প্রশ্নঃ যে ছন্দের মূল পর্বের মাত্রা সংখ্যা চার, তাকে বলা হয়-
[ বিসিএস ১৭তম ]
বাংলা ছন্দ তিন প্রকার: ক. অক্ষরবৃত্ত খ. মাত্রাবৃত্ত বা বর্ণবৃত্ত গ. স্বরবৃত্ত । অক্ষরবৃত্ত: মূল পর্ব ৮ বা ১০ মাত্রার হয়। মাত্রাবৃত্ত বা বর্ণবৃত্ত: মূল পর্ব সাধারণত ৬ মাত্রার হয়। স্বরবৃত্ত: মূল পর্বের মাত্রা সংখ্যা ৪।
Related MCQ
প্রশ্নঃ চর্যাপদের কবিরা ছিলেন –
[ বিসিএস ৪৬তম ]
চর্যাপদের কবিরা মূলত বৌদ্ধ ধর্মের সহজিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারী ছিলেন। তারা তন্ত্র সাধনার মাধ্যমে আত্মদর্শনের পথ অনুসরণ করতেন এবং তাদের কবিতায় আধ্যাত্মিক চিন্তাধারার সঙ্গে সঙ্গে সমাজের বাস্তবতাও প্রতিফলিত হয়েছে।
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন।
এর কবিতাগুলোকে বলা হয় "চর্যা", আর কবিদের বলা হয় "চর্যাগীতি রচয়িতা"।
কবিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন: লুইপা, সরহপা, কুক্কুরিপা, ভুসুকুপা প্রমুখ।
আপনি কি এই প্রশ্নটি একটি মডেল টেস্টে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন?
প্রশ্নঃ ‘শূন্যপূরাণের’ রচয়িতা –
[ বিসিএস ৪৬তম ]
‘শূন্যপূরাণ’-এর রচয়িতা হলেন কঃ রামাই পণ্ডিত।
‘শূন্যপূরাণ’ মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কিত গ্রন্থ, যা সহজিয়া বৌদ্ধ ধর্মতত্ত্বের ধারণা তুলে ধরে। রামাই পণ্ডিত ছিলেন একজন বিশিষ্ট কবি, যিনি এই রচনা দ্বারা বৌদ্ধধর্মের দার্শনিক ও সামাজিক দিকগুলোকে উপস্থাপন করেছেন।
অন্য বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
- হলায়ূধ মিশ্র → তিনি ছিলেন একজন সংস্কৃত পণ্ডিত ও ব্যাকরণবিদ।
- কাহ্নপা → তিনি ছিলেন এক সহজিয়া বৌদ্ধ সাধক, তবে ‘শূন্যপূরাণ’ রচয়িতা নন।
- কুক্কুরীপা → তিনি বৌদ্ধ যোগী ছিলেন, তবে এই গ্রন্থের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না।
প্রশ্নঃ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে কাঁকিল্যা গ্রাম কেন উল্লেখযোগ্য?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে কাঁকিল্যা গ্রাম উল্লেখযোগ্য কারণ এখানেই শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পুঁথি আবিষ্কৃত হয়েছিল।
- ১৯০৯ সালে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের একটি গোয়ালঘর থেকে এই কাব্যের খণ্ডিত পুঁথিটি উদ্ধার করেন।
- পরে ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
- শ্রীকৃষ্ণকীর্তন মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাব্য, যা রাধা-কৃষ্ণের প্রেমকাহিনি নিয়ে রচিত।
প্রশ্নঃ ‘যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।’ – কবিতাংশটি
কোন কাব্যের অন্তর্গত?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
এই বিখ্যাত কবিতাংশটি আবদুল হাকিম রচিত ‘নূরনামা’ কাব্যের অন্তর্গত।
আবদুল হাকিম সপ্তদশ শতাব্দীর একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি ছিলেন। তার ‘নূরনামা’ কাব্যটি মাতৃভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ এবং যারা বাংলায় জন্মগ্রহণ করেও বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করে তাদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। এই কবিতাংশটি বাংলা ভাষার প্রতি কবির গভীর ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
প্রশ্নঃ আলাওল কোন শতাব্দীর কবি?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
আলাওল ছিলেন সপ্তদশ শতাব্দীর কবি।
তার জন্ম আনুমানিক ১৬০৭ সালে এবং মৃত্যু ১৬৮০ সালে। তিনি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি হিসেবে পরিচিত। আরাকান রাজসভায় তিনি সাহিত্যচর্চা করতেন।
বাউল গান - যা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীতের ধারা - ২০০৮ সালে ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটির (Intangible Cultural Heritage of Humanity) প্রতিনিধি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাউল গান কোনো একক গান নয়, এটি গানের একটি সংগ্রহ এবং একটি ঐতিহ্য যা রহস্যবাদ, মানবতাবাদ এবং সরল জীবনযাত্রার মিশ্রণ ঘটায়। যদিও এটি কোনো একক গান নয়, তবে এটি ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত বাংলা সঙ্গীত ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
প্রশ্নঃ চন্ডীচরণ মুন্সী কে?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
চণ্ডীচরণ মুন্সী ছিলেন অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ এবং উনিশ শতাব্দীর শুরুতে ব্রিটিশ ভারতের একজন বাঙালি লেখক। তিনি ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে মারা যান। তার জন্মতারিখ সঠিকভাবে জানা না গেলেও, কোনো কোনো সূত্রে অনুমান করা হয় যে তিনি ১৭৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা ভাষার অধ্যাপকদের মধ্যে একজন ছিলেন। এই কলেজে বাংলা ভাষার পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
চণ্ডীচরণ মুন্সীর উল্লেখযোগ্য কাজ হলো 'তোতা ইতিহাস', যা কাদির বখশ রচিত ফার্সি গল্পগ্রন্থ 'তুতিনামা'-র বঙ্গানুবাদ। তিনি ১৮০৪ সালে এই অনুবাদ সম্পন্ন করেন এবং এটি ১৮০৫ সালে গ্রন্থাকারে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। 'তোতা ইতিহাস' বাংলা গদ্য সাহিত্যের প্রাথমিক নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়।
এছাড়াও, ভাগবদ্গীতাও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা শিক্ষাক্রমে তার রচিত গ্রন্থ হিসেবে পাঠ্য ছিল।
প্রশ্নঃ ‘রত্নপরীক্ষা’ গ্রন্থের রচয়িতা –
[ বিসিএস ৪৬তম ]
‘রত্নপরীক্ষা’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
এটি বিদ্যাসাগরের লেখা একটি বিখ্যাত গ্রন্থ।
প্রশ্নঃ স্বর্ণকুমারী দেবীর পিতার নাম –
[ বিসিএস ৪৬তম ]
স্বর্ণকুমারী দেবীর পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নামেই পরিচিত।
উত্তর:
ক) কমলাকান্ত হলেন ভীষ্মদেব খোশনবীশ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সৃষ্ট একটি বিখ্যাত চরিত্র।
ব্যাখ্যা:
- ভীষ্মদেব খোশনবীশ হলো বঙ্কিমচন্দ্রের কমলাকান্তের দপ্তর গ্রন্থের একটি চরিত্র। এটি একটি রম্যরচনা যেখানে কমলাকান্ত নামক এক পানাসক্ত ব্যক্তির দিনলিপি ধরা হয়েছে।
- ভীষ্মদেব এই গ্রন্থে কমলাকান্তের বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হন, যিনি তার কথোপকথন ও যুক্তিবাদিতাকে রসাত্মকভাবে উপস্থাপন করেন।
অন্যান্য বিকল্প বিশ্লেষণ:
- খ) লোকরহস্য: বঙ্কিমচন্দ্রের রম্যরচনা, কিন্তু এতে ভীষ্মদেব খোশনবীশ চরিত্র নেই।
- গ) মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত: একটি সামাজিক ব্যঙ্গরচনা, তবে এখানে ভীষ্মদেব চরিত্র অনুপস্থিত।
- ঘ) যুগলাঙ্গুরীয়: বঙ্কিমচন্দ্রের ঐতিহাসিক উপন্যাস, ভীষ্মদেব এতে নেই।
প্রশ্নঃ দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকের ইংরেজি অনুবাদক –
[ বিসিএস ৪৬তম ]
মাইকেল মধুসূদন দত্ত দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন।
এই অনুবাদটি "Nil Durpan, or The Indigo Planting Mirror" নামে প্রকাশিত হয়েছিল। তবে, এটি রেভারেন্ড জেমস লঙের নামে প্রকাশিত হয় এবং এর জন্য তাকে আইনি জটিলতায় পড়তে হয়েছিল। পণ্ডিত কালীপ্রসন্ন সিংহ আদালতে জেমস লঙের জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছিলেন।
প্রশ্নঃ রঞ্জন চরিত্রটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন নাটকের?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
রঞ্জন চরিত্রটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'রক্তকরবী' নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।
এই নাটকে রঞ্জন নন্দিনীর প্রেমিক এবং যক্ষপুরীর অত্যাচারী রাজার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক। যদিও নাটকে সরাসরি রঞ্জনের উপস্থিতি দেখা যায় না, তার কথা নন্দিনীর মুখে এবং অন্যান্য চরিত্রের আলোচনায় বারবার উঠে আসে। রঞ্জন স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূর্ত প্রতীক হিসেবে নাটকে বিরাজ করে।
প্রশ্নঃ ‘তৈল’ প্রবন্ধটি লিখেছেন –
[ বিসিএস ৪৬তম ]
‘তৈল’ প্রবন্ধটি লিখেছেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
এই প্রবন্ধে তিনি সমাজের বিভিন্ন স্তরে তৈল বা চাটুকারিতার প্রভাব ব্যঙ্গাত্মকভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে তৈলমর্দন বা তোষামোদ সমাজে সুবিধা অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হয়ে উঠেছে। তাঁর লেখায় কৌতুকরসের মাধ্যমে বাস্তবতার গভীর বিশ্লেষণ পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ “নাম রেখেছি কোমল গান্ধার” কাব্যের রচয়িতা –
[ বিসিএস ৪৬তম ]
"নাম রেখেছি কোমল গান্ধার" কাব্যের রচয়িতা হলেন বিষ্ণু দে।
বিষ্ণু দে ছিলেন একজন বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক ও চিত্রসমালোচক। তাঁর সাহিত্যকর্মে আধুনিকতা, শিল্পচেতনা ও গভীর দার্শনিক ভাবনার প্রতিফলন দেখা যায়।
এই গানটির রচয়িতা কাজী নজরুল ইসলাম।
তিনি ১৯৩১ সালে এই গানটি রচনা ও সুরারোপ করেন, যা পরবর্তীতে আব্বাসউদ্দীন আহমদের কণ্ঠে প্রথম রেকর্ড করা হয়। এটি ঈদুল ফিতরের আনন্দ ও ধর্মীয় ভাবধারার অন্যতম জনপ্রিয় গান হিসেবে বাঙালি মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে পরিচিত।
প্রশ্নঃ শামসুর রাহমানের রচিত উপন্যাস –
[ বিসিএস ৪৬তম ]
শামসুর রাহমানের রচিত উপন্যাস হলো কঃ পতঙ্গ পিঞ্জর।
"পতঙ্গ পিঞ্জর" শামসুর রাহমানের একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস।
অন্যান্য বিকল্পগুলো তার কাব্যগ্রন্থ:
- খঃ প্রেম একটি লাল গোলাপ - এটি একটি কাব্যগ্রন্থ।
- গঃ রৌদ্র করোটিতে - এটিও একটি কাব্যগ্রন্থ।
- ঘঃ অদ্ভুত আঁধার এক - এটিও শামসুর রাহমানের একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ।
প্রশ্নঃ সেলিম আল দীনের নাটকে অনুসৃত শিল্পতত্ত্ব –
[ বিসিএস ৪৬তম ]
সেলিম আল দীনের নাটকে অনুসৃত শিল্পতত্ত্ব হলো দ্বৈতাদ্বৈতবাদ।
তিনি পাশ্চাত্য শিল্পের বিভাজনকে অস্বীকার করে বাঙালির নিজস্ব নন্দনতত্ত্বের আলোকে এই নতুন শিল্পরীতি প্রবর্তন করেন। তাঁর নাটকে বাংলা লোকনাট্য এবং পুরাণ কাহিনীর প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়। দ্বৈতাদ্বৈতবাদী শিল্পতত্ত্বে বিভিন্ন শিল্প মাধ্যম ও আঙ্গিকের সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি অখণ্ড শিল্পাঙ্গিক বিনির্মাণের কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ ‘পৃথক পালঙ্ক’ কাব্যগ্রন্থের কবি –
[ বিসিএস ৪৬তম ]
‘পৃথক পালঙ্ক’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা হলেন আবুল হাসান। তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান আধুনিক কবি। এই কাব্যগ্রন্থটি তার স্বল্পস্থায়ী জীবনে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রশ্নঃ কোন গল্পকারের গল্পে ম্যাজিক রিয়েলিজমের প্রতিফলন ঘটেছে?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
শহীদুল জহিরের গল্পে ম্যাজিক রিয়েলিজমের সুস্পষ্ট এবং শক্তিশালী প্রতিফলন দেখা যায়। তার বিখ্যাত গল্পগ্রন্থ "ডুমুরখেকো মানুষ ও অন্যান্য গল্প" এবং উপন্যাস "জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা" এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তার রচনায় জাদুবাস্তবতার উপাদান, যেমন - পরাবাস্তব চিত্রকল্প, সময়ের অৈকিক ধারণা ভেঙে দেওয়া, এবং বাস্তব ঘটনার মধ্যে অলৌকিকতার অনুপ্রবেশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
যদিও আখতারুজ্জামান ইলিয়াসও বাংলা সাহিত্যে ম্যাজিক রিয়েলিজমের গুরুত্বপূর্ণ লেখক, এই বিকল্পগুলোর মধ্যে শহীদুল জহিরের কাজে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি প্রকট।
প্রশ্নঃ “একুশ মানে মাথা নত না করা” – এই অমর পঙ্ক্তির রচয়িতা –
[ বিসিএস ৪৬তম ]
"একুশ মানে মাথা নত না করা" - এই অমর পঙ্ক্তিটি মূলত আবদুল গাফফার চৌধুরী রচিত বিখ্যাত গান "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি"-এর অংশ। গানটির প্রথম স্তবকের এই লাইনটি ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও আত্মত্যাগের তাৎপর্যপূর্ণ প্রতীক হিসেবে আজও গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়।
প্রশ্নঃ চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ প্রকাশ করেন কে?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ প্রবোধচন্দ্র বাগচী সংগ্রহ করেন।
তিনি ১৯৩৮ সালে আই. পি. কডিয়ার কর্তৃক প্রকাশিত তেঙ্গুর পুস্তক তালিকায় এই বইটির পূর্ণাঙ্গ তিব্বতি অনুবাদের সন্ধান পান। এই আবিষ্কার চর্যাপদের মূল পাঠ এবং এর টীকা সম্পর্কে নতুন তথ্য উন্মোচন করতে সহায়ক হয়েছিল।
প্রশ্নঃ ‘গীতগোবিন্দ’ কাব্যের রচয়িতা জয়দেব কার সভাকবি ছিলেন?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
‘গীতগোবিন্দ’ কাব্যের রচয়িতা জয়দেব গৌড়ের রাজা লক্ষণ সেন-এর সভাকবি ছিলেন। লক্ষণ সেন ছিলেন দ্বাদশ শতাব্দীর শেষার্ধের এবং ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের বাংলার সেন রাজবংশের তৃতীয় রাজা। তিনি শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং তার সভাতে অনেক বিখ্যাত কবি ও পণ্ডিতের সমাগম ঘটেছিল। জয়দেব ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম এবং সবচেয়ে বিখ্যাত।
প্রশ্নঃ কবি যশোরাজ খান বৈষ্ণবপদ রচনা করেন কোন ভাষায়?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
কবি যশোরাজ খান মূলত ব্রজবুলি ভাষায় বৈষ্ণব পদ রচনা করেন।
ব্রজবুলি হলো মৈথিলি ও বাংলা ভাষার মিশ্রণে সৃষ্ট একটি কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা। প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের প্রথম ব্রজবুলি পদ রচনার কৃতিত্ব যশোরাজ খানের। তিনি সম্ভবত হোসেন শাহের রাজত্বকালের কবি ছিলেন।
প্রশ্নঃ নিচের কোন জন যুদ্ধকাব্যের রচয়িতা নন?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
সঠিক উত্তরটি হলো ঘঃ সৈয়দ নূরুদ্দীন।
দৌলত উজির বাহরাম খাঁ, সাবিরিদ খাঁ এবং সৈয়দ সুলতান মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য কবি এবং তারা যুদ্ধকাব্য রচনা করেছেন।
- দৌলত উজির বাহরাম খাঁ: তার বিখ্যাত যুদ্ধকাব্য হলো "লাইলী-মজনু"।
- সাবিরিদ খাঁ: তিনিও "বিদ্যাসুন্দর" কাব্যের একটি যুদ্ধ-কেন্দ্রিক আখ্যান রচনা করেন।
- সৈয়দ সুলতান: তার রচিত "নবীবংশ" একটি দীর্ঘ কাব্য এবং এর কিছু অংশে যুদ্ধ ও সংঘাতের বর্ণনা রয়েছে।
অন্যদিকে, সৈয়দ নূরুদ্দীন প্রধানত নাথ সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত। তার উল্লেখযোগ্য রচনা হলো "নাসির নামা"। তিনি যুদ্ধকাব্য রচনা করেননি।
প্রশ্নঃ কোনটি কবি জৈনুদ্দিনের কাব্যগ্রন্থ?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
সঠিক উত্তরটি হলো কঃ রসুল বিজয়।
কবি জৈনুদ্দিনের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের নাম "রসুল বিজয়"। এটি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এই কাব্যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবন ও কর্ম এবং বিভিন্ন যুদ্ধ সম্পর্কিত বর্ণনা রয়েছে।
প্রশ্নঃ ‘বিদ্যাসাগর ও বাঙালি সমাজ’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
‘বিদ্যাসাগর ও বাঙালি সমাজ’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন বিনয় ঘোষ।
এটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবন ও কর্ম এবং উনিশ শতকের বাঙালি সমাজে তার প্রভাব নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
প্রশ্নঃ প্রথম সাহিত্যিক গদ্যের স্রষ্টা কে?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
প্রথম সাহিত্যিক গদ্যের স্রষ্টা হিসেবে সাধারণত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-কে ধরা হয়।
তিনি বাংলা গদ্যকে একটি সুস্পষ্ট রূপ দেন এবং এর ভাষাকে সংস্কৃত শব্দবহুলতা ও জটিলতা থেকে মুক্ত করে একটি সহজ, সাবলীল ও শ্রুতিমধুর রূপ দান করেন। তাঁর আগে গদ্যের ব্যবহার মূলত দলিলপত্র, চিঠিপত্র বা অনুবাদে সীমাবদ্ধ ছিল। বিদ্যাসাগরই প্রথম সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে গদ্যকে একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর "বেতাল পঞ্চবিংশতি", "শকুন্তলা" বা "সীতার বনবাস" এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা গদ্যকে আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করে তোলেন, তবে সাহিত্যিক গদ্যের সূত্রপাত মূলত বিদ্যাসাগরের হাত ধরেই হয়েছিল।
প্রশ্নঃ প্যারীচাঁদ মিত্রের ‘আলালের ঘরের দুলাল’ প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় কত সালে?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
প্যারীচাঁদ মিত্রের ‘আলালের ঘরের দুলাল’ প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৮৫৮ সালে।
এটি প্রথম ১৮৫৪ সাল থেকে প্যারীচাঁদ মিত্র ও রাধানাথ শিকদার সম্পাদিত 'মাসিক পত্রিকা'-য় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।
সঠিক উত্তরটি হলো কঃ চতুরঙ্গ।
শচীন, দামিনী ও শ্রীবিলাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'চতুরঙ্গ' উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। এই উপন্যাসটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয় এবং চারটি স্বতন্ত্র দৃষ্টিকোণ থেকে একটি জটিল মনস্তাত্ত্বিক ও দার্শনিক আখ্যান তুলে ধরে।
‘তুমি মা কল্পতরু, আমরা সব পোষাগরু’- এই কবিতাংশটির রচয়িতা হলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
এটি তার বিখ্যাত কবিতা ‘মাতৃভাষা’-র অংশ। এই কবিতায় তিনি মাতৃভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন এবং নিজেকে ও অন্যান্য বাঙালিদের মাতৃরূপ কল্পতরুর আশ্রিত পোষা গরুরূপে কল্পনা করেছেন।
মীর মশাররফ হোসেনের 'গো-জীবন' (১৮৮৯) প্রবন্ধটিতে হিন্দু-মুসলমানের বিরোধের প্রসঙ্গ বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে।
এই প্রবন্ধে তিনি মূলত গরু কোরবানি এবং এর অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যেকার সংঘাত এড়িয়ে একটি সহনশীল অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে গোহত্যার বিরূপ প্রভাব এবং উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি যুক্তির মাধ্যমে তুলে ধরেন।
যদিও এটি একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ, তবে এখানে হিন্দু-মুসলমানের বিরোধের একটি স্পর্শকাতর বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখকের নিজস্ব মতামত ও বিশ্লেষণ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ষোল বছর বয়সে ছোটগল্পকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
১৮৭৭ সালে, মাত্র ষোল বছর বয়সে তাঁর প্রথম ছোটগল্প "ভিখারিণী" 'ভারতী' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমেই বাংলা সাহিত্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য ছোটগল্প রচনার যাত্রা শুরু হয়।
প্রশ্নঃ নিচের কোনটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্পগ্রন্থ নয়?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
সঠিক উত্তরটি হলো কঃ ইছামতি।
ইছামতি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস, গল্পগ্রন্থ নয়।
অন্যদিকে, মেঘমল্লার, মৌরিফুল এবং যাত্রাবদল – এই তিনটিই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ।
‘আমার পথ’ প্রবন্ধটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘রুদ্রমঙ্গল’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে।
এই প্রবন্ধটি নজরুলের বিদ্রোহী ও আত্মবিশ্বাসী মনোভাবের এক উজ্জ্বল প্রকাশ। এখানে তিনি নিজের সত্যকে অনুসরণ করার এবং কোনো প্রকার ভণ্ডামি বা মিথ্যার কাছে নতি স্বীকার না করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। ‘রুদ্রমঙ্গল’ নজরুলের প্রবন্ধ সংকলনগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।
‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে মোতাহের হোসেন চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-কে তপোবন-প্রেমিক বলেছেন।
প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেছেন যে রবীন্দ্রনাথ ফুল ও নদীর গতির সাথে তুলনা করে নদীর গতির মধ্যেই মনুষ্যত্বের বেদনা উপলব্ধি করেছেন। মোতাহের হোসেন চৌধুরী মনে করেন, বৃক্ষের ফুল ফোটানোর দিকে তাকালে তপস্যার জন্য রবীন্দ্রনাথের যে অনুরাগ ছিল, তা অনুভব করা যায়। তাই তিনি রবীন্দ্রনাথকে তপোবন-প্রেমিক হিসেবে অভিহিত করেছেন।
প্রশ্নঃ ‘আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস।’- এখানে ‘ওর’ বলতে শেখ মুজিবুর রহমান কাকে বুঝিয়েছেন?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
প্রদত্ত রচনাংশ অনুসারে, ‘আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস।’- এখানে ‘ওর’ বলতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেখ কামালকে বুঝিয়েছেন।
কারণ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু যখন কারাবন্দী ছিলেন এবং পরে বাড়ি ফিরে এসে এই ঘটনাটি বর্ণনা করছেন, তখন শেখ কামালের বয়স খুবই কম ছিল। শেখ হাসিনা সেই সময় শেখ কামালের চেয়ে বড় ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষ্য অনুযায়ী, কামাল তার বাবাকে ডাকার জন্য ব্যাকুল ছিল, যা একজন অল্পবয়স্ক শিশুর আবেগ প্রকাশ করে।
প্রশ্নঃ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস জন্মগ্রহণ করেন কোথায়?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত ও প্রভাবশালী লেখক। তিনি ১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা জেলার গোটিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল বগুড়া জেলায়।
ইলিয়াস ছিলেন একজন স্বল্পপ্রজ লেখক, তবে তাঁর প্রতিটি রচনা গভীর জীবনবোধ, তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ এবং সমাজবাস্তবতার নিপুণ চিত্রায়ণে সমৃদ্ধ। তিনি ঔপন্যাসিক এবং ছোটগল্পকার হিসেবে পরিচিত।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম:
- উপন্যাস:
- চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭)
- খোয়াবনামা (১৯৯৬)
- গল্পগ্রন্থ:
- অন্য ঘরে অন্য স্বর (১৯৭৬)
- খোঁয়ারি (১৯৮২)
- দুধভাতে উৎপাত (১৯৮৫)
- দোজখের ওম (১৯৮৯)
- জাল স্বপ্ন, স্বপ্নের জাল (১৯৯৭)
- প্রবন্ধ সংকলন:
- সংস্কৃতির ভাঙা সেতু
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা যান। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়।
প্রশ্নঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত ‘অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা কোন ছন্দের নব-রূপায়ণ?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত ‘অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব-রূপায়ণ।
অমিত্রাক্ষর ছন্দে অক্ষরবৃত্ত ছন্দের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো বজায় থাকে, যেমন প্রতি চরণে অক্ষরের সংখ্যা গণনা এবং শ্বাসাঘাতের ভূমিকা। তবে অমিত্রাক্ষর ছন্দে চরণের শেষে অন্ত্যমিল থাকে না এবং ভাবের প্রবাহ এক চরণ থেকে অন্য চরণে অবাধভাবে চলতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি এটিকে প্রবহমানতা দান করে এবং কবিতাটিকে গদ্যের কাছাকাছি একটি মুক্তি দেয়।
পয়ার ছিল বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের একটি সুপ্রতিষ্ঠিত রূপ, যেখানে প্রতি চরণে ১৪টি অক্ষর এবং ৮+৬ মাত্রার দুটি পর্ব থাকত এবং অন্ত্যমিল বিদ্যমান থাকত। মধুসূদন দত্ত এই কাঠামো বজায় রেখেই অন্ত্যমিলের প্রথা ভেঙে অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করেন। তাই, অমিত্রাক্ষর ছন্দকে অক্ষরবৃত্ত ছন্দেরই একটি আধুনিক ও নবায়িত রূপ বলা যায়।
প্রশ্নঃ ‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা হলেন শামসুর রাহমান।
এই কাব্যগ্রন্থটি ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় এবং এটি তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি।
প্রশ্নঃ ‘দুর্দিনের দিনলিপি’ স্মৃতিগ্ৰন্থটি কার লেখা?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
সঠিক উত্তরটি হলো কঃ আবুল ফজল।
‘দুর্দিনের দিনলিপি’ স্মৃতিগ্ৰন্থটি আবুল ফজলের লেখা। এটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার লেখকের দিনলিপি।
প্রশ্নঃ ‘আনোয়ারা’ উপন্যাসের রচয়িতার নাম-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘আনোয়ারা’ উপন্যাসের রচয়িতার নাম গঃ নজিবর রহমান।
নজিবর রহমান সাহিত্যরত্ন ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ও বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বাংলা সাহিত্যের একজন জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ছিলেন। ‘আনোয়ারা’ তার বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা গ্রামীণ জীবনের চিত্র ও সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে।
প্রশ্নঃ কোনটি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গ্রন্থ নয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ সোনার তরী।
‘সোনার তরী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ।
অন্যদিকে, ‘ব্যথার দান’, ‘দোলনচাঁপা’ এবং ‘শিউলিমালা’ – এই তিনটি গ্রন্থই কাজী নজরুল ইসলাম রচিত।
প্রশ্নঃ ‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্যের উপাস্য ‘চণ্ডী’ কার স্ত্রী?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের উপাস্য চণ্ডী হলেন শিবের স্ত্রী। তাঁর অপর নাম পার্বতী.
চণ্ডীমঙ্গল কাব্য মূলত চণ্ডীদেবীর মাহাত্ম্য প্রচারের জন্য রচিত হয়েছিল। এটি বাংলা মঙ্গলকাব্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে দেবী চণ্ডীর পূজা ও তাঁর অলৌকিক ক্ষমতার বর্ণনা রয়েছে।
প্রশ্নঃ ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য’ কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য ১৯০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
বাংলা সাহিত্যের গবেষক বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়ালঘরের মাচার ওপর অযত্ন অবস্থায় পুঁথিটি খুঁজে পান। পুঁথিটির সঙ্গে প্রাপ্ত চিরকুট থেকে জানা যায়, আড়াইশো বছর আগে এটি বিষ্ণুপুরের রাজগ্রন্থশালায় রাখা ছিল।
প্রশ্নঃ বিদ্যাপতি মূলত কোন ভাষার কবি ছিলেন?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বিদ্যাপতি মূলত মৈথিলী ভাষার কবি ছিলেন।
তিনি পঞ্চদশ শতাব্দীর মৈথিলী কবি ছিলেন এবং মিথিলার (বর্তমান বিহার ও নেপালের অংশ) রাজসভায় সম্মানিত ছিলেন। মৈথিলী ছাড়াও তিনি সংস্কৃত ও অবহট্ট ভাষায় কিছু রচনা করেছিলেন।
তবে, বাংলা অঞ্চলে বিদ্যাপতির যে পদাবলী প্রচলিত, তার ভাষা ব্রজবুলি। ব্রজবুলি হলো মৈথিলী ও বাংলার মিশ্রণে সৃষ্ট একটি কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এবং পরবর্তী বৈষ্ণব পদকর্তারা এই ভাষায় রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা বিষয়ক পদ রচনা করেছেন। এই কারণে বিদ্যাপতি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছেন।
প্রশ্নঃ ‘মনােরমা’ বঙ্কিমচন্দ্রের কোন উপন্যাসের চরিত্র?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বাংলা উপন্যাসের জনক সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক ‘মৃণালিনী’ (১৮৬৯) উপন্যাসটি তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজীর বাংলা আক্রমণের পটভূমিতে রচিত।
এটি বঙ্কিমচন্দ্রের তৃতীয় উপন্যাস। মগধের রাজপুত্র হেমচন্দ্রের সঙ্গে মৃণালিনীর প্রণয় এবং দেশরক্ষার জন্য হেমচন্দ্রের সংকল্প ও ব্যর্থতার সঙ্গে এক রহস্যময়ী নারী মনোরমার কাহিনি এ উপন্যাসের মূল কথা। কৃষ্ণকান্তের উইল এর অন্তর্গত চরিত্র হলো: গোবিন্দলাল, হরলাল, কৃষ্ণকান্ত, রোহিনী, ভ্রমর, নিশাকর। বিষবৃক্ষ উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র- নগেন্দ্রনাথ, সূর্যমুখী, কুন্দনন্দিনী, হীরা। তিলোত্তমা, আয়েশা, বিমলা বঙ্কিমের দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাসের অন্তর্গত চরিত্র।
প্রশ্নঃ ‘ব্যক্ত প্রেম’ ও ‘গুপ্ত প্রেম’ কবিতা দুটি রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘ব্যক্ত প্রেম’ ও ‘গুপ্ত প্রেম’ কবিতা দুটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মানসী কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এই কাব্যগ্রন্থটি ১৮৯০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এটি রবীন্দ্রনাথের কাব্য রচনার "মানসী - সোনার তরী পর্ব"-এর একটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি।
প্রশ্নঃ ‘অভীক’ রবীন্দ্রনাথের কোন গল্পের নায়ক?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘অভীক’ এবং ‘বিভা’ রবীন্দ্রনাথের রবিবার গল্পের নায়ক ও নায়িকা চরিত্র। ‘নষ্টনীড়’ গল্পের চরিত্র- চারু, অমল ও ভূপতি। ‘ল্যাবরেটরি’ গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র সোহিনী।
‘সকলের তরে সকলে আমরা/প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।’ – এই বিখ্যাত পংক্তি দুটি কবি কামিনী রায় রচিত।
এটি তার "পরের তরে" কবিতার অংশ। কবিতাটি মানুষের মধ্যে সহানুভূতি, সহযোগিতা ও পরোপকারের গুরুত্ব তুলে ধরে।
প্রশ্নঃ ‘আমার সন্তান যেন থাকে।’—এই মনােবাঞ্ছাটি কার?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’—এই মনোবাঞ্ছাটি গঃ ঈশ্বরী পাটুনীর।
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের অন্তর্গত কালকেতু উপাখ্যানে ঈশ্বরী পাটুনী যখন দেবী চণ্ডীর ছলনায় তার নৌকা ডুবতে দেখেন, তখন দেবীর কাছে এই প্রার্থনা করেন।