আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. পতঙ্গ পিঞ্জর
খ. প্রেম একটি লাল গোলাপ
গ. রৌদ্র করোটিতে
ঘ. অদ্ভুত আঁধার এক
ব্যাখ্যাঃ

শামসুর রাহমানের রচিত উপন্যাস হলো কঃ পতঙ্গ পিঞ্জর

"পতঙ্গ পিঞ্জর" শামসুর রাহমানের একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস।

অন্যান্য বিকল্পগুলো তার কাব্যগ্রন্থ:

  • খঃ প্রেম একটি লাল গোলাপ - এটি একটি কাব্যগ্রন্থ।
  • গঃ রৌদ্র করোটিতে - এটিও একটি কাব্যগ্রন্থ।
  • ঘঃ অদ্ভুত আঁধার এক - এটিও শামসুর রাহমানের একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ।
ক. অস্তিত্ববাদ
খ. অভিব্যক্তিবাদ
গ. পরাবাস্তববাদ
ঘ. দ্বৈতাদ্বৈতবাদ
ব্যাখ্যাঃ

সেলিম আল দীনের নাটকে অনুসৃত শিল্পতত্ত্ব হলো দ্বৈতাদ্বৈতবাদ

তিনি পাশ্চাত্য শিল্পের বিভাজনকে অস্বীকার করে বাঙালির নিজস্ব নন্দনতত্ত্বের আলোকে এই নতুন শিল্পরীতি প্রবর্তন করেন। তাঁর নাটকে বাংলা লোকনাট্য এবং পুরাণ কাহিনীর প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়। দ্বৈতাদ্বৈতবাদী শিল্পতত্ত্বে বিভিন্ন শিল্প মাধ্যম ও আঙ্গিকের সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি অখণ্ড শিল্পাঙ্গিক বিনির্মাণের কথা বলা হয়েছে।

ক. ইছামতি
খ. মেঘমল্লার
গ. মৌরিফুল
ঘ. যাত্রাবদল
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ ইছামতি

ইছামতি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস, গল্পগ্রন্থ নয়।

অন্যদিকে, মেঘমল্লার, মৌরিফুল এবং যাত্রাবদল – এই তিনটিই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ

ক. সৈয়দ মুজতবা আলী
খ. কাজী আবদুল ওদুদ
গ. নজিবর রহমান
ঘ. রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন
ব্যাখ্যাঃ

‘আনোয়ারা’ উপন্যাসের রচয়িতার নাম গঃ নজিবর রহমান

নজিবর রহমান সাহিত্যরত্ন ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ও বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বাংলা সাহিত্যের একজন জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ছিলেন। ‘আনোয়ারা’ তার বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা গ্রামীণ জীবনের চিত্র ও সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে।

ক. দিবারাত্রির কাব্য
খ. শেষের কবিতা
গ. পল্লী-সমাজ
ঘ. কবিতার কথা
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো ঘঃ কবিতার কথা

'কবিতার কথা' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ, যেখানে তিনি কবিতা ও সাহিত্যতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।

অন্যদিকে:

  • কঃ দিবারাত্রির কাব্য: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি উপন্যাস।
  • খঃ শেষের কবিতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি উপন্যাস।
  • গঃ পল্লী-সমাজ: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি উপন্যাস।
ক. কালাে বরফ
খ. খেলাঘর
গ. অনুর পাঠশালা
ঘ. জীবন আমার বােন
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘জীবন আমার বোন’ প্রথম প্রকাশ পায় ১৯৭৬ সালে; এর লেখক মাহমুদুল হক। জাহিদুল কবির খোকা নামের এক আপাত নির্লিপ্ত ও জীবন-পলাতক মানুষকে কেন্দ্রে স্থাপন করে মাহমুদুল হক উপন্যাসটি লিখেছেন। এ উপন্যাসের অপর চরিত্র ‘রঞ্জু’। ‘কালো বরফ’, ‘খেলাঘর’ এবং অনুর পাঠশালা উপন্যাসের রচয়িতাও মাহমুদুল হক। এদের মধ্যে কালো বরফ দেশভাগের পটভূমিভিত্তিক এবং খেলাঘর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক।

চরিত্রসমূহ: কালো বরফ → আব্দুল খালেক। খেলাঘর → ইয়াকুব, টুনু, রেহানা। অনুর পাঠশালা → কিশোর অনু (নায়ক), কিশোরী সরুদাসী (নায়িকা)।

ক. মহাকাব্য
খ. ইতিহাস গ্রন্থ
গ. উপন্যাস
ঘ. ইতিহাস-আশ্রিত জীবনীগ্রন্থ
ব্যাখ্যাঃ

মীর মশাররফ হোসেনের ‘বিষাদসিন্ধু’ একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস

এটি মূলত কারবালার বিষাদময় ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত। যদিও এটি ইতিহাসের আখ্যান, তবে মীর মশাররফ হোসেন এটিকে ঔপন্যাসিক আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন, যেখানে চরিত্রায়ণ, সংলাপ এবং ঘটনার বর্ণনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাই এটিকে ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে গণ্য করা হয়।

ক. আবদুল কাদের
খ. খতিব মিয়া
গ. আক্কাস আলী
ঘ. আরেফ আলী
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো ঘঃ আরেফ আলী

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘চাঁদের অমাবস্যা’ উপন্যাসের যুবক শিক্ষকের নাম আরেফ আলী

ক. ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’
খ. ‘ক্ষুধা ও আশা’
গ. ‘কর্ণফুলি’
ঘ. ‘ধানকন্যা’
ব্যাখ্যাঃ

ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী নিয়ে লেখা উপন্যাস হলো গঃ ‘কর্ণফুলি’

এই উপন্যাসটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক আলাউদ্দিন আল আজাদ রচনা করেছেন। ‘কর্ণফুলি’ উপন্যাসে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জীবন ও সংস্কৃতি, তাদের সামাজিক রীতিনীতি এবং তৎকালীন আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট vividly তুলে ধরা হয়েছে।

অন্যান্য উপন্যাসগুলো ভিন্ন প্রেক্ষাপটে রচিত:

  • ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’: আলাউদ্দিন আল আজাদের আরেকটি বিখ্যাত উপন্যাস, তবে এর বিষয়বস্তু ভিন্ন।
  • ‘ক্ষুধা ও আশা’: আবু ইসহাকের লেখা, যা গ্রামীণ জীবনের দারিদ্র্য ও সংগ্রাম নিয়ে রচিত।
  • ‘ধানকন্যা’: রাবেয়া খাতুনের উপন্যাস, যার মূল বিষয়বস্তু সম্ভবত ভিন্ন।
ক. কাঁদো নদী কাঁদো
খ. ‘নেকড়ে অরণ্যে’
গ. রাঙা প্রভাত
ঘ. ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’
ব্যাখ্যাঃ

‘নেকড়ে অরণ্য’ উপন্যাসে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নারীদের উপর নির্যাতনের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন জীবনবাদী কথাশিল্পী শওকত ওসমান।

তাঁর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আরও তিনটি উপন্যাস ‘জাহান্নম হইতে বিদায়’, ‘দুই সৈনিক’ ও ‘জলাংগী’। ‘কাঁদো নদী কাঁদো’, ‘রাঙ্গা প্রভাত’ এবং ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’ উপন্যাসের লেখক যথাক্রমে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, আবুল ফজল এবং শওকত আলী।

ক. গঙ্গা
খ. পুতুলনাচের ইতিকথা
গ. হাঁসুলী বাঁকের উপকথা
ঘ. গৃহদাহ
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো কঃ গঙ্গা

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত গঙ্গা উপন্যাসটি জেলেদের জীবন এবং নদীর তীরবর্তী মানুষের জীবনযাত্রা, তাদের সংগ্রাম ও প্রকৃতির সাথে তাদের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। এই উপন্যাসে জেলেদের দৈনন্দিন জীবন, মাছ ধরা, নদীর উত্থান-পতন এবং তাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট জীবন্তভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

অন্যান্য উপন্যাসগুলোর বিষয়বস্তু ভিন্ন:

  • পুতুলনাচের ইতিকথা: এটিও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা, তবে এর মূল বিষয় গ্রামীণ সমাজের জটিলতা, মানুষের মনস্তত্ত্ব এবং নিয়তির প্রভাব।
  • হাঁসুলী বাঁকের উপকথা: এটি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা, যেখানে সাঁওতাল জনজাতির জীবন, সংস্কৃতি এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের পরিবর্তন বর্ণিত হয়েছে।
  • গৃহদাহ: এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা, যেখানে ত্রিভুজ প্রেমের জটিলতা এবং সামাজিক রীতিনীতির প্রভাব দেখানো হয়েছে।
ক. নৌকাডুবি
খ. চোখের বালি
গ. যোগাযোগ
ঘ. শেষের কবিতা
ব্যাখ্যাঃ

এই বিখ্যাত বাক্য দুটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "যোগাযোগ" উপন্যাস থেকে উদ্ধৃত।

উপন্যাসটির প্রথম পরিচ্ছেদের শুরুতেই এই কথাগুলো রয়েছে। বাক্য দুটি দ্বারা লেখক উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু এবং কুমুদিনীর জীবনের জটিল আবর্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন। বাইরের ঘটনার শুরু হওয়ার আগেও ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি চলতে থাকে, তেমনই কুমুদিনীর জীবনেও অনেক ঘটনা ঘটার পূর্বে তার মানসিক প্রস্তুতি এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বিদ্যমান ছিল।

ক. তেভাগা আন্দোলন
খ. ভাষা আন্দোলন
গ. মুক্তিযুদ্ধ
ঘ. দেশভাগ
ব্যাখ্যাঃ

‘কালো বরফ’ উপন্যাসটি দেশভাগের পটভূমিতে রচিত। এই উপন্যাসের মূল বিষয় হলো দেশভাগের কারণে একটি মানুষের জীবনে যে স্মৃতিকাতরতা, বিচ্ছিন্নতা ও শিকড় হারানোর বেদনা তৈরি হয়, তারই আখ্যান।

উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র আবদুল খালেক, যার শৈশবের নাম ছিল পোকা। দেশভাগের সময় সে পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে। উপন্যাসে খালেকের বর্তমান জীবনের একাকিত্ব, দাম্পত্য কলহ এবং তার শৈশবের স্মৃতিচারণা সমান্তরালভাবে চলে।

'কালো বরফ'-এ সরাসরি দেশভাগের রাজনৈতিক বা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তেমনভাবে উঠে আসেনি। বরং, দেশভাগের ব্যক্তিগত ও মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব এবং একজন মানুষের ভেতরের ভাঙন এই উপন্যাসের প্রধান বিষয়। শৈশবের রঙিন স্মৃতি আর বর্তমানের বিষণ্ণতার মধ্যে এক ধরনের বৈপরীত্য তৈরি করা হয়েছে, যা দেশভাগের ক্ষতকে আরও প্রকট করে তোলে।

ক. রাহাত খান
খ. হাসান আজিজুল হক
গ. সেলিনা হোসেন
ঘ. ইমদাদুল হক মিলন
ব্যাখ্যাঃ

‘আগুনপাখি’ উপন্যাসের রচয়িতা হলেন হাসান আজিজুল হক

এটি হাসান আজিজুল হকের একটি বিখ্যাত উপন্যাস যা দেশভাগের প্রেক্ষাপটে রচিত।

ক. কাজী আবদুল ওদুদ
খ. আবুল ফজল
গ. রশীদ করিম
ঘ. হুমায়ুন কবির
ব্যাখ্যাঃ

হুমায়ুন কবির ছিলেন একজন বরেণ্য বাঙালি সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, দার্শনিক এবং রাজনীতিবিদ। তার বিখ্যাত উপন্যাস 'নদী ও নারী' ১৯৫২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

'নদী ও নারী' উপন্যাসের বিষয়বস্তু

'নদী ও নারী' উপন্যাসে হুমায়ুন কবির মূলত নদীমাতৃক বাংলাদেশের জীবনচিত্র, প্রকৃতি এবং নারী জীবনের গভীর সম্পর্ক তুলে ধরেছেন। এর প্রধান বিষয়বস্তুগুলো হলো:

  • নদী ও মানুষের জীবন: এই উপন্যাসে নদীকে শুধু একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে দেখানো হয়নি, বরং এটিকে মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, ভাগ্য নিয়ন্তা এবং একটি জীবন্ত সত্তা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। নদী কীভাবে মানুষের জীবনযাত্রা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং এমনকি সম্পর্ককেও প্রভাবিত করে, তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
  • নারীর জীবন ও সংগ্রাম: উপন্যাসের নারী চরিত্রগুলো গ্রামীণ বাংলার নারীর জীবন সংগ্রাম, প্রেম, বিরহ, ত্যাগ এবং প্রতিকূলতার মুখে তাদের টিকে থাকার লড়াইকে তুলে ধরে। তারা নদীর মতোই কখনো শান্ত, কখনো চঞ্চল, আবার কখনো বিধ্বংসী।
  • গ্রামীণ জীবনের চালচিত্র: গ্রামবাংলার সহজ-সরল মানুষের জীবনযাপন, তাদের সুখ-দুঃখ, সংস্কার, বিশ্বাস এবং পারস্পরিক সম্পর্ক এই উপন্যাসের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে।
  • প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্ক: প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের নিবিড় সম্পর্ক এবং কীভাবে প্রাকৃতিক উপাদানগুলো মানব অস্তিত্বের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়, তা এই উপন্যাসে শিল্পিতভাবে চিত্রিত হয়েছে।

'নদী ও নারী' উপন্যাসটি তার কাব্যিক ভাষা, গভীর জীবনবোধ এবং গ্রামবাংলার এক অপূর্ব চিত্রণের জন্য বাংলা সাহিত্যে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।

ক. দিবারাত্রির কাব্য
খ. হাঁসুলী বাঁকের উপকথা
গ. কবিতার কথা
ঘ. পথের পাঁচালী
ব্যাখ্যাঃ

প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে কবিতার কথা উপন্যাস নয়।

  • দিবারাত্রির কাব্য: এটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস
  • হাঁসুলী বাঁকের উপকথা: এটি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস
  • কবিতার কথা: এটি প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্য সমালোচক সুধীন্দ্রনাথ দত্তের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। এখানে তিনি কবিতা এবং সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেছেন। এটি কোনো উপন্যাস নয়।
  • পথের পাঁচালী: এটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কালজয়ী উপন্যাস

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো: গঃ কবিতার কথা

ক. গণদেবতা
খ. পদ্মানদীর মাঝি
গ. সীতারাম
ঘ. পথের পাঁচালী
ব্যাখ্যাঃ

প্রদত্ত উপন্যাসগুলোর মধ্যে যেটিতে গ্রামীণ সমাজ জীবনের চিত্র প্রাধান্য লাভ করেনি, সেটি হলো সীতারাম

ব্যাখ্যা:

  • কঃ গণদেবতা: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উপন্যাসটি গ্রামীণ বাংলার সমাজ, কৃষিভিত্তিক জীবন, জমিদারী প্রথার অবক্ষয় এবং গ্রামীণ সমাজের পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। এটি গ্রামীণ জীবন চিত্রের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
  • খঃ পদ্মানদীর মাঝি: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কালজয়ী উপন্যাসটি পদ্মানদীর ধীবর সম্প্রদায়ের জীবন, তাদের সংগ্রাম, সুখ-দুঃখ এবং গ্রামীণ পরিবেশের এক বাস্তবসম্মত চিত্র তুলে ধরে। এটি মূলত গ্রামীণ সমাজের চিত্র নির্ভর।
  • গঃ সীতারাম: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এই উপন্যাসটি একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস। এটি সতেরো শতকের বাংলার জমিদার সীতারাম রায় এবং তার রাজ্য প্রতিষ্ঠা ও পতনের কাহিনী নিয়ে লেখা। এখানে ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহ, ক্ষমতা, বিদ্রোহ এবং ব্যক্তিগত চরিত্রায়ণই মুখ্য, গ্রামীণ সমাজ জীবন এর প্রধান উপজীব্য নয়, যদিও প্রেক্ষাপটে গ্রামীণ কাঠামো বিদ্যমান ছিল।
  • ঘঃ পথের পাঁচালী: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উপন্যাসটি গ্রামীণ বাংলার দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারের জীবন, অপুর শৈশব, প্রকৃতি এবং গ্রামীণ সংস্কৃতির এক নিবিড় ও হৃদয়স্পর্শী চিত্র অঙ্কন করেছে। এটি গ্রামীণ জীবন চিত্রের এক অসাধারণ উদাহরণ।

সুতরাং, সীতারাম উপন্যাসটিতে গ্রামীণ সমাজ জীবনের চিত্র অন্যান্য উপন্যাসের মতো প্রধান্য লাভ করেনি।

ক. অক্টোপাস
খ. কালো বরফ
গ. ক্রীতদাসের হাসি
ঘ. নাঢ়াই
ব্যাখ্যাঃ

‘নাঢ়াই’ উপন্যাসটি মূলত তেভাগা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত। এর মূল বিষয়বস্তু হলো গ্রামীণ বাংলার প্রান্তিক কৃষকদের জীবন ও তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম।

উপন্যাসটিতে দেখা যায়, গরিব কৃষকের ঘরে জন্ম নেওয়া এক অল্পবয়সী বিধবা মা, ফুলমতি, কীভাবে তার সন্তানের ভবিষ্যৎ এবং নিজের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য লড়াই করে। তার ব্যক্তিগত লড়াই একসময় বৃহত্তর কৃষক আন্দোলনের সাথে মিশে যায়।

এখানে উপন্যাসের কিছু মূল বিষয় তুলে ধরা হলো:

  • তেভাগা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট: উপন্যাসটি ১৯৪৬-৪৮ সালের অবিভক্ত বাংলার তেভাগা আন্দোলনের সময়কালের চিত্র তুলে ধরে। যেখানে ভাগচাষীরা জমির মালিকের কাছে উৎপন্ন ফসলের তিন ভাগের দুই ভাগ দাবি জানায়।
  • কৃষকের জীবন ও সংগ্রাম: উপন্যাসে তৎকালীন গ্রামীণ সমাজের দরিদ্র কৃষকদের দৈনন্দিন জীবন, তাদের শোষণ, বঞ্চনা এবং বেঁচে থাকার কঠিন বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
  • নারী চরিত্র: ফুলমতি এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তার মাধ্যমে গ্রামীণ নারীর সংগ্রাম, সাহস ও টিকে থাকার অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে তুলে ধরা হয়েছে।
  • সামাজিক শোষণ ও প্রতিবাদ: উপন্যাসটিতে জোতদার ও মহাজনদের শোষণ এবং এর বিরুদ্ধে কৃষকদের সংগঠিত প্রতিরোধ ও বিদ্রোহের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে।
  • আঞ্চলিক জীবন ও ভাষা: উপন্যাসের পটভূমি উত্তরবঙ্গের গ্রামীণ জীবন এবং চরিত্রগুলোর মুখের আঞ্চলিক ভাষা অত্যন্ত জীবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

সংক্ষেপে, ‘নাঢ়াই’ উপন্যাসটি তেভাগা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত প্রান্তিক মানুষের জীবন ও অধিকার আদায়ের এক শক্তিশালী আখ্যান।

ক. ভূমিপুত্র
খ. মাটির জাহাজ
গ. কাঁটাতারে প্রজাপতি
ঘ. চিলেকোঠার সেপাই
ব্যাখ্যাঃ

ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের পটভূমিকায় লেখা উপন্যাস হলো চিলেকোঠার সেপাই

এই উপন্যাসটির রচয়িতা হলেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। এটি ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময়কার ঢাকা শহরের ছাত্র ও সাধারণ মানুষের জীবন এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে vividly তুলে ধরে।

ক. হুমায়ূন আহমেদ
খ. তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
গ. বুদ্ধদেব বসু
ঘ. সেলিনা হোসেন
ক. কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
খ. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
গ. কামিনী রায়
ঘ. যতীন্দ্রমোহন বাগচী
ক. ধন ধান্য পুষ্পে ভরা
খ. ধন্য ধান্যে পুষ্পে ভরা
গ. ধণ্যে ধান্যে পুষ্প ভরা
ঘ. ধন্যে ধান্য পুষ্পে ভরা
ক. হরতাল
খ. পালাবদল
গ. উত্তীর্ণ পঞ্চাশে
ঘ. অন্বিষ্ট স্বদেশ
ক. কাজী এমদাদুল হক
খ. মীর মশাররফ হোসেন
গ. মোহাম্মদ নজিবর রহমান
ঘ. ইসমাইল হোসেন সিরাজী
ক. সঞ্চয়
খ. কবীন্দ্র পরমেশ্বর
গ. শ্রীকর নন্দী
ঘ. কাশীরাম দাস
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা ভাষায় মহাভারত কাব্যের প্রথম অনুবাদক ‘পরাগলী মহাভারত’ এর লেখক কবীন্দ্র পরমেশ্বর। গৌড়েশ্বর সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহের (১৪৯৩-১৫১৮) সেনাপতি লস্কর পরাগল খানের উৎসাহে কবি এ কাব্য রচনা করেছিলেন বলে কাব্যটি ‘পরাগলী মহাভারত’ নামে খ্যাত।

ক. প্যারীচাঁদ মিত্র
খ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ. দামোদর বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘ. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ

প্যারীচাঁদ মিত্রের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো ‘আলালের ঘরের দুলাল’, ‘মদ খাওয়া বড় দায়, জাত থাকার কি উপায়’, ‘রামারঞ্জিকা’, ‘গীতাঙ্কুর’, যৎকিঞ্চিৎ’, ‘অভেদী’, ‘ডেভিড হেয়ারের জীবনচরিত’, ‘এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্বাবস্থা’, ‘আধ্যাত্মিকা’, ‘বামাতোষিণী’।

ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ. কুসুমকুমারী দাস
গ. মদনমোহন তর্কালঙ্কার
ঘ. কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
ব্যাখ্যাঃ

প্রশ্নে প্রদত্ত চরণদ্বয়ের লেখক মদনমোহন তর্কালঙ্কার। তার একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় শিশুতোষ কবিতা হলো ‘পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল’।

ক. রূপকথা
খ. ছোটগল্প
গ. গ্রাম্যগীতিকা
ঘ. রূপকথা-উপকথা
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা শিশুসাহিত্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় রূপকথার সংকলন ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ ১৯০৬ সালে প্রকাশিত হয়। দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার এই গ্রন্থের সংকলন করেন। তিনি এগুলো সংগ্রহ করেছিলেন তৎকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এ সংকলনটি চারটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়। যথা: ঠাকুরমার ঝুলি, ঠাকুরদাদার ঝুলি, ঠানদিদির থলে, দাদামশায়ের থলে। এ গ্রন্থের প্রথম প্রকাশক ছিলেন কলকাতার ‘ভট্টাচার্য অ্যান্ড সন্স’। এ গ্রন্থের ভূমিকা লিখে দেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গ্রন্থটি জার্মান ভাষায় অনূদিত হয়। এ নামে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

ক. সৈয়দ শামসুল হক
খ. শওকত ওসমান
গ. সৈয়দ মুজতবা আলী
ঘ. ফররুখ আহমদ
ব্যাখ্যাঃ

সরস, মার্জিত, বুদ্ধিদীপ্ত, সাহিত্য ধারার প্রবর্তক সৈয়দ মুজতবা আলী। ব্যঙ্গ ও রঙ্গ রসিকতায় তার গদ্য রচনা প্রদীপ্ত। সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত রম্যগল্প ‘চাচা কাহিনী’। দেশে বিদেশে (ভ্রমণকাহিনী), পঞ্চতন্ত্র (রম্যরচনা), শবনম (উপন্যাস) তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

ক. ফজিলাতুন্নেছা
খ. ফয়জুন্নেছা
গ. বেগম রোকেয়া
ঘ. সামসুন্নাহার
ব্যাখ্যাঃ

সামসুন্নাহার একজন মুসলমান নারী জাগরণের কবি, যিনি তাঁর কবিতা ও সাহিত্যিক কর্মের মাধ্যমে মুসলিম নারী সমাজের অধিকার ও মুক্তির পক্ষে কাজ করেছেন। তাঁর লেখনীতে নারীর অবস্থা, নারীর আত্মমর্যাদা ও সামাজিক অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৯শ শতকের শেষের দিকে ও ২০শ শতকের প্রথম দিকের সময়ে মুসলিম নারী সমাজ নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন ছিল। সামসুন্নাহার এই সময়ে নারীর শিক্ষা, স্বাধীনতা, এবং অধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করেন।

ক. মোহাম্মদ নজীবর রহমান
খ. কাজী ইমদাদুল হক
গ. শেক ফজলুল করিম
ঘ. মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ
ব্যাখ্যাঃ

মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের নানা দোষত্রুটি কাজী ইমদাদুল হক তার ‘আবদুল্লাহ’ (১৯৩৩) উপন্যাসে দক্ষতার সাথে তুলে ধরেন। তবে তিনি উপন্যাসটির ৩০টি পরিচ্ছেদ সমাপ্ত করেছিলেন। বাকি ১১টি পরিচ্ছেদ তার মৃত্যুর পর শিক্ষাবিদ আনোয়ারুল কাদির তার খসড়া অনুসরণ করে রচনা করেন।

ক. নটির পূজা
খ. বেহুলা গীতাভিনয়
গ. নবীন তপস্বিনী
ঘ. কৃষ্ণকুমারী
ব্যাখ্যাঃ

"বেহুলা গীতাভিনয়" মীর মশাররফ হোসেন রচিত একটি গীতিনাট্য। এটি বাংলার লোককাহিনি মনসামঙ্গল অবলম্বনে লেখা হয়েছিল। নাটকটি বিশেষভাবে বেহুলা-লখিন্দরের কাহিনিকে কেন্দ্র করে রচিত, যেখানে বেহুলার অটল ভালোবাসা ও সংগ্রামের গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
মীর মশাররফ হোসেন বাংলা সাহিত্যে গীতিনাট্যের প্রচলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, এবং "বেহুলা গীতাভিনয়" তার অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাট্যকর্ম।

ক. ১৮১৭ সালে
খ. ১৮৩২ সালে
গ. ১৮৫২ সালে
ঘ. ১৭৫৩ সালে
ব্যাখ্যাঃ

কলকাতায় প্রথম রঙ্গমঞ্চ তথা নাট্যমঞ্চ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে। নাটক ও নৃত্যকর্মকে উৎসাহিত করতে ব্রিটিশরা ‘প্লে হাউস’ নামক এ রঙ্গমঞ্চটি প্রতিষ্ঠা করে। কলকাতার লালদিঘীর পূর্ব পাশে লালবাজার রোডে এটি অবস্থিত।

ক. মোতাহের হোসেন
খ. ইসমাইল হোসেন সিরাজী
গ. মীর মশাররফ হোসেন
ঘ. ফররুখ আহমদ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেন ‘রত্নবতী’ উপন্যাসটি রচনা করেন ১৮৬৯ সালে, যা বাংলা সাহিত্যে মুসলিম রচিত প্রথম উপন্যাস। মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া গ্রামে ১৩ নভেম্বর, ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে। তিনি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তার বিখ্যাত উপন্যাস ‘বিষাদ-সিন্ধু’ (১৮৮৫-১৮৯১)।

ক. বনী আদম
খ. জননী
গ. চৌরসন্ধি
ঘ. ক্রীতদাসের হাসি
ব্যাখ্যাঃ

শওকত ওসমান তার বিখ্যাত উপন্যাস "ক্রীতদাসের হাসি" জন্য আদমজী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। উপন্যাসটি ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয় এবং এতে পাকিস্তানি শাসনামলের শোষণ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ উঠে এসেছে। এটি রাজনৈতিক ব্যঙ্গাত্মক উপন্যাস হিসেবে বাংলা সাহিত্যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ক. নতুন চাঁদ
খ. কন্যাকুমারী
গ. গড্ডলিকা
ঘ. নেমেসিস
ব্যাখ্যাঃ

‘নতুন চাঁদ’ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কাব্যগ্রন্হ, ‘কন্যাকুমারী’ আবদুর রাজ্জাক কর্তৃক রচিত উপন্যাস, ‘গড্ডলিকা’ রাজশেখর বসুর গল্পগ্রন্হ এবং ‘নেমেসিস’ নুরুল মোমেনের বিখ্যাত নাটক।

ক. আলাওল
খ. কোরেশী মগন
গ. দৌলত কাজী
ঘ. সৈয়দ সুলতান
ব্যাখ্যাঃ

মুখে মুখে রচিত লোককাহিনি বা লৌকিক কাহিনির প্রথম রচয়িতা দৌলত কাজী। এর মূল ভিত্তি কল্পনা। স্বর্গ-মর্ত্য পাতাল পর্যন্ত গল্পের আখ্যানের সীমানা বিস্তৃত। দেব-দৈত্য, জীন-পরী, রাক্ষস- খোক্ষস, রাজা-প্রজা, মাধু-সন্নাসী, পীর ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লৌকিক কাহিনি রচিত হয়। দৌলত কাজীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্হের নাম ‘সতীময়না ও লোর চন্দ্রানী।’ ১৬ শতকের কবি দৌলত কাজী কাব্যটি রচনা শুরু করলেও তাঁর মৃত্যুর পর শেষ করেন আলাওল।

ক. মধুসূদন দত্ত
খ. দীনবন্ধু মিত্র
গ. জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘ. রামনারায়ণ তর্করত্ন
ব্যাখ্যাঃ

উনিশ শতকের গোড়ার দিকে সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ শুরু হলেও তারাচরণ শিকদারের 'ভদ্রার্জুন' (১৮৫২) ও রামনারায়ণ তর্করত্নের 'কুলীনকুল সর্বস্ব' (১৮৫৪) নাটক থেকে প্রকৃতপক্ষে বাংলা মৌলিক নাট্যসাহিত্যের সূত্রপাত হয়।

ক. রামনারায়ণ তর্করত্ন
খ. বিহারী লাল
গ. কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
ঘ. মদনমোহন তর্কালঙ্কার
ব্যাখ্যাঃ

পঙক্তিটির রচয়িতা মদনমোহন তর্কালঙ্কার (১৮১৭-১৮৫৮)। 'শিশু শিক্ষা' (১ম ও ২য় ভাগ -১৮৪৯ এবং ৩য় ভাগ-১৮৫০) নামক শিশুতোষ গ্রন্থ রচনা করে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। 'পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল, পংক্তিটি এ গ্রন্হের প্রথমভাগের একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় শিশুতোষ কবিতা।

ক. ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ
খ. তুলসী লাহিড়ি
গ. দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
ঘ. বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ

‘সাজাহান’ একটি ঐতিহাসিক নাটক। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (১৮৬৩-১৯১৩) রচিত এ নাটকটি ১৯০৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটকের মধ্যে রয়েছে- নূরজাহান (১৯৮০), প্রতাপসিংহ (১৯০৫), সিংহল বিজয় (১৯১৬) ইত্যাদি।

ক. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
খ. ঊনপঞ্চাশের মন্বন্তর
গ. বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন
ঘ. একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ
ব্যাখ্যাঃ

নেমেসিস নাটকে নূরুল মোমেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর দুর্ভিক্ষ, মজুতদারদের পিশাচবৃত্তি ও নিরন্নদের হাহাকারের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘটনাবলি এ নাটকের উপজীব্য নয়। নাটকটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সংঘটিত পঞ্চাশের মন্বন্তর (১৩৫০ বঙ্গাব্দ) বা ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষকে উপজীব্য করে রচিত। প্রশ্নে ‘উনপঞ্চাশের মন্বন্তরের পরিবর্তে ‘পঞ্চাশের মন্বন্তর’ থাকলে তা হতো সঠিক উত্তর।

ক. মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
খ. রামরাম বসু
গ. বিদ্যাসাগর
ঘ. রাজীব লোচন মুখোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ

ভাষাবিদ মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার (১৭৬২-১৮১৯) ছিলেন উইলিয়াম কেরির অধীন পণ্ডিত। তিনি অধ্যাপনার পাশাপাশি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখকগণের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি উইলিয়াম কেরির উৎসাহে বত্রিশ সিংহাসন (১৮০২), রাজাবলি (১৮০৮), হিতোপদেশ (১৮০৮), বেদান্তচন্দ্রিকা (১৮১৭) ও প্রবোধচন্দ্রিকা (১৮৩৩) গ্রন্হগুলো রচনা করেন।

ক. হুতোম প্যাঁচার নক্সা
খ. আলালের ঘরের দুলাল
গ. সধবার একাদশী
ঘ. বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
ব্যাখ্যাঃ
গ্রন্থের নাম গ্রন্থের ধরন রচয়িতা উল্লেখযোগ্য চরিত্র
আলালের ঘরের দুলাল উপন্যাস প্যারীচাঁদ মিত্র ঠকচাচা
বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ প্রহসন মধুসূদন দত্ত ভক্তপ্রসাদ বাবু, পুঁটি
সধবার একাদশী প্রহসন দীনবন্ধু মিত্র নিমচাঁদ, কেনারাম
হুতোম প্যাঁচার নক্শা উপন্যাস কালীপ্রসন্ন সিংহ দনুবাবু
ক. নাটক
খ. কাব্য
গ. আত্মজৈবনিক উপন্যাস
ঘ. গীতি কবিতার সংকলন
ব্যাখ্যাঃ

‘উদাসীন পথিকের মনের কথা’ মুসলমান নাট্যকার মীর মশাররফ হোসেন রচিত একটি আত্মজৈবনিক উপন্যাস।

ক. মুনতাসীর ফ্যান্টাসী
খ. পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
গ. কবর
ঘ. বহুব্রীহি
ব্যাখ্যাঃ

‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসী’ বিশিষ্ট নাট্যকার সেলিম আল দীনের একটি প্রতীকাশ্রয়ী কৌতুক নাটক। নাট্যকার তার নাট্যচর্চার শুরুর দিকে লেখা ও নাটকটির নাম ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসী’ রাখলেও পরে ফ্যান্টাসী বাদ দিয়ে শুধুই ‘মুনতাসীর’ নামকরণ করেন। ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ সৈয়দ শামসুল হকের, ‘কবর’ (১৯৬৬) মুনীর চৌধুরীর এবং ‘বহুব্রীহি’ হুমায়ূন আহমেদের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম।

ক. কাব্য
খ. নাটক
গ. উপন্যাস
ঘ. গীতি কবিতা
ব্যাখ্যাঃ

বিশিষ্ট নাট্যকার নূরুল মোমেন (১৯০৬-১৯৮৯) রচিত ‘নেমেসিস’ একটি নিরীক্ষাধর্মী নাটক। নূরুল মোমেন সামাজিক সংকটের পটভূমিকায় অন্তর্দ্বন্দ্বমূলক নাট্য-চরিত্র অঙ্কন করেই অধিক খ্যাতি অর্জন করেন। নেমেসিস (১৯৪৮) নাটকটিও এ আলোকেই রচিত। তার এরূপ আরো কিছু নাটক হলো - রূপান্তর (১৯৪৭), আলোছায়া (১৯৬২), আইনের অন্তরালে (১৯৬৭) ইত্যাদি।

ক. জননী
খ. সূর্য-দীঘল বাড়ী
গ. সারেং বৌ
ঘ. হাজার বছর ধরে
ব্যাখ্যাঃ

আবু ইসহাক (১৯২৬-২০০২ খ্রি) রচিত ‘সূর্য-দীঘল বাড়ী’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হলো ‘জয়গুন’। ১৯৬২ সালে রচিত এ উপন্যাসে তিনি গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক অবস্থা জয়গুনের সংগ্রামী জীবনের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছেন। অন্যদিকে শহীদুল্লাহ কায়সারের ‘সারেং বৌ’ উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র কদম সারেং ও নবিতুন, জহির রায়হানের ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র টুনি, মন্তু, মকবুল এবং শওকত ওসমানের জননী উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র দরিয়া বিবি।

ক. মদনমোহন তর্কালংকার
খ. রামনারায়ণ তর্করত্ন
গ. বিহারীলাল চক্রবর্তী
ঘ. কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
ব্যাখ্যাঃ

মদনমোহন তর্কালঙ্কার কর্তৃক রচিত ‘শিশু শিক্ষা’ - এর একটি বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি। শিশুদের শিক্ষার প্রাথমিক বই হিসেবে বইটি পাঠ্যপুস্তকরূপে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

ক. শওকত ওসমান
খ. জহির রায়হান
গ. শহীদুল্লাহ কায়সার
ঘ. রশীদ করিম
ব্যাখ্যাঃ

রশীদ করিমের একটি অন্যতম উপন্যাস হলো ‘উত্তম পুরুষ’। ১৯৬১ সালে প্রকাশিত এ উপন্যাসটি নগরজীবনের বৈশিষ্ট্য অবলম্বনে রচিত। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে- প্রসন্ন পাষাণ (১৯৬৩), আমার যত গ্লানি (১৯৭৩) , মায়ের কাছে যাচ্ছি ইত্যাদি। শওকত ওসমান রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস - জননী (১৯৬৮), ক্রীতদাসের হাসি (১৯৬২), জাহান্নম হইতে বিদায় (১৯৭১) ইত্যাদি। জহির রায়হান রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- হাজার বছর ধরে (১৯৬৪), আরেক ফাল্গুন (১৯৬৮), বরফ গলা নদী (১৯৬৯) ইত্যাদি। শহীদুল্লা কায়সার রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস - সারেং বউ (১৯৬২) ও সংশপ্তক (১৯৬৫)।

ক. নাটক
খ. উপন্যাস
গ. কাব্য
ঘ. ছোটগল্প
ব্যাখ্যাঃ

ঔপন্যাসিক শামসুদ্দীন আবুল কালাম রচিত অন্যতম উপন্যাস ‘কাশবনের কন্যা’। এটি জেলে সম্প্রদায়ের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত (গ্রন্হাকারে) উপন্যাসটিতে বরিশাল অঞ্চলের মুখের ভাষা ও জীবনবোধ অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ক. হাসান হাফিজুর রহমান
খ. জহির রায়হান
গ. শহীদুল্লাহ কায়সার
ঘ. আনোয়ার পাশা
ব্যাখ্যাঃ

বিশিষ্ট কবি, কথাসাহিত্যিক, সমালোচক ও শিক্ষাবিদ আনোয়ার পাশা (১৯২৮-১৯৭১ খ্রি) রচিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপন্যাস হলো ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ (১৯৭৩)। তার রচিত অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘নীড় সন্ধানী’ (১৯৬৮) এবং ‘নিষুতি রাতের গাথা’ (১৯৬৯)। বিশিষ্ট কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান (১৯৩৫-১৯৭২খ্রি) রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘হাজার বছর ধরে’ (১৩৭১), ‘আরেক ফাল্গুন’ (১৩৭৫), ‘বরফ গলা নদী’ (১৩৭৬), ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ (১৩৬৭) ইত্যাদি। সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শহীদুল্লা কায়সার (১৯২৭-১৯৭১ খ্রি) রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘সারেং বৌ’ (১৯৬২), ‘সংশপ্তক’ (১৯৬৫) ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ কোনটা ঠিক?

[ বিসিএস ২৪তম ]

ক. সোজন বাদিয়ার ঘাট (উপন্যাস)
খ. কাঁদো নদী কাঁদো (কাব্য)
গ. বহিপীর (নাটক)
ঘ. মহাশ্মশান (নাটক)
ব্যাখ্যাঃ
রচয়িতা গ্রন্থের নাম ধরণ
জসীমউদ্দীন সোজন বাদিয়ার ঘাট কাব্যগ্রন্থ
কায়কোবাদ মহাশ্মশান মহাকাব্য
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কাঁদো নদী কাঁদো উপন্যাস
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বহিপীর নাটক
ক. শহীদুল্লাহ কায়সার
খ. জহির রায়হান
গ. মুনীর চৌধুরী
ঘ. সত্যেন সেন
ব্যাখ্যাঃ

রণেশ দাশগুপ্তের অনুরোধে মুনীর চৌধুরী ১৯৫৩ সালে ঢাকা জেলখানায় ‘কবর’ নাটকটি রচনা করেন। মুনীর চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য নাটক - রক্তাক্ত প্রান্তর, চিঠি, মানুষ, দণ্ডকারণ্য।

প্রশ্নঃ কোনটি নাটক?

[ বিসিএস ২১তম ]

ক. কর্তার ইচ্ছায় কর্ম
খ. গড্ডলিকা
গ. পল্লীসমাজ
ঘ. সাজাহান
ব্যাখ্যাঃ
গ্রন্থ রচয়িতা গ্রন্থের ধরণ
গড্ডলিকা রাজশেখর বসু গল্পগ্রন্থ
পল্লীসমাজ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস
সাজাহান দ্বিজেন্দ্রলাল রায় নাটক
ক. মুনির চৌধুরী
খ. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
গ. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ঘ. শওকত আলী
ব্যাখ্যাঃ

লালসালু উপন্যাস → সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ।

রক্তাক্ত প্রান্তর নাটক → মুনির চৌধুরী।

শ্রীকান্ত উপন্যাস → শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

প্রদোষে প্রাকৃতজন উপন্যাস → শওকত আলী।

ক. কায়কোবাদ
খ. মীর মশাররফ হোসেন
গ. মোজাম্মেল হক
ঘ. ইসমাইল হোসেন সিরাজী
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেন। কারবালার বিষাদময় কাহিনী অবলম্বনে রচিত ‘বিষাদ-সিন্ধু’ মীর মশাররফ হোসেনের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। উপন্যাসটিতে তিনটি পর্ব আছে। ‘মহরম পর্ব’, ‘উদ্ধার পর্ব’ ও ‘এজিদবধ পর্ব’। তার আরেকটি বিখ্যাত উপন্যাস হলো উদাসীন পথিকের মনের কথা।

ক. মুনীর চৌধুরী
খ. শহীদুল্লা কায়সার
গ. জহির রায়হান
ঘ. শওকত ওসমান
ব্যাখ্যাঃ

শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার রচিত ‘সংশপ্তক’ একটি মহাকাব্যিক উপন্যাস। এই উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র: রাবু, জাহেদ, হুরমতি, রমজান ইত্যাদি। তার আরেকটি বিখ্যাত উপন্যাস হলো ‘সারেং বৌ’। ‘রাজবন্দীর রোজনামচা’ তার বিখ্যাত স্মৃতিকথা এবং ‘পেশোয়ার থেকে তাশখন্দ’ তার ভ্রমণকাহিনী। শহীদুল্লা কায়সার ছিলেন আরেকজন বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান এর বড় ভাই।

ক. কাজী আব্দুল ওদুদ
খ. আবুল ফজল
গ. শামসুদ্দিন আবুল কালাম
ঘ. হুমায়ুন কবির
ব্যাখ্যাঃ
ঔপন্যাসিক উপন্যাস
কাজী আব্দুল ওদুদ নদীবক্ষে
আবুল ফজল রাঙা প্রভাত, প্রদীপ ও পতঙ্গ, চৌচির
শামসুদ্দিন আবুল কালাম কাশবনের কন্যা, আলমগড়ের উপকথা, কাঞ্চনমালা, সমুদ্রবাসর, কাঞ্চনগ্রাম, জায়জঙ্গল
আবুল কালাম
হুমায়ুন কবির নদী ও নারী
ক. চাষী জীবনের করুণ চিত্র
খ. কৃষক সমাজের সংগ্রামশীল জীবন
গ. তৎকালীন মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র
ঘ. মুসলিম জমিদার শ্রেণীর জীবন কাহিনি
ব্যাখ্যাঃ
উপন্যাস রচয়িতার নাম উপজীব্য বিষয়
আবদুল্লাহ কাজী ইমদাদুল হক মুসলিম সমাজের কাহিনি অবলম্বনে 'আবদুল্লাহ' উপন্যাসটি রচিত। তৎকালীন কুসংস্কারাচ্ছন্ন মুসলিম সমাজব্যবস্থার চিত্রাঙ্কনই এ উপন্যাসের উপজীব্য।
ক. কবি ফেরদৌসী
খ. মওলানা রুমী
গ. কবি নিজামী
ঘ. কবি জামি
ব্যাখ্যাঃ

পারস্য তথা ইরানের বিখ্যাত মহাকাব্য ‘শাহনামা’। মহাকবি ফেরদৌসী ৯৮০-১০১০ খ্রিষ্টাব্দে দীর্ঘ ৩০ বছর কঠোর পরিশ্রম করে ‘শাহনামা’ রচনা করেন। এর ভাষা ক্লাসিক ফারসি।

ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ. মোহাম্মদ মনিরুজ্জমান
গ. সত্যেন্দ্রনাথ দ্ত্ত
ঘ. নির্মলেন্দু গুণ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা সাহিত্যে ছন্দের রাজা ও ছন্দের জাদুকর বলে খ্যাত সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘খাঁটি সোনা’ কবিতার অংশ বিশেষ উপর্যুক্ত অংশটুকু। তাঁর রচিত বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে সবিতা, সন্ধিক্ষণ, বেণু ও বীণা, কুহু ও কেকা, অভ্র আবীর, হসন্তিকা, বেলা শেষের গান, বিদায় আরতি ও কাব্য সঞ্চয়ন উল্লেখযোগ্য।

ক. আলালের ঘরের দুলাল
খ. জোহরা
গ. মৃত্যুক্ষুধা
ঘ. হাজার বছর ধরে
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস ‘আলালের ঘরের দুলাল’ এর রচয়িতা প্যারীচাঁদ মিত্র। এই উপন্যাসের বিখ্যাত চরিত্র- ঠকচাচা, মতিলাল। জহির রায়হান রচিত ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের চরিত্র – টুনি, মন্তু, মকবুল বুড়ো, রশিদ, ফকিরের মা প্রভৃতি। রুবি, আনসার, মোয়াজ্জেম হলো কাজী নজরুল ইসলামের ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসের চরিত্র। মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক রচিত ‘জোহরা’ উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র- জোহরা, কাশেম।

ক. মাঝি-মাল্লার সংগ্রামশীল জীবন
খ. জেলে-জীবনের বিচিত্র সুখ-দুঃখ
গ. চাষী-জীবনের করুণ চিত্র
ঘ. চরবাসীদের দুঃখী-জীবন
ব্যাখ্যাঃ

১৯৩৬ সালে প্রকাশিত ‘পদ্মানদীর মাঝি’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস। জেলে জীবনের বিচিত্র সুখ-দুঃখের বাস্তব চিত্র এতে অঙ্কিত হয়েছে। উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র হলো কুবের, কপিলা, মালা, হোসেন মিয়া।

ক. কৃষ্ণকান্তের উইল
খ. চোখের বালি
গ. গৃহদাহ
ঘ. পথের পাঁচালী
ব্যাখ্যাঃ
উপন্যাস লেখক চরিত্র
কৃষ্ণকান্তের উইল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রোহিণী, ভ্রমর, গোবিন্দলাল
চোখের বালি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহেন্দ্র, আশালতা, বিহারী, বিনোদিনী
গৃহদাহ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সুরেশ, অচলা, মহিম
পথের পাঁচালী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপু, দুর্গা, সর্বজয়া, ইন্দিরা ঠাকরুণ
ক. নাটক
খ. ছোট গল্প
গ. প্রবন্ধ
ঘ. গীতি কবিতা
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা সাহিত্যের জীবনচক্রে একটি বিশাল সময়জুড়ে গীতি কবিতা সৃষ্টি ও সমৃদ্ধ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়াদি এতো ব্যাপক সময়ব্যাপী বিকাশ লাভ করেনি।

ক. সৈয়দ শামসুল হক
খ. সৈয়দ মুজতবা আলী
গ. শওকত ওসমান
ঘ. ফররুখ আহমেদ
ব্যাখ্যাঃ
বিষয় গ্রন্থ
উপন্যাস শবনম, অবিশ্বাস্য
ভ্রমণকাহিনী দেশে-বিদেশে, জলে-ডাঙায়
ছোটগল্পগ্রন্থ চাচা কাহিনী, টুনি মেম
রম্যরচনা পঞ্চতন্ত্র, ময়ূরকণ্ঠী
ক. মুনীর চৌধুরী
খ. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
গ. শহীদুল্লা কায়সার
ঘ. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
ব্যাখ্যাঃ

'কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাসটির রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। এটি তাঁর একটি বিখ্যাত সৃষ্টি।

ক. আনোয়ার পাশা
খ. শওকত ওসমান
গ. রশীদ হায়দার
ঘ. আবু জাফর শামসুদ্দিন
ব্যাখ্যাঃ

শওকত ওসমান বিংশ শতাব্দীর একজন স্বনামধন্য বাংলাদেশী লেখক এবং কথাসাহিত্যিক ছিলেন। তার প্রকৃত নাম ছিল শেখ আজিজুর রহমান। তিনি নাটক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, রাজনৈতিক লেখা এবং শিশু-কিশোর সাহিত্য সহ বিভিন্ন ধারার সাহিত্য রচনা করেছেন। তিনি মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

ক. রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
খ. নির্মলেন্দু গুণ
গ. শামসুর রাহমান
ঘ. ফরহাদ মজহার
ব্যাখ্যাঃ

"একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্যে কী ব্যাকুল প্রতীক্ষা মানুষের ‘কখন’ আসবে কবি’?" এই পঙক্তিগুলো কবি নির্মলেন্দু গুণের বিখ্যাত কবিতা 'স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো' থেকে নেওয়া। এই পঙক্তিগুলোতে কবি একটি বিশেষ মুহূর্তের জন্য মানুষের ব্যাকুল প্রতীক্ষার কথা তুলে ধরেছেন।

এই কবিতাটিতে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের মুহূর্তটিকে বোঝানো হয়েছে।

ক. মদনমোহন তর্কালংকার
খ. কালিপ্রসন্ন সিংহ
গ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঘ. অক্ষয়কুমার দত্ত
ক. শিল্প
খ. কৃষি
গ. সাহিত্য
ঘ. বিজ্ঞান
ব্যাখ্যাঃ

খনার বচন মূলত কৃষি ও দৈনন্দিন জীবনের নানা দিকনির্দেশনা সম্বলিত ছড়া, যা যুগ যুগ ধরে গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে আসছে।