‘মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়’ – এই বিখ্যাত কাব্যাংশটি রচনা করেন ঘঃ জীবনানন্দ দাশ।
এটি তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘আকাশলীনা’-র একটি চরণ। কবিতাটি জীবনানন্দের কাব্যগ্রন্থ ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’-তে অন্তর্ভুক্ত। এই পংক্তির মাধ্যমে কবি মানবজাতির চিরন্তনতা এবং প্রকৃতির মাঝে মানুষের স্মৃতি ও প্রভাবের কথা তুলে ধরেছেন।
২. জীবনানন্দ দাশকে ‘নির্জনতম কবি’ বলে আখ্যায়িত করেন কে?
[ বিসিএস ৩৯তম ]
জীবনানন্দ দাশকে ‘নির্জনতম কবি’ বলে আখ্যায়িত করেন বুদ্ধদেব বসু।
বুদ্ধদেব বসু তাঁর 'আধুনিক বাংলা কবিতা' (প্রথম পর্যায়) গ্রন্থে জীবনানন্দ দাশের কবিতায় একাকীত্ব, বিষণ্ণতা এবং প্রকৃতির প্রতি গভীর মমত্ববোধ লক্ষ্য করে এই অভিধাটি ব্যবহার করেছিলেন।
৩. ইংরেজি ভাষায় জীবনানন্দ দাশের ওপর গ্রন্থ লিখেছেন কে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ক্লিনটন বি সিলি (Clinton B. Seely) ইংরেজি ভাষায় জীবনানন্দ দাশের ওপর একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ লিখেছেন।
গ্রন্থটির নাম হলো "A Poet Apart"।
ক্লিনটন বি সিলি ছিলেন একজন আমেরিকান একাডেমিক, অনুবাদক এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পণ্ডিত। এই বইটি জীবনানন্দ দাশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ জীবনী হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
৪. জীবনানন্দ দাশের প্রবন্ধগ্রন্থ কোনটি?
[ বিসিএস ২৮তম ]
তিমির হননের কবি জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)-এর প্রবন্ধগ্রন্হ ‘কবিতার কথা’ (১৯৫৪)। তার রচিত কাব্যগ্রন্হ: ‘ঝরাপালক’ (১৯২৭), ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ (১৯৩৬), ‘বনলতা সেন’ (১৯৪২), ‘সাতটি তারার তিমির’ (১৯৪৮) ‘রূপসী বাংলা’ (১৯৫৭)। উপন্যাস : ‘মাল্যবান’ (১৯৭৩), ‘সতীর্থ’ (১৯৭৪)। ‘দুর্দিনের যাত্রী’ (১৯২২) এবং ‘যুগবাণী’ (১৯২৬) কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রবন্ধ গ্রন্হ।
৫. জীবনানন্দ দাশের জন্মস্থান কোন জেলায়?
[ বিসিএস ১৬তম ]
রবীন্দ্র-উত্তর আধুনিক বাংলা কবিতায় পঞ্চপাণ্ডবের একজন ছিলেন জীবনানন্দ দাশ। তাঁর জন্ম ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশাল জেলার ধানসিঁড়ি নদীর তীরে এক ব্রাহ্ম পরিবারে। প্রতিভাবান এই কবি কলকাতায় ট্রামের নিচে পড়ে আহত হন এবং ২২ অক্টোবর ১৯৫৪ মারা যান।
৬. জীবনানন্দ দাশের রচিত কাব্যগ্রন্থ-
[ বিসিএস ১৩তম ]
জীবনানন্দ দাশের অন্যান্য কাব্যগ্রন্হগুলো হলো- ঝরাপালক, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা ও বেলা অবেলা কালবেলা।
৭. রূপসী বাংলার কবি-
[ বিসিএস ১২তম ]
| কবি | উপাধি |
|---|---|
| জীবনানন্দ দাশ | ধূসরতার কবি, তিমির হননের কবি, নির্জনতার কবি, রূপসী বাংলার কবি |
| জসীমউদ্দীন | পল্লীকবি |
| সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত | ছন্দের জাদুকর |
৮. কোন কবির মাতাও একজন কবি?
[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]
জীবনানন্দ দাশের মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন স্বনামধন্য কবি। তাঁর লেখা বিখ্যাত কবিতা "আদর্শ ছেলে" আজও বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত। কবিতাটি হলো:
"আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে? কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে। মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন, 'মানুষ' হইতে হবে - এই তার পণ।"
অন্যান্য কবিদের মায়েদের সাহিত্যচর্চার তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না।
৯. "রূপ্সার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেঁড়া পালে ডিঙা বায়’ কবিতার চরণে কবি কোন রূপসার কথা বলেছেন?
[ প্রা.বি.স.শি. 22-04-2022 ]
"রূপ্সার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেঁড়া পালে ডিঙা বায়" এই কবিতার চরণে কবি জীবনানন্দ দাশ রূপসা নদীর কথা বলেছেন।
১০. 'বেলা অবেলা কালবেলা'র লেখক কে?
[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]
"বেলা অবেলা কালবেলা" জীবনানন্দ দাশের সপ্তম কাব্যগ্রন্থ। কবির মৃত্যুর পর তাঁর কনিষ্ঠ ভ্রাতা অশোকানন্দ দাশ ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেন। এর আগে ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর কবি এক ট্রাম দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করেন। জীবদ্দশায় প্রকাশিত সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ হলো ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত "সাতটি তারার তিমির"