প্রশ্নঃ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লেখা নাটক কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লেখা নাটক হলো খঃ বহিপীর।
'কবর' মুনীর চৌধুরী রচিত একটি বিখ্যাত নাটক। 'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়' সৈয়দ শামসুল হক রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক। 'ওরা কদম আলী' মামুনুর রশীদ রচিত একটি মঞ্চনাটক।
প্রশ্নঃ কিত্তনখেলা নাটকটির বিষয়বস্তু কী?
[ বিসিএস ৪২তম ]
কিত্তনখেলা নাটকটির বিষয়বস্তুর হলো লোকায়ত জীবন-সংস্কৃতি।
যদিও কিত্তনখেলার মূল আখ্যান রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা ও বৈষ্ণব ভাবাদর্শ, এই নাটকের পরিবেশ, চরিত্রায়ণ এবং ব্যবহৃত লোকজ উপাদান (যেমন কীর্তন গান) লোকায়ত জীবন ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। নাটকের ভাষা, আচার-আচরণ এবং সঙ্গীতের মাধ্যমে গ্রামীণ বাংলার একটি চিত্র ফুটে ওঠে।
দীনবন্ধু মিত্রের 'নীল-দর্পণ' নাটক বাংলা সাহিত্যের এক যুগান্তকারী সৃষ্টি। এটি একটি সামাজিক নাটক, যা ১৮৬০ সালে প্রকাশিত হয়।
পটভূমি ও বিষয়বস্তু
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, বিশেষ করে ১৮৫৯-৬০ সালের দিকে, ব্রিটিশ নীলকর সাহেবদের অত্যাচার এবং এর বিরুদ্ধে সংঘটিত নীল বিদ্রোহ ছিল বাংলার কৃষকদের জীবনে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। নীলকররা জোর করে কৃষকদের দিয়ে নীল চাষ করাতো, যা তাদের জন্য ছিল অত্যন্ত অলাভজনক এবং সর্বনাশা। নীল চাষ করতে রাজি না হলে কৃষকদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হতো, জমি কেড়ে নেওয়া হতো, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হতো এবং নারীদের উপরও অত্যাচার করা হতো। এই নির্মম অত্যাচারের বাস্তব চিত্র দীনবন্ধু মিত্র তার নাটকে তুলে ধরেন। তিনি এই নাটকটি 'কস্যচিৎ পথিকস্য' ছদ্মনামে ঢাকা থেকে প্রকাশ করেন।
নাটকের গুরুত্ব ও প্রভাব
- সামাজিক দলিল: 'নীল-দর্পণ' নাটকটি তৎকালীন বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির এক বাস্তবসম্মত চিত্র তুলে ধরেছে। এটি নীলকরদের বর্বরতা এবং নিরুপায় কৃষকদের দুঃখ-দুর্দশার জীবন্ত দলিল হিসেবে কাজ করে।
- জনমত সৃষ্টি: নাটকটি প্রকাশের পর বাংলা এবং এমনকি ইউরোপেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এটি নীলকরদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে সাহায্য করে এবং নীল বিদ্রোহকে আরও জোরালো করে তোলে।
- ইংরেজি অনুবাদ: নাটকটি প্রকাশের পরপরই রেভারেন্ড জেমস লঙ-এর উদ্যোগে মাইকেল মধুসূদন দত্ত এটি ইংরেজিতে 'Nil Durpan, or The Indigo Planting Mirror' নামে অনুবাদ করেন। এই অনুবাদের জন্য জেমস লঙকে কারাদণ্ড ও জরিমানা ভোগ করতে হয়েছিল, যা নাটকের প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
- নাট্য আন্দোলনের সূচনা: এই নাটকটি বাংলার সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পথ খুলে দেয়। ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর ন্যাশনাল থিয়েটার-এর উদ্বোধনী দিনে 'নীল-দর্পণ' নাটকের মাধ্যমেই বাংলা নাট্যমঞ্চের যাত্রা শুরু হয়।
- জাতীয়তাবোধের উন্মেষ: এটি দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধ জাগিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের এক নতুন ধারা তৈরি করে।
দীনবন্ধু মিত্রের 'নীল-দর্পণ' শুধু একটি নাটক ছিল না, এটি ছিল একটি সামাজিক আন্দোলন এবং শোষিত মানুষের প্রতিবাদের এক শক্তিশালী কণ্ঠস্বর।
প্রশ্নঃ ‘কুলীন কুলসর্বস্ব’ নাটকটি কার লেখা?
[ বিসিএস ৩৪তম ]
‘কুলীন কুলসর্বস্ব’ নাটকটি লিখেছেন গঃ রামনারায়ণ তর্করত্ন।
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক নাটক হিসেবে বিবেচিত হয়, যা ১৮৫৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
প্রশ্নঃ ‘নীল দর্পণ’ নাটকটির বিষয়বস্তু কি?
[ বিসিএস ৩৪তম ]
‘নীল দর্পণ’ নাটকটির বিষয়বস্তু হলো কঃ নীলকরদের অত্যাচার।
এই নাটকটি দীনবন্ধু মিত্র ১৮৬০ সালে রচনা করেন, যেখানে ব্রিটিশ নীলকরদের দ্বারা বাংলার কৃষকদের ওপর চালানো নির্মম অত্যাচার ও শোষণের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এটি বাংলা সাহিত্যে একটি অত্যন্ত প্রভাবশালী নাটক হিসেবে পরিচিত।
প্রশ্নঃ ভাষা আন্দোলনভিত্তিক নাটক কোনটি?
[ বিসিএস ৩৪তম ]
ভাষা আন্দোলনভিত্তিক নাটকটি হলো কঃ কবর।
মুনীর চৌধুরী এই নাটকটি ১৯৫৩ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে রচনা করেন, যা ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত একটি ঐতিহাসিক নাটক।
প্রশ্নঃ কোনটি সঠিক?
[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]
'বহিপীর' সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি বিখ্যাত নাটক। এটি ১৯৬০ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এর আগে, ১৯৫৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত পিইএন ক্লাবের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এটি পুরষ্কার লাভ করে।
নাটকটির প্রেক্ষাপট উনিশ শতকের শেষভাগ বা বিশ শতকের শুরু। নাটকের মূল বিষয়বস্তু গ্রামীণ সমাজের পীরপ্রথা, অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার এবং এর ফলে সৃষ্ট জটিলতা।