প্রশ্নঃ নিচের কোনটি বিশ শতকের পত্রিকা?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ শনিবারের চিঠি।
'শনিবারের চিঠি' পত্রিকা বিশ শতকের (১৯২৪ সালে প্রথম প্রকাশিত) একটি বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা। এটি প্রধানত এর ব্যঙ্গাত্মক ও সমালোচনামূলক রচনার জন্য পরিচিত ছিল।
অন্য পত্রিকাগুলোর প্রকাশকাল:
- খঃ বঙ্গদর্শন: উনিশ শতকের পত্রিকা (১২৭৯ বঙ্গাব্দ = ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দ)।
- গঃ তত্ত্ববােধিনী: উনিশ শতকের পত্রিকা (১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দ)।
- ঘঃ সংবাদ প্রভাকর: উনিশ শতকের পত্রিকা (১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দ)।
প্রশ্নঃ সজনীকান্ত দাস সম্পাদিত পত্রিকার নাম কী?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
সজনীকান্ত দাস সম্পাদিত পত্রিকার নাম কঃ ‘শনিবারের চিঠি’।
‘শনিবারের চিঠি’ একটি বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা ছিল যা ১৯২৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে। সজনীকান্ত দাস ১৯৩০ সাল থেকে দীর্ঘকাল এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন এবং তাঁর সম্পাদনায় পত্রিকাটি বিশেষ খ্যাতি লাভ করে। পত্রিকাটি মূলত প্রগতিবিরোধী ও রক্ষণশীল সাহিত্য গোষ্ঠীর মুখপত্র হিসেবে পরিচিত ছিল এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ অনেক প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের সমালোচনার জন্য বিখ্যাত ছিল।
প্রশ্নঃ ‘ঢাকা প্রকাশ’ সাপ্তাহিক পত্রিকাটির সম্পাদক কে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
ঢাকা প্রকাশ ছিল ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র। এটি একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৬১ সালের ৭ই মার্চ (বাংলা তারিখ ২৫শে ফাল্গুন, ১২৬৭)।
পত্রিকাটি ঢাকার বাবুবাজারের 'বাঙ্গালা যন্ত্র' নামক ছাপাখানা থেকে প্রকাশিত হতো। এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
প্রশ্নঃ ‘পূর্বাশা’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
[ বিসিএস ৩৮তম ]
‘পূর্বাশা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন গঃ সঞ্জয় ভট্টাচার্য।
পূর্বাশা একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ছিল যা ১৯৩২ সালে কুমিল্লা থেকে কবি ও কথাসাহিত্যিক সঞ্জয় ভট্টাচার্য দ্বারা প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে এটি কলকাতা থেকে প্রকাশিত হতে থাকে। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এটি বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
প্রশ্নঃ ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম পত্রিকার সম্পাদকের নাম কী?
[ বিসিএস ৩৭তম ]
ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ -এর সম্পাদক হাসান হাফিজুর রহমান। ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম নাটক ‘কবর’-এর রচয়িতা মুনীর চৌধুরী। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ভাষাসৈনিক হিসেবে পরিচিত গাজীউল হক। কবি শামসুর রাহমান তার সাংবাদিকতা শুরু করেন ১৯৫৭ সালে ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য মর্নিং নিইজ’ এর সহসম্পাদক হিসেবে। পরবর্তী সময়ে তিনি ‘দৈনিক বাংলা’ এবং ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’র সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রশ্নঃ ‘কল্লোল’ পত্রিকার প্রথম সম্পাদকের নাম কী?
[ বিসিএস ৩৭তম ]
'কল্লোল' বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা। এটি ১৯২৩ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয় এবং ১৯২৯ সাল পর্যন্ত এর প্রকাশনা চলে। এই পত্রিকাটিকে কেন্দ্র করেই বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন ধারার সূচনা হয়, যা 'কল্লোল যুগ' নামে পরিচিত।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ:
- প্রকাশকাল: ১৯২৩ সাল (১৩৩০ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখ)।
- প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সম্পাদক: দীনেশরঞ্জন দাশ।
- উদ্দেশ্য: 'কল্লোল' ছিল রবীন্দ্র-প্রভাব বলয়ের বাইরে এসে বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতা ও নতুনত্বের অন্বেষণের এক প্রচেষ্টা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালে সমাজের পরিবর্তিত মনস্তত্ত্ব, বিদ্রোহ, ফ্রয়েডীয় মনস্তত্ত্ব এবং মার্কসবাদী চিন্তাভাবনার প্রভাব এই পত্রিকার লেখকদের মধ্যে দেখা যায়।
- উল্লেখযোগ্য লেখকবৃন্দ: অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র, বুদ্ধদেব বসু, কাজী নজরুল ইসলাম, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ এই পত্রিকার নিয়মিত লেখক ছিলেন।
- বৈশিষ্ট্য:
- রবীন্দ্র বিরোধিতা: যদিও সরাসরি বিরোধিতা ছিল না, তবে রবীন্দ্র-রোমান্টিক ধারার বাইরে গিয়ে জীবনের বাস্তবতাকে, এমনকি সমাজের অন্ধকার দিকগুলোকেও তুলে ধরতে এই পত্রিকা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
- আধুনিকতার সূত্রপাত: বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার এক নতুন জোয়ার এনেছিল 'কল্লোল'। এর মাধ্যমে নতুন জীবনবোধ, নতুন ভাবনা এবং নতুন লেখার কৌশল প্রবেশ করে।
- যৌনতা ও বিদ্রোহ: কিছু লেখায় তৎকালীন সমাজের প্রচলিত রীতির বাইরে গিয়ে যৌনতা ও বিদ্রোহের প্রকাশ ছিল, যা বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছিল।
- প্রভাব: 'কল্লোল' শুধুমাত্র একটি পত্রিকা ছিল না, এটি একটি সাহিত্য আন্দোলন ছিল। এই আন্দোলনের ফলস্বরূপ আরও অনেক পত্রিকা, যেমন 'উত্তরা', 'প্রগতি', 'কালিকলম' ইত্যাদি প্রকাশিত হয়, যা রবীন্দ্রোত্তর বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে।
- পতন: নানা কারণে ১৯২৯ সালে কল্লোলের প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু এর প্রভাব বাংলা সাহিত্যে সুদূরপ্রসারী ছিল।
সংক্ষেপে, 'কল্লোল' পত্রিকা বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রযুগের পর আধুনিকতার উন্মোচন এবং নতুন জীবনবোধ ও রচনারীতি প্রসারের ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্নঃ ‘সবুজপত্র’ প্রকাশিত হয় কোন সালে?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
‘সবুজপত্র’ ছিল বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাসিক পত্রিকা। এটি বাংলা সাহিত্য এবং ভাষা সংস্কারে এক যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছিল।
প্রতিষ্ঠা ও সম্পাদক:
- ১৯১৪ সালের ২৫শে বৈশাখ (১৯১৪ সালের মে মাস) প্রমথ চৌধুরী এটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
গুরুত্ব ও প্রভাব:
- চলিত রীতির প্রচলন: 'সবুজপত্র' পত্রিকার সবচেয়ে বড় অবদান হলো বাংলা সাহিত্যে সাধু রীতির পরিবর্তে চলিত রীতির প্রচলন ও প্রতিষ্ঠা। প্রমথ চৌধুরী যুক্তি দিয়েছিলেন যে, চলিত রীতির ব্যবহার সাহিত্যকে আরও প্রাণবন্ত ও সাধারণ মানুষের কাছে সহজবোধ্য করে তুলবে।
- চিন্তার নতুনত্ব: এটি শুধু ভাষারীতিতে নয়, চিন্তাভাবনাতেও আধুনিকতা ও মননশীলতার উন্মোচন ঘটায়। এটি রক্ষণশীলতার বিপরীতে উদার ও প্রগতিশীল চিন্তার ধারক ছিল।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পত্রিকার একজন প্রধান লেখক ছিলেন এবং তাঁর অনেক গুরুত্বপূর্ণ রচনা, যেমন - 'বলাকা' কাব্যের কিছু কবিতা, 'ঘরে বাইরে' উপন্যাস, 'মুক্তধারা' নাটক, 'চার অধ্যায়' উপন্যাস, 'হিং টিং ছট' ইত্যাদি প্রথমে 'সবুজপত্র'-এ প্রকাশিত হয়েছিল। এটি পত্রিকার মর্যাদা ও জনপ্রিয়তা বহু গুণে বাড়িয়েছিল।
- অন্যান্য লেখক: রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও এতে অতুলচন্দ্র গুপ্ত, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী, কিরণশঙ্কর রায় প্রমুখের লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
সংক্ষেপে, 'সবুজপত্র' বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতির প্রচলন, নতুন চিন্তাধারার স্ফুরণ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনার পথ খুলে দিয়েছিল, যা আধুনিক বাংলা গদ্য ও সাহিত্যের বিকাশে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
'ইয়ং বেঙ্গল' গোষ্ঠীর মুখপত্ররূপে 'জ্ঞানান্বেষণ' নামক পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়।
এটি ১৮৩১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এর সম্পাদক ছিলেন দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়। এই পত্রিকাটি ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠীর প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা, যুক্তিবাদ ও সমাজ সংস্কারের আদর্শ প্রচার করত।
প্রশ্নঃ হরিনাথ মজুমদার সম্পাদিত পত্রিকার নাম–
[ বিসিএস ৩৬তম ]
হরিনাথ মজুমদার সম্পাদিত পত্রিকার নাম হলো গ্রামবার্তা প্রকাশিকা।
এটি ১৮৬৩ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে প্রথম মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়। এটি মফস্বল সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিল এবং গ্রামবাংলার দুঃখী মানুষের কথা, জমিদারদের অত্যাচার, নীলকরদের শোষণ ইত্যাদি তুলে ধরে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
প্রশ্নঃ ‘সমাচার দর্পণ’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
[ বিসিএস ৩৫তম ]
‘সমাচার দর্পণ’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান (John Clark Marshman)।
এটি ১৮১৮ সালে শ্রীরামপুর মিশন থেকে প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল, যা বাংলা ভাষার প্রথম সংবাদপত্র হিসেবে পরিচিত।
‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকাটি কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে প্রকাশিত হতো।
এটি কাঙাল হরিনাথ মজুমদার সম্পাদিত একটি পত্রিকা, যা ১৮৬৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রথমে এটি মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে পাক্ষিক ও সাপ্তাহিক হিসেবেও প্রকাশিত হয়েছিল।
প্রশ্নঃ ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
[ বিসিএস ৩৪তম ]
‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন কঃ অক্ষয়কুমার দত্ত।
এটি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ববোধিনী সভা থেকে ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত হয়।
প্রশ্নঃ ‘পূর্বাশা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন–
[ বিসিএস ৩১তম ]
কবি-ঔপন্যাসিক-সম্পাদক-সংগঠক সঞ্চয় ভট্টাচার্য বর্তমান কুমিল্লার শ্যামগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ‘পূর্বাশা’ নামক মাসিক সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি। মোজাম্মেল হকের সম্পাদনায় ‘লহরী’ ও ‘মোসলেম ভারত’ নামক মাসিক সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
প্রশ্নঃ সাপ্তাহিক ‘সুধাকর’-এর সম্পাদক কে?
[ বিসিএস ২৭তম ]
সাপ্তাহিক ‘সুধাকর’ (১৮৯৪), মাসিক ‘মিহির’ (১৮৯২), মাসিক ‘হাফেজ’, ‘মোসলেম ভারত’ প্রভৃতি পত্রিকা সম্পাদনা করেন শেখ আবদুর রহিম। ‘মুসলমান’ (১৮৮৪), সাপ্তাহিক ‘নব সুধাকর’ (১৯৮৫), ‘ইসলাম’ (১৮৮৫) ইত্যাদি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মুন্সী মোহাম্মদ রেয়াজুদ্দীন আহমদ। মাসিক ‘নূর’ (১৯১৯) ও সাপ্তাহিক ‘সুলতান’ (১৯২৩) পত্রিকা সম্পাদনা করেন ইসমাইল হোসেন সিরাজী এবং মুন্সী মেহেরুল্লাহ ছিলেন ধর্মপ্রচারক । তিনি কোনো পত্রিকা সম্পাদনা করেননি। তিনি ‘খ্রিষ্টান ধর্মের অসারতা’ নামে একটি প্রচার পুস্তিকা প্রকাশ করেন।
প্রশ্নঃ মাসিক ‘মোহাম্মদী’ কোন সালে প্রকাশিত হয়?
[ বিসিএস ২৭তম ]
মাসিক ‘মোহাম্মদী’ পত্রিকা ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়। এটি উপমহাদেশের মুসলিম জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
প্রশ্নঃ কোন পত্রিকাটি ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয়?
[ বিসিএস ২৭তম ]
‘কল্লোল’ পত্রিকাটি ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয়। এটি ছিল বাংলার সাহিত্য আন্দোলনের অন্যতম প্রধান প্রকাশনা, যা কল্লোল যুগের সূচনা করে এবং আধুনিক বাংলা সাহিত্যে নতুন ধারার প্রচলন ঘটায়।
প্রশ্নঃ ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় কোন পত্রিকাটি?
[ বিসিএস ২৭তম ]
চল্লিশের দশকে কিরণ শঙ্কর সেনগুপ্তের সম্পাদনায় ‘ক্রান্তি’ পত্রিকাটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়। ‘পরিচয়’ পত্রিকার সম্পাদক বিষ্ণু দে।
প্রশ্নঃ ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
[ বিসিএস ২৬তম ]
সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, রাজনীতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ১৮৪৩ সালে ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকাটি যাত্রা শুরু করে। তখন পত্রিকার সম্পাদনা করতেন অক্ষয়কুমার দত্ত। অন্যদিকে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সম্পাদনায় ‘সংবাদ প্রভাকর’ (১৮৩১) ও ‘সংবাদ রত্নাবলী’ (১৮৩২) এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় ‘বঙ্গদর্শন’ (১৮৭২) পত্রিকা প্রকাশিত হয়। প্যারীচাঁদ মিত্রের সম্পাদনায় মাসিক পত্রিকা (১৮৫৪) প্রকাশিত হয়।
প্রশ্নঃ ‘সওগাত’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
[ বিসিএস ২২তম ]
কোলকাতা থেকে সচিত্র মাসিক সাহিত্যপত্র ‘সওগাত’ ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ খ্রি.) অগ্রহায়ণ প্রকাশ ও সম্পাদনা ছিল মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন (১৮৮৮-১৯৯৪ খ্রি.) এর জীবনের প্রধান কীর্তি। এতে নবীন-প্রবীণ মুসলমান সাহিত্যিকমণ্ডলীর মুক্তবুদ্ধি ও স্বাধীন চিন্তা-সমৃদ্ধ রচনা প্রকাশ করে পশ্চাৎপদ মুসলমান সমাজকে প্রগতির পথে নিয়ে যান।
প্রশ্নঃ ‘তও্ববোধিনী পত্রিকা’ প্রথম প্রকাশিত হয়-
[ বিসিএস ১৭তম ]
১৮৩৯ সালে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হয় তত্ত্ববোধিনী সভা। এই সভার মুখপত্র হিসেবে ১৮৪৩ সালে ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রচারের চেয়ে ব্রাহ্ম সমাজের মাহাত্ম্য প্রচারই ছিল এ পত্রিকার লক্ষ্য। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন অক্ষয় কুমার বড়াল । তবে প্রতিষ্ঠাকালীন সম্পাদক ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রশ্নঃ ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।’ -এই উক্তিটি কোন পত্রিকার প্রতি সংখ্যায় লেখা থাকতো?
[ বিসিএস ১৬তম ]
১৯২৬ সালে ঢাকায় মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন লেখকরা গঠন করেন ‘ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ’। তারা মনে করতেন ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব। সংগঠনটির মুখপাত্র হিসেবে প্রকাশিত হয় ‘শিখা’ পত্রিকা। তাই পত্রিকার প্রতিটি সংখ্যায় কথাটি লেখা থাকত। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ আবুল হোসেন।
প্রশ্নঃ ‘সমকাল’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
[ বিসিএস ১৬তম ]
সম্পাদক | পত্রিকা |
---|---|
মোহাম্মদ আকরম খাঁ | সাপ্তাহিক মোহাম্মদী (১৯০৮), দৈনিক মোহাম্মদী (১৯২২), মাসিক মোহাম্মদী (১৯২৭), দৈনিক সেবক (১৯২১), আল এসলাম (১৯১৫), দৈনিক আজাদ (১৯৩৫) |
তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া | দৈনিক ইত্তেফাক |
মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন | সওগাত |
সিকান্দার আবু জাফর | সমকাল |
প্রশ্নঃ ‘সওগাত’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
[ বিসিএস ১৬তম ]
সম্পাদক | পত্রিকা |
---|---|
খান মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন | সাম্যবাদী |
কাজী নজরুল ইসলাম | নবযুগ, ধুমকেতু, লাঙ্গল |
মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন | সওগাত (সাপ্তাহিক) |
বাংলা একাডেমি থেকে যে ৬টি পত্রিকা প্রকাশিত হয়, তার মধ্যে ‘উত্তরাধিকার’ একটি। প্রথমে মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হলেও ১৯৮৩ সালে তা ত্রৈমাসিক করা হয়। বর্তমানে আবারও মাসিক প্রত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে।
প্রশ্নঃ ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা কোন সালে প্রথম প্রকাশিত হয়?
[ বিসিএস ১৫তম ]
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা ‘বঙ্গদর্শন’। এটি ১৮৭২ সালে প্রকাশিত হয়।
প্রশ্নঃ ‘সমকাল’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
[ বিসিএস ১৫তম ]
সম্পাদক | পত্রিকা |
---|---|
মোহাম্মদ আকরম খাঁ | সাপ্তাহিক মোহাম্মদী (১৯০৮), দৈনিক মোহাম্মদী (১৯২২), মাসিক মোহাম্মদী (১৯২৭), দৈনিক সেবক (১৯২১), আল এসলাম (১৯১৫), দৈনিক আজাদ (১৯৩৫)। |
তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া | দৈনিক ইত্তেফাক (১৯৫৩) |
সিকান্দার আবু জাফর | সমকাল (১৯৫৭) |
প্রশ্নঃ কার সম্পাদনায় ‘সংবাদ প্রভাকর’ প্রথম প্রকাশিত হয়?
[ বিসিএস ১৪তম ]
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সম্পাদনায় ‘সংবাদ প্রভাকর’ সাপ্তাহিক সংবাদপত্র হিসেবে ১৮৩১ সালের ২৮ জানুয়ারি কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। এটি ১৮৩৯ সালের ১৪ জুন দৈনিক সংবাদপত্র হিসেবে প্রকাশিত হয়ে বাংলা ভাষার প্রথম দৈনিক পত্রিকা হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
প্রশ্নঃ ‘মোসলেম ভারত’ নামক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
[ বিসিএস ১৩তম ]
মোজাম্মেল হক ‘মোসলেম ভারত’, ‘লহরী’ ও ‘শান্তিপুর মাসিক সাহিত্য পত্রিকা’ সম্পাদনা করেন। মীর মশাররফ হোসেন সম্পাদিত পত্রিকা ‘আজিজন্নেহার’ ও ‘হিতকরী’। মোহাম্মদ রেয়াজুদ্দীন আহমদ সম্পাদিত পত্রিকা ‘ইসলাম প্রচারক’।
প্রশ্নঃ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
[ প্রা.বি.স.শি. 26-06-2019 ]
প্রথম পর্যায়ে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন অক্ষয়কুমার দত্ত।
তত্ত্ববোধিনী সভা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক ১৮৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সভার মুখপত্র হিসেবে ১৮৪৩ সালের ১৬ই আগস্ট তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব প্রথমে অর্পণ করা হয় অক্ষয়কুমার দত্তের উপর।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ আরও অনেকে এই পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। তবে প্রথম সম্পাদক ছিলেন অক্ষয়কুমার দত্ত।