১. ‘আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস।’- এখানে ‘ওর’ বলতে শেখ মুজিবুর রহমান কাকে বুঝিয়েছেন?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
প্রদত্ত রচনাংশ অনুসারে, ‘আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস।’- এখানে ‘ওর’ বলতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেখ কামালকে বুঝিয়েছেন।
কারণ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু যখন কারাবন্দী ছিলেন এবং পরে বাড়ি ফিরে এসে এই ঘটনাটি বর্ণনা করছেন, তখন শেখ কামালের বয়স খুবই কম ছিল। শেখ হাসিনা সেই সময় শেখ কামালের চেয়ে বড় ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষ্য অনুযায়ী, কামাল তার বাবাকে ডাকার জন্য ব্যাকুল ছিল, যা একজন অল্পবয়স্ক শিশুর আবেগ প্রকাশ করে।
বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কারবিরোধী একটি প্রগতিশীল আন্দোলন। ১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল হুসেনের নেতৃত্বে ঢাকায় মুসলিম সাহিত্য সমাজ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সমাজ তাদের মুখপত্র হিসেবে ‘শিখা’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করত, যার প্রতিটি সংখ্যায় লেখা থাকত ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’। বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন গঠিত হয় কয়েকজন আলোকিত মানুষের উদ্যোগে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আবুল হুসেন, কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল ফজল, কাজী আবদুল ওদুদ, আবদুল কাদির প্রমুখ।
৩. ‘বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য’ গ্রন্থ কে রচনা করেছেন?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর: গঃ আহমদ শরীফ।
"বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য" গ্রন্থটি লিখেছেন আহমদ শরীফ। তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক, গবেষক ও ভাষাবিদ, যিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ ও সমীক্ষামূলক কাজ করেছেন।
৪. ইয়ং বেঙ্গল কি?
[ বিসিএস ২৮তম ]
ইয়ং বেঙ্গল উনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণ বা রেনেসাঁসের বার্তাবাহী পাশ্চাত্য শিক্ষা, সভ্যতা ও সংস্কৃতির আলোকে আলোকিত বাঙালি যুবসমাজ। এই দলের প্রায় সকলেই ছিলেন হিন্দু কলেজের ছাত্র এবং অধ্যাপক ডিরোজিওর শিষ্য। ইয়ং বেঙ্গলদের মুখপত্র ছিল এনকোয়ারার, জ্ঞানান্বেষণ, পার্থেনন প্রভৃতি।
৫. ‘বনফুল’ কার ছদ্মনাম?
[ বিসিএস ২৬তম ]
ছদ্মনামটি বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের (১৮৯৯-১৯৭৯খ্রি)। তিনি ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত। প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরীর (১৮৬৮-১৯৪৬খ্রি) ছদ্মনাম ‘বীরবল’ । বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্যিক মোহিতলাল মজুমদারের (১৮৮৮-১৯৫২খ্রি) ছদ্মনাম ‘সত্যসুন্দর দাস’। বিশিষ্ট কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর (১৮৭৮-১৯৪৮ খ্রি) বিশেষ কোনো ছদ্মনাম নেই।
৬. যে ছন্দের মূল পর্বের মাত্রা সংখ্যা চার, তাকে বলা হয়-
[ বিসিএস ১৭তম ]
বাংলা ছন্দ তিন প্রকার: ক. অক্ষরবৃত্ত খ. মাত্রাবৃত্ত বা বর্ণবৃত্ত গ. স্বরবৃত্ত । অক্ষরবৃত্ত: মূল পর্ব ৮ বা ১০ মাত্রার হয়। মাত্রাবৃত্ত বা বর্ণবৃত্ত: মূল পর্ব সাধারণত ৬ মাত্রার হয়। স্বরবৃত্ত: মূল পর্বের মাত্রা সংখ্যা ৪।
বাউলসাধক লালন সাঁই রচিত কয়েকটি জনপ্রিয় গান- ‘জাত গেলো জাত গেলো বলে’, ‘আমার ঘরের চাবি পরের হাতে’, ‘আর আমারে মারিসনে মা’, ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘বাড়ির কাছে আরশী নগর’, ‘আমার ঘরখানায় কে বিরাজ করে’, ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, ‘মিলন হবে কতদিনে’।
৮. বটতলার পুঁথি বলতে বুঝায়-
[ বিসিএস ১২তম ]
মধ্যযুগে অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে মুসলমান সাহিত্যিকদের রচিত ‘দোভাষী পুঁথি’ ছিল আরবি, ফারসি, হিন্দি, বাংলা ও ইংরেজি শব্দের মিশ্রণে রচিত এক ধরনের পুঁথি। এ সাহিত্য কলকাতার সস্তা ছাপাখানা থেকে ছাপা হয়ে দেশময় প্রচারিত হয়েছিল বলে একে ‘বটতলার পুঁথি’ নামেও চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা চলেছে।