আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

ক. ৪ (চার) টি
খ. ৫ (পাঁচ) টি
গ. ৬ (ছয়) টি
ঘ. ৭ (সাত) টি
উত্তরঃ ৫ (পাঁচ) টি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের পাঁচটি জেলার সাথে ‘সুন্দরবন’ সংযুক্ত আছে। এই জেলাগুলো হলো:

  • খুলনা
  • বাগেরহাট
  • সাতক্ষীরা
  • বরগুনা
  • পটুয়াখালী

সুন্দরবনের অংশ এই জেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে বিস্তৃত।

ক. রাঙ্গামাটি
খ. বরিশাল
গ. চট্টগ্রাম
ঘ. ময়মনসিংহ
উত্তরঃ রাঙ্গামাটি
ব্যাখ্যাঃ

আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা হলো রাঙ্গামাটি

এই জেলার আয়তন হলো ৬,১১২.১৩ বর্গ কিলোমিটার (২,৩৬০.৬৭ বর্গ মাইল)। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত।

ক. সেন্টমার্টিন
খ. সেন্টমার্টিন এবং এর আশেপাশের এলাকা
গ. পটুয়াখালী ও বরগুনা
ঘ. হিরন পয়েন্ট
উত্তরঃ সেন্টমার্টিন এবং এর আশেপাশের এলাকা
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি এলাকাকে ‘Marine Protected Area (MPA)’ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এবং এর চারপাশের এলাকা: এই এলাকাটিকে জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য MPA ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে প্রবাল প্রাচীর এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রজাতি বিদ্যমান।
  • নিঝুম দ্বীপ মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া: এটি বঙ্গোপসাগরের মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও পাখির আবাসস্থল।

এছাড়াও, সরকার আরও কিছু এলাকাকে MPA ঘোষণার পরিকল্পনা করছে।

ক. নিঝুমদ্বীপ
খ. সেন্ট মার্টিনস
গ. হাতিয়া
ঘ. কুতুবদিয়া
উত্তরঃ সেন্ট মার্টিনস
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ হলো সেন্ট মার্টিন

এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটি নারিকেল জিঞ্জিরা নামেও পরিচিত, কারণ এখানে প্রচুর নারিকেল গাছ জন্মে।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি প্রবাল প্রাচীর বিদ্যমান। এই প্রবাল প্রাচীরটিতে বিভিন্ন ধরণের প্রবাল এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য দেখা যায়। জোয়ারের সময় এই প্রাচীরের অনেক অংশ পানিতে তলিয়ে গেলেও ভাটার সময় তা দৃশ্যমান হয়।

ছোট আয়তনের এই দ্বীপটি তার অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রবাল প্রাচীর এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত এবং এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।

ক. বান্দরবান
খ. কুষ্টিয়া
গ. কুমিল্লা
ঘ. বরিশাল
উত্তরঃ কুমিল্লা
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে প্লায়িস্টোসিন কালের সােপান প্রধানত তিনটি অঞ্চলে দেখা যায়:

১. বরেন্দ্রভূমি: এটি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী, নওগাঁ, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, রংপুর এবং বগুড়া জেলার কিছু অংশ।

২. মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়: এটি মধ্য বাংলাদেশে অবস্থিত। এর মধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইল, গাজীপুর এবং ময়মনসিংহ জেলার কিছু অংশ।

৩. লালমাই পাহাড়: এটি কুমিল্লা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত।

প্লাইস্টোসিন কালের এই সোপানগুলো আনুমানিক ২৫ হাজার বছর পূর্বে গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। এই অঞ্চলগুলো সমভূমি থেকে কিছুটা উঁচু এবং এদের মাটি লালচে ও কঠিন প্রকৃতির।

ক. চীন
খ. পাকিস্তান
গ. থাইল্যান্ড
ঘ. মায়ানমার
উত্তরঃ মায়ানমার
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ মায়ানমার

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমানা দুটি দেশের সাথে রয়েছে:

১. ভারত: বাংলাদেশের উত্তরে, উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-পূর্ব দিকে ভারতের সাথে দীর্ঘ স্থল সীমান্ত রয়েছে। ২. মায়ানমার: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মায়ানমারের সাথে একটি ছোট স্থল ও জল সীমান্ত রয়েছে।

অন্যদিকে, চীন বাংলাদেশের উত্তরে অবস্থিত হলেও সরাসরি কোনো সীমান্ত নেই। পাকিস্তান এবং থাইল্যান্ড ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে অবস্থিত এবং কোনো সীমান্ত সংযোগ নেই।

ক. বােয়ালমারী
খ. নড়িয়া
গ. আলমডাঙ্গা
ঘ. নিকলি
উত্তরঃ নড়িয়া
ব্যাখ্যাঃ

বিভিন্ন গবেষণা ও প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নড়িয়া উপজেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে নদীভাঙ্গন-প্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম। পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনের কারণে এই উপজেলায় প্রতি বছর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং বহু মানুষ বাস্তুহারা হয়।

অন্যান্য উপজেলাগুলোর মধ্যে, বোয়ালমারী, আলমডাঙ্গা এবং নিকলিতেও নদীভাঙনের সমস্যা রয়েছে, তবে নড়িয়ার তুলনায় এর তীব্রতা কম হতে পারে। তবে নদীভাঙনের পরিস্থিতি পরিবর্তনশীল, তাই নির্দিষ্ট সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করার জন্য সাম্প্রতিক তথ্য এবং গবেষণা দেখা প্রয়োজন।

ক. দক্ষিন তালপট্টি
খ. সেন্টমার্টিন
গ. নিঝুমদ্বীপ
ঘ. ভোলা
উত্তরঃ সেন্টমার্টিন
ব্যাখ্যাঃ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত একটি ছোট প্রবাল দ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার একটি অংশ। এর স্থানীয় নাম নারিকেল জিঞ্জিরা

সেন্টমার্টিন তার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। স্বচ্ছ নীল জলরাশি, প্রবাল পাথর, সাদা বালির সৈকত এবং সারি সারি নারকেল গাছ এই দ্বীপটিকে এক অসাধারণ রূপ দিয়েছে। এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে কিছু তথ্য:

  • অবস্থান: বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। টেকনাফ মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এটি অবস্থিত।
  • আয়তন: প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার।
  • জনসংখ্যা: প্রায় ৮,০০০ (স্থায়ী বাসিন্দা)।
  • প্রধান আকর্ষণ: প্রবাল, বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, কচ্ছপ, সামুদ্রিক শৈবাল, মনোরম সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়।
  • দর্শনীয় স্থান: ছেঁড়াদ্বীপ (দ্বীপের দক্ষিণতম অংশ, জোয়ারের সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়), সেন্টমার্টিন বাজার, পাথর বিচ।
  • যাতায়াত: টেকনাফ থেকে স্পিডবোট বা ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়। নভেম্বরের শুরু থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে পর্যটকদের আনাগোনা বেশি থাকে।
ক. ৩টি
খ. ৪টি
গ. ৫টি
ঘ. ৬টি
উত্তরঃ ৫টি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সাথে ভারতের পাঁচটি রাজ্য সীমান্ত ভাগ করে:

১. পশ্চিমবঙ্গ: বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্ত এই রাজ্যের সাথে। ২. আসাম: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত। ৩. মেঘালয়: আসামের দক্ষিণে অবস্থিত। ৪. ত্রিপুরা: বাংলাদেশের পূর্বে অবস্থিত। ৫. মিজোরাম: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত।

ক. রাঙ্গামাটি
খ. খাগড়াছড়ি
গ. বান্দরবান
ঘ. সিলেট
উত্তরঃ বান্দরবান
ব্যাখ্যাঃ

প্রান্তিক হ্রদ বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় অবস্থিত। এটি বান্দরবান-কেরাণীহাট সড়কের পাশে হলুদিয়া নামক স্থানে রয়েছে। জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার।

ক. খাগড়াছড়ি জেলায়
খ. রাঙ্গামাটি জেলায়
গ. বান্দরবান জেলায়
ঘ. কক্সবাজার জেলায়
উত্তরঃ খাগড়াছড়ি জেলায়
ব্যাখ্যাঃ

আলুটিলা প্রাকৃতিক গুহা, যা আলুটিলা রহস্যময় গুহা নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থিত একটি আকর্ষণীয় স্থান।

আলুটিলা গুহা সম্পর্কে কিছু তথ্য:

  • অবস্থান: খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায়, খাগড়াছড়ি শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে আলুটিলা বা আরবারী পাহাড়ে এই গুহাটি অবস্থিত।
  • স্থানীয় নাম: স্থানীয়রা একে "মাতাই হাকড়" বা "দেবতার গুহা" নামে ডাকে। তবে পর্যটকদের কাছে এটি আলুটিলা নামেই পরিচিত।
  • নামকরণ: "আলুটিলা" নামের অর্থ "আলুর পাহাড়"। কথিত আছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই অঞ্চলের মানুষ খাদ্যের জন্য এই পাহাড় থেকে বুনো আলু সংগ্রহ করত, সেই থেকেই এর নাম আলুটিলা।
  • বৈশিষ্ট্য: এটি একটি প্রাকৃতিক ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ। গুহাটি প্রায় ১০০ মিটার লম্বা এবং বেশ অন্ধকার ও শীতল। এর ভেতরের পাথরগুলো পিচ্ছিল এবং কিছু জায়গায় জলধারা বয়ে যায়।
  • আকর্ষণ: গুহার অন্ধকার ভেদ করে মশাল (স্থানীয়ভাবে বিক্রি হয়) বা টর্চলাইটের আলোয় ভেতরের রহস্যময় পরিবেশ দেখা এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। গুহার এক মুখ দিয়ে ঢুকে অন্য মুখ দিয়ে বের হওয়া যায়।
  • পার্শ্ববর্তী আকর্ষণ: আলুটিলার কাছেই রিসাং ঝর্ণা ও বৌদ্ধ মন্দিরও অবস্থিত, যা পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
  • যাতায়াত: খাগড়াছড়ি শহর থেকে চান্দের গাড়ি, সিএনজি, মোটরবাইক বা লোকাল বাসে করে আলুটিলা যাওয়া যায়।

আলুটিলা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং রহস্যময় গুহার জন্য খাগড়াছড়ির অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।

ক. মেঘনা মোহনায়
খ. সুন্দরবনের দক্ষিণে
গ. পদ্মা এবং যমুনার সংযোগস্থলে
ঘ. টেকনাফের দক্ষিণে
উত্তরঃ সুন্দরবনের দক্ষিণে
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গবন্ধু দ্বীপ বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার দুবলার চর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত। এটি সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত এবং বঙ্গবন্ধু চর বা বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড নামেও পরিচিত।

এই দ্বীপটি ১৯৯২ সালে প্রথম জেগে ওঠে এবং পরবর্তীতে ধীরে ধীরে স্থিতিশীল অবস্থায় আসে। এটি বর্তমানে একটি নতুন পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে পরিচিত।

ক. ২টি
খ. ৩টি
গ. ৪টি
ঘ. ৫টি
উত্তরঃ ৩টি
ব্যাখ্যাঃ

মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের ৩টি জেলার সীমান্ত রয়েছে।

জেলাগুলো হলো:

১. রাঙ্গামাটি ২. বান্দরবান ৩. কক্সবাজার

ক. Permanent Court of Justice
খ. International Tribunal for the law of the Sea
গ. International Court of Justice
ঘ. Perinanent Court of Arbitration
উত্তরঃ International Tribunal for the law of the Sea
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের মধ্যে সমুদ্রসীমা বিরোধ সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল (International Tribunal for the Law of the Sea - ITLOS)-এর মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছিল।

২০০৯ সালে বাংলাদেশ জার্মানির হামবুর্গ ভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মায়ানমারের বিরুদ্ধে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য মামলা করে। ২০১২ সালের ১৪ মার্চ ITLOS রায় ঘোষণা করে এবং বাংলাদেশের পক্ষে রায় দেয়, যার ফলে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের প্রায় ১,১১,৬৩১ বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা সমুদ্রসীমা হিসেবে নির্ধারিত হয়। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক বিজয় ছিল।

ক. ২২°-৩০
খ. ৮০°-৩১
গ. ৩৪°-২৫
ঘ. ৮৮°-০১
উত্তরঃ ৮৮°-০১
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায়, ভারত ও মিয়ানমারের মাঝখানে এবং বঙ্গোপসাগরের উত্তর উপকূলে অবস্থিত। এটি একটি নিম্নভূমির দেশ যা মূলত বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত, যেখানে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর বিশাল অববাহিকা অবস্থিত।

ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক:

  • অক্ষাংশ: ২০°৩৪′ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৬°৩৮′ উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত।
  • দ্রাঘিমাংশ: ৮৮°০১′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯২°৪১′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।
  • কর্কটক্রান্তি রেখা: বাংলাদেশের প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা (২৩°৫০′ উত্তর অক্ষাংশ) অতিক্রম করেছে।
  • মান সময়: গ্রিনিচ মান সময় থেকে ৬ ঘণ্টা এগিয়ে (GMT +6)।

আয়তন:

  • বাংলাদেশের মোট আয়তন প্রায় ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার (মতান্তরে ১,৪৮,৪৬০ বর্গ কিলোমিটার)।
ক. ১৭টি
খ. ২০টি
গ. ৬৪টি
ঘ. ১৯টি
উত্তরঃ ১৭টি
ব্যাখ্যাঃ

১৯৪৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত বর্তমান বাংলাদেশ ভূখণ্ডে জেলার সংখ্যা ছিল ১৬ টি। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় নদীয়া জেলা থেকে প্রাপ্ত অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ১৭তম জেলা ‘কুষ্টিয়া’ গঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালের ১ জানুয়ারি বৃহত্তর বরিশাল জেলা থেকে ‘ পটুয়াখালী’ (১৮তম) এবং একই সালের ১ ডিসেম্বর বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা থেকে ‘টাঙ্গাইল’ (১৯তম) জেলা আত্মপ্রকাশ করে। এরপর ২৬ ডিসেম্বর ১৯৭৮ বৃহত্তম ময়মনসিংহ জেলা থেকে ২০তম জেলা হিসেবে গঠিত হয় জামালপুর। তারপর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তারিখ ও প্রজ্ঞাপন মূলে দেশে জেলার সংখ্যা হয় ৬৪টি।

ক. রাঙামাটি
খ. বান্দরবান
গ. মৌলভীবাজার
ঘ. সিলেট
উত্তরঃ রাঙামাটি
ব্যাখ্যাঃ

শুভলং ঝরনা রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত।

এটি রাঙামাটি সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে কাপ্তাই হ্রদের পাশে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। বর্ষাকালে এর রূপ আরও মনোমুগ্ধকর হয়।

ক. ৫১৩৮ কি.মি
খ. ৪৩৭১ কি.মি
গ. ৪১৫৬ কি.মি
ঘ. ৩৯৭৮ কি.মি
উত্তরঃ ৪১৫৬ কি.মি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সাথে ভারতের স্থলসীমানার দৈর্ঘ্য হলো ৪,১৫৬ কিলোমিটার

এটি বিশ্বের দীর্ঘতম স্থলসীমান্তগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের মোট স্থলসীমার (প্রায় ৪,৪২৭ কিলোমিটার) প্রায় ৯৪% হলো ভারতের সাথে। ভারতের পাঁচটি রাজ্য (পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম) বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে।

ক. যমুনা নদীতে
খ. মেঘনার মোহনায়
গ. বঙ্গোপসাগরে
ঘ. সন্দ্বীপ চেনেল
উত্তরঃ বঙ্গোপসাগরে
ব্যাখ্যাঃ

'সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড' (Swatch of No Ground) বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত একটি গভীর সমুদ্রখাদ বা উপত্যকা।

এটি বাংলাদেশের সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় জেলেরা একে 'নাই বাম' নামেও ডাকে।

ক. সেন্টমার্টিন
খ. রাঙ্গাবালি
গ. চর আলেকজান্ডার
ঘ. ছেড়াদ্বীপ
উত্তরঃ সেন্টমার্টিন
ব্যাখ্যাঃ

'অলিভ টারটল' বা জলপাইরঙা সাগর কাছিম বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে এবং দ্বীপে পাওয়া যায়, বিশেষ করে প্রজনন মৌসুমে ডিম পাড়ার জন্য তারা সৈকতে আসে।

বাংলাদেশের যে দ্বীপে অলিভ টারটল বেশি দেখা যায় এবং ডিম পাড়ার জন্য আসে, সেটি হলো সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

এছাড়াও, কক্সবাজারের অন্যান্য উপকূলীয় সৈকত যেমন বদরমোকাম, শাহপরীর দ্বীপ, বাহারছড়া, মনখালী, হিমছড়ি, প্যাঁচারদিয়া এবং সোনাদিয়া দ্বীপের সৈকতেও অলিভ টারটলের দেখা মেলে।

ক. রাঙামাটি
খ. খাগড়াছড়ি
গ. বান্দরবান
ঘ. সিলেট
উত্তরঃ বান্দরবান
ব্যাখ্যাঃ

প্রান্তিক হ্রদ বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় অবস্থিত একটি সুন্দর কৃত্রিম হ্রদ। এটি বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এর চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

ক. হাইল
খ. পাথরচাওলি
গ. ভবদহ
ঘ. আড়িয়াল
উত্তরঃ ভবদহ
ব্যাখ্যাঃ

ভবদহ বিলটিই যশোর জেলায় অবস্থিত।

এখানে বিকল্প বিলগুলোর অবস্থান ব্যাখ্যা করা হলো:

  • কঃ হাইল (Hail): এটি হাইল হাওর নামে পরিচিত এবং এটি প্রধানত মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ হাওর।
  • খঃ পাথরচাওলি (Pathorchawli): এই নামে সুপরিচিত কোনো বড় বিলের তথ্য পাওয়া যায় না। এটি কোনো নির্দিষ্ট জেলার উল্লেখযোগ্য বিল নয়।
  • ঘঃ আড়িয়াল (Arial): এটি আড়িয়াল বিল নামে পরিচিত এবং এটি প্রধানত মুন্সিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। এটি দেশের বৃহত্তম বিলগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ক. রাজশাহী
খ. ঢাকা
গ. চট্টগ্রাম
ঘ. সিলেট
উত্তরঃ সিলেট
ব্যাখ্যাঃ

সিলেট অঞ্চলকে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়।

এই নামকরণ মূলত হযরত শাহজালাল (র.) এবং তাঁর ৩৬০ জন সঙ্গী আউলিয়ার সিলেট আগমনের সাথে জড়িত, যারা এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলকে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়।

হযরত শাহজালাল (র.) এবং তাঁর সফরসঙ্গী ৩৬০ জন আউলিয়ার ইসলাম প্রচারের কারণে সিলেট এই নামে পরিচিতি লাভ করেছে।

ক. বাংলাদেশ-মায়ানমার
খ. মায়ানমার-চীন
গ. বাংলাদেশ-ভারত
ঘ. ভারত-মায়ানমার
উত্তরঃ বাংলাদেশ-মায়ানমার
ব্যাখ্যাঃ

‘মংডু’ হলো বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার-এর সীমান্ত এলাকা।

এটি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি শহর, যা বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বিপরীতে নাফ নদীর ওপারে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত বাণিজ্য পথও বটে।

ক. আসাম
খ. মিজোরাম
গ. ত্রিপুরা
ঘ. নাগাল্যান্ড
উত্তরঃ নাগাল্যান্ড
ব্যাখ্যাঃ

ভারতের ৫টি রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। এগুলো হলো:

১. পশ্চিমবঙ্গ ২. আসাম ৩. মেঘালয় ৪. ত্রিপুরা ৫. মিজোরাম

সুতরাং, এই ৫টি রাজ্য ব্যতীত ভারতের অন্য যেকোনো রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের কোনো সীমান্ত নেই। যেমন, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ ইত্যাদির সাথে বাংলাদেশের কোনো সীমান্ত নেই।

ক. নোয়াখালী
খ. ফেনী
গ. লালমনিরহাট
ঘ. সাতক্ষীরা
উত্তরঃ ফেনী
ব্যাখ্যাঃ

বহুল আলোচিত মুহুরীর চর হলো বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত একটি বিতর্কিত ভূখণ্ড। এটি ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার বিলোনিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় মুহুরী নদীর পাশে অবস্থিত।

এই চরের মালিকানা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। মুহুরী নদীর ভাঙনের ফলে এই চরের সৃষ্টি হয়েছে এবং নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে এর সীমানা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। দেশ বিভাগের পর থেকেই এই চর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

যদিও উভয় দেশের মধ্যে একাধিকবার যৌথ জরিপ হয়েছে এবং কিছু অংশে সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে, তবে এখনও কিছু অমীমাংসিত অংশ রয়ে গেছে। এই চর ভৌগোলিক ও কৌশলগত দিক থেকে উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

সংক্ষেপে, মুহুরীর চর হলো:

  • অবস্থান: ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার বিলোনিয়া সীমান্ত, মুহুরী নদী সংলগ্ন।
  • বৈশিষ্ট্য: এটি মুহুরী নদীর ভাঙনের ফলে জেগে ওঠা একটি চর।
  • আলোচনার কারণ: এর মালিকানা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ রয়েছে।
ক. গোমতী
খ. জিঞ্জিরাম
গ. নাফ
ঘ. কর্ণফুলী
উত্তরঃ নাফ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের (পূর্বের বার্মা) সীমান্তবর্তী প্রধান নদী হলো নাফ নদী

নাফ নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা এবং মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। এটি দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমানার একটি অংশ হিসেবে কাজ করে।

এছাড়াও, কিছু ছোট নদী বা ছড়া এই সীমান্ত বরাবর রয়েছে, তবে নাফ নদীই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সীমান্তবর্তী নদী।

ক. নিঝুম দ্বীপ
খ. সন্দ্বীপ
গ. দক্ষিণ তালপট্টি
ঘ. কুতুবদিয়া
উত্তরঃ দক্ষিণ তালপট্টি
ব্যাখ্যাঃ

পূর্বাশা দ্বীপ হলো বঙ্গোপসাগরের একটি ছোট দ্বীপ। এটি দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ নামেও পরিচিত। এর অবস্থান ছিল ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে, সাতক্ষীরা জেলার হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায়।

তবে, বর্তমানে এই দ্বীপটির কোনো অস্তিত্ব নেই। ১৯৯৬ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে এটি পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে।

ক. ভোলা
খ. নোয়াখালী
গ. চট্টগ্রাম
ঘ. কক্সবাজার
উত্তরঃ কক্সবাজার
ব্যাখ্যাঃ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটি নারিকেল জিঞ্জিরা নামেও পরিচিত।

এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর প্রধান আকর্ষণ হলো এখানকার স্বচ্ছ নীল জল, চারপাশের প্রবাল পাথরের সারি, এবং নারকেল গাছের বন।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের মোট আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার। এই দ্বীপটি তিনটি অংশে বিভক্ত:

  • উত্তর অংশ: যাকে বলা হয় উত্তর পাড়া।
  • দক্ষিণ অংশ: যাকে বলা হয় দক্ষিণ পাড়া বা ছেঁড়াদ্বীপ।
  • মধ্যভাগ: যেখানে স্থানীয়রা বসবাস করে এবং পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে।

এখানে জীববৈচিত্র্য অনেক সমৃদ্ধ। বিভিন্ন ধরনের মাছ, সামুদ্রিক শৈবাল, এবং কচ্ছপের দেখা মেলে। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্যের কারণে এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত এলাকা হিসেবে বিবেচিত।

ক. করিমগঞ্জ
খ. খোয়াই
গ. পেট্রাপোল
ঘ. ডাউকি
উত্তরঃ ডাউকি
ব্যাখ্যাঃ

তামাবিল সীমান্তের সাথে ভারতের ডাউকি শহরটি অবস্থিত। এটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম জৈন্তিয়া পাহাড় জেলায় অবস্থিত।

ক. পঞ্চগড়
খ. সাতক্ষীরা
গ. হবিগঞ্জ
ঘ. কক্সবাজার
উত্তরঃ কক্সবাজার
ব্যাখ্যাঃ

কক্সবাজার জেলাটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মধ্যে অবস্থিত নয়। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং এর সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের সাথে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:

  • পঞ্চগড়: এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাথে সীমান্তবর্তী জেলা।
  • সাতক্ষীরা: এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাথে সীমান্তবর্তী জেলা।
  • হবিগঞ্জ: এটি ভারতের ত্রিপুরার সাথে সীমান্তবর্তী জেলা।
ক. টেকনাফ
খ. কক্সবাজার
গ. পটুয়াখালী
ঘ. খুলনা
উত্তরঃ পটুয়াখালী
ব্যাখ্যাঃ

কুয়াকাটা বাংলাদেশের একমাত্র সমুদ্র সৈকত, যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত গভীরভাবে অবলোকন করা যায়। সমুদ্র সৈকতটি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নের অন্তর্গত। কুয়াকাটা স্থানীয়ভাবে ‘সাগরকন্যা’ নামে পরিচিত।

ক. সেন্টমার্টিন
খ. সাতগ্রাম
গ. মুজিবনগর
ঘ. চৌদ্দগ্রাম
উত্তরঃ সেন্টমার্টিন
ব্যাখ্যাঃ

প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট ইউনিয়ন। টেকনাফ থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ।

ক. ৩টি
খ. ৫টি
গ. ৭টি
ঘ. ৯টি
উত্তরঃ ৩টি
ব্যাখ্যাঃ

আশির দশকের প্রথমদিকে দেশব্যাপী প্রশাসনিক সংস্কারের অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ৩টি স্বতন্ত্র জেলায় বিভক্ত করা হয়। জেলাগুলো হচ্ছে- ১. রাঙামাটি, ২. খাগড়াছড়ি, ৩. বান্দরবান।

ক. পদ্মা
খ. যমুনা
গ. নাফ
ঘ. কর্ণফুলী
উত্তরঃ নাফ
ব্যাখ্যাঃ

নাফ নদীর তীরে অবস্থিত টেকনাফ কক্সবাজার জেলার একটি উপজেলা। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে এ উপজেলাটির অবস্থান। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশকে (কক্সবাজার) পৃথক করেছে এ নদীটি। এ নদীর দৈর্ঘ্য ৫৬ কিমি।

ক. নাফ
খ. তেতুলিয়া
গ. আড়িয়াল খাঁ
ঘ. হাড়িয়াভাঙ্গা
উত্তরঃ হাড়িয়াভাঙ্গা
ব্যাখ্যাঃ

দক্ষিণ তালপট্টি একটি দ্বীপ। এ দ্বীপটি হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় অবস্থিত। দ্বীপটি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত বঙ্গোপসাগরের অগভীর সামুদ্রিক মহীসোপান এলাকায় অবস্থিত। বর্তমানে এটি বিলুপ্ত।

ক. ৮০ ব.মা.
খ. ৮২ ব.মা.
গ. ৮৫ ব.মা.
ঘ. ৯০ ব.মা.
উত্তরঃ কোনটি সঠিক নয়।
ব্যাখ্যাঃ

নিঝুম দ্বীপ মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত। ১৯৬০ সালে নোয়াখালীর মাঝিরা এটি আবিষ্কার করেন। এর পুরনো নাম বাউলার চর। নিঝুম দ্বীপের আয়তন ৯১ বর্গ.কি.মি. বা, ৩৫ বর্গ মাইল।

ক. সেন্টমার্টিন
খ. লালপুর
গ. হিলি
ঘ. লালমোহন
উত্তরঃ কোনটি সঠিক নয়।
ব্যাখ্যাঃ

[তথ্যটি পরিবর্তনশীল] ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা রিপোর্ট-২০২২ অনুসারে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম ইউনিয়ন হচ্ছে হাজীপুর, দৌলতখান (ভোলা)। যার আয়তন ৫.২৫ বর্গ.কি.মি.।

ক. ৮
খ. ১০
গ. ১২
ঘ. ১৪
উত্তরঃ ৮
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের আয়তন ৮ বর্গকিলোমিটার। দ্বীপটির স্থানীয় নাম ‘নারিকেল জিঞ্জিরা’। এর অবস্থান-টেকনাফ, কক্সবাজার (নাফ নদীর মোহনায়)।

ক. রূপসা
খ. বালেশ্বর
গ. হাড়িয়াভাঙ্গা
ঘ. ভৈরব
উত্তরঃ হাড়িয়াভাঙ্গা
ব্যাখ্যাঃ
দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ
  • অবস্থান: হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায়।
  • বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
  • ভারত এ দ্বীপের নাম দিয়েছে- পূর্বাশা বা নিউমুর।
  • বর্তমানে এটি ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন।
ক. বান্দরবান
খ. চাঁপাইনবাবগঞ্জ
গ. পঞ্চগড়
ঘ. দিনাজপুর
উত্তরঃ বান্দরবান
ব্যাখ্যাঃ

বান্দরবানের সাথে ভারতের সংযোগ নেই। বান্দরবানের সংযোগ আছে মিয়ানমারের সাথে। বান্দরবান ছাড়া মিয়ানমারের সাথে আরো সংযোগ আছে কক্সবাজার জেলার। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা ৩০টি এবং মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশর সীমান্তবর্তী জেলা ৩টি। উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটিই একমাত্র জেলা, যার সাথে উভয় দেশের সীমান্ত সংযুক্ত রয়েছে।

ক. সেন্টমার্টিন
খ. মহেশখালী
গ. ছেড়া দ্বীপ
ঘ. নিঝুম দ্বীপ
উত্তরঃ মহেশখালী
ব্যাখ্যাঃ

কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত বাঁশখালী নদীর তীরে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী। দ্বীপটির প্রধান আকর্ষণ শুঁটকি মাছ ও মিঠা পানি। এ দ্বীপের পাহাড়ের ওপর অবস্থিত আদিনাথ মন্দিরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্র।

ক. ২৮
খ. ৩০
গ. ৩১
ঘ. ৩৫
উত্তরঃ ৩০
ব্যাখ্যাঃ

ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে এমন ৩০টি জেলার তালিকা নিচে দেওয়া হলো। এই জেলাগুলি বাংলাদেশের ৬টি বিভাগে বিভক্ত:

রংপুর বিভাগ:

১. পঞ্চগড় ২. ঠাকুরগাঁও ৩. দিনাজপুর ৪. নীলফামারী ৫. লালমনিরহাট ৬. কুড়িগ্রাম

রাজশাহী বিভাগ:

৭. জয়পুরহাট ৮. নওগাঁ ৯. চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১০. রাজশাহী ১১. নাটোর

খুলনা বিভাগ:

১২. মেহেরপুর ১৩. কুষ্টিয়া ১৪. চুয়াডাঙ্গা ১৫. ঝিনাইদহ ১৬. যশোর ১৭. সাতক্ষীরা

সিলেট বিভাগ:

১৮. সুনামগঞ্জ ১৯. সিলেট ২০. মৌলভীবাজার ২১. হবিগঞ্জ

ময়মনসিংহ বিভাগ:

২২. শেরপুর ২৩. ময়মনসিংহ ২৪. নেত্রকোনা

চট্টগ্রাম বিভাগ:

২৫. ফেনী ২৬. চট্টগ্রাম ২৭. রাঙ্গামাটি ২৮. বান্দরবান ২৯. খাগড়াছড়ি ৩০. কক্সবাজার

এই জেলাগুলি বাংলাদেশের উত্তর, পশ্চিম, পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে ভারতের সাথে সংযুক্ত। প্রতিটি জেলার সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য, যাতায়াত এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে।

ক. ৩৮০০
খ. ৪১০০
গ. ৫৫৭৫
ঘ. ৬৯০০
উত্তরঃ কোনটি সঠিক নয়।
ব্যাখ্যাঃ

সুন্দরবনের মোট আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার, যা যৌথভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অবস্থিত। এর মধ্যে বাংলাদেশের অংশে রয়েছে প্রায় ৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটার।

সুতরাং, সুন্দরবনের আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার

ক. সেন্টমার্টিন
খ. মহেশখালী
গ. হাতিয়া
ঘ. সন্দ্বীপ
উত্তরঃ সেন্টমার্টিন
ব্যাখ্যাঃ

কক্সবাজার জেলায় টেকনাফের সমুদ্র উপকূল থেকে ৪৮ কিমি দক্ষিণে সেন্টমার্টিন দ্বীপ অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ৮ বর্গকিমি। এটি পর্যটন কেন্দ্র, মৎস্য আহরণ, খনিজ পদার্থ ও চুনাপাথরের জন্য বিখ্যাত।

ক. কুতুবদিয়া
খ. সোনাদিয়া
গ. সন্দ্বীপ
ঘ. পূর্বাশা
উত্তরঃ পূর্বাশা
ব্যাখ্যাঃ

সাতক্ষীরা জেলার হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ অবস্থিত। ভারতের নিকট এটি পূর্বাশা বা নিউমুর নামে পরিচিত। দ্বীপটি ২০১০ সালে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার বর্তমানে এর কোনো অস্তিত্ব নেই।

ক. রাঙ্গামাটি
খ. খাগড়াছড়ি
গ. বান্দরবান
ঘ. সন্দ্বীপ
উত্তরঃ খাগড়াছড়ি
ব্যাখ্যাঃ

হালদা ভ্যালি খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থিত একটি উপত্যকা। এছাড়া কাপ্তাই থেকে প্লাবিত রাঙ্গামাটির উপত্যকাকে বলা হয় ভেঙ্গিভ্যালি। শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার এলাকায় বালিশিরা ভ্যালি অবস্থিত। এছাড়াও চট্টগ্রামে অবস্থিত সাঙ্গু ভ্যালি।

ক. দিনাজপুর
খ. ঠাকুরগাঁ
গ. লালমনিরহাট
ঘ. পঞ্চগড়
উত্তরঃ পঞ্চগড়
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় ও উপজেলা তেঁতুলিয়া । সর্ব দক্ষিণের জেলা কক্সবাজার ও উপজেলা টেকনাফ। সর্ব পূর্বের জেলা বান্দরবান ও উপজেলা থানচি এবং সর্ব পশ্চিমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও উপজেলা শিবগঞ্জ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের স্থান বাংলাবান্ধা (পঞ্চগড়)।

ক. আড়িয়াল খাঁ
খ. সুরমা
গ. চন্দনা
ঘ. রূপসা
উত্তরঃ সুরমা
ব্যাখ্যাঃ

আড়িয়াল খাঁ নদীর তীরে মাদারীপুর, সুরমা নদীর তীরে সিলেট ও সুনামগঞ্জ, চন্দনা নদীর তীরে ফরিদপুর এবং রূপসা নদীর তীরে খুলনা ও বাগেরহাট জেলা অবস্থিত।

ক. ১৫টি
খ. ১৭টি
গ. ১৪টি
ঘ. ১২টি
উত্তরঃ কোনটি সঠিক নয়।
ব্যাখ্যাঃ

বর্তমানে ঢাকা বিভাগে মোট ১৩টি জেলা রয়েছে। এগুলো হলো -

১. ঢাকা
২. গাজীপুর
৩. নারায়ণগঞ্জ
৪. নরসিংদী
৫. মুন্সিগঞ্জ
৬. মানিকগঞ্জ
৭. টাঙ্গাইল
৮. কিশোরগঞ্জ
৯. ফরিদপুর
১০. মাদারীপুর
১১. শরিয়তপুর
১২. গোপালগঞ্জ
১৩. রাজবাড়ি।

আগে ঢাকা বিভাগে ১৭টি জেলা ছিল। ময়মনসিংহ বিভাগে ৪টি জেলা (ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা) অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ঢাকা বিভাগে জেলার সংখ্যা কমে ১৩টি হয়।

ক. নীলফামারী
খ. কুড়িগ্রাম
গ. লালমনিরহাট
ঘ. দিনাজপুর
উত্তরঃ লালমনিরহাট
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭২ সালে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনুযায়ী দহগ্রাম আঙ্গরপোতা বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার একটি ছিটমহলে পরিণত হয়। এটি ২০১৫ সালের ছিটমহল বিনিময়ের আওতা বহির্ভূত।

ক. ট্রপিক অব ক্যাপ্রিকন
খ. ট্রপিক অব ক্যানসার
গ. ইকুয়েটর
ঘ. আর্কটিক সার্কেল
উত্তরঃ ট্রপিক অব ক্যানসার
ব্যাখ্যাঃ

ট্রপিক অব ক্যানসার বাংলা প্রতিশব্দ হলো কর্কটক্রান্তি রেখা এবং ট্রপিক অব ক্যাপ্রিকন হলো মকরক্রান্তি রেখা। কর্কটক্রান্তি রেখা উত্তর গোলার্ধে ২৩.৫০ উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত এবং এটি বাংলাদেশের মধ্যভাগ দিয়ে চলে গেছে।

ক. পলল গঠিত সমভূমি
খ. বরেন্দ্রভূমি
গ. চলনবিল
ঘ. পাহাড়পুর
উত্তরঃ বরেন্দ্রভূমি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরের লালমাটি সমৃদ্ধ অঞ্চলকে বরেন্দ্রভূমি বলা হয়। বৃহত্তর বগুড়া ও বৃহত্তর রাজশাহী জেলা এবং দিনাজপুরের দক্ষিণাংশ ও গাইবান্ধার পশ্চিম-দক্ষিণাংশ এর আওতায় পড়েছে।

ক. তেঁতুলিয়া
খ. পঞ্চগড়
গ. বাংলাবান্ধা
ঘ. নকশালবাড়ি
উত্তরঃ বাংলাবান্ধা
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সর্ব উত্তরে অবস্থিত বাংলাবান্ধা পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের সর্বউত্তরের স্থানের নাম জায়গীরজোত। বর্তমানে এটি একটি স্থলবন্দর।

ক. নোয়াখালী ছাগলনাইয়া
খ. চট্রগ্রামের বাঁশখালি
গ. খুলনার মংলা
ঘ. পটুয়াখালীর কুয়াকাটা
উত্তরঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটা
ব্যাখ্যাঃ

১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। এ সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়েই ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশ্বের বৃহত্তম মেরিন ড্রাইভ তৈরি করা হয়েছে। সাগরকন্যা হিসেবে খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালি জেলায় অবস্থিত। ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সমুদ্র সৈকত থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যায়।

ক. মারিস্যা ভ্যালি
খ. খাগড়া ভ্যালি
গ. জাবরী ভ্যালি
ঘ. ভেঙ্গী ভ্যালি
উত্তরঃ ভেঙ্গী ভ্যালি
ব্যাখ্যাঃ
ভ্যালি বা উপত্যকা অবস্থান
হালদা ভ্যালি খাগড়াছড়ি
বালিশিরা ভ্যালি মৌলভীবাজার
নাপিতখালি ভ্যালি কক্সবাজার
সাঙ্গু ভ্যালি চট্টগ্রাম
মাইনমুখী ভ্যালি রাঙামাটি
সাজেক ভ্যালি রাঙামাটি
ভেঙ্গী ভ্যালি কাপ্তাই লেক
ক. নেপাল ও ভুটান
খ. পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম
গ. পশ্চিমবঙ্গ ও কুচবিহার
ঘ. পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম
উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের লাগা উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম অবস্থিত। এছাড়াও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর; পূর্বে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, এবং পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত।

ক. দিনাজপুর
খ. পঞ্চগড়
গ. জয়পুরহাট
ঘ. লালমনিরহাট
উত্তরঃ পঞ্চগড়
ব্যাখ্যাঃ

পঞ্চগড় জেলায় অবস্থিত তেঁতুলিয়া বাংলাদেশের সর্বউত্তরের উপজেলা। বাংলাদেশের সর্বউত্তরের ইউনিয়ন বাংলাবান্ধা ও স্থান জায়গীরজোত।

ক. চট্টগ্রাম
খ. খুলনা
গ. কক্সবাজার
ঘ. রাজশাহী
উত্তরঃ কক্সবাজার
ব্যাখ্যাঃ

কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত হিমছড়ি হচ্ছে বাংলাদেশের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অন্যতম লীলাভূমি। হিমছড়ি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিত।

ক. রাজশাহী জেলায়
খ. রাজশাহী ও নওগাঁ জেলায়
গ. পাবনা ও নাটোর জেলায়
ঘ. নাটোর ও নওগাঁ জেলায়
উত্তরঃ পাবনা ও নাটোর জেলায়
ব্যাখ্যাঃ

চলন বিল পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিল। চলন বিলের মধ্য দিয়ে আত্রাই নদী প্রবাহিত হয়েছে। বাংলাদেশের মিঠাপানির মাছের প্রধান উৎস চলনবিল। বর্তমানে এ বিলের মধ্য দিয়ে নাটোর-সিরাজগঞ্জ সংযোগ সড়ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ক. কুড়িগ্রাম
খ. নীলফামারী
গ. ঠাকুরগাঁও
ঘ. লালমনিরহাট
উত্তরঃ লালমনিরহাট
ব্যাখ্যাঃ

প্রশাসনিক ও রাজনৈতিকভাবে দহগ্রামের অবস্থান লালমনিরহাট জেলায়। কিন্তু ভৌগোলিকভাবে ভারতের কোচবিহার জেলায় অবস্থিত। যাতায়াতের জন্য করিডোর ব্যবস্থা চালু থাকায় ১ আগস্ট, ২০১৫ বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ১৬২টি ছিটমহলের বিনিময় হলেও দহগ্রামের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

ক. মূল মধ্যরেখা
খ. কর্কট ক্রান্তি রেখা
গ. মকর ক্রান্তি রেখা
ঘ. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা
উত্তরঃ কর্কট ক্রান্তি রেখা
ব্যাখ্যাঃ

নিরক্ষরেখার ২৩.৫° উত্তর অক্ষাংশকে কর্কটক্রান্তি এবং ২৩.৫° দক্ষিণ অক্ষাংশকে মকরক্রান্তি রেখা বলে। বাংলাদেশের প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা গেছে। লন্ডনে গ্রিনিচ মান মন্দিরের ওপর দিয়ে উত্তরমেরু ও দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত যে মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে তাকে মূল মধ্যরেখা বলা হয়।

ক. মালদ্বীপ
খ. সন্দ্বীপ
গ. বরিশাল
ঘ. হাতিয়া
উত্তরঃ বরিশাল
ব্যাখ্যাঃ

রামপাল তাম্রশাসনে ত্রৈলোক্য চন্দ্রের শাসনাধীন ভূখণ্ড রূপে চন্দ্রদ্বীপের উল্লেখ রয়েছে। মধ্যযুগে চন্দ্রদ্বীপ ছিল বর্তমান বরিশাল জেলার অংশবিশেষের মাঝে সীমাবদ্ধ একটি উল্লেখযোগ্য স্থান। প্রাচীনকালে বরিশাল চন্দ্রদ্বীপ ও বাকলা ছাড়াও ইসমাইলপুর এবং পোর্টগ্রান্ডে নামেও পরিচিত ছিল।

ক. নিঝুম দ্বীপ
খ. সেন্টমার্টিন দ্বীপ
গ. দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ
ঘ. দিয়া দ্বীপ
উত্তরঃ দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ
ব্যাখ্যাঃ

দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি সাতক্ষীরা জেলার দক্ষিণে সীমান্ত নদী হাড়িয়াভাঙ্গা ও রায়মঙ্গল নদীর মোহনায় অবস্থিত। এ দ্বীপটি বাংলাদেশের সীমানায় অবস্থিত হলেও ভারত এ দ্বীপের মালিকানা দাবি করে। ভারত এ দ্বীপের নাম দিয়েছে পূর্বাশা বা নিউমুর। বর্তমানে এ দ্বীপটির অস্তিত্ব নেই।

ক. মূল মধ্যরেখা
খ. কর্কটক্রান্তি রেখা
গ. মকরক্রান্তি রেখা
ঘ. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা
উত্তরঃ কর্কটক্রান্তি রেখা
ব্যাখ্যাঃ

ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে কাল্পনিক রেখাটি বাংলাদেশের উপর দিয়ে গেছে তা হলো কর্কটক্রান্তি রেখা (Tropic of Cancer)। কর্কটক্রান্তি রেখাটি পৃথিবীর চারপাশে অক্ষাংশের ২৩.৫° উত্তরাংশে অবস্থিত।

ক. পাথরচাওলি
খ. হাইল
গ. চলনবিল
ঘ. হাকালুকি
উত্তরঃ হাকালুকি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওড় হাকালুকি। সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ, বিয়ানিবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ এবং মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, কুলাউড়া প্রভৃতি উপজেলা নিয়ে এ হাওড়ের বিস্তৃতি।

ক. মিজোরাম, ত্রিপুরা
খ. আসাম, মেঘালয়
গ. অরুণাচল, মণিপুর
ঘ. মেঘালয়, মিজোরাম
উত্তরঃ অরুণাচল, মণিপুর
ব্যাখ্যাঃ

ভারতের সেভেন সিস্টারভুক্ত অরুণাচল প্রদেশ এবং মণিপুর এই দুটি রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি সীমান্ত সংযোগ নেই।

বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে:

  • আসাম
  • মেঘালয়
  • ত্রিপুরা
  • মিজোরাম
ক. আসাম
খ. নাগাল্যান্ড
গ. ত্রিপুরা
ঘ. মিজোরাম
উত্তরঃ নাগাল্যান্ড
ব্যাখ্যাঃ

নাগাল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের কোনো স্থল সীমান্ত নেই।

ভারতের যে রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত রয়েছে সেগুলো হলো:

  • পশ্চিমবঙ্গ
  • আসাম
  • মেঘালয়
  • ত্রিপুরা
  • মিজোরাম
ক. পিরোজপুর, মাদারীপুর ও বাগেরহাট
খ. সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা
গ. বাগেরহাট, নড়াইল ও ঝিনাইদহ
ঘ. বরিশাল, খুলনা ও সাতক্ষীরা
উত্তরঃ সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা
ব্যাখ্যাঃ

সুন্দরবন সংলগ্ন জেলাগুলো হলো:
1. খুলনা
2. সাতক্ষীরা
3. বাগেরহাট
4. পটুয়াখালী
5. বরগুনা
এই জেলাগুলোর অংশ নিয়েই বাংলাদেশের সুন্দরবন গঠিত।

ক. কুতুবদিয়া
খ. মহেশখালি
গ. মনপুরা
ঘ. সেন্ট মার্টিন
উত্তরঃ সেন্ট মার্টিন
ব্যাখ্যাঃ

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটি নারিকেল জিঞ্জিরা নামেও পরিচিত।

ক. ভোলা
খ. সাতক্ষীরা
গ. চাঁদপুর
ঘ. নোয়াখালী
উত্তরঃ ভোলা
ব্যাখ্যাঃ

ভোলা জেলাটি মূলত একটি ব-দ্বীপ, যা পদ্মা-মেঘনা নদীর পলি জমে গঠিত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম ব-দ্বীপ এবং একই সাথে বৃহত্তম দ্বীপ।