উত্তর:
ক) কমলাকান্ত হলেন ভীষ্মদেব খোশনবীশ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সৃষ্ট একটি বিখ্যাত চরিত্র।
ব্যাখ্যা:
- ভীষ্মদেব খোশনবীশ হলো বঙ্কিমচন্দ্রের কমলাকান্তের দপ্তর গ্রন্থের একটি চরিত্র। এটি একটি রম্যরচনা যেখানে কমলাকান্ত নামক এক পানাসক্ত ব্যক্তির দিনলিপি ধরা হয়েছে।
- ভীষ্মদেব এই গ্রন্থে কমলাকান্তের বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হন, যিনি তার কথোপকথন ও যুক্তিবাদিতাকে রসাত্মকভাবে উপস্থাপন করেন।
অন্যান্য বিকল্প বিশ্লেষণ:
- খ) লোকরহস্য: বঙ্কিমচন্দ্রের রম্যরচনা, কিন্তু এতে ভীষ্মদেব খোশনবীশ চরিত্র নেই।
- গ) মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত: একটি সামাজিক ব্যঙ্গরচনা, তবে এখানে ভীষ্মদেব চরিত্র অনুপস্থিত।
- ঘ) যুগলাঙ্গুরীয়: বঙ্কিমচন্দ্রের ঐতিহাসিক উপন্যাস, ভীষ্মদেব এতে নেই।
প্রশ্নঃ ‘মনােরমা’ বঙ্কিমচন্দ্রের কোন উপন্যাসের চরিত্র?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বাংলা উপন্যাসের জনক সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক ‘মৃণালিনী’ (১৮৬৯) উপন্যাসটি তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজীর বাংলা আক্রমণের পটভূমিতে রচিত।
এটি বঙ্কিমচন্দ্রের তৃতীয় উপন্যাস। মগধের রাজপুত্র হেমচন্দ্রের সঙ্গে মৃণালিনীর প্রণয় এবং দেশরক্ষার জন্য হেমচন্দ্রের সংকল্প ও ব্যর্থতার সঙ্গে এক রহস্যময়ী নারী মনোরমার কাহিনি এ উপন্যাসের মূল কথা। কৃষ্ণকান্তের উইল এর অন্তর্গত চরিত্র হলো: গোবিন্দলাল, হরলাল, কৃষ্ণকান্ত, রোহিনী, ভ্রমর, নিশাকর। বিষবৃক্ষ উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র- নগেন্দ্রনাথ, সূর্যমুখী, কুন্দনন্দিনী, হীরা। তিলোত্তমা, আয়েশা, বিমলা বঙ্কিমের দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাসের অন্তর্গত চরিত্র।
প্রশ্নঃ কত সালে ‘দুর্গেশনন্দিনী’ উপন্যাস প্রথম প্রকাশিত হয়?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
১৮৬৫ সালে ‘দুর্গেশনন্দিনী’ উপন্যাস প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত প্রথম বাংলা উপন্যাস এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত। উপন্যাসটি ১৮৬২ থেকে ১৮৬৪ সালের মধ্যে রচিত হয়েছিল এবং প্রকাশের পর বাংলা কথাসাহিত্যের ধারায় এক নতুন যুগের সূচনা করে।
প্রশ্নঃ বাংলা আধুনিক উপন্যাস-এর প্রবর্তক ছিলেন-
[ বিসিএস ৪০তম ]
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে বাংলা আধুনিক উপন্যাসের প্রবর্তক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট বাঙালি ঔপন্যাসিক এবং বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। তার হাত ধরেই বাংলা উপন্যাস একটি সুস্পষ্ট আধুনিক রূপ লাভ করে।
বঙ্কিমচন্দ্রের পূর্বে প্যারীচাঁদ মিত্রের 'আলালের ঘরের দুলাল' (১৮৫৮) উপন্যাস প্রকাশিত হলেও, বঙ্কিমচন্দ্রের 'দুর্গেশনন্দিনী' (১৮৬৫) উপন্যাসটিকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক আধুনিক উপন্যাস হিসেবে ধরা হয়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা উপন্যাসকে একটি নতুন সাহিত্যিক মানে উন্নীত করেন এবং পরবর্তী প্রজন্মের ঔপন্যাসিকদের জন্য পথ খুলে দেন।
এই উক্তিটি বঙ্কিমচন্দ্রের ‘রাজসিংহ’ উপন্যাসের।
‘রাজসিংহ’ উপন্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র এই উক্তিটি করেছে, যা মানুষের পরিবর্তনশীল হৃদয় এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের মধ্যে সহানুভূতি ও মানবিকতার উন্মেষের সম্ভাবনাকে তুলে ধরে।
প্রশ্নঃ ‘প্রদীপ নিবিয়া গেল।’–এ বিখ্যাত বর্ণনা কোন উপন্যাসের?
[ বিসিএস ৩৭তম ]
'প্রদীপ নিবিয়া গেল!' – এই বিখ্যাত বর্ণনাটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর উপন্যাস 'কপালকুণ্ডলা' থেকে নেওয়া হয়েছে।
এটি উপন্যাসের দ্বিতীয় খণ্ডের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ 'পান্থনিবাসে'-এর শেষ বাক্য, যা কপালকুণ্ডলার জীবনে এক নতুন মোড় এবং বিয়োগান্তক ঘটনার ইঙ্গিত দেয়।
প্রশ্নঃ ‘কপালকুণ্ডলা’ কোন প্রকৃতির রচনা?
[ বিসিএস ৩৫তম ]
‘কপালকুণ্ডলা’ হলো বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি রোমান্টিক উপন্যাস।
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম দিকের সফল এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। এতে প্রকৃতি, রহস্য, দর্শন এবং মানবিক সম্পর্কের জটিলতা নিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসের লেখক কে?
[ বিসিএস ৩১তম ]
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪) রচিত ‘আনন্দ মঠ’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৮৮২ সালে। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো: দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫), কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬), মৃণালিনী (১৮৬৯), বিষবৃক্ষ (১৮৭৩), রজনী (১৮৭৭)।
প্রশ্নঃ ‘কাঁঠালপাড়া’য় জন্মগ্রহণ করেন কোন লেখক?
[ বিসিএস ৩১তম ]
২৬ জুন, ১৮৩৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের স্থপতি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন। খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৮৭৬ সালে হুগলী জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কাজী ইমদাদুল হক ৪ নভেম্বর ১৮৮২ সালে খুলনার গদাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সুভাষ মুখোপাধ্যায় ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৯ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্নঃ বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম উপন্যাসের নাম -
[ বিসিএস ২৯তম ]
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাসের নাম "দুর্গেশনন্দিনী"। এটি ১৮৬৫ সালে প্রকাশিত হয়। "দুর্গেশনন্দিনী" ছিল বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম রচনামূলক উপন্যাস এবং বাংলা সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
প্রশ্নঃ ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন?
[ বিসিএস ২৫তম ]
১৮৭২ সালে বাংলা উপন্যাসের জনক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪খ্রি) প্রথম ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকাটি প্রকাশ করেন এবং তিনিই এ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক।
প্রশ্নঃ রোহিনী-বিনোদিনী-কিরণময়ী কোন গ্রন্থগুচ্ছের চরিত্র?
[ বিসিএস ২৩তম ]
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ এর প্রধান চরিত্রগুলো হলো ভ্রমর, রোহিণী, হরলাল ও গোবিন্দলাল; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘চোখের বালি’র প্রধান চরিত্রগুলো হলো মহেন্দ্র ও বিনোদিনী; শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘চরিত্রহীন’ এর প্রধান চরিত্রগুলো হলো সতীশ, সাবেত্রী, কিরণময়ী ও দিবাকর।
প্রশ্নঃ ‘পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছ?’ কথাটি কার?
[ বিসিএস ১৬তম ]
চরণটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক উপন্যাস ‘কপালকুণ্ডলা’ থেকে সংগৃহীত। উপন্যাসের নায়িকা কপালকুণ্ডলা নায়ক নবকুমারকে উদ্দেশ্য করে কথাটি বলেছিল। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক সংলাপ। বঙ্কিমচন্দ্র রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস ‘দুর্গেশনন্দিনী’ ১৮৬৫ সালে প্রকাশিত হয়।
প্রশ্নঃ ‘রোহিণী’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসে পাওয়া যায়?
[ বিসিএস ১৬তম ]
উপন্যাস | লেখক | চরিত্র |
---|---|---|
কৃষ্ণকান্তের উইল | বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | রোহিণী, ভ্রমর, গোবিন্দলাল |
সংশপ্তক | শহীদুল্লা কায়সার | রাবু, রমজান, হুরমতি, জাহেদ |
গৃহদাহ | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | সুরেশ, অচলা, মহিম |
চরিত্রহীন | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | সতীশ, কিরণময়ী |
প্রশ্নঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্রের নাম-
[ বিসিএস ১৩তম ]
চরিত্র | উপন্যাস | লেখক |
---|---|---|
নগেন্দ্রনাথ ও কুন্দনন্দিনী | বিষবৃক্ষ | বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
মধুসূদন ও কুমুদিনী | যোগাযোগ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
সুরেশ ও অচলা | গৃহদাহ | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |