সঠিক উত্তরটি হলো ঘঃ সৈয়দ নূরুদ্দীন।

দৌলত উজির বাহরাম খাঁ, সাবিরিদ খাঁ এবং সৈয়দ সুলতান মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য কবি এবং তারা যুদ্ধকাব্য রচনা করেছেন।

• দৌলত উজির বাহরাম খাঁ: তার বিখ্যাত যুদ্ধকাব্য হলো "লাইলী-মজনু"।
• সাবিরিদ খাঁ: তিনিও "বিদ্যাসুন্দর" কাব্যের একটি যুদ্ধ-কেন্দ্রিক আখ্যান রচনা করেন।
• সৈয়দ সুলতান: তার রচিত "নবীবংশ" একটি দীর্ঘ কাব্য এবং এর কিছু অংশে যুদ্ধ ও সংঘাতের বর্ণনা রয়েছে।

অন্যদিকে, সৈয়দ নূরুদ্দীন প্রধানত নাথ সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত। তার উল্লেখযোগ্য রচনা হলো "নাসির নামা"। তিনি যুদ্ধকাব্য রচনা করেননি।

কবি গানের প্রথম কবি হলেন গোঁজলা গুঁই।

মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি ও রাজনীতিবিদ সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী। অনলস্রাবী সাহিত্য সৃষ্টি তার বৈশিষ্ট্য। জাতীয় জাগরণমূলক কাব্য সৃষ্টিতে তিনি ছিলেন স্বতঃস্ফূর্ত এবং কাজী নজরুল ইসলামের পূর্বসূরি। ‘অনল প্রবাহ’ (১৯০০) তার বিখ্যাত গ্রন্থ। গ্রন্থটি ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে ফেব্রুয়ারি মাসে ইংরেজ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়।

আবহমান কাল ধরে জনসাধারণের মুখে মুখে প্রচলিত গাঁথা, কাহিনী, গান, ছড়া, প্রবাদ ইত্যাদি নিয়ে যে সাহিত্যের সৃষ্টি তাকে লোকসাহিত্য বলে। এটি পল্লি বাংলার অমূল্য সম্পদ। বিশ শতকের গোড়ায় লোকসাহিত্য সংগ্রহ ও সংকলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার, দীনেশচন্দ্র সেন প্রমুখ। লোকসাহিত্য বিশ্লেষণে প্রথম এগিয়ে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এছাড়াও লোকসাহিত্য সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন চন্দ্রকুমার দে, আশুতোষ চৌধুরী, জসীমউদ্‌দীন প্রমুখ।

বাংলা ভাষায় প্রথম সাময়িকপত্র ‘দিকদর্শন’; প্রকাশকাল ১৮১৮। সম্পাদক জন ক্লার্ক মার্শম্যান। বাংলা সংবাদপত্রের ইতিহাসে ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ (দিকদর্শন, সমাচার দর্পণ, বেঙ্গল গেজেট) পত্রিকা প্রকাশিত হয় হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের খ্রিস্টান মিশনারিদের তত্ত্বাবধানে, তার মধ্যে ‘দিকদর্শন’ অন্যতম।

হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় একুশের প্রথম সাহিত্য সংকলন ছিল ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয়। ১৬ খণ্ডে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিল পত্র’ টিও তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। তার রচিত কাব্যগ্রন্হগুলো হলো- আর্ত শব্দাবলী, অন্তিম শরের মতো, যখন উদ্যত সঙ্গীন, শোকার্ত তরবারী, বিমুখ প্রান্তর ইত্যাদি।