প্রশ্নঃ এশিয়ার দীর্ঘতম নদী কোনটি?
[ বিসিএস ২০তম ]
এশিয়ার দীর্ঘতম নদী ইয়াংসিকিয়াং। ইয়াংসিকিয়াং এর দৈর্ঘ্য ৬৩৮০ কি.মি.; হোয়াংহো- এর দৈর্ঘ্য ৫৪৬৪ কি.মি.; গঙ্গার দৈর্ঘ্য ২৬৫৫ কি.মি.; সিন্ধুর দৈর্ঘ্য ৩,১৮০ কি.মি.।
Related MCQ
ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-এ ছয়টি ভৌগোলিক হটস্পট নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই হটস্পটগুলো হলো:
১. উপকূলীয় অঞ্চল ২. বরেন্দ্র অঞ্চল ৩. খরাপ্রবণ অঞ্চল ৪. নিম্ন জলাভূমি ৫. পাহাড়ি অঞ্চল ৬. শহর অঞ্চল
প্রশ্নঃ আলেপ্পো শহরটি কোন দেশে অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
আলেপ্পো শহরটি সিরিয়া দেশে অবস্থিত। এটি সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এবং দেশটির বৃহত্তম শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম।
সিয়াচেন হিমবার (Siachen Glacier) হলো পৃথিবীর একমাত্র যুদ্ধবিধ্বস্ত হিমবাহ এবং এটি ভারত এবং পাকিস্তান দেশের মধ্যে অবস্থিত।
এটি কাশ্মীর অঞ্চলের উত্তরাঞ্চলে হিমালয়ের তুষারময় অঞ্চলে অবস্থান করছে, যেখানে দুই দেশের সেনাবাহিনী একে অপরকে নজরদারি করছে এবং সংঘর্ষের মধ্যে রয়েছে।
সিয়াচেন হিমবারের এই এলাকার অধিকাংশ অংশই ৫,০০০ মিটার (১৬,৪০০ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত, যা শীতকালেও অত্যন্ত শীতল এবং কঠিন পরিবেশে পরিণত হয়।
প্রশ্নঃ ‘Friday For Future’ কোন ধরনের আন্দোলন?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
‘Friday For Future’ হলো একটি জলবায়ু আন্দোলন।
এই আন্দোলনটি সুইডিশ কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গ ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে সুইডিশ পার্লামেন্টের বাইরে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর মাধ্যমে শুরু করে। সে প্রতি শুক্রবার স্কুলে না গিয়ে "স্কুল ধর্মঘট জলবায়ুর জন্য" (Skolstrejk för klimatet) লেখা একটি প্ল্যাকার্ড হাতে পার্লামেন্টের সামনে বসে থাকত।
প্রশ্নঃ ঢাকা থেকে পূর্বদিকে অবস্থিত একটি স্থানের সাথে দ্রাঘিমার পার্থক্য ৪৫°। ঢাকার সময় মধ্যাহ্ন ১২:০০ টা হলে ঐ স্থানটির স্থানীয় সময় হবে-
[ বিসিএস ৪৬তম ]
ঢাকা থেকে পূর্বদিকে ৪৫° দ্রাঘিমার পার্থক্য থাকলে, সময়ের পার্থক্য হবে: \[ \frac{45°}{15°} = 3 \text{ ঘণ্টা} \] অর্থাৎ, ঐ স্থানের সময় ঢাকার তুলনায় ৩ ঘণ্টা এগিয়ে থাকবে। যদি ঢাকার মধ্যাহ্ন সময় ১২:০০ টা হয়, তাহলে ঐ স্থানের স্থানীয় সময় হবে: \[ 12:00 + 3:00 = 15:00 \text{ (বা ৩:০০ PM)} \] সুতরাং, ঐ স্থানের স্থানীয় সময় ৩:০০ PM হবে।
মাউন্ট এভারেস্ট ভারতীয় (Indian Plate) এবং ইউরেশীয় (Eurasian Plate) এই দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল বরাবর অবস্থিত। এই দুটি প্লেটের সংঘর্ষের ফলেই হিমালয় পর্বতমালা এবং মাউন্ট এভারেস্টের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় প্লেটটি ইউরেশীয় প্লেটের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ার কারণে আজও মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা সামান্য পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ট্রপোমণ্ডলে (Troposphere) উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুর তাপমাত্রা সাধারণত কমতে থাকে। এই হ্রাসের গড় হারকে পরিসীমা হ্রাস হার (Lapse Rate) বলা হয়। সাধারণভাবে, প্রতি ১ কিলোমিটার উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে তাপমাত্রা প্রায় ৬.৫°C হ্রাস পায়। তবে এটি বিভিন্ন পরিবেশগত পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল হতে পারে।
ট্রপোমণ্ডল বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তর, যেখানে আমাদের আবহাওয়া ও জলবায়ুর কার্যক্রম ঘটে। উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে তাপমাত্রা কমার প্রধান কারণ হলো:
1. বায়ুর ঘনত্ব কমে যাওয়া, ফলে তাপমাত্রা ধারণের ক্ষমতা হ্রাস পায়।
2. ভূপৃষ্ঠ থেকে তাপ শোষণ কম হওয়া, কারণ সূর্যের তাপ মূলত পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত হয়।
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে (কপ-২৮)-এর মূল ফোকাস ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জনের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা।
কপ-২৮ এর প্রধান দিকগুলো ছিল:
- প্রথম বিশ্বব্যাপী স্টকটেক (Global Stocktake) সম্পন্ন করা: প্যারিস চুক্তির আওতায় দেশগুলো তাদের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (Nationally Determined Contributions - NDCs) কতটা অর্জন করেছে, তার একটি সামগ্রিক মূল্যায়ন করা হয়। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও ambitious লক্ষ্য নির্ধারণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
- জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার বিষয়ে আলোচনা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি। কপ-২৮ এ এই জ্বালানির ব্যবহার কমানো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত, একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে "জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে যাওয়ার" (transitioning away from fossil fuels) বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়।
- ক্ষয়ক্ষতি তহবিল (Loss and Damage Fund) কার্যকর করা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দুর্বল দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য এই তহবিল গঠন করা হয়েছে। কপ-২৮ এ এই তহবিলকে কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং কিছু দেশ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়।
- জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধি: উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় সহায়তার জন্য প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কপ-২৮ এ এই প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি অর্থায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়।
- অভিযোজন (Adaptation) এবং স্থিতিস্থাপকতা (Resilience) জোরদার করা: জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য প্রভাবগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
- অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ: কপ-২৮ এ নাগরিক সমাজ, নারী, যুব, স্থানীয় সম্প্রদায় এবং আদিবাসীসহ সকলের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা হয়।
মোটকথা, কপ-২৮ এর মূল লক্ষ্য ছিল কার্যকর জলবায়ু পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বকে একটি নিরাপদ ও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জন করা।
নিরক্ষীয় তল থেকে উত্তর মেরুর কৌণিক দূরত্ব বা উৎপন্ন কোণ হল ৯০°।
পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে নিরক্ষীয় তলের সাথে উত্তর মেরু যে কোণ উৎপন্ন করে, তাই উত্তর মেরুর অক্ষাংশ এবং এর মান ৯০° উত্তর।
প্রশ্নঃ জাপানিজ শব্দ ‘সুনামি’ এর অর্থ কী?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
জাপানিজ শব্দ ‘সুনামি’ এর অর্থ হল পোতাশ্রয়ের ঢেউ (港の津波 - minato no tsunami)।
'সু' (津) শব্দের অর্থ পোতাশ্রয় বা বন্দর এবং 'নামি' (波) শব্দের অর্থ ঢেউ। ভূমিকম্প বা অন্য কোনো কারণে সমুদ্রের তলদেশে আকস্মিক আলোড়ন সৃষ্টি হলে বিশাল আকারের ঢেউ উপকূলে আঘাত হানে, যা পোতাশ্রয় বা বন্দরের কাছাকাছি বেশি দেখা যায়। এই কারণেই জাপানি জেলেরা এই ঢেউগুলোকে "পোতাশ্রয়ের ঢেউ" নামে অভিহিত করে।
প্রশ্নঃ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয় কোনটি?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত নয় ভূমিকম্প।
ব্যাখ্যা:
- মরুকরণ, বন্যা, এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি—সবগুলোই বৈশ্বিক উষ্ণায়নের পরিণতি।
- মরুকরণ ঘটে যখন দীর্ঘমেয়াদী তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং বৃষ্টিপাতের অভাবের ফলে জমি শুষ্ক হয়ে যায়।
- বন্যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে পরিবর্তিত আবহাওয়া এবং অতিবৃষ্টি থেকে সৃষ্টি হতে পারে।
- সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ঘটে যখন বরফ গলতে থাকে এবং সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
অন্যদিকে, ভূমিকম্প ভূগর্ভস্থ টেকটোনিক প্লেটের গতিশীলতার কারণে হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নয়।
বন্যা নিয়ন্ত্রণের সাধারণ ব্যবস্থার মধ্যে নদীর দুই তীরে বনাঞ্চল সৃষ্টি করা সরাসরি অন্তর্ভুক্ত নয়।
ব্যাখ্যা:
- নদী খনন বন্যার পানি দ্রুত নিষ্কাশনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
- নদী শাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যা বন্যা প্রতিরোধে কার্যকর।
- বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা উন্নত করা বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সহায়ক।
অন্যদিকে, নদীর দুই তীরে বনাঞ্চল সৃষ্টি করা পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি সরাসরি বন্যা নিয়ন্ত্রণের মূল ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত নয়।
প্রশ্নঃ নিচের কোনটি কৃষি-আবহাওয়াজনিত আপদ (Hazard)?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
কৃষি-আবহাওয়াজনিত আপদ হলো খরা।
ব্যাখ্যা:
- খরা দীর্ঘ সময় ধরে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়, যা একটি বড় কৃষি-আবহাওয়াজনিত বিপর্যয়।
- ভূমিকম্প, ভূমিধস, এবং সুনামি মূলত ভূতাত্ত্বিক (Geological) বিপর্যয়, যা সরাসরি কৃষি-আবহাওয়ার সাথে সম্পর্কিত নয়।
খরার ফলে কী ক্ষতি হয়?
- ফসলের উৎপাদন কমে যায়।
- মাটির আর্দ্রতা হ্রাস পায়।
- খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কয়টি জেলার সাথে ‘সুন্দরবন’ সংযুক্ত আছে?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
বাংলাদেশের পাঁচটি জেলার সাথে ‘সুন্দরবন’ সংযুক্ত আছে। এই জেলাগুলো হলো:
- খুলনা
- বাগেরহাট
- সাতক্ষীরা
- বরগুনা
- পটুয়াখালী
সুন্দরবনের অংশ এই জেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে বিস্তৃত।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে বন গবেষণা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
বাংলাদেশের বন গবেষণা কেন্দ্র বা বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট (BFRI) চট্টগ্রামে অবস্থিত। এটি ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দেশের বনসম্পদ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও গবেষণার জন্য কাজ করে।
প্রশ্নঃ আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা হলো রাঙ্গামাটি।
এই জেলার আয়তন হলো ৬,১১২.১৩ বর্গ কিলোমিটার (২,৩৬০.৬৭ বর্গ মাইল)। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত।
বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি এলাকাকে ‘Marine Protected Area (MPA)’ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এবং এর চারপাশের এলাকা: এই এলাকাটিকে জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য MPA ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে প্রবাল প্রাচীর এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রজাতি বিদ্যমান।
- নিঝুম দ্বীপ মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া: এটি বঙ্গোপসাগরের মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও পাখির আবাসস্থল।
এছাড়াও, সরকার আরও কিছু এলাকাকে MPA ঘোষণার পরিকল্পনা করছে।
প্রশ্নঃ কোন দেশে সমুদ্র বন্দর নাই?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
নেপাল একটি ভূবেষ্টিত দেশ (Landlocked Country), যার কোনো সমুদ্র বন্দর নেই। এটি চারপাশ থেকে ভারত ও চীন দ্বারা বেষ্টিত। সমুদ্র পথে বাণিজ্যের জন্য নেপাল সাধারণত ভারতের বন্দরগুলির ওপর নির্ভর করে।
প্রশ্নঃ ক্ষুদ্রতম মহাদেশ :
[ বিসিএস ৪৫তম ]
ক্ষুদ্রতম মহাদেশ হলো কঃ অস্ট্রেলিয়া।
আয়তনের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মহাদেশ।
প্রশ্নঃ পৃথিবীর গভীরতম স্থান :
[ বিসিএস ৪৫তম ]
পৃথিবীর গভীরতম স্থান হলো কঃ ম্যারিয়ানা ট্রেঞ্চ।
এটি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এবং এর গভীরতা প্রায় ১১ কিলোমিটারের বেশি।
প্রশ্নঃ বান্দা আচেহ কোথায় অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
বান্দা আচেহ ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। এটি সুমাত্রা দ্বীপের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত।
প্রশ্নঃ ‘ভিক্টোরিয়া ডিজার্ট’ কোথায় অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
‘ভিক্টোরিয়া ডিজার্ট’ অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত।
এটি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত একটি বৃহৎ মরুভূমি।
প্রশ্নঃ তিব্বত একটি-
[ বিসিএস ৪৫তম ]
সঠিক উত্তর: কঃ উপত্যকা।
তিব্বত হলো পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু প্লেটু (High Plateau), যা "বিশ্বের ছাদ" নামে পরিচিত। এটি একটি বিশাল উপত্যকা, যা প্রায় ৪,০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এবং চারপাশে হিমালয় পর্বত দ্বারা পরিবেষ্টিত।
তিব্বত ভূ-প্রকৃতিগতভাবে মরুভূমির কিছু বৈশিষ্ট্য ধারণ করলেও এটি মূলত একটি উচ্চভূমি উপত্যকা।
প্রশ্নঃ ‘Elephant Pass’ অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
‘Elephant Pass’ শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত।
এটি জাফনা উপদ্বীপের প্রবেশদ্বারে অবস্থিত একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থলযোট (isthmus)। এর একদিকে জাফনা উপদ্বীপ এবং অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার মূল ভূখণ্ড। গৃহযুদ্ধের সময় এই এলাকাটি বহুবার সংঘর্ষের কেন্দ্র ছিল।
প্রশ্নঃ গ্রীন হাউস গ্যাসের কোন গ্যাস বর্তমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে না?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
Chlorofluorocarbons (CFCs) গ্যাস বর্তমানে তেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে না, বরং এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো Montreal Protocol, যা ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে CFC-এর উৎপাদন ও ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কারণ এটি ওজন স্তরের ক্ষয়কারী একটি প্রধান গ্যাস হিসেবে শনাক্ত হয়েছিল।
যদিও CFC-এর নতুন নির্গমন অনেক কমে গেছে, বায়ুমণ্ডলে এর দীর্ঘ জীবনকালের কারণে এটি এখনও বিদ্যমান এবং গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে কাজ করছে। তবে, অন্যান্য প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂), মিথেন (CH₄) এবং নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)-এর ঘনত্ব এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপ, যেমন জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, কৃষিকাজ এবং শিল্প প্রক্রিয়া এর প্রধান কারণ।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে সিডর কখন আঘাত হানে?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
বাংলাদেশে সিডর আঘাত হানে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর। এটি একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল যা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা কত নটিক্যাল মাইল?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা হলো ২০০ নটিক্যাল মাইল।
এটি উপকূলরেখা থেকে সমুদ্রের দিকে এই দূরত্ব পর্যন্ত বিস্তৃত, যেখানে বাংলাদেশের সমুদ্রের জলজ ও খনিজ সম্পদসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের উপর একচ্ছত্র অধিকার রয়েছে।
প্রশ্নঃ নিচের কোনটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গ্যাস ক্ষেত্র?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গ্যাস ক্ষেত্রটি হলো তিতাস গ্যাসক্ষেত্র।
এটি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলায় অবস্থিত এবং ১৯৬২ সালে আবিষ্কৃত হয়। মজুতের দিক থেকেও এটি অন্যতম বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র।
ভূমিকম্প সংঘটন বিন্দুর সরাসরি উপরে ভূপৃষ্ঠস্থ বিন্দুকে এপিসেন্টার (Epicenter) বলে।
ভূগর্ভের যে স্থানে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়, তাকে হাইপোসেন্টার (Hypocenter) বা ফোকাস বলা হয়। এপিসেন্টার হলো সেই ফোকাসের ঠিক উল্লম্বভাবে ভূপৃষ্ঠের উপর অবস্থিত বিন্দু, যেখানে ভূমিকম্পের প্রভাব প্রথম অনুভূত হয় এবং সাধারণত সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ বিশ্বব্যাপী নিচের কোন অর্থনৈতিক খাত থেকে সবচাইতে বেশি গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
বিশ্বব্যাপী, বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদন খাত থেকে সবচাইতে বেশি গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়।
জীবাশ্ম জ্বালানি (কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল) পোড়ানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং তাপ তৈরির প্রক্রিয়াতেই মূলত এই বিপুল পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়।
উত্তর গোলার্ধে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের বায়ু ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে (counter-clockwise) প্রবাহিত হয়।
এর কারণ হলো কোরিওলিস প্রভাব। পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে বায়ু উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়। ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে নিম্নচাপ থাকে। এই নিম্নচাপের দিকে বায়ু যখন ছুটে আসে, তখন কোরিওলিস প্রভাবের কারণে উত্তর গোলার্ধে তা ডান দিকে বেঁকে একটি ঘড়ির কাঁটার বিপরীত ঘূর্ণনের সৃষ্টি করে।
প্রশ্নঃ মকরক্রান্তি রেখা কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ ২৩°৩০′ দক্ষিণ অক্ষাংশ।
মকরক্রান্তি রেখা হলো পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত একটি কল্পিত রেখা। এটি বিষুবরেখার ২৩°৩০′ দক্ষিণে অবস্থিত। এই রেখাটি সেই অক্ষাংশকে নির্দেশ করে যেখানে ২১শে জুন তারিখে সূর্য সরাসরি মাথার উপর কিরণ দেয়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো ভুল:
- ২৩°৩০′ উত্তর অক্ষাংশ (খ): এটি কর্কটক্রান্তি রেখা নামে পরিচিত এবং উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত।
- ২৩°৩০′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ (গ) এবং ২৩°৩০′ পশ্চিম দ্রাঘিমাংশ (ঘ): এগুলো দ্রাঘিমাংশ রেখা এবং কোনো নির্দিষ্ট তাপীয় অঞ্চল নির্দেশ করে না। দ্রাঘিমাংশ সময় নির্ধারণের সাথে সম্পর্কিত।
সুতরাং, মকরক্রান্তি রেখা হলো ২৩°৩০′ দক্ষিণ অক্ষাংশ।
প্রশ্নঃ কোন দেশটি ভেনিজুয়েলার প্রতিবেশী রাষ্ট্র নয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল খঃ বলিভিয়া।
গায়ানা, ব্রাজিল এবং কলাম্বিয়া - এই তিনটি দেশই ভেনিজুয়েলার প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ভেনিজুয়েলার পূর্বে গায়ানা, দক্ষিণে ব্রাজিল এবং পশ্চিমে কলাম্বিয়ার সাথে সীমান্ত রয়েছে। বলিভিয়া ভেনিজুয়েলার প্রতিবেশী রাষ্ট্র নয়; এটি ভেনিজুয়েলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত এবং ব্রাজিল ও পেরু দ্বারা ভেনিজুয়েলা থেকে বিচ্ছিন্ন।
প্রশ্নঃ কোন দেশকে ইউরােপের রুটির ঝুড়ি বলা হয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয় ইউক্রেন-কে।
ইউক্রেনের উর্বর কৃষ্ণ মৃত্তিকা এবং অনুকূল জলবায়ু গমসহ বিভিন্ন শস্য উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। একসময় ইউক্রেন ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান শস্য সরবরাহকারী অঞ্চল। বর্তমানেও বিশ্বের অন্যতম প্রধান গম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশটির বিশাল কৃষি জমি এবং উৎপাদন ক্ষমতা এটিকে "ইউরোপের রুটির ঝুড়ি" উপাধি এনে দিয়েছে।
প্রশ্নঃ গণতন্ত্রের ধারণা উৎসারিত হয় প্রথম কোন দেশে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
গণতন্ত্রের ধারণা প্রথম প্রাচীন গ্রিসের এথেন্স নগর রাষ্ট্রে উৎসারিত হয়।
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ক্লেইস্থেনিসের হাত ধরে এথেন্সে গণতন্ত্রের সূচনা হয়। এই ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের (তবে নারী, দাস ও বিদেশীদের বাদ দেওয়া হতো) আইন প্রণয়ন ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল। তাই এথেন্সকেই গণতন্ত্রের জন্মস্থান হিসেবে ধরা হয়।
প্রশ্নঃ কোন ধরনের শিলায় জীবাশ্ম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
জীবাশ্ম থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি পাললিক শিলায় (Sedimentary rocks)।
এর প্রধান কারণগুলো হলো:
-
গঠন প্রক্রিয়া: পাললিক শিলা গঠিত হয় মূলত পানির নিচে পলি, বালি, কাদা, মৃত জীবজন্তুর দেহাবশেষ এবং উদ্ভিদের অংশ স্তরে স্তরে জমা হওয়ার মাধ্যমে। সময়ের সাথে সাথে এই স্তরগুলো চাপের ফলে জমাট বেঁধে শিলায় পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়ায় জীবজন্তুর দেহাবশেষ বা উদ্ভিদের অংশ চাপা পড়ে জীবাশ্মে রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগ পায়।
-
কম তাপ ও চাপ: আগ্নেয় শিলা (Igneous rocks) গঠিত হয় গলিত ম্যাগমা বা লাভা ঠান্ডা ও জমাট বাঁধার মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়ায় অত্যাধিক তাপমাত্রার কারণে কোনো জীবজন্তু বা উদ্ভিদের দেহাবশেষ টিকে থাকতে পারে না। অন্যদিকে, রূপান্তরিত শিলা (Metamorphic rocks) উচ্চ তাপ ও চাপের প্রভাবে গঠিত হয়, যা জীবাশ্মকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে বা বিকৃত করে ফেলতে পারে।
তাই, জীবাশ্ম অনুসন্ধানের জন্য পাললিক শিলাস্তর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বেলেপাথর (Sandstone), কাদাপাথর (Shale), চুনাপাথর (Limestone) ইত্যাদি পাললিক শিলার উদাহরণ এবং এগুলোতে জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
প্রশ্নঃ নিচের কোন দুর্যোগের কার্যকর পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল খঃ ভূমিকম্প।
বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং খরা - এই তিনটি দুর্যোগেরই কার্যকর পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। আধুনিক প্রযুক্তি ও আবহাওয়াবিদদের জ্ঞান ব্যবহার করে বন্যার তীব্রতা ও সময়কাল, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ও আঘাত হানার সময় এবং খরার পূর্বাভাস বেশaccurately দেওয়া যায়।
অন্যদিকে, ভূমিকম্প কখন, কোথায় এবং কতটা তীব্রতায় আঘাত হানবে, তা বর্তমানে কার্যকরভাবে পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। বিজ্ঞানীরা ভূমিকম্পের প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করতে এবং ভূমিকম্পের ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে পারলেও, নির্দিষ্ট সময় এবং তীব্রতার পূর্বাভাস দেওয়ার প্রযুক্তি এখনও উন্নত হয়নি। ভূমিকম্পের কারণ ও প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং ভূগর্ভের অভ্যন্তরে দ্রুত পরিবর্তনশীল হওয়ায় এর পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন।
প্রশ্নঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চক্রের কোন স্তরটি বেশি ব্যয়বহুল?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
দুর্যোগের দীর্ঘস্থায়ী হ্রাস এবং দুর্যোগ পূর্বপ্রস্তুতিকেই দুর্যোগ প্রশমন বলে। মজবুত পাকা ভবন নির্মাণ, শস্য বহুমুখীকরণ, ভূমি ব্যবহারে বিপর্যয় হ্রাসের কৌশল নির্ধারণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শক্ত অবকাঠামো নির্মাণ, কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লোক স্থানান্তর; প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠন ইত্যাদি কার্যক্রম দুর্যোগ প্রশমনের আওতাভুক্ত। দীর্ঘস্থায়ী দুর্যোগ প্রশমন ব্যয়বহুল হলেও সরকার সীমিত সম্পদের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, নদী খনন, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, বনায়ন ইত্যাদি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে জি-কে প্রকল্প একটি-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল ঘঃ সেচ প্রকল্প।
জি-কে প্রকল্প (Ganges-Kobadak Project) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা এবং ঝিনাইদহ জেলায় বিস্তৃত একটি বৃহৎ সেচ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গঙ্গা নদী থেকে পানি পাম্প করে বিভিন্ন খাল ও নালার মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচের জল সরবরাহ করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো এই অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের ব্লু-ইকোনমির চ্যালেঞ্জ নয় কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল কঃ ঘন ঘন বন্যা।
বাংলাদেশের ব্লু-ইকোনমির (সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতি) উন্নয়নে কিছু চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলো:
-
সমুদ্র দূষণ: শিল্পবর্জ্য, প্লাস্টিক দূষণ এবং জাহাজ থেকে নির্গত তেল সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের জন্য বড় হুমকি। এটি ব্লু-ইকোনমির বিভিন্ন খাত, যেমন মৎস্য সম্পদ ও পর্যটনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
-
ত্রুটিপূর্ণ সমুদ্র শাসন: সমুদ্র অঞ্চলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাব, আইনের দুর্বল প্রয়োগ এবং বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা ব্লু-ইকোনমির সম্ভাবনাকে ব্যাহত করে। অবৈধ মৎস্য শিকার এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডও এর অন্তর্ভুক্ত।
অন্যদিকে, ঘন ঘন বন্যা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা মূলত বাংলাদেশের স্থলভাগকে প্রভাবিত করে। যদিও বন্যার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের জীবন ও জীবিকার ক্ষতি হতে পারে, তবে এটি সরাসরি ব্লু-ইকোনমির প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হয় না। সমুদ্র অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো মূলত সমুদ্র ও সমুদ্র সম্পদকেন্দ্রিক।
সুতরাং, "ঘন ঘন বন্যা" বাংলাদেশের ব্লু-ইকোনমির চ্যালেঞ্জ নয়।
প্রশ্নঃ ডাউকি ফন্ট বরাবর একটি প্রচণ্ড ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশের কোন নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
ডাউকি ফন্ট বরাবর একটি প্রচণ্ড ভূমিকম্পের পর ব্রহ্মপুত্র নদ তার গতিপথ পরিবর্তন করে।
১৭৮৭ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে এটি ময়মনসিংহ অঞ্চলের পূর্ব দিক থেকে সরে গিয়ে যমুনা নদীর প্রধান প্রবাহের সাথে মিলিত হয়। এই ভূমিকম্পটি ডাউকি ফল্ট অঞ্চলে সংঘটিত হয়েছিল এবং এর প্রভাবে নদ-নদীর গতিপথে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে।
বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশের প্রথম কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
এটি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত এবং ২০০৬ সালে এটি গড়ে ওঠে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করা হয় নিকটবর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে।
প্রশ্নঃ ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সৃষ্টির জন্য সাগরপৃষ্ঠের ন্যূনতম তাপমাত্রা কত হওয়া প্রয়ােজন?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
সঠিক উত্তর হল কঃ ২৬.৫° সে.।
ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সৃষ্টির জন্য সাগরপৃষ্ঠের ন্যূনতম তাপমাত্রা প্রায় ২৬.৫° সেলসিয়াস (৮০° ফারেনহাইট) হওয়া প্রয়োজন।
প্রশ্নঃ জিবুতি দেশটি কোথায় অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
সঠিক উত্তর হল কঃ এডেন উপসাগরের পাশে।
জিবুতি দেশটি পূর্ব আফ্রিকায়, এডেন উপসাগরের পশ্চিম প্রান্তে বাব-এল-মান্দেব প্রণালীর পাশে অবস্থিত। এর উত্তরে ইরিত্রিয়া, পশ্চিমে ও দক্ষিণে ইথিওপিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্বে সোমালিয়া অবস্থিত।
সঠিক উত্তর হল ঘঃ কম্বোডিয়া।
কম্বোডিয়া দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমার উপর কোনো আনুষ্ঠানিক দাবি জানায় না। এই অঞ্চলের জলসীমা এবং দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা নিয়ে মূলত চীন, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই এবং তাইওয়ানের মধ্যে বিরোধ বিদ্যমান।
প্রশ্নঃ নাথু লা পাস কোন দুটি দেশকে সংযুক্ত করেছে?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
নাথু লা পাস হলো হিমালয়ের ডংক্যা পর্বতশ্রেণীতে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ গিরিপথ। এটি চীনের তিব্বতের ইয়াতুং কাউন্টি এবং ভারতের সিকিম রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। এই গিরিপথটি ৪,৩১০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
এখানে কিছু অতিরিক্ত তথ্য দেওয়া হল:
- অবস্থান: এটি পূর্বে সিকিম জেলার হিমালয়ে অবস্থিত।
- এটি ভারত ও চীনের মধ্যে তিনটি খোলা বাণিজ্য সীমান্ত পোস্টের মধ্যে একটি।
- ঐতিহাসিক সিল্ক রুটের একটি অংশ ছিল এই গিরিপথটি।
- ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের পর এটি প্রায় ৪ দশক বন্ধ ছিল, পরে ২০০৬ সালে পুনরায় খোলা হয়।
- ভারতের নাগরিকরা গ্যাংটকে পারমিট পাওয়ার পরেই এই গিরিপথটি দেখতে যেতে পারেন।
প্রশ্নঃ আকাবা একটি-
[ বিসিএস ৪৩তম ]
আকাবা একটি সমুদ্র বন্দর।
এটি জর্ডানের একমাত্র সমুদ্র বন্দর এবং লোহিত সাগরের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে আকাবা উপসাগরের তীরে অবস্থিত। এটি জর্ডানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র এবং পর্যটন আকর্ষণ।
প্রশ্নঃ Trafalgar Square-এর অবস্থান-
[ বিসিএস ৪৩তম ]
ট্রাফালগার স্কয়ার ইংল্যান্ডের সেন্ট্রাল লন্ডনের সিটি অফ ওয়েস্টমিনস্টারে অবস্থিত একটি জনচত্বর। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
ট্রাফালগার স্কয়ারের প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- নেলসন স্তম্ভ (Nelson's Column): স্কয়ারের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভ, যা ১৮০৫ সালে ট্রাফালগারের যুদ্ধে অ্যাডমিরাল লর্ড হোরাশিও নেলসনের বিজয়ের স্মরণে নির্মিত। স্তম্ভের উপরে নেলসনের একটি মূর্তি রয়েছে এবং এর পাদদেশে চারটি ব্রোঞ্জের সিংহ দ্বারা এটি সুরক্ষিত।
- ঝর্ণা (Fountains): স্যার এডউইন লুটিয়েন্সের নকশা করা দুটি বড় এবং কারুকার্যময় ঝর্ণা এখানে রয়েছে।
- মূর্তি ও ভাস্কর্য (Statues and Sculptures): নেলসন স্তম্ভ ছাড়াও, স্কয়ারে চতুর্থ জর্জের অশ্বারোহী মূর্তি এবং জেনারেল স্যার চার্লস জেমস নেপিয়ার ও মেজর জেনারেল স্যার হেনরি হ্যাভলকের মূর্তি সহ আরও বেশ কয়েকটি মূর্তি রয়েছে।
- চতুর্থ ভিত্তিবেদী (The Fourth Plinth): উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত একটি খালি ভিত্তিবেদী যা ১৯৯৯ সাল থেকে বিভিন্ন আধুনিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
- জাতীয় গ্যালারি (National Gallery): স্কয়ারের উত্তর দিকে অবস্থিত একটি বিখ্যাত আর্ট মিউজিয়াম।
- সেন্ট মার্টিন-ইন-দ্য-ফিল্ডস (St Martin-in-the-Fields): স্কয়ারের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক গির্জা।
প্রশ্নঃ কোন বনাঞ্চল প্রতিনিয়ত লবণাক্ত পানি দ্বারা প্লাবিত হয়?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
সঠিক উত্তর হলো ম্যানগ্রোভ বনভূমি (Mangrove forests)।
ম্যানগ্রোভ বনভূমি উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত পানিতে জন্মে এবং প্রতিনিয়ত জোয়ার-ভাটার লবণাক্ত পানি দ্বারা প্লাবিত হয়। এই বনভূমি লবণাক্ত পরিবেশের সাথে বিশেষভাবে অভিযোজিত এবং সমুদ্র উপকূলকে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও ভাঙন থেকে রক্ষা করে। সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমির একটি উদাহরণ।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোন দ্বীপটি প্রবাল দ্বীপ নামে খ্যাত?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ হলো সেন্ট মার্টিন।
এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটি নারিকেল জিঞ্জিরা নামেও পরিচিত, কারণ এখানে প্রচুর নারিকেল গাছ জন্মে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি প্রবাল প্রাচীর বিদ্যমান। এই প্রবাল প্রাচীরটিতে বিভিন্ন ধরণের প্রবাল এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য দেখা যায়। জোয়ারের সময় এই প্রাচীরের অনেক অংশ পানিতে তলিয়ে গেলেও ভাটার সময় তা দৃশ্যমান হয়।
ছোট আয়তনের এই দ্বীপটি তার অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রবাল প্রাচীর এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত এবং এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।