প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় পশু কোনটি?
[ বিসিএস ১৯তম ]
বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার প্রধানত বাংলাদেশ ও ভারতের অন্তর্গত বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে পাওয়া যায়। বর্তমানে এই রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
Related MCQ
প্রশ্নঃ ঐতিহাসিক ৬-দফা দাবিতে কোন দু’টি বিষয় কেন্দ্রিয় সরকারের হাতে রাখার প্রস্তাব ছিল?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
ছয় দফা কর্মসূচির ২য় দফায় ⎯ প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় দুটি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩-এ বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি ৮টি ম্যাচে ৫৪.৬৬ ব্যাটিং গড়ে ৩২৮ রান করেছিলেন, যার মধ্যে একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে।
প্রশ্নঃ কোন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন পদক পান?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন পদক পান।
জাতিসংঘ উইমেন তাকে এই পদক প্রদান করে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের ২য় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার মেয়াদ কবে শেষ হবে?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
বাংলাদেশের ২য় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার মেয়াদ ২০৪১ সালে শেষ হবে।
এই পরিকল্পনার সময়কাল হলো ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত। এটি বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (SDG) চতুর্থ লক্ষ্যমাত্রা হলো গুণগত শিক্ষা (Quality Education)।
এই লক্ষ্যমাত্রার মূল উদ্দেশ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং সকলের জন্য জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন গঠন হয়?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (Bangladesh Public Service Commission - BPSC) গঠিত হয় ৮ এপ্রিল ১৯৭২ সালে। এটি একটি সাংবিধানিক ও স্বাধীন সংস্থা, যার মূল দায়িত্ব হলো সরকারি চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা।
সংবিধানের ১৩৭ থেকে ১৪১ অনুচ্ছেদে এই কমিশনের গঠনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা উল্লেখ রয়েছে। প্রথমে দুটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন করা হলেও পরে একীভূত করে একটি কমিশন চালু করা হয়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকে কয়টি তারকা আছে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকে চারটি তারকা রয়েছে।
জাতীয় প্রতীকের নকশাটিতে কেন্দ্রস্থলে একটি শাপলা ফুল, তার চারদিকে ধানের দুটি শীষ এবং নিচে পাট গাছের তিনটি পাতা ও দুটি তারকা শোভিত। এই তারকাগুলো বাংলাদেশের সংবিধানের চারটি মূলনীতি - জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা - এর প্রতীক।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ কী ধরণের স্যাটেলাইট হবে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ একটি আর্থ অবজারভেটরি স্যাটেলাইট হবে।
এটি মূলত পৃথিবী পর্যবেক্ষণ এবং এর ডেটা বিশ্লেষণের জন্য তৈরি করা হবে। এই ধরণের স্যাটেলাইট সাধারণত নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়:
- আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ: আবহাওয়ার পূর্বাভাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস ও পর্যবেক্ষণ।
- পরিবেশ পর্যবেক্ষণ: বনভূমি, কৃষি, জলাধার এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ।
- মানচিত্র তৈরি ও ভূ-স্থানিক বিশ্লেষণ: ভূমি ব্যবহার, শহরায়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ডেটা সংগ্রহ।
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন এবং ত্রাণ কার্যক্রমের পরিকল্পনায় সহায়তা।
- নিরাপত্তা ও নজরদারি: দেশের সীমান্ত ও জলসীমার নজরদারি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করবে এবং এটি একটি হাইব্রিড স্যাটেলাইটও হতে পারে। এর ফলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর জন্য নির্ধারিত অরবিটাল স্লটের প্রয়োজন হবে না।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা কবে গৃহীত হয়?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারিভাবে গৃহীত হয়।
তবে, এর একটি ইতিহাস আছে:
- ১৯৭১ সালের ২ মার্চ: প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে। তখন পতাকার নকশায় লাল বৃত্তের মাঝখানে সোনালি রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র ছিল। এটি নকশা করেছিলেন ছাত্রনেতা শিবনারায়ণ দাস।
- ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি: স্বাধীনতার পর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে পটুয়া কামরুল হাসান পতাকার ডিজাইন থেকে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে বর্তমান নকশাটি চূড়ান্ত করেন। এই দিনই এটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হিসেবে গৃহীত হয়।
জাতীয় পতাকার বর্তমান রূপে সবুজ রং বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক, আর লাল বৃত্তটি উদীয়মান সূর্য এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের রক্তের প্রতীক।
প্রশ্নঃ কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতের কত চরণ বাজানো হয়?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
- জাতীয় সংগীত হিসেবে ঘোষণা ও গ্রহণ: বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপটে রচিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ কবিতার প্রথম ১০ চরণকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং এটি ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি গৃহীত হয়।
- পরিবেশনের বিধান:
- কণ্ঠে গাওয়ার ক্ষেত্রে: সাধারণত প্রথম ১০ চরণ গাওয়া হয়।
- যন্ত্র সংগীতে বাজানোর ক্ষেত্রে: প্রথম ৪ চরণ পর্যন্ত বাজানো হয়।
এই তথ্যগুলো বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের ইতিহাস ও পরিবেশন প্রটোকল বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকারের বড় অর্জন কোনটি?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
প্রশ্নে উল্লেখিত অপশনের সবগুলোই বর্তমান সরকারের সাফল্য। তবে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪০ বছর পর দেশি -বিদেশি চাপের মুখে থেকেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করা এবং সফলভাবে শেষের পথে থাকা বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকারের বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত।
প্রশ্নঃ ১৯ মে, ২০১২ তারিখে কোন বাংলাদেশি এভারেস্ট জয় করেন?
[ বিসিএস ৩৫তম ]
বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম নারী হিসেবে নিশাত মজুমদার 'মাউন্ট এভারেস্ট' জয় করেন ২০১২ সালের ১৯ মে এবং দ্বিতীয় নারী হিসেবে ' এভারেস্ট ' জয় করেন ওয়াসফিয়া নাজনীন একই সালের ২৬ মে। কিন্তু প্রথম বাংলাদেশি এভারেস্টজয়ী হলেন মুসা ইব্রাহীম। তিনি ২০১০ সালের ২৪ মে এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁয়ে বাংলাদেশের জন্য এই অনন্য গৌরব বয়ে আনেন। অন্যদিকে এম এ মুহিদ হলেন প্রথম বাংলাদেশি যিনি দুবার এভারেস্ট চূড়া জয় করেন।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয় কত সনে?
[ বিসিএস ৩৪তম ]
বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৪ সালের ২৫শে ডিসেম্বর।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে ঢাকার ডিআইটি ভবনের (বর্তমানে রাজউক কার্যালয়) দুটি কক্ষে মাত্র ৩ ঘণ্টা সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। সেই সময় এটি পাকিস্তান টেলিভিশন নামে পরিচিত ছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর, ১৯৭২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশ (পি.ও নং-১১৫) দ্বারা এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশন নামে রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে রূপান্তরিত হয়।
১৯৭৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিটিভি রামপুরার নিজস্ব টিভি ভবনে স্থানান্তরিত হয় এবং ওই বছর ৬ মার্চ থেকে রামপুরা টিভি ভবনে নতুন আঙ্গিকে সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮০ সালে বিটিভির রঙিন সম্প্রচার শুরু হয়। বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে ২৪ ঘণ্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয় এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এটি বিশ্বব্যাপী সম্প্রচারিত হচ্ছে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের রাজধানী কোথায়?
[ বিসিএস ৩৩তম ]
বাংলাদেশের রাজধানী হলো ঢাকা।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য-প্রস্থের অনুপাত কোনটি?
[ বিসিএস ৩২তম ]
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত হলো ১০:৬।
পতাকার মাপ এবং বৈশিষ্ট্য
- পতাকার দৈর্ঘ্যকে ১০ একক এবং প্রস্থকে ৬ একক ধরে এর মাপ নির্ধারণ করা হয়। এই অনুপাতটি ৫:৩ হিসেবেও প্রকাশ করা যায়।
- পতাকার মাঝখানে থাকা লাল বৃত্তটির ব্যাসার্ধ হবে পতাকার দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ।
- লাল বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু পতাকার দৈর্ঘ্যের সাড়ে চার একক (৪.৫ একক) বামে এবং প্রস্থের মাঝখানে অবস্থিত। এর ফলে পতাকাটি যখন উড়ানো হয়, তখন লাল বৃত্তটি মাঝখানে আছে বলে মনে হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মনোগ্রামে ৪টি তারকা রয়েছে। এ মনোগ্রামে রয়েছে লাল রঙের মাঝে হলুদ রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র। বৃত্তের উপর দিকে লেখা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’, নিচে লেখা ‘সরকার’। লেখার দুপাশে দুটি করে মোট ৪টি তারকাচিহ্ন রয়েছে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় ফল কোনটি?
[ বিসিএস ৩১তম ]
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠালের আদি নিবাস ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালা। সারা বাংলাদেশে জন্মালেও নওগাঁ, দিনাজপুর, সাভার, মধুপুর ও সিলেট কাঁঠালের প্রধান এলাকা। আর আমগাছ হলো বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ।
UNDP-এর সেপ্টেম্বর ২০০৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১৭৭০ মার্কিন ডলার (GDP per capita, nominal)।
তবে, সময়ের সাথে সাথে এই পরিসংখ্যান পরিবর্তিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপনের সময় মোগল সুবেদার কে ছিলেন?
[ বিসিএস ২৬তম ]
মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর ক্ষমতা গ্রহণ করে শেখ আলাউদ্দিন ইসলাম খান চিশতি বাংলার সুবেদার নিয়োগ করেন। ইসলাম খান ১৬১০ সালে রাজমহল থেকে স্থানান্তরিত করে ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপন করেন এবং সম্রাট জাহাঙ্গীরের নামানুসারে ঢাকার নামকরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর।
প্রশ্নঃ বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক কে ছিলেন?
[ বিসিএস ২৬তম ]
ড. মুহম্মদ এনামুল হক ১৯৫৬ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সরকার পরিচালিত কেন্দ্রীয় বাংলা -উন্নয়ন বোর্ডকে বাংলা একাডেমির সাথে একীভূত করে এর কাঠামোগত পরিবর্তন আনা হয় ও পরিচালকের পদমর্যাদা মহাপরিচালকে উন্নীত করা হয়। বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন অধ্যাপক মযহারুল ইসলাম (২ জুন ১৯৭২-১২ আগস্ট ১৯৭৪) ।
বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) যার বর্তমান নাম বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (BTCL) । দেশব্যাপী সর্বাধুনিক টেলি সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯০ সালের ৪ জানুয়ারি সর্বপ্রথম ডিজিটাল টেলিফোন ব্যবস্থা চালু করে।
প্রশ্নঃ SPARRSO কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
[ বিসিএস ২৬তম | ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন (স্কুল সমপর্যায়-২) ]
SPARRSO -এর পূর্ণরূপ Space Research and Remote Sensing Organisation অর্থাৎ মহাকাশ গবেষণা এবং দূর অনুধাবন কেন্দ্র। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একমাত্র পূর্বাভাস কেন্দ্র SPARRSO ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে রঙিন টিভি সম্প্রচার কোন সনে শুরু হয়?
[ বিসিএস ২৬তম ]
১৯৮০ সালের ১ ডিসেম্বর তারিখে রামপুরা টিভি কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে প্রথম রঙিন টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ১৯৬৪ সালের মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয় এবং ২৫ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয়।
১৯৭৯ সালের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অ্যাক্ট সংশোধন করে গঠিত র্যাব আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মূল কাঠামোর অধীনে একটি অতিরিক্ত ব্যাটালিয়ন হিসেবে গণ্য হয় । ৬ জুন, ২০০৩ র্যাব বিল সংসদে পাস হয় এবং ৮ জুন, ২০০৩ রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে আইনে পরিণত হয়। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয় ২৬ মার্চ ২০০৪ ।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে?
[ বিসিএস ২৪তম ]
মানচিত্রখচিত প্রথম জাতীয় পতাকার নকশা তৈরি করেন শিবনারায়ণ দাশ। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে বর্তমান জাতীয় পতাকার (মানচিত্রবিহীন) ডিজাইন করেন বালাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান (১৯২১-১৯৮৮ খ্রি.)।
প্রশ্নঃ মহিলা পুলিশ প্রথম নিয়োগ করা হয় কোন সালে?
[ বিসিএস ২৪তম ]
১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম সাদা পোশাকে স্পেশাল ব্রাঞ্চে ১২ জন মহিলা পুলিশ নিয়োগ করা হয়। ইউনিফর্মধারী নারী পুলিশের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। অতঃপর ১৯৭৮ সালে ঢাকা মহানগর পুলিশে মহিলা নিয়োগ করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম নারী ডিআইজি ফাতেমা বেগম ও প্রথম নারী ওসি হোসনে আরা বেগম (নিয়োগ ১৭ মে ২০০৯, ক্যান্টনমেন্ট থানা, ঢাকা)। ১৯৮৬ সালে চারজন মহিলা পুলিশ অফিসার বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে এএসপি হিসেবে যোগদান করেন। নারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১১ (APBn-11)-এর যাত্রা শুরু হয় ২২ জুন ২০১১।
প্রশ্নঃ সোনালী আঁশের দেশ কোনটি?
[ বিসিএস ২২তম ]
বাংলাদেশ সোনালী আঁশের দেশ হিসেবে পরিচিত। এর প্রধান কারণগুলো হলো:
ঐতিহ্য: পাট বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একসময় পাট ছিল বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম উৎস।
প্রাকৃতিক পরিবেশ: বাংলাদেশের উর্বর মাটি এবং অনুকূল জলবায়ু পাট চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পলি মাটি এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত পাট উৎপাদনের জন্য আদর্শ।
উৎপাদন: বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান পাট উৎপাদনকারী দেশ। যদিও বর্তমানে এর উৎপাদন কিছুটা কমেছে, তবুও পাট এখনও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব: পাট বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাট শিল্প অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সাহায্য করেছে।
প্রশ্নঃ ঢাকা কখন সর্বপ্রথম বাংলার রাজধানী হয়েছিল?
[ বিসিএস ২১তম ]
ঢাকা (প্রাচীন জাহাঙ্গীরনগর) মুঘল আমল (১৬১০ সাল) প্রথম রাজধানী হয় এবং স্বাধীনতার পূর্বে ১৬৬০, ১৯০৫ ও ১৯৪৭ সালে এবং স্বাধীনতার পরে ১৯৭১ সালে মোট ৫ বার রাজধানীর মর্যাদা লাভ করে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় পাখি-
[ বিসিএস ১৯তম ]
| পাখি | দোয়েল |
|---|---|
| পশু | রয়েল বেঙ্গল টাইগার |
| ফল | কাঁঠাল |
| ফুল | শাপলা |
| বৃক্ষ | আম গাছ |
| সংগীত | আমার সোনার বাংলা |
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের নৌ-বাহিনীর প্রতীক কি?
[ বিসিএস ১৯তম ]
বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর প্রতীক হলো কাছিবেষ্টিত নোঙর ও এর ওপর শাপলা।
প্রশ্নঃ জনাব এফ আর খান বাংলাদেশের জন্য গৌরব। তিনি কি ছিলেন?
[ বিসিএস ১৮তম ]
ফজলুর রহমান খান স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি আমেরিকার শিকাগো শহরে অবস্থিত বিখ্যাত সিয়ার্স টাওয়ারের স্থপতি। তিনি তার স্বতন্ত্র নির্মাণ কৌশলের স্বীকৃতিস্বরূপ লাভ করেছিলেন নানা আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা। যেমন- ‘কন্সট্রাকশন্স ম্যান অব দ্য ইয়ার’ (১৯৭২), ‘আগা খান পদক’ (১৯৮৩) ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ শক্তির উৎস-
[ বিসিএস ১৮তম ]
দেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। তবে বেসরকারি ক্ষুদ্র বিদ্যুৎকেন্দ্রে খনিজ তেল ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে?
[ বিসিএস ১৬তম ]
মানচিত্র খচিত প্রথম জাতীয় পতাকার নকশা তৈরি করেন শিবনারায়ণ দাস। বর্তমান জাতীয় পতাকার ডিজাইন করেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান। কামরুল হাসান বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকেরও ডিজাইন করেন। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের বটতলায় এক ছাত্রসভায় ২ মার্চ, ১৯৭১।
প্রশ্নঃ ঢাকা পৌরসভা কোন সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
[ বিসিএস ১৬তম ]
মুঘল আমলে কোতোয়ালের এবং ব্রিটিশ আমলে পৌরসভার ওপর ঢাকা শহর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার ভার ন্যস্ত হয়। এ লক্ষ্যে ১ আগস্ট, ১৮৬৪ সালে ঢাকা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ঢাকা পৌরসভাকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮ সালে ‘পৌর কর্পোরেশন’ এবং ১৯৯০ সালে ‘সিটি কর্পোরেশন’ নামকরণ করা হয়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতে কোন বিষয়টি প্রধানভাবে আছে?
[ বিসিএস ১৬তম ]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’ কবিতা ১৯০৫ সালে ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। ২৫ চরণবিশিষ্ট এ কবিতাটির প্রথম ১০ চরণ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয় ১৯৭১ সালের এপ্রিলে যা জাতীয় সংসদে পাস হয় ১৩ জানুয়ারি, ১৯৭২।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে?
[ বিসিএস ১৪তম ]
মানচিত্রখচিত প্রথম জাতীয় পতাকার নকশা তৈরি করেন শিবনারায়ণ দাস। বর্তমান জাতীয় পতাকার ডিজাইন করেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান। কামরুল হাসান বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকেরও ডিজাইন করেন।
১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সমাবেশে ডাকসুর ভিপি আ.স.ম. আব্দুর রব বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন। শেখ মুজিবুর রহমান ২৩ মার্চ তার বাসভবনে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং একই দিনে দেশব্যাপী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার মাপের অনুপাত কত?
[ বিসিএস ১১তম ]
বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় পতাকার রূপকার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান। জাতীয় পতাকার প্রথম নকশা করেছিলেন শিব নারায়ণ দাস এবং ইউসুফ সালাউদ্দিনকে নিয়ে হাসানুল হক ইনু; প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ৪০১ নং কক্ষে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্রসভায় ২ মার্চ ১৯৭১। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার মাপের অনুপাত ১০ : ৬।
আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ইরাক (৮ জুলাই, ১৯৭২)। আলজেরিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৩ জুলাই, ১৯৭৩ এবং সৌদি আরব স্বীকৃতি দেয় ১৬ আগস্ট, ১৯৭৫।
প্রশ্নঃ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক ২০২৩-এ ভূষিত
[ প্রা.বি.স.শি. 08-12-2023 ]
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক ২০২৩ এ নিম্নলিখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ভূষিত হয়েছেন:
- রাজনীতিতে (মরণোত্তর): অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।
- শিক্ষায়: অনিমা মুক্তি গোমেজ।
- সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায়: নাসিমা জামান ববি।
- গবেষণায়: ড. সেঁজুতি সাহা।
- ক্রীড়ায়: জাতীয় নারী ফুটবল দল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের ৮ই আগস্ট তারিখে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই পদক বিতরণ করেন।
প্রশ্নঃ সকল ক্ষেত্রে সঠিক কাজ সম্পাদনের জন্য প্রয়োজন সৃজনশীল ও মেধাবী নেতৃত্ব। প্রয়োজন সৃষ্টিশীল মেধাবী মানুষ। কথাটি বলেছেন-
[ প্রা.বি.স.শি. (৩য় ধাপ) 03-06-2022 ]
এই কথাটি বলেছেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই উদ্ধৃতিটি শেখ হাসিনার বিভিন্ন বক্তব্যে এবং লেখায় দেখা যায়। তিনি প্রায়ই সৃজনশীল ও মেধাবী নেতৃত্বের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং দেশের উন্নয়নে সৃষ্টিশীল মেধাবী মানুষদের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
প্রশ্নঃ ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য হিসেবে কবে বাংলাদেশের ইলিশ সনদপ্রাপ্ত হয়?
[ প্রা.বি.স.শি. 22-04-2022 ]
| ক্রমিক নং | পণ্যের নাম | স্বীকৃতির তারিখ | অঞ্চল |
|---|---|---|---|
| ১ | জামদানি শাড়ি | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ | ঢাকা |
| ২ | ইলিশ মাছ | ২৩ আগস্ট ২০১৭ | সারা দেশ |
| ৩ | খিরসাপাত আম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | চাঁপাইনবাবগঞ্জ |
| ৪ | হরিণা চাল (চট্টগ্রাম) | ২৭ মার্চ ২০১৯ | চট্টগ্রাম |
| ৫ | বগুড়ার দই | ২৯ অক্টোবর ২০১৯ | বগুড়া |
| ৬ | হাড়িভাঙ্গা আম (রংপুর) | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ | রংপুর |
| ৭ | ফরিদপুরের লিচু | ২৬ জানুয়ারি ২০২১ | ফরিদপুর |
| ৮ | নেত্রকোণার খৈ | ২৭ জানুয়ারি ২০২১ | নেত্রকোণা |
| ৯ | ঢাকাই মসলিন | ২৮ জানুয়ারি ২০২১ | ঢাকা |
| ১০ | সিলেটের চা | ২৮ জানুয়ারি ২০২১ | সিলেট |
| ১১ | রাজশাহীর কালোজিরা | ২৯ জানুয়ারি ২০২১ | রাজশাহী |
| ১২ | পাবনার খেজুর গুড় | ২৯ জানুয়ারি ২০২১ | পাবনা |
| ১৩ | মৌলভীবাজারের কমলা | ২৯ জানুয়ারি ২০২১ | মৌলভীবাজার |
প্রশ্নঃ নিচের কোন গুচ্ছটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশটি উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত?
[ প্রা.বি.স.শি. 22-04-2022 ]
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশটি বিশেষ উদ্যোগ হলো:
১. একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প
২. আশ্রয়ণ প্রকল্প
৩. ডিজিটাল বাংলাদেশ
৪. শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম
৫. নারীর ক্ষমতায়ন কার্যক্রমসমূহ
৬. ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ
৭. সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীসমূহ
৮. কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ
৯. বিনিয়োগ বিকাশ
১০. পরিবেশ সুরক্ষা