আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

প্রশ্নঃ ই-মেইল আদান প্রদানে ব্যবহৃত SMTP-এর পূর্ণরূপ কি?

[ বিসিএস ৩৭তম ]

ক. Simple Message Transmission Protocol
খ. Strategic Mail Transfer Protocol
গ. Strategic Mail Transmission Protocol
ঘ. Simple Mail Transfer Protocol
উত্তরঃ Simple Mail Transfer Protocol
ব্যাখ্যাঃ

ই-মেইল (Email) হলো ইলেকট্রনিক মেইল-এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যা ডিজিটাল বার্তা আদান-প্রদানের একটি পদ্ধতি। এটি ইন্টারনেট ব্যবহার করে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে বার্তা (টেক্সট, ছবি, ভিডিও, ফাইল ইত্যাদি) পাঠানোর সুযোগ দেয়।

ই-মেইল আদান-প্রদানের প্রক্রিয়া:

ই-মেইল আদান-প্রদানের জন্য সাধারণত কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা হয়:

১. ই-মেইল ক্লায়েন্ট বা ওয়েবমেইল ব্যবহার: প্রেরক তার কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসে একটি ই-মেইল ক্লায়েন্ট অ্যাপ্লিকেশন (যেমন Microsoft Outlook, Mozilla Thunderbird) অথবা একটি ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ওয়েবমেইল সেবা (যেমন Gmail, Yahoo Mail, Outlook.com) ব্যবহার করে ই-মেইল তৈরি করেন।

২. বার্তা লেখা: প্রেরক প্রাপকের ই-মেইল ঠিকানা, বার্তার বিষয় (Subject) এবং মূল বার্তা (Body) লেখেন। প্রয়োজনে ফাইল (Attachment) যুক্ত করা যায়।

৩. ই-মেইল পাঠানো: প্রেরক 'Send' বোতামে ক্লিক করার সাথে সাথে ই-মেইলটি প্রেরকের আউটগোয়িং মেইল সার্ভারে (SMTP Server) পাঠানো হয়।

৪. সার্ভার থেকে সার্ভারে যাত্রা: আউটগোয়িং সার্ভার প্রাপকের ই-মেইল ঠিকানা বিশ্লেষণ করে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রাপকের ইনকামিং মেইল সার্ভারে (POP3 বা IMAP Server) ই-মেইলটি পৌঁছে দেয়। এই সার্ভারগুলো মূলত ডেটা গ্রহণ, সংরক্ষণ এবং বিতরণের কাজ করে।

৫. ই-মেইল গ্রহণ: প্রাপক যখন তার ই-মেইল ক্লায়েন্ট বা ওয়েবমেইল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করেন, তখন তাদের ইনকামিং মেইল সার্ভার থেকে ই-মেইলগুলো তাদের ইনবক্সে ডাউনলোড হয় বা প্রদর্শিত হয়।

ই-মেইলের সুবিধা:

  • দ্রুততা: দ্রুততার সাথে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বার্তা পাঠানো যায়।
  • খরচ-কার্যকরী: ঐতিহ্যবাহী ডাক পরিষেবার চেয়ে অনেক কম ব্যয়বহুল, অনেক সেবা বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
  • কাগজবিহীন: পরিবেশবান্ধব এবং কাগজের ব্যবহার কমায়।
  • সংযুক্তি: টেক্সট বার্তার সাথে ফাইল, ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্ট ইত্যাদি সংযুক্ত করা যায়।
  • রেকর্ড: প্রেরিত ও গৃহীত বার্তার ডিজিটাল রেকর্ড রাখা যায়।

ই-মেইল ব্যক্তিগত যোগাযোগ থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা এবং পেশাগত ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।