আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. প্লেটো
খ. হেগেল
গ. জি. ই. ম্যূর
ঘ. রাসেল
ব্যাখ্যাঃ

"মানুষ হও এবং মরে বাঁচ।" — এটি হেগেল (Georg Wilhelm Friedrich Hegel)-এর উক্তি।

হেগেল এই কথার মাধ্যমে মানুষের আত্মবিকাশ ও আত্মত্যাগের গভীর দর্শন ব্যাখ্যা করেছেন, যেখানে "মৃত্যু" মানে হলো নিজের সংকীর্ণ স্বার্থের মৃত্যু এবং বৃহত্তর সত্য ও ন্যায়ের জন্য বেঁচে থাকা।

ক. ২০১০
খ. ২০১১
গ. ২০১২
ঘ. ২০১৮
ব্যাখ্যাঃ

জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল নীতিমালা ২০১২ সালে পাশ হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই নীতিমালা অনুমোদন করে। এর মূল লক্ষ্য হলো রাষ্ট্র ও সমাজে শুদ্ধাচার চর্চা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।

ক. আর. বি. পেরি
খ. প্লেটো
গ. সি. ডি. ব্রড
ঘ. বার্ট্রান্ড রাসেল
ব্যাখ্যাঃ

“দর্শন হচ্ছে ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী এক অনধিকৃত প্রদেশ।” – এই উক্তিটি করেছেন বারট্রান্ড রাসেল

তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবিদ, লেখক, সমাজ সমালোচক এবং শান্তিকর্মী। তাঁর এই উক্তিটি দর্শনের স্বতন্ত্র অবস্থান এবং জ্ঞানার্জনের বিভিন্ন শাখার মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য।

ক. নৈতিক
খ. অর্থনৈতিক
গ. রাজনৈতিক
ঘ. সামাজিক
ব্যাখ্যাঃ

ভালো-মন্দ হলো নৈতিক মূল্যবোধ (Moral Values)।

নৈতিক মূল্যবোধ সমাজের রীতিনীতি, ন্যায়-অন্যায় বোধ এবং মানুষের আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ করে। ভালো এবং মন্দ এই দুটি ধারণা নৈতিকতার মূল ভিত্তি।

ক. থেলিস
খ. সক্রেটিস
গ. এ্যারিস্টটল
ঘ. প্লেটো
ব্যাখ্যাঃ

‘জ্ঞান হয় পুণ্য’—এই বিখ্যাত উক্তিটি প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের

সক্রেটিস বিশ্বাস করতেন যে মানুষ ভুল করে অজ্ঞতার কারণে। যদি কেউ সত্য ও জ্ঞানের অধিকারী হয়, তবে সে কখনোই অন্যায় কাজ করতে পারে না। তার মতে, জ্ঞানই নৈতিক আচরণের ভিত্তি।

ক. ধর্ম
খ. সমাজ
গ. নৈতিক চেতনা
ঘ. রাষ্ট্র
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর: গঃ নৈতিক চেতনা

মূল্যবোধের উৎস মূলত নৈতিক চেতনার ভিত থেকে সৃষ্টি হয়। নৈতিক চেতনা মানুষের চিন্তা, আদর্শ ও জীবনধারার ভিত্তি গড়ে তোলে, যা সমাজ, ধর্ম, রাষ্ট্র এবং অন্যান্য বাহ্যিক উপাদানের ওপর প্রভাব ফেলে।

তবে সমাজ, ধর্ম ও রাষ্ট্র মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এগুলোর মাধ্যমে নৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটে ও সামাজিক জীবনব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত হয়।

ক. নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য
খ. স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন
গ. শক্তিশালী রাজনৈতিক দল
ঘ. পরমতসহিষ্ণুতা
ব্যাখ্যাঃ

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ঘঃ পরমতসহিষ্ণুতা

যদিও অন্যান্য উপাদানগুলোও গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে পরমতসহিষ্ণুতা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি স্থাপন করে। এর কারণগুলো হলো:

  • বহুমাত্রিকতা ও ভিন্ন মতের স্বীকৃতি: গণতন্ত্রে বিভিন্ন বিশ্বাস, আদর্শ ও মতামতের সহাবস্থান অপরিহার্য। পরমতসহিষ্ণুতা ভিন্ন মতকে সম্মান জানাতে এবং অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সাহায্য করে।
  • সহিংসতা পরিহার: পরমতসহিষ্ণুতার অভাবে সমাজে অসহিষ্ণুতা ও সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ উপায়ে মতপার্থক্য মীমাংসার জন্য এই গুণটি অত্যাবশ্যক।
  • আলোচনা ও সমঝোতার সুযোগ: পরমতসহিষ্ণুতা থাকলে বিভিন্ন পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে একটি সাধারণ সমাধানে পৌঁছাতে পারে। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কার্যকর করে তোলে।
  • অধিকারের সুরক্ষা: অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকলে সংখ্যালঘু ও দুর্বল গোষ্ঠীর অধিকারও সুরক্ষিত থাকে।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর গুরুত্বও অনস্বীকার্য:

  • নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য: প্রশ্নহীন আনুগত্য গণতন্ত্রের পরিপন্থী। গণতান্ত্রিক সমাজে নাগরিকরা যুক্তিসঙ্গত সমালোচনা ও বিকল্প নেতৃত্বের অধিকার রাখে।
  • স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন অত্যাবশ্যক, তবে এটি একটি প্রক্রিয়াগত উপাদান।
  • শক্তিশালী রাজনৈতিক দল: শক্তিশালী রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখে, তবে অতিরিক্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হলে তা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হতে পারে।

পরিশেষে বলা যায়, পরমতসহিষ্ণুতা একটি মানসিক ও সামাজিক গুণ যা গণতন্ত্রের মূল চেতনাকে ধারণ করে এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক উপাদানগুলোর কার্যকর কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।

ক. সমাজে বসবাসের মাধ্যমে
খ. বিদ্যালয়ে
গ. পরিবারে
ঘ. রাষ্ট্রের মাধ্যমে
ব্যাখ্যাঃ

প্রাথমিকভাবে একজন মানুষের মানবীয় গুণাবলি ও সামাজিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে গঃ পরিবারে

পরিবার হলো শিশুর প্রথম শিক্ষাঙ্গন। এখানেই শিশুরা ভালোবাসা, সহানুভূতি, সহযোগিতা, সততা, ন্যায়বিচার এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের মতো মৌলিক মানবীয় গুণাবলি ও সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে প্রথম ধারণা লাভ করে। মা-বাবা, ভাই-বোন এবং অন্যান্য নিকটাত্মীয়দের আচার-আচরণ ও পারস্পরিক সম্পর্কের মাধ্যমে শিশুরা সামাজিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কে শেখে।

যদিও সমাজ (ক), বিদ্যালয় (খ), এবং রাষ্ট্রও (ঘ) মানুষের মূল্যবোধ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তবে শৈশবে পরিবারের প্রভাব সবচেয়ে গভীর ও স্থায়ী হয়। বিদ্যালয়ে শিশুরা জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি সামাজিক নিয়মকানুন ও মূল্যবোধ সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জানতে পারে। সমাজে মেলামেশার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে পরিচিত হয় এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। রাষ্ট্রীয় নীতি ও আইনের মাধ্যমেও কিছু মূল্যবোধ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়।

তবে, একেবারে শুরুতে, যখন একটি শিশুর মন সবচেয়ে বেশি গ্রহণক্ষম থাকে, তখন পরিবারই তাকে মানবীয় গুণাবলি ও সামাজিক মূল্যবোধের বীজ বপন করে। এই প্রাথমিক শিক্ষা ভবিষ্যতের জীবনে তার চরিত্র ও আচরণকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।

ক. সততা
খ. সদাচার
গ. কর্তব্যবােধ
ঘ. মূল্যবােধ
ব্যাখ্যাঃ

যে গুণের মাধ্যমে মানুষ ‘ভুল’ ও ‘শুদ্ধ’-এর পার্থক্য নির্ধারণ করতে পারে, তা হচ্ছে ঘঃ মূল্যবােধ

মূল্যবোধ হলো সেই নীতি, আদর্শ বা বিশ্বাস যা একজন ব্যক্তি বা সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং যা তাদের আচরণ ও সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। মূল্যবোধের মাধ্যমেই মানুষ কোনটা ন্যায়সঙ্গত, কোনটা অন্যায়, কোনটা সঠিক এবং কোনটা ভুল - তা বিচার করতে পারে।

অন্যান্য বিকল্পগুলোও গুরুত্বপূর্ণ, তবে মূল্যবোধের ধারণার অন্তর্ভুক্ত:

  • সততা: একটি বিশেষ মূল্যবোধ যা সত্য বলা ও বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার ধারণাকে বোঝায়।
  • সদাচার: নৈতিক ও ন্যায়সঙ্গত আচরণকে বোঝায়, যা মূল্যবোধ দ্বারা চালিত হয়।
  • কর্তব্যবোধ: নির্দিষ্ট দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা পালনের অনুভূতি, যা মূল্যবোধের অংশ হতে পারে।

মূল্যবোধের ব্যাপক ধারণাই মানুষকে সাধারণভাবে ভুল ও শুদ্ধের পার্থক্য বুঝতে এবং সেই অনুযায়ী আচরণ করতে দিকনির্দেশনা দেয়।

ক. সমাজ
খ. নৈতিক চেতনা
গ. রাষ্ট্র
ঘ. ধর্ম
ব্যাখ্যাঃ

নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের জীবনে অনুসরণযোগ্য এমন কিছু আচরণ বিধি, মানুষের জীবন ব্যবস্থা ও জীবন পদ্ধতিকে সঠিক সুন্দর পথে পরিচালনা করে। ধর্মের কল্যাণধর্মী মর্মবাণী অনুসরণ ও অনুকরণের মাধ্যমে মানুষের জীবনে নৈতিক মূল্যবোধের উজ্জ্বল প্রকাশ ঘটে। ধর্ম থেকে উৎসারিত নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের নৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটায় এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন - অগ্রগতি সাধন করে।

ক. ২০১০
খ. ২০১১
গ. ২০১২
ঘ. ২০১৩
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (National Integrity Strategy - NIS) প্রণয়ন করা হয়। এই কৌশলটির মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।

ক. বিভিন্নতা
খ. পরিবর্তনশীলতা
গ. আপেক্ষিকতা
ঘ. উপরের সবগুলো
ব্যাখ্যাঃ

মূল্যবোধের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:

  • আপেক্ষিকতা (Relativity): মূল্যবোধ স্থান, কাল, সমাজ ও সংস্কৃতিভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যা এক সমাজে মূল্যবান বলে বিবেচিত হয়, অন্য সমাজে তা নাও হতে পারে। এমনকি একই সমাজে সময়ের সাথে সাথে মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘটতে দেখা যায়।

  • স্থায়িত্ব ও পরিবর্তনশীলতা (Durability and Changeability): মূল্যবোধ সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সহজে পরিবর্তিত হয় না। তবে সময়ের প্রয়োজনে, সামাজিক বিবর্তনে বা নতুন প্রজন্মের প্রভাবে মূল্যবোধের পরিবর্তনও ঘটতে পারে।

  • স্তরায়ণ (Hierarchy): বিভিন্ন মূল্যবোধের মধ্যে একটি অগ্রাধিকারের স্তর বিদ্যমান থাকে। ব্যক্তি বা সমাজ কোন মূল্যবোধকে বেশি গুরুত্ব দেবে, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

  • অভ্যন্তরীণতা (Internality): মূল্যবোধ ব্যক্তি কর্তৃক অর্জিত হয় এবং তার বিশ্বাস ও আচরণের অংশ হয়ে ওঠে। এটি বাহ্যিক চাপ বা আরোপিত বিষয় নয়, বরং ব্যক্তির নিজস্ব উপলব্ধি ও বিবেচনার ফল।

  • দিকনির্দেশনা (Directionality): মূল্যবোধ মানুষের আচরণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। কী করা উচিত, কী অনুচিত – এই বিষয়ে মূল্যবোধ একটি মানদণ্ড তৈরি করে।

  • সামাজিক অনুমোদন (Social Approval): সাধারণত, সমাজে প্রচলিত মূল্যবোধগুলো সামাজিক স্বীকৃতি ও সমর্থন লাভ করে। এই মূল্যবোধগুলো মেনে চলার মাধ্যমেই ব্যক্তি সমাজের সাথে সংগতি রক্ষা করে।

  • মানবিক গুণাবলীর পরিচায়ক (Indicator of Human Qualities): মূল্যবোধ মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও মানবিক গুণাবলীকে প্রকাশ করে। সততা, ন্যায়বিচার, সহমর্মিতা ইত্যাদি মূল্যবোধ একজন মানুষের ব্যক্তিত্বকে উন্নত করে।

সংক্ষেপে, মূল্যবোধ আপেক্ষিক, তুলনামূলকভাবে স্থায়ী কিন্তু পরিবর্তনযোগ্য, অগ্রাধিকারভিত্তিক, অভ্যন্তরীণভাবে অর্জিত, আচরণে দিকনির্দেশক, সামাজিকভাবে অনুমোদিত এবং মানবিক গুণাবলীর পরিচায়ক।

ক. প্রজ্ঞা, সাহস, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ন্যায়
খ. আত্মপ্রত্যয়, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ
গ. সুখ, ভালোত্ব ও প্রেম
ঘ. প্রজ্ঞা, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সুখ ও ন্যায়
ব্যাখ্যাঃ

প্লেটো 'সদগুণ' (Virtue) বলতে মূলত জ্ঞানের (Knowledge) কথা বুঝিয়েছেন। তবে তার ধারণায় সদগুণ শুধুমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান নয়, বরং এটি এক ধরনের ব্যবহারিক জ্ঞান যা মানুষকে সঠিক পথে চালিত করে এবং ন্যায়সঙ্গত কাজ করতে সাহায্য করে।

প্লেটোর মতে, সদগুণ হলো আত্মার সুষম অবস্থা। মানুষের আত্মা তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত:

  • যুক্তি (Reason): যা জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অন্বেষণ করে।
  • ইচ্ছা বা স্পৃহা (Spirit): যা সাহস ও দৃঢ়তার উৎস।
  • ক্ষুধা বা কামনা (Appetite): যা শারীরিক চাহিদা ও বাসনার সাথে জড়িত।

প্লেটোর মতে, যখন এই তিনটি অংশ সঠিক ভারসাম্যে থাকে এবং যুক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তখনই মানুষের মধ্যে সদগুণ তৈরি হয়।

এছাড়াও, প্লেটো চারটি প্রধান সদগুণের কথা বলেছেন, কার্ডিনাল ভার্চুস (Cardinal Virtues) বলা হয়:

  • প্রজ্ঞা (Wisdom): সঠিক জ্ঞান এবং বিচক্ষণতা।
  • সাহস (Courage): ভয়কে জয় করার এবং ন্যায়সঙ্গত কাজের জন্য দৃঢ়তা।
  • মিতব্যয়িতা (Temperance): নিজের কামনা ও বাসনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং পরিমিত আচরণ করা।
  • ন্যায়বিচার (Justice): সমাজের প্রতিটি স্তরে এবং ব্যক্তির আত্মার অভ্যন্তরে সঠিক ভারসাম্য ও সামঞ্জস্য বজায় রাখা।

সুতরাং, প্লেটোর কাছে সদগুণ শুধুমাত্র জ্ঞান নয়, বরং জ্ঞান, আত্মার ভারসাম্য এবং এই চারটি প্রধান গুণের সমন্বিত রূপ যা একটি ভালো ও ন্যায়সঙ্গত জীবন যাপনে সহায়তা করে।

ক. সামাজিক মূল্যবোধ
খ. ইতিবাচক মূল্যবোধ
গ. গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
ঘ. নৈতিক মূল্যবোধ
ব্যাখ্যাঃ

রাষ্ট্র, সরকার ও গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত মূল্যবোধকে সাধারণভাবে সামাজিক মূল্যবোধ বলা যেতে পারে। তবে এর মধ্যে আরও কিছু নির্দিষ্ট ধরনের মূল্যবোধ অন্তর্ভুক্ত থাকে:

  • গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ: একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই মূল্যবোধগুলো রাষ্ট্র, সরকার এবং বিভিন্ন গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত ও চর্চিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে পরমতসহিষ্ণুতা, আইনের শাসন, সাম্য, ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ইত্যাদি।
  • নৈতিক মূল্যবোধ: নীতি ও ঔচিত্যবোধ থেকে উৎসারিত এই মূল্যবোধগুলো রাষ্ট্র ও সমাজে সাধারণভাবে স্বীকৃত হয়। যেমন - সততা, ন্যায়বিচার, কর্তব্যপরায়ণতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি।
  • আইনের শাসন: এটি এমন একটি মূল্যবোধ যা রাষ্ট্র কর্তৃক বিশেষভাবে স্বীকৃত এবং এর মাধ্যমেই সমাজের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সরকার এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে বাধ্য।
  • মানবাধিকার: জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল মানুষের মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র, সরকার ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত।

সুতরাং, সামাজিক মূল্যবোধের একটি বৃহত্তর কাঠামোর মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, নৈতিক মূল্যবোধ এবং আইনের শাসনের মতো বিষয়গুলো রাষ্ট্র, সরকার এবং বিভিন্ন গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত হয়ে থাকে।

ক. শিক্ষার মাধ্যমে
খ. সুশাসনের মাধ্যমে
গ. ধর্মের মাধ্যমে
ঘ. গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে
ব্যাখ্যাঃ

মূল্যবোধ দৃঢ় হয় প্রধানত শিক্ষার মাধ্যমে।

শিশুকাল থেকেই পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মূল্যবোধের ভিত্তি স্থাপন হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিছু মূল্যবোধ দৃঢ় হয়, কিছু পরিবর্তিত হয় এবং কিছু নতুন মূল্যবোধ অর্জিত হয়।

মূল্যবোধ দৃঢ় হওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে:

  • শিক্ষা: সঠিক শিক্ষা মূল্যবোধের জ্ঞান দান করে এবং তা অনুশীলনে উৎসাহিত করে।
  • পরিবার: পরিবার হলো মূল্যবোধের প্রথম পাঠশালা। পারিবারিক রীতিনীতি ও ঐতিহ্য মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • ধর্ম: ধর্মীয় শিক্ষা এবং বিশ্বাস অনেক মূল্যবোধের উৎস হিসেবে কাজ করে।
  • সুশাসন: সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত থাকলে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মূল্যবোধ দৃঢ় হয়।
  • গণতন্ত্র চর্চা: গণতান্ত্রিক সমাজে অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সহনশীলতার মতো মূল্যবোধগুলো বিকশিত হয়।
  • সামাজিক পরিবেশ: সমাজের প্রথা, রীতিনীতি এবং মানুষের পারস্পরিক আচরণ মূল্যবোধকে প্রভাবিত করে।
  • ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা: জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা মূল্যবোধকে আরও দৃঢ় বা পরিবর্তন করতে পারে।
ক. উন্নয়ন
খ. গণতন্ত্র
গ. সংস্কৃতি
ঘ. সুশাসন
ব্যাখ্যাঃ

মূল্যবোধের চালিকা শক্তি হলো সংস্কৃতি

সংস্কৃতি হলো একটি সমাজের দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস, রীতিনীতি, আচার-আচরণ, জ্ঞান, শিল্পকলা এবং জীবনযাত্রার সামগ্রিক রূপ। মূল্যবোধগুলো এই সংস্কৃতির মধ্য দিয়েই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় এবং সমাজের সদস্যদের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলোও গুরুত্বপূর্ণ হলেও, সংস্কৃতির ভূমিকাই এখানে মুখ্য:

  • উন্নয়ন: উন্নয়ন একটি সমাজের অগ্রগতি নির্দেশ করে, তবে এটি মূল্যবোধের সৃষ্টি বা প্রধান চালিকা শক্তি নয়। বরং, উন্নয়নের লক্ষ্য ও পদ্ধতি মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।
  • গণতন্ত্র: গণতন্ত্র একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যা কিছু মূল্যবোধের (যেমন - স্বাধীনতা, সাম্য) উপর ভিত্তি করে গঠিত হলেও, সকল মূল্যবোধের চালিকা শক্তি নয়।
  • সুশাসন: সুশাসন একটি আদর্শ প্রশাসনিক ব্যবস্থা, যা ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। এটি সমাজে কিছু ইতিবাচক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হলেও, মূল্যবোধের মূল উৎস সংস্কৃতি।
ক. মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ
খ. মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
গ. সমাজজীবনে মানুষের সুখী হওয়ার প্রয়োজনীয় উপাদান
ঘ. মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলীর দিক নির্দেশনা
ব্যাখ্যাঃ

মূল্যবোধ হলো সেইসব নীতি, আদর্শ বা বিশ্বাস যা একটি ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান বলে মনে করে এবং যা তাদের আচরণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করে।

সহজভাবে বলতে গেলে, মূল্যবোধ হলো আমাদের কাঙ্ক্ষিত গুণাবলী এবং আমরা জীবনে কী prioritize করি তার একটি প্রতিফলন। এটি ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত, ন্যায়-অন্যায়ের ধারণা তৈরি করে এবং আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে প্রভাবিত করে।

কিছু উদাহরণ:

  • ব্যক্তিগত মূল্যবোধ: সততা, ন্যায়পরায়ণতা, সহমর্মিতা, পরিশ্রম, সৃজনশীলতা, স্বাধীনতা।
  • সামাজিক মূল্যবোধ: সাম্য, ন্যায়বিচার, সহযোগিতা, সহনশীলতা, দেশপ্রেম, ঐতিহ্য।

মূল্যবোধ স্থান, কাল ও সংস্কৃতিভেদে ভিন্ন হতে পারে, তবে কিছু মৌলিক মূল্যবোধ বিশ্বজনীনভাবে স্বীকৃত।

ক. নয়া উদারতাবাদ
খ. গঠনবাদ
গ. বাস্তববাদ
ঘ. নব্য মার্কসবাদ
ব্যাখ্যাঃ

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের তত্ত্বে বাস্তববাদ (Realism) এবং এর উপধারা নয়া-বাস্তববাদ (Neo-realism) উভয়ই নৈরাজ্য (Anarchy)-কে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য বা মৌলিক উপাদান হিসেবে দেখে।

বাস্তববাদীরা বিশ্বাস করে যে, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় কোনো কেন্দ্রীয় বিশ্ব সরকার নেই যা রাষ্ট্রগুলোর উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পারে। এই ক্ষমতার অনুপস্থিতিকেই 'নৈরাজ্য' বলা হয়। এই নৈরাজ্যপূর্ণ পরিবেশে রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ও টিকে থাকাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • নয়া উদারতাবাদ (Neoliberalism): এটি সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্ব দেয়, যদিও নৈরাজ্যের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে না, তবে বাস্তববাদীরা যতটা করে, ততটা মৌলিক উপাদান হিসেবে দেখে না।
  • গঠনবাদ (Constructivism): এটি সামাজিক গঠন এবং ধারণা (ideas) ও নিয়মের (norms) ভূমিকাকে গুরুত্ব দেয়। এটি নৈরাজ্যকে 'কীভাবে রাষ্ট্রগুলো এটিকে উপলব্ধি করে' তার উপর নির্ভরশীল বলে মনে করে, মৌলিক কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য হিসেবে নয়।
  • নব্য মার্কসবাদ (Neo-Marxism): এটি বিশ্ব অর্থনীতির শ্রেণিবিন্যাস এবং পুঁজিবাদের প্রভাবকে গুরুত্ব দেয়, যেখানে রাষ্ট্রগুলো এই অর্থনৈতিক কাঠামোর অধীন।
ক. খুবই হতাশাবোধ করবেন
খ. বন্ধুদের সাথে বিষয়টি আলাপ করবেন
গ. সংসারের প্রতি গভীর মনোযোগ দেবেন
ঘ. ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে মন খারাপ করবেন