আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. লর্ড কার্জন
খ. রাজা পঞ্চম জর্জ
গ. লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন
ঘ. লর্ড ওয়াভেল
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গভঙ্গ রদ হয় ১৯১১ সালের ১২ই ডিসেম্বর

১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের শাসনামলে বাংলাকে ভাগ করে দুটি নতুন প্রদেশ তৈরি করা হয়েছিল: পূর্ব বাংলা ও আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার। এই বিভাজন "বঙ্গভঙ্গ" নামে পরিচিত ছিল।

বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে, যা ইতিহাসে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন নামে পরিচিত। এই আন্দোলনের প্রধান কারণ ছিল:

  • রাজনৈতিক উদ্দেশ্য: ব্রিটিশ সরকার প্রশাসনিক সুবিধার কথা বললেও, এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদকে দুর্বল করা এবং হিন্দু-মুসলিম বিভেদ সৃষ্টি করা।
  • সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত ঐক্য: বাঙালিরা তাদের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের উপর আঘাত হিসেবে এই বিভাজনকে দেখেছিল।

দীর্ঘ ছয় বছর ধরে চলা তীব্র আন্দোলন, প্রতিবাদ এবং বিপ্লবী কার্যকলাপের ফলে ব্রিটিশ সরকার শেষ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয়। ১৯১১ সালের ১২ই ডিসেম্বর সম্রাট পঞ্চম জর্জের দিল্লি দরবারে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা করা হয় এবং ১৯১২ সালের ১লা এপ্রিল থেকে এটি কার্যকর হয়।

বঙ্গভঙ্গ রদ বাঙালি জাতির একটি বড় রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

ক. লর্ড কার্জন
খ. লর্ড ওয়াভেল
গ. লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন
ঘ. লর্ড লিনলিথগো
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গভঙ্গ বলতে ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জনের বাংলা প্রেসিডেন্সিকে বিভক্ত করার পরিকল্পনাকে বোঝায়। এর মাধ্যমে বাংলা প্রদেশকে দুটি নতুন প্রদেশে ভাগ করা হয়:

  • পূর্ববঙ্গ ও আসাম: ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিভাগ এবং আসাম নিয়ে গঠিত, যার রাজধানী ছিল ঢাকা। এখানে মুসলিম জনসংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল।
  • পশ্চিমবঙ্গ: বিহার, ওড়িশা এবং অবশিষ্ট বাংলা অংশ নিয়ে গঠিত, যার রাজধানী ছিল কলকাতা। এখানে হিন্দু জনসংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল।

বঙ্গভঙ্গের কারণ:

ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বঙ্গভঙ্গের প্রধান কারণ হিসেবে প্রশাসনিক অসুবিধা ও প্রদেশের বিশাল আয়তনের কথা বলা হয়েছিল। তবে এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও ছিল বলে মনে করা হয়। ব্রিটিশরা মনে করত, বাঙালি জাতীয়তাবাদীদের আন্দোলন দুর্বল করতে এবং হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারলে তাদের শাসন আরও সুদৃঢ় হবে।

বঙ্গভঙ্গের ফলাফল:

বঙ্গভঙ্গের ফলে বাংলায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। হিন্দু সম্প্রদায় এটিকে তাদের জাতীয় ঐক্যের উপর আঘাত হিসেবে দেখে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করে, যা বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন নামে পরিচিত। এই আন্দোলনে রাখি বন্ধন, স্বদেশী আন্দোলন এবং বিপ্লবী কার্যকলাপের মতো বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।

অন্যদিকে, কিছু মুসলিম নেতা বঙ্গভঙ্গকে পূর্ব বাংলার মুসলিমদের উন্নতি ও বিকাশের সুযোগ হিসেবে দেখেছিলেন এবং প্রাথমিকভাবে এটিকে সমর্থন করেছিলেন।

তবে, তীব্র এবং রাজনৈতিক চাপের মুখে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয় ব্রিটিশ সরকার। রাজা পঞ্চম জর্জ দিল্লি দরবারে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন এবং ১৯১২ সালে এটি কার্যকর হয়।

বঙ্গভঙ্গ এবং এর পরবর্তী আন্দোলন ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি একদিকে যেমন ব্রিটিশবিরোধী চেতনাকে আরও শক্তিশালী করেছিল, তেমনি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদের বীজও বপন করেছিল, যার প্রভাব পরবর্তীকালে ভারতের রাজনীতিতে দেখা যায়।

ক. জুন ২২, ১৭৫৭
খ. জুন ২৪, ১৭৫৭
গ. জুন ২৩, ১৭৫৭
ঘ. জুন ২৫, ১৭৫৭
ব্যাখ্যাঃ

পলাশির যুদ্ধ (Battle of Plassey) ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা বাংলার স্বাধীন নবাবী শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে।

সংঘটিত হওয়ার তারিখ: ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন।

স্থান: ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশী নামক স্থানে (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায়)।

মূল পক্ষসমূহ:

  • একদিকে: বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা
  • অন্যদিকে: ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, যার নেতৃত্বে ছিলেন রবার্ট ক্লাইভ

যুদ্ধের কারণ:

  • রাজনৈতিক কারণ: নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে ক্ষমতা ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব। ব্রিটিশদের বাণিজ্যিক সুবিধার অপব্যবহার, নবাবের অনুমতি ছাড়া ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ সংস্কার, এবং নবাবের শত্রুদের আশ্রয় প্রদান ইত্যাদি বিষয়গুলো বিরোধের জন্ম দেয়।
  • অর্থনৈতিক কারণ: ব্রিটিশদের বাংলার ধনসম্পদ লুণ্ঠনের আকাঙ্ক্ষা এবং নবাবের রাজস্ব আদায়ের উপর তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা।
  • ষড়যন্ত্র: নবাবের সভাসদদের (যেমন মীরজাফর, জগৎশেঠ, উমিচাঁদ, রায়দুর্লভ, ঘসেটি বেগম) ব্রিটিশদের সাথে গোপন আঁতাত এবং নবাবের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা।

যুদ্ধের ঘটনা: নবাব সিরাজউদ্দৌলা তাঁর বিশাল বাহিনী নিয়ে পলাশীর প্রান্তরে ব্রিটিশদের মুখোমুখি হন। কিন্তু মীরজাফর, যিনি নবাবের প্রধান সেনাপতি ছিলেন, যুদ্ধের ময়দানে নিষ্ক্রিয় থাকেন এবং তার বিশাল বাহিনী নিয়ে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকেন। ফলে নবাবের অল্প সংখ্যক অনুগত বাহিনী, যেমন মীর মদন এবং মোহনলালের নেতৃত্বে যারা যুদ্ধ করছিলেন, তারা ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে পরাজিত হন। মীর মদন এই যুদ্ধে শহীদ হন। নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরবর্তীতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যান, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের হাতে ধরা পড়ে নির্মমভাবে নিহত হন।

ফলাফল ও তাৎপর্য:

  • নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন: পলাশির যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীন নবাবী শাসনের অবসান হয়।
  • ব্রিটিশ শাসনের সূচনা: এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশরা মীরজাফরকে পুতুল নবাব হিসেবে সিংহাসনে বসায় এবং তার মাধ্যমে বাংলার সম্পদ শোষণ করতে থাকে।
  • ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা: পলাশির যুদ্ধের বিজয়ের ফলে ব্রিটিশরা ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে তাদের প্রভাব বিস্তার করে এবং প্রায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের ভিত্তি স্থাপিত হয়।
  • অর্থনৈতিক শোষণ: ব্রিটিশরা বাংলার অফুরন্ত সম্পদ শোষণ করতে শুরু করে, যা বাংলার অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণ হয় এবং পরবর্তীতে উপমহাদেশে শিল্প বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

পলাশির যুদ্ধ কেবল একটি সামরিক সংঘাত ছিল না, এটি ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসের এক টার্নিং পয়েন্ট।

ক. লর্ড রিপন
খ. লর্ড কার্জন
গ. লর্ড মিন্টো
ঘ. লর্ড হার্ডিঞ্জ
ব্যাখ্যাঃ

পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ গঠনকালে (১৯০৫ সালে) ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় ছিলেন: লর্ড কার্জন (Lord Curzon)

তিনি ১৮৯৯ সাল থেকে ১৯০৫ সাল পর্যন্ত ভারতের ভাইসরয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সময়েই বঙ্গভঙ্গ (Partition of Bengal) হয়, যার ফলস্বরূপ পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ গঠিত হয়েছিল।

ক. ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দ
খ. ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দ
গ. ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দ
ঘ. ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলার ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ ছিল ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে (বাংলা ১১৭৬ সাল) ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে সংঘটিত এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। এটি বাংলার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মানবসৃষ্ট দুর্যোগগুলোর মধ্যে অন্যতম।

সময়কাল:

  • বাংলা সন: ১১৭৬ বঙ্গাব্দ।
  • ইংরেজি সন: ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দ।

কারণসমূহ:

  • প্রাকৃতিক কারণ: ১৭৬৮-১৭৬৯ সালের দিকে অনাবৃষ্টি এবং খরা দেখা যায়, যার ফলে ফসলের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
  • ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শোষণমূলক নীতি:
    • ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দিল্লির বাদশাহ শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও ওড়িশার দেওয়ানি লাভ করে। এর ফলে তারা রাজস্ব আদায়ের পূর্ণ ক্ষমতা পায়।
    • কোম্পানি অধিক মুনাফার লোভে কৃষকদের উপর উচ্চ হারে রাজস্ব আরোপ করে এবং তা কঠোরভাবে আদায় করত, এমনকি ফসলহানির সময়ও।
    • দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার কারণে নবাবের হাতে প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকলেও রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা ছিল কোম্পানির হাতে। এর ফলে জনগণের দুর্দশা চরম আকার ধারণ করে।
    • কোম্পানি খাদ্যশস্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এবং উচ্চ মূল্যে সেগুলো বিক্রি করে।
    • খাদ্যশস্যের পরিবর্তে অর্থকরী ফসল (যেমন: নীল, আফিম) চাষে কৃষকদের বাধ্য করা হয়, যা খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দেয়।

প্রভাব:

  • ব্যাপক প্রাণহানি: এই দুর্ভিক্ষে বাংলা ও বিহারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ, অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি মানুষ অনাহারে বা অপুষ্টিজনিত রোগে মারা যায়। এটি বাংলার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাণহানি ঘটায়।
  • অর্থনৈতিক বিপর্যয়: কৃষি উৎপাদন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়, বহু জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে, এবং গ্রামগুলো জনশূন্য হয়ে যায়। বাংলার অর্থনীতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে।
  • সামাজিক বিশৃঙ্খলা: আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়, দস্যুতা বৃদ্ধি পায় এবং সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের মতো ঘটনা ঘটে।
  • দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব: দুর্ভিক্ষ বাংলার জনসংখ্যা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য ব্যবস্থায় দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।

এই মন্বন্তর ব্রিটিশ শাসনের শোষণের একটি জঘন্য উদাহরণ হয়ে আছে।

ক. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা
খ. দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা
গ. সতীদাহ নিবারণ ব্যবস্থা
ঘ. পুলিশ ব্যবস্থা
ব্যাখ্যাঃ

লর্ড ক্যানিং ১৮৫৬ থেকে ১৮৬২ সাল পর্যন্ত ভারতের গভর্নর-জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৮৫৮ সালে ভারত শাসন আইন পাসের পর তিনিই ভারতের প্রথম ভাইসরয় হন।

তাঁর আমলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম হলো:

  • ১৮৬১ সালের ভারতীয় পুলিশ আইন পাসের মাধ্যমে পুলিশ ব্যবস্থা চালু করা। এটি উপমহাদেশে আধুনিক পুলিশ প্রশাসনের সূচনা করে।
  • তিনি পোর্টফোলিও ব্যবস্থা (মন্ত্রিপরিষদ ব্যবস্থায় বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্ব মন্ত্রীদের মধ্যে বন্টন) চালু করেন, যা ভাইসরয়ের কার্যনির্বাহী পরিষদে প্রতিটি সদস্যকে একটি নির্দিষ্ট দপ্তরের দায়িত্ব দিত।
  • কাগজী মুদ্রা চালু করেন (১৮৬১)
  • ১৮৫৭ সালে কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয় তাঁর আমলে।
  • ভারতীয় দণ্ডবিধি (Indian Penal Code - ১৮৬০) এবং ফৌজদারি কার্যবিধি (Criminal Procedure Code - ১৮৬১) তাঁর সময়ে কার্যকর করা হয়।
  • সত্ত্ববিলোপ নীতি (Doctrine of Lapse) প্রত্যাহার করেন।
  • আয়কর প্রবর্তন করেন (পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে)।

এই সংস্কারগুলোর মধ্যে, যদি একটি একক ব্যবস্থার কথা বলা হয় যা তিনি 'প্রথম' চালু করেন, তবে পুলিশ ব্যবস্থা (১৮৬১ সালে ভারতীয় পুলিশ আইন পাসের মাধ্যমে) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ ছিল।

ক. ১৭৫৭ খ্রি.
খ. ১৭৭০ খ্রি.
গ. ১৮৫৭ খ্রি.
ঘ. ১৭৯৩ খ্রি.
ব্যাখ্যাঃ

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত (Permanent Settlement) প্রবর্তন করেন লর্ড কর্নওয়ালিস

এটি ১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যায় প্রবর্তন করা হয়। এর মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ও বাংলার জমিদারদের মধ্যে জমির রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত একটি স্থায়ী চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। এই ব্যবস্থার আওতায় জমিদাররা জমির স্থায়ী মালিকানা লাভ করেন এবং সরকারকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব প্রদান করতে বাধ্য থাকেন।

ক. লর্ড কার্জন
খ. লর্ড মাউন্টব্যাটেন
গ. লর্ড বেন্টিঙ্ক
ঘ. লর্ড ওয়াভেল
ব্যাখ্যাঃ

লর্ড মাউন্টব্যাটেন (মেয়াদকাল ১৯৪৫-১৯৪৭) ভারতবর্ষকে ভেঙে ১৪ আগস্ট, ১৯৪৭ পাকিস্তান এবং ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ ভারত নামে ‍দুটি রাষ্ট্র গঠন করেন। ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পর তার ভাইসরয় উপাধি বিলুপ্ত হয়ে গভর্নর জেনারেল উপাধিতে রূপান্তরিত হয়। ফলে তিনি ভারতের শেষ ভাইসরয় ও প্রথম গভর্নর জেনারেলে পরিণত হন।

ক. কর্নওয়ালিস
খ. ক্লাইভ
গ. জন মেয়ার
ঘ. ওয়ারেন হেস্টিংস
ব্যাখ্যাঃ

লর্ড কর্নওয়ালিস । ১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ তিনি 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' প্রথা চালুর মাধ্যমে সূর্যাস্ত আইন বলবৎ করেন। মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্রিটিশের প্রধান সেনাপতি ছিলেন

ক. দুদু মিয়া
খ. তিতুমীর
গ. হাজী শরীয়তুল্লাহ
ঘ. সৈয়দ আহমদ
ব্যাখ্যাঃ

মুসলমানদের ফরজ কাজসমূহ পালনে উদ্বুদ্ধ করার আন্দোলন ফরায়েজী আন্দোলন, যার নেতৃত্ব দেন হাজী শরীয়তুল্লাহ। এর প্রধান কেন্দ্র ছিল ফরিদপুর। পরবর্তীতে তার পুত্র দুদু মিয়া ঐ আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপদান করেন।

ক. পরীবিবি
খ. ইরান দুখ্ত
গ. জাহানারা
ঘ. মরিয়ম
ব্যাখ্যাঃ

শায়েস্তা খানের কন্যা পরীবিবির আসল নাম ইরান দুখ্‌ত। পরী বিবির মাজার লালবাগ কেল্লার ভিতরে দরবারগৃহ থেকে ২৭৫ ফুট পশ্চিমে অবস্থিত। এ মাজারে কালো পাথর, শ্বেত বর্ণের মর্মর পাথর, ধূসর বর্ণের বেলে পাথর ইত্যাদি দুষ্প্রাপ্য পাথর সংযোজিত আছে। উল্লেখ্য, ইরান দুখ্‌ত শাহজাদা আযমের বাগদত্তা ছিলেন, কিন্তু বিয়ের পূর্বে তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন।

ক. লর্ড মিন্টো
খ. লর্ড কার্জন
গ. লর্ড মাউন্টব্যাটেন
ঘ. লর্ড ওয়াভেল
ব্যাখ্যাঃ

উপমহাদেশের সর্বশেষ গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৭ সাল থেকে ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত শেষ ব্রিটিশ ‘ভাইসরয়’ এবং ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ থেকে ২১ জুন, ১৯৪৮ পর্যন্ত বিভাগোত্তর ভারত ডোমিনিয়নের প্রথম ‘গভর্নর জেনারেল’ পদে দায়্ত্বি পালন করেন। উল্লেখ্য, উপমহাদেশের প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসেবে ওয়ারেন হেস্টিংস ২০ অক্টোবর, ১৮৭৪ থেকে ১ ফেব্রুয়ারি, ১৮৭৫ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

ক. বাংলা ১৭০৬ সালে
খ. বাংলা ১১৭৬ সালে
গ. বাংলা ১৩৭৬ সালে
ঘ. ইংরেজি ১৮৭৬ সালে
ব্যাখ্যাঃ

ক্লাইভের দ্বৈতশাসনব্যবস্থার কুফল ও বাংলা ১১৭৬ সালে (ইংরেজি ১৭৭০) দেশব্যাপী দুর্ভিক্ষের ফলে এক মারাত্মক অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দেয়। এ বিপর্যয়ে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লোক প্রাণ হারায় এবং অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড সম্পূরূপে ভেঙে পড়ে। ’৭৬ সালের এই ভয়াবহ অবস্থাই ইতিহাসে ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ নামে পরিচিত।

ক. ২২ জুন
খ. ২৩ জুন
গ. ২৪ জুন
ঘ. ২১ জুন
ব্যাখ্যাঃ

পলাশীর যুদ্ধ ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন সংঘটিত হয়েছিল। এই যুদ্ধ ছিল একদিকে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং অন্যদিকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর মধ্যে।

কারণ

পলাশীর যুদ্ধের মূল কারণগুলো ছিল বহুবিধ:

  • ক্ষমতা ও সার্বভৌমত্বের দ্বন্দ্ব: নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলার স্বাধীন শাসক, কিন্তু ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নিজেদের বাণিজ্যিক ক্ষমতাকে রাজনৈতিক ক্ষমতায় রূপান্তর করতে চাইছিল। তারা নবাবের অনুমতি ছাড়াই কলকাতায় দুর্গ নির্মাণ এবং নিজেদের বাণিজ্য শুল্ক ফাঁকি দেওয়া শুরু করে।
  • দস্তক-এর অপব্যবহার: ইংরেজ বণিকরা দস্তক (বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার অনুমতিপত্র) এর ব্যাপক অপব্যবহার করে দেশীয় ব্যবসায়ীদের বঞ্চিত করছিল, যা নবাবের রাজস্বের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।
  • আশ্রয় প্রদান: নবাবের শত্রু কৃষ্ণদাসকে ইংরেজরা আশ্রয় দিয়েছিল, যা নবাবের ক্রোধের কারণ হয়।
  • নবাবের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ: সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসনে আরোহণের পর ইংরেজরা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী নতুন নবাবকে উপঢৌকন বা সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ পাঠায়নি।
  • অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র: নবাবের খালা ঘষেটি বেগম, সেনাপতি মীর জাফর, উমিচাঁদ, জগৎশেঠ, রায়দুর্লভ প্রমুখ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নবাবের বিরুদ্ধে ইংরেজদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।

প্রশ্নঃ বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয় কত সালে?

[ 18th ntrca (স্কুল পর্যায়) (15-03-2024) ]

ক. ১৯০৫ সালে
খ. ১৯১১ সালে
গ. ১৯০৬ সালে
ঘ. ১৯০৯ সালে
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গভঙ্গ রদ হয়েছিল ১৯১১ সালের ১২ই ডিসেম্বর

১৯০৫ সালে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাংলা ভাগ করার সিদ্ধান্তের (বঙ্গভঙ্গ) বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন ও বিক্ষোভের মুখে ব্রিটিশ সরকার এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। দিল্লির দরবারে ব্রিটিশ রাজা পঞ্চম জর্জ এই রদের ঘোষণা দেন। বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে কলকাতা থেকে রাজধানী দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়।