আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. রেহমান সোবহান
খ. আনিসুর রহমান
গ. নুরুল ইসলাম
ঘ. হারুন-অর-রশিদ
ব্যাখ্যাঃ

The Foreshadowing of Bangladesh গবেষণা গ্রন্থটির লেখক অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

এই গ্রন্থে ১৯০৬ থেকে ১৯৪৭ সালের মধ্যে বাংলার মুসলিম রাজনীতি এবং বেঙ্গল মুসলিম লীগের কার্যক্রম বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে।

ক. ১৯১৭ সালে
খ. ১৯২৭ সালে
গ. ১৯৩৭ সালে
ঘ. ১৯৪২ সালে
ব্যাখ্যাঃ

১৯৪২ সালের ৮ই আগস্ট মহাত্মা গান্ধী বোম্বাইয়ে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির অধিবেশনে ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনের সূচনা করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানো এবং ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন।

এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল ক্রিপস মিশনের ব্যর্থতা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট এবং ভারতীয়দের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাবের ফলে। গান্ধীজির "করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে" (Do or Die) স্লোগান এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করেছিল।

‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনের তাৎপর্য ছিল সুদূরপ্রসারী। যদিও ব্রিটিশ সরকার কঠোর হাতে এই আন্দোলন দমন করে, তবুও এটি প্রমাণ করে যে ভারতীয়রা আর ব্রিটিশ শাসন মেনে নিতে রাজি নয়। এই আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি ব্রিটিশদের উপলব্ধি করতে বাধ্য করে যে ভারতকে আর বেশি দিন পরাধীন করে রাখা সম্ভব নয়।

ক. পূর্ববঙ্গ ও বিহার
খ. পূর্ববঙ্গ ও আসাম
গ. পূর্ববঙ্গ ও উড়িষ্যা
ঘ. পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গভঙ্গের কারণে পূর্ববঙ্গ ও আসাম নামে একটি নতুন প্রদেশ সৃষ্টি হয়েছিল।

এই প্রদেশে অন্তর্ভুক্ত ছিল:

  • ঢাকা বিভাগ
  • চট্টগ্রাম বিভাগ
  • রাজশাহী বিভাগ
  • আসাম

এই নতুন প্রদেশের রাজধানী ছিল ঢাকা।

ক. ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২৬
খ. ১৯ জানুয়ারি ১৯২৬
গ. ১৯ মার্চ ১৯২৬
ঘ. ২৬ মার্চ ১৯২৭
ব্যাখ্যাঃ

‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রতিষ্ঠার সঠিক তারিখ ছিল ১৯ জানুয়ারি ১৯২৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হলে (বর্তমান সলিমুল্লাহ মুসলিম হল) এই সাহিত্য সমাজের প্রতিষ্ঠা হয়।

এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন ছিলেন:

  • কাজী মোতাহার হোসেন
  • কাজী আবদুল ওদুদ
  • আবুল হুসেন
  • ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (প্রতিষ্ঠাকালীন সভায় সভাপতিত্ব করেন)

এই সংগঠনটি "বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন"-এর সাথে জড়িত ছিল এবং এর মুখপত্র ছিল শিখা পত্রিকা।

ক. পূর্ববঙ্গ
খ. পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা
গ. পূর্ব্বঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ
ঘ. পূর্ববঙ্গ ও আসাম
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গভঙ্গ ছিল ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জনের আদেশে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত। এর মাধ্যমে পূর্ব বাংলা ও আসাম নামে একটি নতুন প্রদেশ তৈরি করা হয়, যার রাজধানী ছিল ঢাকা। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ওড়িশা নিয়ে গঠিত হয় অন্য প্রদেশটি।

বঙ্গভঙ্গের কারণ:

বঙ্গভঙ্গের পেছনে একাধিক কারণ ছিল, যার মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো:

  • প্রশাসনিক অসুবিধা: বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি ছিল বিশাল এলাকা নিয়ে গঠিত। বিহার, উড়িষ্যা এবং ছোটনাগপুরও এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। এত বড় একটি অঞ্চলের প্রশাসনিক কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা ব্রিটিশ সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল। লর্ড কার্জন এই প্রশাসনিক অসুবিধা দূর করতে বাংলাকে ভাগ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।
  • রাজনৈতিক উদ্দেশ্য: ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করাই ছিল বঙ্গভঙ্গের অন্যতম রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। ব্রিটিশ সরকার মনে করেছিল, বাংলা ভাগ করলে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দুর্বল হয়ে যাবে।
  • অর্থনৈতিক বৈষম্য: পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা কেন্দ্রিক হওয়ায় সেখানে শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছিল। কিন্তু পূর্ব বাংলা ছিল কৃষিপ্রধান এবং অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ। বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে মনোযোগ দিতে চেয়েছিল, যদিও এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন।
  • সাম্প্রদায়িক বিভাজন: যদিও সরকারিভাবে প্রশাসনিক কারণ দেখানো হয়েছিল, তবে বঙ্গভঙ্গের পেছনে একটি বড় কারণ ছিল হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা। পূর্ব বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায় নতুন প্রদেশে নিজেদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নতি আশা করেছিল, যা হিন্দু জমিদার ও এলিট শ্রেণী ভালোভাবে নেয়নি।

বঙ্গভঙ্গের ফলাফল:

বঙ্গভঙ্গের ফলে বাংলায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা এর বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলে, যা বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন বা স্বদেশী আন্দোলন নামে পরিচিত। এই আন্দোলনের প্রধান দিকগুলো ছিল:

  • ব্রিটিশ পণ্য বর্জন ও দেশীয় পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি।
  • বিভিন্ন বিপ্লবী দলের উত্থান।
  • জাতীয়তাবাদী চেতনার বিস্তার।
  • হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ আরও গভীর হওয়া।

অবশেষে, তীব্র আন্দোলনের মুখে এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয় ব্রিটিশ সরকার। রাজা পঞ্চম জর্জের দিল্লি দরবারে এই রদের ঘোষণা করা হয় এবং ১৯১২ সালে এটি কার্যকর হয়।

বঙ্গভঙ্গ ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা পরবর্তীকালে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির গতিপথকে প্রভাবিত করেছিল।

ক. উনবিংশ শতাব্দীতে
খ. অষ্টাদশ শতাব্দীতে
গ. ষোড়শ শতাব্দীতে
ঘ. চতুর্দশ শতাব্দীতে
ব্যাখ্যাঃ

ব্রিটিশ কৃষি বিপ্লব ছিল অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরু থেকে উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ইংল্যান্ডে কৃষি উৎপাদন, প্রযুক্তি ও ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি ব্যাপক পরিবর্তন। এই বিপ্লবের ফলে কৃষিক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়, যা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং শিল্প বিপ্লবের পটভূমি তৈরি করে।

কৃষি বিপ্লবের প্রধান কারণ ও বৈশিষ্ট্য:

  • নতুন কৃষি পদ্ধতির প্রবর্তন: এই সময়ে শস্য আবর্তন (Crop Rotation) পদ্ধতির ব্যাপক প্রচলন ঘটে। এর ফলে জমির উর্বরতা বজায় রাখা সহজ হয় এবং পতিত জমি ফেলে রাখার প্রয়োজন কমে। চার ফসলী চক্র (Four-Course Rotation), যেখানে গম, টার্নিপ, বার্লি এবং ক্লোভার পর্যায়ক্রমে চাষ করা হতো, বিশেষভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
  • নতুন যন্ত্রপাতির ব্যবহার: উন্নত ধরনের লাঙ্গল (যেমন রদারহ্যামের চাকাযুক্ত লাঙ্গল), বীজ বপনকারী যন্ত্র (Jethro Tull কর্তৃক উদ্ভাবিত সিড ড্রিল), এবং ফসল কাটার যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়। এই যন্ত্রপাতিগুলি শ্রমের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।
  • নির্বাচিত প্রজনন (Selective Breeding): গবাদি পশুর উন্নত জাত তৈরির জন্য নির্বাচিত প্রজনন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এর ফলে মাংস ও দুধের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। রবার্ট বাকওয়েল এই ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
  • ভূমি একত্রীকরণ (Enclosure Movement): এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূর্বে উন্মুক্ত এবং সকলের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত জমিগুলিকে ব্যক্তিগত মালিকানায় আনা হয় এবং বড় খামারে পরিণত করা হয়। এর ফলে কৃষকরা আরও দক্ষতার সাথে জমি ব্যবহার করতে এবং নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে সক্ষম হন। তবে, অনেক ছোট কৃষক তাদের জমি হারান এবং শহরে কাজের সন্ধানে যেতে বাধ্য হন।
  • নতুন ফসলের চাষ: আলু এবং অন্যান্য নতুন ফসলের চাষ খাদ্য সরবরাহকে আরও বৈচিত্র্যময় ও স্থিতিশীল করে তোলে।
  • পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি: খাল এবং রাস্তার উন্নয়নের ফলে কৃষিপণ্য সহজে বাজারজাত করা সম্ভব হয়।
ক. ১৯১২ সালে
খ. ১৯১৩ সালে
গ. ১৯১৪ সালে
ঘ. ১৯১৫ সালে
ব্যাখ্যাঃ

ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লীতে ১৯১১ সালে স্থানান্তরিত করার ঘোষণা করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্থানান্তর ১৯১২ সালে সম্পন্ন হয়েছিল।

ক. ১৯১১ সালে
খ. ১৯১২ সালে
গ. ১৯০৮ সালে
ঘ. ১৯০৯ সালে
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গভঙ্গ রদ বলতে ১৯০৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত সরকার কর্তৃক বাংলা প্রদেশকে প্রশাসনিক সুবিধার অজুহাতে দ্বিখণ্ডিত করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা পরবর্তীতে বাতিল করাকে বোঝায়।

বঙ্গভঙ্গ (Partition of Bengal):

  • তারিখ: ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর।
  • কর্তনকারী: ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন
  • কারণ: ব্রিটিশদের দাবি ছিল প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এই বিভাজন, কারণ বাংলা প্রদেশ ছিল বিশাল এবং প্রশাসনিকভাবে পরিচালনা করা কঠিন।
  • বিভাজন: বাংলা প্রদেশকে দুটি নতুন প্রদেশে বিভক্ত করা হয়েছিল:
    • পূর্ববঙ্গ ও আসাম: যার রাজধানী ছিল ঢাকা। এই প্রদেশের অধিকাংশ অধিবাসী ছিল মুসলমান।
    • পশ্চিমবঙ্গ: যার রাজধানী ছিল কলকাতা। এই প্রদেশের অধিকাংশ অধিবাসী ছিল হিন্দু।
  • উদ্দেশ্য: সমালোচকদের মতে, ব্রিটিশদের মূল উদ্দেশ্য ছিল 'বিভক্ত করো এবং শাসন করো' (Divide and Rule) নীতি অনুসরণ করে বাঙালি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা এবং জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দুর্বল করা।

বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন: বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বাঙালি হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায় থেকে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। এর প্রতিবাদে স্বদেশী আন্দোলন ও বয়কট আন্দোলন শুরু হয়, যেখানে বিদেশি পণ্য বর্জন এবং দেশীয় পণ্য ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়। এই আন্দোলন ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করে এবং ব্রিটিশ সরকারের উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে।

বঙ্গভঙ্গ রদ (Annulment of Partition of Bengal):

  • তারিখ: ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর।
  • ঘোষণা: ব্রিটিশ সম্রাট পঞ্চম জর্জ এবং ভারত সচিব লর্ড হার্ডিঞ্জ দিল্লিতে একটি দরবারে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন।
  • কারণ: বঙ্গভঙ্গ বিরোধী তীব্র আন্দোলন এবং এর ফলে উদ্ভূত রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্রিটিশ সরকারকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করে।
  • ফলাফল:
    • বাংলা আবার একত্রিত হয়, তবে এটি একটি নতুন প্রশাসনিক বিন্যাসে।
    • বিহার ও উড়িষ্যাকে বাংলা থেকে পৃথক করে নতুন প্রদেশ গঠন করা হয়।
    • ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর করা হয়।

তাৎপর্য: বঙ্গভঙ্গ রদ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের একটি বড় বিজয় ছিল। এটি প্রমাণ করেছিল যে, ঐক্যবদ্ধ জনমত এবং আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশদের সিদ্ধান্তকেও প্রভাবিত করা সম্ভব। তবে, বঙ্গভঙ্গ রদ হলেও এর ফলে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক বিভেদ এবং অবিশ্বাস সম্পূর্ণরূপে দূর হয়নি, যা পরবর্তীতে ভারত ভাগের ক্ষেত্রেও কিছুটা প্রভাব ফেলেছিল।

ক. তিতুমীর
খ. সৈয়দ আহমদ বেরেলভি
গ. দুদু মিয়া
ঘ. হাজী শরীয়তউল্লাহ
ব্যাখ্যাঃ

হাজী শরীয়তউল্লাহর নেতৃত্বে মুসলমানদের ফরজ কাজসমূহ পালনে উদ্বুদ্ধ করার আন্দোলন হলো ফরায়েজি আন্দোলন। তার মৃত্যুর পর ফরায়েজি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তার একমাত্র পুত্র দুদু মিয়া। দুদু মিয়ার বিখ্যাত উক্তি হলো “জমি থেকে খাজনা আদায় আল্লাহর আইনের পরিপন্থী”।

ক. ব্যামফিল্ড ফুলার
খ. লর্ড মিন্টো
গ. লর্ড কার্জন
ঘ. ওয়ারেন হেস্টিংস
ব্যাখ্যাঃ

ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ সালে শেষ গভর্নর এবং ১৭৭৪ সালে প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। লর্ড মিন্টো ১৮০৭ সালে গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন। লর্ড কার্জন ১৮৯৯ সালে ভাইসরয় নিযুক্ত হন। তিনি ১৯০৫ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিকে বিভক্ত করলে নবগঠিত পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিযুক্ত হন মি. ব্রামফিল্ড ফুলার।

ক. তিতুমীর
খ. ফকির মজনু শাহ
গ. দুদু মিয়া
ঘ. হাজী শরীয়তউল্লাহ
ব্যাখ্যাঃ

খাজনা আদায়ের জন্য জমিদারদের অত্যাচার রোধকল্পে দুদু মিয়া জমির উপর আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ উক্তি করেন। হাজী শরীয়তউল্লাহর একমাত্র পুত্র দুদু মিয়া পিতার মৃত্যুর পর ‘ফরায়েজী আন্দোলনের’ নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।

ক. ১৭০০ সালে
খ. ১৭৭২ সালে
গ. ১৭৬৫ সালে
ঘ. ১৭৯৩ সালে
ব্যাখ্যাঃ

লর্ড কর্নওয়ালিস ১৭৮৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭৯৩ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলায় ফোর্ট উইলিয়ামের গভর্নর জেনারেল ছিলেন। তিনি ছিলেন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ও বাংলায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসনিক ও বিচার ব্যবস্থার রূপকার। ১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ তিনি ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রথা চালুর মাধ্যমে সূর্যাস্ত আইন বলবৎ করেন।

ক. লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন
খ. ওয়ারেন হেস্টিংস
গ. লর্ড বেন্টিংক
ঘ. লর্ড কর্ণওয়ালিস
ব্যাখ্যাঃ

ভারত উপমহাদেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন ব্রিটিশ সম্রাট ছিলেন ষষ্ঠ জর্জ (George VI)

তবে, ব্রিটিশ সরকারের প্রধান হিসেবে যিনি এই সিদ্ধান্তের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন এবং যার তত্ত্বাবধানে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল, তিনি ছিলেন ক্লেমেন্ট অ্যাটলি (Clement Attlee), যিনি সেই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

অন্যদিকে, ভারতের শেষ ভাইসরয় ছিলেন লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন (Lord Louis Mountbatten), যিনি ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা এবং দেশভাগের প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করেছিলেন।

ক. শায়েস্তা খান
খ. পরিবিবি
গ. ইসলাম খান
ঘ. ঈশা খান
ব্যাখ্যাঃ

সম্রাট জাহাঙ্গীর ১৬০৮ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খানকে বাংলার সুবেদার নিযুক্ত করেন। ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান রাজধানী রাজমহল হতে সরিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। ঢাকার সুরক্ষার জন্যে তিনি ধোলাই খাল খনন করেন।