প্রশ্নঃ Windows অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কিত নিম্নের কোন তথ্যটি সঠিক?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
সঠিক উত্তরটি হলো Option1: এটি মাল্টি টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম।
ব্যাখ্যা:
এটি মাল্টি টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম: Windows একই সময়ে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন বা প্রক্রিয়া চালানোর ক্ষমতা রাখে। এটি একটি মৌলিক এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য যা আধুনিক অপারেটিং সিস্টেমের জন্য অপরিহার্য।
এটি Open source অপারেটিং সিস্টেম: Open source অপারেটিং সিস্টেমের সোর্স কোড সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে এবং ব্যবহারকারীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন ও বিতরণ করতে পারে। Windows একটি মালিকানাধীন (proprietary) অপারেটিং সিস্টেম, যার সোর্স কোড মাইক্রোসফটের নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং এটি সাধারণভাবে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত নয়।
Related MCQ
একটি অপারেটিং সিস্টেম যখন কোনো ব্যক্তিকে বিভিন্ন সিম্বল, আইকন অথবা ভিজ্যুয়াল মেটাফরের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ স্থাপনে সাহায্য করে, তখন এই শ্রেণির কাজকে গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (Graphical User Interface - GUI) বলে।
GUI ব্যবহারকারীকে কমান্ড লেখার পরিবর্তে ভিজ্যুয়াল উপাদানের (যেমন উইন্ডো, বাটন, মেনু, আইকন) মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে ইন্টারেক্ট করতে দেয়। এটি কম্পিউটার ব্যবহারকে অনেক সহজ এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব করে তোলে।
প্রশ্নঃ নিচের কোনটি multi-tasking operating system নয়?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
সঠিক উত্তর হল ঘঃ DOS।
DOS (Disk Operating System) একটি সিঙ্গেল-টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম ছিল। এর মানে হল, DOS-এ একই সময়ে কেবল একটি প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন চালানো যেত।
অন্যদিকে, Windows, Linux এবং Windows NT - এই তিনটিই মাল্টি-টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম। এগুলোতে একই সময়ে একাধিক প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন চালানো সম্ভব।
প্রশ্নঃ একটি কম্পিউটার boot করতে পারে না যদি তাতে না থাকে-
[ বিসিএস ৪১তম ]
একটি কম্পিউটার বুট করতে পারে না যদি তাতে অপারেটিং সিস্টেম (Operating System) না থাকে।
কম্পিউটার বুট করার সময়, BIOS (Basic Input/Output System) বা UEFI (Unified Extensible Firmware Interface) প্রথমে হার্ডওয়্যার পরীক্ষা করে এবং তারপর স্টোরেজ ডিভাইস থেকে অপারেটিং সিস্টেমের ফাইলগুলো খুঁজে বের করে RAM (Random Access Memory)-এ লোড করে। অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া, কম্পিউটারকে নির্দেশ দেওয়ার মতো কোনো সফটওয়্যার থাকে না এবং এটি কাজ শুরু করতে পারে না।
প্রশ্নঃ Time-shared OS- এর জন্য কোন sheduling policy সবচেয়ে ভাল?
[ বিসিএস ৪০তম ]
টাইম-শেয়ারড অপারেটিং সিস্টেমের জন্য সবচেয়ে ভালো শেডিউলিং পলিসি হলো Round-robin।
রাউন্ড-রবিন শেডিউলিং পলিসি প্রতিটি প্রসেসকে সিপিইউ ব্যবহারের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে (টাইম স্লাইস বা টাইম কোয়ান্টাম)। যদি একটি প্রসেস তার বরাদ্দকৃত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারে, তবে সিপিইউ পরবর্তী প্রসেসে চলে যায় এবং প্রথম প্রসেসটি আবার তার সুযোগের জন্য অপেক্ষা করে। এই প্রক্রিয়াটি চক্রাকারে চলতে থাকে।
টাইম-শেয়ারড সিস্টেমে, ব্যবহারকারীদের কাছে দ্রুত এবং ইন্টারেক্টিভ প্রতিক্রিয়া প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাউন্ড-রবিন এই কাজটি খুব ভালোভাবে করে কারণ এটি নিশ্চিত করে যে কোনো একটি প্রসেস দীর্ঘ সময়ের জন্য সিপিইউ দখল করে রাখবে না, এবং প্রতিটি প্রসেস অল্প সময়ের ব্যবধানে সিপিইউ ব্যবহারের সুযোগ পাবে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা মসৃণ এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া অনুভব করেন।
প্রশ্নঃ কোনটি অপারেটিং সিস্টেম নয়?
[ বিসিএস ৩৭তম ]
"C" একটি অপারেটিং সিস্টেম নয়।
এটি একটি প্রোগ্রামিং ভাষা।
অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:
- DOS (Disk Operating System): এটি একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম ছিল, বিশেষ করে ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে ব্যক্তিগত কম্পিউটারে ব্যবহৃত হতো।
- CP/M (Control Program for Microcomputers): এটিও একটি অপারেটিং সিস্টেম যা ১৯৮০-এর দশকে মাইক্রোকম্পিউটারগুলোতে ব্যাপক ব্যবহৃত হতো।
- XENIX: এটি ইউনিক্স-ভিত্তিক একটি অপারেটিং সিস্টেম যা মাইক্রোসফট কর্তৃক উন্নয়ন করা হয়েছিল।
সুতরাং, C হলো একটি প্রোগ্রামিং ভাষা, অপারেটিং সিস্টেম নয়।
প্রশ্নঃ এনড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে নিচের কোনটি সঠিক?
[ বিসিএস ৩৭তম ]
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে বিকল্পগুলির মধ্যে উপরের সবগুলো সঠিক।
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
- কঃ এটির নির্মাতা গুগল: অ্যান্ড্রয়েড প্রাথমিকভাবে অ্যান্ড্রয়েড ইনকর্পোরেটেড দ্বারা তৈরি হয়েছিল, যা ২০০৫ সালে গুগল অধিগ্রহণ করে। এরপর থেকে গুগলই অ্যান্ড্রয়েডের প্রধান উন্নয়নকারী।
- খঃ এটি লিনাক্স (Linux) কার্নেল নির্ভর: অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তি হলো লিনাক্স কার্নেল। এটি লিনাক্স কার্নেল ব্যবহার করে সিস্টেম হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে একটি ব্রিজ তৈরি করে।
- গঃ এটি প্রধানত টাচস্ক্রিন মোবাইল ডিভাইসের জন্য তৈরি: অ্যান্ড্রয়েড মূলত স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের মতো টাচস্ক্রিন মোবাইল ডিভাইসের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যদিও পরে এটি স্মার্ট টিভি (Android TV), স্মার্টওয়াচ (Wear OS), গাড়ি (Android Auto) এবং অন্যান্য ডিভাইসেও অভিযোজিত হয়েছে, এর মূল ভিত্তি মোবাইল ডিভাইস।
সুতরাং, এই তিনটি উক্তিই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জন্য সঠিক।
আইওএস (iOS) মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমটি অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড (Apple Inc.) বাজারজাত করে। এটি অ্যাপলের আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচ ডিভাইসের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
নিচের স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে যেটি ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম, সেটি হলো: Android (অ্যান্ড্রয়েড)
- Android: গুগল দ্বারা ডেভেলপকৃত অ্যান্ড্রয়েড একটি ওপেন সোর্স (Open Source) অপারেটিং সিস্টেম। এর সোর্স কোড অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স প্রজেক্ট (AOSP) এর মাধ্যমে সবার জন্য উন্মুক্ত। এর মানে হলো যে কেউ অ্যান্ড্রয়েডের সোর্স কোড ডাউনলোড, পরিবর্তন এবং নিজস্ব ডিভাইসে ব্যবহার করতে পারে। এই কারণে বিভিন্ন স্মার্টফোন নির্মাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যান্ড্রয়েডের কাস্টমাইজড সংস্করণ তৈরি করতে পারে।
- iOS: অ্যাপল (Apple) এর তৈরি iOS একটি ক্লোজড সোর্স (Closed Source) বা মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম। এর সোর্স কোড উন্মুক্ত নয় এবং শুধুমাত্র অ্যাপল ডিভাইস (যেমন আইফোন, আইপ্যাড) এর জন্যই এটি ব্যবহৃত হয়।
- Windows Phone: মাইক্রোসফট (Microsoft) এর এই অপারেটিং সিস্টেমটিও ক্লোজড সোর্স এবং মালিকানাধীন ছিল। এটি এখন আর সক্রিয়ভাবে ডেভেলপ বা ব্যবহৃত হয় না।
- Symbian: এটি একটি পুরনো অপারেটিং সিস্টেম যা মূলত নোকিয়া (Nokia) সহ অন্যান্য কিছু ফোন নির্মাতা ব্যবহার করত। এটিও ক্লোজড সোর্স এবং মালিকানাধীন ছিল। এটিও বর্তমানে অপ্রচলিত।
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েডই ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম।