সঠিক উত্তর হলো গঃ মৃন্ময়।

'মৃত্তিকা দিয়ে তৈরি' - এই কথাটিকে এক শব্দে প্রকাশ করলে হয় মৃন্ময়।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

• কঃ তন্ময়: কোনো বিষয়ে গভীরভাবে মগ্ন বা লীন।
• খঃ মন্ময়: মন থেকে উৎপন্ন বা আমার মন সংক্রান্ত।
• ঘঃ চিন্ময়: জ্ঞানময় বা চৈতন্যস্বরূপ।

সঠিক উত্তর হলো খঃ জয় করিবার ইচ্ছা।

‘জিগীষা’ শব্দের অর্থ হলো জয় করার প্রবল ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা।

‘জিজীবিষা’ শব্দটির অর্থ খঃ বেঁচে থাকার ইচ্ছা।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ হলো:

• কঃ জীবননাশের ইচ্ছা: এর অর্থ হবে 'জিঘাংসা' (যদিও জিঘাংসা সাধারণত হত্যার ইচ্ছাকে বোঝায়)।
• গঃ জীবনকে জানার ইচ্ছা: এর কাছাকাছি অর্থ হতে পারে 'জিজ্ঞাসা' (জানার আগ্রহ)।
• ঘঃ জীবন-জীবিকার পথ: এর সাথে 'জিজীবিষা' শব্দের কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই।

সুতরাং, 'জিজীবিষা' মানে হলো প্রবলভাবে বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা বা ইচ্ছা।

যিনি ন্যায় শাস্ত্র জানেন তাঁকে খঃ নৈয়ায়িক বলা হয়।

• ন্যায়বাগীশ: যিনি বাগ্মী এবং যুক্তিনিষ্ঠ, ভালোভাবে কথা বলতে পারেন।
• ন্যায়পাল: জনগণের অভিযোগ তদন্তকারী সরকারি কর্মকর্তা (Ombudsman)।
• ন্যায়ঋগ্ধ: এমন কোনো শব্দ বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে বলে আমার জানা নেই। সম্ভবত এটি একটি ভুল শব্দ।

সুতরাং, ন্যায় শাস্ত্রের পণ্ডিতকে নৈয়ায়িক বলা হয়।

‘কুসীদজীবী’ বলতে মূলত সুদখোর বা যারা অতিরিক্ত সুদের বিনিময়ে ঋণ দেয় তাদেরকে বোঝায়।

এই শব্দটি সেই শ্রেণীর ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহৃত হয় যারা অভাবী বা অসহায় মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে চড়া হারে সুদ আদায় করে এবং এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। কুসীদজীবীরা সাধারণত সমাজের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের শোষণ করে।

অতএব, ‘কুসীদজীবী’ শব্দটির মূল অর্থ হলো সুদের উপর জীবনধারণকারী ব্যক্তি বা অত্যধিক সুদ গ্রহণকারী মহাজন।

‘জিজীবিষা’ শব্দটি দিয়ে বেঁচে থাকার ইচ্ছা বোঝায়।

এটি একটি এক কথায় প্রকাশ যা দীর্ঘকাল ধরে বেঁচে থাকার প্রবল আকাঙ্ক্ষাকে নির্দেশ করে।

অন্যের রচনা থেকে চুরি করাকে বলা হয় কুম্ভিলকবৃত্তি।

'কুম্ভিলক' শব্দের অর্থ হলো চোর বা অপহরণকারী। 'কুম্ভিলকবৃত্তি' বলতে সাহিত্য বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে চৌর্যবৃত্তিকে বোঝানো হয়।

'প্রোষিতভর্তৃকা'- শব্দটির অর্থ হলো যে নারীর স্বামী বিদেশে অবস্থান করে।

সংস্কৃত ভাষায় 'প্রোষিত' মানে প্রবাসী বা বিদেশে অবস্থানকারী এবং 'ভর্তৃকা' মানে স্ত্রী বা পত্নী। সুতরাং, 'প্রোষিতভর্তৃকা' সেই নারীকে বোঝায় যার স্বামী জীবিকা বা অন্য কোনো কারণে বিদেশে থাকেন।

‘নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার’-এর এককথায় প্রকাশ হবে নশ্বর। নশ্বর-এর অপর অর্থ হলো নাশশীল, অনিত্য বা অস্থায়ী। অন্যদিকে নিদাঘ অর্থ গ্রীষ্মকাল বা উত্তাপ, নষ্টমান অর্থ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে যা এবং বিনশ্বর অর্থ বিনাশধর্মী বা অনিত্য।

‘অক্ষির সমীপে’ -এর সংক্ষেপণ হলো সমক্ষ। অন্যদিকে, ‘অক্ষির সম্মুখে’ হলো প্রত্যক্ষ, ‘অক্ষির অগোচরে’ হলো পরোক্ষ এবং ‘পক্ষপাতহীন বা মুখাপেক্ষী নয় এমন’ হলো নিরপেক্ষ।

কর্মে যাহার ক্লান্তি নেই- অক্লান্তকর্মী, ক্লান্তি নেই যার- অক্লান্ত।

যা অতিক্রম করা যায় না- অনতিক্রম্য; যা লঙ্ঘন করা যায় না- অলঙ্ঘ্য; যা সহজে অতিক্রম করা যায় না- দূরতিক্রম্য; যেখানে সহজে গমন করা যায় না- দুর্গম।

যা চিরস্থায়ী নয় = নশ্বর, যা স্থায়ী নয় = অস্থায়ী, যা ক্ষণকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী।

যা পূর্বে দেখা যায়নি- অদৃষ্টপূর্ব; যা পূর্বে কখনো ঘটেনি- অভূতপূর্ব; যা পূর্বে ছিল এখন নেই- ভূতপূর্ব।

'যা বলা হবে' এর বাক্য সংকোচন হলো বক্তব্য।

বক্তব্য শব্দের অর্থ হলো যা বলা হবে বা বলার বিষয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

• খঃ উক্ত: যা বলা হয়েছে।
• গঃ বাক্য: কথা বা উক্তি।
• ঘঃ ভবিতব্য: যা ঘটবে বা নিয়তি।

"মুক্তি পেতে ইচ্ছুক" এক কথায় বলে মুমুক্ষু।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

• খঃ মূমূক্ষ: মুমূর্ষু - যাঁর মরণাপন্ন অবস্থা।
• গঃ মুমূক্ষ: এটিও ভুল বানান। সঠিক বানান মুমুক্ষু।
• ঘঃ মুমুক্ষা: মুক্তির ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা।

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো মুমুক্ষু - যিনি মুক্তি পেতে ইচ্ছুক।

'দিনের আলো ও সন্ধ্যার আলোর মিলন' -এক কথায় বলে গোধূলী।

গোধূলী হলো দিনের শেষ আলো এবং সন্ধ্যার শুরু। এটি এমন একটি সময় যখন দিনের আলো ধীরে ধীরে fading হয়ে আসে এবং রাতের অন্ধকার ঘনিয়ে আসে।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

• সন্ধ্যাকাল: সন্ধ্যা সময়, দিনের শেষ ভাগ।
• আলোছায়া: আলো ও ছায়ার মিশ্রণ।
• সায়াহ্ন: দিনের শেষ ভাগ, সন্ধ্যা। তবে গোধূলীর মতো নির্দিষ্ট আলো-আঁধারির মিলন বোঝায় না।

'কুজন' শব্দের অর্থ পাখির ডাক।

যিনি বক্তৃতা দানে পটু, তাকে এক কথায় বাগ্মী বলা হয়।

"দুবার জন্মে যা" - এই বাক্যটির এক কথায় প্রকাশ হলো দ্বিজ।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:
দ্বিজন্ম: দুইবার জন্ম (এটি একটি প্রক্রিয়া বা ঘটনা)।
পুনর্জন্ম: মৃত্যুর পর নতুন দেহে বা রূপে জন্ম (আত্মার স্থানান্তর বিশ্বাস)।
দ্বৈত জন্ম: যমজ সন্তান জন্ম নেওয়া।

যিনি ইতিহাস রচনা করেন, তাকে ঐতিহাসিক বলা হয়।

অন্যান্য সমার্থক শব্দগুলো হলো: ইতিহাসবিদ বা ইতিহাসবেত্তা।

'অক্ষির সমীপে'র সংক্ষেপ হলো সমক্ষ।

'যে নারীর হাসি পবিত্র' - তাকে শুচিস্মিতা বলা হয়।

'দেখা যায়নি যা' - এর এক কথায় প্রকাশ হলো অদৃষ্ট।

দেখা যায়না যা- অদৃশ্য

যা পূর্বে দেখা যায়নি- অদৃষ্টপূর্ব

'যা বলা হয়নি' - এক কথায় তাকে অনুক্ত বলে।

'কর্মে অতিশয় তৎপর'—এর এক কথায় প্রকাশ হলো কর্মঠ বা ত্বরিৎকর্মা।

'যা বলা হবে' -এর বাক্য সংকোচন হলো বক্তব্য।