আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

প্রশ্নঃ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে (কপ-২৮) মূল ফোকাস ছিল –

[ বিসিএস ৪৬তম ]

ক. জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাসকরণ
খ. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক
গ. ওজোনস্তর ক্ষয় নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক
ঘ. মরুকরণ প্রক্রিয়া হ্রাসকরণ
উত্তরঃ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাসকরণ
ব্যাখ্যাঃ

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে (কপ-২৮)-এর মূল ফোকাস ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জনের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা


কপ-২৮ এর প্রধান দিকগুলো ছিল:

  • প্রথম বিশ্বব্যাপী স্টকটেক (Global Stocktake) সম্পন্ন করা: প্যারিস চুক্তির আওতায় দেশগুলো তাদের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (Nationally Determined Contributions - NDCs) কতটা অর্জন করেছে, তার একটি সামগ্রিক মূল্যায়ন করা হয়। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও ambitious লক্ষ্য নির্ধারণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
  • জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার বিষয়ে আলোচনা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি। কপ-২৮ এ এই জ্বালানির ব্যবহার কমানো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত, একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে "জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে যাওয়ার" (transitioning away from fossil fuels) বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়।
  • ক্ষয়ক্ষতি তহবিল (Loss and Damage Fund) কার্যকর করা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দুর্বল দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য এই তহবিল গঠন করা হয়েছে। কপ-২৮ এ এই তহবিলকে কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং কিছু দেশ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়।
  • জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধি: উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় সহায়তার জন্য প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কপ-২৮ এ এই প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি অর্থায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়।
  • অভিযোজন (Adaptation) এবং স্থিতিস্থাপকতা (Resilience) জোরদার করা: জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য প্রভাবগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
  • অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ: কপ-২৮ এ নাগরিক সমাজ, নারী, যুব, স্থানীয় সম্প্রদায় এবং আদিবাসীসহ সকলের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা হয়।

মোটকথা, কপ-২৮ এর মূল লক্ষ্য ছিল কার্যকর জলবায়ু পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বকে একটি নিরাপদ ও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জন করা।