প্রশ্নঃ ফেসবুকের সদর দফতর :
[ বিসিএস ৪৫তম ]
ফেসবুকের সদর দফতর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের মেনলো পার্ক শহরে অবস্থিত। এর ঠিকানা হলো:
1 Hacker Way, Menlo Park, CA 94025, USA.
বর্তমানে ফেসবুকের মূল কোম্পানি হলো মেটা প্ল্যাটফর্মস (Meta Platforms, Inc.)।
প্রশ্নঃ স্টিভ চেন ও চাড হারলির সাথে যৌথভাবে কোন বাংলাদেশী ইউটিউব (Youtube) প্রতিষ্ঠা করেন?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ইউটিউব (YouTube) ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ সালে তিনজন প্রাক্তন পেপাল (PayPal) কর্মী চ্যাড হার্লি, স্টিভ চেন এবং জাভেদ করিম দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে যোগাযোগের জন্য image (ছবি), video (ভিডিও), audio (অডিও) এবং text (পাঠ্য) - এই সবগুলো মাধ্যমই ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহারকারীরা তাদের চিন্তা, মতামত, অভিজ্ঞতা, ছবি, ভিডিও এবং অডিও বিভিন্ন ফরম্যাটে অন্যদের সাথে শেয়ার করে এবং অন্যদের পোস্ট করা কন্টেন্ট দেখতে ও শুনতে পারে। টেক্সট মেসেজ, অডিও এবং ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগও স্থাপন করা যায়।
প্রশ্নঃ কোন সাইটটি কেনা বেচার জন্য নয়?
[ বিসিএস ৩৮তম ]
google.com সাইটটি কেনা বেচার জন্য নয়।
- ekhanei.com (পূর্বে ClickBD নামে পরিচিত ছিল) এবং olx.com (বর্তমানে bikkroy.com) হলো শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপন (classifieds) ওয়েবসাইট যেখানে ব্যবহারকারীরা পুরনো বা নতুন পণ্য কেনাবেচা করতে পারে।
- amazon.com হলো একটি বিশাল ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনা যায়।
- google.com একটি সার্চ ইঞ্জিন এবং বিভিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবার (যেমন Gmail, YouTube, Google Maps ইত্যাদি) প্ল্যাটফর্ম, কিন্তু এটি সরাসরি কোনো কেনা-বেচার ওয়েবসাইট নয়। এটি পণ্য বা পরিষেবার তথ্য খুঁজতে সাহায্য করে, কিন্তু কেনা-বেচার কাজটি নিজে করে না।
প্রশ্নঃ নিচের কোনটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়?
[ বিসিএস ৩৮তম ]
সঠিক উত্তর হলো উইকিপডিয়া।
ব্যাখ্যা:
- ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানে এক্স) এবং লিংকড ইন - এই তিনটিই হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (Social Media) প্ল্যাটফর্ম। এগুলোতে ব্যবহারকারীরা প্রোফাইল তৈরি করে, পোস্ট শেয়ার করে, অন্যদের সাথে সংযুক্ত হয় এবং নেটওয়ার্কিং করে।
- উইকিপডিয়া হলো একটি মুক্ত ও অনলাইন বিশ্বকোষ (Online Encyclopedia)। এখানে তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং ব্যবহারকারীরা জ্ঞানার্জনের জন্য এটি ব্যবহার করে, কিন্তু এটি সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম নয়।
সুতরাং, উইকিপডিয়া হলো অন্যদের থেকে ভিন্ন।
প্রশ্নঃ LinkedIn-এর ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
লিংকডইন (LinkedIn) হলো পেশাদারদের জন্য তৈরি একটি সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম। এটি ২০০৩ সালের ৫ মে যাত্রা শুরু করে এবং বর্তমানে মাইক্রোসফটের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ফেসবুক বা টুইটারের মতো ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কিংয়ের পরিবর্তে, লিংকডইন পেশাগত সম্পর্ক তৈরি, কর্মজীবনের উন্নয়ন এবং ব্যবসায়িক সুযোগ খুঁজে পাওয়ার ওপর জোর দেয়।
লিংকডইন কী কাজে লাগে?
লিংকডইনের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বের পেশাজীবীদের সংযুক্ত করে তাদের আরও বেশি উৎপাদনশীল এবং সফল হতে সাহায্য করা। এর প্রধান ব্যবহারগুলো হলো:
- পেশাদার নেটওয়ার্ক তৈরি: এটি আপনাকে আপনার সহকর্মী, প্রাক্তন সহকর্মী, ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য পেশাদার, এমনকি সম্ভাব্য নিয়োগকর্তা বা ক্লায়েন্টদের সাথে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার পেশাগত পরিচিতির পরিধি বাড়াতে পারেন।
- চাকরি খোঁজা ও নিয়োগ: লিংকডইনে একটি বিশাল জব বোর্ড রয়েছে যেখানে অসংখ্য চাকরির বিজ্ঞাপন পোস্ট করা হয়। আপনি আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং পছন্দের অবস্থান অনুযায়ী চাকরি খুঁজতে পারেন এবং সরাসরি আবেদনও করতে পারেন। অনেক নিয়োগকারীও এখানে সম্ভাব্য কর্মীদের খুঁজে থাকেন।
- ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং: আপনি আপনার প্রোফাইলে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, অর্জন এবং কাজের নমুনা তুলে ধরে আপনার পেশাগত পরিচয় তৈরি করতে পারেন। এটি আপনাকে আপনার পছন্দের ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে।
- জ্ঞান ও তথ্য আদান-প্রদান: বিভিন্ন পেশাদার গ্রুপে যোগ দিয়ে আপনি আপনার ইন্ডাস্ট্রির সর্বশেষ খবর, ট্রেন্ড এবং ইনসাইট সম্পর্কে জানতে পারেন। আপনি নিজেও আর্টিকেল বা পোস্ট শেয়ার করে অন্যদের সাথে আপনার জ্ঞান ভাগ করে নিতে পারেন।
- লার্নিং ও দক্ষতা উন্নয়ন: লিংকডইন লার্নিং (LinkedIn Learning)-এর মতো ফিচারের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন পেশাগত বিষয়ে অনলাইন কোর্স করে নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারেন বা বিদ্যমান দক্ষতাগুলোকে আরও উন্নত করতে পারেন।
- ব্যবসায়িক সুযোগ অন্বেষণ: উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ীরা সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট, পার্টনার বা বিনিয়োগকারীদের খুঁজে বের করতে লিংকডইন ব্যবহার করতে পারেন।
সংক্ষেপে, লিংকডইন হলো আপনার পেশাগত জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যা অনলাইন রেজিউমে, নেটওয়ার্কিং টুল এবং জব সার্চ প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ে গঠিত।
প্রশ্নঃ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং টুইটার কত সালে তৈরি হয়?
[ বিসিএস ৩৫তম ]
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট টুইটার (Twitter) ২০০৬ সালে তৈরি হয়।
জ্যাক ডরসি, নোয়াহ গ্লাস, বিজ স্টোন এবং ইভান উইলিয়ামস এটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমে এর প্রজেক্ট কোড নাম ছিল "twttr", কিন্তু পরে এর নাম "Twitter"-এ পরিবর্তন করা হয়। ২০২৩ সালে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন হওয়ার পর এর নাম পরিবর্তন করে "X" রাখা হয়।