প্রশ্নঃ নিচের কোনটি সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নয়?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
Google - এটি একটি সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নয়।
Facebook, Instagram, এবং Twitter — এগুলো সবই সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যবহারকারীরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে, কনটেন্ট শেয়ার করতে এবং নেটওয়ার্কিং করতে পারেন।
Google মূলত একটি সার্চ ইঞ্জিন এবং অন্যান্য ডিজিটাল সার্ভিস যেমন Gmail, Google Maps, Google Drive ইত্যাদি প্রদান করে, কিন্তু এটি সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের অন্তর্ভুক্ত নয়।
Related MCQ
প্রশ্নঃ Cellular Data Network এর ক্ষেত্রে GPRS বলতে কী বুঝায়?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
Cellular Data Network এর ক্ষেত্রে GPRS বলতে বুঝায়:
General Packet Radio Service.
GPRS হলো ২G এবং ৩G সেলুলার নেটওয়ার্কের গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস (GSM)-এর একটি মোবাইল ডেটা স্ট্যান্ডার্ড। এটি একটি প্যাকেট-ভিত্তিক ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সার্ভিস যা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট, মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং (MMS) এবং অন্যান্য ডেটা সার্ভিস ব্যবহারের সুবিধা দিয়ে থাকে।
ইন্টারনেট জগতে হাইপার-লিঙ্কড ডকুমেন্টগুলোর কালেকশনকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (World Wide Web - WWW) বলে।
'MbPS' এর পূর্ণরূপ হলো **"Megabits Per Second"**।
এটি নেটওয়ার্কের ট্রান্সমিশন রেট বা ডাটা ট্রান্সফারের গতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা প্রতি সেকেন্ডে মেগাবিট পরিমাণ ডাটা স্থানান্তরের হার নির্দেশ করে।
- Megabit (Mb): ১ মেগাবিট = ১,০০০,০০০ বিট
- Per Second (PS): প্রতি সেকেন্ডে
এটি সাধারণত ইন্টারনেট স্পিড বা নেটওয়ার্ক সিস্টেমের পারফরম্যান্স পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রোটোকল হলো TCP/IP (Transmission Control Protocol/Internet Protocol)।
TCP/IP হলো প্রোটোকলের একটি সমষ্টি যা ইন্টারনেট এবং অন্যান্য অনুরূপ নেটওয়ার্কে ডেটা আদান-প্রদানের নিয়ম নির্ধারণ করে। এটি মূলত দুটি প্রধান প্রোটোকলের সমন্বয়ে গঠিত:
- TCP: এই প্রোটোকল ডেটাকে ছোট ছোট অংশে (প্যাকেট) বিভক্ত করে, সেগুলোকে নির্ভরযোগ্যভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া এবং প্রয়োজনে পুনরায় প্রেরণ করার নিশ্চয়তা দেয়।
- IP: এই প্রোটোকল প্রতিটি ডিভাইসের জন্য একটি অনন্য ঠিকানা (IP অ্যাড্রেস) নির্ধারণ করে এবং ডেটা প্যাকেটগুলোকে সঠিক গন্তব্যে রাউট করতে সাহায্য করে।
যদিও অন্যান্য প্রোটোকলও (যেমন HTTP, FTP, SMTP ইত্যাদি) তথ্য আদান-প্রদানে ব্যবহৃত হয়, তবে এগুলোর ভিত্তি হলো TCP/IP। TCP/IP ছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব নয়। তাই সামগ্রিকভাবে, ইন্টারনেটের তথ্য আদান-প্রদানের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রোটোকল হলো TCP/IP।
প্রশ্নঃ এক মেশিন থেকে অন্য মেশিনে ই-মেইল মেসেজ স্থানান্তর করতে কোন TCP/IP প্রটোকল ব্যবহার হয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো ঘঃ SMTP।
এক মেশিন থেকে অন্য মেশিনে ই-মেইল মেসেজ স্থানান্তর করার জন্য SMTP (Simple Mail Transfer Protocol) ব্যবহার করা হয়। এটি একটি স্ট্যান্ডার্ড ইন্টারনেট প্রোটোকল যা ই-মেইল বার্তা প্রেরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যখন আপনি একটি ই-মেইল পাঠান, আপনার মেইল ক্লায়েন্ট SMTP প্রোটোকল ব্যবহার করে আপনার মেইল সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করে এবং প্রাপকের মেইল সার্ভারে বার্তাটি ফরোয়ার্ড করে।
অন্যান্য প্রোটোকলগুলো ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়:
- FTP (File Transfer Protocol) (ক): এটি এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ফাইল স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়, ই-মেইল মেসেজের জন্য নয়।
- RPC (Remote Procedure Call) (খ): এটি একটি প্রোটোকল যা একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটারে অবস্থিত একটি পদ্ধতি (procedure) চালানোর অনুমতি দেয়। এটি ই-মেইল স্থানান্তরের জন্য সরাসরি ব্যবহৃত হয় না।
- SNMP (Simple Network Management Protocol) (গ): এটি নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলো (যেমন - রাউটার, সুইচ) পর্যবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়, ই-মেইল স্থানান্তরের জন্য নয়।
সুতরাং, ই-মেইল মেসেজ স্থানান্তর করার জন্য ব্যবহৃত TCP/IP প্রটোকল হলো SMTP।
4G (চতুর্থ প্রজন্ম) হলো ব্রডব্যান্ড সেলুলার নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির চতুর্থ প্রজন্ম। একটি সত্যিকারের 4G সিস্টেমকে অবশ্যই IMT-Advanced (International Mobile Telecommunications Advanced) -এর অধীনে ITU (International Telecommunication Union) কর্তৃক সংজ্ঞায়িত ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।
ITU-এর মতে, IMT-Advanced স্ট্যান্ডার্ডের অধীনে 4G নেটওয়ার্কের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এবং ক্ষমতা থাকা আবশ্যক, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- উচ্চ ডেটা স্থানান্তর হার: স্থিতিশীল বা কম গতিশীল পরিবেশে প্রায় 1 Gbps এবং উচ্চ গতিশীল পরিবেশে প্রায় 100 Mbps পর্যন্ত ডেটা প্রদানের সক্ষমতা।
- নিম্ন ল্যাটেন্সি: কম বিলম্বিতা, যা রিয়েল-টাইম অ্যাপ্লিকেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- উন্নত স্পেকট্রাল দক্ষতা: বেতার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কার্যকর ব্যবহার।
- প্যাকেট-ভিত্তিক নেটওয়ার্ক: সম্পূর্ণরূপে IP (ইন্টারনেট প্রোটোকল) ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- বিভিন্ন বেতার অ্যাক্সেস প্রযুক্তির সাথে আন্তঃকার্যকারিতা (Interworking): অন্যান্য বেতার প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করার ক্ষমতা।
- বিশ্বব্যাপী কার্যকারিতা এবং রোমিং: আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহারের এবং বিভিন্ন নেটওয়ার্কে নির্বিঘ্নে সংযোগ বজায় রাখার সক্ষমতা।
প্রশ্নঃ Piconet কী?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ Bluetooth Network।
পিকোনেট (Piconet) হলো একটি অ্যাড-হক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যা ব্লুটুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি হয়। একটি পিকোনেটে সর্বোচ্চ আটটি ডিভাইস (একটি মাস্টার এবং সাতটি স্লেভ) একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারে। মাস্টার ডিভাইসটি পিকোনেটের যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্লেভ ডিভাইসগুলো মাস্টারের সাথে সংযুক্ত থাকে।
অন্যান্য বিকল্পগুলো পিকোনেট নয়:
- Wifi Network (ক): ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক একটি ভিন্ন ধরনের বেতার যোগাযোগ প্রযুক্তি যা সাধারণত বৃহত্তর পরিসরে এবং উচ্চতর ডেটা স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- Wide Area Network (খ): ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN) একটি বৃহৎ ভৌগোলিক অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক, যেমন ইন্টারনেট।
- 5G Network (ঘ): ৫জি হলো মোবাইল কমিউনিকেশন প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্ম, যা উচ্চ গতি এবং কম ল্যাটেন্সি প্রদান করে, কিন্তু এটি ব্লুটুথ নেটওয়ার্কের ধারণা থেকে ভিন্ন।
সুতরাং, পিকোনেট হলো ব্লুটুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে গঠিত একটি ছোট আকারের ব্যক্তিগত বেতার নেটওয়ার্ক।
প্রশ্নঃ RFID বলতে বােঝায়-
[ বিসিএস ৪৩তম ]
RFID (Radio-Frequency Identification) হল একটি তারবিহীন যোগাযোগ প্রযুক্তি, যা রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করে।
RFID-এর মূল ধারণা:
RFID ট্যাগ: এতে ইলেকট্রনিক চিপ ও অ্যান্টেনা থাকে, যা তথ্য সংরক্ষণ ও পাঠাতে সাহায্য করে।
RFID রিডার: এটি RFID ট্যাগের তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
ডাটাবেস: RFID রিডার প্রাপ্ত তথ্য প্রক্রিয়া করে সংরক্ষিত ডাটার সাথে মিলিয়ে দেখে।
RFID প্রযুক্তির ব্যবহার:
✔ পণ্য ট্র্যাকিং (স্টোর, গুদাম)
✔ পরিচয় যাচাই (পাসপোর্ট, স্মার্ট কার্ড)
✔ গাড়ির টোল সিস্টেম (স্বয়ংক্রিয় টোল সংগ্রহ)
✔ স্বাস্থ্যসেবা (রোগীর তথ্য সংরক্ষণ)
✔ পশুপালন (গরু, কুকুরের পরিচয় শনাক্তকরণ)
প্রশ্নঃ কোন মাধ্যমে আলাের পালস্ ব্যবহৃত হয়?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
আলোর পালস মানে হচ্ছে — ডাটা ট্রান্সমিশনের জন্য আলো ব্যবহার করা, যা সাধারণত ঘটে: অপটিক্যাল ফাইবার-এ।
বিশ্লেষণ:
- তামার তার (Copper wire): ইলেকট্রিক সিগন্যাল বহন করে
- কো-এক্সিয়াল ক্যাবল: ইলেকট্রিক সিগন্যাল বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়
- ওয়্যারলেস মিডিয়া: রেডিও/মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল ব্যবহার করে
- অপটিক্যাল ফাইবার: আলো (light pulses) ব্যবহার করে, যার মাধ্যমে অনেক দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য ডাটা ট্রান্সমিশন সম্ভব
প্রশ্নঃ কোন চিহ্নটি ই-মেইল ঠিকানায় অবশ্যই থাকবে?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
ই-মেইল ঠিকানায় "@" (অ্যাট)" চিহ্নটি অবশ্যই থাকবে।
ব্যাখ্যা:
"@" চিহ্ন ই-মেইল ঠিকানার বিষয়বস্তু ও ডোমেইনের মধ্যে বিভাজন নির্দেশ করে।
উদাহরণ: username@example.com
- "username" হলো ব্যবহারকারীর নাম
- "example.com" হলো ডোমেইন
প্রয়োজনীয়তা:
- ই-মেইল প্রোটোকল অনুসারে "@" চিহ্ন ছাড়া ই-মেইল ঠিকানা বৈধ নয়।
- এটি ব্যবহারকারী ও সার্ভার পৃথক করতে সাহায্য করে।
সঠিক উত্তর হল কঃ Simplex।
কিবোর্ড শুধুমাত্র সিপিইউ-তে ডেটা পাঠাতে পারে, সিপিইউ থেকে কোনো ডেটা গ্রহণ করে না। এই ধরনের একমুখী ডেটা trasmission পদ্ধতিকে Simplex বলে।
অন্যান্য পদ্ধতিগুলো হল:
- Duplex: উভয় দিকে একই সাথে ডেটা transmission এর পদ্ধতি।
- Half duplex: উভয় দিকে ডেটা transmission এর পদ্ধতি, তবে একই সময়ে নয়।
- Triplex: ডেটা transmission এর এই ধরনের কোনো বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি নেই। সাধারণত Simplex, Half duplex এবং Full duplex এই তিনটি প্রধান পদ্ধতি প্রচলিত।
প্রশ্নঃ Blockchain-এর প্রতিটি block কী তথ্য বহন করে?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
সঠিক উত্তর হল ঘঃ উপরের সবগুলাে।
Blockchain-এর প্রতিটি block নিম্নলিখিত তথ্যগুলো বহন করে:
- A hash pointer to the previous block: প্রতিটি ব্লকের মধ্যে আগের ব্লকের একটি হ্যাশ (একটি অনন্য কোড) থাকে। এই হ্যাশ লিঙ্কের মতো কাজ করে এবং চেইনটিকে অক্ষত রাখে। এর মাধ্যমেই একটি ব্লক তার পূর্ববর্তী ব্লকের সাথে যুক্ত থাকে।
- Timestamp: প্রতিটি ব্লক কখন তৈরি হয়েছে তার একটি টাইমস্ট্যাম্প থাকে। এটি ব্লকের ক্রম এবং কখন লেনদেনগুলো নথিভুক্ত হয়েছে তা প্রমাণ করে।
- List of transactions: একটি ব্লকের মধ্যে সেই সময়ে সংঘটিত লেনদেনগুলোর তালিকা থাকে। এই লেনদেনগুলোই ব্লকচেইনের মূল ডেটা।
এই তিনটি তথ্য একটি ব্লকের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তিকে সুরক্ষিত ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে।
প্রশ্নঃ নিচের কোনটি Bluetooth-এর IEEE standard?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
সঠিক উত্তর হল IEEE 802.15.1।
Bluetooth এর IEEE স্ট্যান্ডার্ড হল 802.15.1। এটি Institute of Electrical and Electronics Engineers (IEEE) কর্তৃক নির্ধারিত ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্কস (WPANs) স্ট্যান্ডার্ডের একটি অংশ।
প্রশ্নঃ নিচের কোন ডিভাইসটি ডিজিটাল সিগন্যালকে অ্যানালগ সিগন্যালে পরিবর্তনে ব্যবহৃত হয়?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
সঠিক উত্তর হল গঃ Modem।
Modem (Modulator-Demodulator) এমন একটি ডিভাইস যা ডিজিটাল সিগন্যালকে অ্যানালগ সিগন্যালে (Modulation) এবং অ্যানালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে (Demodulation) পরিবর্তন করতে ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটারের ডিজিটাল ডেটা টেলিফোন লাইনের অ্যানালগ সিগন্যালে প্রেরণের জন্য মডেম মডুলেশন করে এবং অ্যানালগ সিগন্যালকে কম্পিউটারের বোধগম্য ডিজিটাল ডেটায় রূপান্তর করার জন্য ডিমডুলেশন করে।
অন্যান্য ডিভাইসগুলোর কাজ ভিন্ন:
- Router: এটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যা ডেটা প্যাকেটকে তাদের গন্তব্যে পাঠানোর জন্য সর্বোত্তম পথ খুঁজে বের করে।
- Switch: এটিও একটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যা একই নেটওয়ার্কের মধ্যে ডিভাইসগুলোর মধ্যে ডেটা প্যাকেট ফরোয়ার্ড করে।
- HUB: এটি একটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যা এর সাথে সংযুক্ত সকল ডিভাইসের কাছে আসা ডেটা প্যাকেট সম্প্রচার করে।
প্রশ্নঃ ব্লুটুথ কত দূরত্ব পর্যন্ত কাজ করে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ব্লুটুথের কার্যকরী দূরত্ব নির্ভর করে এর ক্লাসের উপর। ব্লুটুথ মূলত তিনটি ক্লাসে বিভক্ত:
-
ক্লাস ১: এই ব্লুটুথের trasmission ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি, প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত এটি কাজ করতে পারে। তবে উভয় ডিভাইসই ক্লাস ১ এর হতে হবে এই দূরত্বে সংযোগ স্থাপনের জন্য। এটি সাধারণত শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
-
ক্লাস ২: এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ব্লুটুথ ক্লাস। এর কার্যকরী দূরত্ব প্রায় ১০ মিটার। স্মার্টফোন, হেডফোন এবং অন্যান্য ভোক্তা ইলেকট্রনিক্সে এই ক্লাসটিই সাধারণত দেখা যায়।
-
ক্লাস ৩: এটি সবচেয়ে কম শক্তিশালী এবং এর কার্যকরী দূরত্ব মাত্র ১ মিটার পর্যন্ত। এটি খুব কম ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং, সাধারণভাবে বলা যায়, ব্লুটুথ ১০ মিটার পর্যন্ত ভালো কাজ করে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এবং ডিভাইসগুলোর ক্লাসের উপর নির্ভর করে এই দূরত্ব কম বা বেশি হতে পারে।
প্রশ্নঃ নিচের কোনটির যোগাযোগের দূরত্ব সবচেয়ে কম?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো Bluetooth।
নিচে প্রতিটি বিকল্পের স্বাভাবিক যোগাযোগের দূরত্ব উল্লেখ করা হলো:
- Wi-Fi: সাধারণত ইনডোরে প্রায় ১০-৫০ মিটার এবং আউটডোরে আরও বেশি দূরত্ব পর্যন্ত কাজ করতে পারে। তবে এটি রাউটার এবং পরিবেশের উপর নির্ভর করে।
- Bluetooth: সাধারণত ১০ মিটার পর্যন্ত কাজ করে। কিছু উন্নত ব্লুটুথ ডিভাইস আরও বেশি দূরত্বে (যেমন ক্লাস ১ ব্লুটুথ প্রায় ১০০ মিটার) কাজ করতে পারে, তবে দৈনন্দিন ব্যবহারের ডিভাইসগুলোতে এই দূরত্ব কম থাকে।
- Wi-Max: এটি একটি দীর্ঘ-দূরত্বের যোগাযোগ প্রযুক্তি, যা কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। এটি মূলত মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN) তৈরির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
- Cellular network: এটি মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক যা কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত একটি সেল টাওয়ারের আওতায় কাজ করে।
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে Bluetooth এর যোগাযোগের দূরত্ব সবচেয়ে কম।
প্রশ্নঃ RFID বলতে বোঝায়-
[ বিসিএস ৪১তম ]
RFID এর পূর্ণরূপ হলো Radio Frequency Identification.
এটি একটি ওয়্যারলেস যোগাযোগ প্রযুক্তি যা রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোনো বস্তু বা ব্যক্তিকে শনাক্ত এবং ট্র্যাক করতে ব্যবহৃত হয়। একটি RFID সিস্টেমে সাধারণত দুটি প্রধান অংশ থাকে:
-
RFID ট্যাগ: এটি একটি ছোট ইলেকট্রনিক ডিভাইস যাতে একটি মাইক্রোচিপ এবং একটি অ্যান্টেনা থাকে। এই চিপে একটি নির্দিষ্ট শনাক্তকরণ নম্বর (ID) সহ অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করা যেতে পারে। ট্যাগগুলো সক্রিয় (ব্যাটারিযুক্ত) বা নিষ্ক্রিয় (রিডারের পাঠানো রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে শক্তি গ্রহণ করে) হতে পারে।
-
RFID রিডার: এই ডিভাইসটি রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে ট্যাগ থেকে তথ্য পড়ে। রিডারে একটি অ্যান্টেনা থাকে যা রেডিও তরঙ্গ পাঠায় এবং ট্যাগ থেকে আসা সংকেত গ্রহণ করে। প্রাপ্ত তথ্য তারপর প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি কম্পিউটার সিস্টেমে পাঠানো হয়।
RFID কিভাবে কাজ করে:
যখন একটি RFID ট্যাগ একটি RFID রিডারের কাছাকাছি আসে, তখন রিডার একটি রেডিও সংকেত পাঠায়। যদি ট্যাগটি নিষ্ক্রিয় হয়, তবে এটি রিডারের পাঠানো তরঙ্গ থেকে সামান্য শক্তি সংগ্রহ করে এবং তার মধ্যে সঞ্চিত তথ্য রিডারের কাছে ফেরত পাঠায়। সক্রিয় ট্যাগগুলির নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎস থাকে এবং তারা নিজেরাই সংকেত পাঠাতে পারে। রিডার সেই সংকেত গ্রহণ করে এবং ডেটা ডিকোড করে কম্পিউটার সিস্টেমে পাঠায়।
প্রশ্নঃ H.323 Protocol সাধারণত কি কাজে ব্যবহৃত হয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
H.323 প্রোটোকল সাধারণত VoIP (Voice over Internet Protocol) এবং ভিডিও কনফারেন্সিং এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
সহজভাবে বলতে গেলে, এটি এমন একটি প্রোটোকল যা প্যাকেট-ভিত্তিক নেটওয়ার্কের (যেমন ইন্টারনেট) মাধ্যমে অডিও, ভিডিও এবং ডেটা আদান-প্রদান করার জন্য নিয়মকানুন নির্ধারণ করে। এর মূল কাজ হলো বিভিন্ন সিস্টেম এবং ডিভাইসের মধ্যে আন্তঃকার্যকারিতা (interoperability) নিশ্চিত করা, যাতে ব্যবহারকারীরা নির্বিঘ্নে যোগাযোগ করতে পারে।
H.323 প্রোটোকল নিম্নলিখিত কাজগুলোতে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়:
- ভয়েস কল (VoIP): ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভয়েস ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করার জন্য।
- ভিডিও কনফারেন্সিং: একাধিক অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ভিডিও এবং অডিও সংযোগ স্থাপন করার জন্য।
- মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন: গ্রাফিক্স এবং টেক্সট ডকুমেন্ট স্থানান্তর এবং শেয়ার করার জন্য।
H.323 একটি পুরনো এবং জটিল প্রোটোকল হলেও, এটি দীর্ঘকাল ধরে ভয়েস এবং ভিডিও যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে SIP (Session Initiation Protocol) নামক আরেকটি প্রোটোকল VoIP এবং ভিডিও কনফারেন্সিং এর জন্য বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, তবে H.323 এখনও অনেক পুরনো সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ Bluetooth কিসের উদাহরণ?
[ বিসিএস ৪০তম ]
ব্লুটুথ হলো স্বল্প-দূরত্বের ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন প্রযুক্তি। এটি সাধারণত ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয় এবং খুব কম দূরত্বে (সাধারণত ১০ মিটারের মধ্যে, ক্ষেত্রবিশেষে ১০০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে) ডিভাইসগুলোর মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করতে ব্যবহৃত হয়। এই কারণে, ব্লুটুথ Personal Area Network (PAN)-এর একটি উদাহরণ।
অন্যান্য বিকল্পগুলোর ব্যাখ্যা:
- Local Area Network (LAN): এটি একটি সীমিত ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে (যেমন - বাড়ি, অফিস, স্কুল) কম্পিউটার এবং অন্যান্য ডিভাইসগুলোকে সংযুক্ত করে। ব্লুটুথের কভারেজ এর থেকে অনেক কম।
- Virtual Private Network (VPN): এটি একটি পাবলিক নেটওয়ার্কের (যেমন ইন্টারনেট) উপর একটি সুরক্ষিত এবং এনক্রিপ্টেড সংযোগ তৈরি করে, যা ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা রক্ষা করে। ব্লুটুথ ডেটা সংযোগের একটি মাধ্যম, কোনো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক নয়।
প্রশ্নঃ মোবাইল ফোনে কোন Mode এর যোগাযোগ হয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
মোবাইল ফোনে সাধারণত Full-duplex মোডের যোগাযোগ হয়।
Full-duplex যোগাযোগ ব্যবস্থায় একই সময়ে উভয় প্রান্ত থেকে ডেটা আদান-প্রদান করা সম্ভব। অর্থাৎ, যখন একজন কথা বলেন, অন্যজন একই সাথে শুনতে পারেন এবং তিনিও কথা বলতে পারেন। টেলিফোন এবং মোবাইল ফোনের কথোপকথন এই Full-duplex ব্যবস্থার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
অন্যান্য মোডগুলোর ব্যাখ্যা:
- Simplex: এই মোডে যোগাযোগ একমুখী হয়, অর্থাৎ শুধুমাত্র একজন ডেটা পাঠাতে পারে এবং অন্যজন শুধুমাত্র গ্রহণ করতে পারে (যেমন: রেডিও সম্প্রচার)।
- Half-duplex: এই মোডে উভয় প্রান্ত থেকেই ডেটা আদান-প্রদান করা যায়, তবে একই সময়ে নয়। যখন একজন ডেটা পাঠায়, তখন অন্যজনকে অপেক্ষা করতে হয় এবং ডেটা পাঠানো শেষ হলে সে পাঠাতে পারে (যেমন: ওয়াকি-টকি)।
যেহেতু মোবাইল ফোনে একই সাথে কথা বলা ও শোনা যায়, তাই এটি Full-duplex যোগাযোগের উদাহরণ।
প্রশ্নঃ TV Remote এর Carrier Frequency-র Range কত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
টিভি রিমোট সাধারণত Infrared range এর ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে।
যদিও কিছু আধুনিক রিমোট রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (RF) ব্যবহার করতে পারে, তবে বেশিরভাগ টিভি রিমোট ইনফ্রারেড (IR) রশ্মি ব্যবহার করে। ইনফ্রারেড রশ্মি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের একটি অংশ, যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোর চেয়ে দীর্ঘ এবং মাইক্রোওয়েভের চেয়ে ছোট।
ইনফ্রারেড রশ্মির ফ্রিকোয়েন্সি প্রায় 300 GHz থেকে 430 THz পর্যন্ত বিস্তৃত। টিভি রিমোট কন্ট্রোলে ব্যবহৃত ইনফ্রারেড এলইডি সাধারণত 940 ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো নির্গত করে, যা প্রায় 320 THz ফ্রিকোয়েন্সির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই ফ্রিকোয়েন্সি মানব চোখে দৃশ্যমান নয়।
রিমোট কন্ট্রোল একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে (সাধারণত প্রায় 38 kHz) ইনফ্রারেড আলো মড্যুলেট করে ডেটা প্রেরণ করে। টিভি রিসিভার সেই নির্দিষ্ট মড্যুলেশন ফ্রিকোয়েন্সিতে টিউন করা থাকে এবং অন্য কোনো ইনফ্রারেড সংকেতকে উপেক্ষা করে।
প্রশ্নঃ কোন মাধ্যমে আলোর পালস ব্যবহৃত হয়?
[ বিসিএস ৩৮তম ]
আলোর পালস প্রধানত অপটিক্যাল ফাইবার (Optical Fiber) মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়।
অপটিক্যাল ফাইবার হলো অত্যন্ত সরু ও নমনীয় কাচ বা প্লাস্টিকের তন্তু, যার মধ্য দিয়ে আলোর সিগনাল (পালস আকারে) সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন নীতির উপর ভিত্তি করে ভ্রমণ করে। এই পদ্ধতিতে ডেটা আলোর গতিতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়।
এর প্রধান ব্যবহারগুলো হলো:
- টেলিযোগাযোগ: ইন্টারনেট, টেলিফোন এবং অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থায় দ্রুত ডেটা স্থানান্তরের জন্য অপটিক্যাল ফাইবার বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত হয়। সাবমেরিন কেবলের মতো বৃহৎ নেটওয়ার্কগুলিতেও আলোর পালস ব্যবহার করে ডেটা আদান-প্রদান করা হয়।
- মেডিকেল ক্ষেত্র: এন্ডোস্কোপির মতো চিকিৎসা পদ্ধতিতে শরীরের অভ্যন্তর দেখতে বা লেজার চিকিৎসার ক্ষেত্রে আলোর পালস ব্যবহার করা হয়।
- সেন্সর: বিভিন্ন সেন্সরে আলোর পালস ব্যবহার করে তাপমাত্রা, চাপ বা অন্যান্য পরিবেশগত পরিবর্তন পরিমাপ করা হয়।
আলোর পালস ব্যবহারের মূল সুবিধা হলো এর উচ্চ গতি এবং কম শক্তি ক্ষয়, যা একে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ডেটা স্থানান্তরের জন্য আদর্শ করে তোলে।
প্রশ্নঃ ই-মেইল গ্রহণ করার অধিক ব্যবহৃত প্রোটকল কোনটি?
[ বিসিএস ৩৮তম ]
ই-মেইল গ্রহণ করার জন্য দুটি প্রধান প্রোটোকল ব্যবহৃত হয়:
১. POP3 (Post Office Protocol 3): এটি ই-মেইল গ্রহণ করার জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি প্রোটোকল। POP3 ব্যবহার করলে ই-মেইল সার্ভার থেকে আপনার ডিভাইসে (কম্পিউটার বা ফোন) ডাউনলোড হয়ে যায় এবং সাধারণত সার্ভার থেকে মুছে যায়। এর ফলে আপনি অফলাইনেও ই-মেইল পড়তে পারেন, তবে অন্য কোনো ডিভাইস থেকে সেই ই-মেইলগুলো অ্যাক্সেস করতে পারবেন না যদি সেগুলো সার্ভার থেকে মুছে যায়।
২. IMAP (Internet Message Access Protocol): এটিও ই-মেইল গ্রহণ করার জন্য একটি জনপ্রিয় প্রোটোকল। IMAP ব্যবহার করলে ই-মেইলগুলো সার্ভারেই থাকে এবং আপনার ডিভাইসে শুধু একটি কপি ডাউনলোড হয়। এর সুবিধা হলো, আপনি একাধিক ডিভাইস থেকে আপনার ই-মেইল অ্যাক্সেস করতে পারবেন এবং সব ডিভাইসেই ই-মেইলের অবস্থা (পড়া, না পড়া, ডিলিট করা ইত্যাদি) সিনক্রোনাইজড থাকবে। বর্তমান যুগে, যখন মানুষ একাধিক ডিভাইস থেকে ই-মেইল ব্যবহার করে, তখন IMAP বেশি সুবিধাজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।
যদিও দুটি প্রোটোকলই ই-মেইল গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হয়, POP3 ঐতিহ্যগতভাবে "অধিক ব্যবহৃত" হিসেবে পরিচিত ছিল, বিশেষ করে যখন ইন্টারনেট সংযোগ সবসময় সহজলভ্য ছিল না এবং ব্যবহারকারীরা তাদের ই-মেইল অফলাইনে পড়তে চাইত। তবে বর্তমানে একাধিক ডিভাইসে ই-মেইল সিনক্রোনাইজেশনের সুবিধার কারণে IMAP এর ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে POP3 এর চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে, বিশেষ করে ওয়েবভিত্তিক ই-মেইল পরিষেবাগুলিতে।
তবে যদি একটি নির্দিষ্ট প্রোটোকলের কথা বলতে হয় যা এখনও সাধারণভাবে "অধিক ব্যবহৃত" হিসাবে উল্লেখ করা হয়, তবে তা হলো POP3।
(উল্লেখ্য: ই-মেইল পাঠানোর জন্য SMTP (Simple Mail Transfer Protocol) ব্যবহৃত হয়।)
প্রশ্নঃ কোন চিহ্নটি ই-মেইল ঠিকানায় অবশ্যই থাকবে?
[ বিসিএস ৩৮তম ]
ই-মেইল ঠিকানায় অবশ্যই "@" (এট সাইন) চিহ্নটি থাকবে।
এই চিহ্নটি ব্যবহারকারীর নাম (user name) এবং ডোমেইন নামের (domain name) মধ্যে বিভাজক হিসেবে কাজ করে। যেমন: username@example.com এখানে username হলো ব্যবহারকারীর নাম এবং example.com হলো ডোমেইন নাম।
প্রশ্নঃ IP-V6 এড্রেস কত বিটের?
[ বিসিএস ৩৭তম ]
IPv6 এর প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
- ঠিকানার দৈর্ঘ্য: IPv6 ঠিকানা ১২৮ বিট (bit) দীর্ঘ হয়। এর বিপরীতে, IPv4 ঠিকানা ৩২ বিট দীর্ঘ। এই ১২৮ বিট দীর্ঘ ঠিকানা প্রায় $3.4 \times 10^{38}$ টি অনন্য ঠিকানা তৈরি করতে পারে, যা বিশ্বের প্রতিটি ডিভাইসকে একটি করে ঠিকানা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
- ঠিকানার বিন্যাস: IPv6 ঠিকানাগুলি আটটি ১৬-বিট হেক্সাডেসিমেল (hexadecimal) সংখ্যার গ্রুপে লেখা হয়, যেখানে প্রতিটি গ্রুপ কোলন (:) দ্বারা পৃথক করা হয়।
* সংক্ষিপ্ত রূপ: সুবিধার জন্য, IPv6 ঠিকানাগুলোকে সংক্ষিপ্ত আকারে লেখা যায়।
* প্রতিটি গ্রুপে শুরুতে থাকা শূন্য (leading zeros) বাদ দেওয়া যায়। যেমন, `0db8` কে `db8` লেখা যায়।
* এক বা একাধিক ধারাবাহিক শূন্যের গ্রুপকে একটি ডাবল কোলন (::) দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায়। তবে, একটি ঠিকানায় শুধুমাত্র একবার `::` ব্যবহার করা যায়।
* উদাহরণ: `2001:0db8:0000:0000:0000:8a2e:0370:7334` কে `2001:db8::8a2e:0370:7334` লেখা যায়।
- উন্নত কার্যকারিতা: IPv6 উন্নত রাউটিং দক্ষতা, স্বয়ংক্রিয় কনফিগারেশন, এবং এন্ড-টু-এন্ড সংযোগ নিরাপত্তা প্রদান করে।
- IPSec অন্তর্ভুক্তি: IPv6 প্রোটোকলে IPsec (Internet Protocol Security) অন্তর্নির্মিত থাকে, যা IPv4-এ ঐচ্ছিক ছিল। এটি নেটওয়ার্ক স্তরে ডেটা এনক্রিপশন এবং প্রমাণীকরণ নিশ্চিত করে।
- মোবাইল সমর্থন: এটি মোবাইল ডিভাইস এবং অন্যান্য গতিশীল যন্ত্রাংশের জন্য উন্নত সমর্থন প্রদান করে।
IPv4 ঠিকানার সংকটের কারণে, ভবিষ্যতে ইন্টারনেট জুড়ে IPv6 এর ব্যবহার আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রশ্নঃ ই-মেইল আদান প্রদানে ব্যবহৃত SMTP-এর পূর্ণরূপ কি?
[ বিসিএস ৩৭তম ]
ই-মেইল (Email) হলো ইলেকট্রনিক মেইল-এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যা ডিজিটাল বার্তা আদান-প্রদানের একটি পদ্ধতি। এটি ইন্টারনেট ব্যবহার করে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে বার্তা (টেক্সট, ছবি, ভিডিও, ফাইল ইত্যাদি) পাঠানোর সুযোগ দেয়।
ই-মেইল আদান-প্রদানের প্রক্রিয়া:
ই-মেইল আদান-প্রদানের জন্য সাধারণত কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা হয়:
১. ই-মেইল ক্লায়েন্ট বা ওয়েবমেইল ব্যবহার: প্রেরক তার কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসে একটি ই-মেইল ক্লায়েন্ট অ্যাপ্লিকেশন (যেমন Microsoft Outlook, Mozilla Thunderbird) অথবা একটি ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ওয়েবমেইল সেবা (যেমন Gmail, Yahoo Mail, Outlook.com) ব্যবহার করে ই-মেইল তৈরি করেন।
২. বার্তা লেখা: প্রেরক প্রাপকের ই-মেইল ঠিকানা, বার্তার বিষয় (Subject) এবং মূল বার্তা (Body) লেখেন। প্রয়োজনে ফাইল (Attachment) যুক্ত করা যায়।
৩. ই-মেইল পাঠানো: প্রেরক 'Send' বোতামে ক্লিক করার সাথে সাথে ই-মেইলটি প্রেরকের আউটগোয়িং মেইল সার্ভারে (SMTP Server) পাঠানো হয়।
৪. সার্ভার থেকে সার্ভারে যাত্রা: আউটগোয়িং সার্ভার প্রাপকের ই-মেইল ঠিকানা বিশ্লেষণ করে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রাপকের ইনকামিং মেইল সার্ভারে (POP3 বা IMAP Server) ই-মেইলটি পৌঁছে দেয়। এই সার্ভারগুলো মূলত ডেটা গ্রহণ, সংরক্ষণ এবং বিতরণের কাজ করে।
৫. ই-মেইল গ্রহণ: প্রাপক যখন তার ই-মেইল ক্লায়েন্ট বা ওয়েবমেইল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করেন, তখন তাদের ইনকামিং মেইল সার্ভার থেকে ই-মেইলগুলো তাদের ইনবক্সে ডাউনলোড হয় বা প্রদর্শিত হয়।
ই-মেইলের সুবিধা:
- দ্রুততা: দ্রুততার সাথে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বার্তা পাঠানো যায়।
- খরচ-কার্যকরী: ঐতিহ্যবাহী ডাক পরিষেবার চেয়ে অনেক কম ব্যয়বহুল, অনেক সেবা বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
- কাগজবিহীন: পরিবেশবান্ধব এবং কাগজের ব্যবহার কমায়।
- সংযুক্তি: টেক্সট বার্তার সাথে ফাইল, ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্ট ইত্যাদি সংযুক্ত করা যায়।
- রেকর্ড: প্রেরিত ও গৃহীত বার্তার ডিজিটাল রেকর্ড রাখা যায়।
ই-মেইল ব্যক্তিগত যোগাযোগ থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা এবং পেশাগত ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ TCP দিয়ে কোনটি বোঝানো হয়?
[ বিসিএস ৩৭তম ]
টিসিপি (TCP) বলতে ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রোটোকল (Transmission Control Protocol) বোঝানো হয়।
এটি ইন্টারনেট প্রোটোকল সুইটের (TCP/IP Suite) অন্যতম প্রধান প্রোটোকল। টিসিপি একটি নির্ভরযোগ্য (reliable) এবং সংযোগ-ভিত্তিক (connection-oriented) প্রোটোকল, যা ইন্টারনেটে ডিভাইসগুলোর মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান নিশ্চিত করে।
টিসিপি-এর প্রধান কাজগুলো:
- নির্ভরযোগ্য ডেটা ডেলিভারি: টিসিপি নিশ্চিত করে যে পাঠানো ডেটাগুলো সঠিক ক্রমে, অক্ষত অবস্থায় এবং কোনো ত্রুটি ছাড়াই প্রাপকের কাছে পৌঁছাচ্ছে। যদি কোনো ডেটা প্যাকেট হারিয়ে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, টিসিপি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি পুনরায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
- সংযোগ স্থাপন ও সমাপ্তি: ডেটা আদান-প্রদান শুরু করার আগে টিসিপি প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করে (যাকে 'থ্রি-ওয়ে হ্যান্ডশেক' বলা হয়)। ডেটা আদান-প্রদান শেষ হলে এটি যথাযথভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।
- ডেটা সেগমেন্টেশন ও পুনঃসংযোজন: টিসিপি অ্যাপ্লিকেশন থেকে আসা ডেটাকে ছোট ছোট প্যাকেটে (সেগমেন্ট) ভাগ করে, যা ইন্টারনেটে পাঠানো সহজ হয়। প্রাপক প্রান্তে এই সেগমেন্টগুলোকে আবার একত্রিত করে মূল ডেটা তৈরি করে।
- ফ্লো কন্ট্রোল (Flow Control): এটি ডেটা প্রবাহের গতি নিয়ন্ত্রণ করে যাতে দ্রুত ডেটা পাঠাতে থাকা প্রেরক ধীরগতির প্রাপককে অভিভূত না করে।
- কনজেশন কন্ট্রোল (Congestion Control): টিসিপি নেটওয়ার্কের ভিড় বা চাপ কমাতে সাহায্য করে ডেটা পাঠানোর গতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ই-মেইল (Email), ওয়েব ব্রাউজিং (HTTP/HTTPS), ফাইল ট্রান্সফার (FTP) এর মতো ইন্টারনেটের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ্লিকেশনের জন্য টিসিপি ব্যবহার করা হয়, কারণ এগুলো ডেটার নির্ভুল এবং সঠিক ক্রমে পৌঁছানো নিশ্চিত করে।
প্রশ্নঃ ওয়াই-ফাই (Wi-Fi) নেটওয়ার্কে সংযোগের জন্য সংশ্লিষ্ট ডিভাইসটির সংযোগ মাধ্যম কোনটি?
[ বিসিএস ৩৭তম ]
ওয়াই-ফাই (Wi-Fi) হলো ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (Wireless Local Area Network - WLAN) প্রযুক্তির একটি ব্র্যান্ড নাম যা ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোকে বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে ইন্টারনেট বা অন্যান্য নেটওয়ার্ক ডিভাইসের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে দেয়।
এটি IEEE 802.11 স্ট্যান্ডার্ডের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
ওয়াই-ফাই এর প্রধান বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা:
১. বেতার সংযোগ: ওয়াই-ফাই ফিজিক্যাল কেবল বা তারের প্রয়োজন ছাড়াই ডিভাইসগুলোকে (যেমন স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, স্মার্ট টিভি) একে অপরের সাথে এবং ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করে।
২. রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার: এটি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (2.4 GHz এবং 5 GHz ব্যান্ড) ব্যবহার করে ডেটা প্রেরণ করে।
৩. অ্যাক্সেস পয়েন্ট (Access Point - AP): একটি ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক সাধারণত একটি রাউটার বা অ্যাক্সেস পয়েন্টের মাধ্যমে কাজ করে। রাউটার ইন্টারনেট সংযোগ গ্রহণ করে এবং এটিকে বেতার সংকেতে রূপান্তরিত করে, যা ওয়াই-ফাই সক্ষম ডিভাইসগুলো গ্রহণ করতে পারে।
৪. সুবিধা:
- সুবিধা: ব্যবহারকারীরা তারের সীমাবদ্ধতা ছাড়াই যেকোনো জায়গা থেকে নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস করতে পারে (নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে)।
- গতিশীলতা: ডিভাইসগুলো নেটওয়ার্কের সীমার মধ্যে অবাধে চলাচল করতে পারে।
- মাল্টিপল ডিভাইস: একটি অ্যাক্সেস পয়েন্টের সাথে একাধিক ডিভাইস একই সাথে সংযুক্ত হতে পারে।
- সহজ সেটআপ: তুলনামূলকভাবে সেটআপ করা সহজ।
৫. নিরাপত্তা: ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কগুলোতে সাধারণত এনক্রিপশন প্রোটোকল (যেমন WEP, WPA, WPA2, WPA3) ব্যবহার করা হয় অননুমোদিত অ্যাক্সেস রোধ করার জন্য।
ওয়াই-ফাই দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে, যা বাড়ি, অফিস, কফি শপ, বিমানবন্দর এবং অন্যান্য জনসমাগম স্থলে দ্রুত ইন্টারনেট অ্যাক্সেস প্রদান করে।
প্রশ্নঃ মোবাইল টেলিফোনের লাইনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়–
[ বিসিএস ৩৬তম ]
মোবাইল টেলিফোনের লাইনের মধ্য দিয়ে প্রধানত তড়িৎশক্তি এবং আধুনিক ফাইবার অপটিক লাইনের ক্ষেত্রে আলোকশক্তি প্রবাহিত হয়।
বিকল্পগুলোর মধ্যে, খঃ তড়িৎশক্তি একটি সঠিক উত্তর। কারণ, মোবাইল নেটওয়ার্কের তারযুক্ত অংশে (যেমন কপার তার বা এমনকি ফাইবার অপটিকের আগে ও পরে সিগন্যাল প্রক্রিয়াকরণের জন্য) তথ্য সাধারণত তড়িৎশক্তি হিসেবে প্রবাহিত হয়। যদিও ফাইবার অপটিক তারের মাধ্যমে আলোকশক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘ দূরত্বে তথ্য পাঠানো হয়, তবে সামগ্রিক নেটওয়ার্কের অনেক অংশে তড়িৎশক্তিই সংকেত বহন করে।
যদি প্রশ্নে শুধু ফাইবার অপটিকের কথা বলা হতো, তবে আলোকশক্তি এককভাবে সঠিক হতো। কিন্তু 'লাইনের মধ্য দিয়ে' বলতে একটি বিস্তৃত অর্থ বোঝায়, যেখানে তড়িৎশক্তির ব্যবহারও ব্যাপক।
প্রশ্নঃ Wi-fi কোন স্ট্যান্ডার্ড-এর উপর ভিত্তি করে কাজ করে?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
ওয়াই-ফাই (Wi-Fi) IEEE 802.11 স্ট্যান্ডার্ড-এর উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
IEEE (Institute of Electrical and Electronics Engineers) 802.11 পরিবারভুক্ত বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড রয়েছে, যেমন:
- IEEE 802.11a
- IEEE 802.11b
- IEEE 802.11g
- IEEE 802.11n (Wi-Fi 4)
- IEEE 802.11ac (Wi-Fi 5)
- IEEE 802.11ax (Wi-Fi 6/6E)
- IEEE 802.11be (Wi-Fi 7) - এটি নতুন এবং এখনও চূড়ান্তভাবে অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন।
এই প্রতিটি স্ট্যান্ডার্ড ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির বিভিন্ন প্রজন্মকে নির্দেশ করে এবং তাদের গতি, ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে এদের সবার মূল ভিত্তি হলো IEEE 802.11 প্রোটোকল।
প্রশ্নঃ নিচের কোনটিতে সাধারণত ইনফ্রারেড ডিভাইস ব্যবহার করা হয়?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
TV রিমোট কন্ট্রোলে ইনফ্রারেড ডিভাইস ব্যবহার করা হয়।
টিভি রিমোট কন্ট্রোল ইনফ্রারেড (IR) আলো ব্যবহার করে টেলিভিশনে কমান্ড (যেমন চ্যানেল পরিবর্তন, ভলিউম বাড়ানো-কমানো) পাঠায়। ইনফ্রারেড রশ্মি স্বল্প পাল্লার, সরাসরি দৃষ্টির (line-of-sight) প্রয়োজন হয় এবং এটি দেয়াল বা অন্যান্য বাধার মধ্য দিয়ে যেতে পারে না, যা রিমোট কন্ট্রোলের জন্য উপযুক্ত।
প্রশ্নঃ Wi MAX-এর পূর্ণরূপ কি?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
"Worldwide Interoperability for Microwave Access" এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো WiMAX (ওয়াইম্যাক্স)।
এটি একটি তারবিহীন টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি যা উচ্চ গতির ইন্টারনেট অ্যাক্সেস প্রদান করে, বিশেষত বিস্তৃত এলাকায়। এটি IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ডের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
প্রশ্নঃ কমিউনিকেশন সিস্টেমে গেটওয়ে কি কাজে ব্যবহার হয়?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
কমিউনিকেশন সিস্টেমে গেটওয়ে (Gateway) এর প্রধান কাজ হলো দুটি ভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা, বিশেষ করে যখন সেই নেটওয়ার্কগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রোটোকল (Protocol) ব্যবহার করে।
সহজভাবে বললে, গেটওয়ে হলো একটি "দরজা" বা "সেতু" যা এক ধরনের নেটওয়ার্ককে অন্য ধরনের নেটওয়ার্কের সাথে কথা বলতে সাহায্য করে। এর মূল কাজগুলো হলো:
১. প্রোটোকল অনুবাদ (Protocol Translation): এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রতিটি নেটওয়ার্ক তার নিজস্ব নিয়ম বা প্রোটোকল মেনে চলে। যখন ভিন্ন প্রোটোকল ব্যবহারকারী দুটি নেটওয়ার্ক যোগাযোগ করতে চায়, তখন গেটওয়ে সেই প্রোটোকলগুলোকে একে অপরের কাছে বোধগম্য ভাষায় অনুবাদ করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ল্যান (LAN) নেটওয়ার্ককে ইন্টারনেটের (WAN) সাথে সংযুক্ত করার জন্য গেটওয়ে প্রয়োজন, কারণ তাদের প্রোটোকল ভিন্ন।
২. ডেটা ফরম্যাট রূপান্তর: গেটওয়ে ডেটার ফরম্যাটও পরিবর্তন করতে পারে, যাতে এক নেটওয়ার্কের ডেটা অন্য নেটওয়ার্ক বুঝতে পারে।
৩. নেটওয়ার্ক সংযোগ: এটি দুটি বা ততোধিক ভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক (যেমন: LAN, WAN, ইন্টারনেট) এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। আপনার বাড়ির রাউটারটি প্রায়শই একটি গেটওয়ে হিসেবে কাজ করে, যা আপনার লোকাল নেটওয়ার্ককে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করে।
৪. নিরাপত্তা: কিছু গেটওয়েতে ফায়ারওয়াল (Firewall) বা অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকে যা নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রবেশ এবং বাহির হওয়া ডেটা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে অননুমোদিত প্রবেশ বা সাইবার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
সংক্ষেপে, গেটওয়ে একটি অনুবাদকের মতো কাজ করে, যা ভিন্ন ভিন্ন নেটওয়ার্ককে একে অপরের সাথে নির্বিঘ্নে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে।
মোবাইল কমিউনিকেশনে 4G (চতুর্থ প্রজন্ম) 3G (তৃতীয় প্রজন্ম) এর তুলনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য নিয়ে এসেছে, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে অনেকটাই উন্নত করেছে। প্রধান অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে দেওয়া হলো:
১. উচ্চ গতি (Higher Speed)
এটি 4G এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। 3G নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ ডাউনলোড গতি যেখানে সাধারণত 2 Mbps থেকে 21 Mbps (HSPA+) পর্যন্ত হয়, সেখানে 4G LTE (Long-Term Evolution) নেটওয়ার্ক মোবাইলের জন্য 100 Mbps এবং স্থির ডিভাইসের জন্য 1 Gbps পর্যন্ত ডাউনলোড গতি দিতে পারে। এর ফলে:
- দ্রুত ফাইল ডাউনলোড ও আপলোড করা যায়।
- নির্বিঘ্নে ভিডিও স্ট্রিমিং (HD/Full HD) করা যায়।
- ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হয়।
২. কম ল্যাটেন্সি (Lower Latency)
ল্যাটেন্সি হলো ডেটা পাঠানোর পর সেটি পৌঁছাতে যে সময় লাগে। 4G নেটওয়ার্কে 3G এর তুলনায় ল্যাটেন্সি অনেক কম, যার অর্থ ডেটা আদান-প্রদানে কম বিলম্ব হয়। এর সুবিধাগুলো হলো:
- অনলাইন গেমিং আরও মসৃণ হয় (কম ল্যাগ)।
- ভিডিও কল বা অনলাইন কনফারেন্সে কথা বলার সময় বিরতি বা বিলম্ব কমে যায়।
- রিয়েল-টাইম অ্যাপ্লিকেশনগুলো আরও ভালোভাবে কাজ করে।
৩. উন্নত সংযোগের মান (Improved Connection Quality)
4G নেটওয়ার্কে কল ড্রপ হওয়ার হার কম এবং ভয়েস কলের মান উন্নত হয়। ডেটা সংযোগও অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য।
৪. বৃহত্তর ক্ষমতা (Greater Capacity)
4G নেটওয়ার্ক 3G এর তুলনায় একই সময়ে বেশি সংখ্যক ডিভাইসকে সংযুক্ত রাখতে পারে। এটি নেটওয়ার্কের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা এবং নির্ভরযোগ্যতা বাড়ায়, বিশেষ করে জনাকীর্ণ এলাকায়।
৫. উন্নত ব্যান্ডউইডথ (Enhanced Bandwidth)
4G এর ব্যান্ডউইডথ 3G এর তুলনায় অনেক বেশি (যেমন, 3G এর 15-20 MHz এর তুলনায় 4G এর 100 MHz পর্যন্ত), যা একসঙ্গে অনেক বেশি ডেটা বহন করতে সক্ষম।
৬. অল-আইপি (All-IP) ভিত্তিক নেটওয়ার্ক
4G সম্পূর্ণরূপে আইপি (Internet Protocol) ভিত্তিক নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচার ব্যবহার করে, যেখানে 3G ভয়েস কলের জন্য সার্কিট সুইচিং এবং ডেটার জন্য প্যাকেট সুইচিং ব্যবহার করত। এই অল-আইপি আর্কিটেকচার ডেটা ট্রান্সফারকে আরও দক্ষ এবং দ্রুত করে।
৭. উন্নত অ্যাপ্লিকেশন সমর্থন (Better Application Support)
উচ্চ গতি এবং কম ল্যাটেন্সির কারণে 4G এমন অনেক আধুনিক অ্যাপ্লিকেশন এবং পরিষেবা সমর্থন করে যা 3G তে ভালোভাবে চলত না বা একেবারেই সম্ভব ছিল না। যেমন:
- উচ্চ-মানের ভিডিও স্ট্রিমিং ও কলিং।
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR) অ্যাপ্লিকেশন।
- ক্লাউড-ভিত্তিক পরিষেবাগুলোর মসৃণ ব্যবহার।
- ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) ডিভাইসগুলোর জন্য উন্নত সংযোগ।
সংক্ষেপে, 4G মোবাইল কমিউনিকেশনের গতি, নির্ভরযোগ্যতা এবং ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে 3G এর চেয়ে অনেক বেশি উন্নত করেছে, যা বর্তমান স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণের জন্য অপরিহার্য।
প্রশ্নঃ কোনটি তারবিহীন দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের জন্য উপযোগী?
[ বিসিএস ৩২তম ]
ব্লু-টুথ (Bluetooth) হলো একটি স্বল্প পাল্লার বেতার প্রযুক্তি, যা ব্যবহার করে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, স্পিকার, হেডফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে ডেটা বা তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। এটি মূলত কোনো তারের সংযোগ ছাড়াই ডিভাইসগুলোর মধ্যে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে।
ব্লু-টুথ এর ব্যবহার
ব্লু-টুথ প্রযুক্তি এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুব সাধারণ। এর কিছু প্রধান ব্যবহার হলো:
- ওয়্যারলেস হেডফোন ও স্পিকার সংযুক্ত করা।
- স্মার্টওয়াচ ও ফিটনেস ট্র্যাকারকে মোবাইলের সাথে যুক্ত করা।
- কম্পিউটার ও ল্যাপটপের সাথে ওয়্যারলেস মাউস বা কিবোর্ড ব্যবহার করা।
- দুটি ডিভাইসের মধ্যে ফাইল স্থানান্তর করা।
আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার করে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত করে তাদের মধ্যে যে আন্তঃসম্পর্ক বা যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয় তাকে ইন্টারনেট বলে।
প্রশ্নঃ মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে যে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা আমাদের দেশে প্রচলিত তাতে মাইক্রোওয়েভ অধিকাংশ দূরত্ব অতিক্রম করে–
[ বিসিএস ১১তম ]
প্রশ্নঃ রাডারে যে তড়িৎ চৌম্বক ব্যবহার করা হয় তার নাম-
[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]
রাডারে যে তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ ব্যবহার করা হয় তার নাম মাইক্রোওয়েভ।
রাডার হলো একটি পদ্ধতি যা মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করে চলমান বা স্থির বস্তুর অবস্থান, দূরত্ব, উচ্চতা, দিক বা দ্রুতি নির্ণয় করতে পারে। এটি বেতার সংকেত ধারণ এবং দূরত্ব নির্ধারণের সংক্ষিপ্ত রূপ।
প্রশ্নঃ “SIM” এর পূর্ণরূপ কী?
[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]
SIM এর পূর্ণরূপ হলো Subscriber Identity Module (সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল)। এটি একটি ছোট আকারের অপসারণযোগ্য স্মার্ট কার্ড যা আপনার মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো সেলুলার ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়।
সহজভাবে বলতে গেলে, SIM কার্ড হলো আপনার মোবাইল সংযোগের পরিচয়পত্র। এটিতে একটি মাইক্রোচিপ থাকে যা আপনার মোবাইল সাবস্ক্রিপশন সম্পর্কিত তথ্য নিরাপদে ধারণ করে। এই তথ্য ব্যবহার করে আপনার ডিভাইস মোবাইল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে পারে এবং আপনি কল করা, মেসেজ পাঠানো ও ডেটা ব্যবহারের মতো সুবিধা পান।
SIM কার্ডের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ:
- গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করা: প্রতিটি SIM কার্ডে একটি অনন্য আন্তর্জাতিক মোবাইল গ্রাহক পরিচিতি (International Mobile Subscriber Identity - IMSI) নম্বর থাকে। এই নম্বরটি নেটওয়ার্ক প্রদানকারীর কাছে আপনার পরিচয় নিশ্চিত করে।
- ব্যবহারকারীর প্রমাণীকরণ: যখন আপনার ফোন নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ স্থাপন করে, তখন SIM কার্ড প্রমাণীকরণ তথ্য পাঠায় যাতে আপনার পরিচয় যাচাই করা যায় এবং শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যবহারকারীরাই নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস করতে পারে।
- ফোন নম্বর প্রদান: সাধারণত, আপনার ফোন নম্বরটি SIM কার্ডের সাথে যুক্ত থাকে।
- তথ্য সংরক্ষণ: SIM কার্ডে সীমিত পরিমাণে তথ্য সংরক্ষণ করা যায়, যেমন:
- কিছু পুরনো SIM কার্ডে ফোনবুক কন্টাক্ট।
- কিছু পুরনো SIM কার্ডে SMS বার্তা।
- নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত তথ্য।
- আপনি যে পরিষেবাগুলো ব্যবহার করতে পারবেন তার তথ্য।
- নিরাপত্তা: SIM কার্ড ব্যক্তিগত শনাক্তকরণ নম্বর (Personal Identification Number - PIN) দ্বারা সুরক্ষিত করা যেতে পারে। কয়েকবার ভুল PIN প্রবেশ করলে SIM কার্ড লক হয়ে যেতে পারে এবং এটি আনলক করার জন্য ব্যক্তিগত আনব্লকিং কী (Personal Unblocking Key - PUK) প্রয়োজন হয়।
বর্তমানে বিভিন্ন আকারের SIM কার্ড প্রচলিত আছে, যেমন: Mini-SIM, Micro-SIM, Nano-SIM এবং নতুন প্রযুক্তির eSIM (Embedded SIM), যা ডিভাইসের ভেতরেই বিল্ট-ইন থাকে এবং অপসারণযোগ্য নয়।
প্রশ্নঃ কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে তথ্য আদান-প্রদানকে কী বলা হয়?
[ 18th ntrca (স্কুল পর্যায়) (15-03-2024) ]
কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে তথ্য আদান-প্রদানকে একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে করা হয়, যা ইন্টারনেট ব্যবহার করে। প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে ইন্টারনেট হলো সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তর, কারণ এটি বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সবচেয়ে বড় উদাহরণ, যার মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। যদিও ই-মেইলও এক ধরনের তথ্য আদান-প্রদান, কিন্তু এটি একটি নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনের নাম, সমগ্র পদ্ধতির নাম নয়।