আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. গাইবান্ধায়
খ. বগুড়ায়
গ. ঢাকায়
ঘ. সিরাজগঞ্জে
ব্যাখ্যাঃ

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত ও প্রভাবশালী লেখক। তিনি ১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা জেলার গোটিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল বগুড়া জেলায়।

ইলিয়াস ছিলেন একজন স্বল্পপ্রজ লেখক, তবে তাঁর প্রতিটি রচনা গভীর জীবনবোধ, তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ এবং সমাজবাস্তবতার নিপুণ চিত্রায়ণে সমৃদ্ধ। তিনি ঔপন্যাসিক এবং ছোটগল্পকার হিসেবে পরিচিত।

তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম:

  • উপন্যাস:
    • চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭)
    • খোয়াবনামা (১৯৯৬)
  • গল্পগ্রন্থ:
    • অন্য ঘরে অন্য স্বর (১৯৭৬)
    • খোঁয়ারি (১৯৮২)
    • দুধভাতে উৎপাত (১৯৮৫)
    • দোজখের ওম (১৯৮৯)
    • জাল স্বপ্ন, স্বপ্নের জাল (১৯৯৭)
  • প্রবন্ধ সংকলন:
    • সংস্কৃতির ভাঙা সেতু

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা যান। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়।

ক. অরুণ মিত্র
খ. সমরেশ বসু
গ. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ঘ. সমরেশ মজুমদার
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ‘নীললোহিত’ ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন এবং এই নামে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। এই ছদ্মনামে তিনি মূলত হালকা মেজাজের রম্যরচনা ও কিছু উপন্যাস লিখেছেন।

ক. বেগম রােকেয়া
খ. কাদম্বরী দেবী
গ. স্বর্ণকুমারী দেবী
ঘ. নূরুন্নাহার ফয়জুন্নেসা
ব্যাখ্যাঃ

স্বর্ণকুমারী দেবী (১৮৫৫-১৯৩২) ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দীপনির্বাণ’ ১৮৭৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় বোন। স্বর্ণকুমারী দেবী শুধু ঔপন্যাসিকই ছিলেন না, তিনি একাধারে কবি, সঙ্গীতকার ও সমাজ সংস্কারক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।

ক. এস. ওয়াজেদ আলী
খ. আবুল হাসেম
গ. আবুল মনসুর আহমদ
ঘ. আবুল হুসেন
ব্যাখ্যাঃ

‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ লিখেছেন আবুল মনসুর আহমদ

এটি তাঁর একটি বিখ্যাত আত্মজীবনীমূলক রচনা, যেখানে তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে পাকিস্তান আমল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় পর্যন্ত দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে তুলে ধরেছেন। বইটি ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয় এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে বিবেচিত।

ক. ২০১০ সালে
খ. ২০১১ সালে
গ. ২০১২ সালে
ঘ. ২০১৫ সালে
ব্যাখ্যাঃ

"অসমাপ্ত আত্মজীবনী" বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা আত্মজীবনী। এটি ২০১২ সালের জুন মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • লেখক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
  • প্রকাশকাল: জুন ২০১২
  • প্রকাশক: দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল)
  • ভাষা: বাংলা
  • বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬-৬৯ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকাকালীন এই আত্মজীবনী লেখা শুরু করেন।
  • বইটিতে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তার জীবনের ঘটনাবলী স্থান পেয়েছে।
  • বইটির প্রথম বাক্য হলো "বন্ধু-বান্ধবরা বলে তোমার জীবনী লেখো।"
  • "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
ক. আবুল হাসান
খ. হুমায়ুন কবির
গ. সোমেন চন্দ
ঘ. কল্যাণ মিত্র
ব্যাখ্যাঃ

ঢাকায় আততায়ীর হাতে মৃত্যুবরণ করেন এমন একজন উল্লেখযোগ্য সাহিত্যিক হলেন সোমেন চন্দ

তিনি ছিলেন একজন মার্কসবাদী লেখক এবং ট্রেড ইউনিয়ন নেতা। ১৯৪২ সালের ৮ই মার্চ ঢাকায় ফ্যাসিবাদবিরোধী এক সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তিনি আততায়ীর হাতে ছুরিকাহত হয়ে নিহত হন।

ক. শওকত আলী
খ. সেলিনা হোসেন
গ. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
ঘ. সৈয়দ শামসুল হক
ব্যাখ্যাঃ

সৈয়দ শামসুল হক সবচেয়ে কম বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। তিনি মাত্র ৩১ বছর বয়সে, ১৯৬৬ সালে এই পুরস্কার লাভ করেন।

ক. সৈয়দ আলী আহসান
খ. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
গ. সৈয়দ শামসুল হক
ঘ. সিকান্দার আবু জাফর
ব্যাখ্যাঃ

১৯৮৫ সালে সৈয়দ আলী আহসান নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক লাভ করেন। তিনি একজন খ্যাতনামা সাহিত্যিক, কবি, সাহিত্য সমালোচক, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ ছিলেন।

ক. কাজী নজরুল ইসলাম
খ. জীবনানন্দ দাশ
গ. সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
ঘ. বুদ্ধদেব বসু
ব্যাখ্যাঃ

সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-১৯৬০ খ্রি.) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একজন বিখ্যাত কবি। তিনি অনেক কবিতা ও গদ্য রচনা করলেও কোনো উপন্যাস রচনা করেননি। কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি.) রচিত উপন্যাস হলো বাঁধনহারা (১৯২৭), মৃত্যুক্ষুধা (১৯৩০) ও কুহেলিকা (১৯৩১)। জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪) রচিত উপন্যাস: মাল্যবান, কল্যানী। কবি ও কথাসাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪ খ্রি.) রচিত উপন্যাস হলো সাড়া (১৯৩০), সানন্দা (১৯৩৩), নির্জন স্বাক্ষর (১৯৫১), তিথিডোর (১৯৫২), নীলাঞ্জনের খাতা (১৯৬০) ইত্যাদি।

ক. শওকত ওসমান
খ. জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত
গ. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
ঘ. হাসান আজিজুল হক
ব্যাখ্যাঃ

‘দুধেভাতে উৎপাত’ গল্পগ্রন্হটি বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭ খ্রি.) কর্তৃক রচিত। ১৯৮৫ সালে এটি প্রকাশিত হয়। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭), খোয়াবনামা (১৯৯৬) ইত্যাদি।

ক. হুমায়ুন আজাদ
খ. আহমদ শরীফ
গ. ওয়াকিল আহমদ
ঘ. আব্দুল মতিন খান
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য ১৯৬০ সাল থেকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। প্রথাবিরোধী লেখক ড. আহমদ শরীফ ১৯৬৮ সালে এবং হুমায়ুন আজাদ ১৯৮৬ সালে এ পুরস্কার লাভ করেন। ২০২০ সালে প্রবন্ধকার হিসেবে বেগম আকতার কামাল বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করে।

ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ. কাজী নজরুল ইসলাম
গ. শেখ ফজলুল করিম
ঘ. শামসুর রহমান
ব্যাখ্যাঃ

হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী লেখক হিসেবে পরিচিত শেখ ফজলুল করিমের (১৮৮২-১৯৩৬) ‘স্বর্গ-নরক’, কবিতার চরণ এটি।

ক. কাজী নজরুল ইসলাম
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. গোলাম মোস্তফা
ঘ. শেখ ফজলল করিম
ব্যাখ্যাঃ

হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী লেখক হিসেবে পরিচিত শেখ ফজলল করিমের (১৮৮২-১৯৩৬) ‘পরিত্রাণ কাব্য’ কবিতার চরণ এটি।

ক. কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন প্রমুখ
খ. মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, আবুল কালাম শামসুদ্দীন প্রমুখ
গ. মোহম্মদ আকরাম খাঁ, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ
ঘ. কাজী ইমদাদুল হক, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী প্রমুখ
ব্যাখ্যাঃ

বাঙালি মুসলমান সমাজে আড়ষ্ট বুদ্ধিকে মুক্ত করে জ্ঞানপিপাসা জাগিয়ে তোলার অভিপ্রায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও প্রবীণ ছাত্র ১৯২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সাহিত্য সমাজের মূল ভাবযোগী ছিলেন ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের শিক্ষক কাজী আবদুল ওদুদ ও কর্মযোগী আবুল হুসেন। ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজের বার্ষিক মুখপত্র ‘শিখা’র আপ্তবাক্য ছিল ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’।

ক. কালীপ্রসন্ন সিংহ
খ. কালীপ্রসন্ন ঘোষ
গ. কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
ঘ. এস ওয়াজেদ আলী
ব্যাখ্যাঃ

‘প্রভাত চিন্তা’ ‘নিভৃত চিন্তা’, ‘নিশীথ চিন্তা’ প্রভৃতি প্রবন্ধের রচয়িতা কালীপ্রসন্ন ঘোষ। কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার ও কালীপ্রসন্ন সিংহের বিখ্যাত রচনা যথাক্রমে ‘সদ্ভাব শতক’ ও ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’। এস ওয়াজেদ আলীর রচনার মধ্যে গল্পগ্রন্হ- ‘গুলদাস্তা’ ও ‘মাশুকের দরবার’, প্রবন্ধগ্রন্হ- ‘প্রাচ্য ও প্রতীচ্য’ ও ‘ভবিষ্যতের বাঙালী’, উপন্যাস- ‘গ্রানাডার শেষ বীর’ এবং ভ্রমণকাহিনী- ‘মোটর যোগে রাঁচী সফর’ উল্লেখযোগ্য।

ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ. রাজশেখর বসু
গ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঘ. বিহারীলাল চক্রবর্তী
ব্যাখ্যাঃ

বিহারীলাল চক্রবর্তী বাংলা গীতিকবিতার জনক। বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের প্রথম দিকে সফল গীতিকবিতা রচনার জন্য বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিহারীলাল চক্রবর্তীকে ‘ভোরের পাখি’ উপাধি দেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্হ হলো- স্বপ্নদর্শন, সঙ্গীত শতক, বঙ্গসুন্দরী, নিসর্গ সন্দর্শন, বন্ধুবিয়োগ, প্রেম প্রবাহিনী ও সারদামঙ্গল।

ক. ভাষা ও সাহিত্য
খ. আয়না
গ. লালসালু
ঘ. অবরোধবাসিনী
ব্যাখ্যাঃ

বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচিত প্রবন্ধ। এ প্রবন্ধে নারীর দুঃখ দুর্দশার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ‘মতিচূর’ ও ‘পদ্মরাগ’।

ক. বিহারীলাল চক্রবর্তী
খ. প্যারীচাঁদ মিত্র
গ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঘ. শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ

বিহারীলাল চক্রবর্তী বাংলা গীতিকবিতার জনক। বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের প্রথম দিকে সফল গীতিকবিতা রচনার জন্য বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিহারীলাল চক্রবর্তীকে ‘ভোরের পাখি’ উপাধি দেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্হ হলো- স্বপ্নদর্শন, সঙ্গীত শতক (১৮৬২), বঙ্গসুন্দরী (১৮৭০), নিসর্গ সন্দর্শন (১৮৭০), বন্ধুবিয়োগ (১৮৭০), প্রেম প্রবাহিনী ও সারদামঙ্গল।

ক. শেখ আজিজুর রহমান
খ. শওকত আলী
গ. আহমেদ আজিজ
ঘ. ওসমান গনী
ব্যাখ্যাঃ

সাহিত্যিক শওকত ওসমান ছিলেন বিংশ শতাব্দীর একজন প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক, যার সাহিত্যকর্মে সমাজের বিভিন্ন দিক, বিশেষ করে গ্রামীণ জীবন, সামাজিক বৈষম্য এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিশেষভাবে উঠে এসেছে। নিচে তার জীবন ও সাহিত্যকর্মের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরা হলো:

জীবন:

  • জন্ম ও পরিচয়: ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) হুগলি জেলার সবলসিংহপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল শেখ আজিজুর রহমান।
  • শিক্ষা: তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
  • পেশা: কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজ অব কমার্সে এবং পরবর্তীতে ঢাকা কলেজে যোগদান করেন এবং ১৯৭২ সালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।
  • মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
  • পুরস্কার ও স্বীকৃতি: বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, ফিলিপস পুরস্কার এবং স্বাধীনতা পুরস্কারসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
  • মৃত্যু: ১৯৯৮ সালের ১৪ মে ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।

সাহিত্যকর্ম:

শওকত ওসমান সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদান রেখেছেন। তাঁর রচনায় গভীর সমাজচেতনা, মানবতাবোধ এবং প্রগতিশীল চিন্তা বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

  • উপন্যাস: তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে:
    • জননী (১৯৫৮): গ্রামীণ জীবনের পটভূমিতে রচিত তাঁর প্রথম উপন্যাস।
    • ক্রীতদাসের হাসি (১৯৬২): একটি প্রতীকী উপন্যাস যা তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও স্বৈরাচারী শাসনের চিত্র তুলে ধরে।
    • সমাগম (১৯৬৭): দেশভাগের পরবর্তী সময়ে মানুষের জীবন ও সমাজের চিত্রায়ণ।
    • জাহান্নাম হইতে বিদায় (১৯৭১): মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত একটি শক্তিশালী উপন্যাস।
    • দুই সৈনিক (১৯৭৩): মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা।
    • নেকড়ে অরণ্য (১৯৭৩): যুদ্ধকালীন বন্দিশিবিরের নারকীয় চিত্র তুলে ধরে।
    • জলাঙ্গী (১৯৭৪): মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত।
    • পিতৃপুরুষের গল্প (১৯৮৬)
  • গল্পগ্রন্থ: তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে:
    • পিঁজরাপোল (১৯৫০)
    • হস্তারক (১৯৫১)
    • ওরা কদম আলী (১৯৫৮)
    • নেত্রপথ (১৯৮৩)
  • নাটক: তিনি বেশ কিছু নাটকও রচনা করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
    • আমলার মামলা (১৯৪৯)
    • পূর্ণ স্বাধীনতা চূর্ণ স্বাধীনতা (১৯৯০)
  • প্রবন্ধ ও অন্যান্য: শওকত ওসমান প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা ও শিশুতোষ গ্রন্থও রচনা করেছেন। তাঁর প্রবন্ধগুলোতে সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতি নিয়ে গভীর ভাবনা প্রকাশ পায়।