আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

প্রশ্নঃ 'কুসুম্বা' মসজিদ কোথায় অবস্থিত?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. ঢাকার লালবাগে
খ. নওগা জেলায়
গ. পুরনো ঢাকায়
ঘ. বাগেরহাট জেলায়
উত্তরঃ নওগা জেলায়
ব্যাখ্যাঃ

কুসুম্বা মসজিদ বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

অবস্থান:

  • নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার কুসুম্বা গ্রামে আত্রাই নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত।
  • রাজশাহী মহাসড়কের মান্দা ব্রিজ থেকে প্রায় ৪০০ মিটার উত্তরে এর অবস্থান।

ইতিহাস ও নির্মাণকাল:

  • মসজিদের প্রবেশদ্বারে স্থাপিত ফলক অনুযায়ী, এটি হিজরি ৯৬৬ সালে (১৫৫৮-১৫৫৯ খ্রিস্টাব্দ) নির্মিত হয়েছিল।
  • আফগান শাসনামলে শুর বংশের শেষ দিকের শাসক গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহের আমলে সুলায়মান নামে এক ব্যক্তি এটি নির্মাণ করেন বলে জানা যায়। তবে, ভেতরের মিহরাবের শিলালিপিতে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের নামও পাওয়া যায়, যা নির্মাণকাল নিয়ে কিছুটা দ্বিমত সৃষ্টি করে।
  • ধারণা করা হয়, মসজিদটি নির্মাণে প্রায় ৬০ বছর সময় লেগেছিল।

স্থাপত্যশৈলী:

  • মসজিদটি সুলতানি আমলের স্থাপত্যশৈলীর একটি সুন্দর উদাহরণ।
  • এটি উত্তর ভারতীয় সুর স্থাপত্য থেকে ভিন্ন, বরং এটিতে স্থানীয় বাংলা স্থাপত্যের প্রভাব দেখা যায়।
  • মসজিদটি মূলত ইটের তৈরি, তবে এর বাইরের দিক এবং ভেতরের কিছু অংশে ধূসর রঙের পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। দূর থেকে এটিকে কালো দেখায়, তাই স্থানীয়ভাবে এটি "কালো পাহাড়" নামেও পরিচিত।
  • মসজিদের চার কোণে গোলাকার অষ্টভুজাকৃতির স্তম্ভ রয়েছে।
  • এর ছাদে দুইটি সারিতে মোট ছয়টি গোলাকার গম্বুজ বিদ্যমান ছিল, তবে ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে তিনটি গম্বুজ ভেঙে গিয়েছিল। পরবর্তীতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটি সংস্কার করে।
  • মসজিদের ভেতরে দুটি স্তম্ভ এবং পশ্চিমের দেয়ালে তিনটি মিহরাব রয়েছে, যেগুলোর কারুকার্য বেশ আকর্ষণীয়। কেন্দ্রীয় মিহরাবটি আকারে বড় এবং বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হত বলে ধারণা করা হয়।
  • মসজিদের ভেতরে একটি উঁচু বেদীর মতো স্থান রয়েছে, যা বাদশাহ-কা-তখ্‌ত বা রাজার সিংহাসন হিসেবে পরিচিত।