আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

 ভাইবোন
 রাজপথ
 বকলম
 ঐকিক
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো ঘঃ ঐকিক

প্রত্যয়-সাধিত শব্দ: যে শব্দের শেষে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়।

  • ঐকিক: এই শব্দটি "এক" শব্দের সাথে "ইক" প্রত্যয় যুক্ত করে গঠিত হয়েছে। (এক + ইক = ঐকিক)। "ইক" একটি তদ্ধিত প্রত্যয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর ব্যাখ্যা:

  • ভাইবোন: এটি একটি দ্বন্দ্ব সমাস, যেখানে দুটি ভিন্ন শব্দ ("ভাই" ও "বোন") মিলিত হয়ে একটি নতুন অর্থ ("ভাই এবং বোন") প্রকাশ করছে। এখানে কোনো প্রত্যয় যুক্ত হয়নি।
  • রাজপথ: এটি একটি তৎপুরুষ সমাস ("রাজার পথ")। এখানেও কোনো প্রত্যয় যুক্ত হয়নি।
  • বকলম: এটি একটি উপসর্গযুক্ত শব্দ ("ব" (ফারসি উপসর্গ) + কলম)। এখানে কোনো প্রত্যয় যুক্ত হয়নি।

সুতরাং, ঐকিক শব্দটি একটি প্রত্যয়-সাধিত শব্দ।

 কৃষ্+তি
 কৃষ্+টি
 কৃ+ইষ্টি
 কৃষ্+ইষ্টি
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর: কঃ কৃষ্ + তি

ব্যাখ্যা:

  • মূল ধাতু: কৃষ্ (মানে: চাষ করা / উৎপাদন করা)
  • প্রত্যয়: তি (এই প্রত্যয় যোগে ক্রিয়াধাতু থেকে বিমূর্ত বোধক সংজ্ঞাবাচক শব্দ গঠিত হয়)

যেমন:

  • কৃষ্ + তি = কৃষ্টি → অর্থ: চাষাবাদ, সংস্কৃতি বা উন্নত জীবনের চর্চা
 কৃৎ প্রত্যয়
 তদ্ধিত প্রত্যয়
 বাংলা কৃৎ প্রত্যয়
 সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
ব্যাখ্যাঃ

এই প্রশ্নে সঠিক উত্তর হবে:

খঃ তদ্ধিত প্রত্যয়

কারণ, "য" এখানে একটি তদ্ধিত প্রত্যয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা কোনো মূল শব্দের পর যুক্ত হয়ে নতুন অর্থ সৃষ্টি করে। "প্রাচুর্য" শব্দটি "প্রচুর" থেকে এসেছে, যেখানে "য" তদ্ধিত প্রত্যয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

 কারক
 লিখিত
 বেদনা
 খেলনা
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা কৃৎ -প্রত্যয় সাধিত শব্দ খেলনা

কৃৎ-প্রত্যয় হলো ধাতুর (ক্রিয়া মূল) সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রত্যয়।

  • খেলনা শব্দটি গঠিত হয়েছে √খেল্ (ধাতু) + না (কৃৎ-প্রত্যয়) যোগ করে।

অন্যান্য শব্দগুলোর বিশ্লেষণ:

  • কারক: কৃ + অক (সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়)। এটি বাংলা কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত শব্দ নয়।
  • লিখিত: লিখ্ + ইত (সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়)। এটিও বাংলা কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত শব্দ নয়।
  • বেদনা: √বিদ্ + অন + আ (সংস্কৃত)। এটি কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত শব্দ হলেও, বাংলা কৃৎ-প্রত্যয় নয়।
 সর্বঙ্গ + ঈন
 সর্ব + অঙ্গীন
 সর্ব + ঙ্গীন
 সর্বাঙ্গ + ঈন
ব্যাখ্যাঃ

‘সর্বাঙ্গীণ’ শব্দের সঠিক প্রকৃতি -প্রত্যয় হলো সর্বাঙ্গ + ঈন

এখানে, 'সর্বাঙ্গ' একটি নামপদ এবং 'ঈন' হলো তদ্ধিত প্রত্যয়। তদ্ধিত প্রত্যয় নামপদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে। 'ঈন' প্রত্যয় যুক্ত হয়ে 'সম্বন্ধযুক্ত' বা 'সম্পূর্ণ' অর্থে নতুন শব্দ তৈরি করে। 'সর্বাঙ্গীণ' অর্থ হলো সর্ব অঙ্গের বা সম্পূর্ণ দেহের।

 শ্রৎ + √ধা + অ + আ
 শ্ৰৎ + √ধা + আ
 শ + √ধা + আ
 শ্রু + √ধা + আ
ব্যাখ্যাঃ

'শ্রদ্ধা' শব্দের সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয় হলো:

শ্রৎ + √ধা + অ + আ (টাপ্)

এখানে:

  • শ্রৎ = এটি একটি অব্যয় পদ, যার অর্থ 'বিশ্বাস' বা 'আস্থা'।
  • √ধা = এটি 'ধা' ধাতু, যার অর্থ 'ধারণ করা' বা 'স্থাপন করা'।
  • = কৃৎপ্রত্যয়।
  • আ (টাপ্) = স্ত্রীলিঙ্গবাচক তদ্ধিত প্রত্যয়।

সুতরাং, 'শ্রদ্ধা' শব্দের অর্থ 'বিশ্বাস স্থাপন' বা 'আস্থা রাখা'।

 চামার
 ধারালো
 মোড়ক
 পোষ্টাই
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত শব্দ হলো গঃ মোড়ক

ব্যাখ্যা:

  • কৃৎ-প্রত্যয়: ধাতুর (ক্রিয়ামূলের) শেষে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে কৃৎ-প্রত্যয় বলে। কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত শব্দগুলো বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ হয়।

  • মোড়ক: এটি 'মুড়' (ধাতু/ক্রিয়াপদ 'মোড়া' থেকে) + 'অক' (কৃৎ-প্রত্যয়) দিয়ে গঠিত হয়েছে। 'মোড়া' একটি ক্রিয়া, এবং 'মোড়ক' মানে যা দিয়ে মোড়ানো হয় বা মোড়ানো বস্তু।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • কঃ চামার: এটি একটি তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দ (চাম + আর)। 'চাম' বিশেষ্য পদ।
  • খঃ ধারালো: এটিও তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দ (ধার + আলো)। 'ধার' বিশেষ্য পদ।
  • ঘঃ পোষ্টাই: এটি একটি আঞ্চলিক শব্দ বা ভিন্ন প্রকৃতির হতে পারে, কিন্তু এটি সরাসরি কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত শব্দের উদাহরণ নয়।
 সভাসদ
 শুভেচ্ছা
 ফলবান
 তন্বী
ব্যাখ্যাঃ

"প্রত্যয়" বলতে বোঝায় কোনো শব্দ বা ধাতুর পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠনের প্রক্রিয়া।

প্রদত্ত শব্দগুলো বিশ্লেষণ করা যাক:

  • কঃ সভাসদ: সভা (শব্দ) + সদ (প্রত্যয়) = সভাসদ (সদ = সদস্য, বসে আছে এমন) - এটি প্রত্যয়যোগে গঠিত।
  • খঃ শুভেচ্ছা: শুভ (শব্দ) + ইচ্ছা (শব্দ) = শুভেচ্ছা। এটি দুইটি শব্দের সংযোগে গঠিত একটি সন্ধিজাত শব্দ (শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা), প্রত্যয়যোগে নয়।
  • গঃ ফলবান: ফল (শব্দ) + বান (প্রত্যয়) = ফলবান - এটি প্রত্যয়যোগে গঠিত।
  • ঘঃ তন্বী: তনু (শব্দ) + ঈ (স্ত্রীবাচক প্রত্যয়) = তন্বী - এটি প্রত্যয়যোগে গঠিত।

সুতরাং, যে শব্দটি প্রত্যয়যোগে গঠিত হয়নি, সেটি হলো শুভেচ্ছা

সঠিক উত্তর: খঃ শুভেচ্ছা

 প্রলয়
 খণ্ডিত
 নিঃশ্বাস
 অনুপম
ব্যাখ্যাঃ

খণ্ডিত শব্দটি প্রত্যয়সাধিত।

  • কঃ প্রলয়: এটি উপসর্গ ('প্র-') এবং প্রত্যয় ('লয়' মূলশব্দে 'অ' প্রত্যয় বা '√লী' ধাতু ও 'অ' প্রত্যয়) উভয় দ্বারাই গঠিত। তবে এটি মূলত উপসর্গ দ্বারা গঠিত শব্দ হিসেবেও গণ্য হতে পারে।
  • খঃ খণ্ডিত: এটি 'খণ্ড' (মূল শব্দ/ধাতু) এর সাথে 'ইত' প্রত্যয় যোগে গঠিত হয়েছে। এটি স্পষ্টতই একটি প্রত্যয়সাধিত শব্দ।
  • গঃ নিঃশ্বাস: এটি উপসর্গ ('নিঃ-') যোগে গঠিত শব্দ ('শ্বাস' মূল শব্দ)।
  • ঘঃ অনুপম: এটি উপসর্গ ('অনুপ-' / 'অন্-') যোগে গঠিত শব্দ ('উপম' মূল শব্দ)।

সুতরাং, বিকল্পগুলোর মধ্যে খণ্ডিত শব্দটিই প্রধানত এবং সরাসরি প্রত্যয় যোগে গঠিত হয়েছে।

 মাছ + ও
 মেছ + ও
 মাছি + উয়া > ও
 মাছ + উয়া > ও
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা ভাষায় ‘মেছো’ শব্দটি গঠিত হয়েছে মূল ধাতু বা প্রকৃতি ‘মাছ’ থেকে, যার সাথে ‘উয়া’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে রূপান্তরের মাধ্যমে ‘মেছো’ (মাছ + উয়া > ও) রূপে ব্যবহার হয়।

 দুল্ + অনা
 দোল্ + না
 দোল্ + অনা
 দোলনা + আ
ব্যাখ্যাঃ

দুল্ + অনা = দুলনা > দোলনা (কৃত প্রত্যয়)।

 উৎকর্ষতা
 উৎকর্ষ
 উৎকৃষ্ট
 উৎকৃষ্টতা
ব্যাখ্যাঃ

প্রত্যয়গতভাবে শুদ্ধ হলো: খঃ উৎকর্ষ

এখানে বাকি শব্দগুলো প্রত্যয়গতভাবে ভুল।

উৎকর্ষতা - "উৎকর্ষ" শব্দের সাথে "তা" প্রত্যয় যুক্ত করে এই শব্দটি তৈরি করা হয়েছে, যা ব্যাকরণগতভাবে শুদ্ধ নয়।
উৎকৃষ্ট - "উৎকৃষ্ট" শব্দটি একটি বিশেষণ পদ, যা "উৎকর্ষ" শব্দের বিশেষণ রূপ। প্রত্যয়গতভাবে এটি ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে।
* উৎকৃষ্টতা - "উৎকৃষ্ট" শব্দের সাথে "তা" প্রত্যয় যুক্ত করে এই শব্দটি তৈরি করা হয়েছে, যা ব্যাকরণগতভাবে শুদ্ধ নয়।

 ঠগী
 পানাস
 পাঠক
 সেলামী
ব্যাখ্যাঃ

ঠগী = ঠক + ঈ, সেলামী = সেলাম + ঈ, পাঠক = পঠ্ + অক।