আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

ক. ইটালি
খ. গ্রীস
গ. তুরস্ক
ঘ. ফ্রান্স
উত্তরঃ তুরস্ক
ব্যাখ্যাঃ

ঐতিহাসিক ট্রয় নগরী বর্তমানে তুরস্কে অবস্থিত।

প্রাচীনকালে এটি আনাতোলিয়া নামে পরিচিত ছিল, যা বর্তমানে তুরস্কের একটি অংশ। ট্রয় নগরীর ধ্বংসাবশেষ তুরস্কের উত্তর-পশ্চিম অংশে, কানাক্কালে প্রদেশের হিসারলিক নামক স্থানে খুঁজে পাওয়া যায়।

ক. গ্রিস
খ. মেসোপটেমিয়া
গ. রোম
ঘ. সিন্ধু
উত্তরঃ মেসোপটেমিয়া
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ মেসোপটেমিয়া

প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে মেসোপটেমীয় সভ্যতা প্রাচীনতম। এরপরে রয়েছে সিন্ধু সভ্যতা, তারপর গ্রিক সভ্যতা এবং সবশেষে রোমান সভ্যতা।

মেসোপটেমিয়া খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দ থেকে শুরু করে খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল এবং এটি মানব ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন এবং গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আধুনিক ইরাক এবং এর কাছাকাছি অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল।

ক. উত্তর আমেরিকায়
খ. দক্ষিণ আমেরিকায়
গ. মধ্য আফ্রিকায়
ঘ. মধ্য আমেরিকায়
উত্তরঃ মধ্য আমেরিকায়
ব্যাখ্যাঃ

মায়া সভ্যতা মধ্য আমেরিকার একটি প্রাচীন সভ্যতা যা বর্তমান দক্ষিণ-পূর্ব মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, বেলিজ এবং হন্ডুরাসের কিছু অংশে বিস্তৃত ছিল। এই সভ্যতা প্রায় ১৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৬৯৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল এবং এর স্বর্ণযুগ ছিল ২৫০ থেকে ৯০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।

মায়া সভ্যতার কিছু উল্লেখযোগ্য দিক:

  • কৃষি: ভুট্টা, শিম এবং স্কোয়াশ ছিল তাদের প্রধান খাদ্য ফসল। তারা উন্নত কৃষি কৌশল ব্যবহার করত, যেমন জঙ্গল কেটে ও পুড়িয়ে জমি তৈরি করা এবং উঁচুPlatform তৈরি করা।
  • স্থাপত্য: মায়ারা পাথর দিয়ে বিশাল আকারের মন্দির, পিরামিড, প্রাসাদ এবং খেলার মাঠ তৈরি করত। তাদের স্থাপত্যশৈলী জটিল কারুকার্য ও জ্যামিতিক নকশার জন্য বিখ্যাত। চিচেন ইতজা, টিikal এবং Palenque-এর ধ্বংসাবশেষ তাদের স্থাপত্যের চমৎকার উদাহরণ।
  • গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যা: মায়ারা উন্নত গাণিতিক জ্ঞান এবং জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে গভীর ধারণা রাখত। তারা শূন্যের ধারণা আবিষ্কার করেছিল এবং জটিল ক্যালেন্ডার তৈরি করেছিল, যা সৌর বছর এবং ধর্মীয় বছর গণনা করত। তারা গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি নির্ভুলভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারত।
  • লিখন পদ্ধতি: মায়াদের নিজস্ব লিপি ছিল, যা হায়ারোগ্লিফিক লিপির মতো চিত্রভিত্তিক ছিল। তারা পাথর, মৃৎপাত্র এবং গাছের বাকলের তৈরি বইয়ে (codices) তাদের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত জ্ঞান লিপিবদ্ধ করত।
  • ধর্ম: মায়ারা বহু দেব-দেবীর পূজা করত, যারা প্রকৃতি ও জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ন্ত্রণ করত। তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নরবলি ও অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠান প্রচলিত ছিল।
  • শিল্প: মায়ারা ভাস্কর্য, কারুশিল্প এবং মৃৎশিল্পে অত্যন্ত দক্ষ ছিল। তারা পাথর, কাঠ ও কাদামাটি দিয়ে সুন্দর মূর্তি ও অলঙ্কার তৈরি করত।

মায়া সভ্যতার পতন:

নবম শতাব্দীর দিকে মায়া সভ্যতার কেন্দ্রীয় অঞ্চলের শহরগুলো রহস্যজনকভাবে জনশূন্য হতে শুরু করে। এর কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন তত্ত্ব প্রচলিত আছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • জনসংখ্যার আধিক্য ও পরিবেশের অবক্ষয়: অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে খাদ্য ও অন্যান্য সম্পদের অভাব দেখা দিয়েছিল। বনভূমি ধ্বংস এবং মৃত্তিকা ক্ষয় কৃষিকে কঠিন করে তুলেছিল।
  • যুদ্ধ: বিভিন্ন মায়া শহরের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যুদ্ধ পরিস্থিতি অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল।
  • খরা: দীর্ঘমেয়াদী খরা খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত করেছিল এবং দুর্ভিক্ষের কারণ হয়েছিল।
  • রাজনৈতিক অস্থিরতা: শাসকদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল।

তবে, মায়া সভ্যতা সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়নি। ইউকাটান উপদ্বীপ এবং গুয়াতেমালার পার্বত্য অঞ্চলে তাদের বংশধররা আজও বসবাস করে এবং তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।

ক. দক্ষিণ আমেরিকা
খ. আফ্রিকা
গ. মধ্যপ্রাচ্য
ঘ. ইউরোপ
উত্তরঃ দক্ষিণ আমেরিকা
ব্যাখ্যাঃ

ইনকা সভ্যতা ছিল প্রাক-কলম্বিয়ান আমেরিকার বৃহত্তম সাম্রাজ্য। এই সভ্যতা ত্রয়োদশ শতাব্দীতে পেরুর পার্বত্য অঞ্চলে উদ্ভূত হয় এবং ১৫৭২ সালে স্প্যানিশদের দ্বারা বিজিত হওয়ার আগ পর্যন্ত টিকে ছিল। সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সামরিক কেন্দ্র ছিল আধুনিক পেরুর কুস্কোতে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:

  • সময়কাল: আনুমানিক ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৫৭২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত।
  • অবস্থান: বর্তমান পেরু, বলিভিয়া, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, চিলি এবং আর্জেন্টিনার কিছু অংশ।
  • রাজধানী: কুস্কো।
  • সরকার: সম্রাট (সাপা ইনকা) দ্বারা শাসিত কেন্দ্রীভূত সাম্রাজ্য।
  • কৃষি: ব্যাপক ও উন্নত কৃষি ব্যবস্থা, যেখানে বিভিন্ন প্রকার শস্য (যেমন আলু, ভুট্টা, কুইনোয়া) উৎপাদিত হতো। তারা পাহাড়ি অঞ্চলে ধাপ তৈরি করে চাষাবাদ করত।
  • যোগাযোগ: সুবিশাল সড়ক ব্যবস্থা (কাপাক নান) যা প্রায় ৩০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এবং দ্রুত যোগাযোগের জন্য বার্তাবাহক ব্যবহার করত।
  • স্থাপত্য: অসাধারণ পাথরের স্থাপত্য, যেখানে মর্টার ব্যবহার না করেও নিখুঁতভাবে পাথর স্থাপন করা হতো। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো মাচু পিচু।
  • ধর্ম: বহুঈশ্বরবাদী ধর্ম, যেখানে সূর্যদেবতা Inti ছিলেন প্রধান। তারা প্রকৃতি ও পূর্বপুরুষদেরও পূজা করত।
  • সামাজিক কাঠামো: একটি কঠোর শ্রেণিবদ্ধ সমাজ ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল, যার শীর্ষে ছিলেন সম্রাট।
  • প্রযুক্তি: উন্নত জল ব্যবস্থাপনা ও সেচ ব্যবস্থা, বস্ত্রশিল্প এবং ধাতুশিল্পে তাদের দক্ষতা ছিল উল্লেখযোগ্য। তারা হিসাব রাখার জন্য কিপু (knotted strings) ব্যবহার করত।

ইনকা সভ্যতা তাদের উন্নত কৃষি, স্থাপত্য, সড়ক ব্যবস্থা এবং সুসংগঠিত সাম্রাজ্যের জন্য ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। ১৫৩২ সালে স্প্যানিশ বিজয়ের মাধ্যমে এই সমৃদ্ধ সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।

ক. প্রাচীন গ্রীস সময়কাল
খ. প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকাল
গ. ১৬০০-১৮০০ সাল
ঘ. প্রাচীন রোম শাসনকাল
উত্তরঃ ১৬০০-১৮০০ সাল
ব্যাখ্যাঃ

আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উদ্ভব একটি দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া, যা মূলত ইউরোপে শুরু হয়েছিল এবং ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এর উৎস খুঁজতে গেলে মধ্যযুগীয় ইউরোপের সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে শুরু করে রেনেসাঁস, সংস্কার আন্দোলন, জ্ঞানালোকের যুগ এবং দুটি বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব পর্যন্ত বিবেচনা করতে হয়।

আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য: আধুনিক রাষ্ট্রকে বোঝার জন্য এর কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য জানা জরুরি: ১. সার্বভৌমত্ব (Sovereignty): রাষ্ট্রের নিজস্ব ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে সর্বোচ্চ ক্ষমতা এবং বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণ থেকে স্বাধীনতা। এটি আধুনিক রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। ২. ভূখণ্ড (Territory): সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমানা। ৩. জনগণ (Population): নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মধ্যে বসবাসকারী জনগণ। ৪. সরকার (Government): জনগণকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য একটি সুসংগঠিত সরকার ব্যবস্থা। ৫. জাতীয়তা (Nationality): রাষ্ট্রের অন্তর্গত জনগণের মধ্যে একাত্মতাবোধ।

আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উদ্ভব ও বিবর্তন:

  • মধ্যযুগীয় ইউরোপে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা (Feudalism in Medieval Europe):

    • মধ্যযুগে রাষ্ট্র বলতে আজকের মতো সুসংগঠিত কোনো একক অস্তিত্ব ছিল না। ক্ষমতা ছিল খণ্ড খণ্ড, রাজা, ভূস্বামী, চার্চ এবং বিভিন্ন স্থানীয় শক্তির মধ্যে বিভক্ত।
    • সার্বভৌমত্বের ধারণা ছিল অনুপস্থিত। রাজনৈতিক আনুগত্য ছিল ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর নির্ভরশীল, যেমন লর্ড ও ভ্যাসালের সম্পর্ক।
  • ওয়েস্টফালিয়া শান্তি চুক্তি (Peace of Westphalia, ১৬৪৮):

    • ত্রিশ বছর যুদ্ধের (১৬১৮-১৬৪৮) সমাপ্তি ঘটে এই চুক্তির মাধ্যমে। এই চুক্তিকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার (বিশেষ করে ওয়েস্টফালিয়ান সার্বভৌমত্বের) সূচনালগ্ন হিসেবে ধরা হয়।
    • চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপের প্রতিটি রাজ্যের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপ না করার নীতি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ফলে রাজনৈতিক ক্ষমতা একটি এককেন্দ্রিক কাঠামোর দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে।
  • absolutism এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণ (Absolutism and Centralization of State Power):

    • ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে ইউরোপে রাজতন্ত্রের ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হতে শুরু করে। রাজা নিজেকে রাষ্ট্রের সর্বেসর্বা হিসেবে ঘোষণা করেন এবং সমস্ত ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নেন।
    • নিয়মিত সেনাবাহিনী, কেন্দ্রীভূত আমলাতন্ত্র এবং কর ব্যবস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষমতা আরও সুসংহত হয়।
  • রেনেসাঁস ও জ্ঞানালোকের প্রভাব (Influence of Renaissance and Enlightenment):

    • রেনেসাঁস মানবিকতা এবং যুক্তিবাদের জন্ম দেয়, যা চার্চের প্রভাব হ্রাস করে এবং রাষ্ট্রকে ধর্মীয় বন্ধন থেকে মুক্ত করার পথ তৈরি করে।
    • জ্ঞানালোকের দার্শনিকরা (যেমন লক, রুশো, মন্টেস্কিউ) সামাজিক চুক্তি, জনগণের সার্বভৌমত্ব, ক্ষমতার বিভাজন এবং প্রাকৃতিক অধিকারের মতো ধারণাগুলো উপস্থাপন করেন, যা আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে।
  • ফরাসি বিপ্লব (French Revolution, ১৭৮৯) ও জাতীয়তাবাদ (Nationalism):

    • ফরাসি বিপ্লব 'জনগণের সার্বভৌমত্ব' এবং 'জাতীয়তাবাদ'-এর ধারণাকে শক্তিশালী করে। জনগণই রাষ্ট্রের ক্ষমতার উৎস - এই ধারণাটি জনপ্রিয় হয়।
    • জাতীয়তাবাদ রাষ্ট্রকে একটি অভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষা ও ইতিহাসের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করে। এটি জাতি-রাষ্ট্র (Nation-state) ধারণার জন্ম দেয়, যেখানে একটি নির্দিষ্ট জাতির নিজস্ব রাষ্ট্র থাকে।
  • শিল্প বিপ্লব ও পুঁজিবাদ (Industrial Revolution and Capitalism):

    • শিল্প বিপ্লব সমাজের অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন করে, যার ফলে নতুন সামাজিক শ্রেণি (বুর্জোয়া এবং শ্রমিক শ্রেণি) এবং নতুন অর্থনৈতিক চাহিদা তৈরি হয়।
    • পুঁজিবাদী অর্থনীতির বিকাশের সাথে সাথে রাষ্ট্রকে বাজারের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে নতুন ভূমিকা পালন করতে হয়।
  • দুটি বিশ্বযুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের উদ্ভব (Two World Wars and Emergence of International Institutions):

    • বিংশ শতাব্দীর দুটি বিশ্বযুদ্ধ আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানায়। একই সাথে, যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যেমন জাতিসংঘ (UN) গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
    • যুদ্ধের পর উপনিবেশবাদের অবসান ঘটে এবং অনেক নতুন স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

উপসংহার: আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কোনো একক ঘটনা বা নির্দিষ্ট সময়ের ফল নয়, বরং এটি একটি ধারাবাহিক বিবর্তনের ফল যা প্রায় ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলেছে। ওয়েস্টফালিয়া শান্তি চুক্তিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ধরা হলেও, ফরাসি বিপ্লব এবং জ্ঞানালোকের ধারণাগুলো এর গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী রূপ দিতে সহায়ক হয়েছিল। বর্তমানে, আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা তার সার্বভৌমত্ব, ভূখণ্ড, জনগণ ও সরকার - এই চারটি মূল স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে।

ক. হোয়াংহো নদীর তীরে
খ. ইয়াংসিকিয়াং নদীর তীরে
গ. নীলনদের তীরে
ঘ. ট্রাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর তীরে
উত্তরঃ ট্রাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর তীরে
ব্যাখ্যাঃ

মেসোপটেমীয় সভ্যতা মানব ইতিহাসের প্রাচীনতম ও গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম। 'মেসোপটেমিয়া' একটি গ্রিক শব্দ, যার অর্থ 'দুই নদীর মধ্যবর্তী ভূমি'। এই নামটি ইউফ্রেটিস (Euphrates) ও টাইগ্রিস (Tigris) নদীর মধ্যবর্তী উর্বর ভূমিকে নির্দেশ করে, যা বর্তমান ইরাক, সিরিয়া এবং তুরস্কের কিছু অংশ জুড়ে বিস্তৃত।

সময়কাল: মেসোপটেমীয় সভ্যতার সূচনা খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দের কাছাকাছি সময়ে, এবং এটি খ্রিস্টপূর্ব ৫৩৯ অব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল যখন পারস্য সাম্রাজ্য বাবিল দখল করে।

গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতা ও সাম্রাজ্যসমূহ: মেসোপটেমিয়াতে একাধিক সভ্যতা ও সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল, যাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব অবদান ছিল:

১. সুমেরীয় সভ্যতা (Sumerian Civilization) - প্রায় ৩৫০০-২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ:

  • অবস্থান: মেসোপটেমিয়ার দক্ষিণ অংশ।
  • অবদান:
    • লিখিত ভাষা: বিশ্বের প্রাচীনতম লিখিত ভাষা 'কিউনিফর্ম' (Cuneiform) আবিষ্কার করেন। এটি ছিল কীলকাকার লিখন পদ্ধতি।
    • শহর-রাষ্ট্র: প্রথম শহর-রাষ্ট্রগুলোর (যেমন উর, উরুক, লাগাশ, নিপ্পুর) জন্ম দেন। প্রতিটি শহর-রাষ্ট্রের নিজস্ব শাসক এবং দেবতা ছিল।
    • চাকা: চাকার আবিষ্কারের জন্য সুমেরীয়রা বিখ্যাত, যা পরিবহন ও কৃষিতে বিপ্লব এনেছিল।
    • সেচ ব্যবস্থা: উন্নত সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করেন।
    • গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান: ৬০-ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রাথমিক ধারণাগুলোর বিকাশ ঘটান।

২. আক্কাদীয় সাম্রাজ্য (Akkadian Empire) - প্রায় ২৩৩৪-২১৫৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ:

  • প্রতিষ্ঠাতা: সারগন অফ আক্কাদ।
  • অবস্থান: মেসোপটেমিয়ার উত্তরাংশ, সুমেরীয়দের উত্তর দিকে।
  • গুরুত্ব: এটি ছিল বিশ্বের প্রথম দিকের সাম্রাজ্যগুলোর একটি, যা সুমেরীয় শহর-রাষ্ট্রগুলোকে একত্রিত করে। আক্কাদীয়রা সুমেরীয় কিউনিফর্ম লিপি গ্রহণ করে এবং সেমিটিক আক্কাদীয় ভাষা ব্যবহার করত।

৩. ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্য (Babylonian Empire) - প্রায় ১৮৯৪-১৫৯৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ (প্রাচীন বাবিল) এবং ৬২৬-৫৩৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ (নব্য বাবিল):

  • অবস্থান: মেসোপটেমিয়ার কেন্দ্রীয় অংশ।
  • অবদান:
    • হাম্মুরাবির আইন সংহিতা (Code of Hammurabi): প্রাচীনতম ও সবচেয়ে সুসংগঠিত লিখিত আইন সংহিতা, যা 'চক্ষুর বদলে চক্ষু' নীতির জন্য বিখ্যাত।
    • গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান: উন্নত গণিত এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের জ্ঞান ছিল। তারা জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে ক্যালেন্ডার তৈরি করেছিল।
    • ঝুলন্ত উদ্যান (Hanging Gardens of Babylon): নব্য বাবিলীয় সাম্রাজ্যের শাসক নেবুচাদনেজারের সময়কালে নির্মিত এই উদ্যানটি প্রাচীন বিশ্বের সপ্ত আশ্চর্যের একটি হিসেবে পরিচিত।
    • জিগুরাত (Ziggurat): ধর্মীয় উদ্দেশ্যে নির্মিত বিশাল পিরামিড-সদৃশ মন্দির।

৪. অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্য (Assyrian Empire) - প্রায় ২৫০০-৬১২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ (বিভিন্ন পর্যায়):

  • অবস্থান: মেসোপটেমিয়ার উত্তরাংশ।
  • অবদান:
    • সামরিক শক্তি: অ্যাসিরীয়রা তাদের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী এবং যুদ্ধকৌশলের জন্য পরিচিত ছিল। তারা লোহার অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করত।
    • প্রশাসন: একটি বিশাল এবং সুসংগঠিত সাম্রাজ্য পরিচালনা করত।
    • লাইব্রেরি: নিনেভেতে রাজা আশুরবানিপালের বিখ্যাত লাইব্রেরি ছিল, যেখানে হাজার হাজার কিউনিফর্ম ট্যাবলেট সংরক্ষিত ছিল।

মেসোপটেমীয় সভ্যতার সাধারণ বৈশিষ্ট্য ও অবদান:

  • নদী নির্ভরতা: ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদীর পানি কৃষিকাজ ও সেচ ব্যবস্থার জন্য অপরিহার্য ছিল।
  • ধর্ম: বহু-ঈশ্বরবাদী ধর্ম ছিল। প্রতিটি শহর-রাষ্ট্রের নিজস্ব পৃষ্ঠপোষক দেবতা ছিল।
  • স্থাপত্য: জিগুরাত এবং শহরের দেয়াল নির্মাণে তারা সিদ্ধহস্ত ছিল।
  • শিল্পকলা: সিলিন্ডার সীল, ভাস্কর্য এবং ধাতব শিল্পে তাদের নৈপুণ্য ছিল।
  • আইন ও বিচার: হাম্মুরাবির আইন সংহিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
  • শিক্ষা ও সাহিত্য: গিলগামেশের মহাকাব্য (Epic of Gilgamesh) প্রাচীনতম সাহিত্যকর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম।

মেসোপটেমীয় সভ্যতার উদ্ভাবনগুলো পরবর্তী সভ্যতাগুলোর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে এক বিশাল অবদান রেখেছে।

ক. পূর্ব এশিয়া
খ. মধ্য আমেরিকা
গ. মধ্যপ্রাচ্য
ঘ. পূর্ব আফ্রিকা
উত্তরঃ মধ্য আমেরিকা
ব্যাখ্যাঃ

মায়া সভ্যতা ছিল আমেরিকার অন্যতম উন্নত ও রহস্যময় প্রাচীন সভ্যতা। এটি মেসোআমেরিকার (বর্তমান দক্ষিণ মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, বেলিজ, এল সালভাদর এবং হন্ডুরাসের অংশবিশেষ) ক্রান্তীয় নিম্নভূমিতে বিকশিত হয়েছিল।

সময়কাল: মায়া সভ্যতার বিকাশকে সাধারণত তিনটি প্রধান যুগে ভাগ করা হয়:

  • প্রাক-ধ্রুপদী যুগ (Preclassic Period): প্রায় ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ - ২৫০ খ্রিস্টাব্দ। এই সময়ে প্রথম মায়া নগরীগুলো গড়ে ওঠে এবং প্রাথমিক কৃষি পদ্ধতি ও সামাজিক কাঠামো বিকশিত হয়।
  • ধ্রুপদী যুগ (Classic Period): প্রায় ২৫০ খ্রিস্টাব্দ - ৯০০ খ্রিস্টাব্দ। এটি মায়া সভ্যতার স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত। এই সময়ে বড় বড় শহর, পিরামিড, মন্দির এবং প্রাসাদ নির্মিত হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞান, গণিত এবং লেখার পদ্ধতি এই সময়ে চূড়ান্ত রূপ লাভ করে।
  • উত্তর-ধ্রুপদী যুগ (Postclassic Period): প্রায় ৯০০ খ্রিস্টাব্দ - ১৫২১ খ্রিস্টাব্দ। ধ্রুপদী যুগের পতনের পর, কিছু মায়া শহর টিকে ছিল এবং নতুন কিছু শহর গড়ে উঠেছিল, তবে স্পেনীয় বিজয়ের সাথে সাথে এই সভ্যতার পতন ঘটে।

উল্লেখযোগ্য শহর ও কেন্দ্রসমূহ:

  • তিকাল (Tikal): ধ্রুপদী যুগের অন্যতম বৃহত্তম ও শক্তিশালী শহর-রাজ্য, যা বর্তমানে গুয়াতেমালায় অবস্থিত।
  • পালাঙ্কে (Palenque): স্থাপত্য এবং ভাস্কর্য শিল্পের জন্য বিখ্যাত, মেক্সিকোতে অবস্থিত।
  • চিচেন ইৎজা (Chichen Itza): উত্তর-ধ্রুপদী যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, ইউকাটান উপদ্বীপে অবস্থিত। এখানে কুুকুলকানের পিরামিড উল্লেখযোগ্য।
  • কোপান (Copan): হন্ডুরাসে অবস্থিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং ভাস্কর্য শিল্পের জন্য পরিচিত।

মায়া সভ্যতার প্রধান অবদান ও বৈশিষ্ট্য:

১. লিখিত ভাষা ও লিপি: মায়ারা মেসোআমেরিকার একমাত্র সভ্যতা যারা একটি পূর্ণাঙ্গ লিখিত ভাষা তৈরি করেছিল, যা চিত্রলিপি (hieroglyphic) হিসেবে পরিচিত। এটি কাঠ, পাথর, সিরামিক এবং কোডেক্সে (এক ধরণের হাতে লেখা বই) খোদাই করা হতো।

২. গণিত: মায়া গণিত ছিল অত্যন্ত উন্নত। তারা শূন্যের ধারণা ব্যবহার করত, যা সেই সময়ে পৃথিবীর খুব কম সভ্যতায় প্রচলিত ছিল। তাদের সংখ্যা পদ্ধতি ছিল ২০-ভিত্তিক (vigesimal)।

৩. জ্যোতির্বিজ্ঞান ও ক্যালেন্ডার: মায়ারা জ্যোতির্বিজ্ঞানে অবিশ্বাস্যভাবে পারদর্শী ছিল। তারা সূর্য, চন্দ্র এবং শুক্র গ্রহের গতিবিধি সম্পর্কে নির্ভুল গণনা করত। তাদের দুটি প্রধান ক্যালেন্ডার ছিল:

  • সোলকিন (Tzolkin): ২৬০ দিনের ধর্মীয় ক্যালেন্ডার।
  • হাব (Haab'): ৩৬৫ দিনের সৌর ক্যালেন্ডার, যা আধুনিক ক্যালেন্ডারের মতোই ছিল।
  • এই দুটি ক্যালেন্ডারকে সমন্বয় করে তারা একটি দীর্ঘ গণনার পদ্ধতি (Long Count Calendar) তৈরি করেছিল, যা দীর্ঘ সময় ধরে ঘটনাগুলো রেকর্ড করতে ব্যবহৃত হতো।

৪. স্থাপত্য: মায়ারা বিশাল পিরামিড, মন্দির, প্রাসাদ, এবং বল কোর্ট নির্মাণ করত। তাদের স্থাপত্যে জটিল কারুকার্য এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের জ্ঞান প্রতিফলিত হতো।

৫. কৃষি: তারা কর্ন (ভূট্টা), মটরশুঁটি, এবং স্কোয়াশ (কুমড়া জাতীয় সবজি) চাষ করত। উন্নত সেচ ব্যবস্থা এবং 'মিলপা' (Milpa) নামক স্থানান্তর চাষ পদ্ধতি ব্যবহার করত।

৬. ধর্ম: মায়ারা বহু-ঈশ্বরবাদী ছিল। তাদের ধর্মে প্রকৃতি, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং রাজাদের গুরুত্ব ছিল। মানব বলিদান তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের একটি অংশ ছিল, যদিও ইনকা বা অ্যাজটেকদের মতো এত ব্যাপক ছিল না।

৭. রাজনৈতিক কাঠামো: মায়া সভ্যতা কোনো একক সাম্রাজ্য ছিল না, বরং এটি ছিল স্বাধীন শহর-রাজ্যগুলোর একটি সমষ্টি, যারা প্রায়শই একে অপরের সাথে যুদ্ধ করত। প্রতিটি শহর-রাজ্যের নিজস্ব শাসক (Ahau) ছিল।

ক. গ্রিসে
খ. মেসোপটেমিয়ায়
গ. রোমে
ঘ. ভারতে
উত্তরঃ মেসোপটেমিয়ায়
ব্যাখ্যাঃ

খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস (বর্তমান দজলা ও ফোরাত) নদীর তীরে বর্তমান সময়ের ইরাক, সিরিয়া, তুরস্ক ও ইরানে গড়ে ওঠা সভ্যতাকে মেসোপটেমীয় সভ্যতা নামে অভিহিত করা হয়। মেসোপটেমীয় সভ্যতার চারটি পর্যায় ছিল। এগুলো হলো সুমেরীয় সভ্যতা, ব্যবিলনীয় সভ্যতা, অ্যাশিরীয় সভ্যতা ও ক্যালডীয় সভ্যতা। গ্রিসে গড়ে ওঠে গ্রিক সভ্যতা ও রোমে গড়ে ওঠে রোমান সভ্যতা এবং ভারতে সিন্ধু সভ্যতা।

ক. গ্রিসে
খ. ইতালিতে
গ. তুরস্কে
ঘ. স্পেনে
উত্তরঃ তুরস্কে
ব্যাখ্যাঃ

ট্রয় নগরী তুরস্কে অবস্থিত। ট্রয় নগরীর সাথে মহাবীর হেক্টরের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। সুন্দরী হেলেনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত এ যুদ্ধে হেক্টরকে পরাস্ত করে গ্রিকরা ট্রয় নগরী দখল করে আগুন ধরিয়ে দেয়। গ্রিসের ঐতিহাসিক নগরটির নাম স্পার্টা।

ক. ইরাক
খ. ইরান
গ. তুরস্ক
ঘ. সিরিয়া
উত্তরঃ ইরাক
ব্যাখ্যাঃ

খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যবর্তী উর্বর অঞ্চলে মেসোপটেমীয় সভ্যতা গড়ে ওঠে। এ অঞ্চলে সিরিয়া, ইরাক ও তুরস্ক জুড়ে বিস্তৃত হলেও অধিকাংশই বর্তমান ইরাকের অন্তর্ভুক্ত। ইরাককে প্রাচীনকালে মেসোপটেমিয়া নামে অভিহিত করা হতো।

ক. ইতালি
খ. স্পেন
গ. তুরস্ক
ঘ. গ্রিস
উত্তরঃ তুরস্ক
ব্যাখ্যাঃ

ইতিহাস বিখ্যাত ট্রয় নগরী তুরস্কে অবস্থিত। ট্রয় নগরীর সাথে মহাবীর হেক্টরের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। সুন্দরী হেলেনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত এ যুদ্ধে হেক্টরকে পরাস্ত করে গ্রিকরা ট্রয় দখল করে আগুন ধরিয়ে দেয়।