আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

সহকারী শিক্ষক (৩য় ধাপ) 29-03-2024

পরীক্ষারঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ

মোট বহুনির্বাচনি প্রশ্নঃ 75

মোট মার্কঃ 75

পরীক্ষার সময়ঃ 01:00:00

প্রকাশের তারিখঃ 29.03.2024

ক. ৭০০-১৪০০ খ্রিঃ
খ. ৬৫০-১২০০ খ্রিঃ
গ. ৪০০-৮০০ খ্রিঃ
ঘ. ৫০০-১০০০ খ্রিঃ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা ভাষার প্রাচীন যুগের সময়কাল সাধারণভাবে ধরা হয় আনুমানিক ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত

তবে, ভাষাবিদদের মধ্যে এই সময়কাল নিয়ে কিছু ভিন্নমত রয়েছে। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের উৎপত্তিকাল ৬৫০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে। অন্যদিকে, ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এই সময়কাল ৯৫০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বলে মনে করেন।

সুতরাং, বিকল্প হিসেবে ৯৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ সময়কালটিও ধরা যেতে পারে। তবে সাধারণভাবে ৬৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ কেই বাংলা ভাষার প্রাচীন বা আদি যুগের সময়কাল হিসেবে ধরা হয়। এই যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য সাহিত্যিক নিদর্শন হলো চর্যাপদ

ক. মুনীর চৌধুরী
খ. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
গ. শহীদুল্লা কায়সার
ঘ. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
ব্যাখ্যাঃ

'কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাসটির রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। এটি তাঁর একটি বিখ্যাত সৃষ্টি।

ক. সুভাষ মুখোপাধ্যায়
খ. দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
গ. শামসুর রাহমান
ঘ. কামিনী রায়
ব্যাখ্যাঃ

'ফুল ফুটুক আর না ফুটুক, আজ বসন্ত'- এই বিখ্যাত উদ্ধৃতিটি কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়-এর।

এটি তাঁর "ফুল ফুটুক" নামক কবিতার একটি চরণ। এই পঙ্ক্তিটি প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মের বাইরেও সময়ের আগমনকে জোরের সাথে ঘোষণা করে।

৪. Identify the correct spelling:

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. Equilibrium
খ. Equalbrium
গ. Equilebrium
ঘ. Equalibrium
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বানান হচ্ছে: কঃ Equilibrium

"Equilibrium" শব্দটি একটি ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ হলো ভারসাম্য বা সমতা।

ক. রাজগোষ্ঠী
খ. বিপদাপন্ন
গ. সর্বহারা
ঘ. সাহিত্যিক
ব্যাখ্যাঃ

'Proletariat' শব্দটির সঠিক বাংলা হলো সর্বহারা শ্রেণি

এটি মূলত সমাজতান্ত্রিক তত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ, যা সমাজের সেই অংশকে বোঝায় যাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য তাদের শ্রম বিক্রি করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই এবং যারা উৎপাদন ব্যবস্থার মালিক নয়।

৬. Rudimentary শব্দটির অর্থ কি?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. বিরক্তিবোধ
খ. হাস্যকর
গ. প্রাথমিক
ঘ. স্বল্পভাষী
ব্যাখ্যাঃ

'Rudimentary' শব্দটির বাংলা অর্থ হলো প্রাথমিক, মৌলিক, অপরিণত, অথবা গোড়ার

এটি এমন কিছুকে বোঝায় যা কোনো কিছুর ভিত্তি বা শুরু, এবং যা এখনও সম্পূর্ণরূপে বিকশিত বা উন্নত হয়নি।

বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে এর ব্যবহার হতে পারে, যেমন:

  • প্রাথমিক জ্ঞান: তার কম্পিউটারের উপর রুডিমেন্টারি জ্ঞানও নেই। (He doesn't even have rudimentary knowledge of computers.)
  • মৌলিক সরঞ্জাম: আদিম মানুষেরা রুডিমেন্টারি হাতিয়ার ব্যবহার করত। (Primitive people used rudimentary tools.)
  • অপরিণত ধারণা: তাদের পরিকল্পনাটি এখনও রুডিমেন্টারি পর্যায়ে রয়েছে। (Their plan is still in a rudimentary stage.)
  • গোড়ার শিক্ষা: শিশুরা রুডিমেন্টারি শিক্ষা লাভ করে। (Children receive rudimentary education.)

৭. 'Open the door' (Make it passive)

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. Let the door be opened
খ. Let the door opened
গ. Let the door open
ঘ. The door is opened
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো Let the door be opened.

'Open the door' একটি Imperative sentence (অনুজ্ঞাসূচক বাক্য)। এই ধরনের বাক্যকে Passive voice-এ পরিবর্তন করার নিয়ম হলো:

Let + object + be + past participle of the verb

এখানে:

  • Let বসানো হয়েছে।
  • the door হলো object।
  • be যোগ করা হয়েছে।
  • opened হলো open-এর past participle।

৮. a3=0.2 হলে a12 এর মান কত?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. 525
খ. 125
গ. 625
ঘ. 526
ব্যাখ্যাঃ দেওয়া আছে:
a3=0.2
প্রথমে a3=1a3, সুতরাং
1a3=0.2a3=10.2=5

এখন, a12=(a3)4=54=625

উত্তর: a12=625

৯. 9x+9x+9x= কত?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. 93x
খ. 32x+1
গ. 27x
ঘ. 3x3
ব্যাখ্যাঃ আমরা 9x+9x+9x-কে সহজভাবে লিখতে পারি।
ধরি, 9x একটি সাধারণ পদ। তাহলে:
9x+9x+9x=39x
9x+9x+9x=39x
3.32x 32x+1
ক. ৪৮
খ. ৬০
গ. ১২
ঘ. ২৪
ব্যাখ্যাঃ রম্বসের ক্ষেত্রফল বের করার জন্য সূত্রটি হলো: ক্ষেত্রফল=12×প্রথম কর্ণ×দ্বিতীয় কর্ণ এখানে প্রথম কর্ণ = 8সে.মি., এবং দ্বিতীয় কর্ণ = 6সে.মি.। তাহলে, ক্ষেত্রফল: ক্ষেত্রফল=12×8×6 ক্ষেত্রফল=12×48=24 উত্তর: রম্বসের ক্ষেত্রফল 24বর্গ সেন্টিমিটার

১১.  ÷  কত?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. ১
খ. অনির্ণেয়
গ. ০.০
ঘ. ০
ব্যাখ্যাঃ 0÷0 নির্ণয় করা সম্ভব নয়, কারণ গণিতের নিয়ম অনুযায়ী, এটি একটি অসংজ্ঞায়িত (undefined) রাশি।

এর কারণ হলো:
- ভাগফল x-কে নির্ণয় করতে হলে 0÷0=x, যা থেকে পাই x×0=0
- যেকোনো সংখ্যা x এর জন্য x×0=0 হয়, তাই এখানে x-এর একক মান নির্ণয় করা সম্ভব নয়।

অতএব, 0÷0 অসংজ্ঞায়িত।
ক. 1, 1
খ. -1, 3
গ. -3, -4
ঘ. 0, 2
ব্যাখ্যাঃ ধরি, a এবং b দুটি সংখ্যা। আমাদের দেওয়া আছে:

১. a+b=2
২. ab=1

এখন আমরা a এবং b-এর মান নির্ণয়ের জন্য একটি বর্গ সমীকরণ গঠন করব। বর্গ সমীকরণের সাধারণ রূপ হলো: x2(a+b)x+ab=0 এখন a+b=2 এবং ab=1 এর মান ব্যবহার করি: x22x+1=0 এটি একটি পূর্ণ বর্গ ধরণের সমীকরণ: (x1)2=0 তাহলে, x=1। অর্থাৎ, a=1 এবং b=1

উত্তর: a=1 এবং b=1
ক. ৩০০০
খ. ২৯৭০
গ. ৩০৭০
ঘ. ৩১৭০
ব্যাখ্যাঃ ধরি, করিম সাহেবের মাসিক বেতন x টাকা। প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য শতকরা ১০ ভাগ কর্তনের পর তার হাতে থাকে ২৭০০ টাকা।

তাহলে, তার হাতে থাকা বেতনের মান হবে: x10100x=2700 এখন সরল করি: x(110100)=2700 x90100=2700 9x10=2700 এখন x-এর মান নির্ণয় করি: x=2700109=3000 উত্তর: করিম সাহেবের মাসিক বেতন 3000 টাকা।
ক. স্বতন্ত্র মুদ্রা ব্যবস্থা
খ. বিচার ব্যবস্থা
গ. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো
ঘ. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা
ব্যাখ্যাঃ

ছয় দফার দাবিগুলো ছিল:

১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি: দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো হবে ফেডারেল বা যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং সরকার পদ্ধতি হবে সংসদীয়। প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত আইন সভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত হবে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার।

২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা শুধুমাত্র দুটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে, যথা - প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক যোগাযোগ। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে প্রাদেশিক সরকারগুলোর ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।

৩. মুদ্রা বা অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা: পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য দুটি পৃথক অথচ সহজে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। অথবা, এর বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে একটি মুদ্রাই থাকবে, তবে এ ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের মুদ্রা যাতে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার হতে না পারে, তার জন্য সাংবিধানিক বিধান রাখতে হবে।

৪. রাজস্ব, কর, বা শুল্ক সংক্রান্ত ক্ষমতা: সকল প্রকার রাজস্ব, কর ও শুল্ক ধার্য ও আদায়ের ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারগুলোর হাতে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোন রাজস্ব ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। প্রাদেশিক সরকারের আদায়কৃত রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারকে তার ব্যয় নির্বাহের জন্য দেওয়া হবে।

৫. বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা: বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই অঞ্চলের জন্য পৃথক পৃথক হিসাব রাখতে হবে এবং পূর্ব পাকিস্তানের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পূর্ব পাকিস্তানের অধীনেই থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের উপর এর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।

৬. আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা: আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য প্রাদেশিক সরকারগুলোকে আধাসামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা দিতে হবে।

ক. শ্রীলঙ্কা
খ. পাকিস্তান
গ. ভারত
ঘ. বাংলাদেশ
ব্যাখ্যাঃ

Probe News Agency (PNA) হলো বাংলাদেশের একটি বেসরকারি সংবাদ সংস্থা। এটি মূলত একটি অনলাইনভিত্তিক নিউজ পোর্টাল, যা বিভিন্ন ধরনের খবর, যেমন - রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি, খেলাধুলা এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ইত্যাদি প্রকাশ করে থাকে।

কিছু অতিরিক্ত তথ্য:

  • পিএনএ (PNA) তাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে সর্বশেষ সংবাদ আপডেট করে।
  • এই সংবাদ সংস্থাটি বস্তুনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের চেষ্টা করে বলে জানা যায়।
  • বাংলাদেশের অন্যান্য বেসরকারি সংবাদ সংস্থাগুলোর মতোই পিএনএ-ও দেশের গণমাধ্যম পরিমণ্ডলে একটি ভূমিকা রাখে।

১৬. 'বিবর' শব্দের অর্থ কি?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. চূড়া
খ. বরহীনা
গ. বরহীন
ঘ. গহ্বর
ব্যাখ্যাঃ

'বিবর' শব্দের অর্থ গহ্বর

'বিবর' শব্দটি সাধারণত কোনো ফাঁকা স্থান, গর্ত বা সুরঙ্গ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • কঃ চূড়া - এর অর্থ হলো কোনো কিছুর সর্বোচ্চ বিন্দু বা শিখর।
  • খঃ বরহীনা এবং গঃ বরহীন - এই শব্দগুলোর সরাসরি কোনো অর্থ বাংলা অভিধানে পাওয়া যায় না। তবে 'বর' মানে আচ্ছাদন বা আবরণ এবং 'হীন' মানে অভাব। তাই এই শব্দগুলো 'আচ্ছাদনহীন' বা 'আবরণবিহীন' অর্থে ব্যবহৃত হতে পারত, কিন্তু 'বিবর'-এর অর্থের সাথে এদের কোনো সম্পর্ক নেই।
ক. জালিয়াতি
খ. তছরুপ
গ. বাজেয়াপ্ত
ঘ. পূর্বাভাস
ব্যাখ্যাঃ

'Forgery' শব্দের সঠিক বাংলা পরিভাষা হলো জালিয়াতি

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • খঃ তছরুপ - এর অর্থ হলো আত্মসাৎ, অপচয় বা অবৈধভাবে গ্রহণ করা।
  • গঃ বাজেয়াপ্ত - এর অর্থ হলো আইনত দখল বা আটক করা।
  • ঘঃ পূর্বাভাস - এর অর্থ হলো আগে থেকে কোনো ঘটনার বার্তা বা ইঙ্গিত।
ক. কোলন
খ. কমা
গ. দাঁড়ি
ঘ. সেমিকোলন
ব্যাখ্যাঃ

জটিল বাক্যের অন্তর্গত প্রত্যেক খন্ড বাক্যের পর কমা (,) বসে।

তবে, যদি খন্ড বাক্যগুলো এবং, ও, আর ইত্যাদি অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়, তবে কমা বসে না।

উদাহরণ:

  • যে পরিশ্রম করে, সে সফল হয়। (এখানে 'যে পরিশ্রম করে' এবং 'সে সফল হয়' দুটি খন্ড বাক্য এবং এদের মাঝে কমা বসেছে।)
  • যদি তুমি আসো এবং সেও আসে, তবে আমরা একসাথে যাব। (এখানে 'যদি তুমি আসো' এবং 'সেও আসে' 'এবং' দ্বারা যুক্ত হওয়ায় কমা বসেনি।)

সুতরাং, সাধারণভাবে জটিল বাক্যের অন্তর্গত প্রত্যেক খন্ড বাক্যের পর কমা বসে, তবে সংযোজক অব্যয় থাকলে বসে না।

ক. ফররুখ আহমদ
খ. আহসান হাবীব
গ. শামসুর রাহমান
ঘ. অমিয় চক্রবর্তী
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর : অমিয় চক্রবর্তী

২০. Call name indicates ____

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. Calling
খ. Speaking
গ. Rebuking
ঘ. Calling Bell
ব্যাখ্যাঃ

"Call name" বা "call someone names" একটি ইংরেজি বাগধারা (idiom), যার অর্থ হলো গালাগালি করা বা অপমানজনক নামে ডাকা, যা Rebuking বা অপমান/তিরস্কার বোঝায়।

২১. The Poet of Beauty is-

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. Milton
খ. Eliot
গ. Wordsworth
ঘ. Keats
ব্যাখ্যাঃ

The Poet of Beauty is Keats.

জন কীট্‌স (John Keats) তাঁর কবিতায় সৌন্দর্য, অনুভূতি এবং কল্পনার জগৎকে যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, তার জন্য তিনি "Poet of Beauty" হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিখ্যাত কবিতাগুলোতে (যেমন: Ode on a Grecian Urn, Endymion) সৌন্দর্য এবং ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অভিজ্ঞতার প্রতি গভীর আকর্ষণ দেখা যায়।

ক. Adverb
খ. Adjective
গ. Noun
ঘ. Verb
ব্যাখ্যাঃ

'I will do it tomorrow' - এই বাক্যে 'Tomorrow' Adverb

কারণ 'tomorrow' শব্দটি 'do' (করা) ভার্বটিকে কখন কাজটি করা হবে তা নির্দেশ করছে। এটি কাজটি করার সময় বোঝাচ্ছে, যা একটি অ্যাডভার্বের কাজ।

  • Adverb (ক্রিয়া বিশেষণ): যে শব্দ ভার্ব (ক্রিয়া), অ্যাডজেক্টিভ (বিশেষণ) বা অন্য কোনো অ্যাডভার্বকে বিশেষায়িত করে বা তাদের সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য দেয়। এখানে 'tomorrow' 'do' ভার্বটিকে বিশেষায়িত করছে (কখন করবে)।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন সঠিক নয়:

  • Adjective (বিশেষণ): যে শব্দ কোনো নাউন (বিশেষ্য) বা প্রোনাউন (সর্বনাম) সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য দেয় বা তাদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে। 'Tomorrow' কোনো নাউন বা প্রোনাউনকে বিশেষায়িত করছে না।
  • Noun (বিশেষ্য): কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, ধারণা বা সময়ের নাম বোঝায়। 'Tomorrow' একটি সময়ের নাম হলেও, এই বাক্যে এটি ভার্বের সময় নির্দেশ করছে, তাই এটি অ্যাডভার্ব হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
  • Verb (ক্রিয়া): যে শব্দ কোনো কাজ, অবস্থা বা ঘটনা বোঝায়। 'Tomorrow' কোনো কাজ, অবস্থা বা ঘটনা বোঝাচ্ছে না।

২৩. Either he or his friends ____ done it.

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. is
খ. are
গ. has
ঘ. have
ব্যাখ্যাঃ

Either he or his friends have done it.

'Either...or' দ্বারা দুটি subject যুক্ত থাকলে, verb টি সাধারণত দ্বিতীয় subject অনুযায়ী হয়। এই বাক্যে দ্বিতীয় subject হলো 'his friends', যা plural (বহুবচন)। তাই plural verb 'have' ব্যবহৃত হবে।

২৪. He was dressed ____ a black suit.

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. with
খ. in
গ. by
ঘ. for
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বাক্যটি হবে: He was dressed in a black suit.

পোশাকের ক্ষেত্রে সাধারণত 'dressed in' ব্যবহৃত হয়। এর অর্থ হলো তিনি একটি কালো পোশাকে সজ্জিত ছিলেন।

২৫. Bangladesh was ___ in 1971.

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. Liberated
খ. Liberate
গ. Liberating
ঘ. Liberation
ব্যাখ্যাঃ

Bangladesh was liberated in 1971.

এখানে 'was' সাহায্যকারী ক্রিয়া এবং 'liberated' মূল ক্রিয়ার past participle form যা passive voice গঠন করেছে। এর অর্থ হলো ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল।

২৬. Time after twilight and before night ____

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. Dawn
খ. Dusk
গ. Moonlite
ঘ. Midnight
ব্যাখ্যাঃ

Time after twilight and before night is Dusk.

  • Dawn: ভোরের আলো, সূর্যোদয়ের আগের সময়।
  • Dusk: গোধূলি, সন্ধ্যার আবছা আলো, সূর্য ডোবার পরের সময় এবং রাতের আগের সময়।
  • Moonlite: চাঁদের আলো।
  • Midnight: মধ্যরাত্রি, রাতের ঠিক মাঝের সময়।
ক. ৪৫০ টাকা
খ. ৬৫০ টাকা
গ. ৫০০ টাকা
ঘ. ৬০০ টাকা
ব্যাখ্যাঃ সরল সুদের সূত্র হলো:
সুদ=PRT100
যেখানে:
P= মূলধন = ১০,০০০ টাকা
R= বার্ষিক হার = ৬%
T= সময় = =. বছর (কারণ ৯ মাস = ০.৭৫ বছর)

এখন মান বসিয়ে পাই:
সুদ=1000060.75100 সুদ=45000100=450
উত্তর: সুদ হবে ৪৫০ টাকা।
ক. ৬৫৫
খ. ৬৭৫
গ. ৬৮০
ঘ. ৬৩০
ব্যাখ্যাঃ মনে করি সংখ্যাটি x

প্রশ্নানুসারে, সংখ্যাটি ৫৬০ থেকে যত বড়, অর্থাৎ x, তা ৮০০ থেকে তত ছোট, অর্থাৎ x

সুতরাং, আমরা লিখতে পারি:
x=x
x+x=+
x=
x=
x=

সুতরাং, সংখ্যাটি হলো ৬৮০
ক. সৌদি আরব
খ. তুরস্ক
গ. আফগানিস্তান
ঘ. শ্রীলঙ্কা
ব্যাখ্যাঃ

তোরাবোরা (Tora Bora) ছিল পূর্ব আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ গুহাময় এলাকা। এটি পাকিস্তানের সীমান্ত ঘেঁষা।

তোরাবোরার তাৎপর্য:

  • আল-কায়েদার ঘাঁটি: নব্বইয়ের দশকের শেষভাগ থেকে ২০০১ সালের শেষ পর্যন্ত তোরাবোরা আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন এবং তার অনুসারীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা এবং প্রাকৃতিক গুহা থাকার কারণে এটি তাদের লুকিয়ে থাকার জন্য আদর্শ স্থান ছিল।
  • ২০০১ সালের যুদ্ধ: ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলার পর তোরাবোরা একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। মার্কিন ও আফগান বাহিনী আল-কায়েদা যোদ্ধাদের হঠানোর জন্য এখানে ব্যাপক অভিযান চালায়। যদিও ওসামা বিন লাদেন সম্ভবত এই অভিযানকালে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন।
  • প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য: তোরাবোরা তার জটিল গুহা ব্যবস্থার জন্য পরিচিত। এই গুহাগুলো স্থানীয়ভাবে নির্মিত এবং প্রাকৃতিক উভয় প্রকারেরই ছিল। এগুলো আল-কায়েদার যোদ্ধাদের আশ্রয়, অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত এবং যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
  • ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব: আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত হওয়ায় তোরাবোরার একটি কৌশলগত ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বও ছিল।

বর্তমানে তোরাবোরা আল-কায়েদার আর সেই গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি না থাকলেও, এলাকাটি তার ঐতিহাসিক তাৎপর্যের জন্য পরিচিত।

ক. মিজোরাম, ত্রিপুরা
খ. আসাম, মেঘালয়
গ. অরুণাচল, মণিপুর
ঘ. মেঘালয়, মিজোরাম
ব্যাখ্যাঃ

ভারতের সেভেন সিস্টারভুক্ত অরুণাচল প্রদেশ এবং মণিপুর এই দুটি রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি সীমান্ত সংযোগ নেই।

বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে:

  • আসাম
  • মেঘালয়
  • ত্রিপুরা
  • মিজোরাম

৩১. Which sentence is correct?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. He needs not go
খ. He need not go
গ. He do not need to go
ঘ. He does not need go
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বাক্যটি হলো He need not go.

'Need' যখন principal verb (প্রধান ক্রিয়া) হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তখন subject-এর number ও person অনুযায়ী এর রূপ পরিবর্তিত হয় (needs, needed)। কিন্তু যখন 'need' modal auxiliary verb (সাহায্যকারী ক্রিয়া) হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তখন এর রূপ পরিবর্তিত হয় না এবং এর পরে মূল verb-এর base form বসে।

এই বাক্যে 'need not' একটি modal auxiliary verb হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা 'go' (যাওয়া) মূল verb-টিকে মডাল করছে (প্রয়োজনের অভাব বোঝাচ্ছে)।

অন্যান্য বিকল্পগুলো ভুল হওয়ার কারণ:

  • কঃ He needs not go: এখানে 'needs' principal verb হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, কিন্তু 'not' এর পরে সরাসরি মূল verb 'go' বসেছে, যা ব্যাকরণসম্মত নয়।
  • গঃ He do not need to go: থার্ড পারসন সিঙ্গুলার সাবজেক্ট 'He'-এর সাথে 'do not' ব্যবহৃত হয় না। 'does not' হওয়া উচিত ছিল।
  • ঘঃ He does not need go: 'does not need' এর পরে 'to go' হওয়া উচিত ছিল, কারণ এখানে 'need' principal verb হিসেবে কাজ করছে। যদি 'need' modal auxiliary হতো, তবে 'to' বসত না। তবে 'does not need' এর গঠনে 'need' তার মূল রূপে থাকে ('needs' হয় না)।

সুতরাং, যেখানে 'need' modal auxiliary হিসেবে ব্যবহৃত হয়, সেখানে subject যাই হোক না কেন, 'need' অপরিবর্তিত থাকে এবং এর পরে মূল verb-এর base form বসে, যা অপশন খ-তে দেখা যাচ্ছে।

৩২. An adverb does not modify?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. Verb
খ. Adverb
গ. Noun
ঘ. Adjective
ব্যাখ্যাঃ

An adverb does not modify Noun.

একটি অ্যাডভার্ব (ক্রিয়া বিশেষণ) সাধারণত একটি ভার্ব (ক্রিয়া), আরেকটি অ্যাডভার্ব (ক্রিয়া বিশেষণ) অথবা একটি অ্যাডজেক্টিভ (বিশেষণ) কে মডিফাই (বিশেষিত) করে বা তাদের সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য দেয়।

উদাহরণস্বরূপ:

  • Verb কে মডিফাই করে: He runs quickly. (এখানে 'quickly' 'runs' ভার্বটিকে মডিফাই করছে।)
  • Adverb কে মডিফাই করে: She sings very loudly. (এখানে 'very' 'loudly' অ্যাডভার্বটিকে মডিফাই করছে।)
  • Adjective কে মডিফাই করে: It is extremely hot. (এখানে 'extremely' 'hot' অ্যাডজেক্টিভটিকে মডিফাই করছে।)

কিন্তু অ্যাডভার্ব সাধারণত কোনো নাউন (বিশেষ্য) কে মডিফাই করে না। নাউনকে মডিফাই করার কাজটি অ্যাডজেক্টিভের।

উদাহরণ:

  • সঠিক: The beautiful flower. ('beautiful' অ্যাডজেক্টিভ 'flower' নাউনটিকে মডিফাই করছে।)
  • ভুল: The quickly flower. (এখানে 'quickly' অ্যাডভার্ব, যা 'flower' নাউনটিকে মডিফাই করতে পারে না।)

৩৩. The synonym of 'Outset' is-

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. Beginning
খ. Fall
গ. Lost
ঘ. Outside
ব্যাখ্যাঃ

The synonym of 'Outset' is Beginning.

'Outset' শব্দের অর্থ হলো শুরু, আরম্ভ বা প্রারম্ভ। 'Beginning' শব্দের অর্থও একই - শুরু বা আরম্ভ।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • খঃ Fall: পতন, ঝরা, কমে যাওয়া।
  • গঃ Lost: হারানো, খোয়ানো।
  • ঘঃ Outside: বাইরে।

সুতরাং, 'Outset'-এর সবচেয়ে কাছের সমার্থক শব্দ হলো 'Beginning'।

৩৪. Indefinite Pronoun এর উদাহরণ কোনটি?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. Several
খ. Who
গ. Mine
ঘ. We
ব্যাখ্যাঃ

Indefinite Pronoun-এর উদাহরণ হলো Several.

Indefinite Pronoun (অনির্দিষ্ট সর্বনাম) কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, বস্তু বা স্থানকে না বুঝিয়ে অনির্দিষ্টভাবে বোঝায়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন Indefinite Pronoun নয়:

  • খঃ Who: Interrogative Pronoun (প্রশ্নবোধক সর্বনাম)। এটি প্রশ্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • গঃ Mine: Possessive Pronoun (সম্বন্ধবাচক সর্বনাম)। এটি অধিকার বা মালিকানা বোঝায়।
  • ঘঃ We: Personal Pronoun (ব্যক্তিবাচক সর্বনাম)। এটি নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের (এখানে - আমরা) বোঝায়।

কয়েকটি Indefinite Pronoun-এর উদাহরণ:

Some, Any, All, Few, Many, One, None, Someone, Anyone, Everyone, No one, Something, Anything, Everything, Nothing, Several, Both, Each, Either, Neither

৩৫. Sapling শব্দের অর্থ কি?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. আদর করা
খ. চারাগাছ
গ. ঔষধ
ঘ. নমুনা
ব্যাখ্যাঃ

'Sapling' শব্দের অর্থ চারাগাছ

একটি চারাগাছ হলো একটি ছোট, নবীন গাছ, বিশেষ করে যা বীজ থেকে গজিয়েছে।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • কঃ আদর করা: স্নেহ করা, ভালোবাসা দেখানো (to fondle, to caress)।
  • গঃ ঔষধ: রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত বস্তু (medicine, drug)।
  • ঘঃ নমুনা: কোনো কিছুর ছোট বা আংশিক রূপ (sample, specimen)।
ক. ৪ এপ্রিল
খ. ১ এপ্রিল
গ. ২ এপ্রিল
ঘ. ৩ এপ্রিল
ব্যাখ্যাঃ

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস প্রতি বছর ২ এপ্রিল পালিত হয়। এই দিনটির মূল উদ্দেশ্য হলো অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (ASD) সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকার ও কল্যাণের জন্য সমর্থন জানানো।

জাতিসংঘ ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর তারিখে এই দিনটিকে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর ২ এপ্রিল এই দিবসটি পালিত হচ্ছে।

ক. ভাববাচ্য
খ. কর্মকর্তৃবাচ্য
গ. কর্তৃবাচ্য
ঘ. কর্মবাচ্য
ব্যাখ্যাঃ

'চাঁদ দেখা যাচ্ছে' - এই বাক্যে কর্মকর্তৃবাচ্য এর প্রয়োগ ঘটেছে।

কর্মকর্তৃবাচ্য: যখন বাক্যের কর্মই কর্তৃস্থানীয় হয়ে ক্রিয়া সম্পাদন করে বলে মনে হয়, তখন তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে। এই ধরনের বাক্যে সাধারণত কর্মপদটি প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয় এবং ক্রিয়াপদটি কর্মের অনুসারী হয়। এখানে 'চাঁদ' কর্মপদ হলেও, দেখার কাজটি যেন চাঁদ নিজেই করছে বলে মনে হচ্ছে।

অন্যান্য বাচ্যগুলো কেন নয়:

  • কঃ ভাববাচ্য: যে বাক্যে ক্রিয়ার ভাব বা প্রধান্য রক্ষিত হয়, কর্ম বা কর্তার প্রাধান্য থাকে না। উদাহরণ: 'আমাকে যেতে হবে'।
  • গঃ কর্তৃবাচ্য: যে বাক্যে কর্তা সক্রিয়ভাবে ক্রিয়া সম্পাদন করে। উদাহরণ: 'আমি চাঁদ দেখছি'।
  • ঘঃ কর্মবাচ্য: যে বাক্যে কর্মের প্রাধান্য রক্ষিত হয় এবং কর্তা সাধারণত উহ্য থাকে বা গৌণভাবে উল্লিখিত হয়। উদাহরণ: 'আমার দ্বারা কাজটি সম্পন্ন হয়েছে'।

'চাঁদ দেখা যাচ্ছে' বাক্যটিতে 'দেখা' ক্রিয়াপদটি চাঁদের উপর নির্ভরশীল এবং চাঁদ যেন নিজেই দৃশ্যমান হচ্ছে - এমন একটি ভাব প্রকাশ পাচ্ছে। তাই এটি কর্মকর্তৃবাচ্যের উদাহরণ।

ক. জীবন
খ. মৃত্যু
গ. যৌবন
ঘ. পতিত
ব্যাখ্যাঃ

'জরা' এর বিপরীতার্থক শব্দ যৌবন

'জরা' শব্দের অর্থ হলো বার্ধক্য, বুড়ো বয়স বা শরীরের দুর্বলতা। অন্যদিকে, 'যৌবন' মানে তারুণ্য, নবীন বয়স বা শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পূর্ণ পর্যায়।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • কঃ জীবন: জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়কাল।
  • খঃ মৃত্যু: জীবনের শেষ বা প্রাণহীন অবস্থা।
  • ঘঃ পতিত: অধঃপতিত, ভ্রষ্ট বা স্খলিত।

সুতরাং, 'জরা'-র বিপরীত শব্দ হলো 'যৌবন'।

ক. অপাদানে ৭মী
খ. অধিকরণে ৭মী
গ. করণে ৭মী
ঘ. কর্মে ৭মী
ব্যাখ্যাঃ

'ব্যায়ামে শরীর ভালো থাকে' - এই বাক্যে ব্যায়ামে শব্দটিতে করণে ৭মী বিভক্তি ব্যবহত হয়েছে।

করণ কারক: ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককে করণ কারক বলে। এখানে 'ব্যায়াম' শরীর ভালো রাখার উপকরণ বা মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।

৭মী বিভক্তি: 'এ', 'য়', 'তে' - এই বিভক্তিগুলো সাধারণত করণ, অধিকরণ ও ভাবাধিকরণে ব্যবহৃত হয়। এই বাক্যে 'ব্যায়াম'-এর সাথে 'এ' বিভক্তি যুক্ত হয়ে 'ব্যায়ামে' হয়েছে।

সুতরাং, 'ব্যায়ামে' শব্দটি করণ কারকে ৭মী বিভক্তি।

ক. বক্তব্য
খ. উক্ত
গ. বাক্য
ঘ. ভবিতব্য
ব্যাখ্যাঃ

'যা বলা হবে' এর বাক্য সংকোচন হলো বক্তব্য

বক্তব্য শব্দের অর্থ হলো যা বলা হবে বা বলার বিষয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • খঃ উক্ত: যা বলা হয়েছে।
  • গঃ বাক্য: কথা বা উক্তি।
  • ঘঃ ভবিতব্য: যা ঘটবে বা নিয়তি।
ক. ডঃ সুকুমার সেন
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. ডঃ হুমায়ুন আহমেদ
ঘ. ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
ব্যাখ্যাঃ

'বাংলা সাহিত্যের কথা' ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত একটি বিখ্যাত গ্রন্থ। এটি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সম্পর্কিত একটি প্রামাণিক কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। গ্রন্থটি মূলত দুটি খণ্ডে বিভক্ত:

প্রথম খণ্ড (প্রাচীন যুগ): এই খণ্ডে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ থেকে শুরু করে মধ্যযুগের প্রারম্ভ পর্যন্ত আলোচনা করা হয়েছে।

দ্বিতীয় খণ্ড (মধ্যযুগ): এই খণ্ডে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ধারা, যেমন - মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব সাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য এবং মুসলিম সাহিত্য ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন একজন ভাষাবিদ ও সাহিত্য পণ্ডিত। 'বাংলা সাহিত্যের কথা' গ্রন্থে তিনি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে বাংলা সাহিত্যের বিবর্তনের ধারাকে তুলে ধরেছেন। এটি বাংলা সাহিত্যের ছাত্র ও গবেষকদের জন্য একটি অপরিহার্য গ্রন্থ।

ক. ২০টি
খ. ২১টি
গ. ১৮টি
ঘ. ২২টি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা ভাষায় ২১টি তৎসম উপসর্গ রয়েছে। তৎসম উপসর্গ মূলত সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে এবং এগুলো বাংলা ভাষায় অপরিবর্তিতভাবে ব্যবহৃত হয়।

তৎসম উপসর্গের তালিকা:

১. অ- (অশুভ)
2. অতিঃ (অতিবৃদ্ধি)
3. অধিঃ (অধিকরণ)
4. অনু- (অনুকরণ)
5. অপ- (অপরাধ)
6. অভি- (অভিযান)
7. অধঃ- (অধঃপতন)
8. আ- (আবেদন)
9. উৎ- (উৎপাদন)
10. উপ- (উপনয়ন)
11. নির্- (নির্মাণ)
12. নিস্- (নিস্ক্রিয়)
13. দুর্- (দুর্বুদ্ধি)
14. দুঃ- (দুঃখ)
15. পরা- (পরাক্রম)
16. পরি- (পরিবর্তন)
17. প্র- (প্রকাশ)
18. প্রতি- (প্রতিযোগিতা)
19. বি- (বিজ্ঞ)
20. সম্- (সম্পর্ক)
21. সু- (সুশীল)

এই উপসর্গগুলো বাংলা ভাষায় নতুন শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ক. ১০%
খ. ২৪%
গ. ২০%
ঘ. ৪৪%
ব্যাখ্যাঃ ধরি, বৃত্তের প্রাথমিক ব্যাসার্ধ হলো r। তাহলে প্রাথমিক ক্ষেত্রফল হবে: প্রাথমিক ক্ষেত্রফল=πr2 যখন ব্যাস ২০% বৃদ্ধি পায়, তখন ব্যাসার্ধও ২০% বৃদ্ধি পাবে। নতুন ব্যাসার্ধ হবে: rনতুন=r+0.2r=1.2r নতুন ক্ষেত্রফল: নতুন ক্ষেত্রফল=π(1.2r)2=π(1.44r2)=1.44πr2 ক্ষেত্রফল বৃদ্ধির পরিমাণ: ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি=নতুন ক্ষেত্রফলপ্রাথমিক ক্ষেত্রফল ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি=1.44πr2πr2=0.44πr2 ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি শতকরা হিসেবে: বৃদ্ধি=0.44πr2πr2×100=44% উত্তর: বৃত্তের ব্যাস ২০% বাড়ালে এর ক্ষেত্রফল ৪৪% বৃদ্ধি পাবে।
ক. ১২
খ. ১৪
গ. ১৬
ঘ. ১০
ব্যাখ্যাঃ ১. প্রদত্ত তথ্য বিশ্লেষণ: যদি ২৭, ৪০, এবং ৬৫-কে একটি বৃহত্তম সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যথাক্রমে ৩, ৪, এবং ৫ ভাগশেষ থাকে, তাহলে আমরা এই সংখ্যাগুলোর থেকে তাদের ভাগশেষ বাদ দিই: 273=24,404=36,655=60 ২. এই সংখ্যাগুলোর গ.সা.গু (GCD) নির্ণয়:
এখন ২৪, ৩৬, এবং ৬০-এর গ.সা.গু বের করতে হবে।

৩. গ.সা.গু বের করা:
২৪-এর গুণনীয়ক: 1,2,3,4,6,8,12,24
৩৬-এর গুণনীয়ক: 1,2,3,4,6,9,12,18,36
৬০-এর গুণনীয়ক: 1,2,3,4,5,6,10,12,15,20,30,60

এই তিনটি সংখ্যার গুণনীয়কগুলোর মধ্যে সর্বাধিক সাধারণ গুণনীয়ক হলো 12

৪. উত্তর:
তাহলে, বৃহত্তম সংখ্যা হলো 12

উত্তর: বৃহত্তম সংখ্যা যার দ্বারা ২৭, ৪০, ৬৫-কে ভাগ করলে যথাক্রমে ৩, ৪, ৫ ভাগশেষ থাকবে, তা হলো 12
ক. ৩৬০০°
খ. ৫৪০°
গ. ১৮০°
ঘ. ২৭০°
ব্যাখ্যাঃ ধরি, চাকাটি প্রতি মিনিটে 90 বার ঘোরে।

ধাপ ১: প্রতি সেকেন্ডে ঘূর্ণন সংখ্যা নির্ণয়
এক মিনিটে 60 সেকেন্ড থাকে।
তাহলে, প্রতি সেকেন্ডে চাকাটি ঘোরে: 9060=1.5বার ধাপ ২: একবার সম্পূর্ণ ঘূর্ণন মানে 360
তাহলে, প্রতি সেকেন্ডে চাকাটি 1.5 বার ঘুরলে মোট ঘূর্ণন হবে: 1.5×360=540 উত্তর: ১ সেকেন্ডে চাকাটি 540 ঘুরবে।
ক. ৪২
খ. ৩৯
গ. ৪০
ঘ. ৪১
ক. ঢাকার লালবাগে
খ. নওগা জেলায়
গ. পুরনো ঢাকায়
ঘ. বাগেরহাট জেলায়
ব্যাখ্যাঃ

কুসুম্বা মসজিদ বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

অবস্থান:

  • নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার কুসুম্বা গ্রামে আত্রাই নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত।
  • রাজশাহী মহাসড়কের মান্দা ব্রিজ থেকে প্রায় ৪০০ মিটার উত্তরে এর অবস্থান।

ইতিহাস ও নির্মাণকাল:

  • মসজিদের প্রবেশদ্বারে স্থাপিত ফলক অনুযায়ী, এটি হিজরি ৯৬৬ সালে (১৫৫৮-১৫৫৯ খ্রিস্টাব্দ) নির্মিত হয়েছিল।
  • আফগান শাসনামলে শুর বংশের শেষ দিকের শাসক গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহের আমলে সুলায়মান নামে এক ব্যক্তি এটি নির্মাণ করেন বলে জানা যায়। তবে, ভেতরের মিহরাবের শিলালিপিতে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের নামও পাওয়া যায়, যা নির্মাণকাল নিয়ে কিছুটা দ্বিমত সৃষ্টি করে।
  • ধারণা করা হয়, মসজিদটি নির্মাণে প্রায় ৬০ বছর সময় লেগেছিল।

স্থাপত্যশৈলী:

  • মসজিদটি সুলতানি আমলের স্থাপত্যশৈলীর একটি সুন্দর উদাহরণ।
  • এটি উত্তর ভারতীয় সুর স্থাপত্য থেকে ভিন্ন, বরং এটিতে স্থানীয় বাংলা স্থাপত্যের প্রভাব দেখা যায়।
  • মসজিদটি মূলত ইটের তৈরি, তবে এর বাইরের দিক এবং ভেতরের কিছু অংশে ধূসর রঙের পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। দূর থেকে এটিকে কালো দেখায়, তাই স্থানীয়ভাবে এটি "কালো পাহাড়" নামেও পরিচিত।
  • মসজিদের চার কোণে গোলাকার অষ্টভুজাকৃতির স্তম্ভ রয়েছে।
  • এর ছাদে দুইটি সারিতে মোট ছয়টি গোলাকার গম্বুজ বিদ্যমান ছিল, তবে ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে তিনটি গম্বুজ ভেঙে গিয়েছিল। পরবর্তীতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটি সংস্কার করে।
  • মসজিদের ভেতরে দুটি স্তম্ভ এবং পশ্চিমের দেয়ালে তিনটি মিহরাব রয়েছে, যেগুলোর কারুকার্য বেশ আকর্ষণীয়। কেন্দ্রীয় মিহরাবটি আকারে বড় এবং বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হত বলে ধারণা করা হয়।
  • মসজিদের ভেতরে একটি উঁচু বেদীর মতো স্থান রয়েছে, যা বাদশাহ-কা-তখ্‌ত বা রাজার সিংহাসন হিসেবে পরিচিত।
ক. দিভেহী
খ. মালয়
গ. আরবী
ঘ. হিন্দি
ব্যাখ্যাঃ

মালদ্বীপের প্রধান ভাষা হলো ধিভেহী (Dhivehi)। এটি দেশটির সরকারি ও জাতীয় ভাষা। মালদ্বীপের প্রায় ৯৮.৬% মানুষ এই ভাষায় কথা বলে।

ধিভেহী একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, যার মূল শ্রীলঙ্কার সিংহলী ভাষার সাথে সম্পর্কিত। তবে সময়ের সাথে সাথে আরবি, ইংরেজি, হিন্দি, ফার্সি, পর্তুগিজ এবং ফরাসি ভাষার প্রভাবও এতে দেখা যায়।

পর্যটন শিল্পের ব্যাপক প্রসারের কারণে মালদ্বীপে ইংরেজিও বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে রিসোর্ট এবং পর্যটন এলাকায়। তবে স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগের জন্য ধিভেহী জানা থাকলে তা আপনার অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করবে।

ক. International Panel on Climate Change
খ. Intergovernmental Panel on Climate Change
গ. Intragovernmental Panel on Climate Change
ঘ. International Public Committee for Climate Change
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের সংস্থা IPCC-এর পূর্ণরূপ হলো Intergovernmental Panel on Climate Change (জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেল)।

IPCC হলো জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিজ্ঞানের মূল্যায়নের জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এটি জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত সরকার এবং বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (WMO) যৌথ উদ্যোগে ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

IPCC-এর প্রধান কাজ:

  • জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত ও আর্থ-সামাজিক তথ্যের মূল্যায়ন করা।
  • জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ, প্রভাব, ঝুঁকি এবং অভিযোজন ও প্রশমন কৌশল সম্পর্কে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা।
  • সরকারগুলোকে জলবায়ু নীতি নির্ধারণে বৈজ্ঞানিক তথ্য সরবরাহ করা।
  • জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণায় নিয়োজিত বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

IPCC কোনো নিজস্ব গবেষণা পরিচালনা করে না। বরং, বিশ্বজুড়ে প্রকাশিত জলবায়ু বিজ্ঞান সম্পর্কিত গবেষণা প্রবন্ধ পর্যালোচনা করে এবং সেগুলোর ভিত্তিতে সমন্বিত মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করে। এই প্রতিবেদনগুলো নীতি নির্ধারক, বিজ্ঞানী এবং সাধারণ মানুষের কাছে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করে।

IPCC-এর মূল্যায়নের ভিত্তিতেই জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন কনভেনশন (UNFCCC) এবং প্যারিস চুক্তির মতো আন্তর্জাতিক চুক্তি ও নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।

ক. ৬৩
খ. ৩৬
গ. ৩৫
ঘ. ৫৩
ব্যাখ্যাঃ ধরি, সেই সংখ্যা হলো x
প্রদত্ত শর্ত অনুসারে: 12x+6=23x এখন x-এর মান নির্ণয় করি:

১. প্রথমে ভগ্নাংশগুলো সরল করার জন্য উভয় পাশে 6-এর ল.সা.গু 6 দ্বারা গুণ করি: 612x+66=623x 3x+36=4x ২. সমীকরণটি পুনরায় লিখি: 36=4x3x 36=x উত্তর: সংখ্যাটি হলো 36

৫১. 26+2= কত?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. 32
খ. 3+2
গ. 3+2
ঘ. 32
ব্যাখ্যাঃ প্রদত্ত ভগ্নাংশ: 26+2 এখন আমরা লঘিষ্ঠ করার জন্য লব্ধি ও হরকে 62 দিয়ে গুণ করি, যাকে লঘিষ্ঠকরণ পদ্ধতি বলা হয়। 26+26262=2(62)(6+2)(62) এখন হরের গুণফল বের করি। এটি (a+b)(ab)-এর সূত্র অনুযায়ী হয়: (6)2(2)2=64=2 তাহলে ভগ্নাংশটি হয়: 2(62)2 এখন সরল করি: 262222 =1222 12 কে সরল করলে পাই 12=23। তাহলে চূড়ান্ত রূপটি হবে: 2322=32 উত্তর: 26+2=32
ক. ২০০
খ. ৩০০০
গ. ২৫০
ঘ. ১০০
ব্যাখ্যাঃ ধরি, সেই সংখ্যা হলো x

প্রশ্ন অনুসারে: 30100x30=30 এখন সমীকরণটি সরল করি: 30100x=30+30 30100x=60 x-এর মান নির্ণয় করতে: x=60×10030 x=200 উত্তর: সংখ্যাটি হলো 200
ক. ৩৬.৮৭
খ. ৩৭.৮৭
গ. ৩৬.৭৮
ঘ. ৩৭.৭৮
ব্যাখ্যাঃ ফারেনহাইট থেকে সেলসিয়াসে রূপান্তরের সূত্র হলো: C=59×(F32) এখানে F=100, তাই: C=59×(10032)=59×68 C=340937.78 উত্তর: 100ডিগ্রি ফারেনহাইট37.78ডিগ্রি সেলসিয়াস
ক. বিষ্ণু দে
খ. প্যারীচাঁদ মিত্র
গ. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘ. দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
ব্যাখ্যাঃ

'চোরাবালি' বিষ্ণু দে'র একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয় এবং বাংলা আধুনিক কবিতার ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।

'চোরাবালি' কাব্যগ্রন্থের বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য:

  • বিষয়বস্তু: 'চোরাবালি' কাব্যগ্রন্থে বিষ্ণু দে'র সময়ের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদ, ফ্যাসিবাদ, দারিদ্র্য, শোষণ এবং সমকালীন অস্থিরতা তাঁর কবিতায় তীব্রভাবে উঠে এসেছে।
  • কাব্যভাষা ও আঙ্গিক: এই গ্রন্থে বিষ্ণু দে'র নিজস্ব কাব্যভাষা এবং আঙ্গিকের সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি ঐতিহ্যবাহী ছন্দ এবং আঙ্গিকের পাশাপাশি নতুন পরীক্ষামূলক ছন্দ ও আঙ্গিক ব্যবহার করেছেন। তাঁর কবিতা জটিল, বুদ্ধিদীপ্ত এবং বহুস্তরবিশিষ্ট।
  • প্রতীক ও চিত্রকল্প: 'চোরাবালি' তে বিষ্ণু দে প্রচুর প্রতীক ও চিত্রকল্প ব্যবহার করেছেন, যা তাঁর কবিতাকে গভীরতা ও ব্যঞ্জনা দান করেছে। 'চোরাবালি' নিজেই একটি শক্তিশালী প্রতীক যা সমকালীন সমাজের অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা এবং ধ্বংসের ইঙ্গিত বহন করে।
  • মার্কসবাদী ভাবাদর্শের প্রভাব: বিষ্ণু দে মার্কসবাদী ভাবাদর্শে গভীরভাবে বিশ্বাসী ছিলেন এবং এর প্রভাব তাঁর কবিতায় স্পষ্ট। তিনি সমাজের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি সহানুভূতি এবং শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেছেন।
  • আধুনিক কবিতার বৈশিষ্ট্য: 'চোরাবালি' বাংলা আধুনিক কবিতার বৈশিষ্ট্যগুলোকে ধারণ করে। এতে নাগরিক জীবনের জটিলতা, মানুষের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব এবং ঐতিহ্যের প্রতি নতুন করে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে।
ক. শক্তি চট্টোপাধ্যায়
খ. হাসান হাফিজুর রহমান
গ. আল মাহমুদ
ঘ. হুমায়ূন আজাদ
ব্যাখ্যাঃ

'সোনালি কাবিন' আল মাহমুদের একটি কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয় এবং বাংলা কবিতার ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। এই কাব্যগ্রন্থটি আল মাহমুদকে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

'সোনালি কাবিন' কাব্যের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:

  • সনেট: 'সোনালি কাবিন'-এর কবিতাগুলো মূলত সনেট আঙ্গিকে রচিত। এই গ্রন্থে মোট ১৪টি সনেট রয়েছে।
  • বিষয়বস্তু: কবিতাগুলোতে প্রেম, প্রকৃতি, গ্রামীণ জীবন, ঐতিহ্য, ইতিহাস, সামাজিক ও রাজনৈতিক চেতনা এবং মানবতাবাদের মতো বিষয়গুলো গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
  • উপমা ও চিত্রকল্প: আল মাহমুদ তাঁর কবিতায় চিরায়ত বাংলা সাহিত্য এবং গ্রামীণ জীবন থেকে নেওয়া চমৎকার উপমা ও চিত্রকল্প ব্যবহার করেছেন, যা কবিতাগুলোকে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
  • শব্দচয়ন: তাঁর শব্দচয়ন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ব্যঞ্জনাময়। গ্রামীণ শব্দ ও আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার কবিতায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
  • ঐতিহ্যচেতনা: এই কাব্যে আবহমান বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি কবির গভীর অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে। লোকজ উপাদান ও মিথের ব্যবহার লক্ষণীয়।
  • আধুনিকতার সাথে ঐতিহ্যের মেলবন্ধন: আল মাহমুদ আধুনিক কবিতার আঙ্গিকের সাথে ঐতিহ্যবাহী ভাবনার এক সুন্দর সমন্বয় ঘটিয়েছেন।
  • দেশপ্রেম ও দ্রোহ: কোনো কোনো কবিতায় দেশপ্রেম এবং সমকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে কবির দ্রোহের প্রকাশ দেখা যায়।
ক. মনো+হর
খ. মন+অহর
গ. মন+হর
ঘ. মনঃ+হর
ব্যাখ্যাঃ

মনোহর শব্দটির সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ হলো মনঃ+হর

এটি বিসর্গ সন্ধির একটি উদাহরণ। বিসর্গ (ঃ) এর পরে স্বরবর্ণ বা ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে বিসর্গের পরিবর্তন ঘটে। এই ক্ষেত্রে, বিসর্গের পরে 'হ' ব্যঞ্জনবর্ণ থাকায় বিসর্গ 'ও'-কারে রূপান্তরিত হয়েছে।

অতএব, মনঃ + হর = মনোহর।

৫৭. 'মুজিববর্ষ' কোন সমাস?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. দ্বন্দ্ব সমাস
খ. দ্বিগু সমাস
গ. কর্মধারয় সমাস
ঘ. অব্যয়ীভাব সমাস
ব্যাখ্যাঃ

'মুজিববর্ষ' শব্দটি কর্মধারয় সমাস

এর ব্যাসবাক্য হলো মুজিব নামক বর্ষ অথবা মুজিব স্মরণে বর্ষ

কর্মধারয় সমাসে বিশেষণ ও বিশেষ্য অথবা দুটি বিশেষ্য পদে অভেদ কল্পনা করা হয়। এখানে 'মুজিব' (বিশেষ্য) এবং 'বর্ষ' (বিশেষ্য) এর মধ্যে একটি অভেদ সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে - মুজিব স্মরণে পালিত বর্ষ।

অন্যান্য সমাসগুলো কেন নয়:

  • কঃ দ্বন্দ্ব সমাস: উভয় পদই প্রধান এবং 'ও', 'এবং', 'আর' ইত্যাদি সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে। উদাহরণ: মাতা ও পিতা = মাতা-পিতা।
  • খঃ দ্বিগু সমাস: সংখ্যাবাচক বিশেষণ পূর্বপদে বসে এবং সমাহার বোঝায়। উদাহরণ: তিন মাথার সমাহার = তেমাথা।
  • ঘঃ অব্যয়ীভাব সমাস: পূর্বপদে অব্যয় বসে এবং অর্থের প্রাধান্য পায়। উদাহরণ: কূলের সমীপে = উপকূল।

৫৮. Have you ever been ____ Dhaka?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. to
খ. in
গ. on
ঘ. at
ব্যাখ্যাঃ

Have you ever been to Dhaka?

কোনো স্থানে যাওয়া বা আসার ক্ষেত্রে সাধারণত 'to' preposition ব্যবহৃত হয়। 'In' সাধারণত কোনো স্থানের ভেতরে বোঝাতে, 'on' কোনো কিছুর উপরে বোঝাতে এবং 'at' নির্দিষ্ট স্থান বা সময়ে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু ঢাকা একটি স্থান এবং এখানে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তাই 'to' ব্যবহার করাই সঠিক।

৫৯. কোনটি Abstract Noun?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. Humane
খ. In human
গ. Humanity
ঘ. Human
ব্যাখ্যাঃ

Abstract Noun is Humanity.

Abstract Noun (গুণবাচক বিশেষ্য) এমন একটি বিশেষ্য যা কোনো গুণ, অবস্থা, ধারণা বা অনুভূতি বোঝায়, যা ধরা বা ছোঁয়া যায় না, কেবল অনুভব করা যায়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন Abstract Noun নয়:

  • কঃ Humane: এটি একটি Adjective (বিশেষণ), যার অর্থ হলো মানবীয়, দয়ালু।
  • খঃ In human: এটিও Adjective (বিশেষণ), যার অর্থ হলো অমানবিক, নির্দয়।
  • ঘঃ Human: এটি একটি Common Noun (সাধারণ বিশেষ্য), যার অর্থ হলো মানুষ, মানবজাতি।

Humanity শব্দটি মানুষের গুণাবলী, মানবতা, মনুষ্যত্ব ইত্যাদি ধারণা বোঝায়, যা ধরা বা ছোঁয়া যায় না, কেবল অনুভব করা যায়। তাই এটি একটি Abstract Noun।

৬০. What kind of noun is 'Infant'?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. Collective
খ. Material
গ. Proper
ঘ. Common
ব্যাখ্যাঃ

The noun 'Infant' is a Common noun.

  • কমন নাউন (সাধারণ বিশেষ্য): যে বিশেষ্য কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান বা ধারণার সাধারণ নাম বোঝায়। 'ইনফ্যান্ট' একটি সাধারণ শব্দ যা যেকোনো নবজাতক বা অতি ছোট শিশুকে বোঝাতে ব্যবহত হয়।
ক. ১২টি
খ. ৮টি
গ. ৬টি
ঘ. ১০টি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা দশটি। এগুলো হলো:

  • স্বরবর্ণ: এ, ঐ, ও, ঔ
  • ব্যঞ্জনবর্ণ: ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ
ক. তুর্কী
খ. ফার্সী
গ. হিন্দি
ঘ. উর্দু
ব্যাখ্যাঃ

'বাবা' শব্দটি কঃ তুর্কী ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে।

বাংলায় আরও কিছু তুর্কী শব্দ প্রচলিত আছে, যেমন - চাকু, তোপ, দারোগা, বেগম, মুচলেকা ইত্যাদি।

৬৩. 'ষড়ঋতু' কোন সমাস?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. বহুব্রীহি
খ. দ্বিগু
গ. দ্বন্দ্ব
ঘ. কর্মধারয়
ব্যাখ্যাঃ

'ষড়ঋতু' শব্দটি দ্বিগু সমাস

এর ব্যাসবাক্য হলো ছয় ঋতুর সমাহার

দ্বিগু সমাসের পূর্বপদে সংখ্যাবাচক বিশেষণ থাকে এবং সমাহার বা সমষ্টি বোঝায়। 'ষড়' (ছয়) একটি সংখ্যাবাচক বিশেষণ এবং 'ঋতু' শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে ছয়টি ঋতুর সমষ্টি বোঝাচ্ছে।

অন্যান্য সমাসগুলো কেন নয়:

  • কঃ বহুব্রীহি সমাস: যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর অর্থ প্রাধান্য না পেয়ে তৃতীয় কোনো অর্থ বোঝায়। উদাহরণ: দশ আনন যার = দশানন (রাবণ)।
  • গঃ দ্বন্দ্ব সমাস: উভয় পদই প্রধান এবং 'ও', 'এবং', 'আর' ইত্যাদি সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে। উদাহরণ: মাতা ও পিতা = মাতা-পিতা।
  • ঘঃ কর্মধারয় সমাস: বিশেষণ ও বিশেষ্য অথবা দুটি বিশেষ্য পদে অভেদ কল্পনা করা হয়। উদাহরণ: নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম।
ক. লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন
খ. ওয়ারেন হেস্টিংস
গ. লর্ড বেন্টিংক
ঘ. লর্ড কর্ণওয়ালিস
ব্যাখ্যাঃ

ভারত উপমহাদেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন ব্রিটিশ সম্রাট ছিলেন ষষ্ঠ জর্জ (George VI)

তবে, ব্রিটিশ সরকারের প্রধান হিসেবে যিনি এই সিদ্ধান্তের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন এবং যার তত্ত্বাবধানে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল, তিনি ছিলেন ক্লেমেন্ট অ্যাটলি (Clement Attlee), যিনি সেই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

অন্যদিকে, ভারতের শেষ ভাইসরয় ছিলেন লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন (Lord Louis Mountbatten), যিনি ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা এবং দেশভাগের প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করেছিলেন।

ক. দেব
খ. রাঢ়
গ. পাল
ঘ. চন্দ্র
ব্যাখ্যাঃ

শালবন বিহার বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এর কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

অবস্থান:

  • কুমিল্লা জেলার কোটবাড়ি এলাকায় লালমাই পাহাড়ের মাঝে এর অবস্থান।
  • এটি কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।

ইতিহাস:

  • মনে করা হয়, খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষভাগ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এটি নির্মাণ করেছিলেন।
  • এটি ছিল একটি বৌদ্ধ মঠ বা বিহার এবং একসময় এটি শিক্ষা ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল।
  • খননকার্যের ফলে এখানে ৭ম থেকে ১২শ শতাব্দীর বিভিন্ন প্রত্নবস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে।

স্থাপত্য:

  • শালবন বিহার পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মতো হলেও আকারে ছোট।
  • এটি একটি চতুর্ভুজাকার স্থাপত্য, যার প্রতিটি বাহু প্রায় ১৬৭.৬ মিটার দীর্ঘ।
  • বিহারের চারদিকে ভিক্ষুদের থাকার জন্য ১১৫টি কক্ষ রয়েছে।
  • উত্তর দিকে একটি বিশাল প্রবেশদ্বার রয়েছে।
  • বিহারের মাঝখানে একটি কেন্দ্রীয় মন্দির ছিল।
  • বিহারের দেওয়াল পোড়ামাটির ফলক ও অলংকৃত ইট দিয়ে সজ্জিত ছিল।

গুরুত্ব:

  • শালবন বিহার প্রাচীন বাংলার বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক মূল্যবান নিদর্শন।
  • এটি তৎকালীন শিক্ষা ব্যবস্থা ও ধর্মীয় জীবন সম্পর্কে ধারণা দেয়।
  • এটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।

বর্তমানে শালবন বিহার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ক. পোর্ট ব্লেয়ার
খ. সিকিম
গ. পুদুচেরি
ঘ. দাদরা
ব্যাখ্যাঃ

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ হলো বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরের সংযোগস্থলে অবস্থিত ভারতের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এই দ্বীপপুঞ্জটি ৫৭২টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে মাত্র ৩৮টিতে জনবসতি রয়েছে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • অবস্থান: ৬° থেকে ১৪° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২° থেকে ৯৪° পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে এই দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত। এটি ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।
  • আয়তন: এর মোট আয়তন প্রায় ৮,২৪৯ বর্গ কিলোমিটার (৩,১৮৫ বর্গ মাইল)।
  • জনসংখ্যা: ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এখানকার জনসংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার।
  • রাজধানী: পোর্ট ব্লেয়ার (বর্তমানে শ্রী বিজয় পুরম নামে পরিচিত) এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।
  • প্রশাসনিক বিভাগ: এই অঞ্চলটি তিনটি জেলায় বিভক্ত: নিকোবর, দক্ষিণ আন্দামান এবং উত্তর ও মধ্য আন্দামান।
  • ভূগোল: এই দ্বীপপুঞ্জের উত্তরে রয়েছে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। এই দুটি অংশকে 'টেন ডিগ্রি চ্যানেল' নামক একটি ১৫০ কিলোমিটার প্রশস্ত জলপথ পৃথক করেছে। এখানকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলো উত্তর আন্দামানের স্যাডল পিক (৭৩৭ মিটার)।
  • জলবায়ু: এখানকার জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র প্রকৃতির, যা সমুদ্রের সান্নিধ্যের কারণে সারা বছরই প্রায় একই রকম থাকে। এখানে বছরে প্রায় ৩,০০০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়।
  • উদ্ভিদ ও প্রাণী জগৎ: এই দ্বীপগুলোতে ঘন τροπικό বনভূমি দেখা যায় এবং এখানে বিভিন্ন प्रकारের স্থানীয় উদ্ভিদ ও প্রাণী বাস করে।
  • অর্থনীতি: এখানকার অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি হলো কৃষি, মৎস্য শিকার এবং পর্যটন।
  • সংস্কৃতি: এখানকার সংস্কৃতিতে স্থানীয় আদিবাসী এবং মূল ভূখণ্ড থেকে আসা বসতি স্থাপনকারীদের একটি মিশ্র প্রভাব দেখা যায়। এখানে বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ বসবাস করে, তবে প্রধান ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলা অন্যতম। এছাড়াও হিন্দি, ইংরেজি, তামিল, তেলেগু এবং নিকোবরী ভাষাও প্রচলিত।
  • ইতিহাস: এই দ্বীপপুঞ্জ ঐতিহাসিকভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শাসকদের অধীনে ছিল। ব্রিটিশরা এখানে একটি Penal Settlement (বন্দী শিবির) স্থাপন করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি জাপানের দখলে ছিল। ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৫৬ সালে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
  • পর্যটন: এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মনোরম সমুদ্র সৈকত, ঐতিহাসিক স্থান এবং বিভিন্ন প্রকার জলজ জীববৈচিত্র্য পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। হ্যাভলক দ্বীপ (বর্তমানে স্বরাজ দ্বীপ), নীল দ্বীপ (বর্তমানে শহীদ দ্বীপ) এবং বারাতাং এখানকার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানে ভারতের একমাত্র সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ব্যারেন দ্বীপও অবস্থিত।

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত।

ক. রমিউলাস অগাস্টাস
খ. জুপিটার
গ. রাজা রোমিউলাস
ঘ. অগাস্টাস সিজার
ব্যাখ্যাঃ

অগাস্টাস সিজার ছিলেন প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ২৭ থেকে ১৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তার আসল নাম ছিল গাইয়াস অক্টাভিয়াস থুরিনাস। পরবর্তীতে, তার প্রপিতামহ জুলিয়াস সিজার তাকে দত্তক নিলে তিনি গাইয়াস জুলিয়াস সিজার অক্টাভিয়ানাস নামে পরিচিত হন। অবশেষে, রোমান সিনেট তাকে অগাস্টাস উপাধি দেয়, যার অর্থ "মহিমান্বিত" বা "সম্মানিত"।

অগাস্টাস সিজারের জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:

  • ক্ষমতায় আগমন: জুলিয়াস সিজারের হত্যাকাণ্ডের পর, অক্টাভিয়ান ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। তিনি মার্ক অ্যান্টনি এবং লেপিডাসের সাথে দ্বিতীয় ত্রয়ী গঠন করেন। পরবর্তীতে অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রার পরাজয়ের পর তিনি এককভাবে রোমের শাসক হন।
  • রোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা: অগাস্টাস রোমান প্রজাতন্ত্রকে একটি কার্যকর সাম্রাজ্যে রূপান্তরিত করেন। যদিও তিনি প্রকাশ্যে নিজেকে সম্রাট ঘোষণা করেননি, তবে তিনি 'প্রিন্সেপ্স' (প্রথম নাগরিক) হিসেবে ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন এবং ধীরে ধীরে সমস্ত ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করেন।
  • প্যাক্স রোমানা (Pax Romana): অগাস্টাসের দীর্ঘ শাসনামল ছিল রোমান ইতিহাসে শান্তির যুগ হিসেবে পরিচিত। এই সময়কালে (প্রায় ২০০ বছর) তেমন কোনো বড় ধরনের গৃহযুদ্ধ বা বিদ্রোহ হয়নি, যা সাম্রাজ্যের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করে।
  • প্রশাসনিক ও আইনি সংস্কার: অগাস্টাস রোমান সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক ও আইনি কাঠামোতে ব্যাপক সংস্কার আনেন। তিনি একটি সুসংগঠিত আমলাতন্ত্র তৈরি করেন, প্রদেশগুলোর শাসন ব্যবস্থাকে উন্নত করেন এবং আইনকানুনকে সুশৃঙ্খল করেন।
  • সামরিক সংস্কার: তিনি একটি স্থায়ী সেনাবাহিনী গঠন করেন এবং প্রিটোরিয়ান গার্ড তৈরি করেন, যা সম্রাটের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করত।
  • অবকাঠামোগত উন্নয়ন: অগাস্টাসের শাসনামলে রোমে ব্যাপক নির্মাণ কাজ হয়। রাস্তাঘাট, সেতু, জলপ্রণালী এবং নতুন ফোরাম তৈরি করা হয়। তিনি গর্ব করে বলেছিলেন, "আমি ইটের রোমকে মার্বেলের রোমে পরিণত করেছি।"
  • শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা: অগাস্টাস শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তার সময়ে ভার্জিল, হোরেস এবং ওভিড-এর মতো বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিকরা খ্যাতি লাভ করেন।
  • ধর্মীয় সংস্কার: তিনি প্রাচীন রোমান দেবতাদের প্রতি সম্মান পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেন এবং রাষ্ট্রীয় ধর্মের পুনরুজ্জীবন ঘটান।
  • মাস 'আগস্ট': তার সম্মানেই জুলাই মাসের পরবর্তী মাসটির নাম 'আগস্ট' রাখা হয়।

অগাস্টাস সিজার ছিলেন একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী শাসক এবং রোমান ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তিনি রোমান প্রজাতন্ত্রের পতন ঘটিয়ে একটি দীর্ঘস্থায়ী সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন, যা পরবর্তী কয়েক শতাব্দী ধরে ইউরোপ এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করেছিল।

ক. শেখ নিয়ামত আলী
খ. খান আতাউর রহমান
গ. জহির রায়হান
ঘ. আব্দুল জব্বার খান
ব্যাখ্যাঃ

'মুখ ও মুখোশ' চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন আব্দুল জব্বার খান

এটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সবাক চলচ্চিত্র হিসেবে ১৯৫৬ সালের ৩ আগস্ট মুক্তি পায়। আব্দুল জব্বার খান কেবল এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেননি, তিনি এর কাহিনীকার এবং অভিনেতাও ছিলেন। চলচ্চিত্রটি তার লেখা 'ডাকাত' নামক একটি নাটক অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল।

'মুখ ও মুখোশ' নির্মাণে আব্দুল জব্বার খানকে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল, কারণ সেই সময় পূর্ব পাকিস্তানে চলচ্চিত্র নির্মাণের তেমন কোনো অবকাঠামো ছিল না। তবুও, তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই ছবিটি নির্মিত হয় এবং বাঙালি চলচ্চিত্র শিল্পের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে

ক. সেক্সপিয়ার ও ভলতেয়ার
খ. রুশো ও ভলতেয়ার
গ. প্লেটো ও এরিস্টটল
ঘ. সেক্সপিয়ার ও ইলিয়ট
ব্যাখ্যাঃ

ফরাসি বিপ্লবের প্রেক্ষাপট তৈরিতে রুশো (Jean-Jacques Rousseau) এবং ভলতেয়ার (Voltaire) ছিলেন দুজন অত্যন্ত প্রভাবশালী দার্শনিক। তাদের চিন্তাধারা ফরাসি সমাজের বিদ্যমান রীতিনীতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

রুশোর অবদান:

  • সামাজিক চুক্তি (Social Contract): রুশোর এই বিখ্যাত গ্রন্থটিতে তিনি জনগণের সার্বভৌমত্বের ধারণা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের ভিত্তি হলো জনগণের মধ্যে একটি সামাজিক চুক্তি, যেখানে জনগণ তাদের কিছু স্বাধীনতা সরকারের হাতে ন্যস্ত করে, কিন্তু চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের কাছেই থাকে। যদি সরকার জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করে, তবে জনগণের সেই সরকারকে পরিবর্তন করার অধিকার আছে। এই ধারণা ফরাসি বিপ্লবীদের রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
  • প্রকৃতির রাজ্যে মানুষ: রুশো বিশ্বাস করতেন মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন এবং সৎ। সমাজের দুর্নীতি ও বৈষম্য মানুষকে অসৎ করে তোলে। এই ধারণা তৎকালীন অভিজাত শ্রেণির সুযোগ-সুবিধা এবং সাধারণ মানুষের দুর্দশার সমালোচনা করার একটি দার্শনিক ভিত্তি তৈরি করে।
  • অসাম্যের উৎস: রুশোর 'Discourse on the Origin of Inequality' গ্রন্থে তিনি ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণাকে অসাম্যের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। এই ধারণা ফরাসি সমাজের শ্রেণী বৈষম্য এবং সম্পদের অসম বণ্টনের বিরুদ্ধে বিপ্লবী চেতনা জাগাতে সাহায্য করে।
  • সাধারণ ইচ্ছা (General Will): রুশোর 'সাধারণ ইচ্ছা'র ধারণা অনুযায়ী, রাষ্ট্রের লক্ষ্য হওয়া উচিত জনগণের সামগ্রিক কল্যাণ। কোনো বিশেষ গোষ্ঠী বা ব্যক্তির স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে জনগণের সম্মিলিত ইচ্ছায়। এই ধারণা বিপ্লবীদের একটি নতুন রাজনৈতিক আদর্শের সন্ধান দিয়েছিল।

ভলতেয়ারের অবদান:

  • বাকস্বাধীনতা ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতা: ভলতেয়ার ছিলেন বাকস্বাধীনতার একজন বলিষ্ঠ প্রবক্তা এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির তীব্র সমালোচক। তিনি ক্যাথলিক চার্চের দুর্নীতি, অযৌক্তিকতা এবং সমাজের উপর তার প্রভাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তার বিখ্যাত উক্তি "আমি তোমার মতের সঙ্গে একমত নাও হতে পারি, কিন্তু তোমার মত প্রকাশের অধিকার রক্ষায় আমি জীবন দিতে পারি" - বাকস্বাধীনতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।
  • স্বৈরাচারী শাসনের সমালোচনা: ভলতেয়ার রাজতন্ত্রের স্বৈরাচারী শাসনের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি আইনের শাসন এবং একটি নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার পক্ষে ছিলেন। তার লেখাগুলি সাধারণ মানুষকে রাজার ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করে তোলে।
  • যুক্তিবাদ ও জ্ঞানের প্রচার: ভলতেয়ার ছিলেন আলোকিত যুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তিনি যুক্তি, বিজ্ঞান এবং জ্ঞানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। তার এই চিন্তাধারা ফরাসি সমাজে প্রগতিশীল ও সমালোচনামূলক মানসিকতা বিকাশে সাহায্য করে।
  • সাহিত্য ও নাটকের মাধ্যমে বার্তা: ভলতেয়ার তার বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম, নাটক ও প্রবন্ধের মাধ্যমে বিপ্লবী বার্তা ছড়িয়ে দেন। তার ব্যঙ্গাত্মক ও তীক্ষ্ণ লেখনী সমাজের অসঙ্গতি ও অন্যায়গুলোকে জনগণের সামনে তুলে ধরে এবং তাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করে।

সংক্ষেপে, রুশো ও ভলতেয়ার তাদের দার্শনিক চিন্তাধারা এবং লেখনীর মাধ্যমে ফরাসি বিপ্লবের আদর্শিক ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। রুশোর জনগণের সার্বভৌমত্ব ও সামাজিক চুক্তির ধারণা এবং ভলতেয়ারের বাকস্বাধীনতা ও স্বৈরাচারী শাসনের সমালোচনার মতো ধারণাগুলো বিপ্লবীদের নতুন পথের দিশা দেখিয়েছিল এবং সাধারণ মানুষকে তাদের অধিকার আদায়ে অনুপ্রাণিত করেছিল। তাদের অবদান ফরাসি বিপ্লবের গতিপথ নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

ক. ৩৩
খ. ২৮
গ. ২২
ঘ. ৪২
ব্যাখ্যাঃ ধরি, দুটি সংখ্যা হলো a এবং b। আমাদের দেওয়া আছে:

১. ল.সা.গু (LCM) = ৮৪
২. গ.সা.গু (GCD) = ১৪
৩. a=23b

ল.সা.গু এবং গ.সা.গু সূত্র: LCM×GCD=a×b এখানে a=23b বসিয়ে পাই: 84×14=(23b)×b 1176=23b2 এখন b2-এর মান নির্ণয় করি: b2=1176×32=1764 b=1764=42 তাহলে, b=42। এখন a=23b: a=23×42=28 ছোট সংখ্যাটি:
ছোট সংখ্যাটি হলো 28


উত্তর: ছোট সংখ্যাটি 28

৭১. ১৬ কোটির ১% কত?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. ২০ হাজার
খ. ১ কোটি ৬০ লক্ষ
গ. ১৬ লক্ষ
ঘ. ১৬ হাজার
ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি, কোনো সংখ্যার ১% বের করার জন্য সংখ্যাটিকে 1100-এর সাথে গুণ করতে হয়।

কোটি=,,,

এখন, ,,,×1100=,,,÷=,,

উত্তর: ১৬ কোটির ১% হলো ,,
ক. ২০ মিটার
খ. ৫ মিটার
গ. ১০ মিটার
ঘ. ১৫ মিটার
ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি যে, চাকার মোট ঘূর্ণনের পরিধি সমান হবে গাড়িটির মোট অতিক্রান্ত দূরত্ব। চাকার পরিধি নির্ণয়ের জন্য সূত্র ব্যবহার করি: চাকার পরিধি=মোট দূরত্বমোট ঘূর্ণন সংখ্যা প্রদত্ত:
- মোট দূরত্ব = 10কি.মি.=10,000মিটার
- মোট ঘূর্ণন সংখ্যা = 2000

তাহলে, চাকার পরিধি: পরিধি=10,0002000=5মিটার উত্তর: চাকার পরিধি 5মিটার
ক. ৪ বছর
খ. ৮ বছর
গ. ৫ বছর
ঘ. ৩ বছর
ব্যাখ্যাঃ আমরা সরল সুদের সূত্র ব্যবহার করব: সুদ=PRT100 যেখানে: P= মূলধন = 10,000 টাকা R= বার্ষিক মুনাফার হার = 12% T= সময় (যা আমরা বের করব) সুদ=4800 এখন সূত্রে মান বসাই: 4800=1000012T100 সরল করি: 4800=1200T T=48001200=4 উত্তর: মুনাফা ৪৮০০ টাকা হতে 4 বছর সময় লাগবে।
ক. ৩
খ. ৫
গ. ৬
ঘ. ২
ব্যাখ্যাঃ একটি পূর্ণ বর্গ সংখ্যা হতে, সংখ্যাটির গুণনীয়কগুলোর ঘাত সমান হতে হবে। আমরা 125-এর মৌলিক গুণনীয়ক বের করি: 125=5×5×5=53 এখন, 53-কে পূর্ণ বর্গ সংখ্যা বানাতে হলে 5-এর ঘাতকে জোড় সংখ্যা করতে হবে। সুতরাং, আরও 5 দিয়ে গুণ করতে হবে যাতে এটি 54=(52)2 হয়ে যায়, যা একটি পূর্ণ বর্গ।

তাহলে, 125-কে 5 দ্বারা গুণ করতে হবে।

উত্তর: 125-কে 5 দ্বারা গুণ করলে এটি একটি পূর্ণ বর্গ সংখ্যা হবে।

৭৫. Which Sentence is correct?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. One of my friend been sick
খ. One of my friends is sick
গ. One of my friend is sick
ঘ. One of my friends are sick
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বাক্যটি হলো One of my friends is sick.

কারণ:

  • 'One of' এর পরে সর্বদা plural noun (বহুবচন বিশেষ্য) বসে। তাই 'friend' না হয়ে 'friends' হবে।
  • গঠনের শুরুতে 'One of my friends' থাকার কারণে, পুরো অংশটি একটি singular subject (একবচন কর্তা) হিসেবে কাজ করে। তাই verb (ক্রিয়া) 'is' (একবচন) বসবে, 'are' (বহুবচন) নয়।

সুতরাং, সঠিক বাক্যটি হলো: One of my friends is sick. (আমার বন্ধুদের মধ্যে একজন অসুস্থ।)