আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

সহকারী শিক্ষক (২য় ধাপ) 02-02-2024

পরীক্ষারঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ

মোট বহুনির্বাচনি প্রশ্নঃ 70

মোট মার্কঃ 75

পরীক্ষার সময়ঃ 02:00:00

প্রকাশের তারিখঃ 02.02.2024

১. দেশি শব্দ নয় কোনটি?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. ঝিঙ্গা
খ. ঢিল
গ. মুড়কী
ঘ. মাছি
উত্তরঃ মাছি
ব্যাখ্যাঃ

দেশি শব্দ নয় মাছি

'মাছি' শব্দটি তৎসম শব্দ (সংস্কৃত থেকে অপরিবর্তিত রূপে আগত)।

অন্যদিকে, 'ঝিঙ্গা', 'ঢিল' এবং 'মুড়কী' - এই তিনটি শব্দই দেশি শব্দ, অর্থাৎ যা প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে প্রাকৃত বা অপভ্রংশের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় এসেছে।

ক. মিশ্র
খ. যৌগিক
গ. দ্বিরুক্ত
ঘ. সরল
উত্তরঃ সরল
ব্যাখ্যাঃ

"আমার জ্বর জ্বর লাগছে" এটি সরল বাক্য।

কারণ:

  • সরল বাক্য: যে বাক্যে একটি কর্তা (এখানে 'আমার') এবং একটি সমাপিকা ক্রিয়া ('লাগছে') থাকে এবং যা একটিমাত্র ভাব প্রকাশ করে, তাকে সরল বাক্য বলে। এই বাক্যে একটিমাত্র অনুভূতি প্রকাশ পাচ্ছে - জ্বর জ্বর লাগার অনুভূতি।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন নয়:

  • মিশ্র বাক্য: যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক আশ্রিত খণ্ডবাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়।
  • যৌগিক বাক্য: দুই বা ততোধিক সরল বাক্য কোনো সংযোজক অব্যয় (যেমন - এবং, ও, কিন্তু, অথবা) দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে।
  • দ্বিরুক্ত বাক্য: একই শব্দ পরপর দুইবার ব্যবহৃত হয়ে যখন বিশেষ অর্থ বা ভাব প্রকাশ করে, তখন তাকে দ্বিরুক্ত বাক্য বলে। যদিও 'জ্বর জ্বর' দ্বিরুক্তি শব্দ, কিন্তু পুরো বাক্যটি একটি সরল বাক্য কারণ এখানে একটিমাত্র অনুভূতি প্রকাশ পাচ্ছে।
ক. মধাম
খ. প্রথম
গ. সবগুলো
ঘ. উত্তম
উত্তরঃ প্রথম
ব্যাখ্যাঃ

সারাংশ প্রথম পুরুষে লিখতে হয়।

সারাংশে লেখকের ব্যক্তিগত মতামত বা অভিজ্ঞতা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয়। এটি মূল রচনার ভাব বজায় রেখে তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা হয়।

ক. দায়িত্ববোধ
খ. রাজা হওয়ার ইচ্ছা
গ. স্বৈরতন্ত্র
ঘ. রসবোধ
উত্তরঃ দায়িত্ববোধ
ব্যাখ্যাঃ

"আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে" এই গানে দায়িত্ববোধ ভাব প্রকাশ পেয়েছে।

দায়িত্ববোধ:

  • গানের চরণটিতে "আমাদের এই রাজার রাজত্বে" বলার মাধ্যমে একটি কর্তৃত্বের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যেখানে 'আমরা সবাই' সেই কর্তৃত্বের অংশীদার। এর অর্থ দাঁড়ায়, এই 'রাজত্ব' (যা বৃহত্তর অর্থে দেশ, সমাজ বা যেকোনো গোষ্ঠী হতে পারে) পরিচালনার দায়িত্ব সকলের উপরই বর্তায়। প্রত্যেকেই যেন নিজ নিজ স্থানে রাজা এবং সেই রাজার রাজ্যের প্রতি তাদের কর্তব্য রয়েছে।
ক. ব+ন+ধ+ন
খ. বন্‌+ধন্‌
গ. ব+ন্ধ+ন
ঘ. বান+ধন
উত্তরঃ বন্‌+ধন্‌
ব্যাখ্যাঃ

"বন্ধন" শব্দের সঠিক অক্ষর বিন্যাস হলো: বন্‌ + ধন্‌

এখানে:

  • "ন্‌" এবং "ধ" একত্রে যুক্ত হয়ে "ন্ধ" যুক্তব্যঞ্জন গঠন করেছে।
  • তাই অক্ষরভিত্তিক বিশ্লেষণে এটি হবে বন্‌ + ধন্‌
ক. সুভাষ মুখোপাধ্যায়
খ. সুফিয়া কামাল
গ. কবি আল মাহমুদ
ঘ. সিকানদার আবু জাফর
উত্তরঃ সুফিয়া কামাল
ব্যাখ্যাঃ

'উদাত্ত পৃথিবী' সুফিয়া কামালের একটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়। এই কাব্যগ্রন্থে কবির গভীর জীবনবোধ, প্রকৃতিপ্রেম এবং মানবতাবাদের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়।

সুফিয়া কামাল (১৯১১-১৯৯৯) ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা কবি, লেখিকা, নারীবাদী ও নারী প্রগতি আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো:

  • সাঁঝের মায়া (১৯৩৮) - এটি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং কাজী নজরুল ইসলাম এর মুখবন্ধ লিখেছিলেন।
  • মায়া কাজল (১৯৫১)
  • মন ও জীবন (১৯৫৭)
  • প্রশস্তি ও প্রার্থনা (১৯৫৮)
  • দিওয়ান (১৯৬৬)
  • অভিযাত্রিক (১৯৬৯)
  • মৃত্তিকার ঘ্রাণ (১৯৭০)
  • মোর জাদুদের সমাধি পরে (১৯৭২)

'উদাত্ত পৃথিবী' কাব্যগ্রন্থে সুফিয়া কামালের কবিতার বৈশিষ্ট্য যেমন - সহজ সরল ভাষা, গভীর অনুভূতি এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা - সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। প্রকৃতি ও মানুষের জীবন intertwined ভাবে তার কবিতায় উপস্থাপিত হয়েছে।

৭. কোনটি সঠিক?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. মহাশ্মশান (নাটক)
খ. সোজন বাদিয়ার ঘাট (উপন্যাস)
গ. কাঁদো নদী কাঁদো (কাব্য)
ঘ. বহিপীর (নাটক)
উত্তরঃ বহিপীর (নাটক)
ব্যাখ্যাঃ

'বহিপীর' সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি বিখ্যাত নাটক। এটি ১৯৬০ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এর আগে, ১৯৫৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত পিইএন ক্লাবের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এটি পুরষ্কার লাভ করে।

নাটকটির প্রেক্ষাপট উনিশ শতকের শেষভাগ বা বিশ শতকের শুরু। নাটকের মূল বিষয়বস্তু গ্রামীণ সমাজের পীরপ্রথা, অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার এবং এর ফলে সৃষ্ট জটিলতা।

৮. "হর্ষণ' শব্দের অর্থ কি?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. দেখা
খ. হাসা
গ. চাষ করা
ঘ. আনন্দ
উত্তরঃ আনন্দ
ব্যাখ্যাঃ

"হর্ষণ" শব্দের অর্থ আনন্দ

"হর্ষণ" একটি তৎসম শব্দ, যার অর্থ আনন্দ, উল্লাস, খুশি, পুলক ইত্যাদি।

ক. দেনা-পাওনা
খ. পোস্টমাস্টার
গ. হৈমন্তী
ঘ. সমাপ্তি
উত্তরঃ সমাপ্তি
ব্যাখ্যাঃ

"মৃন্ময়ী" রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমাপ্তি ছোট গল্পের নায়িকা।

'সমাপ্তি' গল্পে মৃন্ময়ী ছিল গ্রামের একটি দুরন্ত মেয়ে, যার ডাকনাম ছিল মিনু। গল্পটি তার বাল্যকাল থেকে বিবাহের পরের জীবনের পরিবর্তন নিয়ে লেখা।

১০. কোন কবির মাতাও একজন কবি?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. শামসুর রাহমান
খ. জীবনানন্দ দাশ
গ. আহসান হাবীব
ঘ. বিষ্ণু দে
উত্তরঃ জীবনানন্দ দাশ
ব্যাখ্যাঃ

জীবনানন্দ দাশের মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন স্বনামধন্য কবি। তাঁর লেখা বিখ্যাত কবিতা "আদর্শ ছেলে" আজও বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত। কবিতাটি হলো:

"আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে? কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে। মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন, 'মানুষ' হইতে হবে - এই তার পণ।"

অন্যান্য কবিদের মায়েদের সাহিত্যচর্চার তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না।

ক. মহাজন
খ. চাতক
গ. খনা
ঘ. ঘাতক
উত্তরঃ মহাজন
ব্যাখ্যাঃ

"খাতক" শব্দের বিপরীত শব্দ মহাজন

  • খাতক মানে যে ঋণ গ্রহণ করে বা দেনাদার।
  • মহাজন মানে যে ঋণ দান করে বা পাওনাদার।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • চাতক: এক প্রকার পাখি যা বৃষ্টির জলের জন্য অপেক্ষা করে বলে কথিত আছে।
  • খনা: মধ্যযুগের একজন কিংবদন্তী নারী জ্যোতিষী ও কৃষিবিদ।
  • ঘাতক: হত্যাকারী।
ক. ব্যাতিহার কর্তা
খ. মুখ্য কর্তা
গ. প্রযোজক কর্তা
ঘ. প্রযোজ্য কর্তা
উত্তরঃ মুখ্য কর্তা
ব্যাখ্যাঃ

"মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে" - এই বাক্যে "বৃষ্টি" শব্দটি মুখ্য কর্তা

কর্তা (Subject): বাক্যে যে ক্রিয়া (verb) সম্পাদন করে, সেই হলো কর্তা।

মুখ্য কর্তা (Principal Subject): যে কর্তা সরাসরি ক্রিয়াটি সম্পন্ন করে, তাকে মুখ্য কর্তা বলে। এই বাক্যে "পড়া" ক্রিয়াটি "বৃষ্টি" সরাসরি সম্পন্ন করছে।

অন্যান্য কর্তার প্রকারভেদ এখানে প্রযোজ্য নয়:

  • ব্যাতিহার কর্তা (Reciprocal Subject): যখন দুটি কর্তা একত্রে একই প্রকার ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তখন তাদের ব্যাতিহার কর্তা বলে। যেমন: "রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়।"
  • প্রযোজক কর্তা (Agent Subject): যখন কোনো কর্তা নিজে কাজটি না করে অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেয়, তখন প্রথম কর্তাটি প্রযোজক কর্তা। যেমন: "মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছে।"
  • প্রযোজ্য কর্তা (Patient Subject): প্রযোজক কর্তার দ্বারা যাকে দিয়ে কাজটি করানো হয়, সে হলো প্রযোজ্য কর্তা। যেমন: "মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছে।" এই বাক্যে "শিশু" প্রযোজ্য কর্তা।

"মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে" বাক্যে বৃষ্টি নিজেই পড়ার কাজটি করছে, তাই এটি মুখ্য কর্তা।

ক. তৎসম উপসর্গ
খ. বিদেশি উপসগ
গ. তদ্ভব উপসর্গ
ঘ. বাংলা উপসর্গ
উত্তরঃ বিদেশি উপসগ
ব্যাখ্যাঃ

"নিমরাজি" শব্দে "নিম" একটি বিদেশি উপসর্গ

"নিম" উপসর্গটি ফার্সি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে। এর অর্থ হলো 'অর্ধেক' বা 'কিছুটা'।

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশি উপসর্গগুলোর মধ্যে আরবি, ফার্সি ও ইংরেজি উল্লেখযোগ্য। "নিম" ফার্সি উপসর্গ হওয়ায় এটি বিদেশি উপসর্গের অন্তর্ভুক্ত।

১৪. উপসর্গের কাজ কি?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. শব্দের লক্ষণ দেখানো
খ. কোনটিই নয়
গ. নতুন শব্দ গঠন করা
ঘ. শব্দের বিরতি প্রদর্শন
উত্তরঃ নতুন শব্দ গঠন করা
ব্যাখ্যাঃ

উপসর্গের প্রধান কাজ হলো শব্দের অর্থ পরিবর্তন করা অথবা নতুন অর্থ তৈরি করা। এর বাইরেও উপসর্গ আরও কিছু কাজ করে থাকে:

১. অর্থের পরিবর্তন:

  • ইতিবাচক থেকে নেতিবাচক:
    • জয় > পরাজয় (বিপরীত অর্থ)
    • সুন্দর > কুসুন্দর (নিন্দার্থে)
    • রাজি > রাজি (অস্বীকৃতি)
  • অর্থের তীব্রতা বৃদ্ধি:
    • তাপ > প্রতাপ (অধিক তাপ)
    • বল > প্রবল (অধিক শক্তি)
    • গতি > অতিগতি (অত্যধিক গতি)
  • অর্থের সংকোচন:
    • আহার > উপবাস (অল্প আহার)
    • কুল > উপকূল (কূলের কাছে)
  • অর্থের সম্প্রসারণ:
    • পথ > পরিপথ (চারদিকের পথ)
    • ভ্রমণ > পরিভ্রমণ (চারদিকে ঘোরা)
  • নতুন অর্থ সৃষ্টি:
    • হার > হার (খাবার)
    • হার > উপহার (ভেঁট)
    • হার > বিহার (ভ্রমণ)
    • হার > সংহার (ধ্বংস)

২. শব্দের শ্রেণি পরিবর্তন না করা:

উপসর্গ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করলেও সাধারণত মূল শব্দের শ্রেণি অপরিবর্তিত থাকে। যেমন:

  • বিশেষণ: কাল > কাল
  • বিশেষ্য: দেশ > বিদেশ
  • ক্রিয়া: করা > উৎকর্ষ

তবে কিছু ক্ষেত্রে সামান্য অর্থের ভিন্নতা দেখা যেতে পারে, কিন্তু মৌলিক শ্রেণি সাধারণত একই থাকে।

ক. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ. ফোর্ট উইলিয়াম
গ. রজনীকান্ত
ঘ. চার্লস উইলকিন্স
উত্তরঃ চার্লস উইলকিন্স
ব্যাখ্যাঃ

চার্লস উইলকিন্স (Charles Wilkins) বাংলা মুদ্রাক্ষরের ইতিহাসে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাকে বাংলা মুদ্রণের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়। তার অবদান বাংলা ভাষার মুদ্রণ এবং বই প্রকাশের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল।

এখানে তার প্রধান অবদানগুলো তুলে ধরা হলো:

  • প্রথম বাংলা টাইপফেস তৈরি: চার্লস উইলকিন্স ১৭৭৮ সালে প্রথম সফল বাংলা টাইপফেস (অক্ষরলিপি) তৈরি করেন। এর আগে, বাংলা বই রোমান হরফে ছাপা হতো, যা বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য দুর্বোধ্য ছিল। উইলকিন্সের তৈরি করা এই টাইপফেস বাংলা মুদ্রণের পথ প্রশস্ত করে। এই কাজের জন্য তিনি পঞ্চানন কর্মকার নামে একজন দক্ষ কর্মকারের সাহায্য নিয়েছিলেন।

  • প্রথম বাংলা ব্যাকরণ মুদ্রণ: উইলকিন্সের তৈরি করা টাইপফেস ব্যবহার করে ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড (Nathaniel Brassey Halhed) রচিত "A Grammar of the Bengal Language" বইটি ১৭৭৮ সালে হুগলি থেকে মুদ্রিত হয়। এটিই ছিল বাংলা হরফে মুদ্রিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। এই বইটি প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা ভাষার পঠন-পাঠন এবং জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা হয়।

  • মুদ্রণ প্রযুক্তির প্রবর্তন: উইলকিন্স কেবল টাইপফেস তৈরিই করেননি, বরং বাংলা অক্ষর খোদাই করা, ছাঁচ তৈরি এবং মুদ্রণ প্রক্রিয়ার পুরো কাজটি নিজের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করেছিলেন। তিনি ইংল্যান্ডে মুদ্রণ শিল্পের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বাংলা মুদ্রণের প্রযুক্তিকে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করেন।

  • অন্যান্য ভাষার মুদ্রণে অবদান: উইলকিন্স শুধু বাংলাই নয়, ফার্সি ভাষার মুদ্রণের জন্যও টাইপফেস তৈরি করেছিলেন।

চার্লস উইলকিন্সের এই অগ্রণী কাজের মাধ্যমেই বাংলা ভাষায় জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাহিত্য চর্চার সুযোগ প্রসারিত হয় এবং বাংলা প্রকাশনা শিল্পের ভিত্তি স্থাপিত হয়। তাই বাংলা মুদ্রাক্ষরের ইতিহাসে তার নাম চিরস্মরণীয়।

ক. কোলন
খ. হাইফেন
গ. কমা
ঘ. সেমিকোলন
উত্তরঃ সেমিকোলন
ব্যাখ্যাঃ

দুটি বাক্যের মধ্যে অর্থের সমন্ধ থাকলে সেমিকোলন ( ; ) বসে।

সেমিকোলন এমন দুটি বাক্যকে যুক্ত করে যাদের মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ অর্থগত সম্পর্ক বিদ্যমান, কিন্তু তারা কোনো সংযোজক অব্যয় (যেমন - এবং, ও, কিন্তু) দ্বারা যুক্ত নয়।

অন্যান্য বিরাম চিহ্নগুলোর ব্যবহার:

  • কঃ কোলন ( : ): একটি বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যকে তার দৃষ্টান্ত, ব্যাখ্যা বা সম্প্রসারণ হিসেবে ব্যবহার করতে কোলন ব্যবহৃত হয়।
  • খঃ হাইফেন ( - ): দুটি শব্দকে একটি শব্দ হিসেবে যুক্ত করতে বা শব্দের অংশ আলাদা করতে হাইফেন ব্যবহৃত হয়।
  • গঃ কমা ( , ): বাক্যে অল্প বিরতি বোঝাতে, একাধিক পদ বা বাক্যকে আলাদা করতে কমা ব্যবহৃত হয়।
ক. মুমুক্ষু
খ. মূমূক্ষ
গ. মুমূক্ষ
ঘ. মুমুক্ষা
উত্তরঃ মুমুক্ষু
ব্যাখ্যাঃ

"মুক্তি পেতে ইচ্ছুক" এক কথায় বলে মুমুক্ষু

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • খঃ মূমূক্ষ: মুমূর্ষু - যাঁর মরণাপন্ন অবস্থা।
  • গঃ মুমূক্ষ: এটিও ভুল বানান। সঠিক বানান মুমুক্ষু।
  • ঘঃ মুমুক্ষা: মুক্তির ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা।

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো মুমুক্ষু - যিনি মুক্তি পেতে ইচ্ছুক।

ক. সাবিত্রী
খ. সুরবালা
গ. গফুর
ঘ. ষোড়শী
উত্তরঃ সুরবালা
ব্যাখ্যাঃ

সুরবালা শরৎ সাহিত্যের চরিত্র নয়।

ব্যাখ্যা:

  • সাবিত্রী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস 'চরিত্রহীন' এর অন্যতম প্রধান চরিত্র।
  • সুরবালা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত ছোটগল্প 'সমাপ্তি' এর প্রধান চরিত্র।
  • গফুর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত ছোটগল্প 'মহেশ' এর প্রধান চরিত্র।
  • ষোড়শী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস 'দেনা-পাওনা' (যা 'ষোড়শী' নামেই পরিচিত) এর কেন্দ্রীয় চরিত্র।
ক. প্রহসন
খ. মহাকাব্য
গ. উপন্যাস
ঘ. কাব্য
উত্তরঃ প্রহসন
ব্যাখ্যাঃ

"একেই কি বলে সভ্যতা" ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি বিখ্যাত প্রহসন। এটি ১৮৬০ সালে রচিত এবং প্রকাশিত হয়।

এই প্রহসনটিতে তৎকালীন কলকাতার তথাকথিত আধুনিক ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণকারী সমাজের মুখোশ উন্মোচন করা হয়েছে। মধুসূদন দত্ত অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সেই সময়ের বাবু সমাজের ভণ্ডামি, নীতিহীনতা এবং অন্তঃসারশূন্যতাকে ব্যঙ্গাত্মকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

ক. প্রসঙ্গ
খ. ব্যাপার
গ. নিমিত্ত
ঘ. প্রার্থনা
উত্তরঃ নিমিত্ত
ব্যাখ্যাঃ

"কি হেতু এসেছ তুমি, কহু বিস্তারিয়া' - এই বাক্যে "হেতু" অনুসর্গটি নিমিত্ত অর্থ প্রকাশ করেছে।

"হেতু" শব্দের অর্থ হলো কারণ, জন্য, নিমিত্ত, দরুন ইত্যাদি। এই বাক্যে "কি হেতু এসেছ তুমি" এর অর্থ হলো "তুমি কি কারণে এসেছ?" বা "তুমি কেন এসেছ?"। সুতরাং, এখানে "হেতু" আগমন বা আসার কারণ বা নিমিত্ত বোঝাচ্ছে।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • কঃ প্রসঙ্গ: আলোচনা বা কথার বিষয়।
  • খঃ ব্যাপার: ঘটনা বা বিষয়।
  • ঘঃ প্রার্থনা: অনুরোধ বা মিনতি।
ক. ৫০০
খ. ৫০,০০০
গ. কোনটিই নয়
ঘ. ৫০
উত্তরঃ কোনটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি, ১ গ্রাম = ১০০০ মিলিগ্রাম।

তাহলে, ৫ গ্রাম = \(5 \times 1000 = 5000 \, \text{মিলিগ্রাম}\)।

উত্তর: পেনসিলটির ওজন \(5000 \, \text{মিলিগ্রাম}\)।
ক. ১৬
খ. \(4\sqrt{2}\)
গ. \(2\sqrt{4}\)
ঘ. 32
উত্তরঃ \(4\sqrt{2}\)
ব্যাখ্যাঃ বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ্য বের করার জন্য পাইথাগোরাসের উপপাদ্য ব্যবহার করতে হবে।
বর্গক্ষেত্রের কর্ণ হলো: \[ \text{কর্ণ} = \sqrt{\text{বাহু}^2 + \text{বাহু}^2} \] প্রদত্ত, বর্গক্ষেত্রের এক বাহু \(4 \, \text{মিটার}\)। তাহলে কর্ণ: \[ \text{কর্ণ} = \sqrt{4^2 + 4^2} = \sqrt{16 + 16} = \sqrt{32} \] \(\sqrt{32}\) কে সরল করলে পাই: \[ \sqrt{32} = \sqrt{16 \times 2} = 4\sqrt{2} \] উত্তর: বর্গক্ষেত্রের কর্ণ \(4\sqrt{2} \, \text{মিটার}\)
ক. ৪২
খ. ১৪১
গ. ৮৭
ঘ. ১০৪
উত্তরঃ ১৪১
ব্যাখ্যাঃ আমরা লঘিষ্ঠ সংখ্যাটি নির্ণয়ের জন্য \(২৪\), \(৩৬\), এবং \(৪৮\)-এর ল.সা.গু (LCM) বের করব।

ধাপ ১: সংখ্যাগুলোর ল.সা.গু বের করা
২৪, ৩৬, এবং ৪৮-এর মৌলিক গুণনীয়ক নির্ণয় করি:
- \(২৪ = 2^3 \times 3\)
- \(৩৬ = 2^2 \times 3^2\)
- \(৪৮ = 2^4 \times 3\)

ল.সা.গু হলো প্রতিটি মৌলিক গুণনীয়কের সর্বাধিক ঘাতের গুণফল: \[ LCM = 2^4 \times 3^2 = 16 \times 9 = 144 \] ধাপ ২: \(৩\) যোগ করলে সংখ্যাটি \(২৪\), \(৩৬\), এবং \(৪৮\) দ্বারা বিভাজ্য হতে হবে
ধরি, লঘিষ্ঠ সংখ্যাটি হলো \(x\)। প্রশ্ন অনুসারে: \[ x + 3 = 144 \] তাহলে: \[ x = 144 - 3 = 141 \] উত্তর: লঘিষ্ঠ সংখ্যাটি হলো \(141\)।
ক. ১২
খ. ১১
গ. ৯
ঘ. ১৫
উত্তরঃ ১৫
ব্যাখ্যাঃ ধরি, তিনটি পরপর সংখ্যা হলো \(x-1\), \(x\), এবং \(x+1\)।

প্রশ্ন অনুসারে: \[ (x-1) \cdot x \cdot (x+1) = 120 \] এখন গুণফল সরল করি: \[ x(x^2 - 1) = 120 \] \[ x^3 - x = 120 \] এখন \(x\)-এর মান অনুমান করে বের করি। \(x = 5\) বসিয়ে দেখি: \[ 5^3 - 5 = 125 - 5 = 120 \] তাহলে \(x = 5\)।

তিনটি সংখ্যা হলো: \[ x-1 = 4, \, x = 5, \, x+1 = 6 \] এখন তাদের যোগফল: \[ 4 + 5 + 6 = 15 \] উত্তর: তিনটি সংখ্যার যোগফল হলো \(15\)।
ক. ১৮.৭৫%
খ. ২০%
গ. ১৫%
ঘ. ১৬.৬৭%
উত্তরঃ ১৬.৬৭%
ব্যাখ্যাঃ ধাপ ১: ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়
ক্রয়মূল্য = ১২০ টাকা
বিক্রয়মূল্য = ১০০ টাকা
ক্ষতি = ক্রয়মূল্য - বিক্রয়মূল্য \[ ক্ষতি = ১২০ - ১০০ = ২০ \text{ টাকা} \] ধাপ ২: ক্ষতির শতকরা হার নির্ণয়
ক্ষতির শতকরা হার = (ক্ষতি / ক্রয়মূল্য) × ১০০ \[ ক্ষতির শতকরা হার = \left(\frac{২০}{১২০}\right) \times ১০০ = \frac{২০ \times ১০০}{১২০} = \frac{২০০০}{১২০} \approx ১৬.৬৭\% \] উত্তর: ক্ষতির পরিমাণ শতকরায় হলো: \[ \boxed{১৬.৬৭\%} \]
ক. ত্রি-মাত্রিক
খ. কোনটিই নয়
গ. এক মাত্রিক
ঘ. দ্বি-মাত্রিক
উত্তরঃ দ্বি-মাত্রিক
ব্যাখ্যাঃ

একটি ক্ষেত্রের উচ্চতা শূন্য হলে এটি ত্রি-মাত্রিক (Three-Dimensional) হতে পারে না, কারণ উচ্চতার অভাবে এটি কোনো আয়তন ধারণ করে না। এটি দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ দ্বারা গঠিত একটি সমতল আকার, যা দ্বি-মাত্রিক (Two-Dimensional)।

উত্তর: ঘঃ দ্বি-মাত্রিক

ক. ২০০ টাকা
খ. ১৬০ টাকা
গ. ১৪০ ঢাকা
ঘ. ১০০ টাকা
উত্তরঃ ১৪০ ঢাকা
ব্যাখ্যাঃ ধরি, কলমের মূল্য হলো \(x\) টাকা।
তাহলে কাগজের মূল্য হবে \(x - 40\) টাকা।

প্রশ্ন অনুসারে, তাদের মোট মূল্য \(240\) টাকা: \[ x + (x - 40) = 240 \] এখন সমীকরণটি সরল করি: \[ 2x - 40 = 240 \] \[ 2x = 240 + 40 \] \[ 2x = 280 \] \(x\)-এর মান নির্ণয় করি: \[ x = \frac{280}{2} = 140 \] উত্তর: কলমের মূল্য \(140\) টাকা।
ক. \(১১\frac{১}{৯}\)%
খ. ১২%
গ. ১০%
ঘ. \(১৮\frac{১}{৩}\)%
উত্তরঃ \(১১\frac{১}{৯}\)%
ব্যাখ্যাঃ আমরা কফির দাম এবং ব্যবহারের সম্পর্কের জন্য একটি সহজ গাণিতিক পদ্ধতি ব্যবহার করব।

যেহেতু কফির দাম ১০% কমেছে, আমাদের লক্ষ্য হবে ব্যবহার বৃদ্ধি এমনভাবে করা যাতে মোট খরচ অপরিবর্তিত থাকে।

সূত্র:
যদি পণ্যের মূল্য \(P\)% হ্রাস পায়, তবে ব্যবহারের বৃদ্ধি \( \frac{P}{100-P} \times 100 \)% হবে।

এখানে, \(P = 10\)%।
তাহলে ব্যবহারের বৃদ্ধি: \[ \text{বৃদ্ধি} = \frac{10}{100-10} \times 100 = \frac{10}{90} \times 100 \] \[=11\frac{1}{9}\text{%}\] উত্তর: কফির ব্যবহার \(11\frac{1}{9}\text{%}\) বৃদ্ধি করতে হবে যাতে খরচ একই থাকে।
ক. ৪
খ. 9.5
গ. 3
ঘ. 7
উত্তরঃ 3
ব্যাখ্যাঃ প্রথম সমীকরণটি: \[ x + 5y = 24 \] দ্বিতীয় সমীকরণটি: \[ x = 3y \] প্রথম সমীকরণে \(x = 3y\) বসাই: \[ 3y + 5y = 24 \] সরল করি: \[ 8y = 24 \] এখন \(y\)-এর মান নির্ণয় করি: \[ y = \frac{24}{8} = 3 \] উত্তর: \(y = 3\)।
ক. সামন্তরিক
খ. চতুর্ভূজ
গ. ট্রাপিজিয়াম
ঘ. রম্বস
উত্তরঃ ট্রাপিজিয়াম
ব্যাখ্যাঃ

যে চতুর্ভুজের কেবল দুইটি বিপরীত বাহু পরস্পর সমান্তরাল, তাকে সমলম্ব চতুর্ভুজ (Trapezium বা Trapezoid) বলে।

এটি একটি দ্বি-মাত্রিক জ্যামিতিক আকার যেখানে সমান্তরাল দুইটি বাহুকে ভিত্তি (bases) এবং বাকি দুইটি বাহুকে পার্শ্ব (legs) বলা হয়।

ক. 0
খ. 3
গ. সবগুলোই
ঘ. - 4
উত্তরঃ সবগুলোই
ব্যাখ্যাঃ যেহেতু \(x < 4\), এর মান হতে পারে \(4\)-এর চেয়ে ছোট যে-কোনো সংখ্যা। নিচের অপশনগুলো বিশ্লেষণ করা যাক:

১. কঃ 0:
\(0\) হলো \(4\)-এর চেয়ে ছোট, তাই এটি সঠিক।

২. খঃ 3:
\(3\) হলো \(4\)-এর চেয়ে ছোট, সুতরাং এটি সঠিক।

৩. ঘঃ -4:
\(-4\) হলো \(4\)-এর চেয়ে ছোট, তাই এটিও সঠিক।

৪. গঃ সবগুলোই:
যেহেতু \(0\), \(3\), এবং \(-4\) সবকটিই \(x < 4\)-এর শর্ত পূরণ করে, তাই সঠিক উত্তর হবে:

গঃ সবগুলোই।
ক. ২৫:১৬
খ. ৯:১৬
গ. ১৬:৯
ঘ. ১৬:২৫
উত্তরঃ ১৬:২৫
ব্যাখ্যাঃ ধরি, প্রথম রাশি \(x\) এবং দ্বিতীয় রাশি \(y\)। প্রশ্ন অনুসারে: \[ x = 64\% \, \text{of} \, y = \frac{64}{100}y \] এখন \(x : y\)-এর অনুপাত নির্ণয় করি: \[ x : y = \frac{64}{100}y : y \] \[ x : y = 64 : 100 \] \[ x : y = 16 : 25 \] উত্তর: রাশি দুটির অনুপাত হলো \(16 : 25\)।
ক. ৫০ কি: মি:
খ. সমাধান সম্ভব নয়
গ. ২০০ কি: মি:
ঘ. ১০০ কি: মি:
উত্তরঃ ৫০ কি: মি:
ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি, দূরত্ব নির্ণয়ের জন্য নিচের সূত্র ব্যবহার করতে পারি: \[ \text{দূরত্ব} = \text{গতি} \times \text{সময়} \] প্রদত্ত:
- ট্রেনের গতি = \(100 \, \text{কি.মি./ঘণ্টা} = 100 \times 1000 = 100,000 \, \text{মিটার/ঘণ্টা}\)
- সময় = \(30 \, \text{মিনিট} = \frac{30}{60} = 0.5 \, \text{ঘণ্টা}\)

এখন সূত্রে মান বসাই: \[ \text{দূরত্ব} = 100,000 \times 0.5 = 50,000 \, \text{মিটার} \] অথবা: \[ \text{দূরত্ব} = 50 \, \text{কি.মি.} \] উত্তর: ট্রেনটি \(30\) মিনিটে \(50 \, \text{কি.মি.}\) দূরত্ব অতিক্রম করবে।

৩৪. \(1^2+2^2+3^2+ . . . . . . +x^2\) এর মান কত?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. \(x\)
খ. \(\frac{x(x+1)(2x+1)}{6}\)
গ. \(x^{1+4}\)
ঘ. \(x^n\)
উত্তরঃ \(\frac{x(x+1)(2x+1)}{6}\)
ব্যাখ্যাঃ \(1^2 + 2^2 + 3^2 + \dots + x^2\) এর যোগফলের সূত্র হলো: \[ \text{যোগফল} = \frac{x(x+1)(2x+1)}{6} \]

৩৫. ১ মিলিয়ন = কত বিলিয়ন?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. ০.০০১ বিলিয়ন
খ. ০.১ বিলিয়ন
গ. ০.০০০১ বিলিয়ন
ঘ. ০.০১ বিলিয়ন
উত্তরঃ ০.০০১ বিলিয়ন
ব্যাখ্যাঃ \(1 \, \text{মিলিয়ন} = 0.001 \, \text{বিলিয়ন}\)।

কথায় বললে, ১ মিলিয়ন হলো ১ বিলিয়নের এক-হাজার ভাগের এক ভাগ।
ক. ২২০
খ. ২৩০
গ. ২১০
ঘ. ২৪০
উত্তরঃ ২১০
ব্যাখ্যাঃ ১ থেকে ২০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর যোগফল নির্ণয়ের জন্য আমরা নিচের সূত্রটি ব্যবহার করতে পারি: \[ \text{যোগফল} = \frac{n(n+1)}{2} \] এখানে, \(n\) হলো সর্বোচ্চ সংখ্যা, অর্থাৎ \(20\)। তাহলে:
\[ \text{যোগফল} = \frac{20(20+1)}{2} = \frac{20 \times 21}{2} = 210 \] উত্তর: ১ থেকে ২০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর যোগফল হলো \(210\)।

৩৭. \(0.5 + 0.05 + 0.005 × 0.5 × 0.05 × 0.005 =\) কত?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. 0.550000325
খ. 0.550000625
গ. 0.550000525
ঘ. 0.550000425
উত্তরঃ 0.550000625
ব্যাখ্যাঃ প্রথমে \(0.005 \times 0.5 \times 0.05 \times 0.005\) গুণফল বের করি: \[ 0.005 \times 0.5 = 0.0025 \] \[ 0.0025 \times 0.05 = 0.000125 \] \[ 0.000125 \times 0.005 = 0.000000625 \] এখন মূল সমীকরণটি: \[ 0.5 + 0.05 + 0.000000625 \] এগুলো যোগ করি: \[ 0.5 + 0.05 = 0.55 \] \[ 0.55 + 0.000000625 = 0.550000625 \] উত্তর: \(0.5 + 0.05 + 0.005 \times 0.5 \times 0.05 \times 0.005 = 0.550000625\)।
ক. ১৪২
খ. ১৮৮
গ. ১২০
ঘ. ১৪০
উত্তরঃ ১২০
ব্যাখ্যাঃ প্রদত্ত:
- মোট বই = \(12\)
- \(2\)টি বই সর্বদাই অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
- আমাদের \(5\)টি বই বাছাই করতে হবে।

ধাপ ১: ২টি বই সর্বদা বাছাই করা হয়েছে
যেহেতু \(2\)টি বই ইতোমধ্যেই বাছাই করা হয়েছে, বাকি \(12 - 2 = 10\) বইয়ের মধ্যে থেকে \(5 - 2 = 3\)টি বই বাছাই করতে হবে।

ধাপ ২: \(10\) বই থেকে \(3\)টি বই বাছাই করা
কোনো \(n\) সংখ্যক আইটেম থেকে \(r\) সংখ্যক আইটেম বাছাই করার জন্য কম্বিনেশন সূত্র হলো: \[ ^nC_r = \frac{n!}{r!(n-r)!} \] এখানে, \(n = 10\) এবং \(r = 3\)।
তাহলে: \[ ^{10}C_3 = \frac{10!}{3!(10-3)!} = \frac{10 \times 9 \times 8}{3 \times 2 \times 1} = 120 \] ধাপ ৩: চূড়ান্ত উত্তর
যেহেতু \(2\)টি বই সর্বদা বাছাই করা আছে, \(10\) বই থেকে \(3\)টি বই বাছাই করার \(120\) পদ্ধতি রয়েছে।

উত্তর: \(120\) প্রকারে বইগুলো বাছাই করা যাবে।
ক. ফা-হিয়েন
খ. হিউয়েন সাং
গ. মা হয়ান
ঘ. মেগাস্থিনিস
উত্তরঃ ফা-হিয়েন
ব্যাখ্যাঃ

চীন থেকে ভারতবর্ষে আসা প্রথম পর্যটকের নাম ফা-হিয়েন (Fa-Hien)। তিনি একজন চীনা বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিলেন, যিনি ৩৯৯-৪১৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের শাসনামলে ভারত ভ্রমণ করেন।

ক. অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ
খ. পরিকল্পনা বিভাগ
গ. অর্থ বিভাগ
ঘ. অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ
উত্তরঃ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক অর্থায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকারী বিভাগটি হলো অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (Economic Relations Division - ERD)

এই বিভাগটি বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ, অনুদান এবং অন্যান্য আর্থিক সহায়তা সংগ্রহ, পরিচালনা এবং ব্যবস্থাপনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের চারটি বিভাগের মধ্যে অন্যতম। অন্য তিনটি বিভাগ হলো: অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান কাজগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বৈদেশিক সাহায্যের উৎস অনুসন্ধান ও আর্থিক বরাদ্দের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা থেকে প্রেরিত প্রস্তাব পরীক্ষা ও বাছাই করা।
  • বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (এডিপি) এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়নের জন্য বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ নির্ধারণ, চুক্তি সম্পাদন, ব্যবহার উপযোগিতা নিশ্চিতকরণ এবং বরাদ্দ প্রদান।
  • দ্বি-পক্ষীয় ও বহু-পক্ষীয় উৎস থেকে খাদ্য এবং পণ্য সাহায্য বিষয়ক বৈদেশিক সাহায্যের চুক্তি সম্পাদন এবং বরাদ্দ প্রদান ও ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।
  • দ্বিপক্ষীয় দাতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে চুক্তির প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণসহ কারিগরি সহায়তা কর্মসূচিসমূহের অনুমোদন কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন এবং প্রক্রিয়াকরণ।
  • সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পসমূহে বাংলাদেশি নাগরিকদের বিশেষজ্ঞ এবং পরামর্শক পদে নিয়োগ সম্পর্কিত নীতি নির্ধারণ এবং সমন্বয় সাধন।
  • বৈদেশিক সাহায্যের তহবিল সংক্রান্ত টেন্ডারের জন্য গাইডলাইন এবং কার্যপ্রণালী বিধি তৈরি।
  • বৈদেশিক সাহায্যের সঠিক ব্যবহার, সমন্বয়, পর্যালোচনা এবং পরিবীক্ষণ।
  • ঋণ প্রোফাইল এবং বাজেট তৈরি, ঋণ সার্ভিসিং ও সংরক্ষণসহ সার্বিক বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা।
  • বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম এবং ঋণ হিসাবসমূহের সভার আয়োজন এবং পরবর্তীতে এ বিষয়ে ফলোআপ কার্যক্রম গ্রহণ।
  • বৈদেশিক বিনিময় বাজেট তৈরি (নগদ বৈদেশিক বিনিময় বাজেট ব্যতীত)।
  • বাংলাদেশে কর্মরত উন্নয়ন সহযোগী দেশ/সংস্থা প্রধানদের সাথে অনুষ্ঠিত সভার কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন।
  • বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের নিমিত্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাসমূহের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা, যেমনঃ বিশ্বব্যাংক/আইডিএ এবং আইএফসি; এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি); ইউএনডিপি; জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাসমূহ ইত্যাদি।

অতএব, বৈদেশিক অর্থায়ন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

ক. মিশর
খ. লেবানন
গ. তিউনিসিয়া
ঘ. লিবিয়া
উত্তরঃ তিউনিসিয়া
ব্যাখ্যাঃ

"আরব বসন্ত" (Arab Spring) হলো ২০১১ সালের শুরু থেকে আরব বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, আন্দোলন ও সশস্ত্র বিদ্রোহের একটি ধারাবাহিকতা। এর সূচনা হয় তিউনিসিয়ায় এবং দ্রুত তা মিশর, লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া, বাহরাইনসহ উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

আরব বসন্তের মূল কারণসমূহ:

  • দীর্ঘস্থায়ী স্বৈরাচারী শাসন: বহু বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে জনগণের অসন্তোষ।
  • ব্যাপক দুর্নীতি: সরকারি পর্যায়ে ব্যাপক দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি।
  • অর্থনৈতিক অসন্তোষ: উচ্চ বেকারত্ব, দারিদ্র্য, জীবনযাত্রার নিম্নমান এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য। বিশেষ করে শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে হতাশা।
  • মানবাধিকার লঙ্ঘন: বাকস্বাধীনতা ও রাজনৈতিক অধিকারের অভাব এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়ন।
  • জনসংখ্যার কাঠামো: বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত ও কর্মক্ষম যুবকের উপস্থিতি, যারা বিদ্যমান পরিস্থিতিতে হতাশ ছিল।
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার: ইন্টারনেট ও সামাজিক মাধ্যম বিক্ষোভ সংগঠিত করতে ও তথ্য প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আরব বসন্তের প্রধান ঘটনাবলী ও পরিণতি:

  • তিউনিসিয়া (২০১০-২০১১): মোহাম্মদ বোয়াজিজির আত্মাহুতির পর 'জেসমিন বিপ্লব'-এর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক জাইন এল আবিদিন বেন আলি ক্ষমতাচ্যুত হন। এটিকে আরব বসন্তের সূচনা হিসেবে ধরা হয়।
  • মিশর (২০১১): ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রপতি হোসনি মোবারক পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
  • লিবিয়া (২০১১): সরকারবিরোধী বিক্ষোভ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয় এবং পশ্চিমা জোটের সামরিক হস্তক্ষেপের পর মুয়াম্মার গাদ্দাফি নিহত হন। দেশটি দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক অস্থিরতায় পতিত হয়।
  • ইয়েমেন (২০১১-বর্তমান): রাষ্ট্রপতি আলি আবদুল্লাহ সালেহের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা পরবর্তীতে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয় এবং এখনো চলমান।
  • সিরিয়া (২০১১-বর্তমান): শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সরকারের কঠোর দমননীতির কারণে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে পরিণত হয়, যা এখনো বহু আন্তর্জাতিক শক্তিকে জড়িয়ে রেখেছে এবং ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।
  • বাহরাইন (২০১১): শিয়া মুসলিমদের নেতৃত্বে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমন করা হয়।
  • অন্যান্য দেশ: আলজেরিয়া, জর্ডান, মরক্কো, ওমানসহ আরও কিছু দেশে ছোট আকারের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ দেখা যায়, যেখানে সরকার কিছু সংস্কারের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

আরব বসন্তের ফলাফল:

আরব বসন্তের ফলাফল ছিল মিশ্র ও জটিল। কিছু দেশে স্বৈরশাসকের পতন ঘটলেও, স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। অনেক দেশেই রাজনৈতিক অস্থিরতা, গৃহযুদ্ধ ও চরমপন্থার বিস্তার ঘটেছে।

  • কিছু ক্ষেত্রে শাসন পরিবর্তন: তিউনিসিয়া ও মিশরে (যদিও পরবর্তীতে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে) শাসন পরিবর্তন হয়েছে।
  • ব্যাপক সংঘাত ও মানবিক সংকট: লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত ও ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।
  • রাজনৈতিক অস্থিরতা: অনেক দেশে রাজনৈতিক মেরুকরণ ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • ইসলামী দলগুলোর উত্থান: কিছু দেশে (যেমন মিশরে প্রাথমিকভাবে) ইসলামী দলগুলো নির্বাচনে জয়লাভ করে, যদিও তাদের শাসন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
  • গণতান্ত্রিক সংস্কারের সীমিত অগ্রগতি: সামগ্রিকভাবে আরব বিশ্বে গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি।
ক. কায়রো
খ. জেদ্দা
গ. রিয়াদ
ঘ. তেহরান
উত্তরঃ জেদ্দা
ব্যাখ্যাঃ

ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (Organization of Islamic Cooperation - OIC) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। ১৯৬৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মরক্কোর রাবাতে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটির লক্ষ্য হলো মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ রক্ষা করা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা।

OIC-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • সদস্য সংখ্যা: ৫৭টি (সিরিয়ার সদস্যপদ বর্তমানে স্থগিত)।
  • প্রতিষ্ঠাকালীন নাম: ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (Organization of the Islamic Conference)।
  • সদর দপ্তর: জেদ্দা, সৌদি আরব।
  • দাপ্তরিক ভাষা: আরবি, ইংরেজি ও ফরাসি।
  • প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট: ১৯৬৯ সালে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম বিশ্বের নেতারা একত্রিত হয়ে এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন।
  • বাংলাদেশ: ১৯৭৪ সালের ২২-২৪ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত OIC-এর দ্বিতীয় সম্মেলনে বাংলাদেশ ৩২তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে।
  • মহাসচিব: বর্তমান মহাসচিব হিসেইন ব্রাহীম তাহা, যিনি চাদের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
  • উদ্দেশ্য: মুসলিম বিশ্বের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করা, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও সংহতি বৃদ্ধি করা, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা এবং মুসলিমদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করা।
  • মুসলিম প্রধান না হয়েও কিছু দেশ OIC-এর সদস্য, যেমন: উগান্ডা, ক্যামেরুন, বেনিন, মোজাম্বিক, গায়ানা ও সুরিনাম।
  • রাশিয়া, থাইল্যান্ড এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার মতো দেশ পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা ভোগ করে।

OIC জাতিসংঘের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থা। এটি মুসলিম বিশ্বের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ক. ময়মনসিংহ
খ. বরিশাল
গ. ঢাকা
ঘ. সিলেট
উত্তরঃ ঢাকা
ব্যাখ্যাঃ

তথ্য অনুসন্ধানের ভিত্তিতে, বর্তমানে (২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী) দেশের ঢাকা বিভাগে স্বাক্ষরতার হার সবচেয়ে বেশি।

ঢাকা বিভাগের স্বাক্ষরতার হার প্রায় ৭৮.০৯%

এরপরের অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বিভাগ, যার স্বাক্ষরতার হার ৭৭.৫৭ শতাংশ।

ক. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
খ. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
গ. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
ঘ. ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
উত্তরঃ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সরকারি স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

এটি ঢাকা শহরের আগারগাঁওয়ে অবস্থিত। ১৯৮০ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

ক. নজরুল ইসলাম বাবু
খ. গোবিন্দ হালদার
গ. আপেল মাহমুদ
ঘ. আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
উত্তরঃ গোবিন্দ হালদার
ব্যাখ্যাঃ

"মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি" গানটির রচয়িতা হলেন গোবিন্দ হালদার। এই গানটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছিল। গানটি আজও দেশাত্মবোধক গানের মধ্যে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।

ক. ২.২৫৮
খ. ১.৮৫৫
গ. ১.৮৫২
ঘ. ২.৮৭১
উত্তরঃ ১.৮৫২
ব্যাখ্যাঃ

১ নটিক্যাল মাইল সমান ১.৮৫২ কিলোমিটার

আন্তর্জাতিকভাবে এই মান স্বীকৃত।

ক. ৪০৫
খ. ৪০৫৪
গ. ৪০
ঘ. ৪০,৫৪০
উত্তরঃ ৪০৫৪
ব্যাখ্যাঃ মাথাপিছু জিডিপি নির্ণয়ের জন্য আমরা নিচের সূত্র ব্যবহার করব: \[ \text{মাথাপিছু জিডিপি} = \frac{\text{মোট জিডিপি}}{\text{মোট জনসংখ্যা}} \] প্রদত্ত:
  • মোট জিডিপি = \(7.5 \, \text{বিলিয়ন ডলার} = 7,500,000,000 \, \text{ডলার}\)
  • মোট জনসংখ্যা = \(1.85 \, \text{মিলিয়ন} = 1,850,000\)

এখন সূত্রে মান বসাই: \[ \text{মাথাপিছু জিডিপি} = \frac{7,500,000,000}{1,850,000} \approx 4054 \, \text{ডলার} \] উত্তর: মাথাপিছু জিডিপি নিকটতম \(4,054 \, \text{মার্কিন ডলার}\)।

৪৮. ECNEC এর বর্তমান সভাপতি কে?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. জনপ্রশাসন মন্ত্রী
খ. অর্থ মন্ত্রী
গ. প্রধানমন্ত্রী
ঘ. পরিকল্পনা মন্ত্রী
উত্তরঃ প্রধানমন্ত্রী
ব্যাখ্যাঃ

ECNEC হলো জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (Executive Committee of the National Economic Council)। এটি বাংলাদেশ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী কমিটি।

ECNEC-এর কার্যাবলী:

ECNEC মূলত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলির যাচাই, অনুমোদন ও বাস্তবায়ন তত্ত্বাবধান করে। এর প্রধান কাজগুলো হলো:

  • জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (NEC) প্রণীত দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় নীতি ও objectives এর সাথে সঙ্গতি রেখে উন্নয়ন কার্যক্রমের দিকনির্দেশনা প্রদান।
  • পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (ADP) খসড়া প্রণয়নে দিকনির্দেশনা দেওয়া।
  • বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ কর্তৃক প্রস্তাবিত উন্নয়ন প্রকল্প মূল্যায়ন ও অনুমোদন করা (বিশেষত বৃহৎ বিনিয়োগ প্রকল্প)।
  • সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ প্রস্তাবনা বিবেচনা ও অনুমোদন করা।
  • উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা।
  • বৈদেশিক সাহায্য এবং ঋণের জন্য বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও অনুমোদন করা।
  • প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন এবং জাতীয় জীবনযাত্রার মানের উপর তার বিশ্লেষণ করা।
  • প্রয়োজনে NEC-কে তার কার্য সম্পাদনে সহায়তা করার জন্য উপ-কমিটি গঠন করা।

ECNEC-এর গঠন:

ECNEC-এর চেয়ারপারসন হলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তার অনুপস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী বিকল্প চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন:

  • মন্ত্রীগণ (যেমন: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়; শিক্ষা; খাদ্য; পানিসম্পদ; শিল্প; বাণিজ্য; ডাক ও টেলিযোগাযোগ; কৃষি; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীগণ)।
  • পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যগণ।
  • সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবগণ।

ECNEC-এর সভা সাধারণত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। পরিকল্পনা কমিশনের ECNEC উইং এই কমিটির সভা আহ্বান ও সমন্বয় করে এবং সভার কার্যবিবরণী তৈরি ও বিতরণের দায়িত্ব পালন করে।

ক. যুক্তরাজ্য
খ. আমেরিকা
গ. জার্মানি
ঘ. চিলি
উত্তরঃ আমেরিকা
ব্যাখ্যাঃ

Ernest Hemingway (আর্নেস্ট হেমিংওয়ে) (১৮৯৯-১৯৬১) ছিলেন একজন প্রভাবশালী আমেরিকান ঔপন্যাসিক, ছোটগল্প লেখক এবং সাংবাদিক। তার সরল, স্পষ্ট এবং শক্তিশালী লেখার ধরণ তাকে বিশ শতকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লেখকে পরিণত করেছে। তিনি ১৯৫৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:

  • জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন: তিনি ১৮৯৯ সালের ২১শে জুলাই ইলিনয়ের ওক পার্কে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন চিকিৎসক এবং মা ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। শৈশবে তিনি উত্তর মিশিগানে প্রকৃতির সান্নিধ্যে বড় হয়েছেন, যা তার লেখায় গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
  • সাংবাদিকতা: হাই স্কুল শেষ করার পর তিনি কানসাস সিটি স্টার পত্রিকায় রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন। এখানে তিনি ছোট বাক্য এবং সরাসরি লেখার কৌশল রপ্ত করেন, যা পরবর্তীতে তার নিজস্ব লেখার ধরনে পরিণত হয়।
  • প্রথম বিশ্বযুদ্ধ: প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তিনি রেড ক্রসের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হিসেবে ইতালীয় ফ্রন্টে যোগ দেন এবং আহত হন। যুদ্ধের এই অভিজ্ঞতা তার অনেক লেখার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো 'আ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস' (A Farewell to Arms)।
  • প্যারিসে প্রবাস জীবন: ১৯২০-এর দশকে তিনি প্যারিসে বসবাসকারী আমেরিকান সাহিত্যিকদের "লস্ট জেনারেশন"-এর অংশ ছিলেন। এখানে তিনি এজরা পাউন্ড এবং গারট্রুড স্টাইনের মতো বিখ্যাত লেখকদের সাথে পরিচিত হন।
  • স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: তিনি স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধে একজন সংবাদদাতা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও ফ্রান্সে ডি-ডে অবতরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন।
  • ব্যক্তিগত জীবন: হেমিংওয়ে চারবার বিয়ে করেন। তার ব্যক্তিগত জীবন নানা জটিলতায় পূর্ণ ছিল এবং জীবনের শেষদিকে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
  • মৃত্যু: ১৯৬১ সালের ২রা জুলাই তিনি নিজ বাড়িতে বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করেন।

উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম:

আর্নেস্ট হেমিংওয়ে অসংখ্য উপন্যাস, ছোটগল্প ও নন-ফিকশন লিখেছেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত কিছু কাজ হলো:

  • উপন্যাস:
    • দ্য সান অলসো রাইজেস (The Sun Also Rises) - ১৯২৬
    • আ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস (A Farewell to Arms) - ১৯২৯
    • ফর হুম দ্য বেল টোলস (For Whom the Bell Tolls) - ১৯৪০
    • দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী (The Old Man and the Sea) - ১৯৫২ (এই কাজের জন্য তিনি পুলিৎজার পুরস্কার লাভ করেন)
    • টু হ্যাভ অ্যান্ড হ্যাভ নট (To Have and Have Not) - ১৯৩৭
    • অ্যাক্রস দ্য রিভার অ্যান্ড ইনটু দ্য ট্রিজ (Across the River and Into the Trees) - ১৯৫০
  • ছোটগল্প সংকলন:
    • ইন আওয়ার টাইম (In Our Time) - ১৯২৪
    • মেন উইদাউট উইমেন (Men Without Women) - ১৯২৭
    • উইনার টেক নাথিং (Winner Take Nothing) - ১৯৩৩
    • দ্য ফিফথ কলাম অ্যান্ড দ্য ফার্স্ট ফর্টি-নাইন স্টোরিজ (The Fifth Column and the First Forty-Nine Stories) - ১৯৩৮
  • নন-ফিকশন:
    • ডেথ ইন দ্য আফটারনুন (Death in the Afternoon) - ১৯৩২ (স্প্যানিশ বুলফাইটিং নিয়ে)
    • গ্রিন হিলস অফ আফ্রিকা (Green Hills of Africa) - ১৯৩৫ (আফ্রিকান শিকার নিয়ে)
    • আ মুভেবল ফিস্ট (A Moveable Feast) - ১৯৬৪ (মৃত্যুর পর প্রকাশিত, প্যারিসে তার প্রবাস জীবনের স্মৃতিচারণ)

৫০. Many শব্দের Synonym কোনটি?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. All of the answers
খ. Several
গ. Numerous
ঘ. Enormous
উত্তরঃ All of the answers
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো All of the answers

কারণ:

  • Several: এর অর্থ হলো "কয়েকটি" বা "কিছু"। এটি Many-এর একটি সমার্থক শব্দ।
  • Numerous: এর অর্থ হলো "অসংখ্য" বা "বহু"। এটিও Many-এর একটি সমার্থক শব্দ।
  • Enormous: এর অর্থ হলো "বিশাল" বা "প্রচুর"। যদিও এটি পরিমাণের আধিক্য বোঝায়, তবে Many সরাসরি সংখ্যার আধিক্য বোঝায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে Enormous-কে Many-এর অর্থে ব্যবহার করা যেতে পারে।

যেহেতু Several এবং Numerous দুটোই Many-এর সরাসরি সমার্থক শব্দ, তাই "All of the answers" সঠিক উত্তর।

৫১. Pen through the line এর সঠিক অনুবাদ-

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. লাইনটি কেটে দাও
খ. লাইনটি মুছে দাও
গ. লাইনের উপর কলম ছোড়া
ঘ. লাইন বরাবর কলম চালানো
উত্তরঃ লাইনটি কেটে দাও
ব্যাখ্যাঃ

"Pen through the line"-এর সঠিক অনুবাদ হলো লাইনটি কেটে দাও

যখন কোনো লেখার উপর কলম দিয়ে একটি বা একাধিক রেখা টেনে দেওয়া হয়, তখন তার অর্থ দাঁড়ায় ঐ অংশটি বাতিল বা কেটে দেওয়া হয়েছে। অন্য অপশনগুলো সরাসরি শাব্দিক অনুবাদ হলেও, "Pen through the line" সাধারণত এই অর্থেই ব্যবহৃত হয়।

৫২. Meticulous শব্দের অর্থ-

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. অস্পষ্ট
খ. মাধ্যমিক পাশ
গ. যত্নবান
ঘ. সামর্থ্যবান
উত্তরঃ যত্নবান
ব্যাখ্যাঃ

"Meticulous" শব্দের অর্থ যত্নবান

Meticulous মানে হলো খুঁটিনাটি বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক এবং মনোযোগ দেওয়া, অর্থাৎ অতি সাবধানী ও পরিপাটি।

অন্যান্য অপশনগুলোর অর্থ:

  • কঃ অস্পষ্ট (Osposhto): যা পরিষ্কার নয় বা সহজে বোঝা যায় না (Unclear, vague)।
  • খঃ মাধ্যমিক পাশ (Madhyomik Pash): সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট অর্জন করা (Passed secondary school).
  • ঘঃ সামর্থ্যবান (Samorthoban): সক্ষম বা ক্ষমতাশালী (Capable, able, powerful).

৫৩. 'Worse' শব্দটি Adjective এর কোন degree?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. Positive
খ. Comparative
গ. Superlative
ঘ. Assertive
উত্তরঃ Comparative
ব্যাখ্যাঃ

'Worse' শব্দটি Adjective এর Comparative degree।

'Worse' হলো 'bad' (খারাপ)-এর Comparative form। Adjective-এর তিনটি degree রয়েছে:

  • Positive: মূল রূপ (যেমন: bad)
  • Comparative: দুইয়ের মধ্যে তুলনা বোঝাতে ব্যবহৃত হয় (যেমন: worse)
  • Superlative: অনেকের মধ্যে তুলনা করে সবচেয়ে ভালো বা খারাপ বোঝাতে ব্যবহৃত হয় (যেমন: worst)

৫৪. Adjacent to- phrase এর অর্থ-

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. বিরক্ত হওয়া
খ. আশির্বাদ করা
গ. নিকটবর্তী
ঘ. বিপরীত দিক
উত্তরঃ নিকটবর্তী
ব্যাখ্যাঃ

"Adjacent to" phrase-টির অর্থ হলো নিকটবর্তী

"Adjacent" শব্দের অর্থ হলো সংলগ্ন, কাছাকাছি, বা পাশে অবস্থিত। "Adjacent to" phrase-টি কোনো কিছুর পাশে বা নিকটে থাকার অর্থ বোঝায়।

ক. be surely
খ. have been
গ. be Police
ঘ. has been
উত্তরঃ have been
ব্যাখ্যাঃ

He would have been arrested if he had tried unfair means. (যদি সে অসদুপায় অবলম্বন করার চেষ্টা করত, তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হত।)

কারণ:

বাক্যটি conditional sentence-এর third conditional structure-এর একটি অংশ। Third conditional structure-এ "if" clause-টি past perfect tense (had + past participle) এ থাকে এবং main clause-টিতে would have + past participle ব্যবহৃত হয়।

সুতরাং, শূন্যস্থানে "have been" বসবে, যা "be" ক্রিয়ার past participle "been"-এর সাথে "have" যুক্ত হয়ে main clause-এর গঠন সম্পূর্ণ করবে।

ক. Noun
খ. Adverb
গ. Adjective
ঘ. Verb
উত্তরঃ Verb
ব্যাখ্যাঃ

"She copied the word" - এই বাক্যে "copied" শব্দটি Verb

কারণ "copied" হলো "copy" ক্রিয়ার past tense (অতীত কাল) রূপ। এটি বাক্যে কাজটি (কপি করা) নির্দেশ করছে, যা ক্রিয়ার একটি প্রধান কাজ।

  • Noun (বিশেষ্য): কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান বা ধারণার নাম। এই বাক্যে "She" (pronoun) এবং "word" noun।
  • Adverb (ক্রিয়া বিশেষণ): যা ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য কোনো adverb-কে বিশেষিত করে। এই বাক্যে কোনো adverb নেই।
  • Adjective (বিশেষণ): যা noun বা pronoun-এর দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা বা পরিমাণ বোঝায়। এই বাক্যে কোনো adjective নেই।
ক. The Invisible Man
খ. The Time Machine
গ. The First Man on the Moon
ঘ. All of the above
উত্তরঃ All of the above
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল All of the above

H. G. Wells এই তিনটি বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান গ্রন্থের রচয়িতা:

  • The Invisible Man (১৮৯৭)
  • The Time Machine (১৮৯৫)
  • The First Man on the Moon (১৯০১)

৫৮. কোনটি সঠিক বানান?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. Pandulam
খ. Pandolam
গ. Pendulam
ঘ. Pendulum
উত্তরঃ Pendulum
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বানান হলো Pendulum

"Pendulum" শব্দের অর্থ হলো দোলক। এটি একটি নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে ঝোলানো কোনো বস্তু যা মাধ্যাকর্ষণ বা অন্য কোনো শক্তির প্রভাবে নিয়মিতভাবে সামনে-পেছনে দোল খায়।

ক. Noun
খ. Pronoun
গ. Adjective
ঘ. Adverb
উত্তরঃ Adverb
ব্যাখ্যাঃ

"Thank you very much" - এই বাক্যে "very" শব্দটি একটি adverb (ক্রিয়া বিশেষণ)

এখানে "very" শব্দটি "much" শব্দটিকে মডিফাই করছে, যা নিজেই একটি অ্যাডভার্ব। অ্যাডভার্ব মূলত ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য অ্যাডভার্বকে মডিফাই করে। এই বাক্যে "very" শব্দটি "much" এর তীব্রতা প্রকাশ করছে, অর্থাৎ "অনেক বেশি ধন্যবাদ" বোঝাচ্ছে।

ক. All of the answers
খ. The Traveller
গ. The School Boy
ঘ. The Daffodils
উত্তরঃ The School Boy
ব্যাখ্যাঃ

উপস্থাপিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে William Blake-এর রচিত গ্রন্থ হলো "The School Boy"। এটি তাঁর কাব্যগ্রন্থ "Songs of Experience" এর অন্তর্ভুক্ত একটি কবিতা।

অন্যদিকে:
- The Traveller এর রচয়িতা William Cowper।
- The Daffodils রচনা করেছেন William Wordsworth।

ক. Adverb
খ. Verb
গ. Noun
ঘ. Gerund
উত্তরঃ Gerund
ব্যাখ্যাঃ

"Walking is good for health" - এই বাক্যে "walking" শব্দটি একটি gerund (ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য)

এখানে "walking" শব্দটি একটি ক্রিয়ার (walk) "ing" যোগ করে তৈরি হয়েছে এবং এটি বাক্যে বিশেষ্যের মতো কাজ করছে। এটি বাক্যের subject হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

৬২. Personnel এর বাংলা অর্থ কি?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. ব্যক্তিগত
খ. কর্মীগণ
গ. ব্যক্তি সম্পকীয়
ঘ. ব্যক্তিগত বিষয়
উত্তরঃ কর্মীগণ
ব্যাখ্যাঃ

"Personnel" এর বাংলা অর্থ হলো কর্মীগণ

"Personnel" শব্দটি সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা কোম্পানির কর্মচারী বা কর্মীদের সমষ্টি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

অন্যান্য অপশনগুলোর অর্থ:

  • কঃ ব্যক্তিগত: ব্যক্তিগত বা নিজস্ব (Personal)।
  • গঃ ব্যক্তি সম্পকীয়: ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত (Relating to a person)।
  • ঘঃ ব্যক্তিগত বিষয়: কোনো ব্যক্তির নিজস্ব ব্যাপার (Personal matter)।

যদিও "Personnel" শব্দটি কোনো ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত, তবে এর মূল অর্থ হলো কর্মরত ব্যক্তিবর্গ।

৬৩. He will stick ____ nothing

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. for
খ. to
গ. with
ঘ. of
উত্তরঃ to
ব্যাখ্যাঃ

He will stick to nothing. (সে কোনো কিছুর প্রতি অবিচল থাকবে না।)

সঠিক phrase হলো "stick to something", যার অর্থ হলো কোনো কিছুতে লেগে থাকা, কোনো কিছুর প্রতি অবিচল থাকা বা কোনো কিছুর নিয়ম মেনে চলা।

৬৪. One who deals in cattle is-

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. drover
খ. auctioneer
গ. jockey
ঘ. seller
উত্তরঃ drover
ব্যাখ্যাঃ

One who deals in cattle is a drover.

  • Drover: একজন ব্যক্তি যিনি গবাদি পশু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হাঁকিয়ে নিয়ে যান। যদিও এটি সরাসরি ব্যবসার অর্থে নয়, ঐতিহাসিকভাবে গবাদি পশুর ব্যবসার সাথে এই শব্দটি যুক্ত।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • Auctioneer: নিলামকারী, যিনি নিলামে জিনিসপত্র বিক্রি করেন।
  • Jockey: ঘোড়দৌড়ের পেশাদার খেলোয়াড়।
  • Seller: বিক্রেতা, যিনি যেকোনো জিনিস বিক্রি করেন।

তবে, গবাদি পশুর ব্যবসার সাথে সরাসরি যুক্ত পেশার জন্য আরও উপযুক্ত শব্দ হতে পারে cattle dealer বা livestock trader. কিন্তু অপশনগুলোর মধ্যে drover সবচেয়ে কাছাকাছি অর্থ বহন করে।

ক. গামা রশ্মি
খ. মাইক্রোওয়েভ
গ. অবলোহিত বিকিরণ
ঘ. আলোক তরঙ্গ
উত্তরঃ মাইক্রোওয়েভ
ব্যাখ্যাঃ

রাডারে যে তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ ব্যবহার করা হয় তার নাম মাইক্রোওয়েভ।

রাডার হলো একটি পদ্ধতি যা মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করে চলমান বা স্থির বস্তুর অবস্থান, দূরত্ব, উচ্চতা, দিক বা দ্রুতি নির্ণয় করতে পারে। এটি বেতার সংকেত ধারণ এবং দূরত্ব নির্ধারণের সংক্ষিপ্ত রূপ।

ক. টাইফয়েড ও ভায়াবেটিকস
খ. কলেরা ও স্ট্রোক
গ. আমাশয় ও ডায়াবেটিকস
ঘ. ক্যান্সার ও স্ট্রোক
উত্তরঃ ক্যান্সার ও স্ট্রোক
ব্যাখ্যাঃ

অসংক্রামক ব্যাধি হলো সেগুলো যা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে ছড়ায় না। যেমন: ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, স্ট্রোক ইত্যাদি।

ক. ৯০
খ. ৮০
গ. ৭৫
ঘ. ৭০
উত্তরঃ ৯০
ব্যাখ্যাঃ

মানুষের দেহের রক্তরসে শতকরা প্রায় ৯০-৯২ ভাগ পানি থাকে। রক্তরসের বাকি অংশে বিভিন্ন দ্রবীভূত জৈব ও অজৈব পদার্থ থাকে।

ক. প্রতিসরণ
খ. প্রতিসরাঙ্ক
গ. প্রতিফলন
ঘ. প্রতিধ্বনি
উত্তরঃ প্রতিধ্বনি
ব্যাখ্যাঃ

সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয়ের জন্য প্রতিধ্বনি (Echo) ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে, সমুদ্রের তলদেশে শব্দ তরঙ্গ পাঠানো হয় এবং সেই তরঙ্গ ফিরে আসতে কত সময় লাগে তা পরিমাপ করা হয়। শব্দের গতি জানা থাকলে, এই সময়ের মাধ্যমে সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করা সম্ভব। এই প্রযুক্তি সোনার (SONAR - Sound Navigation and Ranging) নামে পরিচিত।

ক. 4 IR
খ. Digital device
গ. Cloud server
ঘ. সবগুলোই
উত্তরঃ সবগুলোই
ব্যাখ্যাঃ

AI (Artificial Intelligence)-এর সঙ্গে উপস্থাপিত সবকটি বিকল্পই সম্পর্কযুক্ত। বিস্তারিতভাবে বলা যায়:

- 4 IR (চতুর্থ শিল্প বিপ্লব): AI চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের (4th Industrial Revolution) একটি কেন্দ্রীয় উপাদান এবং এটি স্বয়ংক্রিয়তা, মেশিন লার্নিং ও ডেটা অ্যানালিটিকসের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
- Digital device (ডিজিটাল ডিভাইস): AI বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস, যেমন স্মার্টফোন, স্মার্ট স্পিকার ও অন্যান্য স্মার্ট গ্যাজেটে ব্যবহৃত হয়।
- Cloud server (ক্লাউড সার্ভার): AI-এর জন্য শক্তিশালী কম্পিউটেশনাল ক্ষমতা প্রয়োজন হয়, যা ক্লাউড সার্ভার সরবরাহ করে।

উত্তর: ঘঃ সবগুলোই।

৭০. “SIM” এর পূর্ণরূপ কী?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. Spot identity module
খ. Small initiative module
গ. Single intenssive module
ঘ. Subscriber identity module
উত্তরঃ Subscriber identity module
ব্যাখ্যাঃ

SIM এর পূর্ণরূপ হলো Subscriber Identity Module (সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল)। এটি একটি ছোট আকারের অপসারণযোগ্য স্মার্ট কার্ড যা আপনার মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো সেলুলার ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়।

সহজভাবে বলতে গেলে, SIM কার্ড হলো আপনার মোবাইল সংযোগের পরিচয়পত্র। এটিতে একটি মাইক্রোচিপ থাকে যা আপনার মোবাইল সাবস্ক্রিপশন সম্পর্কিত তথ্য নিরাপদে ধারণ করে। এই তথ্য ব্যবহার করে আপনার ডিভাইস মোবাইল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে পারে এবং আপনি কল করা, মেসেজ পাঠানো ও ডেটা ব্যবহারের মতো সুবিধা পান।

SIM কার্ডের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ:

  • গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করা: প্রতিটি SIM কার্ডে একটি অনন্য আন্তর্জাতিক মোবাইল গ্রাহক পরিচিতি (International Mobile Subscriber Identity - IMSI) নম্বর থাকে। এই নম্বরটি নেটওয়ার্ক প্রদানকারীর কাছে আপনার পরিচয় নিশ্চিত করে।
  • ব্যবহারকারীর প্রমাণীকরণ: যখন আপনার ফোন নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ স্থাপন করে, তখন SIM কার্ড প্রমাণীকরণ তথ্য পাঠায় যাতে আপনার পরিচয় যাচাই করা যায় এবং শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যবহারকারীরাই নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস করতে পারে।
  • ফোন নম্বর প্রদান: সাধারণত, আপনার ফোন নম্বরটি SIM কার্ডের সাথে যুক্ত থাকে।
  • তথ্য সংরক্ষণ: SIM কার্ডে সীমিত পরিমাণে তথ্য সংরক্ষণ করা যায়, যেমন:
    • কিছু পুরনো SIM কার্ডে ফোনবুক কন্টাক্ট।
    • কিছু পুরনো SIM কার্ডে SMS বার্তা।
    • নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত তথ্য।
    • আপনি যে পরিষেবাগুলো ব্যবহার করতে পারবেন তার তথ্য।
  • নিরাপত্তা: SIM কার্ড ব্যক্তিগত শনাক্তকরণ নম্বর (Personal Identification Number - PIN) দ্বারা সুরক্ষিত করা যেতে পারে। কয়েকবার ভুল PIN প্রবেশ করলে SIM কার্ড লক হয়ে যেতে পারে এবং এটি আনলক করার জন্য ব্যক্তিগত আনব্লকিং কী (Personal Unblocking Key - PUK) প্রয়োজন হয়।

বর্তমানে বিভিন্ন আকারের SIM কার্ড প্রচলিত আছে, যেমন: Mini-SIM, Micro-SIM, Nano-SIM এবং নতুন প্রযুক্তির eSIM (Embedded SIM), যা ডিভাইসের ভেতরেই বিল্ট-ইন থাকে এবং অপসারণযোগ্য নয়।