আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. ম্যারিয়ানা ট্রেঞ্চ
খ. ডেড সী
গ. বৈকাল হ্রদ
ঘ. লোহিত সাগর
ব্যাখ্যাঃ

পৃথিবীর গভীরতম স্থান হলো কঃ ম্যারিয়ানা ট্রেঞ্চ

এটি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এবং এর গভীরতা প্রায় ১১ কিলোমিটারের বেশি।

ক. সিরাস
খ. নিম্বাস
গ. কিউম্যুলাস
ঘ. স্ট্রেটাস
ব্যাখ্যাঃ

উচ্চতা অনুসারে মেঘকে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। যথা- (১) উঁচু মেঘ (High cloud), (২) মধ্যম উঁচু মেঘ (Medium high) ও (৩) নিচু মেঘ (Low cloud)। আবার মেঘের আকৃতি ও চেহারা অনুযায়ী এদের সিরাস, কিউম্যুলাস ও স্ট্রেটাস - এ তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা করা যায়। পালক বা আঁশের ন্যায় মেঘকে সিরাস, ভেজা তুলার স্তূপের ন্যায় প্রায় গোলাকার মেঘকে কিউম্যুলাস এবং স্তরে স্তরে সজ্জিত মেঘকে স্ট্রেটাস বলে। এছাড়া নিম্বাস (Nimbus) নামে বৈশিষ্ট্যবিহীন কালো বর্ণের মেঘও দেখা যায়।

ক. আইসোপ্লিথ
খ. আইসোহাইট
গ. আইসোহ্যালাইন
ঘ. আইসোথার্ম
ব্যাখ্যাঃ

আইসোহাইট (Isohyet) হলো ভূপৃষ্ঠের মানচিত্রে অঙ্কিত সেই কাল্পনিক রেখা যা সমান পরিমাণ বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানগুলোকে যুক্ত করে। "আইসো" শব্দের অর্থ "সমান" এবং "হাইয়েট" (hyet) শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ "hyetos" থেকে, যার অর্থ "বৃষ্টি"।

সহজভাবে বললে, কোনো নির্দিষ্ট সময়কালে (যেমন একদিন, এক মাস, এক বছর) যেসব অঞ্চলে একই পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, সেই অঞ্চলগুলোকে একটি রেখা দিয়ে মানচিত্রে যুক্ত করলে যে চিত্র পাওয়া যায়, সেটিই হলো আইসোহাইট।

আইসোহাইটের গুরুত্ব:

  • বৃষ্টিপাতের বণ্টন: কোনো একটি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের বণ্টন কেমন, তা আইসোহাইট রেখার মাধ্যমে সহজে বোঝা যায়। রেখাগুলো ঘন সন্নিবিষ্ট থাকলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণে দ্রুত পরিবর্তন দেখা যায়, আর রেখাগুলো দূরে দূরে থাকলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়।
  • জলবায়ু বিশ্লেষণ: আইসোহাইট মানচিত্র কোনো অঞ্চলের জলবায়ু বৈশিষ্ট্য এবং বৃষ্টিপাতের ধরন সম্পর্কে ধারণা দেয়।
  • কৃষি পরিকল্পনা: কৃষিকাজের জন্য কোন অঞ্চলে কেমন বৃষ্টিপাত হয়, তা জানার জন্য আইসোহাইট মানচিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে ফসলের নির্বাচন এবং সেচ ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা করা সহজ হয়।
  • জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা: জলাধার নির্মাণ এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ জানা অপরিহার্য। আইসোহাইট মানচিত্র এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  • ভূ-প্রাকৃতিক গবেষণা: বৃষ্টিপাতের বণ্টন ভূমিক্ষয় এবং অন্যান্য ভূ-প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। আইসোহাইট মানচিত্র এই গবেষণা কাজেও ব্যবহৃত হয়।

বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত বৃষ্টিপাতের ডেটা ব্যবহার করে আইসোহাইট মানচিত্র তৈরি করা হয়। এই ডেটা সাধারণত আবহাওয়া কেন্দ্র এবং বৃষ্টিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়।

ক. আইসোথার্ম
খ. আইসোবার
গ. আইসোহাইট
ঘ. আইসোহেলাইন
ব্যাখ্যাঃ

সমবৃষ্টিপাত সম্পন্ন স্থানসমূহকে যোগকারী রেখাকে সমবর্ষণ রেখা বলা হয়। একে ইংরেজিতে Isohyet বলা হয়।

এই রেখাগুলো মানচিত্রে ব্যবহার করা হয় কোনো নির্দিষ্ট সময়ে (যেমন - এক বছর, এক মাস) একই পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়া অঞ্চলগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য।

ক. ১৯৭৯ সালে
খ. ১৯৮২ সালে
গ. ১৯৮৩ সালে
ঘ. ১৯৯৮ সালে
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘ সমুদ্র আইন হলো জাতিসংঘ সমুদ্র আইন বিষয়ক কনভেনশন (United Nations Convention on the Law of the Sea - UNCLOS)। এটিকে "সমুদ্রের সংবিধান" নামেও অভিহিত করা হয়। এই আন্তর্জাতিক চুক্তিটি সমুদ্র এবং এর সম্পদ ব্যবহারের জন্য একটি আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৭৩ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ আলোচনার পর ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর জামাইকার মন্টেগো বে-তে এটি স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৯৯৪ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

জাতিসংঘ সমুদ্র আইনের মূল বিষয়গুলো হলো:

  • সমুদ্র অঞ্চলের সীমা নির্ধারণ: এই কনভেনশনে বিভিন্ন সমুদ্র অঞ্চলের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, যেমন - অভ্যন্তরীণ জলসীমা, আঞ্চলিক সমুদ্রসীমা (Territorial Sea - উপকূল থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত), সন্নিহিত অঞ্চল (Contiguous Zone - উপকূল থেকে ২৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত), এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন (Exclusive Economic Zone - EEZ - উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত), মহীসোপান (Continental Shelf) এবং উন্মুক্ত সমুদ্র (High Seas)।
  • রাষ্ট্রের অধিকার ও দায়িত্ব: প্রতিটি সমুদ্র অঞ্চলে উপকূলীয় রাষ্ট্র এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের কী কী অধিকার ও দায়িত্ব থাকবে তা এই আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন - আঞ্চলিক সমুদ্রসীমায় উপকূলীয় রাষ্ট্রের সার্বভৌম অধিকার থাকলেও বিদেশি জাহাজকে "নির্দোষ উত্তরণ"-এর অধিকার দেওয়া হয়েছে। EEZ-এ উপকূলীয় রাষ্ট্র জীব ও অজীব সম্পদের উপর একচ্ছত্র অধিকার ভোগ করে, তবে অন্যান্য রাষ্ট্র সেখানে জাহাজ চলাচল, বিমান চলাচল এবং সাবমেরিন কেবল ও পাইপলাইন স্থাপনের স্বাধীনতা ভোগ করে।
  • সমুদ্র সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ: এই আইন সমুদ্রের জীবন্ত ও অজীব সম্পদের টেকসই ব্যবহার এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য নীতিমালা নির্ধারণ করে।
  • সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণা: সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণার অধিকার এবং এর পরিচালনার জন্য নিয়মকানুন উল্লেখ করা হয়েছে।
  • বিরোধ নিষ্পত্তি: সমুদ্র আইন সংক্রান্ত যেকোনো বিরোধ শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশও এই কনভেনশনের একটি পক্ষ এবং সমুদ্র আইন অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে তার সমুদ্রসীমা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ক. ২.০৫%
খ. ০.৬৮%
গ. ০.০১%
ঘ. ০.০০১%
ব্যাখ্যাঃ

পৃথিবীর মোট জলরাশির (বারিমণ্ডলের) শতকরা প্রায় ০.৬৮% জল ভূগর্ভে ধারণ করে।

যদিও ভূগর্ভস্থ পানি পৃথিবীর মোট স্বাদু পানির একটি বড় অংশ (প্রায় ৩০.১%), তবে যখন পৃথিবীর মোট জলরাশির (যার বেশিরভাগই সমুদ্রের লবণাক্ত জল) শতাংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তখন এর পরিমাণ অনেক কম। বিভিন্ন উৎসের তথ্য সামান্য ভিন্ন হতে পারে, তবে এটি সাধারণত ১% এর কম থাকে। কিছু সূত্রে এটি প্রায় ০.৭% বা ১.৭%ও দেখানো হয় (লবণাক্ত ভূগর্ভস্থ জল সহ)।

সহজভাবে মনে রাখার জন্য, পৃথিবীর মোট জলের ৯৭% এরও বেশি লবণাক্ত (সমুদ্র ও মহাসাগর), এবং বাকি প্রায় ২.৫-৩% স্বাদু জল। এই স্বাদু জলের প্রায় ৬৮.৭% হিমবাহ ও মেরু অঞ্চলে বরফ হিসাবে জমা আছে, এবং প্রায় ৩০.১% ভূগর্ভস্থ জল হিসাবে বিদ্যমান।

ক. ২০০ নটিকেল মাইল
খ. ৩০০ নটিকেল মাইল
গ. ৩৫০ নটিকেল মাইল
ঘ. ৪৫০ নটিকেল মাইল
ব্যাখ্যাঃ

১৯৮২ সালের সমুদ্র আইন সংক্রান্ত কনভেনশন (UNCLOS) অনুযায়ী একটি উপকূলীয় রাষ্ট্রের মহীসোপানের (Continental Shelf) সীমা ভিত্তি রেখা হতে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত হতে পারে।

তবে, এর একটি প্রাথমিক সীমাও রয়েছে, যা ভিত্তি রেখা থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল। যদি কোনো রাষ্ট্রের মহীসোপান ভূতাত্ত্বিকভাবে ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরেও বিস্তৃত হয়, তবে সেটি সর্বোচ্চ ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত দাবি করা যেতে পারে, কিছু নির্দিষ্ট ভূতাত্ত্বিক সূত্র মেনে।

ক. Desert Ecosystem
খ. Mountain Ecosystem
গ. Fresh water Ecosystem
ঘ. Marine Ecosystem
ব্যাখ্যাঃ

নিম্নলিখিত বাস্তুতন্ত্রগুলোর মধ্যে ঘঃ Marine Ecosystem (সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র) পৃথিবীর পৃষ্ঠের বৃহত্তম অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত।

পৃথিবীর পৃষ্ঠের প্রায় ৭১% অংশ জল দ্বারা আবৃত, যার অধিকাংশই সমুদ্র। এই বিশাল জলরাশি বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র নিয়ে গঠিত, যা মরুভূমি, পর্বত বা স্বাদু জলের বাস্তুতন্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।

ক. নদী
খ. সাগর
গ. হ্রদ
ঘ. বৃষ্টিপাত
ক. সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর সঙ্গে সমকোণে অবস্থান করে
খ. চন্দ্র পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে অবস্থান করে
গ. পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছে থাকে
ঘ. সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী যথাক্রমে এক সরলরেখায় অবস্থান করে
ব্যাখ্যাঃ

অমাবস্যায় চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর একই দিকে অবস্থান করে। এর ফলে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি একই দিক হতে একই সাথে কার্যকরী হয়। সূর্যের আকর্ষণ চন্দ্রের আকর্ষণের কম হলেও এ সময় উভয়ের মিলিত শক্তিতে আকর্ষণ আরও প্রবল হয়। ঐদিন চন্দ্র ও সূর্যের দিকে পূর্ণিমার দিন অপেক্ষাও জোয়ার বেশি হয়।