আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

সহকারী শিক্ষক (২য় ধাপ) 31-05-2019

পরীক্ষারঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ

মোট বহুনির্বাচনি প্রশ্নঃ 80

মোট মার্কঃ 80

পরীক্ষার সময়ঃ 01:00:00

প্রকাশের তারিখঃ 31-05-2019

ক. ১০
খ. ১১
গ. ৮
ঘ. ৯
উত্তরঃ ১০
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন বর্ণ ১০টি

এগুলো হলো:

  • স্বরবর্ণ (৪টি): এ, ঐ, ও, ঔ
  • ব্যঞ্জনবর্ণ (৬টি): ঙ, ঞ, ং, ঃ, ঁ, ৎ

২. শুদ্ধ বানান কোনটি?

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. সমিচীন
খ. সমীচীন
গ. সমিচিন
ঘ. সমীচিন
উত্তরঃ সমীচীন
ব্যাখ্যাঃ

"সমীচীন" শব্দটির অর্থ হলো উপযুক্ত, যুক্তিযুক্ত, সঠিক বা সঙ্গত

এর বানানটি হলো স-ম দীর্ঘ ঈ-চ রস ই-ন (স+ম্+ঈ+চ+ই+ন)। এখানে 'ম' এর পরে দীর্ঘ ঈ-কার এবং 'চ' এর পরে রস ই-কার ব্যবহৃত হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলিতে বানানের ভুল রয়েছে, যেমন:

  • সমিচীন (ক ও গ): এখানে 'ম' এর পরে রস ই-কার ব্যবহার করা হয়েছে, যা ভুল।
  • সমীচিন (ঘ): এখানে 'চ' এর পরে দীর্ঘ ঈ-কার ব্যবহার করা হয়েছে, যা ভুল।

অতএব, সঠিক বানানটি হলো সমীচীন

ক. রবি +ইন্দ্র
খ. রবি + ঈন্দ্র
গ. রব + ইন্দ্র
ঘ. রবী +ইন্দ্র
উত্তরঃ রবি +ইন্দ্র
ব্যাখ্যাঃ

এখানে 'রবীন্দ্র' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ 'রবি + ইন্দ্র' এর ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

এটি একটি স্বরসন্ধি। এখানে দুটি স্বরবর্ণের মিলন ঘটেছে।

  • রবি (রবি + ই): 'রবি' শব্দের শেষে 'ই' স্বরবর্ণটি রয়েছে।
  • ইন্দ্র (ই + ন্দ্র): 'ইন্দ্র' শব্দের শুরুতে 'ই' স্বরবর্ণটি রয়েছে।

সন্ধির নিয়ম অনুযায়ী, যখন 'ই' + 'ই' মিলিত হয়, তখন তারা উভয় মিলে 'ঈ' (দীর্ঘ-ঈ) হয়।

সুতরাং, রবি (ই) + ইন্দ্র (ই) = রবীন্দ্র (ঈ)। এই নিয়মে 'রবীন্দ্র' শব্দটি গঠিত হয়েছে।

৪. বিরাম চিহ্নের অপর নাম কী?

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. ছেদ চিহ্ন
খ. স্থির চিহ্ন
গ. বিশ্রাম চিহ্ন
ঘ. বিভাজন চিহ্ন
উত্তরঃ ছেদ চিহ্ন
ব্যাখ্যাঃ

বিরাম চিহ্নের অপর নাম যতিচিহ্ন বা ছেদচিহ্ন

৫. ইতিহাস রচনা করেন যিনি-

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. ইতিহাস লেখক
খ. ঐতিহাসিক
গ. ইতিহাসবেত্তা
ঘ. ঐতিহাসিকতা
উত্তরঃ ঐতিহাসিক
ব্যাখ্যাঃ

যিনি ইতিহাস রচনা করেন, তাকে ঐতিহাসিক বলা হয়।

অন্যান্য সমার্থক শব্দগুলো হলো: ইতিহাসবিদ বা ইতিহাসবেত্তা

৬. কোনটি শুদ্ধ বাক্য?

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. আমার বড় দূরাবস্থা
খ. আমার বড় দুরবস্থা
গ. আমার বড় দূরবস্থা
ঘ. আমার বড় দূরাবস্থা
উত্তরঃ আমার বড় দুরবস্থা
ব্যাখ্যাঃ

শুদ্ধ বাক্যটি হলো:

খঃ আমার বড় দুরবস্থা

ব্যাখ্যা:

'দুরবস্থা' শব্দটির অর্থ হলো খারাপ অবস্থা বা দুর্দশা। এর সঠিক বানান হলো 'দ+র+ব+স+থ+আ' অর্থাৎ 'দুরবস্থা'। 'দূর' মানে দূরে বোঝায় এবং 'দূরাবস্থা' বলে কোনো শব্দ নেই। তাই 'দুরবস্থা' সঠিক।

ক. নিরপেক্ষ
খ. পরোক্ষ
গ. সমক্ষ
ঘ. প্রত্যক্ষ
উত্তরঃ সমক্ষ
ব্যাখ্যাঃ

'অক্ষির সমীপে'র সংক্ষেপ হলো সমক্ষ

৮. 'অলীক' এর বিপরীত শব্দ -

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. সত্য
খ. মিথ্যা
গ. আশা
ঘ. অনীষা
উত্তরঃ সত্য
ব্যাখ্যাঃ

'অলীক' এর বিপরীত শব্দ হলো বাস্তব

  • অলীক অর্থ: অবাস্তব, মিথ্যা, কাল্পনিক।
  • বাস্তব অর্থ: সত্য, প্রকৃত, বিদ্যমান।
ক. ব্যতিহারিক
খ. সাকুল্যবাচক
গ. অস্তিবাচক
ঘ. ব্যক্তিবাচক
উত্তরঃ ব্যক্তিবাচক
ব্যাখ্যাঃ

'আমি' এবং 'আমার' হলো ব্যক্তিবাচক সর্বনাম পদ

এগুলো বক্তা বা উত্তম পুরুষকে নির্দেশ করে।

১০. ভাষার মূল উপকরণ কী?

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. শব্দ
খ. বাক্য
গ. ধ্বনি
ঘ. বর্ণ
উত্তরঃ বাক্য
ব্যাখ্যাঃ

১। ভাষার মূল উপকরণ – বাক্য

২। ভাষার মূল উপাদান – ধ্বনি

৩। ভাষার বৃহত্তম একক – বাক্য

৪। ভাষার ক্ষুদ্রতম একক – ধ্বনি

৫। বাক্যের মৌলিক উপাদান – শব্দ

৬। বাক্যের মূল উপাদান – শব্দ

৭। বাক্যের মূল উপকরণ – শব্দ

৮। বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক – শব্দ

১১. শুদ্ধ বানান কোনটি?

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. আশক্তি
খ. আষক্তি
গ. আসক্তী
ঘ. আসক্তি
উত্তরঃ আসক্তি
ব্যাখ্যাঃ

শুদ্ধ বানানটি হলো: ঘঃ আসক্তি

এখানে 'আসক্তি' বানানটির ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

'আসক্তি' শব্দটির অর্থ হলো কোনো কিছুর প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ, টান, নেশা বা মোহ।

এর সঠিক বানান হলো: আ + স + ক্ + ত + ই

  • এখানে 'স' ব্যবহৃত হয়। 'শ' বা 'ষ' ব্যবহৃত হয় না।
  • শব্দের শেষে রস্ব ই-কার (ি) ব্যবহৃত হয়, দীর্ঘ ঈ-কার (ী) নয়।

তাই, 'আশক্তি', 'আষক্তি', 'আসক্তী'—এই বানানগুলো ভুল। একমাত্র 'আসক্তি' বানানটিই সঠিক।

ক. ষড় + অশ
খ. ষট্ + দশ
গ. ষট + অশ
ঘ. ষট + দশ
উত্তরঃ ষট্ + দশ
ব্যাখ্যাঃ

'ষোড়শ' এর সন্ধি বিচ্ছেদ 'ষট্ + দশ' কেন হয়, তার ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:

এটি একটি ব্যঞ্জন সন্ধির উদাহরণ। এখানে কিছু বিশেষ ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে।

  • ষট্ : এই অংশটি 'ছয়' বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
  • দশ : এই অংশটি 'দশ' বোঝায়।

যখন 'ষট্' এবং 'দশ' একত্রিত হয়, তখন নিম্নলিখিত পরিবর্তনগুলো ঘটে:

  1. ট > ড় পরিবর্তন: 'ষট্' এর শেষের 'ট্' ব্যঞ্জনধ্বনিটি পরিবর্তিত হয়ে 'ড়' ব্যঞ্জনধ্বনিতে পরিণত হয়।
  2. দ > ড় পরিবর্তন: 'দশ' এর শুরুর 'দ' ব্যঞ্জনধ্বনিটিও পরিবর্তিত হয়ে 'ড়' ব্যঞ্জনধ্বনিতে পরিণত হয়।
  3. স্বরধ্বনি পরিবর্তন: 'দশ'-এর 'অ' স্বরধ্বনিটি পরিবর্তিত হয়ে 'ও' স্বরধ্বনিতে পরিণত হয়।

এই নিয়মগুলো একত্রিত হয়ে ষট্ + দশ থেকে ষোড়শ শব্দটি গঠিত হয়। এটি সংস্কৃতে প্রচলিত কিছু ধ্বনি পরিবর্তনের নিয়ম অনুসরণ করে।

ক. অপব্যয়
খ. বাগদত্তা
গ. দেশান্তর
ঘ. বনজ
উত্তরঃ দেশান্তর
ব্যাখ্যাঃ

'নিত্য সমাস' হলো এক প্রকার সমাস, যেখানে সমস্যমান পদগুলো দ্বারা গঠিত সমাসবদ্ধ পদকে ব্যাস বাক্য (ব্যাসবাক্য) দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায় না বা ব্যাসবাক্য করলে পূর্ব পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে না। অর্থাৎ, এর কোনো প্রচলিত ব্যাসবাক্য হয় না। এটি সব সময়ই সমাসবদ্ধ পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

বৈশিষ্ট্য:

  • এই সমাসের পদগুলোকে বিশ্লেষণ করে ব্যাসবাক্য তৈরি করা যায় না।
  • অনেক সময় ভিন্ন অর্থ প্রকাশক একটি মাত্র পদ বা শব্দাংশ সমাসের কাজ করে।

উদাহরণ:

  • অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর (এখানে 'অন্য গ্রাম' ব্যাসবাক্য নয়, বরং অর্থের বিশ্লেষণ)
  • অন্য দেশ = দেশান্তর
  • কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র
  • অন্য কাল = কালান্তর
  • কেহ নয় = অনড় (যে চলে না)

সহজভাবে মনে রাখার জন্য, যেসব সমাসবদ্ধ পদের ব্যাসবাক্য হয় না, সেগুলোকে নিত্য সমাস বলে।

ক. সুকান্ত ভট্রাচার্য
খ. জীবনানন্দ দাশ
গ. কাজী নজরুল ইসলাম
ঘ. সিকান্দার আবু জাফর
উত্তরঃ জীবনানন্দ দাশ
ব্যাখ্যাঃ

"বেলা অবেলা কালবেলা" জীবনানন্দ দাশের সপ্তম কাব্যগ্রন্থ। কবির মৃত্যুর পর তাঁর কনিষ্ঠ ভ্রাতা অশোকানন্দ দাশ ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেন। এর আগে ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর কবি এক ট্রাম দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করেন। জীবদ্দশায় প্রকাশিত সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ হলো ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত "সাতটি তারার তিমির"

ক. গমন
খ. অতিবাহিত
গ. বলা
ঘ. ধারাবাহিকতা
উত্তরঃ অতিবাহিত
ব্যাখ্যাঃ

'দিন যায় কথা থাকে' - এখানে 'যায়' শব্দটি অতিবাহিত হওয়া বা ফুরিয়ে যাওয়া অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

অর্থাৎ, সময় চলে যায় বা পার হয়ে যায়, কিন্তু বলা কথা বা কৃতকর্মের স্মৃতি ও প্রভাব রয়ে যায়।

ক. কুসুম + ত
খ. কুসুম + ইত
গ. কুসুম + ঈত
ঘ. কুসুম + উত
উত্তরঃ কুসুম + ইত
ব্যাখ্যাঃ

ব্যাকরণে প্রকৃতি (Prakriti)প্রত্যয় (Pratyay) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি ধারণা, যা শব্দ গঠনের মূল ভিত্তি।

প্রকৃতি (Prakriti)

প্রকৃতি হলো একটি শব্দের সেই মূল বা অবিভাজ্য অংশ, যা থেকে শব্দটি উৎপন্ন হয়। এটি শব্দের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ অংশ, যাকে আর ভাঙা যায় না। প্রকৃতি দু'প্রকার হতে পারে:

১. ধাতু প্রকৃতি (ক্রিয়া প্রকৃতি): ক্রিয়াপদের মূল অংশকে ধাতু প্রকৃতি বলে। এর সাথে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ক্রিয়াপদ বা বিশেষ্য/বিশেষণ পদ গঠিত হয়।

  • উদাহরণ: √পঠ্‌ (পড়া), √কর্ (করা), √চল্‌ (চলা)।

২. নাম প্রকৃতি (শব্দ প্রকৃতি): বিশেষ্য, বিশেষণ বা অব্যয় পদের মূল অংশকে নাম প্রকৃতি বলে। এর সাথে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়।

  • উদাহরণ: হাত, সমাজ, ফুল, নীল

প্রত্যয় (Pratyay)

প্রত্যয় হলো কিছু বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যা ধাতু বা নাম প্রকৃতির পরে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে অথবা শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটায়। প্রত্যয় নিজে অর্থহীন হলেও প্রকৃতির সাথে যুক্ত হয়ে অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি করে।

প্রত্যয় প্রধানত দু'প্রকার:

১. কৃৎ প্রত্যয় (Krit Pratyay): ধাতুর (ক্রিয়াপদের মূল) শেষে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ (বিশেষ্য বা বিশেষণ) গঠন করে, তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।

  • উদাহরণ:
    • √পঠ্‌ + = পাঠক (ধাতু: √পঠ্‌, প্রত্যয়: ক)
    • √চল্‌ + অন্ত = চলন্ত (ধাতু: √চল্‌, প্রত্যয়: অন্ত)
    • √গম্‌ + অনীয় = গমনীয় (ধাতু: √গম্‌, প্রত্যয়: অনীয়)

২. তদ্ধিত প্রত্যয় (Taddhit Pratyay): নাম প্রকৃতির (বিশেষ্য, বিশেষণ বা অব্যয়) শেষে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ (বিশেষ্য বা বিশেষণ) গঠন করে, তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।

  • উদাহরণ:
    • সমাজ + ইক = সামাজিক (নাম প্রকৃতি: সমাজ, প্রত্যয়: ইক)
    • হাত + = হাতা (নাম প্রকৃতি: হাত, প্রত্যয়: আ)
    • মিশ + ুক = মিশুক (নাম প্রকৃতি: মিশ, প্রত্যয়: উক)

সংক্ষেপে, প্রকৃতি হলো শব্দের মূল ভিত্তি এবং প্রত্যয় হলো সেই ভিত্তির সাথে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরির উপাদান।

১৭. 'কিরণ' এর সমার্থক নয়-

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. রশ্মি
খ. প্রভা
গ. কর
ঘ. রবি
উত্তরঃ রবি
ব্যাখ্যাঃ

'কিরণ' এর সমার্থক নয় এমন শব্দটি হলো: ঘঃ রবি

  • কিরণ শব্দের অর্থ হলো আলোর রেখা বা রশ্মি।
  • রশ্মি, প্রভা, এবং কর—এই তিনটি শব্দই 'কিরণ' এর সমার্থক, অর্থাৎ আলোর রেখা বা দীপ্তি বোঝায়। যেমন, সূর্যরশ্মি, প্রভার আলো, সূর্যকর।
  • কিন্তু রবি শব্দের অর্থ হলো সূর্য। সূর্য আলোর উৎস, কিন্তু নিজে আলো বা রশ্মি নয়।
ক. বিপরীতার্থে
খ. মিলনার্থে
গ. বিরোধার্থে
ঘ. সমার্থে
উত্তরঃ সমার্থে
ব্যাখ্যাঃ

'হাট-বাজার' একটি দ্বন্দ্ব সমাস এবং এটি সমার্থক অর্থে বা সমাহার অর্থে গঠিত হয়েছে।

এখানে 'হাট' এবং 'বাজার' উভয় শব্দেরই অর্থ বাজার বা কেনাবেচার স্থান। যখন দুটি সমার্থক বা প্রায় সমার্থক শব্দ একসাথে যুক্ত হয়ে একটি সাধারণ বা সমষ্টিগত অর্থ প্রকাশ করে, তখন তাকে সমার্থক দ্বন্দ্ব বা সমাহার দ্বন্দ্ব সমাস বলা হয়।

অর্থাৎ, 'হাট-বাজার' বলতে শুধু হাট বা শুধু বাজারকে বোঝানো হয় না, বরং সামগ্রিকভাবে কেনাবেচার স্থান বা বাজারকেই বোঝানো হয়। এর ব্যাসবাক্য হলো: হাট ও বাজার

১৯. 'তাসের ঘর' - অর্থ কী?

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. পূর্ণস্থায়ী
খ. ক্ষণস্থায়ী
গ. তাস খেলার ঘর
ঘ. দীর্ঘস্থায়ী
উত্তরঃ ক্ষণস্থায়ী
ব্যাখ্যাঃ

'তাসের ঘর' বাগধারাটির অর্থ হলো ক্ষণস্থায়ী বস্তু বা সহজে ভেঙে যায় এমন জিনিস

যেমন, "তাদের সম্পর্কটা তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেল।"

ক. খাঁটি বাংলা
খ. বিদেশি
গ. তৎসম
ঘ. তদ্ভব
উত্তরঃ খাঁটি বাংলা
ব্যাখ্যাঃ

'অঘারাম বাস করে অজপাড়া গায়ে' বাক্যটিতে 'অঘা' এবং 'অজ' উভয়ই বাংলা উপসর্গ

  • অঘা: এটি একটি বাংলা উপসর্গ যা খারাপ বা মন্দ অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন: অঘারাম (মন্দ বা নির্বোধ রাম), অঘাচণ্ডী।
  • অজ: এটিও একটি বাংলা উপসর্গ যা অভাব বা না-বাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন: অজপাড়া (যে পাড়ায় সহজে যাওয়া যায় না বা যেখানে কোনো পরিচিতি নেই), অজমূর্খ।

২১. The Countable form of 'laughter' is -

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. all of the above
খ. Laugh
গ. a laugh
ঘ. The laugh
উত্তরঃ Laugh
ব্যাখ্যাঃ

কাউন্টেবল ফর্ম (Countable form) বলতে এমন কিছুকে বোঝায় যা গণনা করা যায়। ব্যাকরণের ভাষায়, এটি এমন বিশেষ্য পদ (noun) যা সংখ্যায় প্রকাশ করা যায়।

সহজভাবে বললে, যেসব জিনিসের একটি, দুটি, তিনটি করে সংখ্যা বলা যায়, সেগুলোই হলো কাউন্টেবল ফর্ম।

উদাহরণ:

  • বই: একটি বই, দুটি বই, তিনটি বই – এভাবে গোনা যায়।
  • মানুষ: একজন মানুষ, দুজন মানুষ, তিনজন মানুষ – গোনা যায়।
  • কলম: একটি কলম, দুটি কলম – গোনা যায়।
  • আপেল: একটি আপেল, দশটি আপেল – গোনা যায়।

এর বিপরীত হলো আনকাউন্টেবল ফর্ম (Uncountable form), যা গোনা যায় না। যেমন: পানি, বাতাস, চাল, তথ্য ইত্যাদি।

২২. "He said that he had done the work " The direct speech is -

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. He said, 'I will do the work'
খ. He said, 'The work will be done by me.'
গ. He said , 'I do the work '
ঘ. He said, ' He did the work '
উত্তরঃ He said, ' He did the work '
ব্যাখ্যাঃ

"He said that he had done the work." এই পরোক্ষ উক্তিটির প্রত্যক্ষ উক্তি হলো:

"He said, 'I have done the work.'"

পরোক্ষ উক্তি থেকে প্রত্যক্ষ উক্তিতে পরিবর্তনের সময় কিছু নিয়ম অনুসরণ করা হয়:

১. Reporting Verb-এর পরিবর্তন: পরোক্ষ উক্তিতে said that থাকলে, প্রত্যক্ষ উক্তিতে তা শুধু said হয়। that উঠে যায়।

২. উদ্ধৃতি চিহ্ন: প্রত্যক্ষ উক্তিতে বক্তার কথাটা সরাসরি উদ্ধৃতি চিহ্নের (inverted commas - ' ') মধ্যে বসাতে হয়।

৩. Pronoun-এর পরিবর্তন: পরোক্ষ উক্তিতে he ছিল, যা বক্তাকে (তৃতীয় পুরুষ) নির্দেশ করছিল। প্রত্যক্ষ উক্তিতে বক্তা নিজেই কথা বলছেন, তাই he পরিবর্তিত হয়ে I (উত্তম পুরুষ) হয়। কারণ, বক্তা নিজের কাজের কথা বলছেন।

৪. Tense-এর পরিবর্তন: পরোক্ষ উক্তিতে had done (Past Perfect Tense) ছিল। প্রত্যক্ষ উক্তিতে এটি তার মূল Tense-এ ফিরে আসে, যা এখানে have done (Present Perfect Tense)। কারণ, প্রত্যক্ষ উক্তিতে যখন কথাটি বলা হয়েছিল, তখন কাজটি সম্পন্ন হয়েছিল এবং তার প্রভাব বর্তমান ছিল।

এই নিয়মগুলো অনুসরণ করেই "He said that he had done the work" থেকে "He said, 'I have done the work.'" - এই প্রত্যক্ষ উক্তিতে রূপান্তর করা হয়।

২৩. phosphates ____ to most farm lands in Bangladesh.

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. need to be adding
খ. need to be added
গ. need added
ঘ. need to add
উত্তরঃ need to be added
ব্যাখ্যাঃ

phosphates need to be added to most farm lands in Bangladesh.

বাংলাদেশের বেশিরভাগ কৃষিজমিতে ফসফেট (Phosphorus) যোগ করার প্রয়োজন হয়।

২৪. As the sun ____ I decided to go out.

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. was shining
খ. have shone
গ. shine
ঘ. shines
উত্তরঃ shines
ব্যাখ্যাঃ

As the sun was shining I decided to go out.

ব্যাখ্যা:

এখানে 'As' দিয়ে দুটি সমান্তরাল কাজ বোঝানো হয়েছে, যা একই সময়ে ঘটছিল। একটি কাজ যখন চলছিল (সূর্য উজ্জ্বল ছিল), তখন অন্য কাজটি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

  • was shining (Past Continuous Tense): এটি বোঝায় যে কাজটি অতীতে একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে চলছিল। 'যখন সূর্য ঝলমল করছিল' - এটি একটি চলমান অবস্থা।
  • I decided (Simple Past Tense): এটি বোঝায় যে কাজটি অতীতে একবার ঘটেছিল। 'আমি বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম' - এটি একটি একক ঘটনা।

এই দুটি টেন্সের সংমিশ্রণ ইংরেজিতে খুব সাধারণ, যেখানে একটি চলমান অতীত ঘটনার পটভূমিতে একটি সংক্ষিপ্ত অতীত ঘটনা ঘটে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো এখানে ব্যাকরণগতভাবে সঠিক নয়:

  • have shone (Present Perfect Tense): এটি বর্তমানের সাথে সম্পর্কিত কাজ বোঝায়।
  • shine (Simple Present Tense): এটি অভ্যাসগত বা চিরন্তন সত্য বোঝায়।
  • shines (Simple Present Tense): এটিও অভ্যাসগত বা চিরন্তন সত্য বোঝায়।

২৫. Change the voice;
who is creating this mess?

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. Who has been created this mess?
খ. By whom has this mess been created?
গ. By whom this mess is being created ?
ঘ. By whom is this mess being created?
উত্তরঃ By whom is this mess being created?
ব্যাখ্যাঃ

মূল বাক্য (Active Voice): Who is creating this mess? ক্রিয়া: is creating (Present Continuous Tense)

প্যাসিভ ভয়েসে পরিবর্তনের নিয়মাবলি:

১. 'Who' এর পরিবর্তন: যখন 'Who' দিয়ে প্রশ্ন করা হয় এবং এটি বাক্যের কর্তা হয়, তখন প্যাসিভ ভয়েসে তা 'By whom' এ পরিবর্তিত হয় এবং বাক্যের শুরুতে বসে।

২. Object কে Subject করা: অ্যাক্টিভ ভয়েসের Object ('this mess') প্যাসিভ ভয়েসের Subject হয়।

৩. Tense অনুযায়ী 'be' verb এর ব্যবহার: বাক্যটি Present Continuous Tense-এ (is creating) থাকায়, প্যাসিভ ভয়েসে 'being' যোগ হয় এবং 'be' verb এর সঠিক রূপ (is) Subject অনুযায়ী বসে।

৪. Main verb এর Past Participle Form: মূল ক্রিয়াপদ 'creating' এর Past Participle Form হলো 'created'

এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে, 'Who is creating this mess?' এর প্যাসিভ ভয়েস হয় 'By whom is this mess being created?'

২৬. The book 'Treasure Island' is by -

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. Stevenson
খ. James Joyce
গ. Arthur Miller
ঘ. Homer
উত্তরঃ Stevenson
ব্যাখ্যাঃ

The book 'Treasure Island' is by Robert Louis Stevenson.

ক. allusion
খ. access
গ. excess
ঘ. time
উত্তরঃ access
ব্যাখ্যাঃ

The professor was given access to materials in the research laboratory.

Access (প্রবেশাধিকার/প্রাপ্তি) শব্দটি এখানে সবচেয়ে উপযুক্ত কারণ এটি বোঝায় যে অধ্যাপককে গবেষণাগারের উপকরণগুলি ব্যবহার করার বা সেগুলিতে পৌঁছানোর অনুমতি বা সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।

২৮. Every driver must be held ____ his own actions.

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. responsible to
খ. blamed for
গ. laiable to
ঘ. responsible for
উত্তরঃ responsible for
ব্যাখ্যাঃ

Every driver must be held responsible for his own actions.

কারণ কোন কাজের জন্য নিজে দায়ী থাকলে Responsible for বসে। আর উর্ধতন ব্যক্তির কাছে দায়ী থাকলে Responsible to বসে

ক. with
খ. to
গ. after
ঘ. for
উত্তরঃ to
ব্যাখ্যাঃ

'Amenable' শব্দের সাথে সঠিক Preposition টি হলো to

'Amenable to' মানে:

  • কোনো কিছুর প্রতি বাধ্য বা সম্মত।
  • কোনো কিছুর প্রতি সাড়া দিতে প্রস্তুত।
  • কোনো কিছুর দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার যোগ্য।

উদাহরণ:

  • He is amenable to reason. (সে যুক্তির প্রতি বাধ্য/যুক্তিসঙ্গত)
  • The system is amenable to change. (সিস্টেমটি পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত/পরিবর্তনযোগ্য)

৩০. What is the antonym of the word 'unwilling'?

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. stupid
খ. intentional
গ. unintentional
ঘ. clever
উত্তরঃ intentional
ব্যাখ্যাঃ

The antonym of the word 'unwilling' is willing.

Other possible antonyms include:

  • intentional
  • eager
  • ready
  • keen
  • amenable
  • agreeable

৩১. The Feminine of 'Ram' is -

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. Ewe
খ. Hind
গ. Mare
ঘ. Sow
উত্তরঃ Ewe
ব্যাখ্যাঃ

The feminine of 'Ram' is কঃ Ewe.

  • Ram: পুরুষ ভেড়া (male sheep)
  • Ewe: স্ত্রী ভেড়া (female sheep)

অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:

  • Hind: হরিণীর স্ত্রীলিঙ্গ (female deer)
  • Mare: ঘোড়ার স্ত্রীলিঙ্গ (female horse)
  • Sow: শূকরীর স্ত্রীলিঙ্গ (female pig)

৩২. Which of the following sentence is correct?

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. He was hunge for murder.
খ. He was hanged for murder.
গ. He was hunged for murder.
ঘ. He had been hung for murder.
উত্তরঃ He was hanged for murder.
ব্যাখ্যাঃ

শুদ্ধ বাক্যটি হলো:

খঃ He was hanged for murder.

ব্যাখ্যা:

'Hang' ক্রিয়াটির দুটি ভিন্ন Past Tense এবং Past Participle রূপ রয়েছে, যা অর্থের উপর নির্ভর করে:

১. কোনো কিছু ঝোলানো বা টাঙানো অর্থে:

  • Present: hang
  • Past: hung
  • Past Participle: hung
  • উদাহরণ: He hung the picture on the wall. (সে ছবিটি দেওয়ালে টাঙালো।)

২. ফাঁসি দেওয়া বা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা অর্থে:

  • Present: hang
  • Past: hanged
  • Past Participle: hanged
  • উদাহরণ: The prisoner was hanged. (বন্দীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।)

যেহেতু বাক্যটিতে 'for murder' উল্লেখ আছে, এর অর্থ হল হত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা। তাই এখানে 'hang' এর 'hanged' রূপটি ব্যবহৃত হবে।

  • কঃ 'hunge' কোনো সঠিক রূপ নয়।
  • গঃ 'hunged' কোনো সঠিক রূপ নয়।
  • ঘঃ 'had been hung' ব্যবহার করলে টেন্সগত অর্থে Past Perfect Passive হলেও 'hung' শব্দটি ফাঁসি অর্থে ভুল। সঠিক হবে 'had been hanged'। কিন্তু প্রশ্নে 'was hanged'ই সবচেয়ে সরাসরি এবং সঠিক ব্যবহার।

৩৩. Which one is plural -

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. Oasis
খ. Terminus
গ. Vertex
ঘ. Bureaux
উত্তরঃ Bureaux
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো: ঘঃ Bureaux

  • Oasis (ওএজিস): এটি একটি একবচন (singular) শব্দ। এর বহুবচন (plural) হলো Oases
  • Terminus (টার্মিনাস): এটি একটি একবচন (singular) শব্দ। এর বহুবচন (plural) হলো Termini বা Terminuses
  • Vertex (ভার্টেক্স): এটি একটি একবচন (singular) শব্দ। এর বহুবচন (plural) হলো Vertices বা Vertexes
  • Bureaux (ব্যুরো): এটি একটি বহুবচন (plural) শব্দ। এর একবচন (singular) হলো Bureau

সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে Bureaux ই একমাত্র বহুবচন শব্দ।

ক. Have you gone to Cox's Bazar?
খ. Have you ever gone Cox's Bazar?
গ. Have you ever been to Cox'x Bazar?
ঘ. Did you ever go to Cox's Bazar?
উত্তরঃ Have you ever been to Cox'x Bazar?
ব্যাখ্যাঃ

Here's the correct English translation of "তুমি কি কখনো কক্সবাজার গিয়েছো?":

গঃ Have you ever been to Cox's Bazar?

এই ধরনের বাক্যে, যেখানে কেউ কোনো স্থানে গিয়ে আবার ফিরে এসেছে বা অভিজ্ঞতা লাভ করেছে কিনা জানতে চাওয়া হয়, সেখানে Present Perfect Tense-এর সাথে "been to" ব্যবহার করা হয়।

  • "Have you ever been to...?" (তুমি কি কখনো ... গিয়েছো/ঘুরে এসেছো?) এই কাঠামোটি বোঝায় যে ব্যক্তিটি সেই স্থানে গিয়েছে কিনা এবং সেই অভিজ্ঞতা তার আছে কিনা।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন ভুল:

  • কঃ Have you gone to Cox's Bazar?: "Gone to" সাধারণত বোঝায় যে ব্যক্তিটি সেই স্থানে গেছে এবং এখনো সেখানে আছে বা এখনো ফিরে আসেনি। যেহেতু প্রশ্নটি তার ফিরে আসার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে, তাই এটি সঠিক নয়।
  • খঃ Have you ever gone Cox's Bazar?: এখানে "gone" এর ব্যবহার ভুল এবং "to" preposition টিও নেই।
  • ঘঃ Did you ever go to Cox's Bazar?: "Did you ever go...?" (Simple Past Tense) এই প্রশ্নটি ব্যাকরণগতভাবে ভুল না হলেও, এটি সাধারণত অতীতে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে বা ঘটনাপ্রবাহে যাওয়ার কথা বোঝায়। তবে, অভিজ্ঞতা জানতে চাওয়ার জন্য "Have you ever been to...?" ই অধিক প্রচলিত ও সঠিক।

৩৫. I have a boat made of wood. The underlined phrase is -

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. an adverbial phrase
খ. perfect participle phrase
গ. Present participle phrase
ঘ. past participle phrase
উত্তরঃ past participle phrase
ব্যাখ্যাঃ

'I have a boat made of wood.' বাক্যটিতে আন্ডারলাইন করা অংশটি হলো:

ঘঃ past participle phrase

  • 'made' হলো 'make' ক্রিয়াপদের Past Participle রূপ।
  • 'made of wood' অংশটি 'boat' (নৌকা) সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য দিচ্ছে, অর্থাৎ নৌকাটি কী দিয়ে তৈরি। এটি একটি বিশেষণের মতো কাজ করছে এবং একটি Past Participle দিয়ে শুরু হয়েছে, তাই এটি একটি Past Participle Phrase

অন্যান্য বিকল্পগুলো সঠিক নয়:

  • Adverbial Phrase: এটি ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য একটি ক্রিয়াবিশেষণকে নির্দেশ করে, যা এখানে প্রযোজ্য নয়।
  • Perfect Participle Phrase: এটি 'having + past participle' কাঠামো অনুসরণ করে (যেমন: Having made)।
  • Present Participle Phrase: এটি 'verb-ing' কাঠামো অনুসরণ করে (যেমন: making)।

৩৬. Mr. Atique ____ rather not invest that money in the stock market.

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. must
খ. has to
গ. could
ঘ. would
উত্তরঃ would
ব্যাখ্যাঃ

"Mr. Atique would rather not invest that money in the stock market" বাক্যটিতে 'would' ব্যবহৃত হয়েছে।

এখানে 'would rather' একটি বিশেষ অভিব্যক্তি, যার অর্থ হলো 'বরং পছন্দ করা' বা 'বরং ভালো মনে করা'। এটি কোনো একটি পছন্দের কথা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে একটি বিকল্পের চেয়ে অন্যটিকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

  • Would rather + ক্রিয়ার মূল রূপ (base form of verb) + (than)

এই কাঠামোটি প্রায়শই বক্তার পছন্দ বা ইচ্ছাকে প্রকাশ করে।

উদাহরণ:

  • I would rather stay home than go out tonight. (আমি আজ রাতে বাইরে যাওয়ার চেয়ে বরং বাড়িতে থাকতে পছন্দ করব।)
  • She would rather drink coffee than tea. (সে চায়ের চেয়ে বরং কফি খেতে পছন্দ করবে।)

৩৭. The plural of 'Fez' is -

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. Fez
খ. Fezees
গ. Feezes
ঘ. Fezes
উত্তরঃ Fezes
ব্যাখ্যাঃ

The plural of 'Fez' is -

সঠিক উত্তর হলো: Fezes

যেসব একবচন শব্দ 'z' দিয়ে শেষ হয়, সেগুলোর বহুবচন রূপ তৈরি করতে সাধারণত শেষে '-es' যোগ করা হয়। 'Fez' শব্দটি 'z' দিয়ে শেষ হয়েছে, তাই এর বহুবচন রূপ 'Fezes' হয়।

৩৮. A person who writes and edits dictionaries is called a -

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. Lithorgrapher
খ. Topographer
গ. Lexicographer
ঘ. Laryngographer
উত্তরঃ Lexicographer
ব্যাখ্যাঃ

A person who writes and edits dictionaries is called a -

সঠিক উত্তর হলো: গঃ Lexicographer

  • Lexicographer (লেক্সিকোগ্রাফার): যিনি অভিধান রচনা ও সম্পাদনা করেন।
  • Lithographer (লিথোগ্রাফার): যিনি লিথোগ্রাফি প্রক্রিয়ায় মুদ্রণ কাজ করেন (পাথরে ছাপার কাজ)।
  • Topographer (টপোগ্রাফার): যিনি কোনো এলাকার ভূসংস্থান (relief, features) পরিমাপ ও ম্যাপ তৈরি করেন।
  • Laryngographer (ল্যারিঙ্গোগ্রাফার): এই শব্দটি প্রচলিত নয়, তবে 'laryngo-' উপসর্গটি স্বরযন্ত্র (larynx) সম্পর্কিত বোঝায়।

৩৯. Which one is the correct spelling?

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. iresistible
খ. iresistable
গ. irresistible
ঘ. irresistable
উত্তরঃ irresistible
ব্যাখ্যাঃ

Irresistible is the correct spelling. (অপ্রতিরোধ্য)

৪০. which one is the correct spelling ?

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. Supercede
খ. Supersede
গ. Superced
ঘ. Supersedes
উত্তরঃ Supersede
ব্যাখ্যাঃ

Correct spelling হচ্ছে Supersede যার অর্থ স্থান অধিকার করা ।

ক. ৫
খ. ৬
গ. ৪
ঘ. ২
উত্তরঃ ২
ব্যাখ্যাঃ জারে দুধ ও পানির অনুপাত ৫ : ১।
ধরি, দুধের পরিমাণ $5x$ লিটার এবং পানির পরিমাণ $1x$ লিটার।

প্রশ্নানুযায়ী, দুধের পরিমাণ পানি অপেক্ষা ৮ লিটার বেশি।
অর্থাৎ, $5x - 1x = 8$
$4x = 8$
$x = \frac{8}{4}$
$x = 2$

অতএব, পানির পরিমাণ হলো $1x = 1 \times 2 = 2$ লিটার।

উত্তর: পানির পরিমাণ ২ লিটার।
ক. ৩০
খ. ২৫
গ. ৪০
ঘ. ৩৫
উত্তরঃ ৩০
ব্যাখ্যাঃ মনে করি, পুত্রের বয়স $x$ বছর।

প্রশ্নানুযায়ী, পিতার বয়স পুত্রের বয়সের দ্বিগুণ অপেক্ষা ২ বছর বেশি।
সুতরাং, পিতার বয়স $= 2x + 2$ বছর।

দেওয়া আছে, পিতার বয়স ৬২ বছর।
তাহলে, $2x + 2 = 62$
$2x = 62 - 2$
$2x = 60$
$x = \frac{60}{2}$
$x = 30$

অতএব, পুত্রের বয়স ৩০ বছর।

উত্তর: পুত্রের বয়স ৩০ বছর।
ক. 12 xy
খ. 24xy
গ. 2xy
ঘ. 6 xy
উত্তরঃ 12 xy
ব্যাখ্যাঃ একটি রাশিকে পূর্ণবর্গ করতে হলে তা $(a+b)^2 = a^2 + 2ab + b^2$ অথবা $(a-b)^2 = a^2 - 2ab + b^2$ আকারে প্রকাশ করতে হবে।

এখানে, প্রদত্ত রাশিটি হলো $4x^2 + 9y^2$।
আমরা এটিকে $a^2 + b^2$ আকারের সাথে তুলনা করতে পারি, যেখানে $a^2 = 4x^2$ এবং $b^2 = 9y^2$।
তাহলে, $a = \sqrt{4x^2} = 2x$
এবং $b = \sqrt{9y^2} = 3y$

পূর্ণবর্গ রাশি হতে হলে এর সাথে $2ab$ যোগ অথবা বিয়োগ করতে হবে।
$2ab = 2 \times (2x) \times (3y) = 12xy$

সুতরাং, $4x^2 + 9y^2$ এর সাথে $12xy$ যোগ করলে যোগফল $(2x + 3y)^2$ একটি পূর্ণবর্গ রাশি হবে।
আবার, $4x^2 + 9y^2$ এর সাথে $-12xy$ যোগ করলে যোগফল $(2x - 3y)^2$ একটি পূর্ণবর্গ রাশি হবে।

সুতরাং, $4x^2 + 9y^2$ এর সাথে $12xy$ অথবা $-12xy$ যোগ করলে যোগফল পূর্ণবর্গ রাশি হবে।
ক. ২,৪,৫
খ. ৪,৫,৬
গ. ২,৪,৭
ঘ. ৩,৪,৬
উত্তরঃ ২,৪,৭
ব্যাখ্যাঃ ত্রিভুজ গঠনের নিয়ম হলো: ত্রিভুজের যেকোনো দুই বাহুর দৈর্ঘ্যের সমষ্টি তৃতীয় বাহুর দৈর্ঘ্য অপেক্ষা বৃহত্তর হবে। যদি এই শর্ত পূরণ না হয়, তাহলে ত্রিভুজ গঠন করা যাবে না।

আমরা প্রতিটি বিকল্প যাচাই করি:

* কঃ ২, ৪, ৫
* ২ + ৪ = ৬ > ৫ (সঠিক)
* ২ + ৫ = ৭ > ৪ (সঠিক)
* ৪ + ৫ = ৯ > ২ (সঠিক)
* এই বাহুগুলো দিয়ে ত্রিভুজ গঠন করা যাবে।

* খঃ ৪, ৫, ৬
* ৪ + ৫ = ৯ > ৬ (সঠিক)
* ৪ + ৬ = ১০ > ৫ (সঠিক)
* ৫ + ৬ = ১১ > ৪ (সঠিক)
* এই বাহুগুলো দিয়ে ত্রিভুজ গঠন করা যাবে।

* গঃ ২, ৪, ৭
* ২ + ৪ = ৬, যা ৭ এর চেয়ে ছোট নয় ($6 \ngtr 7$) (ভুল)
* এখানেই শর্ত ভঙ্গ হয়েছে।
* এই বাহুগুলো দিয়ে ত্রিভুজ গঠন করা যাবে না।

* ঘঃ ৩, ৪, ৬
* ৩ + ৪ = ৭ > ৬ (সঠিক)
* ৩ + ৬ = ৯ > ৪ (সঠিক)
* ৪ + ৬ = ১০ > ৩ (সঠিক)
* এই বাহুগুলো দিয়ে ত্রিভুজ গঠন করা যাবে।

সুতরাং, ২, ৪, ৭ বাহুগুলো দিয়ে ত্রিভুজ গঠন করা যাবে না।
ক. ৩
খ. ৫
গ. ৬
ঘ. ৪
উত্তরঃ ৫
ব্যাখ্যাঃ মনে করি, সমকোণী ত্রিভুজটির লম্বের দৈর্ঘ্য = $x$ মিটার।

প্রশ্নানুযায়ী:
ভূমির দৈর্ঘ্য লম্ব অপেক্ষা ১ মিটার কম।
সুতরাং, ভূমির দৈর্ঘ্য = $(x - 1)$ মিটার।

অতিভূজের দৈর্ঘ্য লম্ব অপেক্ষা ১ মিটার বেশি।
সুতরাং, অতিভূজের দৈর্ঘ্য = $(x + 1)$ মিটার।

আমরা জানি, সমকোণী ত্রিভুজে পিথাগোরাসের উপপাদ্য অনুসারে:
(লম্ব)$^২$ + (ভূমি)$^২$ = (অতিভুজ)$^২$

মান বসিয়ে পাই:
$x^২ + (x - 1)^২ = (x + 1)^২$

বাম পক্ষ:
$x^২ + (x^২ - 2 \cdot x \cdot 1 + 1^২)$
$x^২ + x^২ - 2x + 1$
$2x^২ - 2x + 1$

ডান পক্ষ:
$(x^২ + 2 \cdot x \cdot 1 + 1^২)$
$x^২ + 2x + 1$

এখন সমীকরণটি সমাধান করি:
$2x^২ - 2x + 1 = x^২ + 2x + 1$

$2x^২ - x^২ - 2x - 2x + 1 - 1 = 0$
$x^২ - 4x = 0$

$x(x - 4) = 0$

এখানে দুটি সমাধান সম্ভব:
১. $x = 0$
২. $x - 4 = 0 \Rightarrow x = 4$

দৈর্ঘ্য কখনও শূন্য হতে পারে না, তাই $x = 0$ গ্রহণযোগ্য নয়।
সুতরাং, $x = 4$ মিটার।

লম্বের দৈর্ঘ্য = ৪ মিটার।
ভূমির দৈর্ঘ্য = $x - 1 = 4 - 1 = 3$ মিটার।
অতিভূজের দৈর্ঘ্য = $x + 1 = 4 + 1 = 5$ মিটার।

সুতরাং, ত্রিভুজটির অতিভূজের দৈর্ঘ্য হলো ৫ মিটার।

উত্তর: ত্রিভুজটির অতিভূজের দৈর্ঘ্য ৫ মিটার।
ক. সমবাহু
খ. সূক্ষকোণী
গ. স্থুলকোণী
ঘ. সমকোণী
উত্তরঃ সমকোণী
ব্যাখ্যাঃ একটি ত্রিভুজের তিনটি কোণের অনুপাত ১ : ২ : ৩।

মনে করি, কোণ তিনটি হলো $x$, $2x$ এবং $3x$।

আমরা জানি, ত্রিভুজের তিনটি কোণের সমষ্টি $180^\circ$।
সুতরাং, $x + 2x + 3x = 180^\circ$
$6x = 180^\circ$
$x = \frac{180^\circ}{6}$
$x = 30^\circ$

এখন, কোণগুলির পরিমাপ নির্ণয় করি:
প্রথম কোণ = $x = 30^\circ$
দ্বিতীয় কোণ = $2x = 2 \times 30^\circ = 60^\circ$
তৃতীয় কোণ = $3x = 3 \times 30^\circ = 90^\circ$

যেহেতু ত্রিভুজটির একটি কোণ $90^\circ$, তাই এটি একটি সমকোণী ত্রিভুজ

উত্তর: ত্রিভুজটি হবে সমকোণী ত্রিভুজ
ক. ৯০ ডিগ্রী
খ. ৩৬০ ডিগ্রী
গ. ৩০০ ডিগ্রী
ঘ. ১৮০ ডিগ্রী
উত্তরঃ ৩৬০ ডিগ্রী
ব্যাখ্যাঃ একটি গাড়ির চাকা প্রতি মিনিটে ১২ বার ঘোরে।

১ মিনিট = ৬০ সেকেন্ড।
অর্থাৎ, ৬০ সেকেন্ডে চাকাটি ঘোরে ১২ বার।

তাহলে, ১ সেকেন্ডে চাকাটি ঘোরে $\frac{১২}{৬০}$ বার = $\frac{১}{৫}$ বার।

আমরা জানি, চাকা ১ বার ঘুরলে $360^\circ$ ঘোরে।

সুতরাং, ৫ সেকেন্ডে চাকাটি ঘুরবে:
$= (\frac{১}{৫} \times ৫)$ বার
$= ১$ বার

এখন, ১ বার ঘুরলে $360^\circ$ ঘোরে।

উত্তর: চাকাটি ৫ সেকেন্ডে $360^\circ$ ঘুরবে।
ক. ১৮৫০০
খ. ১৫৫০০
গ. ২০৫০০
ঘ. ১৯৮০০
উত্তরঃ ১৯৮০০
ব্যাখ্যাঃ একটি আয়তাকার বাগানের বর্তমান দৈর্ঘ্য = ১৫০ মিটার
বর্তমান প্রস্থ = ১০০ মিটার

বর্তমান ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য $\times$ প্রস্থ = ১৫০ মিটার $\times$ ১০০ মিটার = ১৫০০০ বর্গমিটার।

দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি:
দৈর্ঘ্য ২০% বৃদ্ধি পেলে, নতুন দৈর্ঘ্য হবে = ১৫০ + (১৫০ এর ২০%)
= ১৫০ + $(\frac{২০}{১০০} \times ১৫০)$
= ১৫০ + $(২ \times ১৫)$
= ১৫০ + ৩০
= ১৮০ মিটার

প্রস্থ বৃদ্ধি:
প্রস্থ ১০% বৃদ্ধি পেলে, নতুন প্রস্থ হবে = ১০০ + (১০০ এর ১০%)
= ১০০ + $(\frac{১০}{১০০} \times ১০০)$
= ১০০ + ১০
= ১১০ মিটার

নতুন বাগানটির ক্ষেত্রফল = নতুন দৈর্ঘ্য $\times$ নতুন প্রস্থ = ১৮০ মিটার $\times$ ১১০ মিটার
= ১৯৬০০ বর্গমিটার

উত্তর: নতুন বাগানটির ক্ষেত্রফল ১৯৬০০ বর্গমিটার হবে।
ক. ১৩০
খ. ১০৭
গ. ১১৩
ঘ. ১৪৬
উত্তরঃ ১০৭
ব্যাখ্যাঃ আমি এখানে ১০ থেকে ৬০ পর্যন্ত যে সকল মৌলিক সংখ্যার একক স্থানীয় অংক ৯, সেগুলোকে চিহ্নিত করব এবং তাদের সমষ্টি নির্ণয় করব:

যে সকল সংখ্যার একক স্থানীয় অংক ৯ হয়:
১৯, ২৯, ৩৯, ৪৯, ৫৯

এখন, এই সংখ্যাগুলোর মধ্যে মৌলিক সংখ্যাগুলো খুঁজে বের করি:
  • ১৯: এটি একটি মৌলিক সংখ্যা (১ এবং ১৯ ছাড়া এর কোনো উৎপাদক নেই)।
  • ২৯: এটি একটি মৌলিক সংখ্যা (১ এবং ২৯ ছাড়া এর কোনো উৎপাদক নেই)।
  • ৩৯: এটি মৌলিক সংখ্যা নয় ($3 \times 13 = 39$)।
  • ৪৯: এটি মৌলিক সংখ্যা নয় ($7 \times 7 = 49$)।
  • ৫৯: এটি একটি মৌলিক সংখ্যা (১ এবং ৫৯ ছাড়া এর কোনো উৎপাদক নেই)।

সুতরাং, ১০ থেকে ৬০ পর্যন্ত যে সকল মৌলিক সংখ্যার একক স্থানীয় অংক ৯, তারা হলো: ১৯, ২৯, ৫৯।

তাদের সমষ্টি:
$১৯ + ২৯ + ৫৯ = ১০৭$

উত্তর: তাদের সমষ্টি ১০৭।
ক. 4.0
খ. 1.0
গ. 2.0
ঘ. 3.0
উত্তরঃ 4.0
ব্যাখ্যাঃ $x - \frac{1}{x} = 1$

আমরা জানি, $a^3 - b^3 = (a - b)^3 + 3ab(a - b)$।

এখানে, $a = x$ এবং $b = \frac{1}{x}$।

তাহলে, $x^3 - \frac{1}{x^3} = (x - \frac{1}{x})^3 + 3 \cdot x \cdot \frac{1}{x} (x - \frac{1}{x})$

দেওয়া আছে $x - \frac{1}{x} = 1$। এই মান বসিয়ে পাই:

$x^3 - \frac{1}{x^3} = (1)^3 + 3 \cdot 1 (1)$
$x^3 - \frac{1}{x^3} = 1 + 3$
$x^3 - \frac{1}{x^3} = 4$

উত্তর: $x^3 - \frac{1}{x^3}$ এর মান
ক. ৫৫
খ. ৬০
গ. ৬৫
ঘ. ৫০
উত্তরঃ ৬০
ব্যাখ্যাঃ মনে করি, বেঞ্চের সংখ্যা $B$ এবং ছাত্র সংখ্যা $S$।

প্রথম শর্তানুযায়ী:
প্রতি বেঞ্চে ৪ জন করে ছাত্র বসালে ৩টি বেঞ্চ খালি থাকে।
অর্থাৎ, ছাত্র বসেছে $(B - 3)$টি বেঞ্চে।
তাহলে, ছাত্র সংখ্যা $S = 4 \times (B - 3)$
$S = 4B - 12$ --- (১)

দ্বিতীয় শর্তানুযায়ী:
প্রতি বেঞ্চে ৩ জন করে ছাত্র বসালে ৬ জন ছাত্রকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
অর্থাৎ, সব বেঞ্চে ৩ জন করে বসার পর ৬ জন অতিরিক্ত থাকে।
তাহলে, ছাত্র সংখ্যা $S = 3B + 6$ --- (২)

এখন, (১) ও (২) নং সমীকরণ থেকে পাই:
$4B - 12 = 3B + 6$

$4B - 3B = 6 + 12$
$B = 18$

বেঞ্চের সংখ্যা ১৮টি।
এখন, বেঞ্চের সংখ্যা (১) নং সমীকরণে বসিয়ে ছাত্র সংখ্যা নির্ণয় করি:
$S = 4B - 12$
$S = 4 \times 18 - 12$
$S = 72 - 12$
$S = 60$

সুতরাং, ঐ শ্রেণির ছাত্র সংখ্যা ৬০ জন।

উত্তর: ঐ শ্রেণির ছাত্র সংখ্যা ৬০ জন।
ক. -30.0
খ. -60.0
গ. -10.0
ঘ. 30.0
উত্তরঃ -60.0
ব্যাখ্যাঃ একটি বহুপদী রাশি $P(x)$ যদি $(x-a)$ দ্বারা বিভাজ্য হয়, তবে $P(a) = 0$ হবে।

এখানে, $P(x) = x^2 + 7x + p$ এবং এটি $(x-5)$ দ্বারা বিভাজ্য।
তাহলে, $a = 5$।

শর্তানুযায়ী, $P(5) = 0$ হবে।
$(5)^2 + 7(5) + p = 0$
$25 + 35 + p = 0$
$60 + p = 0$
$p = -60$

উত্তর: $p$ এর মান $-60$ হবে।
ক. ১৪ বছর
খ. ১৫ বছর
গ. ১৬ বছর
ঘ. ১৩ বছর
উত্তরঃ ১৩ বছর
ব্যাখ্যাঃ ৬ জন পুরুষ, ৮ জন স্ত্রী লোক এবং ১ জন বালকের মোট সংখ্যা = $৬ + ৮ + ১ = ১৫$ জন।
তাদের বয়সের গড় = ৩৫ বছর।
সুতরাং, ১৫ জনের মোট বয়স = $১৫ \times ৩৫ = ৫২৫$ বছর।

পুরুষদের সংখ্যা = ৬ জন।
পুরুষদের বয়সের গড় = ৪০ বছর।
পুরুষদের মোট বয়স = $৬ \times ৪০ = ২৪০$ বছর।

স্ত্রীলোকদের সংখ্যা = ৮ জন।
স্ত্রীলোকদের বয়সের গড় = ৩৪ বছর।
স্ত্রীলোকদের মোট বয়স = $৮ \times ৩৪ = ২৭২$ বছর।

পুরুষ এবং স্ত্রীলোকদের মোট বয়স = $২৪০ + ২৭২ = ৫১২$ বছর।

বালকের বয়স = (১৫ জনের মোট বয়স) - (পুরুষ এবং স্ত্রীলোকদের মোট বয়স)
= $৫২৫ - ৫১২$
= ১৩ বছর।

উত্তর: বালকের বয়স ১৩ বছর।
ক. ৩২০ ডিগ্রী
খ. ৫০ ডিগ্রী
গ. ১২০ ডিগ্রী
ঘ. ১৪০ ডিগ্রী
উত্তরঃ ৫০ ডিগ্রী
ব্যাখ্যাঃ ৪০ ডিগ্রী কোণের পূরক কোণ হলো ৫০ ডিগ্রী

কারণ, দুটি কোণের সমষ্টি $৯০^\circ$ হলে তাদের একটিকে অপরটির পূরক কোণ বলে।
$৯০^\circ - ৪০^\circ = ৫০^\circ$
ক. ২৯৯০
খ. ২১৮৭
গ. ২২৮৭
ঘ. ৩১৪৫
উত্তরঃ ২১৮৭
ব্যাখ্যাঃ ৪ অঙ্কের বৃহত্তম সংখ্যাটি তৈরি করতে, প্রদত্ত অঙ্কগুলো (০, ১, ২, ৩) ব্যবহার করে সবচেয়ে বড় অঙ্ক থেকে ছোট অঙ্ক ক্রমানুসারে সাজাতে হবে:
৩, ২, ১, ০
সুতরাং, বৃহত্তম সংখ্যাটি = ৩২১০

৪ অঙ্কের ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি তৈরি করতে, সবচেয়ে ছোট অঙ্ক থেকে বড় অঙ্ক ক্রমানুসারে সাজাতে হবে। তবে, ০ কে প্রথমে বসালে সেটি ৪ অঙ্কের সংখ্যা হবে না (যেমন: ০১২৩ মানে ১২৩)। তাই, ০ বাদে সবচেয়ে ছোট অঙ্কটি প্রথমে বসাতে হবে, তারপর ০ এবং বাকি অঙ্কগুলো ক্রমানুসারে সাজাতে হবে।
১, ০, ২, ৩
সুতরাং, ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি = ১০২৩

এবার, বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম সংখ্যার বিয়োগফল নির্ণয় করি:
$৩২১০ - ১০২৩ = ২১৮৭$

উত্তর: ০, ১, ২ এবং ৩ দ্বারা গঠিত ৪ অঙ্কের বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম সংখ্যার বিয়োগফল হলো ২১৮৭
ক. ২০
খ. ১২
গ. ৮
ঘ. ৬
উত্তরঃ ৬
ব্যাখ্যাঃ যদি একটি ত্রিভুজের তিনটি বাহুর দৈর্ঘ্য ৪, ৫, ও ৩ হয়, তাহলে এটি একটি সমকোণী ত্রিভুজ। কারণ, এই বাহুগুলো পিথাগোরাসের উপপাদ্য অনুসরণ করে ($3^২ + 4^২ = 9 + 16 = 25 = 5^২$)।

সমকোণী ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র হলো: $\frac{১}{২} \times ভূমি \times উচ্চতা$।
এখানে, ভূমি ও উচ্চতা হলো সমকোণ সংলগ্ন বাহু দুটি, অর্থাৎ ৩ ও ৪।

ক্ষেত্রফল = $\frac{১}{২} \times ৩ \times ৪$
= $\frac{১}{২} \times ১২$
= ৬ বর্গ একক

উত্তর: ত্রিভুজটির ক্ষেত্রফল ৬ বর্গ একক।

৫৭. \(\frac{2x + 3y}{ 3x + 2y} = \frac{5}{ 6}\) হলে x:y কত?

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. 6 : 8
খ. 8 : 3
গ. 5 : 6
ঘ. 3 : 8
উত্তরঃ 8 : 3
ব্যাখ্যাঃ সমীকরণটি হলো:
$\frac{2x + 3y}{ 3x + 2y} = \frac{5}{ 6}$

এখন আমরা আড়াআড়ি গুণ করব:
$6(2x + 3y) = 5(3x + 2y)$
$12x + 18y = 15x + 10y$

$y$ যুক্ত পদগুলো একপাশে এবং $x$ যুক্ত পদগুলো অন্যপাশে নিয়ে আসি:
$18y - 10y = 15x - 12x$
$8y = 3x$

এখন $x:y$ অনুপাত বের করার জন্য, $x$ এবং $y$ কে একপাশে নিয়ে আসি:
$\frac{x}{y} = \frac{8}{3}$

সুতরাং, $x:y = 8:3$

উত্তর: $x:y$ হলো $8:3$

৫৮. \(4 × 5 × 0 × 7 × 1 =\) কত?

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. 480
খ. 0
গ. 210
ঘ. 140
উত্তরঃ 0
ব্যাখ্যাঃ $4 \times 5 \times 0 \times 7 \times 1 = 0$

কারণ, যেকোনো সংখ্যাকে শূন্য (০) দিয়ে গুণ করলে গুণফল শূন্যই হয়।
ক. ৪
খ. ৩
গ. ২
ঘ. ৫
উত্তরঃ ৪
ব্যাখ্যাঃ এখানে দেওয়া আছে:
  • একটি বৃত্তের ক্ষেত্রফল = ১৬ বর্গমিটার
  • বৃত্তের পরিধি = ৮ মিটার

বৃত্তের ক্ষেত্রফলের সূত্র: $A = \pi r^2$
বৃত্তের পরিধির সূত্র: $C = 2 \pi r$

যেখানে $A$ হলো ক্ষেত্রফল, $C$ হলো পরিধি, এবং $r$ হলো ব্যাসার্ধ।

আমরা পরিধির সূত্র ব্যবহার করে ব্যাসার্ধ বের করতে পারি:
$C = 2 \pi r$
$8 = 2 \pi r$
$r = \frac{8}{2\pi}$
$r = \frac{4}{\pi}$ মিটার
ক. ৪২
খ. ৩৬
গ. ৩৭
ঘ. ৩৯
উত্তরঃ ৩৯
ব্যাখ্যাঃ অনুপাতের সমষ্টি = $২ + ৪ + ৫ = ১১$

মোট টাকা = ১৪৩ টাকা।

ক্ষুদ্রতম অংশ = $\frac{২}{১১} \times ১৪৩ = ২ \times ১৩ = ২৬$ টাকা।
বৃহত্তম অংশ = $\frac{৫}{১১} \times ১৪৩ = ৫ \times ১৩ = ৬৫$ টাকা।

বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম অংশের পার্থক্য = $৬৫ - ২৬ = ৩৯$ টাকা।

উত্তর: বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম অংশের পার্থক্য ৩৯ টাকা।
ক. ২২ জুন
খ. ২৩ জুন
গ. ২৪ জুন
ঘ. ২১ জুন
উত্তরঃ ২৩ জুন
ব্যাখ্যাঃ

পলাশীর যুদ্ধ ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন সংঘটিত হয়েছিল। এই যুদ্ধ ছিল একদিকে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং অন্যদিকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর মধ্যে।

কারণ

পলাশীর যুদ্ধের মূল কারণগুলো ছিল বহুবিধ:

  • ক্ষমতা ও সার্বভৌমত্বের দ্বন্দ্ব: নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলার স্বাধীন শাসক, কিন্তু ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নিজেদের বাণিজ্যিক ক্ষমতাকে রাজনৈতিক ক্ষমতায় রূপান্তর করতে চাইছিল। তারা নবাবের অনুমতি ছাড়াই কলকাতায় দুর্গ নির্মাণ এবং নিজেদের বাণিজ্য শুল্ক ফাঁকি দেওয়া শুরু করে।
  • দস্তক-এর অপব্যবহার: ইংরেজ বণিকরা দস্তক (বিনাশুল্কে বাণিজ্য করার অনুমতিপত্র) এর ব্যাপক অপব্যবহার করে দেশীয় ব্যবসায়ীদের বঞ্চিত করছিল, যা নবাবের রাজস্বের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।
  • আশ্রয় প্রদান: নবাবের শত্রু কৃষ্ণদাসকে ইংরেজরা আশ্রয় দিয়েছিল, যা নবাবের ক্রোধের কারণ হয়।
  • নবাবের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ: সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসনে আরোহণের পর ইংরেজরা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী নতুন নবাবকে উপঢৌকন বা সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ পাঠায়নি।
  • অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র: নবাবের খালা ঘষেটি বেগম, সেনাপতি মীর জাফর, উমিচাঁদ, জগৎশেঠ, রায়দুর্লভ প্রমুখ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নবাবের বিরুদ্ধে ইংরেজদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।
ক. ২৮ টি
খ. ১৭ টি
গ. ১৮ টি
ঘ. ২৭ টি
উত্তরঃ ২৭ টি
ব্যাখ্যাঃ

বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (EU) সদস্য সংখ্যা হলো ২৭টি

২০২০ সালের ৩১শে জানুয়ারি যুক্তরাজ্য (United Kingdom) ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) পর সদস্য সংখ্যা ২৮ থেকে ২৭-এ নেমে আসে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য দেশ হলো:

  1. অস্ট্রিয়া
  2. বেলজিয়াম
  3. বুলগেরিয়া
  4. ক্রোয়েশিয়া
  5. সাইপ্রাস
  6. চেক প্রজাতন্ত্র
  7. ডেনমার্ক
  8. এস্তোনিয়া
  9. ফিনল্যান্ড
  10. ফ্রান্স
  11. জার্মানি
  12. গ্রীস
  13. হাঙ্গেরি
  14. আয়ারল্যান্ড
  15. ইতালি
  16. লাটভিয়া
  17. লিথুয়ানিয়া
  18. লুক্সেমবার্গ
  19. মাল্টা
  20. নেদারল্যান্ডস
  21. পোল্যান্ড
  22. পর্তুগাল
  23. রোমানিয়া
  24. স্লোভাকিয়া
  25. স্লোভেনিয়া
  26. স্পেন
  27. সুইডেন
ক. ১৬৭
খ. ১৬৯
গ. ১৬৩
ঘ. ১৬৫
উত্তরঃ ১৬৯
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য জাতীয় পরিষদে ১৬২টি সাধারণ আসন বরাদ্দ ছিল। এর পাশাপাশি, মহিলাদের জন্য ৭টি সংরক্ষিত আসনও ছিল, যা জাতীয় পরিষদের সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হতো।

সুতরাং, মোট আসন ছিল ১৬২ + ৭ = ১৬৯টি

ক. ইন্ধিরা গান্ধীকে
খ. সুভাষ বসুকে
গ. শেখ মুজিবুর রহমান কে
ঘ. মহাত্মা গান্ধীকে
উত্তরঃ শেখ মুজিবুর রহমান কে
ব্যাখ্যাঃ

আমেরিকান ম্যাগাজিন নিউজ উইকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে 'Poet of Politics' বা 'রাজনীতির কবি' নামে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।

এই উপাধিটি তাকে দেওয়া হয়েছিল মূলত তার অসাধারণ বাগ্মীতা, ভাষণের মাধ্যমে জনগণকে উদ্দীপ্ত করার ক্ষমতা এবং রাজনীতির জটিল বিষয়গুলোকে কাব্যিক ভঙ্গিতে তুলে ধরার দক্ষতার জন্য। তার ৭ই মার্চের ভাষণ, যা একটি নিরস্ত্র জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল, তার এই 'রাজনীতির কবি' উপাধিকে সার্থক প্রমাণ করে।

ক. মাননীয় স্পীকার
খ. মাননীয় চিপ হুইপ
গ. মহামান্য রাষ্ট্রপতি
ঘ. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
উত্তরঃ মহামান্য রাষ্ট্রপতি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন রাষ্ট্রপতি

ক. পাবনা
খ. রাজশাহী
গ. খুলনা
ঘ. নাটোর
উত্তরঃ পাবনা
ব্যাখ্যাঃ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পাবনা জেলায় অবস্থিত। এটি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর গ্রামে পদ্মানদীর তীরে অবস্থিত।

ক. ২২ ফেব্রুয়ারি , ১৯৬৯
খ. ৫ ফেব্রুয়ারি , ১৯৬৬
গ. ৩ জানুয়ারি, ১৯৬৮
ঘ. ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯
উত্তরঃ ৫ ফেব্রুয়ারি , ১৯৬৬
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক 'ছয় দফা' ঘোষিত হয় ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি

এটি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে পেশ করা হয়েছিল। এই ছয় দফা বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে পরিচিত এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

ক. যুক্তরাজ্য ও চীন
খ. যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স
গ. চীন ও যুক্তরাষ্ট্র
ঘ. রাশিয়া ও ফ্রান্স
উত্তরঃ চীন ও যুক্তরাষ্ট্র
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের বিরোধিতা করেছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যে দুইটি স্থায়ী রাষ্ট্র, তারা হলো:

  1. যুক্তরাষ্ট্র (USA)
  2. চীন (China)

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেছিল এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। অন্যদিকে, চীনও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। এই দুটি দেশই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আনা প্রস্তাবগুলোর বিরুদ্ধে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের হুমকি দিয়েছিল।

তবে, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমানে রাশিয়া) বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছিল এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী প্রস্তাবগুলোর বিরুদ্ধে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ সুগম করতে সাহায্য করেছিল।

ক. কানাডা
খ. ফিনল্যান্ড
গ. ইংল্যান্ড
ঘ. যুক্তরাষ্ট্র
উত্তরঃ ফিনল্যান্ড
ব্যাখ্যাঃ

পৃথিবীর প্রাথমিক শিক্ষার মান সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো খঃ ফিনল্যান্ড

ফিনল্যান্ড তার উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশের উপর জোর দেওয়ার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত।

ক. মতিউর রহমান
খ. সাইমন ড্রিং
গ. এম আর আখতার মুকুল
ঘ. অ্যালেন গিন্সবার্গ
উত্তরঃ সাইমন ড্রিং
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার খবর প্রথম বহির্বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রচার করেন যে সকল সাংবাদিক, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:

  • সাইমন ড্রিং (Simon Dring): তিনি ছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক, যিনি ২৫শে মার্চ, ১৯৭১ সালের কালো রাতের গণহত্যার সময় ঢাকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে (বর্তমান রূপসী বাংলা) লুকিয়ে ছিলেন। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী সকল বিদেশী সাংবাদিককে দেশ থেকে বের করে দিলেও, সাইমন ড্রিং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লুকিয়ে থেকেছিলেন। ২৭শে মার্চ তিনি ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে 'Tank Kills in East Pakistan' (পরে 'Tanks Crash Revolts in Pakistan' নামে পরিচিত) শিরোনামে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠান। এটিই ছিল গণহত্যার প্রথম বিস্তারিত ও প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেদন যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং বিশ্বকে পূর্ব পাকিস্তানের ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রথম ধারণা দেয়।

  • অ্যান্টনি মাসকারেনহাস (Anthony Mascarenhas): তিনি ছিলেন একজন পাকিস্তানি সাংবাদিক, যিনি সামরিক জান্তার সাথে পূর্ব পাকিস্তান সফর করেন। তিনি যা দেখেছিলেন, তা তাকে এতটাই বিচলিত করে যে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং ১৩ই জুন, ১৯৭১ সালে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সানডে টাইমস-এ 'Genocide' (গণহত্যা) শিরোনামে একটি সাহসী প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এই প্রতিবেদনটি বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং বাংলাদেশের গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এছাড়াও, অনেক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই সময়কার ভয়াবহতা তুলে ধরেছিলেন, যেমন নিজামুদ্দীন আহমদ (যিনি বিবিসি-সহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তথ্য সরবরাহ করতেন) এবং নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিনিধি ম্যাক ব্রাউন। তবে, প্রথম বিস্তারিত প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য সাইমন ড্রিং এবং গণহত্যার ভয়াবহতা তুলে ধরার জন্য অ্যান্টনি মাসকারেনহাস বিশেষভাবে স্মরণীয়।

ক. বাংলাদেশ
খ. ভারত
গ. নেপাল
ঘ. পাকিস্তান
উত্তরঃ নেপাল
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো: গঃ নেপাল

ব্যাখ্যা:

  • বাংলাদেশ: বঙ্গোপসাগরের সাথে এর দীর্ঘ সমুদ্রসীমা রয়েছে।
  • ভারত: এর তিন দিকে সমুদ্র (বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর, ভারত মহাসাগর) রয়েছে।
  • নেপাল: এটি একটি স্থলবেষ্টিত দেশ (landlocked country), যার কোনো সমুদ্রসীমা নেই। এটি ভারত ও চীনের মাঝখানে অবস্থিত।
  • পাকিস্তান: এর দক্ষিণে আরব সাগরের সাথে সমুদ্রসীমা রয়েছে।
ক. এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান
খ. সৈয়দ নজরুল ইসলাম
গ. তাজউদ্দীন আহমদ
ঘ. এম. মনসুর আলী
উত্তরঃ এম. মনসুর আলী
ব্যাখ্যাঃ

মুজিবনগর সরকারের (Provisional Government of Bangladesh) অর্থমন্ত্রী ছিলেন ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী

ক. ইতালী
খ. ফ্রান্স
গ. যুক্তরাষ্ট্র
ঘ. জার্মানী
উত্তরঃ যুক্তরাষ্ট্র
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের একমাত্র স্যাটেলাইট, যার বর্তমান নাম বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১ (পূর্বের নাম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।

এটি ২০১৮ সালের ১১ মে (বাংলাদেশ সময় ১২ মে) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্স এর ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫ রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপিত হয়।

ক. ফরিদুল আলম
খ. মাকসুদুল আলম
গ. শহীদুল আলম
ঘ. মোঃ জলিল
উত্তরঃ মাকসুদুল আলম
ব্যাখ্যাঃ

পাটের জীবনরহস্য (জিনোম সিকোয়েন্স) উন্মোচনকারী দলের নেতা ছিলেন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম

২০১০ সালে তাঁর নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী তোষা পাটের জীবনরহস্য এবং ২০১৩ সালে দেশি পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেন। এটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান গবেষণায় একটি যুগান্তকারী অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয়।

ক. লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল
খ. লর্ড মুরিং
গ. লর্ড স্টিফেন
ঘ. লর্ড কার্জন
উত্তরঃ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল
ব্যাখ্যাঃ

স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হলেন রবার্ট স্টিফেন্সন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অব গিলওয়েল (Robert Stephenson Smyth Lord Baden-Powell of Gilwell), সংক্ষেপে যিনি বি.পি. নামেই পরিচিত।

তিনি ১৯০৭ সালে ইংল্যান্ডের ব্রাউনসি দ্বীপে একটি পরীক্ষামূলক ক্যাম্প আয়োজনের মাধ্যমে স্কাউট আন্দোলনের সূচনা করেন। এরপর ১৯০৮ সালে তার লেখা "Scouting for Boys" বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর এটি দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।

ক. ১৯০৫
খ. ১৯১১
গ. ১৯২০
ঘ. ১৯২১
উত্তরঃ ১৯২১
ব্যাখ্যাঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (Dhaka University) বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং সর্ববৃহৎ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে এক অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। এর প্রতিষ্ঠা ছিল বাঙালি মুসলিম সমাজের শিক্ষা ও সামাজিক অগ্রগতির এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে বেশ কিছু ঐতিহাসিক কারণ এবং দীর্ঘদিনের দাবি কাজ করেছিল:

  1. বাংলার বিভাজন (বঙ্গভঙ্গ) ও মুসলিম সমাজের দাবি: ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ হয় এবং ঢাকা পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী হয়। এ সময় ঢাকার মুসলিম সমাজে শিক্ষার প্রসারের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জোরালো হয়। বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ার পর (১৯১১ সাল) মুসলিম সমাজের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। এই অসন্তোষ প্রশমনের জন্য এবং মুসলিমদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি হিসেবে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ধারণাটি সামনে আসে।

  2. লর্ড হার্ডিঞ্জের প্রতিশ্রুতি: ১৯১১ সালের ৩১শে জানুয়ারি, তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকা সফরে এসে মুসলিম নেতৃবৃন্দের (যেমন নবাব সলিমুল্লাহ, নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শের-ই-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক প্রমুখ) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন।

  3. নাথান কমিটি: এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের জন্য ১৯১২ সালের ২৭শে মে 'নাথান কমিটি' (Nathan Committee) গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান ছিলেন তৎকালীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আর. নাথান। এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন দিক, যেমন - এর উদ্দেশ্য, পাঠ্যক্রম, আর্থিক সংস্থান, প্রশাসনিক কাঠামো ইত্যাদি বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করে। নাথান কমিটির সুপারিশগুলো ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয়।

  4. প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও অর্থ সংকট: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া কিছুটা ধীরগতিতে চলে, কারণ ব্রিটিশ সরকার আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়। তবে, এই সময়েও মুসলিম নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী মহল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নিরন্তর চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।

  5. ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি কমিশন (স্যাডলার কমিশন): ১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশন (Sadler Commission) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তাকে সমর্থন করে এবং ১৯২০ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত তাদের রিপোর্টে দ্রুত এটি প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে।

ক. প্রস্বেদন
খ. অভিস্রবণ
গ. সালোকসংশ্লেষণ
ঘ. শ্বসন
উত্তরঃ সালোকসংশ্লেষণ
ব্যাখ্যাঃ উদ্ভিদ যে প্রক্রিয়ায় নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করে, তাকে সালোকসংশ্লেষণ (Photosynthesis) বলে। এটি পৃথিবীর জীবজগতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া, কারণ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই পৃথিবীর অধিকাংশ শক্তি উৎপাদিত হয় এবং অক্সিজেন উৎপন্ন হয়, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য অপরিহার্য।

সালোকসংশ্লেষণ কী?



'সালোকসংশ্লেষণ' শব্দটি দুটি গ্রিক শব্দ থেকে এসেছে: 'Photos' (আলোক বা আলো) এবং 'Synthesis' (সংশ্লেষণ বা তৈরি করা)। অর্থাৎ, আলোর উপস্থিতিতে কোনো কিছু সংশ্লেষণ করা।

সংজ্ঞা হিসেবে বলা যায়:
যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবুজ উদ্ভিদ (এবং কিছু শৈবাল ও ব্যাকটেরিয়া) সূর্যালোকের উপস্থিতিতে, তাদের সবুজ কোষে থাকা ক্লোরোফিল নামক রঞ্জকের সহায়তায় পরিবেশ থেকে গৃহীত কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং মূল দ্বারা শোষিত পানি ব্যবহার করে শর্করা জাতীয় খাদ্য (গ্লুকোজ) প্রস্তুত করে এবং উপজাত হিসেবে অক্সিজেন নির্গত করে, তাকে সালোকসংশ্লেষণ বলে।

সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান:



১. সূর্যালোক (Solar Energy/Light): এটি সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার শক্তির প্রধান উৎস। ক্লোরোফিল সূর্যের আলোক শক্তি শোষণ করে।
২. কার্বন ডাইঅক্সাইড ($\text{CO}_2$): উদ্ভিদ বায়ুমণ্ডল থেকে পাতার ছোট ছোট ছিদ্র (পত্ররন্ধ্র বা স্টোমাটা) দিয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে।
৩. পানি ($\text{H}_2\text{O}$): উদ্ভিদ মূলের মাধ্যমে মাটি থেকে পানি শোষণ করে। এই পানি জাইলেম নামক টিস্যুর মাধ্যমে পাতায় পৌঁছায়।
৪. ক্লোরোফিল: এটি উদ্ভিদের সবুজ অংশে (বিশেষ করে পাতায়) থাকা এক ধরনের সবুজ রঞ্জক পদার্থ। ক্লোরোফিল সূর্যের আলোক শক্তি শোষণ করে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর করতে সাহায্য করে। ক্লোরোপ্লাস্ট নামক কোষীয় অঙ্গাণুর মধ্যে ক্লোরোফিল থাকে।

সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া (সংক্ষেপে):



সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি মূলত দুটি প্রধান ধাপে সম্পন্ন হয়:

১. আলোক-নির্ভর পর্যায় (Light-dependent Reactions):
* এটি দিনের বেলায় এবং আলোর উপস্থিতিতে ঘটে।
* ক্লোরোফিল সূর্যের আলোক শক্তি শোষণ করে।
* শোষিত আলোর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পানি ($\text{H}_2\text{O}$) ভেঙে যায় (ফটোলাইসিস)।
* পানি ভাঙার ফলে অক্সিজেন ($\text{O}_2$), প্রোটন ($\text{H}^+$), এবং ইলেকট্রন উৎপন্ন হয়।
* এই পর্যায়ে উৎপাদিত শক্তি ATP (অ্যাডেনোসিন ট্রাইফসফেট) এবং NADPH (নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাইনিউক্লিওটাইড ফসফেট) নামক শক্তি-সমৃদ্ধ যৌগসমূহে জমা হয়। অক্সিজেন উপজাত হিসেবে পরিবেশে নির্গত হয়।

২. আলোক-নিরপেক্ষ পর্যায় বা কেলভিন চক্র (Light-independent Reactions / Calvin Cycle):
* এই পর্যায়টির জন্য সরাসরি আলোর প্রয়োজন হয় না, তবে এটি আলোক-নির্ভর পর্যায়ে উৎপন্ন ATP এবং NADPH এর ওপর নির্ভরশীল।
* বায়ুমণ্ডল থেকে গৃহীত কার্বন ডাইঅক্সাইড ($\text{CO}_2$) এই পর্যায়ে প্রবেশ করে।
* ATP এবং NADPH-এর সঞ্চিত শক্তি ব্যবহার করে কার্বন ডাইঅক্সাইডকে বিজারিত করে শর্করা জাতীয় খাদ্য (গ্লুকোজ) তৈরি করা হয়।
* এই খাদ্য উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এবং অতিরিক্ত খাদ্য শ্বেতসার রূপে সঞ্চিত থাকে।

রাসায়নিক সমীকরণ:



সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার সামগ্রিক রাসায়নিক সমীকরণটি হলো:

$6\text{CO}_2 + 12\text{H}_2\text{O} \xrightarrow{\text{সূর্যালোক, ক্লোরোফিল}} \text{C}_6\text{H}_{12}\text{O}_6 + 6\text{O}_2 + 6\text{H}_2\text{O}$

এখানে:
  • $\text{CO}_2$ = কার্বন ডাইঅক্সাইড
  • $\text{H}_2\text{O}$ = পানি
  • $\text{C}_6\text{H}_{12}\text{O}_6$ = গ্লুকোজ (শর্করা, উদ্ভিদের খাদ্য)
  • $\text{O}_2$ = অক্সিজেন
ক. কোনটিই নয়
খ. \(NaCO_3\)
গ. NaCl
ঘ. \(CaCl_2\)
উত্তরঃ NaCl
ব্যাখ্যাঃ

খাওয়ার লবণের রাসায়নিক নাম হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড

এর রাসায়নিক সংকেত হলো NaCl

৭৯. পানির স্ফুটনাকং কত?

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াস
খ. ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট
গ. ৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াস
ঘ. ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস
উত্তরঃ ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস
ব্যাখ্যাঃ

সাধারণভাবে, প্রমাণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপে (সমুদ্রপৃষ্ঠে) পানির স্ফুটনাঙ্ক হলো:

  • ১০০° সেলসিয়াস (100°C)
  • ২১২° ফারেনহাইট (212°F)

তবে, এটি মনে রাখা জরুরি যে পানির স্ফুটনাঙ্ক বায়ুমণ্ডলীয় চাপের উপর নির্ভরশীল। চাপ বাড়লে স্ফুটনাঙ্ক বাড়ে, এবং চাপ কমলে স্ফুটনাঙ্ক কমে। উদাহরণস্বরূপ, পাহাড় বা উঁচু স্থানে বায়ুর চাপ কম হওয়ায় সেখানে পানি ১০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রার আগেই ফুটতে শুরু করে।

৮০. জোয়ার-ভাটার প্রধান কারণ-

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. পৃথিবীর আকর্ষণ
খ. চাঁদের আকর্ষণ
গ. বায়ুপ্রবাহ
ঘ. সূর্যের আকর্ষণ
উত্তরঃ চাঁদের আকর্ষণ
ব্যাখ্যাঃ

জোয়ার-ভাটার প্রধান কারণ হলো চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষীয় আকর্ষণ

এই আকর্ষণ বলের ভিন্নতার কারণেই পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা পর্যায়ক্রমে বাড়ে (জোয়ার) এবং কমে (ভাটা)।


মূল কারণের বিস্তারিত ব্যাখ্যা:

  • চাঁদের প্রভাব: চাঁদ পৃথিবীর নিকটতম জ্যোতিষ্ক হওয়ায় এর মহাকর্ষীয় আকর্ষণ বলের প্রভাব সবচেয়ে বেশি।

    • প্রত্যক্ষ জোয়ার: পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে, সেখানে চাঁদের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি হয়। এই আকর্ষণের কারণে সেই অংশের পানি চাঁদের দিকে স্ফীত হয়ে ওঠে, ফলে সেখানে জোয়ার হয়। একে প্রত্যক্ষ জোয়ার বলা হয়।
    • পরোক্ষ জোয়ার: একই সময়ে পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের বিপরীত দিকে থাকে, সেখানে চাঁদের আকর্ষণ বল তুলনামূলকভাবে কম হয়। এই অংশে পৃথিবীর ওপর চাঁদের টান কেন্দ্রের তুলনায় কম হওয়ায়, পৃথিবীর কেন্দ্র ওই অংশের পানিকে চাঁদ থেকে কিছুটা দূরে ঠেলে দেয়। এর ফলে সেই অংশেও পানি স্ফীত হয়ে ওঠে এবং জোয়ার সৃষ্টি হয়। একে পরোক্ষ জোয়ার বলা হয়।
    • পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে একই স্থানে দিনে সাধারণত দুবার জোয়ার ও দুবার ভাটা হয়।
  • সূর্যের প্রভাব: সূর্য চাঁদের চেয়ে অনেক বড় হলেও পৃথিবী থেকে অনেক দূরে অবস্থিত হওয়ায় এর মহাকর্ষীয় আকর্ষণ বলের প্রভাব চাঁদের তুলনায় কম। তবে, চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ যখন একই দিকে বা একে অপরের বিপরীতে কাজ করে, তখন জোয়ার-ভাটার তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।

  • কেন্দ্রাতিগ শক্তি: পৃথিবী তার অক্ষের ওপর ঘুরতে থাকায় এক ধরনের কেন্দ্রাতিগ শক্তি (centrifugal force) সৃষ্টি হয়। এই শক্তিও জোয়ার-ভাটার সৃষ্টিতে কিছুটা ভূমিকা রাখে, বিশেষ করে পরোক্ষ জোয়ারের ক্ষেত্রে। তবে, এটি চাঁদের মহাকর্ষীয় আকর্ষণের গৌণ ফল।

বিশেষ জোয়ার-ভাটা:

  • ভরা কটাল (Spring Tide): অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। এ সময় চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণে জোয়ারের তীব্রতা অনেক বৃদ্ধি পায়, যাকে ভরা কটাল বা তেজ কটাল বলে।
  • মরা কটাল (Neap Tide): শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী সমকোণে অবস্থান করে। এ সময় চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ একে অপরের বিপরীত দিকে কাজ করায় জোয়ারের তীব্রতা কমে যায় এবং ভাটা প্রবল হয়, যাকে মরা কটাল বলে।

সংক্ষেপে, চাঁদ ও সূর্যের সম্মিলিত মহাকর্ষীয় আকর্ষণই জোয়ার-ভাটার প্রধান কারণ।