প্রশ্নঃ চলিত রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়া কেমন হয়?
[ 18th ntrca (স্কুল সমপর্যায়-২) (15-03-2024) ]
ক. দীর্ঘ
খ. অতিদীর্ঘ
গ. সংক্ষিপ্ত
ঘ. অপরিবর্তিত
উত্তরঃ সংক্ষিপ্ত
ব্যাখ্যাঃ
চলিত রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের রূপ সাধু রীতির তুলনায় সংক্ষিপ্ত ও সহজ হয়। এটি সাধারণ মানুষের মুখের ভাষার কাছাকাছি।
নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. সর্বনাম পদ: চলিত রীতিতে সর্বনাম পদগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহৃত হয়। সাধু রীতির পূর্ণাঙ্গ রূপের পরিবর্তে চলিত রীতিতে সংক্ষেপিত রূপ ব্যবহৃত হয়।
- উদাহরণ:
- সাধু: তাহারা → চলিত: তারা
- সাধু: তাহার → চলিত: তার
- সাধু: তাহাদের → চলিত: তাদের
- সাধু: ইহারা → চলিত: এরা
- সাধু: ইঁহাদের → চলিত: এঁদের
- সাধু: উহাদের → চলিত: ওদের
- সাধু: যেই → চলিত: যে
- সাধু: যেইজন → চলিত: যেজন
- সাধু: কাহার → চলিত: কার
- সাধু: কিসের → চলিত: কিসের
২. ক্রিয়াপদ: চলিত রীতিতে ক্রিয়াপদগুলো সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য হয়। সাধু রীতির দীর্ঘায়িত রূপের পরিবর্তে চলিত রীতিতে সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহৃত হয়।
- উদাহরণ:
- সাধু: যাইতেছে → চলিত: যাচ্ছে
- সাধু: করিতেছে → চলিত: করছে
- সাধু: খাইতেছিল → চলিত: খাচ্ছিল
- সাধু: দেখিয়া → চলিত: দেখে
- সাধু: শুনিয়া → চলিত: শুনে
- সাধু: কহিল → চলিত: বলল
- সাধু: শুইবার → চলিত: শোবার
- সাধু: করিয়াছে → চলিত: করেছে
- সাধু: ধরিল → চলিত: ধরল
প্রশ্নঃ কোনটি চলিত ভাষার নিজস্ব বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
[ 18th ntrca (স্কুল পর্যায়) (15-03-2024) ]
ক. তৎসম শব্দের বহুলতা
খ. তদ্ভব শব্দের বহুলতা
গ. প্রাচীনতা
ঘ. অমার্জিততা
উত্তরঃ তদ্ভব শব্দের বহুলতা
ব্যাখ্যাঃ
চলিত ভাষার নিজস্ব কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। আপনার দেওয়া বিকল্পগুলো বিবেচনা করি:
- কঃ তৎসম শব্দের বহুলতা: তৎসম শব্দ (সংস্কৃত থেকে সরাসরি আগত শব্দ) সাধু ভাষায় বেশি ব্যবহৃত হয়। চলিত ভাষায় এর ব্যবহার কম।
- খঃ তদ্ভব শব্দের বহুলতা: তদ্ভব শব্দ (সংস্কৃত থেকে পরিবর্তিত হয়ে বাংলায় আগত শব্দ) চলিত ভাষায় বেশি ব্যবহৃত হয়। যেমন: চাঁদ (সংস্কৃতে চন্দ্র), কাজ (সংস্কৃতে কার্য)। এটি চলিত ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
- গঃ প্রাচীনতা: সাধু ভাষার তুলনায় চলিত ভাষা আধুনিক। এটি প্রাচীন নয়।
- ঘঃ অমার্জিততা: চলিত ভাষা অমার্জিত নয়, বরং এটি মার্জিত এবং পরিশীলিত হতে পারে, যদিও এটি সাধু ভাষার চেয়ে কথোপকথনের জন্য বেশি উপযোগী।
সুতরাং, চলিত ভাষার নিজস্ব বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তদ্ভব শব্দের বহুলতা।