প্রশ্নঃ ১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার হলে, ১৯৯৫ সালের ঐ একই তারিখে হবে-
[ বিসিএস ১৭তম ]
১৯৯৫ সাল লিপ ইয়ার না হওয়ায় ১৯৯৫ সালের ১ ডিসেম্বর হবে ১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বর যে তারিখ ছিল তার পরের দিন। অর্থাৎ শুক্রবার।
Related MCQ
প্রশ্নঃ যদি একটি কামান থেকে নিম্নলিখিত ৪টি বস্তুকে অনুভূমিক ভাবে নিক্ষেপ করা হয়, তবে কোনটি সবচেয়ে বেশি দূরে উড়ে যাবে?
[ বিসিএস ৪৬তম ]










কোন বস্তু সবচেয়ে বেশি দূরে উড়ে যাবে তা মূলত আরম্ভিক বেগ, বস্তুর ভর, বাতাসের প্রতিরোধ এবং আকৃতি নির্ভর করে।
যদি বস্তুর ভর কম হয় এবং আকৃতি এমন হয় যাতে বাতাসের প্রতিরোধ কম হয়, তবে সেটি বেশি দূর যেতে পারে। যদি বস্তুটির আরম্ভিক বেগ বেশি দেওয়া হয়, তবে সেটি আরো দূর যেতে পারবে।
প্রশ্নঃ নিচের কোনটি গ্রীনহাউজ গ্যাস নয়?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
সঠিক উত্তরটি হলো: নাইট্রিক অক্সাইড (NO)**।
গ্রীনহাউজ গ্যাসগুলো হলো সেই গ্যাস যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখে এবং ভূপৃষ্ঠকে উষ্ণ রাখে। জলীয় বাষ্প (H₂O), কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂), এবং মিথেন (CH₄) প্রধান গ্রীনহাউজ গ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম।
নাইট্রিক অক্সাইড (NO) বায়ুমণ্ডলে স্বল্পস্থায়ী এবং সরাসরি গ্রীনহাউজ প্রভাবের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে না। তবে, এটি অন্যান্য গ্যাসের সাথে বিক্রিয়া করে গৌণ গ্রীনহাউজ গ্যাস যেমন নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO₂) এবং ট্রপোস্ফিয়ারিক ওজোন (O₃) তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
সুতরাং, সরাসরি গ্রীনহাউজ গ্যাস হিসেবে নাইট্রিক অক্সাইডকে গণ্য করা হয় না।
প্রশ্নঃ জলীয় দ্রবণে pH এর সর্বোচ্চ মান কোনটি?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
জলীয় দ্রবণে pH-এর সর্বোচ্চ মান হলো ১৪।
সংক্ষেপে মনে রাখো:
- pH স্কেল: ০ থেকে ১৪ পর্যন্ত।
- pH = ৭ → নিরপেক্ষ (neutral) (যেমন বিশুদ্ধ পানি)
- pH < ৭ → অম্লীয় (acidic)
- pH > ৭ → ক্ষারীয় (basic)
- সর্বোচ্চ ক্ষারীয় অবস্থায় (যেমন শক্তিশালী ক্ষার দ্রবণ) pH প্রায় ১৪ হয়।
প্রশ্নঃ কোন অর্গানেলটি পর্দা দ্বারা আবেষ্টিত থাকে না?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
কোষের রাইবোসোম নামক অর্গানেলটি পর্দা দ্বারা আবেষ্টিত থাকে না।
কোষের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অর্গানেল, যেমন নিউক্লিয়াস, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম, গলগি বস্তু ইত্যাদি, একটি বা দুটি পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। কিন্তু রাইবোসোমের কোনো ঝিল্লি বা পর্দা নেই। এটি মূলত RNA এবং প্রোটিন দিয়ে গঠিত এবং সাইটোপ্লাজমে মুক্তভাবে অথবা এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের গায়ে যুক্ত অবস্থায় থাকতে পারে। প্রোটিন সংশ্লেষণ করাই রাইবোসোমের প্রধান কাজ।
প্রশ্নঃ প্রাকৃতিক ইউরেনিয়ামে শতকরা কতভাগ ²³⁸U আইসোটোপ থাকে?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
প্রাকৃতিক ইউরেনিয়ামে প্রধানত দুটি আইসোটোপ থাকে: ²³⁸U এবং ²³⁵U। এছাড়াও খুবই সামান্য পরিমাণে ²³⁴U আইসোটোপও বিদ্যমান।
প্রাকৃতিক ইউরেনিয়ামের শতকরা সংযুক্তি হলো:
- ²³⁸U: প্রায় ৯৯.২৭%
- ²³⁵U: প্রায় ০.৭২%
- ²³⁴U: প্রায় ০.০০৫%
সুতরাং, প্রাকৃতিক ইউরেনিয়ামে শতকরা প্রায় ৯৯.২৭ ভাগ ²³⁸U আইসোটোপ থাকে।
প্রশ্নঃ জীববিজ্ঞানে কী ধরনের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
বায়োইনফরমেটিক্স (Bioinformatics): এটি জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং পরিসংখ্যানের সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তঃশাস্ত্রীয় ক্ষেত্র। জীববৈজ্ঞানিক ডেটা বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা এবং সংরক্ষণে আইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্নঃ গমের মোজাইক ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
গমের মোজাইক ভাইরাস (Wheat Mosaic Virus) মূলত ছড়ায় শস্যে সংক্রামিত রস বা বাহক পোকা (বিশেষ করে ঘাস ফড়িং বা মাইট) এর মাধ্যমে।
ছড়ানোর প্রধান উপায়:
- বাহক পোকা (vector): কিছু বিশেষ ধরনের মাইট (mite) বা ফড়িং ভাইরাসটি গাছ থেকে গাছে বহন করে।
- সংক্রমিত বীজ বা গাছ: আক্রান্ত গাছ বা বীজের মাধ্যমে নতুন গাছে ছড়াতে পারে।
- মাটি ও বাতাস: সংক্রমিত মাটি এবং বাতাসে ভাসমান বাহকের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এর লক্ষণগুলো (যেমন পাতায় দাগ, গাছের বিকৃতি)
প্রশ্নঃ এন্টিবডি তৈরি করে নিচের কোনটি?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
এন্টিবডি তৈরি করে বি লিম্ফোসাইট (B lymphocytes) নামক এক প্রকার শ্বেত রক্ত কণিকা।
যখন কোনো অ্যান্টিজেন (যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস) শরীরে প্রবেশ করে, তখন বি লিম্ফোসাইটগুলো সক্রিয় হয়ে প্লাজমা কোষ (plasma cells) নামক বিশেষ কোষে রূপান্তরিত হয়। এই প্লাজমা কোষগুলোই প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি করে এবং রক্তে নিঃসরণ করে। প্রতিটি অ্যান্টিবডি একটি নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেনের সাথে যুক্ত হতে পারে এবং তাকে নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড কোনটি?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
মানুষের শরীরে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড নয়টি রয়েছে। এগুলো হলো:
১. ফেনিল্যালানিন (Phenylalanine)
২. ভ্যালিন (Valine)
৩. থ্রিওনিন (Threonine)
৪. ট্রিপটোফান (Tryptophan)
৫. আইসোলিউসিন (Isoleucine)
৬. লিউসিন (Leucine)
৭. লাইসিন (Lysine)
৮. মেথিওনিন (Methionine)
৯. হিস্টিডিন (Histidine) (কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় হিসেবে বিবেচিত)
প্রশ্নঃ প্রকৃতিতে মৌলিক বল কয়টি?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
প্রকৃতিতে মৌলিক বল চারটি:
১. মহাকর্ষ বল (Gravitational Force): এটি দুটি বস্তুর ভরের কারণে সৃষ্ট আকর্ষণ বল। এই বলের পাল্লা অসীম এবং এটি মহাবিশ্বের বৃহৎ কাঠামো (যেমন গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি) গঠনে ভূমিকা রাখে। এটি সবচেয়ে দুর্বল মৌলিক বল।
২. তাড়িতচৌম্বক বল (Electromagnetic Force): এটি চার্জযুক্ত কণার মধ্যে ক্রিয়াশীল বল। এর দুটি অংশ রয়েছে: স্থির চার্জের মধ্যে ক্রিয়াশীল বৈদ্যুতিক বল এবং চলমান চার্জের মধ্যে ক্রিয়াশীল চৌম্বক বল। আলো এই বলের মাধ্যমেই বিকিরিত হয়। এর পাল্লাও অসীম এবং এটি মহাকর্ষ বলের তুলনায় অনেক শক্তিশালী।
৩. সবল নিউক্লিয় বল (Strong Nuclear Force): এটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসের মধ্যে প্রোটন ও নিউট্রনকে একত্রে ধরে রাখে। এটি খুবই শক্তিশালী বল, তবে এর পাল্লা খুবই সীমিত (প্রায় নিউক্লিয়াসের ব্যাসার্ধের সমান)।
৪. দুর্বল নিউক্লিয় বল (Weak Nuclear Force): এটি তেজস্ক্রিয় ক্ষয় (যেমন বিটা ক্ষয়) এবং কিছু মৌলিক কণার মধ্যেকার মিথস্ক্রিয়ার জন্য দায়ী। এটি সবল নিউক্লিয় বলের চেয়ে দুর্বল এবং এর পাল্লাও খুবই সীমিত।
প্রশ্নঃ জেমস্ ওয়েব টেলিস্কোপ কোন ধরনের রেডিয়েশন ব্যবহার করে?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ প্রধানত ইনফ্রারেড (অবলোহিত) রেডিয়েশন ব্যবহার করে মহাবিশ্ব পর্যবেক্ষণ করে। এর কারণগুলো হলো:
- মহাজাগতিক লোহিত সরণ (Cosmological Redshift)
- ধুলো এবং গ্যাসের মধ্য দিয়ে দেখার ক্ষমতা
- ঠান্ডা বস্তুর বিকিরণ
ওয়েব টেলিস্কোপ 0.6 থেকে 28.5 মাইক্রন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ইনফ্রারেড আলোতে কাজ করার জন্য চারটি অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম (NIRCam, NIRSpec, NIRISS, and MIRI) দিয়ে সজ্জিত। যদিও এটি কিছুটা দৃশ্যমান আলোও (লাল প্রান্তের দিকে) সনাক্ত করতে পারে, তবে এর প্রধান মনোযোগ ইনফ্রারেড পর্যবেক্ষণের উপর।
প্রশ্নঃ কোনটি আলোর প্রাথমিক রং হিসাবে বিবেচনা করা হয় না?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
আলোর প্রাথমিক রং হিসেবে হলুদ কে বিবেচনা করা হয় না।
আলোর প্রাথমিক রং হলো লাল (Red), সবুজ (Green), এবং নীল (Blue)। এই তিনটি রংকে বিভিন্ন অনুপাতে মেশালে অন্যান্য সকল রং তৈরি করা যায়। এই কারণে এদেরকে RGB (Red, Green, Blue) বলা হয়।
হলুদ রং লাল এবং সবুজ রঙের মিশ্রণে তৈরি হয়। তাই এটি মৌলিক বা প্রাথমিক রং নয়, বরং একটি যৌগিক রং।
প্রশ্নঃ রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনটি হল-
[ বিসিএস ৪৬তম ]
রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনটি হলো ভিটামিন কে।
ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি কিছু প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে যা রক্ত জমাট বাঁধার জন্য অপরিহার্য। ভিটামিন কে-এর অভাবে রক্ত জমাট বাঁধতে বেশি সময় লাগতে পারে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে।
প্রশ্নঃ ফোটন শক্তি ‘E’ এর সমীকরণটি হল-
[ বিসিএস ৪৬তম ]
ফোটনের শক্তি \( E \) এর সমীকরণ হলো:
\[ E = hf \]
এখানে,
- ( E ) = ফোটনের শক্তি
- ( h ) = প্লাঙ্কের ধ্রুবক (Planck's constant)
- ( f ) = আলোর তরঙ্গের কম্পাংক (frequency)
আরো একটি রূপ হলো, যখন তরঙ্গ দৈর্ঘ্য \(( \lambda )\) দেওয়া থাকে:
\[ E = \frac{hc}{\lambda} \]
এখানে,
- ( c ) = আলোর বেগ (প্রায় \( 3 \times 10^8 , \text{m/s} )\)
- \( \lambda \) = তরঙ্গের দৈর্ঘ্য
প্রশ্নঃ দ্বিপদ নামকরণে দ্বিতীয় নামটি নির্দেশ করে-
[ বিসিএস ৪৬তম ]
দ্বিপদ নামকরণে দ্বিতীয় নামটি প্রজাতি (species) নির্দেশ করে।
দ্বিপদ নামকরণ (Binomial nomenclature) হলো জীবন্ত প্রাণীদের নামকরণের একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি জীবের দুটি অংশের সমন্বয়ে একটি বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়:
- প্রথম অংশটি হলো গণ (genus)-এর নাম, যা বড় হাতের অক্ষর দিয়ে শুরু হয়।
- দ্বিতীয় অংশটি হলো প্রজাতি (species)-এর নাম, যা ছোট হাতের অক্ষর দিয়ে শুরু হয়।
উদাহরণস্বরূপ, মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Homo sapiens, যেখানে Homo হলো গণ এবং sapiens হলো প্রজাতি।
প্রশ্নঃ ধাতব কার্বোনেটের সাথে এসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়-
[ বিসিএস ৪৬তম ]
১. লবণ (Salt)
২. কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস (Carbon Dioxide Gas, CO₂)
৩. পানি (Water, H₂O:
সুতরাং, ধাতব কার্বোনেটের সাথে এসিডের বিক্রিয়ার সাধারণ রাসায়নিক সমীকরণটি হলো: $$\text{ধাতব কার্বোনেট} + \text{এসিড} \longrightarrow \text{লবণ} + \text{কার্বন ডাই অক্সাইড} + \text{পানি}$$ উদাহরণস্বরূপ, ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের (CaCO₃) সাথে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের (HCl) বিক্রিয়া: $$CaCO₃(s) + 2HCl(aq) \longrightarrow CaCl₂(aq) + CO₂(g) + H₂O(l)$$ এই বিক্রিয়ায় ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড (CaCl₂) লবণ, কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস (CO₂) এবং পানি (H₂O) উৎপন্ন হয়।
প্রশ্নঃ চার্লসের সূত্র নিচের কোনটি?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
$$V \propto T$$
যেখানে:
- $V$ হলো গ্যাসের আয়তন
- $T$ হলো গ্যাসের পরম তাপমাত্রা (কেলভিনে)
- $\propto$ হলো "সমানুপাতিক" চিহ্ন
সুতরাং, সঠিক উত্তরটি হলো কঃ V ∝ T.
অন্যান্য সূত্রগুলো হলো:
- খঃ PV = K (বয়লের সূত্র, স্থির তাপমাত্রায় গ্যাসের চাপ ও আয়তনের গুণফল ধ্রুবক)
- গঃ V ∝ n (অ্যাভোগাড্রোর সূত্র, স্থির তাপমাত্রা ও চাপে গ্যাসের আয়তন তার মোল সংখ্যার সাথে সরাসরি সমানুপাতিক)
- ঘঃ P ∝ T (গেইলুসাকের সূত্র বা চাপের সূত্র, স্থির আয়তনে গ্যাসের চাপ তার পরম তাপমাত্রার সাথে সরাসরি সমানুপাতিক)
সারাংশ: স্থির চাপে গ্যাসের আয়তন পরম তাপমাত্রার সাথে সরাসরি সমানুপাতিক - এটি চার্লসের সূত্র এবং গাণিতিকভাবে V ∝ T দ্বারা প্রকাশ করা হয়। তাই সঠিক উত্তরটি হলো ক।
প্রশ্নঃ সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) কেলাসের গঠন কীরূপ?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) কেলাসের গঠন পৃষ্ঠকেন্দ্রিক ঘনক্ষেত্রাকার (Face-Centered Cubic - FCC)। এই গঠনটিকে প্রায়শই শৈল লবণ (Rock Salt) গঠনও বলা হয়।
প্রশ্নঃ প্রাইমারি দূষক নিচের কোনটি?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
প্রাইমারি দূষক হলো সেইসব দূষক যা সরাসরি উৎস থেকে নির্গত হয় এবং বায়ুমণ্ডলে অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকে।
এখানে প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে, গঃ NO (নাইট্রিক অক্সাইড) হলো প্রাইমারি দূষক।
অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো সেকেন্ডারি দূষক, কারণ এগুলো বায়ুমণ্ডলে প্রাথমিক দূষকের রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত হয়:
- কঃ SO₃ (সালফার ট্রাইঅক্সাইড): এটি SO₂ (সালফার ডাইঅক্সাইড)-এর জারণের মাধ্যমে গঠিত হয়। SO₂ হলো একটি প্রাইমারি দূষক।
- খঃ N₂O₅ (ডাইনিট্রোজেন পেন্টক্সাইড): এটি NO₂ (নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড)-এর জারণের মাধ্যমে গঠিত হয়। NOₓ (নাইট্রোজেন অক্সাইড) হলো প্রাইমারি দূষক।
- ঘঃ HNO₃ (নাইট্রিক অ্যাসিড): এটি NO₂-এর সাথে জলীয় বাষ্পের বিক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত হয়। NOₓ হলো প্রাইমারি দূষক।
সুতরাং, সঠিক উত্তরটি হলো গঃ NO.
সারাংশ: প্রাইমারি দূষক সরাসরি উৎস থেকে নির্গত হয়। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে NO (নাইট্রিক অক্সাইড) হলো প্রাইমারি দূষক, যেখানে SO₃, N₂O₅ এবং HNO₃ হলো সেকেন্ডারি দূষক যা বায়ুমণ্ডলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত হয়।
প্রশ্নঃ HPLC এর পূর্ণরূপ কী?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
HPLC এর পূর্ণরূপ হলো High-Performance Liquid Chromatography.
অতীতে এটিকে High-Pressure Liquid Chromatography নামেও ডাকা হতো, কারণ এই পদ্ধতিতে তরল দ্রাবককে উচ্চ চাপে একটি কলামের মধ্যে দিয়ে চালনা করা হয়। তবে বর্তমানে "High-Performance" নামটি বেশি প্রচলিত, কারণ আধুনিক HPLC যন্ত্রগুলোতে সবসময় খুব বেশি চাপ ব্যবহার করা নাও হতে পারে, কিন্তু কর্মক্ষমতা সবসময়ই উন্নত থাকে।
HPLC একটি শক্তিশালী রাসায়নিক বিশ্লেষণ কৌশল যা কোনো মিশ্রণের উপাদানগুলিকে আলাদা করতে, শনাক্ত করতে এবং পরিমাণ নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ঔষধ শিল্প, খাদ্য বিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ নিচের কোনটি সিরামিক উপাদানের প্রধান কাঁচামাল?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
সিরামিক উপাদানের প্রধান কাঁচামাল হলো কঃ SiO₂ (সিলিকন ডাই অক্সাইড)।
সিলিকন ডাই অক্সাইড, যা সাধারণত কোয়ার্টজ বা বালু নামে পরিচিত, সিরামিক উৎপাদনের মূল ভিত্তি। এটি সিরামিক কাঠামো তৈরি করে এবং এর দৃঢ়তা, রাসায়নিক নিষ্ক্রিয়তা এবং উচ্চ তাপমাত্রায় স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।
অন্যান্য বিকল্পগুলো সিরামিক উৎপাদনে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে, তবে প্রধান কাঁচামাল হিসেবে নয়:
- খঃ Na₂CO₃ (সোডিয়াম কার্বোনেট): এটি কাঁচ তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, তবে সিরামিকের প্রধান কাঁচামাল নয়। এটি সিরামিক গ্লেজের ফ্লাক্স হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
- গঃ Fe₂O₃ (ফেরিক অক্সাইড): এটি সিরামিককে লাল বা বাদামী রঙ দেওয়ার জন্য এবং কিছু বিশেষ ধরনের সিরামিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি প্রধান কাঁচামাল নয়।
- ঘঃ NaNO₃ (সোডিয়াম নাইট্রেট): এর সিরামিক উৎপাদনে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেই। এটি সাধারণত সার বা বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
সারাংশ: সিরামিক শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হলো সিলিকন ডাই অক্সাইড (SiO₂), যা সিরামিকের মূল কাঠামো গঠন করে।
প্রশ্নঃ সানস্ক্রিন লোশন তৈরিতে কোন ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহৃত হয়?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
সানস্ক্রিন লোশন তৈরিতে প্রধানত দুটি ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহৃত হয়:
১. টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড (TiO₂): এই ন্যানো পার্টিকেল অতিবেগুনী রশ্মি (UV rays) বিশেষত UVB রশ্মি শোষণ এবং প্রতিফলিত করতে অত্যন্ত কার্যকর। এর ছোট আকারের জন্য এটি ত্বকে লাগানোর পর সাদা আস্তরণ তৈরি করে না, যা বড় আকারের টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইডের ক্ষেত্রে দেখা যায়।
২. জিঙ্ক অক্সাইড (ZnO): জিঙ্ক অক্সাইড ন্যানো পার্টিকেল UVA এবং UVB উভয় প্রকার অতিবেগুনী রশ্মির বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। এটিও ছোট আকারের হওয়ায় ত্বকে স্বচ্ছভাবে মিশে যায়।
এই দুটি ন্যানো পার্টিকেল তাদের উন্নত UV ব্লকিং ক্ষমতা এবং ত্বকে স্বচ্ছ থাকার কারণে সানস্ক্রিন লোশনে বহুল ব্যবহৃত হয়। ন্যানো আকারের হওয়ার কারণে এদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং সানস্ক্রিন আরও কার্যকর হয়।
প্রশ্নঃ মানুষের দেহকোষে ক্রোমোজমের সংখ্যা –
[ বিসিএস ৪৫তম ]
মানুষের দেহকোষে ৪৬টি ক্রোমোজোম থাকে। এগুলো ২৩ জোড়া হিসেবে বিন্যস্ত থাকে। এই ২৩ জোড়ার মধ্যে ২২ জোড়া হলো অটোজোম, যা নারী ও পুরুষ উভয়ের দেহকোষে একই রকম থাকে এবং দৈহিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। বাকি এক জোড়া হলো সেক্স ক্রোমোজোম, যা লিঙ্গ নির্ধারণ করে। মহিলাদের দেহকোষে দুটি X ক্রোমোজোম (XX) এবং পুরুষদের দেহকোষে একটি X ও একটি Y ক্রোমোজোম (XY) থাকে।
অন্যদিকে, মানুষের জননকোষে (শুক্রাণু ও ডিম্বাণু) ক্রোমোজোমের সংখ্যা ২৩টি থাকে, যা দেহকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার অর্ধেক। একে হ্যাপ্লয়েড সংখ্যা বলা হয়। নিষিক্তকরণের সময় জননকোষ মিলিত হয়ে পুনরায় ডিপ্লয়েড সংখ্যক (৪৬টি) ক্রোমোজোমযুক্ত দেহকোষ গঠন করে।
প্রশ্নঃ সুষম খাদ্যে শর্করা, আমিষ ও চর্বিজাতীয়?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
সুষম খাদ্যে শর্করা, আমিষ ও চর্বিজাতীয় খাদ্য উপাদানের অনুপাত সাধারণভাবে কঃ ৪ : ১ : ১ ধরা হয়।
এর অর্থ হলো, মোট ক্যালোরির একটি বড় অংশ (প্রায় ৫০-৬০%) শর্করা থেকে আসা উচিত, যেখানে আমিষ এবং চর্বি তুলনামূলকভাবে কম পরিমাণে (প্রত্যেকটি প্রায় ১০-১৫% এবং ২০-৩০% পর্যন্ত) থাকা উচিত। ৪:১:১ অনুপাতটি একটি সাধারণ নির্দেশিকা এবং ব্যক্তিভেদে সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে।
প্রশ্নঃ মানুষের শরীরের রক্তের গ্রুপ কয়টি?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
মানুষের শরীরে প্রধানত ৮টি রক্তের গ্রুপ রয়েছে। এই বিভাজন ABO এবং Rh ফ্যাক্টর নামক দুটি প্রধান রক্তশ্রেণী ব্যবস্থা দ্বারা নির্ধারিত হয়।
ABO রক্তশ্রেণী ব্যবস্থা অনুসারে ৪টি প্রধান গ্রুপ:
- A
- B
- AB
- O
Rh ফ্যাক্টর অনুসারে প্রত্যেকটি গ্রুপের আবার দুটি ভাগ:
- Rh পজিটিভ (+): যদি রক্তে Rh অ্যান্টিজেন উপস্থিত থাকে।
- Rh নেগেটিভ (-): যদি রক্তে Rh অ্যান্টিজেন অনুপস্থিত থাকে।
এই দুটি শ্রেণী একত্র করলে মোট ৮টি রক্তের গ্রুপ পাওয়া যায়:
- A+
- A-
- B+
- B-
- AB+
- AB-
- O+
- O-
সুতরাং, মানুষের শরীরে প্রধানত আটটি রক্তের গ্রুপ বিদ্যমান।
প্রশ্নঃ আর্সেনিকের পারমাণবিক সংখ্যা কত?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
আর্সেনিকের পারমাণবিক সংখ্যা হলো ৩৩। এর প্রতীক As। এটি পর্যায় সারণীর ১৫তম গ্রুপের একটি মৌল।
প্রশ্নঃ উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্রের নাম কী?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্রের নাম হলো এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটর (Airspeed Indicator)।
এই যন্ত্রটি পিটট-স্ট্যাটিক সিস্টেমের মাধ্যমে কাজ করে। পিটট টিউব বাতাসের চাপ (গতিশীল চাপ) পরিমাপ করে এবং স্ট্যাটিক পোর্ট স্থির বাতাসের চাপ পরিমাপ করে। এই দুটি চাপের পার্থক্য থেকে এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটর উড়োজাহাজের গতি নির্দেশ করে।
কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে পুরনো নথিতে অথবা সাধারণভাবে জিজ্ঞাসার ক্ষেত্রে ট্যাকোমিটার (Tachometer) নামটিও ব্যবহার করা হতে পারে, যদিও ট্যাকোমিটার মূলত ঘূর্ণায়মান বস্তুর কৌণিক গতিবেগ পরিমাপের যন্ত্র। উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটরই বিশেষভাবে বাতাসের সাপেক্ষে গতি নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ টেলিভিশনে যে তরঙ্গ ব্যবহৃত হয় –
[ বিসিএস ৪৫তম ]
টেলিভিশনে মূলত রেডিও তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়। এই রেডিও তরঙ্গ একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের মধ্যে থাকে যা টেলিভিশন সম্প্রচারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
সম্প্রচারের পদ্ধতি অনুসারে বিভিন্ন ধরনের রেডিও তরঙ্গ ব্যবহৃত হতে পারে:
- VHF (Very High Frequency): এই ব্যান্ডের তরঙ্গ মূলত অ্যানালগ টেলিভিশন সম্প্রচারে ব্যবহৃত হতো।
- UHF (Ultra High Frequency): বর্তমানে ডিজিটাল টেলিভিশন (DTV) সম্প্রচারের জন্য এই ব্যান্ডের তরঙ্গ বেশি ব্যবহৃত হয়।
টেলিভিশনের রিমোট কন্ট্রোলে অবশ্য অবলোহিত রশ্মি (Infrared Ray) ব্যবহৃত হয়, যা একটি তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ হলেও এটি টেলিভিশন সম্প্রচারের জন্য ব্যবহৃত তরঙ্গ নয়। এটি শুধুমাত্র রিমোট থেকে টেলিভিশনে সংকেত পাঠানোর কাজে লাগে।
সুতরাং, টেলিভিশনে সম্প্রচারের জন্য প্রধানত রেডিও তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে VHF এবং UHF ব্যান্ড উল্লেখযোগ্য।
প্রশ্নঃ অণুজীব বিজ্ঞানের জনক কে?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
অণুজীব বিজ্ঞানের জনক হিসেবে সাধারণত অ্যান্টনি ভ্যান লিউয়েনহুক-কে (Antonie van Leeuwenhoek) ধরা হয়। ১৬৭৬ সালে তিনিই প্রথম উন্নত অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন একককোষী জীব পর্যবেক্ষণ করেন এবং এদের "ক্ষুদ্র প্রাণী" (animalcules) হিসেবে বর্ণনা করেন।
তবে, অণুজীব বিজ্ঞানকে একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে লুই পাস্তুর (Louis Pasteur) এবং রবার্ট কখ (Robert Koch)-এর অবদানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লুই পাস্তুর জীবাণু তত্ত্ব (Germ Theory) প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিভিন্ন রোগের কারণ হিসেবে জীবাণুদের ভূমিকা প্রমাণ করেন। তিনি পাস্তুরাইজেশন প্রক্রিয়া এবং জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। অন্যদিকে, রবার্ট কখ অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা ও কলেরার জীবাণু শনাক্ত করেন এবং রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু চিহ্নিত করার জন্য "কখের স্বীকার্য" (Koch's postulates) প্রণয়ন করেন।
সুতরাং, যদিও অ্যান্টোনি ভ্যান লিউয়েনহুক প্রথম অণুজীব পর্যবেক্ষণ করেন, লুই পাস্তুর এবং রবার্ট কখের কাজ অণুজীব বিজ্ঞানকে একটি আধুনিক বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে অপরিহার্য ছিল। তাই অনেক ক্ষেত্রে লুই পাস্তুরকেও আধুনিক অণুজীব বিজ্ঞানের জনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
সারাংশ: অণুজীব বিজ্ঞানের জনক হিসেবে সাধারণত অ্যান্টোনি ভ্যান লিউয়েনহুককে ধরা হয়, যিনি প্রথম অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে অণুজীব পর্যবেক্ষণ করেন। তবে লুই পাস্তুর এবং রবার্ট কখের অবদানও এই বিজ্ঞানকে আধুনিক রূপ দিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ বাতাস একটি –
[ বিসিএস ৪৫তম ]
বাতাস একটি খঃ প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ।
এর কারণ হলো বাতাসের প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে অক্সিজেন (O₂) অণুতে বিজোড় ইলেকট্রন রয়েছে। এই বিজোড় ইলেকট্রনের স্পিন মোমেন্টের কারণে অক্সিজেন সামান্য চৌম্বকীয় বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। যখন বাতাসকে শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রের কাছে আনা হয়, তখন অক্সিজেনের অণুগুলো সামান্য পরিমাণে চুম্বকায়িত হয় এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের দিকে আকৃষ্ট হয়। এই বৈশিষ্ট্যটি প্যারাচুম্বকীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য।
নাইট্রোজেন (N₂) এবং অন্যান্য নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলো ডায়াচুম্বকীয় পদার্থ, অর্থাৎ এরা চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা সামান্য পরিমাণে বিকর্ষিত হয়। তবে বাতাসে অক্সিজেনের উপস্থিতির কারণে সামগ্রিকভাবে বাতাস প্যারাচুম্বকীয় বৈশিষ্ট্য দেখায়।
- ডায়াচুম্বকীয় পদার্থ: চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা সামান্য পরিমাণে বিকর্ষিত হয় (যেমন - নাইট্রোজেন)।
- প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ: চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা সামান্য পরিমাণে আকৃষ্ট হয় (যেমন - অক্সিজেন)।
- ফেরোচুম্বকীয় পদার্থ: শক্তিশালীভাবে চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং স্থায়ী চুম্বকত্ব ধারণ করতে পারে (যেমন - লোহা)।
- অ্যান্টিফেরোচুম্বকীয় পদার্থ: এদের মধ্যে বিপরীতমুখী স্পিনগুলো একে অপরের চৌম্বকীয় প্রভাব বাতিল করে দেয় এবং সামগ্রিকভাবে শক্তিশালী চুম্বকত্ব দেখায় না (যেমন - কিছু ধাতব অক্সাইড)।
সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো খঃ প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ।
প্রশ্নঃ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে বেশি গ্যাসটি হল –
[ বিসিএস ৪৫তম ]
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে বেশি গ্যাসটি হলো হাইড্রোজেন (H₂)।
মহাবিশ্বের মোট ভরের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই হাইড্রোজেন। এটি সবচেয়ে হালকা এবং সবচেয়ে প্রাচুর্যপূর্ণ রাসায়নিক উপাদান। মহাবিশ্বের সৃষ্টির সময় বিগ ব্যাং-এর পর প্রথম যে মৌলটি গঠিত হয়েছিল, সেটি হলো হাইড্রোজেন। নক্ষত্র এবং গ্যাসীয় নীহারিকাগুলোর প্রধান উপাদান এটি।
এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হিলিয়াম। অন্যান্য গ্যাস এবং পদার্থের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
প্রশ্নঃ একটি ট্রেন $$\frac{১}{৫}$$ সেকেন্ডে চলে ২০ ফুট। একই দ্রুততায় ট্রেনটি ৩ সেকেন্ডে কত ফুট চলবে?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
সুতরাং, ট্রেনটি ১ সেকেন্ডে চলে = ২০ ÷ $\frac{১}{৫}$ ফুট = ২০ × ৫ ফুট = ১০০ ফুট।
যেহেতু ট্রেনটি একই দ্রুততায় চলে, তাই ৩ সেকেন্ডে ট্রেনটি চলবে = ১০০ ফুট/সেকেন্ড × ৩ সেকেন্ড = ৩০০ ফুট।
অতএব, ট্রেনটি ৩ সেকেন্ডে ৩০০ ফুট চলবে।
সারাংশ: ট্রেনটি $\frac{১}{৫}$ সেকেন্ডে ২০ ফুট গেলে, ১ সেকেন্ডে ১০০ ফুট যায়। একই গতিতে ৩ সেকেন্ডে এটি ৩০০ ফুট দূরত্ব অতিক্রম করবে।
প্রশ্নঃ ইউরিয়া সারের কাঁচামাল কী?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
ইউরিয়া সারের প্রধান কাঁচামাল হলো প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural Gas)।
প্রাকৃতিক গ্যাসের মিথেন (Methane, CH₄) অংশটি বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যামোনিয়াতে (Ammonia, NH₃) রূপান্তরিত করা হয়। এরপর অ্যামোনিয়ার সাথে কার্বন ডাই অক্সাইড (Carbon Dioxide, CO₂) মিশিয়ে ইউরিয়া (Urea, CO(NH₂)₂) তৈরি করা হয়।
বাংলাদেশে যেহেতু প্রাকৃতিক গ্যাসের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, তাই এটি ইউরিয়া সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন কোথায় অবস্থান করে?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ পানির আন্তঃআণবিক স্থানে।
পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন পানির অণুগুলোর মধ্যে যে ফাঁকা স্থান বা আন্তঃআণবিক স্থান থাকে, সেখানেই অবস্থান করে।
প্রশ্নঃ সুপরিবাহী পদার্থে valence band এবং conduction band –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সুপরিবাহী পদার্থে (conductors) valence band এবং conduction band একটির সাথে আরেকটি ওভারল্যাপ করে থাকে।
এর মানে হলো, ভ্যালেন্স ব্যান্ডের সর্বোচ্চ শক্তিস্তর এবং কন্ডাকশন ব্যান্ডের সর্বনিম্ন শক্তিস্তরের মধ্যে কোনো শক্তি ব্যবধান (energy gap) থাকে না। কিছু ক্ষেত্রে, তারা একে অপরের মধ্যে মিশে থাকে।
এই ওভারল্যাপিং এর কারণে, ভ্যালেন্স ব্যান্ডের ইলেকট্রনগুলো খুব সহজেই কন্ডাকশন ব্যান্ডের দিকে যেতে পারে সামান্যতম শক্তি পেলেই। ফলে, পরিবাহী পদার্থে প্রচুর সংখ্যক মুক্ত ইলেকট্রন থাকে যা তড়িৎ পরিবহনে অংশ নেয়।
সহজভাবে বললে:
- ভ্যালেন্স ব্যান্ড (Valence Band): এটি সেই শক্তিস্তর যেখানে পরমাণুর যোজ্যতা ইলেকট্রন (valence electrons) অবস্থান করে। এই ইলেকট্রনগুলো সাধারণত পরমাণুর সাথে আবদ্ধ থাকে এবং তড়িৎ পরিবহনে অংশ নেয় না।
- কন্ডাকশন ব্যান্ড (Conduction Band): এটি সেই শক্তিস্তর যেখানে ইলেকট্রনগুলো মুক্তভাবে চলাচল করতে পারে এবং তড়িৎ পরিবহনে অংশ নিতে পারে।
অপরিবাহী (insulators) এবং অর্ধপরিবাহী (semiconductors) পদার্থের ক্ষেত্রে ভ্যালেন্স ব্যান্ড এবং কন্ডাকশন ব্যান্ডের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট শক্তি ব্যবধান থাকে। এই ব্যবধানের আকার পদার্থের তড়িৎ পরিবাহিতা নির্ধারণ করে। কিন্তু সুপরিবাহীর ক্ষেত্রে এই ব্যবধান শূন্য অথবা নেগেটিভ (ওভারল্যাপিং এর কারণে)।
প্রশ্নঃ ফটোগ্রাফিক প্লেটে আবরণ থাকে –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ সিলভার ব্রোমাইডের।
ফটোগ্রাফিক প্লেটে আলোক সংবেদী উপাদান হিসেবে সিলভার ব্রোমাইডের (AgBr) আবরণ থাকে। আলো যখন এই আবরণের উপর পড়ে, তখন রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে এবং একটি সুপ্ত চিত্র তৈরি হয়। পরবর্তীতে ডেভেলপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই সুপ্ত চিত্রটি দৃশ্যমান হয়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো ফটোগ্রাফিক প্লেটে আবরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় না:
- সিলভার ক্লোরাইড (AgCl) এবং সিলভার ফ্লোরাইড (AgF) আলোক সংবেদী হলেও সাধারণত ফটোগ্রাফিক প্লেটে ব্যবহৃত হয় না।
- অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH₄Cl) ফটোগ্রাফিতে অন্য কাজে ব্যবহৃত হতে পারে, তবে এটি আলোক সংবেদী আবরণ নয়।
উত্তর: কঃ সিলভার ব্রোমাইডের
সঠিক উত্তর হলো কঃ নাইট্রোজেন।
বজ্রবৃষ্টির সময় বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে নাইট্রোজেন অক্সাইড তৈরি করে। এই নাইট্রোজেন অক্সাইড বৃষ্টির পানির সাথে মিশে মাটিতে আসে এবং নাইট্রেট (NO₃⁻) ও নাইট্রাইট (NO₂⁻) নামক রাসায়নিক যৌগে পরিণত হয়। এই নাইট্রেট এবং নাইট্রাইট উদ্ভিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান, যা প্রোটিন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জৈব অণু তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো বজ্রবৃষ্টির ফলে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায় না:
- পটাশিয়াম (খ): এটি মাটির খনিজ উপাদান থেকে আসে।
- অক্সিজেন (গ): যদিও বৃষ্টিতে অক্সিজেন থাকে, বজ্রবৃষ্টির মূল প্রভাব উদ্ভিদের জন্য নাইট্রোজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করা।
- ফসফরাস (ঘ): এটিও মূলত মাটির খনিজ উপাদান থেকে আসে।
সুতরাং, বজ্রবৃষ্টির ফলে মাটিতে উদ্ভিদের জন্য নাইট্রোজেন খাদ্য উপাদানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্নঃ ফলিক এসিডের অন্য নাম কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো ঘঃ ভিটামিন বি৯।
ফলিক এসিড ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের একটি অংশ এবং এর অন্য নাম হলো ভিটামিন বি৯। এটি ফোলেট নামেও পরিচিত। ফলিক এসিড মানব দেহের কোষের বৃদ্ধি ও ডিএনএ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অন্যান্য বিকল্পগুলো ফলিক এসিডের অন্য নাম নয়:
- ভিটামিন বি১২ (ক): এর রাসায়নিক নাম সায়ানোকোবালামিন।
- ভিটামিন বি৬ (খ): এর রাসায়নিক নাম পাইরিডক্সিন।
- ভিটামিন বি১ (গ): এর রাসায়নিক নাম থায়ামিন।
সুতরাং, ফলিক এসিডের অন্য নাম হলো ভিটামিন বি৯।
প্রশ্নঃ যে কারণে শৈশব-অন্ধত্ব হতে পারে তা হলো –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ হাম।
হাম (Measles) একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ যা শিশুদের মধ্যে অন্ধত্বের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হতে পারে। হামের জটিলতা হিসেবে চোখের কর্ণিয়ায় প্রদাহ (কেরাটাইটিস) এবং ভিটামিন এ-এর অভাব দেখা দিতে পারে, যা স্থায়ী দৃষ্টিশক্তি হ্রাস বা অন্ধত্বের দিকে ধাবিত করতে পারে।
অন্যান্য বিকল্পগুলো শৈশব-অন্ধত্বের সরাসরি কারণ হিসেবে ততটা উল্লেখযোগ্য নয়:
- এইচআইভি/এইডস (ক): এইচআইভি/এইডস শিশুদের শরীরে অন্যান্য রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায় এবং পরোক্ষভাবে চোখের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, তবে এটি শৈশব-অন্ধত্বের প্রধান কারণ নয়।
- ম্যালেরিয়া (খ): ম্যালেরিয়া সাধারণত চোখের সরাসরি ক্ষতি করে না, তবে গুরুতর ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ম্যালেরিয়া হলে অন্যান্য জটিলতার সাথে দৃষ্টি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যক্ষা (ঘ): যক্ষা সাধারণত ফুসফুসকে আক্রমণ করে, তবে বিরল ক্ষেত্রে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়লে চোখের সমস্যা হতে পারে, কিন্তু এটি শৈশব-অন্ধত্বের প্রধান কারণ নয়।
সুতরাং, হাম একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ যা শৈশবে অন্ধত্ব সৃষ্টি করতে পারে।
প্রশ্নঃ শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল দিতে হয় –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো খঃ বছরে দুইবার।
বাংলাদেশে শিশুদের ভিটামিন এ-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ করার জন্য জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের অধীনে বছরে দুইবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। সাধারণত, এই ক্যাম্পেইনগুলো বছরে দুটি নির্দিষ্ট সময়ে (যেমন: গ্রীষ্ম ও শীতকালে) অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশ্নঃ ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার জন্য তার যে গঠন দায়ী তা হলো—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো খঃ ফ্লাজেলা।
ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার প্রধান অঙ্গ হলো ফ্লাজেলা (Flagella)। এটি দেখতে অনেকটা সুতার মতো এবং কোষের বাইরে অবস্থিত। ফ্লাজেলার ঘূর্ণনের মাধ্যমেই ব্যাকটেরিয়া তরল মাধ্যমে চলাচল করতে পারে। ব্যাকটেরিয়ার এক বা একাধিক ফ্লাজেলা থাকতে পারে এবং এদের বিন্যাস বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হয়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার জন্য দায়ী গঠন নয়:
- পিল্লি (Pili) (ক): এগুলো ছোট, চুলের মতো গঠন যা ব্যাকটেরিয়ার কোষের উপরিভাগে থাকে। পিল্লি প্রধানত ব্যাকটেরিয়াকে অন্য কোষ বা বস্তুর সাথে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে এবং কিছু ক্ষেত্রে জেনেটিক উপাদান স্থানান্তরে ভূমিকা রাখে।
- শীথ (Sheath) (গ): কিছু ব্যাকটেরিয়াতে ফ্লাজেলার চারপাশে একটি প্রতিরক্ষামূলক আবরণ থাকে যাকে শীথ বলে। এটি সরাসরি গতিশীলতার সাথে যুক্ত নয়।
- ক্যাপসুলস (Capsules) (ঘ): এটি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের বাইরে অবস্থিত একটি পুরু, পিচ্ছিল স্তর। ক্যাপসুল ব্যাকটেরিয়াকে শুকিয়ে যাওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, তবে এটি গতিশীলতার জন্য দায়ী নয়।
সুতরাং, ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার জন্য তার যে গঠন দায়ী তা হলো ফ্লাজেলা।
প্রশ্নঃ ‘কেপলার-৪৫২বি’ কী?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো খঃ পৃথিবীর মতো একটি গ্রহ।
‘কেপলার-৪৫২বি’ (Kepler-452b) হলো একটি এক্সোপ্ল্যানেট বা বহির্গ্রহ, যা আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত। এটি ২০১৬ সালে নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ আবিষ্কার করে। বিজ্ঞানীরা এটিকে পৃথিবীর মতো বলে মনে করেন, কারণ এটি তার নক্ষত্রের হ্যাবিটেবল জোনে (Habitable Zone) অবস্থিত, যেখানে গ্রহের পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি যে নক্ষত্রের চারপাশে ঘোরে, সেটিও আমাদের সূর্যের মতোই একটি জি-টাইপ তারকা।
অন্যান্য বিকল্পগুলো সঠিক নয়:
- একটি মহাকাশযান (ক): কেপলার-৪৫২বি কোনো মহাকাশযান নয়, এটি একটি গ্রহ।
- সূর্যের মতো একটি নক্ষত্র (গ): এটি একটি গ্রহ, নক্ষত্র নয়।
- NASA-এর অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ (ঘ): কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ ছিল গ্রহ অনুসন্ধানের জন্য ব্যবহৃত নাসার একটি টেলিস্কোপ, কিন্তু কেপলার-৪৫২বি সেই টেলিস্কোপ দ্বারা আবিষ্কৃত একটি গ্রহ।
প্রশ্নঃ ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার ভাল পদ্ধতি –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো ঘঃ কেমিক্যাল স্টেরিলাইজেশন।
ধারালো যন্ত্রপাতি, যেমন অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম, জীবাণুমুক্ত করার জন্য কেমিক্যাল স্টেরিলাইজেশন একটি ভালো পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন জীবাণুনাশক রাসায়নিক দ্রবণ ব্যবহার করা হয় যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক এবং অন্যান্য রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করতে পারে। ধারালো যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি যাতে তাদের ধার নষ্ট না হয় এবং সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করা যায়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো ধারালো যন্ত্রপাতির জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি নাও হতে পারে:
- বয়লিং (ক): যদিও এটি কিছু জীবাণু ধ্বংস করতে পারে, তবে এটি সব ধরনের জীবাণু, বিশেষ করে স্পোর ধ্বংস করতে পারে না। ধারালো যন্ত্রপাতি দীর্ঘক্ষণ ধরে সেদ্ধ করলে তাদের ধার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- বেনজিন ওয়াশ (খ): বেনজিন জীবাণুনাশক নয় এবং এটি স্বাস্থ্যকর নয়। এটি পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহৃত হতে পারে, কিন্তু জীবাণুমুক্ত করার জন্য নয়।
- ফরমালিন ওয়াশ (গ): ফরমালিন একটি জীবাণুনাশক, তবে এটি সাধারণত গ্যাসীয় আকারে বা দীর্ঘ সময় ধরে দ্রবণে ডুবিয়ে রাখার মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। শুধু ওয়াশ করা যথেষ্ট জীবাণুমুক্ত নাও করতে পারে এবং এর তীব্র গন্ধ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে এটি খুব একটা পছন্দের পদ্ধতি নয়।
সুতরাং, ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার ভালো পদ্ধতি হলো কেমিক্যাল স্টেরিলাইজেশন।
প্রশ্নঃ সাবানের আয়নিক গ্রুপ হলো—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
ব্যাখ্যা:
সাবান হলো একটি সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণ, যা সাধারণত ফ্যাটি অ্যাসিড থেকে প্রস্তুত করা হয়।
- সাবানের আয়নিক গ্রুপ হলো কার্বক্সিলেট (-COO⁻) এবং এটি সোডিয়াম (Na⁺) বা পটাশিয়াম (K⁺) এর সাথে যুক্ত থাকে।
- এটি জলে দ্রবীভূত হলে (-COO⁻) অংশটি জল-প্রেমী (hydrophilic) এবং জল-বিমুখ (hydrophobic) অংশটি তেল ও ময়লা অপসারণ করতে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ এনজাইম, অ্যান্টিবডি এবং হরমোন-এর মৌলিক উপাদান –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ প্রোটিন।
এনজাইম, অ্যান্টিবডি এবং হরমোন - এই তিনটি জৈব অণুর মৌলিক উপাদান হলো প্রোটিন।
- এনজাইম (Enzyme): এগুলো প্রোটিন দ্বারা গঠিত জৈব অনুঘটক যা শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়াকে দ্রুততর করে।
- অ্যান্টিবডি (Antibody): এগুলোও প্রোটিন (ইমিউনোগ্লোবিউলিন) যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু বা বহিরাগত পদার্থের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
- হরমোন (Hormone): যদিও কিছু হরমোন স্টেরয়েড (যেমন সেক্স হরমোন) বা অ্যামিনো অ্যাসিড ডেরিভেটিভ (যেমন থাইরয়েড হরমোন) হতে পারে, বেশিরভাগ হরমোনই পলিপেপটাইড বা প্রোটিন প্রকৃতির।
অন্যান্য বিকল্পগুলো এই তিনটি জৈব অণুর মৌলিক উপাদান নয়:
- ক্যালসিয়াম (খ): এটি একটি খনিজ উপাদান যা হাড়ের গঠন, স্নায়ুর কার্যকারিতা এবং অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ভিটামিন (গ): এগুলো জৈব যৌগ যা শরীরের স্বাভাবিক কার্যকারিতার জন্য অল্প পরিমাণে প্রয়োজন হয়, কিন্তু এরা এনজাইম, অ্যান্টিবডি বা হরমোনের মৌলিক উপাদান নয়। কিছু ভিটামিন কোএনজাইম হিসেবে কাজ করতে পারে, যা এনজাইমের কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য।
- লবণ (ঘ): এটি সাধারণত সোডিয়াম ক্লোরাইডকে বোঝায় এবং এটি শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, কিন্তু এটি এনজাইম, অ্যান্টিবডি বা হরমোনের মৌলিক উপাদান নয়।
সুতরাং, এনজাইম, অ্যান্টিবডি এবং হরমোনের মৌলিক উপাদান হলো প্রোটিন।
প্রশ্নঃ পরম শূন্য তাপমাত্রা কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো ঘঃ ০° কেলভিন।
পরম শূন্য তাপমাত্রা হলো তাত্ত্বিকভাবে সর্বনিম্ন সম্ভাব্য তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রায় পদার্থের অণুগুলোর তাপীয় গতি সর্বনিম্ন হয়। সেলসিয়াস স্কেলে এর মান প্রায় -২৭৩.১৫° সেলসিয়াস এবং ফারেনহাইট স্কেলে প্রায় -৪৫৯.৬৭° ফারেনহাইট। তবে, পরম শূন্য তাপমাত্রাকে কেলভিন স্কেলে ০° কেলভিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যান্য বিকল্পগুলো ভুল:
- ২৭৩° সেন্টিগ্রেড (ক): এটি পানির স্ফুটনাঙ্কের কাছাকাছি তাপমাত্রা।
- -২৭৩° ফারেনহাইট (খ): এটি পরম শূন্য তাপমাত্রার কাছাকাছি হলেও সঠিক মান নয়।
- ০° সেন্টিগ্রেড (গ): এটি পানির হিমাঙ্কের তাপমাত্রা।
সুতরাং, পরম শূন্য তাপমাত্রা হলো ০° কেলভিন।
প্রশ্নঃ আদর্শ ভোল্টেজ উৎসের অভ্যন্তরীণ রোধ কত?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো শূন্য।
একটি আদর্শ ভোল্টেজ উৎসের অভ্যন্তরীণ রোধ (Internal Resistance) তাত্ত্বিকভাবে শূন্য ধরা হয়। এর অর্থ হলো, উৎসটির আউটপুট ভোল্টেজ লোডের মানের উপর নির্ভরশীল নয় এবং সর্বদা একটি নির্দিষ্ট ধ্রুব মানে বজায় থাকে। যদিও বাস্তবে কোনো ভোল্টেজ উৎসের অভ্যন্তরীণ রোধ পুরোপুরি শূন্য হয় না, তবে আদর্শ ক্ষেত্রে এটি শূন্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অভ্যন্তরীণ রোধের কারণে, বাস্তব ভোল্টেজ উৎসের সাথে লোড সংযোগ করলে কিছু ভোল্টেজ অভ্যন্তরীণ রোধের মধ্যে ড্রপ হয়, ফলে লোডে সরবরাহকৃত ভোল্টেজ উৎসের নিজস্ব ভোল্টেজের চেয়ে কিছুটা কম হয়। আদর্শ ভোল্টেজ উৎসে এই ভোল্টেজ ড্রপ শূন্য হওয়ার কথা।
ধরি, অপর প্রান্তে 'ক' কেজি ওজন চাপানো হয়েছে।
তাহলে, $$\text{ক} \times ৩ = ৬ \times ৪$$
$$৩ক = ২৪$$
$$ক = \frac{২৪}{৩}$$
$$ক = ৮$$
সুতরাং, অপর প্রান্তে ৮ কেজি ওজন চাপাতে হবে।
প্রশ্নঃ কোনটি নবায়নযােগ্য সম্পদ?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল গঃ বায়ু।
নবায়নযোগ্য সম্পদ হল সেইসব সম্পদ যা প্রাকৃতিকভাবে পুনরায় তৈরি হতে পারে এবং ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায় না।
- প্রাকৃতিক গ্যাস: জীবাশ্ম জ্বালানি, যা একবার ব্যবহার করলে শেষ হয়ে যায় এবং পুনরায় তৈরি হতে লক্ষ লক্ষ বছর লাগে।
- চুনাপাথর: একটি খনিজ সম্পদ, যা তৈরি হতে দীর্ঘ সময় লাগে এবং ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়।
- বায়ু: একটি প্রাকৃতিক শক্তি উৎস, যা প্রতিনিয়ত নবায়িত হয়। বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় এবং এটি ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয় না।
- কয়লা: জীবাশ্ম জ্বালানি, যা একবার ব্যবহার করলে শেষ হয়ে যায় এবং পুনরায় তৈরি হতে লক্ষ লক্ষ বছর লাগে।
সুতরাং, বায়ু হল একমাত্র নবায়নযোগ্য সম্পদ যা বিকল্পগুলোর মধ্যে দেওয়া আছে।
সঠিক উত্তর হল গঃ ৩ – ৬%।
সালােকসংশ্লেষণে সূর্যের আলাের রাসায়নিক শক্তিতে পরিণত করার কর্মদক্ষতা সাধারণত ৩ থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে এটি সামান্য বেশি হতে পারে, তবে সাধারণভাবে এই পরিসীমার মধ্যেই থাকে।