আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

 শির + ছেদ
 শিরঃ + ছেদ
 শিরশ্ + ছেদ
 শির + উচ্ছেদ
ব্যাখ্যাঃ

শিরঃ + ছেদ = শিরশ্ছেদ

এটি বিসর্গ সন্ধির উদাহরণ। বিসর্গের পরে চ বা ছ থাকলে বিসর্গ স্থানে শ হয়।

 গো + অক্ষ = গবাক্ষ
 পৌ + অক = পাবক
 বি + অঙ্গ = বঙ্গ
 যতি + ইন্দ্র = যতীন্দ্র
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো কঃ গো + অক্ষ = গবাক্ষ

নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি সেই স্বরসন্ধিকে বোঝায় যা ব্যাকরণের সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করে না, বরং বিশেষভাবে গঠিত হয়। 'গবাক্ষ' শব্দটি 'গো' + 'অক্ষ' - এই দুটি স্বরের সন্ধিতে গঠিত হয়েছে, কিন্তু এখানে স্বরসন্ধির সাধারণ নিয়ম (যেমন অ + অ = আ, ও + অ = অব) খাটে না। এটি ব্যতিক্রমভাবে গঠিত হয়েছে।

অন্যান্য উদাহরণগুলো স্বরসন্ধির সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করে গঠিত:

  • খঃ পৌ + অক = পাবক (ও + অ = আব) - এটি অয়াদি স্বরসন্ধির উদাহরণ।
  • গঃ বি + অঙ্গ = বঙ্গ (ই + অ = য) - এখানে ব্যঞ্জনসন্ধি হয়েছে।
  • ঘঃ যতি + ইন্দ্র = যতীন্দ্র (ই + ই = ঈ) - এটি দীর্ঘ স্বরসন্ধির উদাহরণ।
 দুঃ + অবস্থা
 দূর + বস্থা
 দুর + বস্থা
 দুর + অবস্থা
ব্যাখ্যাঃ

'দুরবস্থা' শব্দটি বিসর্গ সন্ধির নিয়মে গঠিত। এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হলো:

দুঃ + অবস্থা = দুরবস্থা

বিসর্গ (ঃ) এর পরে অ, আ থাকলে বিসর্গ স্থানে 'র' হয়। এখানে 'দুঃ'-এর পরের 'অ'-এর কারণে বিসর্গ 'র'-এ রূপান্তরিত হয়েছে।

 সৎ + জাত
 সদ্যো + জাত
 সদ্যঃ + জাত
 সদ্য + জাত
ব্যাখ্যাঃ

'সদ্যোজাত' শব্দের শুদ্ধ সন্ধিবিচ্ছেদ হলো:

সদ্যঃ + জাত

এটি একটি বিসর্গ সন্ধির উদাহরণ। এখানে বিসর্গ (ঃ) এর পর 'জ' থাকায় বিসর্গটি 'ও' কারে রূপান্তরিত হয়েছে।

 রবী + ইন্দ্র
 রবী + ঈন্দ্র
 রবি + ইন্দ্র
 রবি + ঈন্দ্র
ব্যাখ্যাঃ

'রবীন্দ্র' শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হলো:

রবি + ইন্দ্র

এটি স্বরসন্ধির একটি উদাহরণ, যেখানে 'ই' (রবি-এর 'ই') + 'ই' (ইন্দ্র-এর 'ই') = দীর্ঘ 'ঈ' (বীন্দ্র-এর 'ঈ') হয়েছে।

 দ্বীপ + আয়ন
 দ্বীপ + অয়ন
 দ্বিপ + অনট
 দ্বীপ + অনট
ব্যাখ্যাঃ

'দ্বৈপায়ন' শব্দের শুদ্ধ সন্ধিবিচ্ছেদ হলো দ্বীপ + অয়ন

ব্যাখ্যা: 'দ্বৈপায়ন' শব্দটি 'দ্বীপ' (অর্থাৎ দ্বীপ) এবং 'অয়ন' (একটি প্রত্যয়, যা বংশধর বা স্থানবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়) এর সমন্বয়ে গঠিত। এখানে 'দ্বীপ' শব্দের 'ঈ' স্বরটি 'অয়ন' প্রত্যয়ের প্রভাবে 'ঐ' তে পরিবর্তিত হয়েছে। এটি সংস্কৃত ব্যাকরণের 'বৃদ্ধিসন্ধি'র একটি বিশেষ নিয়ম বা তদ্ধিত প্রত্যয় যোগের ফলে সৃষ্ট একটি রূপ। 'দ্বৈপায়ন' বলতে বোঝায় 'দ্বীপজাত' বা 'দ্বীপবাসী', এবং এই নামে বেদব্যাস পরিচিত, কারণ তিনি একটি দ্বীপে জন্মেছিলেন।

 ব্যঞ্জন ধ্বনি
 স্বরধ্বনি
 নিপাতনে সিদ্ধ
 বিসর্গ সন্ধি
ব্যাখ্যাঃ

নিয়ম বহির্ভূত অথচ প্রচিলত এরকম কিছুকেই নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলা হয়। যেমন: আ + চর্য = আশ্চর্য, মনস্‌ + ঈষা = মনীষা, ষট্ + দশ = ষোড়শ, পর + পর = পরস্পর।

 বাগ + অম্বর
 বাগ + আড়ম্বর
 বাক্ + অম্বর
 বাক্ + আড়ম্বর
ব্যাখ্যাঃ

ব্যঞ্জন সন্ধির অন্যতম একটি ভাগ ব্যঞ্জনে-স্বরে সন্ধির অন্তর্গত ‘বাগাড়ম্বর’। সন্ধির নিয়ম অনুযায়ী পূর্বপদের শেষে বর্গের প্রথম ব্যঞ্জনধ্বনি (ক/চ/ট/ত/প) থাকলে এবং পর পদের প্রথমে স্বরধ্বনি হলে ব্যঞ্জনধ্বনিটি ঐ বর্গের তৃতীয় ধ্বনিতে পরিণত হয়। এরূপ ব্যঞ্জন সন্ধির উদাহরণ হলো: দিগন্ত, ষড়যন্ত্র, সদ্ভাব, উদ্যোগ প্রভৃতি।

 জন + ইক
 জন + এক
 জনৈ + এক
 জন + ঈক
ব্যাখ্যাঃ

স্বরসন্ধির নিয়মানুসারে অ-কার কিংবা আ-কারের পর এ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঐ-কার হয়; ঐ-কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হয়। অর্থাৎ: অ + এ = ঐ (জন + এক = জনৈক)।

 বাক্‌ + দান = বাগদান
 উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ
 পর + পর = পরস্পর
 সম + সার = সংসার
ব্যাখ্যাঃ

কোনো নিয়ম অনুসরণ না করে যখন সন্ধি সাধিত হয় তখন তাকে নিপাতনে সিদ্ধ বলে। উপরিউক্ত সন্ধিগুলোর মধ্যে 'পর + পর = পরস্পর' ছাড়া অন্য সন্ধিগুলো ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সম্পন্ন হয়েছে।

 সমাস
 সন্ধি
 প্রত্যয়
 উপসর্গ
ব্যাখ্যাঃ

নবান্ন এর সন্ধি বিচ্ছেদ = নব + অন্ন।

 প্রাত + রাশ
 প্রাতঃ + রাশ
 প্রাতঃ + আশ
 প্রাত + আশ
ব্যাখ্যাঃ

‘প্রাতরাশ’ শব্দটির অর্থ প্রাতর্ভোজন বা সকালের নাশতা। সংস্কৃত ‘প্রাতঃ (=র)’ এর সাথে ‘আশ’ যুক্ত হয়ে প্রাতরাশ শব্দটি গঠিত।

 পড়ার সুবিধা
 লেখার সুবিধা
 উচ্চারণের সুবিধা
 শোনার সুবিধা
ব্যাখ্যাঃ

সন্ধি হলো পাশাপাশি দুই বর্ণের মিলন। এর মাধ্যমে স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজ প্রবণতা ও ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন করা যায়।

 ষড় + ঋতু
 ষড় + ঋতু
 ষট + ঋতু
 ষট্ + ঋতু
ব্যাখ্যাঃ

ষড়ঋতু শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হলো: ষট্ + ঋতু = ষড়ঋতু।

এটি ব্যঞ্জন সন্ধির নিয়ম অনুসারে গঠিত হয়েছে।

 দুঃ + লোক
 দিব্ + লোক
 দ্বি + লোক
 দ্বিঃ + লোক
ব্যাখ্যাঃ

দ্যুলোক= দিব্‌ + লোক; এটি একটি নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি। নিপাতনে সিদ্ধ আরও কয়েকটি ব্যঞ্জনসন্ধি হলো- আশ্চর্য=আ+চর্য; ষোড়শ= ষট্‌+দশ; পতঞ্জলি= পতৎ+অঞ্জলি; একাদশ= এক+দশ; বৃহস্পতি=বৃহৎ+পতি; গোষ্পদ= গো+পদ; বনস্পতি=বন+পতি; পরস্পর=পর+পর; তষ্কর= তৎ+কর; মনীষা= মনস্‌+ঈষা।

 রত্না + কর
 রত্ন + কর
 রত্না + আকার
 রত্ন + আকর
ব্যাখ্যাঃ

সন্ধির নিয়মানুসারে অ-কার কিংবা আ-কারের পর অ-কার কিংবা আ-কার থাকলে উভয়ে মিলে আ-কার হয়, আ-কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হয় অর্থাৎ অ/আ+অ/আ=আ। এখানে, অ + আ = আ হয়েছে। এরূপ আরো কয়েকটি সন্ধির উদাহরণ হলো- হিমালয়, দেবালয়, সিংহাসন ইত্যাদি।