১. নিচের কোন বাক্যটি প্রয়ােগগত দিক থেকে শুদ্ধ?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
অন্যান্য অপশন গুলোর শুদ্ধরূপ হলো: (ক) আমি কারও সাতেও নেই, পাঁচেও নেই, (খ) আপনি সপরিবারে আমন্ত্রিত এবং (ঘ) সারাজীবন ভূতের বেগার খেটে মরলাম।
২. নিচের কোনটি যৌগিক বাক্য?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো ঘঃ ছেলেটি চঞ্চল তবে মেধাবী।
যৌগিক বাক্য হলো সেই বাক্য, যেখানে দুই বা তার বেশি সরল বাক্য কোনো সংযোজক অব্যয় (যেমন: এবং, ও, কিন্তু, অথবা, তথাপি, বরং, কিংবা) দ্বারা যুক্ত থাকে এবং প্রতিটি সরল বাক্য স্বাধীনভাবে অর্থ প্রকাশ করতে পারে।
অপশন (ঘ)-তে "ছেলেটি চঞ্চল" একটি সরল বাক্য এবং "তবে মেধাবী" আরেকটি সরল বাক্য, যা "তবে" সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়েছে। উভয় বাক্যই স্বাধীনভাবে অর্থ প্রকাশ করতে সক্ষম।
অন্যান্য বাক্যগুলো সরল বা জটিল বাক্য:
-
কঃ দোষ স্বীকার করলে তােমাকে শাস্তি দেওয়া হবে না: এটি একটি জটিল বাক্য। এখানে "দোষ স্বীকার করলে" একটি অধীন খণ্ডবাক্য এবং "তােমাকে শাস্তি দেওয়া হবে না" প্রধান খণ্ডবাক্য।
-
খঃ তিনি বেড়াতে এসে কেনাকাটা করলেন: এটি একটি সরল বাক্য। এখানে একটি কর্তা ("তিনি") এবং দুটি অসমাপিকা ক্রিয়া ("বেড়াতে এসে", "করলেন") রয়েছে।
-
গঃ মহৎ মানুষ বলে সবাই তাঁকে সম্মান করেন: এটি একটি জটিল বাক্য। এখানে "মহৎ মানুষ বলে" একটি অধীন খণ্ডবাক্য এবং "সবাই তাঁকে সম্মান করেন" প্রধান খণ্ডবাক্য।
৩. ‘তাতে সমাজজীবন চলে না।’ – এ বাক্যটির অস্তিবাচক রূপ কোনটি?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ তাতে সমাজজীবন অচল হয়ে পড়ে।
ব্যাখ্যা:
অস্তিবাচক রূপ তৈরি করতে "না" বা বিপরীত অর্থের শব্দ ব্যবহার করা হয়।
প্রদত্ত বাক্য:
"তাতে সমাজজীবন চলে না।"
এখানে "চলে না" অংশের বিপরীত অর্থ "অচল হয়ে পড়ে"।
অন্য বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
- কঃ "তাতে সমাজজীবন চলে" (এটি আসল বাক্যের ইতিবাচক রূপ)
- খঃ "তাতে না সমাজজীবন চলে" (এটি ব্যাকরণগতভাবে সঠিক নয়)
- ঘঃ "তাতে সমাজজীবন সচল হয়ে পড়ে" (এটি ইতিবাচক রূপ, অস্তিবাচক নয়)
৪. ‘যিনি বিদ্বান, তিনি সর্বত্র আদরণীয়।’-এটি কোন ধরনের বাক্য?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
‘যিনি বিদ্বান, তিনি সর্বত্র আদরণীয়।’-এটি একটি জটিল বাক্য।
এই বাক্যে দুটি খণ্ডবাক্য রয়েছে:
১. যিনি বিদ্বান - এটি একটি অধীন খণ্ডবাক্য বা আশ্রিত বাক্য (subordinate clause)। কারণ এটি একা সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করতে পারে না, এর অর্থ সম্পূর্ণ করার জন্য অন্য একটি বাক্যের উপর নির্ভর করতে হয়। এটি 'যিনি' সাপেক্ষ সর্বনাম দিয়ে শুরু হয়েছে।
২. তিনি সর্বত্র আদরণীয় - এটি একটি প্রধান খণ্ডবাক্য বা স্বাধীন বাক্য (principal clause)। কারণ এটি একা সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করতে পারে।
যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক অধীন খণ্ডবাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলে। এই বাক্যে 'যিনি' এবং 'তিনি' সাপেক্ষ সর্বনামের মাধ্যমে দুটি খণ্ডবাক্য যুক্ত হয়ে একটি জটিল বাক্য গঠন করেছে।
৫. বাক্যের দুটি অংশ কী কী?
[ বিসিএস ৪২তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ উদ্দেশ্য, বিধেয়।
একটি সার্থক বাক্যের প্রধান দুটি অংশ হলো উদ্দেশ্য (Subject) এবং বিধেয় (Predicate)।
- উদ্দেশ্য: বাক্যের যে অংশে কারো বা কোনো কিছুর সম্পর্কে কিছু বলা হয়, তাকে উদ্দেশ্য বলে। সাধারণত বাক্যের কর্তা বা কর্তার স্থানীয় পদই উদ্দেশ্য হিসেবে কাজ করে।
- বিধেয়: বাক্যের যে অংশে উদ্দেশ্যের সম্পর্কে কিছু বলা হয়, তাকে বিধেয় বলে। বিধেয়ের মধ্যে ক্রিয়া এবং ক্রিয়ার সম্প্রসারণ (কর্ম, করণ, অধিকরণ ইত্যাদি) অন্তর্ভুক্ত থাকে।
অন্যান্য বিকল্পগুলো ব্যাকরণের ভিন্ন ভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত:
- কঃ প্রসাদগুণ, মাধুর্যগুণ: এগুলো সাহিত্যিক গুণ, যা বাক্য বা রচনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
- খঃ উপমা, অলংকার: এগুলোও সাহিত্যিক উপাদান, যা ভাষার সৌন্দর্য ও ভাব প্রকাশে সাহায্য করে।
- ঘঃ সাধু, চলিত: এগুলো বাংলা ভাষার দুটি রূপ বা রীতি।
৬. শুদ্ধ বাক্য নয় কোনটি?
[ বিসিএস ৪২তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ অঅকারণে ঋণ করিও না।
এই বাক্যটি ব্যাকরণগতভাবে শুদ্ধ নয়। সঠিক বাক্যটি হবে:
অকারণে ঋণ করিও না
এখানে "অ" এবং "আ" একসাথে ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। "অকারণে" শব্দটি নিজেই "কারণ ছাড়া" অর্থ প্রকাশ করে।
অন্যান্য বাক্যগুলো শুদ্ধ:
- কঃ বিদ্বান হলেও তার কোনো অহংকার নেই: এটি একটি যৌগিক বাক্য এবং ব্যাকরণসম্মত।
- খঃ ইশ! যদি পাখির মত পাখা পেতাম।: এটি একটি আকাঙ্ক্ষাবাচক বাক্য এবং ব্যাকরণসম্মত।
- ঘঃ হয়তো সোহমা আসতে পারে: এটি একটি সন্দেহবাচক বাক্য এবং ব্যাকরণসম্মত।
৭. ‘এবার আমার একটি বিচিত্র অভিজ্ঞতা হলো’- এ বাক্য কোন ধরনের?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো খঃ নির্দেশাত্মক।
এই বাক্যটি একটি সাধারণ বিবৃতি প্রদান করছে, যেখানে বক্তা তার একটি বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা নির্দেশ করছেন বা জানাচ্ছেন। এটি কোনো আদেশ, বিস্ময়, বা প্রশ্ন প্রকাশ করছে না।
অন্যান্য বিকল্পগুলোর ব্যাখ্যা:
- অনুজ্ঞাবাচক: আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ ইত্যাদি বোঝায় (যেমন: "তুমি এখন যাও")।
- বিস্ময়বোধক: বিস্ময় বা আবেগ প্রকাশ করে এবং শেষে বিস্ময়সূচক চিহ্ন (!) থাকে (যেমন: "কী বিচিত্র অভিজ্ঞতা!")।
- প্রশ্নবোধক: কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে এবং শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) থাকে (যেমন: "তোমার কি কোনো বিচিত্র অভিজ্ঞতা হলো?")।
সঠিক উত্তর: বাক্যতত্ত্ব
ব্যাখ্যা:
ধ্বনিতত্ত্ব ও শব্দতত্ত্ব ভাষার মৌলিক উপাদান নিয়ে আলোচনা করে, যেমন—ধ্বনি, শব্দগঠন, অর্থ ইত্যাদি। তবে এই উপাদানগুলোকে যথাযথভাবে বাক্যে ব্যবহার করার যে নীতি ও নিয়ম—তাকে বলে বাক্যতত্ত্ব (Syntax)।
অপশন বিশ্লেষণ:
- কঃ রসতত্ত্ব: সাহিত্যের সৌন্দর্য ও অনুভূতির বিশ্লেষণ; ভাষার গঠনসংক্রান্ত নয়।
- খঃ রূপতত্ত্ব (Morphology): শব্দের গঠন ও পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করে।
- গঃ বাক্যতত্ত্ব (Syntax): শব্দ ও ধ্বনি কীভাবে বাক্যে বসে তার নিয়ম ও গঠন বিশ্লেষণ করে – সঠিক।
- ঘঃ ক্রিয়ার কাল: কেবল ক্রিয়ার সময় নির্দেশ করে, বাক্যগঠনের পূর্ণ বিধান নয়।
তাই, "ধ্বনিতত্ত্ব ও শব্দতত্ত্ব বাক্যে যথাযথভাবে ব্যবহার করার বিধান" = বাক্যতত্ত্ব (Syntax)।
৯. কোনটি সার্থক বাক্যের গুণ নয়?
[ বিসিএস ৩৮তম ]
আসক্তি সার্থক বাক্যের গুণ নয়।
ব্যাখ্যা:
একটি সার্থক বাক্যের তিনটি গুণ রয়েছে: ১. আকাঙ্ক্ষা: একটি পদের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছা। ২. যোগ্যতা: বাক্যের পদগুলোর মধ্যে অর্থগত ও ভাবগত সঙ্গতি। ৩. আসত্তি (নৈকট্য): বাক্যের পদগুলোকে সুবিন্যস্তভাবে ও পরপর সাজিয়ে লেখা।
আসক্তি শব্দের অর্থ হলো গভীর অনুরাগ, আকর্ষণ বা আসক্ত হওয়া। এটি সার্থক বাক্যের কোনো গুণ নয়। 'আসক্তি' একটি মানসিক অবস্থা, যা ব্যাকরণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়।
১০. কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
[ বিসিএস ৩৭তম ]
প্রতিটি বাক্য বিশ্লেষণ করে দেখি কোনটি শুদ্ধ:
-
কঃ আপনি স্বপরিবারে আমন্ত্রিত।
- এই বাক্যটি অশুদ্ধ। 'স্বপরিবারে' শব্দটি ভুল। শুদ্ধ বানান হবে 'সপরিবারে'। 'স' উপসর্গ যুক্ত হলে 'স্ব' হয় না।
- শুদ্ধ বাক্য: আপনি সপরিবারে আমন্ত্রিত।
-
খঃ তার কথা শুনে আমি আশ্চর্যান্বিত হলাম।
- এই বাক্যটি শুদ্ধ। 'আশ্চর্য' থেকে 'আশ্চর্যান্বিত' শব্দটি গঠিত, যার অর্থ আশ্চর্য বোধ করা বা বিস্মিত হওয়া।
-
গঃ তোমার পরশ্রীকাতরতায় আমি মুগ্ধ।
- এই বাক্যটি অশুদ্ধ। 'পরশ্রীকাতরতা' (অন্যের উন্নতিতে ঈর্ষা) একটি নেতিবাচক গুণ। এতে কেউ 'মুগ্ধ' হয় না। বরং 'বিরক্ত' বা 'ক্ষুব্ধ' হতে পারে। এটি অর্থের দিক থেকে ভুল।
- শুদ্ধ বাক্য: তোমার পরশ্রীকাতরতায় আমি বিরক্ত/ক্ষুব্ধ হলাম।
-
ঘঃ সেদিন থেকে তিনি সেখানে আর যায় না।
- এই বাক্যটি অশুদ্ধ। 'তিনি' একটি সম্মানসূচক সর্বনাম, তাই এর সাথে 'যায় না' ক্রিয়াটি ব্যবহার করা ভুল। শুদ্ধ ক্রিয়াপদ হবে 'যান না'।
- শুদ্ধ বাক্য: সেদিন থেকে তিনি সেখানে আর যান না।
সুতরাং, শুদ্ধ বাক্যটি হলো খঃ তার কথা শুনে আমি আশ্চর্যান্বিত হলাম।
মূল বাক্য: ‘মিথ্যাবাদীকে সবাই অপছন্দ করে’ (এটি একটি ইতিবাচক বাক্য, যা একটি নেতিবাচক অর্থ প্রকাশ করছে)।
এই বাক্যটিকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর করতে হবে, যার অর্থ একই থাকবে।
- কঃ মিথ্যাবাদীকে সবাই পছন্দ করে: এটি মূল বাক্যের অর্থের বিপরীত।
- খঃ মিথ্যাবাদীকে সবাই পছন্দ না করে পারে না: এটি একটি দ্বৈত নেতিবাচক বাক্য, যার অর্থ "সবাই পছন্দ করে"। এটি মূল বাক্যের অর্থের বিপরীত।
- গঃ মিথ্যাবাদীকে কেউ পছন্দ করে না: এটি মূল বাক্যের অর্থকে সঠিকভাবে নেতিবাচক রূপে প্রকাশ করে। "সবাই অপছন্দ করে" মানে "কেউ পছন্দ করে না"।
- ঘঃ মিথ্যাবাদীকে কেউ অপছন্দ করে না: এটিও মূল বাক্যের অর্থের বিপরীত।
সুতরাং, সঠিক রূপান্তরটি হলো মিথ্যাবাদীকে কেউ পছন্দ করে না
১২. কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
[ বিসিএস ৩৫তম ]
‘দৈন্যতা’ অশুদ্ধ শব্দটির শুদ্ধরূপ ‘দৈন্য’।
‘খ’ অপশনে প্রদত্ত ‘মহত্ব’ এর সঠিক বানান ‘মহত্ত্ব’।
১৩. কোনটি বাক্যের বৈশিষ্ট্য নয়?
[ বিসিএস ৩৫তম ]
একটি সার্থক বাক্যের তিনটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য থাকে: ১. আকাঙ্ক্ষা: বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণভাবে বোঝার জন্য শ্রোতার মনে আর কিছু শোনার যে ইচ্ছা জাগে। (যেমন: "সূর্য" বললে শ্রোতার মনে "সূর্য কী?" এমন প্রশ্ন জাগে, তাই বাক্যটি অসম্পূর্ণ।) ২. আসত্তি (নৈকট্য): বাক্যের পদগুলো সুবিন্যস্তভাবে এবং পরপর বসানো যাতে অর্থ বুঝতে কোনো অসুবিধা না হয়। (যেমন: "আছে একটি মাঠে চরে গরু" না হয়ে "মাঠে গরু চরে আছে"।) ৩. যোগ্যতা: বাক্যের অন্তর্গত পদগুলোর অর্থগত এবং ভাবগত সংগতি বা সঙ্গতি। (যেমন: "গরু আকাশে উড়ে" বাক্যটি যোগ্যতা হারায়, কারণ গরুর ওড়ার ক্ষমতা নেই।)
আসক্তি শব্দের অর্থ হলো আসক্ত বা লিপ্ত হওয়া, যা একটি মানসিক অবস্থা এবং বাক্যের বৈশিষ্ট্য নয়।
১৪. কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
[ বিসিএস ৩৩তম ]
এটি একটি জটিল বাক্য।
কারণ এই বাক্যে দুটি খণ্ডবাক্য রয়েছে: ১. ‘তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা’ (অসমাপিকা খণ্ডবাক্য) ২. ‘সখিনা বিবির কপাল ভাঙল’ (সমাপিকা খণ্ডবাক্য)
একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের সাথে এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য যখন সংযোজিত হয়, তখন তাকে জটিল বাক্য বলে।
১৬. ‘মা ছিল না বলে কেউ তার চুল বেঁধে দেয়নি।’ এটি একটি-
[ বিসিএস ৩২তম ]
এটি একটি সরল বাক্য।
সরল বাক্য-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী, যে বাক্যে একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে এবং একটি মাত্র বক্তব্য বা ভাব প্রকাশিত হয়, তাকে সরল বাক্য বলে।
আপনার দেওয়া বাক্যটিতে ("মা ছিল না বলে কেউ তার চুল বেঁধে দেয়নি।") একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া আছে, সেটি হলো ‘বেঁধে দেয়নি’। এখানে ‘মা ছিল না বলে’ অংশটি কারণ বোঝালেও এটি কোনো পৃথক বাক্য বা খণ্ডবাক্য নয়। এটি মূল বাক্যেরই একটি অংশ, যা বাক্যটিকে একটি সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ করতে সাহায্য করে।
১৭. বাক্যের তিনটি গুণ কি কি?
[ বিসিএস ২৯তম ]
ভাষার বিচারে বাক্যের ৩টি গুণ থাকা আবশ্যক- ১. আকাঙ্ক্ষা, ২. আসত্তি ও ৩. যোগ্যতা। বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছা তা-ই আকাঙ্ক্ষা। বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষার জন্য সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসই আসত্তি। আর বাক্যস্থিত পদসমূহের অন্তর্গত এবং ভাবগত মেলবন্ধনের নাম যোগ্যতা।
যে পূর্ণ বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য ও এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য পরস্পর সম্পর্কযুক্ত থাকে তাকে মিশ্র বা জটিল বাক্য বলে। যেমন - যারা মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করে, তারা পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়। সুতরাং আলোচ্য বাক্যটি মিশ্র বাক্য।
১৯. কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
[ বিসিএস ২৫তম ]
‘সংশয়’ শব্দটি একটি বিশেষ্যপদ, যার বিশেষণ হলো ‘সংশয়াপূর্ণ’। সংশয়াপূর্ণ শব্দটির অর্থ সন্দেহপূর্ণ বা দ্বিধাপূর্ণ। উপরিউক্ত বাক্যে ‘তাহার জীবন সংশয়াপূর্ণ’ দ্বারা গভীর অনিশ্চয়তা প্রকাশ করা হয়েছে।
যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য ও তাকে আশ্রয় বা অবলম্বন করে এক বা একাধিক খণ্ডবাক্য থাকে, তাকে জটিল বা মিশ্র বাক্য বলে। জটিল বাক্যে একাধিক খণ্ডবাক্য থাকে। এদের মধ্যে একটি প্রধান থাকে, এবং অন্যগুলো সেই বাক্যের উপর নির্ভর করে। প্রতিটি খণ্ড-বাক্যের পরে কমা (,) বসে। অর্থাৎ যে বাক্যে একটি স্বাধীন বাক্য এবং এক বা একাধিক অধীন বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বা মিশ্র বাক্য বলে। যেমন – যে পরিশ্রম করে, সে-ই সুখ লাভ করে। (প্রথম অংশটি আশ্রিত খণ্ডবাক্য, দ্বিতীয়টি প্রধান খণ্ডবাক্য) যিনি পরের উপকার করেন, তাঁকে সবাই শ্রদ্ধা করে। * কোথাও পথ না পেয়ে তোমার কাছে এসেছি। জটিল বা মিশ্র বাক্য চেনার সহজ উপায় কি? জটিল বা মিশ্র বাক্য চেনার সহজ উপায়ঃ এ ধরনের বাক্যে সাধারণত যে- সে, যত- তত, যারা- তারা, যাদের- তাদের, যখন- তখন – এ ধরনের সাপেক্ষ সর্বনাম পদ থাকে। দুইটি অব্যয় যদি অর্থ প্রকাশের জন্য পরস্পরের উপর নির্ভর করে, তবে তাকে সাপেক্ষ সর্বনাম বলে। আবার যদি – তবু, অথচ- তথাপি– এ রকম কিছু পরস্পর সাপেক্ষ সর্বনাম/অব্যয়ও জটিল/মিশ্র বাক্যে ব্যবহৃত হয়। তবে এ ধরনের অব্যয় ছাড়াও জটিল বা মিশ্র বাক্য হতে পারে।
এরূপ ক্ষেত্রে বাক্যের ভাব বুঝেই ‘কী’ এর অর্থ নিরূপণ করতে হবে। সে হিসেবে এর অর্থ ‘ভয়’, ‘রাগ’ বা ‘বিপদ’ নয়, অবশ্যই 'বিরক্ত'।
২২. ‘তার বয়স বেড়েছে কিন্তু বুদ্ধি বাড়েনি’- এটা কোন ধরনের বাক্য?
[ বিসিএস ১৮তম ]
পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা মিশ্র বাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। প্রশ্নে প্রদত্ত বাক্যটি যৌগিক। কারণ, এখানে দুটি নিরপেক্ষ বাক্য রয়েছে। ১. তার বয়স বেড়েছে ২. তার বুদ্ধি বাড়েনি- বাক্য দুটি অব্যয় দ্বারা যুক্ত।
২৩. কোন বাক্যটি দ্বারা অনুরোধ বুঝায়?
[ বিসিএস ১৮তম ]
আদেশ অর্থে : তুই বাড়ি যা। প্রার্থনা অর্থে : ক্ষমা করা মোর অপরাধ। অনুরোধ অর্থে : কাল একবার এসো। ভর্ৎসনা অর্থে : দূর হও।
এটি সরল বাক্য। কারণ বাক্যটিতে একটি কর্তা ও একটি সমাপিকা ক্রিয়া রয়েছে।
২৫. যৌগিক বাক্যের অন্যতম গুণ কি?
[ বিসিএস ১৪তম ]
পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বাক্য বা মিশ্রবাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন: উদয়াস্ত পরিশ্রম করব, তথাপি অন্যের দারস্থ হব না।
২৬. কোন বাক্যে নাম পুরুষের ব্যবহার করা হয়েছে?
[ বিসিএস ১৩তম ]
ওরা কি করে?- নাম পুরুষ (তুচ্ছার্থে)। আপনি আসবেন?- মধ্যম পুরুষ (সম্মানার্থে)। আমরা যাচ্ছি- উত্তম পুরুষ। তোরা খাসনে- মধ্যম পুরুষ (তুচ্ছার্থে)।
২৭. শুদ্ধ বাক্যটি চিহ্নিত করুন-
[ বিসিএস ১২তম ]
বিদ্যান, দারিদ্র, দারিদ্রতা শব্দগুলোর শুদ্ধরূপ হলো: বিদ্বান, দারিদ্র্য, দরিদ্রতা।
২৮. কোনটি শুদ্ধ বাক্য?
[ বিসিএস ১১তম ]
২৯. শুদ্ধ বাক্য কোনটি?
[ বিসিএস ১০তম ]
অনাথা শব্দটি অনাথ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ। বর্তমান বাংলা ভাষা রীতি অনুসারে শব্দের শেষে 'ঃ' বসে না।
তাই 'দুর্বলতাবশতঃ' এর শুদ্ধরূপ 'দুর্বলতাবশত'।
৩০. কোন প্রবচন বাক্য ব্যবহারিক দিক হতে সঠিক?
[ বিসিএস ১০তম ]
‘যত গর্জে তত বর্ষে না’, ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা’, ‘যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয়’ প্রবচন বাক্যগুলি ব্যবহারিক দিক হতে সঠিক নয়।