১. ‘ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব’ গ্রন্থের রচয়িতা –
[ বিসিএস ৪৬তম ]
‘ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন মুহাম্মদ আবদুল হাই।
তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত ভাষাবিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। বাংলা ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব নিয়ে তার গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২. ‘ধ্বনি’ সম্পর্কে নিচের কোন বাক্যটি সঠিক নয়?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
সঠিক উত্তরটি হলো কঃ ধ্বনি দৃশ্যমান।
ধ্বনি দৃশ্যমান নয়, এটি শ্রবণযোগ্য। আমরা ধ্বনি শুনতে পাই, চোখে দেখতে পাই না।
অন্যান্য বাক্যগুলো সঠিক:
- খঃ মানুষের ভাষার মূলে আছে কতগুলো ধ্বনি: ভাষার মূল উপাদান হলো ধ্বনি। বিভিন্ন ধ্বনির সমন্বয়ে শব্দ এবং বাক্য তৈরি হয়।
- গঃ ধ্বনি উচ্চারণীয় ও শ্রবণীয়: ধ্বনি মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা যায় এবং কান দিয়ে শোনা যায়।
- ঘঃ অর্থবোধক ধ্বনিগুলোই মানুষের বিভিন্ন ভাষার বাগ্ধ্বনি: ভাষার অর্থপূর্ণ ধ্বনিগুলোই বাগ্ধ্বনি হিসেবে পরিচিত এবং এগুলোই বিভিন্ন ভাষার ভিত্তি তৈরি করে।
৩. বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি?
[ বিসিএস ৩৮তম ]
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত মৌলিক স্বরধ্বনি হলো ৭টি।
এগুলো হলো:
- অ (যেমন: কল্, কম্)
- আ (যেমন: আম, বাবা)
- ই (যেমন: ইঁদুর, ডিম)
- উ (যেমন: উড়াল, চুল)
- এ (যেমন: তেল, দেশ)
- ও (যেমন: বোন, ছোট)
- অ্যা (যেমন: ব্যাট, ব্যাগ - এই ধ্বনিটি যদিও বাংলা বর্ণমালায় সরাসরি নেই, উচ্চারণের সময় এটি একটি মৌলিক স্বরধ্বনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।)
এই সাতটি স্বরধ্বনিকে জিহ্বার অবস্থান এবং ঠোঁটের প্রসারণের ভিত্তিতে মৌলিক হিসেবে ধরা হয়, অর্থাৎ এদেরকে ভাঙলে আর কোনো ছোট ধ্বনিতে বিশ্লেষণ করা যায় না।
৪. ‘ঔ’ কোন ধরনের স্বরধ্বনি?
[ বিসিএস ৩৭তম ]
'ঔ' হলো একটি যৌগিক স্বরধ্বনি বা দ্বিস্বরধ্বনি (Diphthong)।
যৌগিক স্বরধ্বনি বলতে বোঝায় দুটি স্বরধ্বনি পাশাপাশি দ্রুত উচ্চারিত হয়ে একটি স্বরধ্বনির মতো শোনায়, যেখানে প্রথম স্বরধ্বনির উচ্চারণ শুরু হয়ে দ্বিতীয় স্বরধ্বনিতে গিয়ে শেষ হয়। 'ঔ' ধ্বনিটি মূলত 'ও' এবং 'উ' এই দুটি স্বরধ্বনির সম্মিলিত রূপ। অর্থাৎ, এর উচ্চারণ 'ওউ' এর মতো শোনায়।
৫. বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনির সংখ্যা কত?
[ বিসিএস ৩৫তম ]
বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনির সংখ্যা হলো ৭ (সাত) টি।
এগুলো হলো: ১. অ (যেমন: কল) ২. আ (যেমন: আম) ৩. ই (যেমন: ইলিশ) ৪. উ (যেমন: উল) ৫. এ (যেমন: তেল) ৬. ও (যেমন: খোকা) ৭. অ্যা (যেমন: ব্যাট, অ্যাড - যদিও এর জন্য কোনো স্বতন্ত্র বর্ণ নেই, তবে এটি একটি মৌলিক স্বরধ্বনি হিসেবে বিবেচিত হয়)।
৬. নিচের কোনটি ধ্বনি-পরিবর্তনের উদাহরণ নয়?
[ বিসিএস ৩৫তম ]
ধ্বনি-পরিবর্তনের উদাহরণ নয় প্রাতিপদিক।
- প্রাতিপদিক: এটি একটি ব্যাকরণগত ধারণা, যা কোনো শব্দের মূল বা প্রকৃতি বোঝায়, যার সঙ্গে বিভক্তি বা প্রত্যয় যুক্ত হওয়ার আগে শব্দটি যে রূপে থাকে। এটি ধ্বনি-পরিবর্তনের কোনো প্রক্রিয়া নয়।
- অভিশ্রুতি: এটি একটি ধ্বনি-পরিবর্তন প্রক্রিয়া, যেখানে ই-কার বা উ-কার পরিবর্তিত হয়ে পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সাথে মিশে যায় (যেমন: করিয়া > কইরা > করে)।
- অপিনিহিতি: এটিও একটি ধ্বনি-পরিবর্তন প্রক্রিয়া, যেখানে ই-কার বা উ-কার তার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনধ্বনির আগে উচ্চারিত হয় (যেমন: আজি > আইজ)।
- ধ্বনি-বিপর্যয়: এটি একটি ধ্বনি-পরিবর্তন প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো শব্দের মধ্যে দুটি ধ্বনি একে অপরের স্থান পরিবর্তন করে (যেমন: রিকশা > রিসকা)।
সুতরাং, 'প্রাতিপদিক' ধ্বনি-পরিবর্তনের উদাহরণ নয়, বরং এটি শব্দের একটি রূপগত ধারণা।
নিঃশ্বাসের স্বল্পতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছকে অক্ষর (Syllable) বলে।
একটি অক্ষরের মধ্যে এক বা একাধিক ধ্বনি থাকতে পারে, তবে সেগুলোকে একটি একক শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে উচ্চারণ করা হয়। প্রতিটি অক্ষরের একটি মূল স্বরধ্বনি থাকে এবং এর আগে বা পরে এক বা একাধিক ব্যঞ্জনধ্বনি যুক্ত হতে পারে।