্হ। ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ ও ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ সম্পাদনা তার বঙ্গ-সংস্কৃতি সেবার আর এক শ্রেষ্ঠ নিদর্শন।

ক. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
গ. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
ঘ. মুহম্মদ এনামুল হক
ব্যাখ্যাঃ

বিশিষ্ট লেখক, সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষবিদ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১ খ্রি.) রচিত বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম ‘সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমাণিকা’ ও ‘ব্যাকরণ কৌমুদী’ (১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ ভাগ)। ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি.) রচিত বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম ‘বাংলা ব্যাকরণ’। শিক্ষাবিদ ও গবেষক মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০৬-১৯৮২ খ্রি.) রচিত বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম 'ব্যাকরণ মঞ্জরী'।

ক. ফররুখ আহমদ
খ. আহসান হাবীব
গ. শামসুর রাহমান
ঘ. হাসান হাফিজুর রহমান
ব্যাখ্যাঃ

চল্লিশের দশকে আবির্ভূত শক্তিমান কবিদের অন্যতম ফররুখ আহমদের (১৯১৮-১৯৭৪ খ্রি.) প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ সালে। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘সিরাজাম মুনীরা’ (১৯৫২), ‘নৌফেল ও হাতেম’ (কাব্যনাট্য, ১৯৬১), ‘মুহূর্তের কবিতা’ (সনেট সংকলন, ১৯৬৩), ‘হাতেমতায়ী’ (কাহিনী কাব্য, ১৯৬৬) ইত্যাদি।

ক. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও সৈয়দ আলী আহসান
খ. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও মুহম্মদ আব্দুল হাই
গ. মুহম্মদ আব্দুল হাই, আনিসুজ্জামান ও আনোয়ার পাশা
ঘ. মুহম্মদ আব্দুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসান
ব্যাখ্যাঃ

শিক্ষাবিদ, ধ্বনিতাত্ত্বিক ও সাহিত্যিক মুহম্মদ আব্দুল হাই (১৯১৯-১৯৬৯ খ্রি.) এবং শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক সৈয়দ আলী আহসান (১৯২২-২০০২ খ্রি.) যুগ্মভাবে ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ (আধুনিক) গবেষণা গ্রন্থটি রচনা করেন।

ক. মরুমায়া
খ. মরু ভাস্কর
গ. মরুতীর্থ
ঘ. মরু কুসুম
ব্যাখ্যাঃ

হযরত মুহাম্মদ (সা) এর জীবনী নিয়ে লিখিত ‘মরু ভাঙ্কর’ (১৯৪১) গ্রন্থটি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী (১৮৯৬-১৯৫৪ খ্রি.) রচনা করেন। অন্যদিকে 'মরুমায়া' (১৯৩০) কাব্যগ্রন্থটি কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত (১৮৮৭-১৯৫৪ খ্রি) রচনা করেন।

ক. মুহম্মদ আব্দুল হাই
খ. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
গ. মুহম্মদ এনামুল হক
ঘ. আহমদ শরীফ
ব্যাখ্যাঃ

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আহমদ শরীফ (১৯২১-১৯৯৯) ‘বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান’ সম্পাদনা করেন, যা ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। অন্যদিকে ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি.) সম্পাদনা করেন 'আঞ্চলিক ভাষার অভিধান' (দুই খণ্ড) ।

ক. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
খ. মুহম্মদ আবদুল হাই
গ. মুনীর চৌধুরী
ঘ. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
ব্যাখ্যাঃ
লেখক গ্রন্থের নাম
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত
মুহম্মদ আবদুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসান বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী সাহিত্যের নবরূপায়ণ; বাংলা বানান ও লিপি সংস্কার
ক. কবিতা
খ. কাব্য পরিক্রমা
গ. কয়েকটি কবিতা
ঘ. বাঙলার কাব্য
ব্যাখ্যাঃ

নাগরিক কবি সমর সেন (১৯১৬-১৯৮৭ খ্রি.) রচিত ‘কয়েকটি কবিতা’ (১৯৩৭)। একটি কাব্যগ্রন্হ।

ক. উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী
খ. দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
গ. সুকুমার রায়
ঘ. সত্যজিৎ রায়
ব্যাখ্যাঃ

সুকুমার রায়ের বিখ্যাত শিশুতোষ গ্রন্হ ‘আবোল-তাবোল’ এবং ‘হ-য-ব-র-ল’।

ক. নিরন্তন ঘণ্টা ধ্বনি
খ. নির্জন স্বাক্ষর
গ. নিরালোকে দিব্যরথ
ঘ. নির্বাণ
ব্যাখ্যাঃ

শামসুর রহমানের কাব্যগ্রন্হের মধ্যে- প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে (প্রথম কাব্যগ্রন্হ), রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, বন্দী শিবির থেকে, বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে, উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ, এক ফোঁটা কেমন অনল, বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়, নিরালোকে দিব্যরথ, না বাস্তব না দুঃস্বপ্ন উল্লেখযোগ্য। অক্টোপাস, অদ্ভুত আঁধার এক, নিয়ত মন্তাজ এবং এলো সে অবেলায় তার রচিত উপন্যাস। স্মৃতির শহর এবং কালের ধূলোয় লেখা তার আত্মস্মৃতিমূলক গ্রন্হ।

ক. অশোক মিত্র
খ. দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
গ. নীরদচন্দ্র চৌধুরী
ঘ. অতুল সুর
ব্যাখ্যাঃ

নীরদচন্দ্র চৌধুরী রচিত বাংলা প্রবন্ধ গ্রন্থের মধ্যে ‘বাঙালী জীবনে রমণী’, ‘আমার দেশ আমার শতক’, ‘আমার দেবোত্তর সম্পত্তি’, ‘আত্মঘাতী বাঙালি’ ও ‘আত্মঘাতী রবীন্দ্রনাথ’ উল্লেখযোগ্য।

ক. মোতাহের হোসেন চৌধুরী
খ. বিনয় ঘোষ
গ. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
ঘ. রাধারমণ মিত্র
ব্যাখ্যাঃ

‘সংস্কৃতির ভাঙা সেতু’ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্হ। ‘চিলেকোঠার সেপাই’ ও ‘খোয়াবনামা’ তার বিখ্যাত উপন্যাস। তার রচিত গল্পগ্রন্থের মধ্যে ‘দুধেভাতে উৎপাত’, ‘অন্য ঘরে অন্য স্বর’, ‘খোঁয়ারি’, ‘দোজখের ওম’ উল্লেখযোগ্য।

ক. এস ওয়াজেদ আলী
খ. এয়াকুব আলী চৌধুরী
গ. মোঃ লুৎফর রহমান
ঘ. মোঃ ওয়াজেদ আলী
ব্যাখ্যাঃ

চিন্তাশীল ও যুক্তিবাদী প্রাবন্ধিক ডাঃ লুৎফর রহমান রচিত বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্হ ‘মানবজীবন’, ‘মহৎজীবন’, ‘উন্নতজীবন’। এস ওয়াজেদ আলী রচিত গ্রন্হ ‘মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ’ ‘ভবিষ্যতের বাঙালি’। এয়াকুব আলী চৌধুরী রচিত গ্রন্হসমূহ ‘ধর্মের কাহিনী’, ‘শান্তিধারা’, ‘মানব মুকুট’। মো. ওয়াজেদ আলী রচিত গ্রন্হসমূহ ‘মরুভাস্কর’ ‘মহামানুষ মুহসীন’, ‘মণিচয়নিকা’।

ক. তালিম হোসেন
খ. ফররুখ আহমদ
গ. গোলাম মোস্তফা
ঘ. আবুল হোসেন
ব্যাখ্যাঃ

মুসলিম রেনেসাঁর কবি হিসেবে পরিচিত ফররুখ আহমেদের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্হ ‘সাত সাগরের মাঝি’। তার অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে সিরাজাম মুনীরা, নৌফেল ও হাতেম, মুহূর্তের কবিতা (সনেট সংকলন), হাতেম তায়ী, কাফেলা উল্লেখযোগ্য। কবিদের মধ্যে তিনিই প্রথম ১৯৬০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

ক. মেঘনাদবধ কাব্য
খ. দুর্গেশনন্দিনী
গ. নীলদর্পণ
ঘ. অগ্নিবীনা
ব্যাখ্যাঃ

ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা গ্রন্হ দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটক। ১৮৬০ সালে প্রকাশিত নাটকটিতে বাংলাদেশের মেহেরপুর অঞ্চলের নীলকরদের অত্যাচার ও নীলচাষীদের দুঃখ-কষ্ট বর্ণিত হয়েছে। ১৮৬১ সালে মাইকেল মধুসূদন দত্ত A Native ছদ্মনামে নাটকটি The Indigo Planting Mirror নামে অনুবাদ করেন। দীনবন্ধু মিত্র রচিত অন্যান্য নাটকের মধ্যে কমলে কামিনী, লীলাবতী, নবীন তপস্বিনী, জামাই বারিক, উল্লেখযোগ্য।

ক. হাসান হাফিজুর রহমান
খ. আল-মাহমুদ
গ. হুমায়ুন আজাদ
ঘ. শক্তি চট্টোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ

সোনালী কাবিন আল-মাহমুদ রচিত সনেট জাতীয় কাব্য যা ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয়।

ক. আনোয়ার পাশা
খ. ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র
গ. কুচবরণের কন্যা
ঘ. সোনার শিকল
ব্যাখ্যাঃ

ইব্রাহিম খাঁ রচিত গ্রন্থ: আনোয়ার পাশা (নাটক); ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র (ভ্রমণকাহিনী) এবং সোনার শিকল (গল্পগ্রন্থ); ‘কুচবরণের কন্যা’ বন্দে আলী মিয়া রচিত কাব্য গ্রন্থ।

ক. আলাওল
খ. ফকির গরীবুল্লাহ
গ. সৈয়দ হামজা
ঘ. রেজাউদ্দৌলা
ব্যাখ্যাঃ

আমীর হামজা কাব্যের রচয়িতা ফকীর গরীবুল্লাহ। তিনি কাজটি অসমাপ্ত রেখে যান। তার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করেন সৈয়দ হামজা।

ক. জিঞ্জির- কাজী নজরুল ইসলাম
খ. সাত সাগরের মাঝি – ফররুখ আহমদ
গ. দিলরুবা – আবদুল কাদির
ঘ. নূরনামা – আবদুল হাকিম
ব্যাখ্যাঃ

জিঞ্জির: বিদ্রোহের সুর; সাত সাগরের মাঝি: ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য; দিলরুবা: প্রেমপ্রধান; নূরনামা: বাংলা ভাষার গুণকীর্তন।

ক. সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
খ. মোজাম্মেল হক
গ. এয়াকুব আলী চৌধুরী
ঘ. মুনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী
ব্যাখ্যাঃ
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সাহিত্যকর্মঃ
কাব্য অনল প্রবাহ, স্পেনবিজয় কাব্য, উচ্ছ্বাস, উদ্বোধন
উপন্যাস তারাবাঈ, রায়নন্দিনী, ফিরোজা বেগম
ভ্রমণকাহিনী তুরস্ক ভ্রমণ
ক. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
খ. মধুসূদন দত্ত
গ. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘ. রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ

রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় এর সর্বাধিক জনপ্রিয় কাব্য ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ থেকে চরণটি সংগৃহীত। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্হ হলো- কর্মদেবী, শূরসুন্দরী, নীতি কুসুমাঞ্জলি ও কাঞ্চী কাবেরী।

ক. মুহম্মদ আব্দুল হাই
খ. মোঃ বরকতুল্লাহ
গ. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
ঘ. মওলানা আকরম খাঁ
ব্যাখ্যাঃ

মওলানা আকরম খাঁর (১৮৬৮-১৯৬৮) শ্রেষ্ঠ রচনা ‘মোস্তফা চরিত’ (১৯২৩)। এটি হযরত মুহম্মদ (স)-এর জীবনীমূলক রচনা। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘তফসিরুল কুরআন’ (পবিত্র কুরআনের বঙ্গানুবাদ), ‘সমাজ ও সমাধান’, ‘মোসলেম বাংলার সামাজিক ইতিহাস’, ‘মুক্তি ও ইসলাম’।

ক. মুহম্মদ আব্দুল হাই
খ. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
গ. আবুল মনসুর আহমেদ
ঘ. আতাউর রহমান
ব্যাখ্যাঃ
বিষয় গ্রন্থ
উপন্যাস সত্য মিথ্যা, আবে হায়াত, জীবনক্ষুধা
গল্পগ্রন্থ আয়না, ফুড কনফারেন্স, আসমানী পর্দা
রাজনীতি বিষয়ক গ্রন্থ আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর, শেরে বাংলা থেকে বঙ্গবন্ধু
শিশুসাহিত্য কাসাসুল আম্বিয়া, গালিভারের সফরনামা
ক. বিষ্ণু দে
খ. প্যারীচাঁদ মিত্র
গ. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘ. দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
ব্যাখ্যাঃ

'চোরাবালি' বিষ্ণু দে'র একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয় এবং বাংলা আধুনিক কবিতার ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।

'চোরাবালি' কাব্যগ্রন্থের বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য:

  • বিষয়বস্তু: 'চোরাবালি' কাব্যগ্রন্থে বিষ্ণু দে'র সময়ের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদ, ফ্যাসিবাদ, দারিদ্র্য, শোষণ এবং সমকালীন অস্থিরতা তাঁর কবিতায় তীব্রভাবে উঠে এসেছে।
  • কাব্যভাষা ও আঙ্গিক: এই গ্রন্থে বিষ্ণু দে'র নিজস্ব কাব্যভাষা এবং আঙ্গিকের সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি ঐতিহ্যবাহী ছন্দ এবং আঙ্গিকের পাশাপাশি নতুন পরীক্ষামূলক ছন্দ ও আঙ্গিক ব্যবহার করেছেন। তাঁর কবিতা জটিল, বুদ্ধিদীপ্ত এবং বহুস্তরবিশিষ্ট।
  • প্রতীক ও চিত্রকল্প: 'চোরাবালি' তে বিষ্ণু দে প্রচুর প্রতীক ও চিত্রকল্প ব্যবহার করেছেন, যা তাঁর কবিতাকে গভীরতা ও ব্যঞ্জনা দান করেছে। 'চোরাবালি' নিজেই একটি শক্তিশালী প্রতীক যা সমকালীন সমাজের অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা এবং ধ্বংসের ইঙ্গিত বহন করে।
  • মার্কসবাদী ভাবাদর্শের প্রভাব: বিষ্ণু দে মার্কসবাদী ভাবাদর্শে গভীরভাবে বিশ্বাসী ছিলেন এবং এর প্রভাব তাঁর কবিতায় স্পষ্ট। তিনি সমাজের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি সহানুভূতি এবং শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেছেন।
  • আধুনিক কবিতার বৈশিষ্ট্য: 'চোরাবালি' বাংলা আধুনিক কবিতার বৈশিষ্ট্যগুলোকে ধারণ করে। এতে নাগরিক জীবনের জটিলতা, মানুষের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব এবং ঐতিহ্যের প্রতি নতুন করে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে।
ক. শক্তি চট্টোপাধ্যায়
খ. হাসান হাফিজুর রহমান
গ. আল মাহমুদ
ঘ. হুমায়ূন আজাদ
ব্যাখ্যাঃ

'সোনালি কাবিন' আল মাহমুদের একটি কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয় এবং বাংলা কবিতার ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। এই কাব্যগ্রন্থটি আল মাহমুদকে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

'সোনালি কাবিন' কাব্যের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:

  • সনেট: 'সোনালি কাবিন'-এর কবিতাগুলো মূলত সনেট আঙ্গিকে রচিত। এই গ্রন্থে মোট ১৪টি সনেট রয়েছে।
  • বিষয়বস্তু: কবিতাগুলোতে প্রেম, প্রকৃতি, গ্রামীণ জীবন, ঐতিহ্য, ইতিহাস, সামাজিক ও রাজনৈতিক চেতনা এবং মানবতাবাদের মতো বিষয়গুলো গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
  • উপমা ও চিত্রকল্প: আল মাহমুদ তাঁর কবিতায় চিরায়ত বাংলা সাহিত্য এবং গ্রামীণ জীবন থেকে নেওয়া চমৎকার উপমা ও চিত্রকল্প ব্যবহার করেছেন, যা কবিতাগুলোকে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
  • শব্দচয়ন: তাঁর শব্দচয়ন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ব্যঞ্জনাময়। গ্রামীণ শব্দ ও আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার কবিতায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
  • ঐতিহ্যচেতনা: এই কাব্যে আবহমান বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি কবির গভীর অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে। লোকজ উপাদান ও মিথের ব্যবহার লক্ষণীয়।
  • আধুনিকতার সাথে ঐতিহ্যের মেলবন্ধন: আল মাহমুদ আধুনিক কবিতার আঙ্গিকের সাথে ঐতিহ্যবাহী ভাবনার এক সুন্দর সমন্বয় ঘটিয়েছেন।
  • দেশপ্রেম ও দ্রোহ: কোনো কোনো কবিতায় দেশপ্রেম এবং সমকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে কবির দ্রোহের প্রকাশ দেখা যায়।
ক. সুভাষ মুখোপাধ্যায়
খ. সুফিয়া কামাল
গ. কবি আল মাহমুদ
ঘ. সিকানদার আবু জাফর
ব্যাখ্যাঃ

'উদাত্ত পৃথিবী' সুফিয়া কামালের একটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়। এই কাব্যগ্রন্থে কবির গভীর জীবনবোধ, প্রকৃতিপ্রেম এবং মানবতাবাদের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়।

সুফিয়া কামাল (১৯১১-১৯৯৯) ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা কবি, লেখিকা, নারীবাদী ও নারী প্রগতি আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো:

  • সাঁঝের মায়া (১৯৩৮) - এটি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং কাজী নজরুল ইসলাম এর মুখবন্ধ লিখেছিলেন।
  • মায়া কাজল (১৯৫১)
  • মন ও জীবন (১৯৫৭)
  • প্রশস্তি ও প্রার্থনা (১৯৫৮)
  • দিওয়ান (১৯৬৬)
  • অভিযাত্রিক (১৯৬৯)
  • মৃত্তিকার ঘ্রাণ (১৯৭০)
  • মোর জাদুদের সমাধি পরে (১৯৭২)

'উদাত্ত পৃথিবী' কাব্যগ্রন্থে সুফিয়া কামালের কবিতার বৈশিষ্ট্য যেমন - সহজ সরল ভাষা, গভীর অনুভূতি এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা - সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। প্রকৃতি ও মানুষের জীবন intertwined ভাবে তার কবিতায় উপস্থাপিত হয়েছে।

ক. আমাদের ছোট রাসেল সোনা
খ. মমতা মাখা একটি নাম রাসেল
গ. রাসেলের দিনগুলি
ঘ. আমাদের ছোট রাজকুমার
ব্যাখ্যাঃ

শেখ রাসেলকে নিয়ে শেখ হাসিনার লেখা বইটির নাম হলো ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’।

২০১৯ সালে বইটি প্রকাশিত হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের জীবন কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে বইটি লেখা হয়েছে। শিশু-কিশোরদের উপযোগী করে লিখলেও সব বয়সের পাঠকের কাছে বইটি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। শেখ রাসেলের জন্মগ্রহণ থেকে শুরু করে তার জীবনকাহিনি এবং ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার ঘটনাপ্রবাহ বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে। ছোটদের উপযোগী বইটি শেখ হাসিনা 1 গল্প বলার আকারে লিখেছেন। সহজ-সরল ভাষায় লেখার কারণে শিশুদের জন্য অনন্য এক গ্রন্থ হিসেবে ইতোমধ্যে সাড়া জাগিয়েছে বইটি।

ক. আলাওল
খ. শাহ মুহম্মদ সগীর
গ. ফেরদৌসী
ঘ. বাহরাম খা
ব্যাখ্যাঃ

ফার্সি কবি ফেরদৌসী আনুমানিক ৯৭৭ থেকে ১০১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বিখ্যাত মহাকাব্য "শাহনামা" রচনা করেন।

"শাহনামা" (শাহ্-নামা) ফার্সি ভাষায় রচিত একটি দীর্ঘ কবিতা, যার অর্থ "রাজাদের বই"। এটি ইরানের জাতীয় মহাকাব্য হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এতে প্রায় ৬০,০০০ শ্লোক রয়েছে। এই মহাকাব্যে ইরানের সৃষ্টি থেকে শুরু করে সপ্তম শতাব্দীতে আরবদের পারস্য বিজয়ের পূর্ব পর্যন্তের ইতিহাস ও কিংবদন্তি বর্ণিত হয়েছে।