প্রশ্নঃ সমুদ্র স্রোতের অন্যতম কারণ–
[ বিসিএস ১১তম ]
সমুদ্র স্রোতের কারণগুলো হচ্ছে বায়ু প্রবাহ, উষ্ণতার তারতম্য, লবণাক্ততার তারতম্য, বাষ্পীভবনের তারতম্য, ঘভীরতার তারতম্য, পৃথিবীর আবর্তন এবং মূলভাগের অবস্থান।
Related MCQ
ট্রপোমণ্ডলে (Troposphere) উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুর তাপমাত্রা সাধারণত কমতে থাকে। এই হ্রাসের গড় হারকে পরিসীমা হ্রাস হার (Lapse Rate) বলা হয়। সাধারণভাবে, প্রতি ১ কিলোমিটার উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে তাপমাত্রা প্রায় ৬.৫°C হ্রাস পায়। তবে এটি বিভিন্ন পরিবেশগত পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল হতে পারে।
ট্রপোমণ্ডল বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তর, যেখানে আমাদের আবহাওয়া ও জলবায়ুর কার্যক্রম ঘটে। উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে তাপমাত্রা কমার প্রধান কারণ হলো:
1. বায়ুর ঘনত্ব কমে যাওয়া, ফলে তাপমাত্রা ধারণের ক্ষমতা হ্রাস পায়।
2. ভূপৃষ্ঠ থেকে তাপ শোষণ কম হওয়া, কারণ সূর্যের তাপ মূলত পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত হয়।
উত্তর গোলার্ধে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের বায়ু ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে (counter-clockwise) প্রবাহিত হয়।
এর কারণ হলো কোরিওলিস প্রভাব। পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে বায়ু উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়। ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে নিম্নচাপ থাকে। এই নিম্নচাপের দিকে বায়ু যখন ছুটে আসে, তখন কোরিওলিস প্রভাবের কারণে উত্তর গোলার্ধে তা ডান দিকে বেঁকে একটি ঘড়ির কাঁটার বিপরীত ঘূর্ণনের সৃষ্টি করে।
প্রশ্নঃ ওজোন স্তর বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ওজোন স্তরটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে অবস্থিত। এই স্তরটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ থেকে ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় বিস্তৃত। ওজোন স্তরের সবচেয়ে বেশি ঘনত্ব দেখা যায় প্রায় ১৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায়।
এখানে ওজোন গ্যাসের (O₃) একটি অপেক্ষাকৃত ঘন স্তর বিদ্যমান, যা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মির (Ultraviolet rays) বেশিরভাগ অংশ শোষণ করে নেয় এবং পৃথিবীর জীবজগতকে রক্ষা করে। এই কারণে ওজোন স্তরকে পৃথিবীর সুরক্ষা কবচ বলা হয়।
প্রশ্নঃ যে বায়ু সর্বদাই উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় তা হলো-
[ বিসিএস ৩২তম ]
নিয়ত বায়ু হলো এমন ধরনের বায়ুপ্রবাহ, যা পৃথিবীর নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে সারাবছর ধরে একই দিকে নিয়মিতভাবে প্রবাহিত হয়। এই বায়ুপ্রবাহ পৃথিবীর চাপ বলয় এবং আবর্তনের ফলে সৃষ্টি হয়।
প্রধান প্রকারভেদ
নিয়ত বায়ু তিন ধরনের হয়:
- আয়ন বায়ু (Trade Winds): এটি কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়।
- প্রত্যায়ন বায়ু (Westerlies): এটি কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে সুমেরু ও কুমেরু বৃত্তস্থ নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়।
- মেরু বায়ু (Polar Easterlies): এটি সুমেরু ও কুমেরু উচ্চচাপ বলয় থেকে সুমেরু ও কুমেরু বৃত্তস্থ নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়।
প্রশ্নঃ কোনটি বায়ুর উপাদান নহে?
[ বিসিএস ২৯তম ]
বায়ুতে নাইট্রোজেন (৭৮.০২%), অক্সিজেন (২০.৭১%), আর্গন (০.৮০%), কার্বন ডাই-অক্সাইড হিসেবে কার্বন (০.০৩%), নিয়ন (০.০০১৮%), হিলিয়াম (০.০০০৫%), ক্রিপ্টন (০.০০০১২%), জেনন (০.০০০০৯%), হাইড্রোজেন (০.০০০০৫%), মিথেন (০.০০০০২%) এবং আরো নানাবিধ গ্যাসীয় উপাদান বিদ্যমান। কিন্তু ফসফরাস বায়ুর উপাদান নয়।
প্রশ্নঃ নিত্য ব্যবহার্য বহু ‘এরোসোলের’ কৌটায় এখন লেখা থাকে ‘সিএফসি’ বিহীন। সিএফসি গ্যাস কেন ক্ষতিকারক?
[ বিসিএস ১৫তম ]
সিএফসি হচ্ছে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (Chloro Flore Carbon) । এ গ্যাস বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তরকে ফুটো করে দেয়। ফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে এসে পৌঁছে। এতে মানুষের চর্ম ক্যান্সার ও অন্যান্য মারাত্মক রোগ দেখা দেয়।
প্রশ্নঃ যে বায়ু সর্বদাই উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় তাকে বলা হয়-
[ বিসিএস ১২তম ]
পৃথিবীর চাপ বলয় দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে উচ্চচাপ অঞ্চল হতে নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবাহিত হওয়ার সময় বায়ুর উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে যায়। এভাবে উচ্চচাপ বলয় থেকে নিম্নচাপ বলয়ের দিকে নিয়মিতভাবে যে বায়ু সারা বছর প্রবাহিত হয় তাকে নিয়ত বায়ু বলে।
প্রশ্নঃ যে বায়ু সর্বদাই উচ্চচাপ অঞ্চল হতে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়, তাকে বলা হয়–
[ বিসিএস ১০তম ]
পৃথিবীর চাপ বলয় দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে বায়ু উচ্চচাপ অঞ্চল হতে নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবাহিত হওয়ার সময় উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে যায়। এভাবে সারা বছর একই দিকে নিয়মিতভাবে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তাকে নিয়ত বায়ু বলে।
প্রশ্নঃ বন-জঙ্গল ধ্বংস করার ফলে বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে?
[ 18th ntrca (স্কুল সমপর্যায়-২) (15-03-2024) ]
বন-জঙ্গল ধ্বংস করার ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড (Carbon Dioxide - CO2) গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর কারণ হলো:
- সালোকসংশ্লেষণ ব্যাহত: গাছপালা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। বন-জঙ্গল ধ্বংস হলে এই প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, ফলে বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণের পরিমাণ কমে যায়।
- কার্বন নির্গমন: গাছপালা পোড়ানো বা কেটে ফেলার ফলে তাদের মধ্যে সঞ্চিত কার্বন কার্বন ডাই অক্সাইড রূপে বায়ুমণ্ডলে মুক্ত হয়।
- জৈব পদার্থের পচন: গাছপালা পচে গেলেও কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়।
কার্বন ডাই অক্সাইড একটি প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস, যা বায়ুমণ্ডলে বৃদ্ধি পেলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তে থাকে এবং জলবায়ু পরিবর্তনে এর বড় প্রভাব পড়ে।