আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

ক. ১৯৬৬ সালে
খ. ১৯৬৭ সালে
গ. ১৯৬৮ সালে
ঘ. ১৯৬৯ সালে
উত্তরঃ ১৯৬৬ সালে
ব্যাখ্যাঃ

আওয়ামী লীগের ৬-দফা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) জনগণের স্বায়ত্তশাসনের দাবি সম্বলিত একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি। এটি ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উত্থাপন করেন। পরবর্তীতে, ১৯৬৬ সালের ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এই ৬ দফা ঘোষণা করা হয়।

৬-দফার মূল বিষয়গুলো ছিল:

১. প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন: পাকিস্তানের সংবিধান হবে লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ফেডারেল রাষ্ট্র কাঠামোতে। কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকবে শুধু প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়। অন্যান্য সকল বিষয়ে অঙ্গরাজ্যগুলোর পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে।

২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা শুধু প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

৩. মুদ্রা ব্যবস্থা: পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য পৃথক অথচ সহজে বিনিময়যোগ্য দুটি পৃথক মুদ্রা থাকবে। অথবা, সমগ্র দেশের জন্য একটি মুদ্রাব্যবস্থা থাকবে, তবে এক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভ থাকবে।

৪. রাজস্ব ও কর ব্যবস্থা: সকল প্রকার কর ও রাজস্ব ধার্য ও আদায়ের ক্ষমতা থাকবে অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। অঙ্গরাজ্যগুলো তাদের নির্ধারিত অংশ কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রদান করবে।

৫. বৈদেশিক বাণিজ্য: অঙ্গরাজ্যগুলো তাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অধিকারী হবে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় অংশ প্রদান করবে।

৬. আঞ্চলিক সেনাবাহিনী: পূর্ব পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্য আধা-সামরিক বাহিনী গঠন করার ক্ষমতা থাকবে।

৬-দফা ছিল মূলত পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার আদায়ের একটি ঐতিহাসিক সনদ। এই ৬-দফা বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পথ প্রশস্ত করে।

ক. ৩৪ জন
খ. ৩৫ জন
গ. ৩৬ জন
ঘ. ৩২ জন
উত্তরঃ ৩৫ জন
ব্যাখ্যাঃ

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ছিল পাকিস্তান সরকারের দায়ের করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। ১৯৬৮ সালের জানুয়ারী মাসে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জন বাঙালি সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয় যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বসে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করার ষড়যন্ত্র করছেন।

মামলার প্রেক্ষাপট:

  • ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছিলেন।
  • ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের উত্থাপিত ৬ দফা বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে আরও জোরালো করে তোলে।
  • পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।

মামলার মূল অভিযোগ:

  • অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ভারতের সহায়তায় সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন।
  • এই ষড়যন্ত্র ত্রিপুরার আগরতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়।

গুরুত্ব:

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এর প্রধান কারণগুলো হলো:

  • এই মামলা শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত করে।
  • মামলার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে, যা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
  • এই গণঅভ্যুত্থানের ফলে আইয়ুব খানের সরকারের পতন হয় এবং শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল অভিযুক্ত ব্যক্তি মুক্তি পান।
  • আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের গতিকে আরও বেগবান করে তোলে।
ক. ঢাকা
খ. লাহোর
গ. দিল্লি
ঘ. চট্টগ্রাম
উত্তরঃ লাহোর
ব্যাখ্যাঃ

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (৬-২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৫) সমাপ্তির পর উভয় দেশের মধ্যে ‘তাসখন্দ চুক্তি’ (১০ জানুয়ারি, ১৯৬৬) স্বাক্ষরের পটভূমিকায় ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি, লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলের এক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন।

ক. প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন
খ. বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা
গ. পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ
ঘ. বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি স্বত্বের উচ্ছেদ সাধন
উত্তরঃ বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা
ব্যাখ্যাঃ

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে মুসলিম লীগের মতাদর্শের বিপরীতে ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর সমমনা কয়েকটি বিরোধীদল ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে একটি ঐক্যজোট গঠন করে। যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল নৌকা এবং ২১ দফা দাবীর ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ২১ দফা দাবীর প্রথম দাবী ছিল বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।

ক. ২২ ফেব্রুয়ারি , ১৯৬৯
খ. ৫ ফেব্রুয়ারি , ১৯৬৬
গ. ৩ জানুয়ারি, ১৯৬৮
ঘ. ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯
উত্তরঃ ৫ ফেব্রুয়ারি , ১৯৬৬
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক 'ছয় দফা' ঘোষিত হয় ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি

এটি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে পেশ করা হয়েছিল। এই ছয় দফা বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে পরিচিত এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

ক. ভাষা ও সংস্কৃতি
খ. ধর্ম
গ. আঞ্চলিকতা
ঘ. রাজনীতি
উত্তরঃ ভাষা ও সংস্কৃতি
ব্যাখ্যাঃ

বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তিগুলো হলো:

  • ভাষা: বাংলা ভাষা বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি। ভাষাই বাঙালিদের একত্রিত করেছে এবং নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচিতি গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
  • সংস্কৃতি: হাজার বছরের সমৃদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতি, যেমন সাহিত্য, সঙ্গীত, নৃত্য, রীতিনীতি, উৎসব ইত্যাদি বাঙালি জাতীয়তাবাদকে ধারণ ও বিকশিত করেছে।
  • ইতিহাস ও ঐতিহ্য: বাঙালির দীর্ঘ ইতিহাস, আন্দোলন, সংগ্রাম, এবং ঐতিহ্য তাদের মধ্যে এক অভিন্ন জাতিসত্তার জন্ম দিয়েছে।
  • ভূখণ্ড: একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলের (বঙ্গভূমি) প্রতি অনুরাগ এবং এই অঞ্চলের প্রতি একাত্মতাও বাঙালি জাতীয়তাবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
  • অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন এবং পরবর্তীকালে পাকিস্তানি শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাও বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।