আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. ১৯৪৮ সালে
খ. ১৯৫০ সালে
গ. ১৯৫২ সালে
ঘ. ১৯৫৪ সালে
ব্যাখ্যাঃ

১৯৫২ সালের ৩১ জানুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার লাইব্রেরি হলে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি’ গঠিত হয়। ভাষা আন্দোলনের সময় এটি গঠিত হয়েছিল এবং এর সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। এই কমিটি ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও র্যালি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

ক. ১৮ নভেম্বর ১৯৯৯
খ. ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯
গ. ১৯ নভেম্বর ২০০১
ঘ. ২০ নভেম্বর ২০০১
ব্যাখ্যাঃ

UNESCO ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর তারিখে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

ক. হাজী শরিয়ত উল্লাহ
খ. শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক
গ. আবুল কাশেম
ঘ. মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
ব্যাখ্যাঃ

প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম ‘তমদ্দুন মজলিশ’ প্রতিষ্ঠা করেন।

এটি ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেমের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংগঠনটি মূলত বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে প্রথম সোচ্চার হয়েছিল এবং ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

ক. মুনীর চৌধুরী
খ. জহির রায়হান
গ. আবদুল গাফফার চৌধুরী
ঘ. কাজী নজরুল ইসলাম
ব্যাখ্যাঃ

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি রচনা করেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী

এই গানটি ২১শে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে রচিত একটি কালজয়ী গান। এর সুরকার ছিলেন শহীদ আলতাফ মাহমুদ।

ক. লাইবেরিয়া
খ. নামিবিয়া
গ. হাইতি
ঘ. সিয়েরা লিওন
ব্যাখ্যাঃ

সিয়েরালিওন বাংলা ভাষাকে তাদের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

২০০২ সালে, ভাষা আন্দোলনের সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে, এই পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি বাংলা ভাষাকে তাদের সরকারি ভাষাগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে ঘোষণা করে। সিয়েরালিওনে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মান প্রদান করা হয়েছিল।

ক. তমদ্দুন মজলিস
খ. ভাষা পরিষদ
গ. মাতৃভাষা পরিষদ
ঘ. আমরা বাঙালি
ব্যাখ্যাঃ

তমদ্দুন মজলিস ছিল ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত একটি ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এই সংগঠনটিই প্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তোলে এবং ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত করে।

তমদ্দুন মজলিসের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল:

  • সুস্থ ও সুন্দর তমদ্দুন (নাগরিক জীবন ও সংস্কৃতি) গড়ে তোলা: কুসংস্কার, গতানুগতিকতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতা দূর করে একটি প্রগতিশীল সমাজ নির্মাণ করা।
  • ধর্মভিত্তিক সাম্যবাদের দিকে মানবসমাজকে এগিয়ে নেওয়া: যুক্তিবাদের উপর ভিত্তি করে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
  • সাহিত্য ও শিল্পের মাধ্যমে নতুন সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা: মানবীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন সাহিত্য ও শিল্পচর্চার মাধ্যমে একটি উন্নত সমাজ গঠন করা।
  • নিখুঁত চরিত্র গঠন করে গণজীবনের উন্নয়ন: নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক তৈরির মাধ্যমে সমাজের সামগ্রিক উন্নতি সাধন করা।
  • বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা: পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রথম জোরালো প্রতিবাদ জানানো এবং বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা আদায়ে আন্দোলন গড়ে তোলা।

ভাষা আন্দোলনে তমদ্দুন মজলিসের ভূমিকা:

ভাষা আন্দোলনে তমদ্দুন মজলিসের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে বিবেচিত হয়। এর উল্লেখযোগ্য অবদানগুলো হলো:

  • প্রথম রাষ্ট্রভাষার দাবি উত্থাপন: পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই তমদ্দুন মজলিস বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তোলে।
  • পুস্তিকা প্রকাশ: ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সংগঠনটি "পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু?" শিরোনামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে। এই পুস্তিকায় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয় এবং অধ্যাপক আবুল কাশেম কতৃক বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে একটি প্রস্তাবনাও ছিল।
  • রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন: ভাষা আন্দোলনকে একটি রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্য তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগেই প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
  • জনমত সৃষ্টি: তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও আলোচনার মাধ্যমে বাংলা ভাষার পক্ষে জনমত গড়ে তোলা হয়।
  • সাপ্তাহিক সৈনিক: এই সংগঠনের মুখপত্র হিসেবে সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা ভাষা আন্দোলনের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পরবর্তীতে অন্যান্য ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠন ভাষা আন্দোলনে যোগ দিলেও, তমদ্দুন মজলিসই প্রথম সংগঠন হিসেবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে এবং এর একটি সুস্পষ্ট ভিত্তি তৈরি করে। এ কারণে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে তমদ্দুন মজলিসের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

ক. ২৫ শে জানুয়ারী
খ. ১১ই ফেব্রুয়ারী
গ. ১১ই মার্চ
ঘ. ২৫ শে ফেব্রুয়ারী
ব্যাখ্যাঃ

১৯৪৮ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের সময় ১১ই মার্চ ‘ভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হতো।

১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ দাবিতে পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। এই দিনটিতে ছাত্রদের ওপর পুলিশি নির্যাতন হয় এবং অনেকেই গ্রেফতার হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে দিনটি ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে চিহ্নিত হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত প্রতি বছর ১১ই মার্চ ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হতো।

ক. খাজা নাজিম উদ্দিন
খ. নুরুল আমিন
গ. লিয়াকত আলী খান
ঘ. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
ব্যাখ্যাঃ

ভাষা আন্দোলনের সময় (১৯৫২ সাল) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দিন

তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের (তৎকালীন পূর্ব বাংলা) একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং মুসলিম লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ভাষা আন্দোলনের সময় তার বিতর্কিত ভূমিকা ছিল, কারণ তিনি উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন, যা আন্দোলনকে আরও তীব্র করে তুলেছিল।

ক. দ্বি-জাতি তত্ত্ব
খ. সামাজিক চেতনা
গ. অসাম্প্রদায়িকতা
ঘ. বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ
ব্যাখ্যাঃ

পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলনের মূল ভিত্তি ছিল বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত এই আন্দোলন ছিল মূলত বাঙালি জাতির নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের স্বীকৃতির সংগ্রাম। পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি হওয়া সত্ত্বেও যখন উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা করা হয়, তখন এর বিরুদ্ধে বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং স্বতন্ত্র জাতিসত্তার অনুভূতিই প্রবল হয়ে ওঠে। এটি ছিল বাঙালির আত্মপরিচয়, সংস্কৃতি ও ভাষার প্রতি গভীর মমত্ববোধের প্রকাশ, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • দ্বি-জাতি তত্ত্ব: এটি ছিল ভারত বিভাগের মূল ভিত্তি, যা মুসলিম ও হিন্দুদের পৃথক জাতি হিসেবে গণ্য করে। ভাষা আন্দোলন এই তত্ত্বের ভুল প্রমাণ করে, কারণ ধর্মীয় পরিচয়ের চেয়ে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় এখানে মুখ্য হয়ে ওঠে।
  • সামাজিক চেতনা: ভাষা আন্দোলনের একটি অংশ সামাজিক চেতনা হলেও, এর মূল চালিকাশক্তি ছিল জাতীয়তাবাদ।
  • অসাম্প্রদায়িকতা: ভাষা আন্দোলন অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি এক হয়েছিল। তবে, এটি ছিল আন্দোলনের একটি বৈশিষ্ট্য, মূল ভিত্তি নয়। মূল ভিত্তি ছিল ভাষার উপর ভিত্তি করে গঠিত বাঙালি জাতিসত্তা।
ক. ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫২
খ. ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২
গ. ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২
ঘ. ২০ জানুয়ারি, ১৯৫২
ব্যাখ্যাঃ

সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫২ সালে।

১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঢাকায় এসে ঘোষণা করেন যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এর প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় তীব্র ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে, ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫২ তারিখে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার লাইব্রেরি হলে অনুষ্ঠিত এক সভায় ৪০ সদস্যবিশিষ্ট সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। কাজী গোলাম মাহবুবকে এই পরিষদের আহ্বায়ক করা হয়। এই পরিষদই ২১ ফেব্রুয়ারি হরতাল ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল, যা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়।

ক. ৯ মে, ১৯৫৪
খ. ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৩
গ. ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬
ঘ. ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা ভাষাকে পাকিস্তান গণপরিষদ ৭ মে, ১৯৫৪ তারিখে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

তবে, এটি ছিল একটি প্রস্তাবনা মাত্র। আনুষ্ঠানিকভাবে এবং সাংবিধানিকভাবে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ সালে, যখন পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়। সেই সংবিধানের ২১৪(১) অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয় যে, "উর্দু এবং বাংলা হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।"

সুতরাং, যদি 'স্বীকৃতি দেয়' বলতে গণপরিষদে প্রস্তাব পাশ হওয়ার তারিখ বোঝানো হয়, তাহলে উত্তর হবে ৭ মে, ১৯৫৪। আর যদি 'সাংবিধানিক স্বীকৃতি' বোঝানো হয়, তাহলে ২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬। প্রশ্নের ধরন অনুযায়ী, 'অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়' বলতে সাধারণত ১৯৫৪ সালের তারিখটিকেই বোঝানো হয়।

ক. আব্দুল মতিন
খ. ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
গ. শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক
ঘ. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
ব্যাখ্যাঃ

পাকিস্তানের গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম দাবি উত্থাপন করেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত

তিনি ১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি (কিছু সূত্রে ২৫শে ফেব্রুয়ারিও উল্লেখ আছে) পাকিস্তান গণপরিষদে এই দাবি উত্থাপন করেন যে, উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা হোক এবং গণপরিষদের কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাতেও রাখা হোক।

ক. বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা
খ. প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন
গ. পূর্ববাংলার অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ
ঘ. বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারী উচ্ছেদ
ব্যাখ্যাঃ

১৯৫৪ সালে পূর্ববঙ্গ প্রাদেশিক নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ৪ ডিসেম্বর মাওলানা ভাষানীর নেতৃত্ত্বে আওয়ামীলীগ, এ.কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে কৃষক শ্রমিক পার্টি, মাওলানা আতাহার আলী এর নেতৃত্বে নেজাম-ই-ইসলামী এবং হাজী দানেশ এর নেতৃত্বে বামপন্থী গণতন্ত্র দল যুক্তফ্রন্ট নামে নির্বাচনী মোর্চা গঠন করে। যুক্তফ্রন্ট থেকে ২১টি প্রতিশ্রুতি সম্বলিত যে নির্বাচনী মেনিফেস্টো ঘোষণা করা হয় তাই ২১ দফা নামে পরিচিত। উক্ত দফায় ১ম দফা: বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া। ২য় দফা: বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারী উচ্ছেদ। ‘প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন’ দাবীটি ৫-৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ সালে লাহোরে বিরোধী দলের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক পেশকৃত ছয় দফা দাবীর ১ম দফা।

ক. জাতীয় স্মৃতিসৌধ
খ. লালবাগের কেল্লা
গ. সোনা মসজিদ
ঘ. শহীদ মিনার
ব্যাখ্যাঃ

স্বাধীনতার পর প্রকাশিত (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২) প্রথম ডাকটিকিটে শহীদ মিনারের ছবি ছিল। ২০ পয়সা মূল্যমানের এ ডাকটিকিটের ডিজাইনার ছিলেন বি পি চিতনিশ (BP Chitonish)। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিট প্রকাশিত হয় ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই। মুজিবনগর সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ৮ প্রকার এ ডাকটিকিটের ডিজাইনার ছিলেন বিমান মল্লিক।

ক. আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী
খ. আলতাফ মাহমুদ
গ. আব্দুল লতিফ
ঘ. আব্দুল আলীম
ব্যাখ্যাঃ

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ বিখ্যাত এ গানটি প্রথম প্রকাশিত হয় হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩) গ্রন্হে। গানটির প্রথম সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী ছিলেন আব্দুল লতিফ। বর্তমান সুরকার আলতাফ মাহমুদ এবং সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়।

ক. আবদুল লতিফ
খ. আবদুল আহাদ
গ. আলতাফ মাহমুদ
ঘ. মাহমুদুন্নবী
ব্যাখ্যাঃ

গানটির গীতিকার আব্দুল গাফফার চৌধুরী এবং প্রথম সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী ছিলেন আব্দুল লতিফ। বর্তমান সুরকার আলতাফ মাহমুদ এবং বর্তমানে এটি সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়।

ক. হামিদুর রহমান
খ. তানভির কবির
গ. মাইনুল হোসেন
ঘ. মাযহারুল ইসলাম
ব্যাখ্যাঃ

হামিদুর রহমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের, তানভীর কবির মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের এবং মাযহারুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের স্থপতি।

ক. দ্বিজাতি তত্ত্ব
খ. অসাম্প্রদায়িক মনোভাব
গ. স্বজাত্যবোধ
ঘ. বাঙালি জাতীয়তাবাদ
ব্যাখ্যাঃ

ভাষা আন্দোলন পূর্ব বাংলায় বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভাবাদর্শ ছড়িয়ে দেয়। এই আন্দোলনের মাধ্যমে পূর্ব বাংলার জনগণ তাদের ভাষা, সংস্কৃতি এবং অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে।

ভাষা আন্দোলন পূর্ব বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি বাঙালি জাতিকে তাদের আত্মপরিচয় সম্পর্কে সচেতন করে তোলে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ প্রশস্ত করে।

ক. দ্বিজাতিতত্ত্ব
খ. অসাম্প্রদায়িক মনোভাব
গ. স্বজাত্যবোধ
ঘ. বাঙালি জাতীয়তাবাদ
ব্যাখ্যাঃ

ভাষা আন্দোলন পূর্ব বাংলায় বাঙালি জাতীয়তাবাদী ভাবাদর্শ ছড়িয়ে দিয়েছিল।
এই আন্দোলন কেবল ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। এটি পূর্ব বাংলার জনগণের মধ্যে একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা এবং আত্মপরিচয়ের বোধ জাগিয়ে তোলে।

ক. ১৯৯৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি
খ. ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর
গ. ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি
ঘ. ২০০০ সালের ২৬ মার্চ
ব্যাখ্যাঃ

ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবসকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ তারিখে।

ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়েছিল এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশও এতে সমর্থন জানিয়েছিল।