প্রশ্নঃ ঢাকা গেইট এর নির্মাতা কে?
[ বিসিএস ৪২তম ]
ঢাকা গেট, যা মির জুমলার গেট নামেও পরিচিত, ঢাকার একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এটি মুঘল সুবেদার মীর জুমলা ১৬৬০-১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা শহরকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নির্মাণ করেছিলেন। ধারণা করা হয়, এটি শহরের প্রধান প্রবেশদ্বার ছিল।
এই গেটটি মূলত তৎকালীন ঢাকার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ছিল। মীর জুমলা যখন ঢাকা শহরের বিস্তার ঘটান, তখন এই গেটটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়। এটি শহরের সীমানা নির্দেশ করত এবং একই সাথে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে শহরকে রক্ষা করত।
কালের পরিক্রমায় ঢাকা গেটের মূল কাঠামো অনেকটা পরিবর্তিত হয়ে গেছে। বর্তমানে এর কিছু অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের কাছে দেখা যায়। গেটের আসল রূপ এখন আর নেই, তবে এর ধ্বংসাবশেষ আজও মুঘল স্থাপত্যের সাক্ষ্য বহন করে।
ঢাকা গেট শুধু একটি স্থাপত্য নয়, এটি ঢাকার ইতিহাসেরও ধারক। মুঘল আমলে ঢাকার গুরুত্ব এবং শহরের বিস্তার সম্পর্কে এটি ধারণা দেয়। বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থে এবং পর্যটকদের লেখায় ঢাকা গেটের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা এর ঐতিহাসিক তাৎপর্যের প্রমাণ।
প্রশ্নঃ ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন হয়-
[ বিসিএস ৪১তম ]
ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন হয় মোঘল আমলে।
১৬১০ সালে মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ফরমান অনুযায়ী সুবেদার ইসলাম খান চিশতী ঢাকাকে বাংলার রাজধানী হিসেবে স্থাপন করেন এবং এর নামকরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর। তবে, এর আগেও ঢাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে বিদ্যমান ছিল। মোঘলরাই মূলত ঢাকাকে একটি পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তোলেন এবং এর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক গুরুত্ব বৃদ্ধি করেন।
প্রশ্নঃ নিচের মোঘল সম্রাটদের মধ্যে কে প্রথম আত্মজীবনী লিখেছিলেন?
[ বিসিএস ৩৮তম ]
মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবরই প্রথম মুঘল সম্রাট যিনি নিজের আত্মজীবনী লিখেছিলেন। তার আত্মজীবনীর নাম 'বাবরনামা' (Baburnama), যা তুর্কি ভাষায় রচিত। এটি পরবর্তীকালে ফারসি এবং অন্যান্য ভাষায় অনূদিত হয়।
প্রশ্নঃ বখতিয়ার খিলজি বাংলা জয় করেন কোন সালে?
[ বিসিএস ৩১তম ]
১২০৪ সালে বখতিয়ার খিলজি অশ্ব বিক্রেতার বেশে অতর্কিতে লক্ষ্মণ সেনের রাজধানী নদীয়া আক্রমণ করলে লক্ষ্মণ সেন পলায়ন করে এবং বখতিয়ার খিলজি বাংলায় মুসলিম শাসনের সূত্রপাত ঘটান।