প্রশ্নঃ বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী কোনটি?
[ বিসিএস ১১তম ]
দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও গভীরতায় দেশের বৃহত্তম নদী মেঘনা।
Related MCQ
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের নবীনতম নদী কোনটি?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
বাংলাদেশের নবীনতম নদী যমুনা। ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদীর একটি নতুন স্রোতধারা সৃষ্টি হয়, যা পরবর্তীতে যমুনা নদী নামে পরিচিত হয়। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪০ কিলোমিটার এবং এটি গোয়ালন্দের কাছে পদ্মা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ কোন নদীটির উৎপত্তিস্থান বাংলাদেশে?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
সঠিক উত্তর হলো ঘঃ হালদা।
হালদা নদীর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থিত। এটি খাগড়াছড়ি জেলার বাদনাতলী পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
অন্যান্য নদীগুলোর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশে নয়:
- কঃ কর্ণফুলি: এর উৎপত্তিস্থল ভারতের মিজোরাম রাজ্যে।
- খঃ নাফ: এটি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সীমান্ত নদী, এর উৎপত্তিস্থল মায়ানমারে।
- গঃ মেঘনা: এটি মূলত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর মিলিত প্রবাহের ফল, এই নদীগুলোর উৎপত্তিস্থল ভারতে।
প্রশ্নঃ কোনটি যমুনার উপনদী?
[ বিসিএস ৪২তম ]
সঠিক উত্তর: তিস্তা।
যমুনা নদীর প্রধান উপনদীগুলোর মধ্যে তিস্তা, ধরলা, করতোয়া, আত্রাই, সুবর্ণশ্রী
এছাড়া, ধলেশ্বরী যমুনার শাখানদী এবং বংশী ব্রহ্মপুত্রের শাখানদী।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী কোনটি?
[ বিসিএস ৩৭তম ]
বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী হলো পদ্মা।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে পদ্মা নদীর দৈর্ঘ্য ৩৪১ কিলোমিটার।
সুরমা ও কুশিয়ারা হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে মিলিত হয়ে কালনি নাম ধারণ করে এবং ভৈরববাজারের নিকট মেঘনা নাম ধারণ করে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ পুনর্ভবা, নাগর ও ট্যাঙ্গন কোন নদীর উপনদী?
[ বিসিএস ২৫তম ]
পুনর্ভবা, নাগর ও ট্যাঙ্গন নদী মহানন্দার উপনদী। অন্যদিকে ভৈরব, কুমার ও বড়াল নদী পদ্মার শাখা নদী।
প্রশ্নঃ বাঙ্গালী ও যমুনা নদীর সংযোগ কোথায়?
[ বিসিএস ২৫তম ]
রংপুর জেলার ঘাঘট নদীর অব্যাহত প্রবাহটি বগুড়ায় এসে বাঙ্গালী নাম ধারণ করেছে। এরপর নদীটি দক্ষিণে প্রবাহিত হওয়ার সময় যমুনার শাখানদী বাউলাই নদীকে উপনদী হিসেবে গ্রহণ করার মাধ্যমে যমুনার সাথে মিলিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ কর্ণফুলী নদীর উৎস ভারতে কোন রাজ্যে?
[ বিসিএস ২৫তম ]
কর্ণফুলী নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের মিজোরাম রাজ্যের লুসাই পাহাড়ের লংলেহতে। এটি রাঙ্গামাটি এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পতেঙ্গার সন্নিকটে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ-ভারত পানি চুক্তির মেয়াদ–
[ বিসিএস ২২তম ]
৩০ বছর (১৯৯৬ – ২০২৬) মেয়াদি পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে ১২ ডিসেম্বর, ১৯৯৬। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া।
প্রশ্নঃ ভারতের সাথে বাংলাদেশের পানি চুক্তি কোথায় স্বাক্ষরিত হয়?
[ বিসিএস ২১তম ]
৩০ (১৯৯৬-২০২৬) বছর মেয়াদি পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে ১২ ডিসেম্বর, ১৯৯৬। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়।
প্রশ্নঃ পদ্মা ও যমুনা কোথায় মিলিত হয়েছে?
[ বিসিএস ২১তম ]
পদ্মা ও মেঘনা নদীর মিলনস্থল - চাঁদপুর। পদ্মা ও যমুনা নদীর মিলনস্থল - গোয়ালন্দ।
প্রশ্নঃ ধলেশ্বরী নদীর শাখা নদী কোনটি?
[ বিসিএস ১৮তম ]
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর উপনদী ধরলা এবং প্রধান শাখানদী পুরানো ব্রহ্মপুত্র ও ধলেশ্বরী। আবার ধলেশ্বরী নদীর প্রশাখা হচ্ছে বুড়িগঙ্গা এবং পুরানো ব্রহ্মপুত্র নদীর প্রশাখা হচ্ছে শীতলক্ষ্যা।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে ঢোকার পর গঙ্গা নদী, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার সাথে নিম্নোক্ত একটা জায়গায় মেশে-
[ বিসিএস ১৭তম ]
বাংলাদেশের রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে পদ্মা নদী (ভারতীয় নাম ‘গঙ্গা’)। ব্রহ্মপুত্র-যমুনার সাথে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে মিশেছে। মিলিত প্রবাহ পদ্মা নামে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে এবং এরপর মেঘনা নামে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র –মেঘনার সম্মিলিত নদী অববাহিকার কত শতাংশ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত?
[ বিসিএস ১৫তম ]
ভারতের আসামের দুটি প্রধান স্রোতধারা দিবাং ও লোহিত ‘ব্রহ্মপুত্র’ নামে ৭২৫ কি.মি. ভেতর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রামের মাজহিয়ালীতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ও আরো অগ্রসর হয়ে যমুনা নামে গোয়ালন্দের নিকট পদ্মা (গঙ্গা) নদীর সাথে মিশেছে। তবে ব্রহ্মপুত্রের মূল স্রোতধারাটি দেওয়ানগঞ্জের কাছে দিক পরিবর্তন করে ভৈরববাজারের নিকট মেঘনা নদীর সাথে মিশেছে। ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা এ সম্মিলিত নদী অববাহিকার প্রায় ৩৩ শতাংশ বাংলাদেশে অবস্থিত।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে সারা বছর নাব্য নদীপথের দৈর্ঘ্য কত?
[ বিসিএস ১৫তম ]
বর্ষাকালে বাংলাদেশের নদীপথের দৈর্ঘ্য ৬,০০০ কিমি.। তবে দেশের নদীগুলোতে পলি পড়ে যাওয়ায় শুকনো মৌসুমে নদীপথ কমে আসছে। উল্লেখ্য, উপনদী ও শাখানদীসহ বাংলাদেশে নদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৪,১৪০ কি.মি.। নাব্য নদীপথের দৈর্ঘ্য ৫,২০০ কি.মি.।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ ও মিয়ানমার কোন নদী দ্বারা বিভক্ত?
[ বিসিএস ১৫তম ]
এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ৫৬ কিলোমিটার সীমানা নির্ধারণ করছে। ভাগীরথী ভারতের নদী, কর্ণফুলী পার্বত্য চট্টগ্রামের ওপর আসামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপত্তির পর রাঙামাটির উজানে বরকলের কিছু উত্তরে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ করে পরবর্তীতে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম জেলার ভেতর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে এবং নবগঙ্গা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ ‘দক্ষিণ তালপট্টি’ দ্বীপ কোন নদীর মোহনায় অবস্থিত?
[ বিসিএস ১৪তম ]
দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি সাতক্ষীরা জেলার দক্ষিণে সীমান্ত নদী হাড়িয়াভাঙ্গা ও রায়মঙ্গল নদীর মোহনায় অবস্থিত। এ দ্বীপটি বাংলাদেশের সীমানায় অবস্থিত হলেও ভারত এ দ্বীপের মালিকানা দাবি করে। ভারত এ দ্বীপের নাম দিয়েছে পূর্বাশা বা নিউমুর। ১৯৭৮ সালে ভাটার সময় এ দ্বীপের আয়তন ছিল প্রায় ৫ কিলোমিটার। বর্তমানে এ দ্বীপের কোনো অস্তিত্ব নেই।
প্রশ্নঃ পুনর্ভবা, নাগর, কুলিখ ও টাঙ্গন কোন নদীর উপনদী?
[ বিসিএস ১৪তম ]
| নদী | উপনদী |
|---|---|
| মহানন্দা | পুনর্ভবা, নাগর, কুলিখ, পাগলা ও টাঙ্গন প্রভৃতি। |
| মেঘনা | শীতলক্ষ্যা, গোমতী, ডাকাতিয়া, ধলেশ্বরী, ব্রহ্মপুত্র প্রভৃতি। |
প্রশ্নঃ যমুনা নদী কোথায় পতিত হয়েছে?
[ বিসিএস ১৪তম ]
হিমালয়ের কৈলাশ শৃঙ্গের মানস সরোবর থেকে উৎপত্তি লাভ করে যমুনা নদী বাংলাদেশের উত্তর অংশ দিয়ে প্রবেশ করে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ নামক স্থানে পদ্মার সাথে মিলিত হয়েছে। পদ্মা পরে চাঁদপুরের নিকট মেঘনার সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নামে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ ব্রহ্মপুত্র নদ হিমালয়ের কোন শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়েছে?
[ বিসিএস ১৩তম ]
ব্রহ্মপুত্র নদ হিমালয়ের কৈলাশ শৃঙ্গের মানস সরোবর হ্রদ থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বতে সানপো ও আসামে ব্রহ্মপুত্র ও ডিহং নামে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
প্রশ্নঃ বাকল্যান্ড বাঁধ কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
[ বিসিএস ১৩তম ]
ঢাকা শহরকে রক্ষা করার জন্য সদরঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে যে বাঁধ নির্মাণ করা হয় তাই ‘বাকল্যান্ড বাঁধ’ নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ গঙ্গা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাব-
[ বিসিএস ১২তম ]
গঙ্গা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি অভিন্ন নদী। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জঙ্গিপুর এলাকায় ফারাক্কা বাঁধ চালু করার পর এ নদীর পানি নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। এ সমস্যা নিরসনকল্পে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দু’একটি স্বল্পমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং তারপর সমঝোতার অভাবে কয়েক বছর চুক্তিহীনভাবে চলতে থাকে। অবশেষে ১৯৯৬ সালে ১২ ডিসেম্বর নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ ভবনে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ.ডি দেবগৌড়া বাংলাদেশ-ভারত ৩০ বছর মেয়াদি পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
প্রশ্নঃ ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য-
[ বিসিএস ১২তম ]
মূলত ভারত ও বাংলাদেশের নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি ও নদী সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন গঠিত। যৌথ নদী কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১৯৭২ সালের ২৫-২৬ জুন।
প্রশ্নঃ মহাস্থানগড় কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
[ বিসিএস ১১তম ]
বাংলার প্রাচীনতম জনপদ হলো বগুড়া জেলায় অবস্থিত মহাস্থানগড়, যা একসময় মৌর্য ও গুপ্ত বংশের রাজাদের রাজধানী ছিল। তখন এর নাম ছিল পুণ্ড্রনগর।