আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

প্রশ্নঃ বাংলার প্রাচীন জনপথ হরিকেল-এর বর্তমান নাম কী?

[ বিসিএস ৪৬তম ]

ক. সিলেট ও চট্টগ্রাম
খ. ঢাকা ও ময়মনসিংহ
গ. কুমিল্লা ও নোয়াখালী
ঘ. রাজশাহী ও রংপুর
উত্তরঃ সিলেট ও চট্টগ্রাম
ব্যাখ্যাঃ

হরিকেল ছিল প্রাচীন বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। এর সঠিক ভৌগোলিক অবস্থান নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য থাকলেও, অধিকাংশ ঐতিহাসিক মনে করেন যে, এটি বর্তমান বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম বিভাগ (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি) নিয়ে গঠিত ছিল। এছাড়াও, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু অংশও এই জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হয়।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • অবস্থান: এটি ছিল প্রাচীন পূর্ববঙ্গের একটি জনপদ, যার অবস্থান ছিল বাংলার পূর্ব প্রান্তে। চৈনিক পরিব্রাজক ই-ৎসিঙ সপ্তম শতকে এর অবস্থানকে 'পূর্বভারতের পূর্বসীমা'য় নির্দেশ করেন।
  • রাজধানী: ধারণা করা হয়, হরিকেলের রাজধানী ছিল শ্রীহট্ট (বর্তমান সিলেট)।
  • সময়কাল: সপ্তম ও অষ্টম শতক থেকে দশম ও একাদশ শতক পর্যন্ত হরিকেল একটি স্বতন্ত্র রাজ্য হিসেবে টিকে ছিল।
  • প্রমাণ: চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ অঞ্চলে আবিষ্কৃত কান্তিদেবের অসম্পূর্ণ তাম্রলিপি এবং বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত হরিকেল রাজ্যের রৌপ্যমুদ্রা এর অস্তিত্বের প্রমাণ বহন করে। এই মুদ্রাগুলোর একদিকে ত্রিশূল এবং অন্যদিকে শিবের ষাঁড় নন্দীর ছবি উৎকীর্ণ রয়েছে।
  • সাহিত্যিক উল্লেখ: বিভিন্ন প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ ও চৈনিক পরিব্রাজকদের বর্ণনায় হরিকেলের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন, 'মঞ্জুশ্রীমূলকল্প' গ্রন্থে হরিকেল, বঙ্গ এবং সমতটকে পৃথক পৃথক অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংক্ষেপে, হরিকেল ছিল প্রাচীন বাংলার দক্ষিণ-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি সমৃদ্ধ জনপদ, যা মূলত বর্তমান সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত ছিল।