আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. ৬
খ. ৭
গ. ৮
ঘ. ৯
ব্যাখ্যাঃ

ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-এ ছয়টি ভৌগোলিক হটস্পট নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই হটস্পটগুলো হলো:

১. উপকূলীয় অঞ্চল ২. বরেন্দ্র অঞ্চল ৩. খরাপ্রবণ অঞ্চল ৪. নিম্ন জলাভূমি ৫. পাহাড়ি অঞ্চল ৬. শহর অঞ্চল

ক. জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাসকরণ
খ. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক
গ. ওজোনস্তর ক্ষয় নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক
ঘ. মরুকরণ প্রক্রিয়া হ্রাসকরণ
ব্যাখ্যাঃ

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে (কপ-২৮)-এর মূল ফোকাস ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জনের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা


কপ-২৮ এর প্রধান দিকগুলো ছিল:

  • প্রথম বিশ্বব্যাপী স্টকটেক (Global Stocktake) সম্পন্ন করা: প্যারিস চুক্তির আওতায় দেশগুলো তাদের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (Nationally Determined Contributions - NDCs) কতটা অর্জন করেছে, তার একটি সামগ্রিক মূল্যায়ন করা হয়। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও ambitious লক্ষ্য নির্ধারণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
  • জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার বিষয়ে আলোচনা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি। কপ-২৮ এ এই জ্বালানির ব্যবহার কমানো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত, একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে "জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে যাওয়ার" (transitioning away from fossil fuels) বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়।
  • ক্ষয়ক্ষতি তহবিল (Loss and Damage Fund) কার্যকর করা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দুর্বল দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য এই তহবিল গঠন করা হয়েছে। কপ-২৮ এ এই তহবিলকে কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং কিছু দেশ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়।
  • জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধি: উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় সহায়তার জন্য প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কপ-২৮ এ এই প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি অর্থায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়।
  • অভিযোজন (Adaptation) এবং স্থিতিস্থাপকতা (Resilience) জোরদার করা: জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য প্রভাবগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
  • অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ: কপ-২৮ এ নাগরিক সমাজ, নারী, যুব, স্থানীয় সম্প্রদায় এবং আদিবাসীসহ সকলের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা হয়।

মোটকথা, কপ-২৮ এর মূল লক্ষ্য ছিল কার্যকর জলবায়ু পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বকে একটি নিরাপদ ও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জন করা।

ক. নদী খননের মাধ্যমে পানি পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা
খ. নদী শাসন ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা
গ. নদীর দুই তীরে বনাঞ্চল সৃষ্টি করা
ঘ. বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করা
ব্যাখ্যাঃ

বন্যা নিয়ন্ত্রণের সাধারণ ব্যবস্থার মধ্যে নদীর দুই তীরে বনাঞ্চল সৃষ্টি করা সরাসরি অন্তর্ভুক্ত নয়।


ব্যাখ্যা:

  • নদী খনন বন্যার পানি দ্রুত নিষ্কাশনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  • নদী শাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যা বন্যা প্রতিরোধে কার্যকর।
  • বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা উন্নত করা বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সহায়ক।

অন্যদিকে, নদীর দুই তীরে বনাঞ্চল সৃষ্টি করা পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি সরাসরি বন্যা নিয়ন্ত্রণের মূল ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত নয়

ক. ভূমিকম্প
খ. ভূমিধস
গ. সুনামি
ঘ. খরা
ব্যাখ্যাঃ

কৃষি-আবহাওয়াজনিত আপদ হলো খরা।

ব্যাখ্যা:


  • খরা দীর্ঘ সময় ধরে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়, যা একটি বড় কৃষি-আবহাওয়াজনিত বিপর্যয়
  • ভূমিকম্প, ভূমিধস, এবং সুনামি মূলত ভূতাত্ত্বিক (Geological) বিপর্যয়, যা সরাসরি কৃষি-আবহাওয়ার সাথে সম্পর্কিত নয়।

খরার ফলে কী ক্ষতি হয়?

  • ফসলের উৎপাদন কমে যায়।
  • মাটির আর্দ্রতা হ্রাস পায়।
  • খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।
ক. কার্বন ডাইঅক্সাইড
খ. মিথেন
গ. সিএফসি
ঘ. নাইট্রাস অক্সাইড
ব্যাখ্যাঃ

Chlorofluorocarbons (CFCs) গ্যাস বর্তমানে তেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে না, বরং এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো Montreal Protocol, যা ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে CFC-এর উৎপাদন ও ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কারণ এটি ওজন স্তরের ক্ষয়কারী একটি প্রধান গ্যাস হিসেবে শনাক্ত হয়েছিল।

যদিও CFC-এর নতুন নির্গমন অনেক কমে গেছে, বায়ুমণ্ডলে এর দীর্ঘ জীবনকালের কারণে এটি এখনও বিদ্যমান এবং গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে কাজ করছে। তবে, অন্যান্য প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂), মিথেন (CH₄) এবং নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)-এর ঘনত্ব এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপ, যেমন জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, কৃষিকাজ এবং শিল্প প্রক্রিয়া এর প্রধান কারণ।

ক. পরিবহন
খ. বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদন
গ. ভবন নির্মাণ
ঘ. শিল্প
ব্যাখ্যাঃ

বিশ্বব্যাপী, বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদন খাত থেকে সবচাইতে বেশি গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়।

জীবাশ্ম জ্বালানি (কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল) পোড়ানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং তাপ তৈরির প্রক্রিয়াতেই মূলত এই বিপুল পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়।

ক. বন্যা
খ. ভূমিকম্প
গ. ঘূর্ণিঝড়
ঘ. খরা
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ ভূমিকম্প

বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং খরা - এই তিনটি দুর্যোগেরই কার্যকর পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। আধুনিক প্রযুক্তি ও আবহাওয়াবিদদের জ্ঞান ব্যবহার করে বন্যার তীব্রতা ও সময়কাল, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ও আঘাত হানার সময় এবং খরার পূর্বাভাস বেশaccurately দেওয়া যায়।

অন্যদিকে, ভূমিকম্প কখন, কোথায় এবং কতটা তীব্রতায় আঘাত হানবে, তা বর্তমানে কার্যকরভাবে পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। বিজ্ঞানীরা ভূমিকম্পের প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করতে এবং ভূমিকম্পের ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে পারলেও, নির্দিষ্ট সময় এবং তীব্রতার পূর্বাভাস দেওয়ার প্রযুক্তি এখনও উন্নত হয়নি। ভূমিকম্পের কারণ ও প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং ভূগর্ভের অভ্যন্তরে দ্রুত পরিবর্তনশীল হওয়ায় এর পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন।

প্রশ্নঃ IUCN এর কাজ হলো-

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. পানি সম্পদ রক্ষা করা
খ. সন্ত্রাস দমন করা
গ. প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করা
ঘ. পরিবেশ দূষণ রোধ
ব্যাখ্যাঃ

The International Union for Conservation of Nature (IUCN)-এর প্রধান কাজগুলো হলো:

  • বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ: IUCN বিশ্বজুড়ে জীববৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার জন্য কাজ করে।
  • বিপন্ন প্রজাতির তালিকা তৈরি ও প্রকাশ: সংস্থাটি "IUCN Red List of Threatened Species" তৈরি করে, যা বিশ্বের বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির বিলুপ্তির ঝুঁকি মূল্যায়ন করে এবং তাদের সংরক্ষণের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
  • টেকসই উন্নয়নের নীতি প্রণয়নে সহায়তা: IUCN পরিবেশগতভাবে টেকসই অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের নীতি প্রণয়নে বিভিন্ন সরকার, বেসরকারি সংস্থা ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করে।
  • সংরক্ষিত এলাকা নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনায় সহায়তা: জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলোকে "সংরক্ষিত এলাকা" হিসেবে ঘোষণা এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করে।
  • নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে সহায়তা: টেকসই ব্যবহারের নীতি তৈরি, পরিবেশ আইন প্রয়োগ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সরকারগুলোকে সহায়তা করে।
  • গবেষণা ও জ্ঞান তৈরি: প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবহার সম্পর্কিত वैज्ञानिक গবেষণা পরিচালনা ও জ্ঞান তৈরি করে এবং তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়।
  • সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষা: প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
  • আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি: জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করে।
  • প্রশিক্ষণ প্রদান: স্থানীয় সম্প্রদায়, সরকারি কর্মকর্তা এবং নীতি নির্ধারকদের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও টেকসই সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে।

সংক্ষেপে, IUCN বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে কাজ করে।

ক. ২০০০
খ. ২০০১
গ. ২০০৩
ঘ. ২০০৫
ব্যাখ্যাঃ

কার্টাগেনা প্রটোকল (Cartagena Protocol on Biosafety) একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জেনেটিকালি পরিবর্তিত জীবের (LMOs: Living Modified Organisms) নিরাপদ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি জীববৈচিত্র্য বিষয়ক কনভেনশন (CBD) এর একটি সম্পূরক প্রটোকল।

মূল তথ্যসমূহ:

  • পুরো নাম: Cartagena Protocol on Biosafety to the Convention on Biological Diversity

  • গৃহীত হয়: ২৯ জানুয়ারি ২০০০, কার্টাগেনা, কলম্বিয়ায়

  • কার্যকর হয়: ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৩

  • বাংলাদেশ সদস্যপদ লাভ করে: ২০০৪ সালে

  • উদ্দেশ্য:

    জীববৈচিত্র্য রক্ষায় LMOs-এর নিরাপদ স্থানান্তর, পরিচালনা ও ব্যবহার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে তা এক দেশ থেকে অন্য দেশে রপ্তানির সময়।

প্রোটোকলের মূল লক্ষ্য:

  1. পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের উপর LMO-র সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব প্রতিরোধ।
  2. খাদ্য, কৃষি ও জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
  3. দেশগুলোকে "অগ্রিম অবহিত সম্মতির (AIA) পদ্ধতি" ব্যবহার করে LMO গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের অধিকার দেওয়া।
ক. টাইক্লোরোট্রাইফ্লুরো ইথেন
খ. টেট্রাফ্লুরো ইথেন
গ. ডাইক্লোরো ডাইফ্লুরো ইথেন
ঘ. আর্গন
ব্যাখ্যাঃ

বর্তমানে রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসরে পরিবেশ-বান্ধব হিসেবে যে গ্যাসগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর মধ্যে প্রধান দুটি হলো:

১. R-600a (আইসোবুটেন): এটি একটি প্রাকৃতিক হাইড্রোকার্বন গ্যাস, যা পরিবেশের জন্য খুবই নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়। এর ওজোনস্তর ক্ষয় করার ক্ষমতা (ODP) শূন্য এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নে এর প্রভাব (GWP) অত্যন্ত কম। বাংলাদেশে উৎপাদিত বেশিরভাগ ফ্রিজে বর্তমানে এই গ্যাসটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

২. R-134a (টেট্রাফ্লুরো ইথেন): এটি একটি হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (HFC) গ্যাস। CFC-এর (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন) বিকল্প হিসেবে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় কারণ এটি ওজোনস্তর ক্ষয় করে না (ODP শূন্য)। তবে, এর GWP (গ্লোবাল ওয়ার্মিং পটেনশিয়াল) R-600a এর চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও, এটি CFC-এর তুলনায় অনেক কম ক্ষতিকর।

কিছু ক্ষেত্রে R-290 (প্রোপেন) গ্যাসও ব্যবহার করা হয়, যা R-600a এর মতোই একটি প্রাকৃতিক রেফ্রিজারেন্ট এবং পরিবেশের জন্য নিরাপদ।

অতীতে ব্যবহৃত CFC (যেমন R-12) এবং HCFC (যেমন R-22) গ্যাসগুলো ওজোনস্তরের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নে অবদান রাখায় মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় সেগুলোর ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশবান্ধব বিকল্পগুলোর ব্যবহার বাড়ছে।

ক. নাইট্রাস অক্সাইড
খ. কার্বন ডাই-অক্সাইড
গ. অক্সিজেন
ঘ. মিথেন
ব্যাখ্যাঃ নিম্নের যেটি গ্রিন হাউজ গ্যাস নয় সেটি হলো অক্সিজেন

গ্রিন হাউজ গ্যাসসমূহ এবং তাদের প্রভাব



গ্রিন হাউজ গ্যাসগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ আটকে রেখে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি করে, যা গ্রিন হাউজ প্রভাব নামে পরিচিত। এদের মধ্যে প্রধান গ্যাসগুলো হলো:

  • কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2): জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো এবং বন উজাড়ের ফলে এর নির্গমন বাড়ে।
  • মিথেন (CH4): কৃষিক্ষেত্রে (যেমন ধানক্ষেত), বর্জ্য পচন এবং প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের ফলে এটি নির্গত হয়।
  • নাইট্রাস অক্সাইড (N2O): কৃষি, শিল্প প্রক্রিয়া এবং জীবাশ্ম জ্বালানির দহন থেকে উৎপন্ন হয়।
  • জলীয় বাষ্প (H2O): এটি প্রাকৃতিকভাবে বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে থাকে এবং গ্রিন হাউজ প্রভাবে এর বড় ভূমিকা আছে।
  • ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFCs): রেফ্রিজারেশন এবং অ্যারোসল স্প্রেতে ব্যবহৃত হয় (যদিও এখন এর ব্যবহার সীমিত)।

অক্সিজেন (O2) পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে দ্বিতীয় সর্বাধিক পরিমাণে থাকা গ্যাস (প্রায় ২১%) এবং এটি জীবের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অপরিহার্য। তবে, এটি তাপ শোষণ করে গ্রিন হাউজ প্রভাব সৃষ্টি করে না, তাই এটি গ্রিন হাউজ গ্যাস নয়।
ক. IPCC
খ. COP 21
গ. Green Peace
ঘ. Sierra Club
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা (UNEP) ও জলবায়ু বিষয়ক সংস্থা (WMO) এর মিলিত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা লাভ করে IPCC

IPCC এর পূর্ণরূপ হলো Intergovernmental Panel on Climate Change (জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেল)

  • প্রতিষ্ঠা: এটি ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (UNEP) এবং বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) এর যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
  • লক্ষ্য: IPCC এর প্রধান লক্ষ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ, মূল্যায়ন এবং নীতিনির্ধারকদের কাছে পরিবেশন করা। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ, প্রভাব এবং এর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশ্বকে একটি পরিষ্কার বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।
  • কার্যক্রম: এটি নিজে কোনো গবেষণা বা পর্যবেক্ষণ পরিচালনা করে না, বরং বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞদের দ্বারা প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং আর্থ-সামাজিক তথ্যের মূল্যায়ন করে প্রতিবেদন তৈরি করে। এই প্রতিবেদনগুলো আন্তর্জাতিক জলবায়ু আলোচনা এবং নীতি প্রণয়নের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
  • পুরস্কার: ২০০৭ সালে IPCC এবং আল গোর যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে তাদের কাজ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য।
ক. রাশিয়া
খ. যুক্তরাষ্ট্র
গ. ইরান
ঘ. জার্মানি
ব্যাখ্যাঃ

মাথাপিছু গ্রিনহাউজ গ্যাস উদগীরণে সবচেয়ে বেশি দায়ী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম।

তবে, বিভিন্ন রিপোর্ট এবং সময়কালের উপর নির্ভর করে এই তালিকা পরিবর্তিত হতে পারে। কিছু তথ্যে কুয়েত, কাতার বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোকেও মাথাপিছু নির্গমনে অনেক উচ্চ অবস্থানে দেখা যায়, বিশেষ করে যদি প্রতি ব্যক্তির মোট নির্গমনকে বিবেচনা করা হয়।

যদি প্রদত্ত বিকল্পগুলোর (রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, জার্মানি) মধ্যে বিবেচনা করা হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রই ঐতিহাসিক এবং বর্তমান মাথাপিছু নির্গমনের ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকে। চীন মোট গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনে বিশ্বের এক নম্বর দেশ হলেও, বিশাল জনসংখ্যার কারণে তাদের মাথাপিছু নির্গমন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কম।

ক. আফ্রিকার জোহানেসবার্গে
খ. ব্রাজিলের রিওডিজেনিরোতে
গ. ইতালির রোমে
ঘ. যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে
ব্যাখ্যাঃ

১৯৯২ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে প্রথম ধরিত্রী সম্মেলন (Earth Summit) অনুষ্ঠিত হয়।

এটি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলন (United Nations Conference on Environment and Development - UNCED) নামে পরিচিত। এই সম্মেলনে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয় এবং এজেন্ডা ২১ (Agenda 21) এর মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি গৃহীত হয়।

এরপর ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ধরিত্রী সম্মেলন এবং ২০১২ সালে আবারও ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে তৃতীয় ধরিত্রী সম্মেলন (Rio+20) অনুষ্ঠিত হয়।

ক. পাগ-মার্ক
খ. ফুটমার্ক
গ. GIS
ঘ. কোয়ার্ডবেট
ব্যাখ্যাঃ

গণনা পদ্ধতি:

বর্তমানে সুন্দরবনে বাঘ গণনার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতি (Camera Trapping Method) ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে:

  • বনের বিভিন্ন স্থানে স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।
  • বাঘ যখন ক্যামেরার সামনে দিয়ে যায়, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ছবি ওঠে।
  • প্রতিটি বাঘের শরীরের ডোরাকাটা দাগ (স্ট্রাইপ প্যাটার্ন) স্বতন্ত্র ও অদ্বিতীয়, অনেকটা মানুষের আঙুলের ছাপের মতো। এই ডোরাকাটা দাগ বিশ্লেষণ করে প্রতিটি বাঘকে আলাদাভাবে শনাক্ত করা হয় এবং মোট বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়।
  • এছাড়া, বাঘের মল বিশ্লেষণ (Pugmark/Scat analysis) এবং অন্যান্য চিহ্ন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেও বাঘের উপস্থিতি ও ঘনত্ব সম্পর্কে ধারণা নেওয়া হয়।

আগে পায়ের ছাপ (পাগমার্ক) দেখে বাঘ গণনার পদ্ধতি ব্যবহার করা হলেও, ২০১৫ সাল থেকে বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতি চালু হয়েছে।

সর্বশেষ বাঘশুমারি ও সংখ্যা:

  • সর্বশেষ বাঘশুমারি: ২০২৩-২০২৪ সালের বাঘ জরিপের ফলাফল ৮ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে প্রকাশ করা হয়েছে।
  • বাঘের সংখ্যা: সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়ে ১২৫টি-তে দাঁড়িয়েছে।
  • পূর্ববর্তী জরিপ:
    • ২০১৫ সালের জরিপে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি
    • ২০১৮ সালের জরিপে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি

এই ধারাবাহিক বৃদ্ধি বাঘ সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হওয়ার ইতিবাচক ফল হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ক. ৩ কোটি
খ. ৩.৫ কোটি
গ. ৪ কোটি
ঘ. ৪.৫ কোটি
ব্যাখ্যাঃ

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, এবং এর ফলে জলবায়ু শরণার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে বিভিন্ন গবেষণা ও পূর্বাভাসে উঠে এসেছে।

যদি ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠ ৪৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়, তাহলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ডুবে যাবে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। বিভিন্ন গবেষণার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে কমপক্ষে ৩.৫ কোটি (সাড়ে তিন কোটি) মানুষ জলবায়ু শরণার্থী বা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হতে পারে।

বিশ্বব্যাংক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও তাদের প্রতিবেদনে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কয়েক কোটি মানুষের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি একটি প্রধান কারণ। এটি শুধু সরাসরি প্লাবনের কারণে নয়, লবণাক্ততার বৃদ্ধি, কৃষি জমির উর্বরতা হ্রাস, বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের (যেমন: ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস) তীব্রতা বৃদ্ধির কারণেও মানুষকে তাদের বাড়িঘর ও জীবিকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করবে।

এই সংখ্যাটি একটি অনুমান এবং বিভিন্ন মডেল ও গবেষণার ওপর নির্ভর করে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে, তবে সামগ্রিকভাবে এটি একটি বিশাল মানবিক সংকট নির্দেশ করে।

ক. জাতিসংঘের যুদ্ধ মোকাবেলা সংক্রান্ত চুক্তি
খ. জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক চুক্তি
গ. জাতিসংঘের নারী অধিকার বিষয়ক প্রটোকল
ঘ. জাতিসংঘের জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তি
ব্যাখ্যাঃ

কার্টাগেনা প্রটোকল হলো জীববৈচিত্র্য সম্পর্কিত কনভেনশন (Convention on Biological Diversity - CBD)-এর একটি সম্পূরক চুক্তি।

এর পুরো নাম হলো 'কার্টাগেনা প্রটোকল অন বায়োসেফটি টু দ্য কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি' (Cartagena Protocol on Biosafety to the Convention on Biological Diversity)।

এর মূল উদ্দেশ্য হলো:

  • আধুনিক জীবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি জীবন্ত পরিবর্তিত জীব (Living Modified Organisms - LMOs)-এর নিরাপদ হস্তান্তর, পরিবহন ও ব্যবহার নিশ্চিত করা।
  • এসব LMOs দ্বারা জীববৈচিত্র্যের ওপর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যকে রক্ষা করা।

এটি ২০০০ সালের ২৯শে জানুয়ারি গৃহীত হয় এবং ২০০৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

ক. ৫
খ. ৮
গ. ৪
ঘ. ৭
ব্যাখ্যাঃ

ওজোনস্তর বিষয়ক মন্ট্রিল প্রটোকল ১৯৮৯ সালে কার্যকর হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার সংশোধন করা হয়েছে।

বিভিন্ন উৎস অনুযায়ী, মন্ট্রিল প্রটোকল এ পর্যন্ত ৯ বার পর্যন্ত সংশোধন করা হয়েছে। সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য সংশোধনীটি ছিল ২০১৬ সালের কিগালি সংশোধনী

সংশোধনীর প্রধান তারিখগুলো হলো:

  • ১৯৯০ (লন্ডন)
  • ১৯৯২ (কোপেনহেগেন)
  • ১৯৯৫ (ভিয়েনা) - এটি অ্যাডজাস্টমেন্ট ছিল, অ্যামেন্ডমেন্ট নয়।
  • ১৯৯৭ (মন্ট্রিল)
  • ১৯৯৯ (বেইজিং)
  • ২০০৭ (মন্ট্রিল) - এটি অ্যাডজাস্টমেন্ট ছিল।
  • ২০১৬ (কিগালি)
ক. প্রাকৃতিক পরিবেশ
খ. সামাজিক পরিবেশ
গ. বায়বীয় পরিবেশ
ঘ. সাংস্কৃতিক পরিবেশ
ব্যাখ্যাঃ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রধান তিনটি উপাদান হচ্ছে মাটি, বায়ু ও পানি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মাটি, বায়ু ও পানিই সবচেয়ে বেশি মাত্রায় দূষিত হচ্ছে। কাজেই বলা যায় যে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ।

ক. জলীয় বাষ্প
খ. ক্লোরোফ্লোরো কার্বন
গ. কার্বন-ডাই-অক্সাইড
ঘ. মিথেন
ব্যাখ্যাঃ

জৈব জ্বালানি কার্বনঘটিত যৌগ। এগুলো বায়ুমণ্ডলে দহনের ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বায়ুতে মিশে যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি দহনের ফলে তৈরি গ্রিন হাউস গ্যাসে কার্বন-ডাই অক্সাইড ৪৯%, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন বা সিএফসি ১৪%, মিথেন ১৮%, নাইট্রাস অক্সাইড ৬% ও অন্যান্য গ্যাস ১৩% থাকে। এদের মধ্যে কলকারখানা ও যানবাহনে জীবাশ্ম জ্বালানি দহনের ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।