১. দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকের ইংরেজি অনুবাদক –
[ বিসিএস ৪৬তম ]
মাইকেল মধুসূদন দত্ত দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন।
এই অনুবাদটি "Nil Durpan, or The Indigo Planting Mirror" নামে প্রকাশিত হয়েছিল। তবে, এটি রেভারেন্ড জেমস লঙের নামে প্রকাশিত হয় এবং এর জন্য তাকে আইনি জটিলতায় পড়তে হয়েছিল। পণ্ডিত কালীপ্রসন্ন সিংহ আদালতে জেমস লঙের জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছিলেন।
২. মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত ‘অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা কোন ছন্দের নব-রূপায়ণ?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত ‘অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব-রূপায়ণ।
অমিত্রাক্ষর ছন্দে অক্ষরবৃত্ত ছন্দের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো বজায় থাকে, যেমন প্রতি চরণে অক্ষরের সংখ্যা গণনা এবং শ্বাসাঘাতের ভূমিকা। তবে অমিত্রাক্ষর ছন্দে চরণের শেষে অন্ত্যমিল থাকে না এবং ভাবের প্রবাহ এক চরণ থেকে অন্য চরণে অবাধভাবে চলতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি এটিকে প্রবহমানতা দান করে এবং কবিতাটিকে গদ্যের কাছাকাছি একটি মুক্তি দেয়।
পয়ার ছিল বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের একটি সুপ্রতিষ্ঠিত রূপ, যেখানে প্রতি চরণে ১৪টি অক্ষর এবং ৮+৬ মাত্রার দুটি পর্ব থাকত এবং অন্ত্যমিল বিদ্যমান থাকত। মধুসূদন দত্ত এই কাঠামো বজায় রেখেই অন্ত্যমিলের প্রথা ভেঙে অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করেন। তাই, অমিত্রাক্ষর ছন্দকে অক্ষরবৃত্ত ছন্দেরই একটি আধুনিক ও নবায়িত রূপ বলা যায়।
৩. দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন কে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
দীনবন্ধু মিত্রের বিখ্যাত নাটক ‘নীলদর্পণ’ ইংরেজিতে অনুবাদ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তবে, এই কাজটি তিনি "A Native" ছদ্মনামে করেছিলেন এবং এর প্রকাশক ছিলেন রেভারেন্ড জেমস লং।
এই নাটকটি নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরে এবং এর ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশের ফলে ইউরোপেও এই বিষয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এর জন্য রেভারেন্ড জেমস লং-কে কারাবরণও করতে হয়েছিল।
৪. ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠীভুক্ত ছিলেন কে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠীভুক্ত ছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন ইয়ংবেঙ্গল আন্দোলনের একজন সক্রিয় সদস্য। এই গোষ্ঠী উনিশ শতকের বাংলায় সমাজ সংস্কার, প্রগতিশীল চিন্তা ও সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও ছিলেন এই দলের প্রধান অনুপ্রেরণাদাতা।
ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠীভুক্ত কয়েকজনের নাম নিচে দেওয়া হলো:
- কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়
- প্যারিচাঁদ মিত্র
- রামগোপাল ঘোষ
- দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়
- রাধানাথ শিকদার
- রসীকৃষ্ণ মল্লিক
- হরচন্দ্র ঘোষ
- শিবচন্দ্র দেব
- রামতনু লাহিড়ী
৫. কত সালে ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ প্রথম প্রকাশিত হয়?
[ বিসিএস ৩৮তম ]
'মেঘনাদবধ কাব্য' হলো মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মহাকাব্য। এটি ১৮৬১ সালে প্রকাশিত হয়।
রচনার পটভূমি ও অনুপ্রেরণা
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃৎ। তিনি ইউরোপীয় সাহিত্যের বিশেষ করে গ্রিক ও রোমান মহাকাব্যের আদলে বাংলা ভাষায় একটি মহাকাব্য রচনার স্বপ্ন দেখতেন। সংস্কৃত মহাকাব্য রামায়ণের কাহিনি অবলম্বনে তিনি এই কাব্য রচনা করেন, তবে এর উপস্থাপন এবং চরিত্রের চিত্রণে তিনি মৌলিকত্ব ও আধুনিকতার ছাপ রেখেছেন। তিনি রামায়ণের প্রধান চরিত্র রামকে নয়, বরং রাবণের পুত্র মেঘনাদকে (ইন্দ্রজিৎ) নায়ক হিসেবে চিত্রিত করেছেন, যা সে সময়ের প্রচলিত ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল।
কাব্যিক বৈশিষ্ট্য
- অমিত্রাক্ষর ছন্দ: 'মেঘনাদবধ কাব্য' অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত। এটি বাংলা কাব্যে মধুসূদন দত্তের এক যুগান্তকারী উদ্ভাবন। এই ছন্দে প্রতিটি চরণের শেষে মিল থাকে না, কিন্তু চরণগুলো সুনির্দিষ্ট মাত্রাবিন্যাসে সজ্জিত থাকে, যা কাব্যে এক ধরনের গাম্ভীর্য ও গতিময়তা এনেছে। এই ছন্দের মাধ্যমে তিনি বাংলা কাব্যে ছন্দের বন্ধনমুক্তি ঘটিয়েছিলেন।
- সর্গ বিভাজন: কাব্যটি মোট নয়টি সর্গে বিভক্ত। প্রতিটি সর্গের নামকরণ করা হয়েছে কাহিনির প্রধান ঘটনা বা চরিত্রের নামে, যেমন: অভিষেক, শক্তিশেল, হত্যা ইত্যাদি।
- ট্র্যাজিক নায়ক: মধুসূদন এই কাব্যে মেঘনাদকে একজন ট্র্যাজিক নায়ক হিসেবে তুলে ধরেছেন। রামায়ণ অনুসারে মেঘনাদ খলচরিত্র হলেও, মধুসূদনের কাব্যে সে স্বদেশপ্রেমী, বীর এবং আত্মমর্যাদাশীল এক মহান যোদ্ধা। তার মৃত্যুতে পাঠকের মনে গভীর শোক ও সহানুভূতি সৃষ্টি হয়।
- পুরাণ ও আধুনিকতার মিশ্রণ: যদিও কাহিনি রামায়ণ থেকে নেওয়া, মধুসূদন এতে আধুনিক মানবিকতা, বীরত্ব এবং ট্র্যাজেডির উপাদান যোগ করেছেন, যা কাব্যটিকে একটি নতুন মাত্রা দিয়েছে।
- অলঙ্কার ও চিত্রকল্প: কাব্যে বহু পৌরাণিক উপমা, উৎপ্রেক্ষা এবং হৃদয়গ্রাহী চিত্রকল্পের ব্যবহার দেখা যায়, যা এর সাহিত্যিক মূল্যকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রধান চরিত্রসমূহ
- রাবণ: লঙ্কার রাজা এবং মেঘনাদের পিতা।
- মেঘনাদ (ইন্দ্রজিৎ): রাবণের বীর পুত্র এবং কাব্যের প্রধান চরিত্র।
- প্রমীলা: মেঘনাদের স্ত্রী, এক বীরাঙ্গনা নারী।
- মন্দোদরী: রাবণের প্রধানা মহিষী এবং মেঘনাদের জননী।
- বিভীষণ: রাবণের অনুজ ভ্রাতা, যিনি রামের পক্ষে যোগ দেন।
- লক্ষ্মণ: রামের ভাই।
- রাম: অযোধ্যার রাজা।
- সীতা: রামের স্ত্রী।
- সরমা: বিভীষণের স্ত্রী।
গুরুত্ব ও প্রভাব
'মেঘনাদবধ কাব্য' প্রকাশের পর বাংলা সাহিত্যে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। এটি বাংলা কাব্যকে ধ্রুপদী মহাকাব্যের স্তরে উন্নীত করে এবং বাঙালি পাঠকদের কাছে মহাকাব্যের নতুন স্বাদ তুলে ধরে। এটি পরবর্তীকালে বহু কবিকে মহাকাব্য রচনায় অনুপ্রাণিত করেছে এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এটি একটি চিরস্মরণীয় সৃষ্টি হিসেবে বিবেচিত হয়।
৬. কোনটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের পত্রকাব্য?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
মাইকেল মধুসূদন দত্তের পত্রকাব্যটি হলো বীরাঙ্গনা
ব্যাখ্যা:
- বীরাঙ্গনা: এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের একটি বিখ্যাত পত্রকাব্য। এটি ১৮৬২ সালে প্রকাশিত হয়। এই কাব্যে পৌরাণিক নারী চরিত্রদের (যেমন - শকুন্তলা, তারা, মন্দোদরী, ক্যাকেনী ইত্যাদি) নিজেদের প্রেম, বিরহ, ক্ষোভ ও অভিমান ব্যক্ত করে প্রেমিক বা স্বামীর কাছে লেখা পত্রাকারে কবিতা রয়েছে। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক পত্রকাব্য।
অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:
- কঃ ব্রজাঙ্গনা: এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত একটি গীতিকাব্য।
- খঃ বিলাতের পত্র: এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা নয়, বা তার পত্রকাব্য হিসেবে পরিচিত নয়। এটি সম্ভবত অন্য কোনো লেখকের ভ্রমণ কাহিনী বা পত্র সংকলন।
- ঘঃ হিমালয়: এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের কোনো পরিচিত কাব্য বা গ্রন্থ নয়।
৭. বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক কোনটি?
[ বিসিএস ৩৫তম ]
বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক হলো মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত 'কৃষ্ণকুমারী'। এটি ১৮৬১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
৮. মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা নয় কোনটি?
[ বিসিএস ৩৪তম ]
মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা নয় গঃ বেতাল পঞ্চবিংশতি।
- বেতাল পঞ্চবিংশতি হলো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের একটি বিখ্যাত গদ্য রচনা।
- তিলোত্তমা কাব্য, মেঘনাদ বধ কাব্য, এবং বীরাঙ্গনা - এই তিনটিই মাইকেল মধুসূদন দত্তের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।
৯. মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ কোন ধরনের কাব্য?
[ বিসিএস ৩১তম ]
‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ (১৮৬২) একটি পত্রকাব্য। পত্রাকারে এ ধরনের কাব্য বাংলা সাহিত্যে এটাই প্রথম। রোমান কবি ওভিদের ‘হেরোইদাইদ্স’ কাব্যের অনুকরণে এই গ্রন্থ রচিত। এ কাব্যে মোট ১১টি পত্র আছে।
১০. সনেট কবিতার প্রবর্তক কে?
[ বিসিএস ২৯তম ]
বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক কবি ও নাট্যকার মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনিই বাংলায় প্রথম সনেট রচনা করেন এবং তার নাম দেন ‘চতুর্দশপদী’। বাংলা সনেটের আদি গ্রন্থ ‘চতুর্দশপদী কবিতা’ (১৮৬৬)।
১১. বাংলা সাহিত্যে সনেট রচনার প্রবর্তক কে?
[ বিসিএস ২৫তম ]
ইতালীয় সনেটো শব্দটি থেকে সনেট শব্দের উৎপত্তি। Sonnetto শব্দের অর্থ গীতি স্পন্দিত মৃদু ধ্বনি। বাংলা সনেট হলো গীতিকবিতার একটি শাখা। যে কবিতায় কবি হৃদয়ের একটিমাত্র ভাব বা অনুভূতি অখণ্ড থেকে চতুর্দশ অক্ষর ও চতুর্দশ চরণ দ্বারা একটি বিশেষ পদের মধ্য দিয়ে কবিতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ লাভ করে তাকে চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেট বলে। ইতালীয় রেনেসাঁর সন্ধিক্ষণে চতুর্দশ শতকে কবি পেত্রার্ক (Petrach) সনেটের উদ্ভাবক। বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে বাংলায় সনেট রচনা শুরু করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং তার হাতেই এসেছে সনেট রচনার যুগান্তর সাফল্য। এ কারণেই তাকে বাংলা সাহিত্যে সনেট রচনার প্রবর্তক বলা হয়।
১২. ‘অমিত্রাক্ষর’ ছন্দের বৈশিষ্ট্য হলো–
[ বিসিএস ২৫তম ]
‘অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ হলো অন্ত্যমিলনহীন এবং যতির বাধাধরা নিয়ম লঙ্ঘনকারী ছন্দবিশেষ। এর ইংরেজি পরিভাষা Blank verse। অমিত্রাক্ষরে ভাবের প্রবহমানতা নেই এবং ১৪ মাত্রার চরণ থাকে এবং চরণ শেষে অন্ত্যমিল থাকে না।
১৩. ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ কার রচনা?
[ বিসিএস ২১তম ]
বাংলা সাহিত্যে প্রথম সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা লেখেন কবি ও নাট্যকার মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩ খ্রি.)। তার রচিত সনেটসমূহ ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ (১৮৬৬) তে সংকলিত। প্রশ্নে উল্লিখিত অন্য কবি- সাহিত্যিকগণ সনেট রচনা করেননি।
১৪. মাইকেল মধুসূদন দত্তের দেশপ্রেম প্রবল প্রকাশ ঘটেছে-
[ বিসিএস ১৩তম ]
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে সনেটের প্রবর্তক, অমিত্রাক্ষর ছন্দের রূপকার, প্রথম সার্থক নাট্যকার, প্রথম পত্রকাব্যকার, প্রথম সার্থক মহাকাব্য রচয়িতা ও প্রথম প্রহসন রচয়িতা। মধুসূদনের ‘চর্তুদ্দশপদী কবিতাবলী’ গ্রন্হে ১০২ টি সনেট রয়েছে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার প্রবল দেশপ্রেম প্রকাশ করেছেন সনেটের মাধ্যমে।
১৫. মধুসূদন দত্ত রচিত ‘বীরাঙ্গনা’-
[ বিসিএস ১২তম ]
মধুসূদন দত্ত রচিত মহাকাব্য ‘মেঘনাদবধ’, গীতিকাব্য ‘চতুর্দ্দশপদী কবিতাবলী’, আখ্যানকাব্য ‘ব্রজাঙ্গনা কাব্য’ এবং পত্রকাব্য ‘বীরাঙ্গনা’। ‘বীরাঙ্গণা’ এগারটি পূর্ণপত্রে রচিত কাব্যগ্রন্হ।
১৬. "একেই কি বলে সভ্যতা"- এটি মধুসূদন দত্তের কি জাতীয় রচনা?
[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]
"একেই কি বলে সভ্যতা" ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি বিখ্যাত প্রহসন। এটি ১৮৬০ সালে রচিত এবং প্রকাশিত হয়।
এই প্রহসনটিতে তৎকালীন কলকাতার তথাকথিত আধুনিক ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণকারী সমাজের মুখোশ উন্মোচন করা হয়েছে। মধুসূদন দত্ত অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সেই সময়ের বাবু সমাজের ভণ্ডামি, নীতিহীনতা এবং অন্তঃসারশূন্যতাকে ব্যঙ্গাত্মকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।