আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

ক. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
খ. কর্তৃত্ববাদী শাসন
গ. কেন্দ্রীভূত সিদ্ধান্ত গ্রহণ
ঘ. স্বজন প্রীতি ও পক্ষপাতিত্ব
উত্তরঃ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো ক. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা

অন্যান্য বিকল্পগুলো সুশাসনের পরিপন্থী:

  • খ. কর্তৃত্ববাদী শাসন: এটি ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ এবং জনগণের অংশগ্রহণের অভাব নির্দেশ করে, যা সুশাসনের মূলনীতির বিপরীত।
  • গ. কেন্দ্রীভূত সিদ্ধান্ত গ্রহণ: সুশাসনে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণ এবং সকলের অংশগ্রহণের উপর জোর দেওয়া হয়।
  • ঘ. স্বজন প্রীতি ও পক্ষপাতিত্ব: এটি আইনের শাসন ও সমতার পরিপন্থী এবং দুর্নীতি ও বৈষম্যকে উৎসাহিত করে।
ক. জাতিসংঘ
খ. জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি
গ. বিশ্বব্যাংক
ঘ. এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক
উত্তরঃ বিশ্বব্যাংক
ব্যাখ্যাঃ

'সুশাসন চারটি স্তম্ভের উপর নির্ভরশীল' – এই অভিমতটি প্রধানত বিশ্বব্যাংক (World Bank) প্রকাশ করে থাকে।

বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয় এবং বিভিন্ন নীতি ও প্রতিবেদনে এর উল্লেখ করে। এই স্তম্ভগুলো সাধারণত হলো:

১. জবাবদিহিতা (Accountability)
২. স্বচ্ছতা (Transparency)
৩. আইনের শাসন (Rule of Law)
৪. অংশগ্রহণ (Participation)

যদিও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB)-ও সুশাসনের বিভিন্ন নীতি ও স্তম্ভের কথা বলে থাকে, তবে 'চারটি স্তম্ভের উপর নির্ভরশীল' এই নির্দিষ্ট অভিমতটি বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন প্রকাশনায় বিশেষভাবে দেখা যায়।

ক. নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা
খ. নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
গ. প্রশাসনের নিরপেক্ষতা
ঘ. মত প্রকাশের স্বাধীনতা
উত্তরঃ মত প্রকাশের স্বাধীনতা
ব্যাখ্যাঃ

নিরপেক্ষ আইন, বিচার ও শাসন ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও যদি মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকে তাহলে সুশাসন অর্জিত হয় না৷ তাই মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুশাসনের পূর্বশর্ত।

ক. জন স্টুয়ার্ট মিল
খ. ইমানূয়েল কান্ট
গ. বার্ট্রান্ড রাসেল
ঘ. জেরেমি বেন্থাম
উত্তরঃ জন স্টুয়ার্ট মিল
ব্যাখ্যাঃ

জন স্টুয়ার্ট মিল 'Utilitarianism' গ্রন্থের লেখক।

এটি ১৮৬১ সালে প্রকাশিত হয় এবং এই গ্রন্থে তিনি উপযোগবাদ (Utilitarianism) তত্ত্বের ব্যাখ্যা ও সমর্থন করেন। যদিও উপযোগবাদের ধারণা জেরেমি বেন্থামের হাত ধরে এসেছিল, জন স্টুয়ার্ট মিল এটিকে আরও পরিশীলিত করেন এবং বিভিন্ন সমালোচনার জবাব দেন।

ক. ইউরোপীয় ইউনিয়ন
খ. আই, এল, ও
গ. বিশ্বব্যাংক
ঘ. জাতিসংঘ
উত্তরঃ বিশ্বব্যাংক
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো বিশ্বব্যাংক (World Bank)

বিশ্বব্যাংক ১৯৮৯ সালে তাদের একটি সমীক্ষায় সর্বপ্রথম 'সুশাসন' (Good Governance) প্রত্যয়টি ব্যবহার করে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা হিসেবে শাসনের দুর্বলতা চিহ্নিত করার প্রেক্ষাপটে এই ধারণাটির উদ্ভব হয়।

ক. সামাজিক দিক
খ. অর্থনৈতিক দিক
গ. মূল্যবোধের দিক
ঘ. গণতান্ত্রিক দিক
উত্তরঃ সামাজিক দিক
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর: ঘঃ গণতান্ত্রিক দিক

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (Millennium Development Goals - MDGs) সফল বাস্তবায়নে গণতান্ত্রিক সুশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রসার, আইনের শাসন, মানবাধিকার সংরক্ষণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল।

ক. অ্যারিস্টটল
খ. বার্ট্রান্ড রাসেল
গ. হার্বার্ট স্পেন্সার
ঘ. ইমানূয়েল কান্ট
উত্তরঃ ইমানূয়েল কান্ট
ব্যাখ্যাঃ

‘শর্তহীন আদেশ’ (Categorical Imperative) ধারণাটির প্রবর্তক জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট

তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থ 'গ্রাউন্ডওয়ার্ক অফ দ্য মেটাফিজিক্স অফ মর‍্যালস' (Groundwork of the Metaphysics of Morals) এবং 'ক্রিটিক অফ প্র্যাকটিক্যাল রিজন' (Critique of Practical Reason)-এ এই ধারণাটি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। কান্টের মতে, শর্তহীন আদেশ হলো এমন নৈতিক নিয়ম যা কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য বা ফলাফলের উপর নির্ভরশীল নয়, বরং তা অবশ্যই পালনীয়।

ক. গণতন্ত্র
খ. আমলাতন্ত্র
গ. আইনের শাসন
ঘ. মূল্যবোধ
উত্তরঃ আইনের শাসন
ব্যাখ্যাঃ

সুশাসনের মূলভিত্তি হলো গঃ আইনের শাসন

যদিও গণতন্ত্র, আমলাতন্ত্র এবং মূল্যবোধও সুশাসনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, তবে আইনের শাসন হলো এর ভিত্তি স্বরূপ। আইনের শাসন বলতে বোঝায় দেশের সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান এবং কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। একটি দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ, আইনি সুরক্ষা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

ক. ১৮৬০ সালে প্রণীত দণ্ডবিধিতে
খ. ২০০৪ সালে প্রণীত দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে
গ. ২০১৮ সালে প্রণীত সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালাতে
ঘ. উপরের সবগুলােতে
উত্তরঃ উপরের সবগুলােতে
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ উপরের সবগুলােতে

বাংলাদেশে দুর্নীতিকে দণ্ডনীয় ঘোষণা করা হয়েছে মূলত এই তিনটি প্রধান আইনেই:

  • কঃ ১৮৬০ সালে প্রণীত দণ্ডবিধি: এই আইনে বিভিন্ন প্রকার দুর্নীতির জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। সরকারি কর্মচারী কর্তৃক অবৈধভাবে পারিতোষিক গ্রহণ, সরকারি কর্মচারীকে প্রভাবিত করার জন্য অবৈধ পারিতোষিক গ্রহণ, সরকারি কর্মচারী কর্তৃক সরকারি ব্যবসার স্বার্থে ব্যক্তিগত লাভ অর্জন, সরকারি কর্মচারী কর্তৃক বিশ্বাসভঙ্গ সহ আরও অনেক ধারা দুর্নীতির সাথে সম্পর্কিত অপরাধ ও তার শাস্তির কথা উল্লেখ করে।

  • খঃ ২০০৪ সালে প্রণীত দুর্নীতি দমন কমিশন আইন: এই বিশেষ আইনটি দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করার জন্য প্রণীত হয়েছে। এই আইনে দুদকের ক্ষমতা ও কার্যাবলী, তফসিলভুক্ত অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্ত, মামলা দায়ের ও পরিচালনা, এবং দুর্নীতির বিভিন্ন অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান উল্লেখ করা হয়েছে। ঘুষ গ্রহণ, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ইত্যাদি সুস্পষ্টভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

  • গঃ ২০১৮ সালে প্রণীত সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা: এই বিধিমালা সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য এবং তাদের অসদাচরণ ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান উল্লেখ করে। যদিও এটি সরাসরি দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য প্রণীত আইন নয়, তবে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং দুর্নীতি রোধে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিধিমালার অধীনে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে।

সুতরাং, এই তিনটি আইনেই বাংলাদেশে দুর্নীতিকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

ক. বিনিয়ােগ বৃদ্ধি পায়
খ. দুর্নীতি দূর হয়
গ. প্রতিষ্ঠানের সুনাম হয়
ঘ. যােগাযােগ বৃদ্ধি পায়
উত্তরঃ বিনিয়ােগ বৃদ্ধি পায়
ব্যাখ্যাঃ

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে কঃ বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়

সুশাসন অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত। যখন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন বিদ্যমান থাকে, তখন নিম্নলিখিত বিষয়গুলো নিশ্চিত হয়:

  • আইনের শাসন: স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ আইনি কাঠামো বিনিয়োগকারীদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করে।
  • নিয়মিত ও স্বচ্ছ নীতি: সরকারের অর্থনৈতিক নীতি স্থিতিশীল ও অনুমানযোগ্য হলে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে উৎসাহিত হয়।
  • দুর্নীতির অভাব: দুর্নীতি কম থাকলে ব্যবসার পরিচালনা খরচ কমে এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি হয়, যা বিনিয়োগের জন্য অনুকূল।
  • জবাবদিহিতা: সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে আশ্বস্ত হন।
  • সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা: বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা থাকলে নতুন বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হন এবং বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরা সম্প্রসারণে আগ্রহী হন।

যদিও দুর্নীতি হ্রাস পায় (খ), প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পায় (গ), এবং যোগাযোগ বৃদ্ধি পেতে পারে (ঘ), তবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসনের সবচেয়ে প্রত্যক্ষ এবং শক্তিশালী প্রভাব পড়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপর। বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, উৎপাদন বাড়ে এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়।

ক. সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্মকর্তার নিজের বা পরিবারের সদস্যদের স্বার্থ জড়িত থাকে
খ. প্রভাবশালী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের স্বার্থ জড়িত থাকে
গ. সরকারি স্বার্থ জড়িত থাকে
ঘ. উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বার্থ জড়িত থাকে
উত্তরঃ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্মকর্তার নিজের বা পরিবারের সদস্যদের স্বার্থ জড়িত থাকে
ব্যাখ্যাঃ

সরকারি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ‘স্বার্থের সংঘাত’-এর উদ্ভব হয় যখন গৃহীতব্য সিদ্ধান্তের সঙ্গে কঃ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্মকর্তার নিজের বা পরিবারের সদস্যদের স্বার্থ জড়িত থাকে

স্বার্থের সংঘাত বলতে এমন পরিস্থিতিকে বোঝায় যেখানে কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ব্যক্তিগত স্বার্থ (আর্থিক, পারিবারিক, বা অন্য কোনো ব্যক্তিগত সুবিধা) তার সরকারি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতাকে প্রভাবিত করতে পারে বা সেই সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলোও প্রাসঙ্গিক হতে পারে, তবে সরাসরি ‘স্বার্থের সংঘাত’ তখনই তৈরি হয় যখন সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর নিজস্ব বা নিকটাত্মীয়দের স্বার্থ জড়িত থাকে:

  • খঃ প্রভাবশালী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের স্বার্থ জড়িত থাকে: এটি পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি কারণ হতে পারে, তবে সরাসরি কর্মকর্তার নিজের স্বার্থ জড়িত না থাকলে তা স্বার্থের সংঘাতের সংজ্ঞায় নাও পড়তে পারে। তবে, যদি কর্মকর্তার সাথে প্রভাবশালী ব্যক্তির ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকে এবং সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কর্মকর্তা বা তার পরিবারের সদস্যরা সুবিধা পায়, তবে সেটি স্বার্থের সংঘাত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

  • গঃ সরকারি স্বার্থ জড়িত থাকে: সরকারি স্বার্থ রক্ষা করা সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। যদি কোনো সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকারি স্বার্থ অর্জিত হয়, তবে সেটি স্বার্থের সংঘাত নয় বরং সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ। তবে, সরকারি স্বার্থের আড়ালে যদি কর্মকর্তার ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ হয়, তবে সেটি স্বার্থের সংঘাত হবে।

  • ঘঃ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বার্থ জড়িত থাকে: ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আইনসঙ্গত ও নীতিগত স্বার্থ রক্ষা করা অধস্তন কর্মকর্তার দায়িত্ব। তবে, যদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ব্যক্তিগত স্বার্থ অর্জনের জন্য অধস্তন কর্মকর্তাকে কোনো অন্যায় বা পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়, তবে সেটি একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে এবং ক্ষেত্রবিশেষে স্বার্থের সংঘাতের আওতায় আসতে পারে।

সুতরাং, সবচেয়ে সরাসরি এবং স্পষ্ট উত্তর হল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্মকর্তার নিজের বা পরিবারের সদস্যদের স্বার্থ জড়িত থাকলে স্বার্থের সংঘাতের উদ্ভব হয়।

ক. ডেকার্ট
খ. ডেভিড হিউম
গ. ইমানুয়েল কান্ট
ঘ. জন লক
উত্তরঃ ইমানুয়েল কান্ট
ব্যাখ্যাঃ

‘সততার জন্য সদিচ্ছা’র কথা বলেছেন গঃ ইমানুয়েল কান্ট

ইমানুয়েল কান্ট তাঁর নীতিশাস্ত্রের আলোচনায় "সদিচ্ছা" (Good Will)-কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিয়েছেন। তিনি মনে করতেন, কোনো কাজ নৈতিকভাবে সঠিক কিনা, তা ফলাফলের উপর নির্ভর করে না, বরং সেই কাজটি কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে তার উপর নির্ভর করে। কান্টের মতে, সদিচ্ছা হলো একমাত্র জিনিস যা কোনো প্রকার শর্ত ছাড়াই unconditionally ভালো।

সততার (honesty) ক্ষেত্রেও কান্ট সদিচ্ছার গুরুত্বের কথা বলেছেন। তিনি মনে করতেন, কেবল কর্তব্যবোধ থেকে সততা অবলম্বন করাই নৈতিকভাবে মূল্যবান। যদি কোনো ব্যক্তি কেবল ব্যক্তিগত লাভের জন্য বা শাস্তির ভয়ে সৎ হয়, তবে তার সেই সততা নৈতিকভাবে তেমন গুরুত্ব বহন করে না। কান্টের মতে, সততার মূলে থাকতে হবে সদিচ্ছা - অর্থাৎ, সততা অবলম্বন করার আন্তরিক ইচ্ছা এবং কর্তব্যবোধ।

ক. ল্যাটিন
খ. গ্রিক
গ. হিব্রু
ঘ. ফারসি
উত্তরঃ গ্রিক
ব্যাখ্যাঃ

Governance শব্দটি উৎপত্তিগত অর্থে এসেছে গ্রিক ভাষা থেকে।

বিশ্লেষণ:

  • Governance শব্দটির মূল গ্রিক শব্দ হলো "kubernan" (κυβερνάν) — যার অর্থ "to steer" বা "নিয়ন্ত্রণ করা / দিকনির্দেশনা দেয়া"
  • পরে এটি ল্যাটিন ভাষায় আসে: gubernare, এবং সেখান থেকে পুরাতন ফরাসি হয়ে ইংরেজিতে এসে দাঁড়ায় governance
ক. সক্রেটিস
খ. প্লেটো
গ. অ্যারিস্টটল
ঘ. বেনথাম
উত্তরঃ প্লেটো
ব্যাখ্যাঃ

এই বিখ্যাত উক্তিটি প্লেটোর। তিনি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ "The Republic"-এ এই ধারণাটি তুলে ধরেছিলেন। প্লেটো মনে করতেন যে একজন মহৎ ও জ্ঞানী শাসক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে আইনের চেয়েও বেশি সক্ষম, কারণ তার প্রজ্ঞা ও গুণাবলী তাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। অন্যদিকে, একজন অসৎ শাসক আইনের অপব্যবহার করতে পারে, তাই আইন তার ক্ষেত্রে অকার্যকর।

ক. মূল্যবােধ
খ. আইনের শাসন
গ. গণতন্ত্র
ঘ. আমলাতন্ত্র
উত্তরঃ আইনের শাসন
ব্যাখ্যাঃ

সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন

তবে, সুশাসনের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি বা উপাদান রয়েছে, যা সম্মিলিতভাবে একটি কার্যকর ও ন্যায়সঙ্গত শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • অংশগ্রহণ: নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে জনগণের অর্থবহ অংশগ্রহণ।
  • জবাবদিহিতা: সরকারি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকা।
  • স্বচ্ছতা: তথ্য অবাধ ও সহজে লভ্য হওয়া এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া জনগণের কাছে উন্মুক্ত থাকা।
  • আইনের শাসন: সকলের জন্য আইনের সমান প্রয়োগ এবং আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না থাকা।
  • ন্যায্যতা ও সমতা: জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করা।
  • কার্যকরিতা ও দক্ষতা: সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং জনগণের চাহিদা পূরণে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা।
  • সংবেদনশীলতা: জনগণের প্রয়োজন ও মতামতের প্রতি সরকারের সংবেদনশীল থাকা এবং যথাযথ সাড়া দেওয়া।
  • জনমতের প্রতি সম্মান: সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের অধিকার ও স্বার্থের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল থাকা।
  • নৈতিক মূল্যবোধ: সততা,Integrity, ন্যায়পরায়ণতা এবং জনসেবার প্রতি অঙ্গীকার।

সুতরাং, যদিও আইনের শাসন একটি অত্যাবশ্যকীয় ভিত্তি, একটি পূর্ণাঙ্গ সুশাসন ব্যবস্থার জন্য উপরোল্লিখিত সকল উপাদান অপরিহার্য।

ক. ৩টি
খ. ৫টি
গ. ৪টি
ঘ. ৬টি
উত্তরঃ ৬টি
ব্যাখ্যাঃ

বিশ্বব্যাংকের মতে সুশাসনের ছয়টি প্রধান উপাদান রয়েছে। এগুলো সম্মিলিতভাবে বৈশ্বিক শাসন সূচক (Worldwide Governance Indicators - WGI) নামে পরিচিত:

১. কণ্ঠস্বর ও জবাবদিহিতা (Voice and Accountability): এটি একটি দেশের নাগরিকরা তাদের সরকার নির্বাচনে কতটা অংশ নিতে পারে, সেইসাথে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠনের স্বাধীনতা এবং একটি স্বাধীন গণমাধ্যমের ধারণাকে তুলে ধরে।

২. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সহিংসতা/সন্ত্রাসের অনুপস্থিতি (Political Stability and Absence of Violence/Terrorism): এটি রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং/অথবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংসতা, যার মধ্যে সন্ত্রাসবাদও অন্তর্ভুক্ত, এর সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা দেয়।

৩. সরকারি কার্যকারিতা (Government Effectiveness): এটি সরকারি পরিষেবার গুণমান, সরকারি প্রশাসনের গুণমান এবং রাজনৈতিক চাপ থেকে এর স্বাধীনতার মাত্রা, নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের গুণমান এবং সরকারের নীতিমালার প্রতিশ্রুতির বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে ধারণা দেয়।

৪. নিয়ন্ত্রণমূলক গুণমান (Regulatory Quality): এটি সরকারের এমন নীতি ও প্রবিধান প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা দেয় যা বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে উৎসাহিত করে এবং অনুমতি দেয়।

৫. আইনের শাসন (Rule of Law): এটি সেই মাত্রা সম্পর্কে ধারণা দেয় যেখানে সমাজের নিয়ম-কানুনের প্রতি আস্থা ও আনুগত্য রয়েছে, বিশেষ করে চুক্তি প্রয়োগের গুণমান, সম্পত্তির অধিকার, পুলিশ এবং আদালতের কার্যকারিতা, সেইসাথে অপরাধ ও সহিংসতার সম্ভাবনা।

৬. দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ (Control of Corruption): এটি সেই মাত্রা সম্পর্কে ধারণা দেয় যেখানে ব্যক্তিগত লাভের জন্য সরকারি ক্ষমতার ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হয়, যার মধ্যে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ দুর্নীতি এবং প্রভাবশালী গোষ্ঠী ও ব্যক্তিগত স্বার্থ দ্বারা রাষ্ট্রের "দখল" অন্তর্ভুক্ত।

এই ছয়টি উপাদান বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন দেশের শাসন ব্যবস্থা মূল্যায়ন এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের তুলনা করার জন্য ব্যবহার করে। এগুলো বিশ্বব্যাপী নাগরিক, বিশেষজ্ঞ এবং ব্যবসার ধারণাকে প্রতিফলিত করে এমন বিস্তৃত ডেটা উৎসের উপর ভিত্তি করে তৈরি।

ক. এইচ.ডি. স্টেইন
খ. জন স্মিথ
গ. মিশেল ক্যামডেসাস
ঘ. এম.ডব্লিউ. পামফ্রে
উত্তরঃ মিশেল ক্যামডেসাস
ব্যাখ্যাঃ

এই বিখ্যাত উক্তিটি করেছেন মিশেল ক্যামডেসাস (Michel Camdessus)।

তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (International Monetary Fund - IMF) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। ১৯৯৭ সালে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ সভায় তিনি এই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যটি করেছিলেন।

সুশাসন বলতে মূলত একটি দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন, কার্যকর অংশগ্রহণ এবং দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থাকে বোঝায়। ক্যামডেসাস মনে করতেন যে, রাষ্ট্রের সকল স্তরে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য।

ক. ম্যাকিয়াভেলি
খ. রাসেল
গ. প্লেটো
ঘ. এরিস্টটল
উত্তরঃ রাসেল
ব্যাখ্যাঃ

Political Ideals গ্রন্থটির লেখক হলেন বারট্রান্ড রাসেল (Bertrand Russell)।

তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী এবং সমাজ সমালোচক। বইটি ১৯১৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

ক. জাতিসংঘ
খ. জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি
গ. বিশ্বব্যাংক
ঘ. এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক
উত্তরঃ বিশ্বব্যাংক
ব্যাখ্যাঃ

'সুশাসন চারটি স্তম্ভের উপর নির্ভরশীল' - এই অভিমত বিশ্বব্যাংক (World Bank) প্রকাশ করে।

বিশ্বব্যাংক ২০০০ সালে তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে সুশাসন প্রধানত চারটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত:

১. দায়িত্বশীলতা (Accountability): সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাত ও নাগরিক সমাজের প্রতি তাদের কাজকর্মের জন্য জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকা। ২. স্বচ্ছতা (Transparency): সরকারি প্রক্রিয়া, তথ্য এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং জনগণের জন্য তা সহজলভ্য করা। ৩. আইনি কাঠামো (Legal Framework): একটি নিরপেক্ষ ও কার্যকর আইনি কাঠামো বিদ্যমান থাকা এবং তার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা। ৪. অংশগ্রহণ (Participation): নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

ক. রাজনৈতিক অধিকার
খ. অর্থনৈতিক অধিকার
গ. মৌলিক অধিকার
ঘ. সামাজিক অধিকার
উত্তরঃ মৌলিক অধিকার
ব্যাখ্যাঃ

তথ্য পাওয়া মানুষের একটি মৌলিক অধিকার

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতাকে নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং তথ্য পাওয়ার অধিকারকে এই চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এছাড়াও, বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়েছে, যা জনগণের তথ্য জানার অধিকারকে আইনি সুরক্ষা দিয়েছে। এই আইনের অধীনে, প্রত্যেক নাগরিকের সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং সরকারি বা বিদেশি অর্থে পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে তথ্য জানার অধিকার রয়েছে এবং সংস্থাগুলো সেই তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য।

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনও একাধিকবার তথ্য পাওয়াকে মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ক. নৈতিক অনুশাসন
খ. রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুশাসন
গ. আইনের শাসন
ঘ. আইনের অধ্যাদেশ
উত্তরঃ রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুশাসন
ব্যাখ্যাঃ

বাক্যটি নাগরিক হিসেবে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে দায়িত্বশীল আচরণ, নৈতিকতা এবং সামাজিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব প্রকাশ করে। এটি রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুশাসন এর ধারণার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

রাজনৈতিক অনুশাসন মানে: নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব ও অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা। সামাজিক অনুশাসন মানে: সমাজের গৃহীত নীতি, মূল্যবোধ ও নিয়ম মেনে চলা।

ক. গণতন্ত্র
খ. বিচার ব্যবস্থা
গ. সংবিধান
ঘ. আইনের শাসন
উত্তরঃ আইনের শাসন
ব্যাখ্যাঃ

সভ্য সমাজের মানদণ্ড হলো আইনের শাসন

আইনের শাসন একটি সভ্য সমাজের অন্যতম প্রধান মানদণ্ড। এর অর্থ হলো রাষ্ট্রের সকল নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠান আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং সকলেই আইনের কাছে সমান। একটি সভ্য সমাজে আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়, যা আইনের শাসনের মাধ্যমেই সম্ভব।

অন্যান্য বিকল্পগুলোও গুরুত্বপূর্ণ হলেও, আইনের শাসন হলো সেই ভিত্তি যার উপর একটি স্থিতিশীল ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গড়ে ওঠে:

  • গণতন্ত্র: জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালিত হলেও, আইনের শাসনের অনুপস্থিতিতে গণতন্ত্র স্বেচ্ছাচারিতায় পর্যবসিত হতে পারে।
  • বিচার ব্যবস্থা: একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা আইনের শাসনের অপরিহার্য অংশ, তবে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সভ্য সমাজের মানদণ্ড নয় যদি না আইনের শাসন বিদ্যমান থাকে।
  • সংবিধান: সংবিধান হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, তবে এর যথাযথ প্রয়োগ এবং সকলের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আইনের শাসনের মাধ্যমেই নিশ্চিত হয়।
ক. নারীদের ক্ষেত্রে
খ. সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে
গ. প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে
ঘ. পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে
উত্তরঃ সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে
ব্যাখ্যাঃ
  • মানুষের মধ্যে নানা বৈশিষ্ট্যগত বিচারে বৈষম্য নির্ণয় করা হয়।
  • এ বৈষম্যের কয়েকটি মৌলিক দিক রয়েছে।
  • যেমন- নরগোষ্ঠীগত, লিঙ্গগত, আর্থ সামাজিক, ধর্মীয়।
  • এখানে মূলত বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে নিম্নবর্ণের মানুষ, নারী জাতি, আর্থ-সামাজিকভাবে দুর্বল জাতিগোষ্ঠী এবং অপ্রধান ধর্ম পালনকারীরা।
  • কিন্তু বিপরীত বৈষম্য মূলত বৈষম্যের উল্টা ধারণা, যেখানে সংখ্যাগুরুরা, সংখ্যালঘুদের দ্বারা বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে।
  • এর প্রশাখায় পুরুষরা নারীদের দ্বারা, শ্বেতাঙ্গরা কৃষ্ণাঙ্গদের দ্বারা, উচ্চবর্ণ নিম্নবর্ণের দ্বারা এবং সাধারণ মানুষ কোটাধারীদের দ্বারা বিপরীত বৈষম্যের শিকার হয়।
ক. দুর্নীতি দূর হয়
খ. বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়
গ. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়
ঘ. কোনোটিই নয়
উত্তরঃ বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়
ব্যাখ্যাঃ

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়

  • বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়: যখন একটি দেশে অর্থনৈতিক সুশাসন থাকে, তখন বিনিয়োগকারীরা আস্থা পান। স্বচ্ছ নীতি, আইনের সঠিক প্রয়োগ, এবং কম আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বিনিয়োগের ঝুঁকি কমায় এবং মুনাফার সম্ভাবনা বাড়ায়। এর ফলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ধরনের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়।
ক. দারিদ্র বিমোচন
খ. মৌলিক অধিকার রক্ষা
গ. মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন
ঘ. নারীদের উন্নয়ন ও সুরক্ষা
উত্তরঃ মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের অভিমত অনুসারে, সুশাসনের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো একটি স্থিতিশীল, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সকল নাগরিকের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে।

জাতিসংঘ সুশাসনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ও উদ্দেশ্যের উপর জোর দেয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • অংশগ্রহণ (Participation): নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সকল স্তরের নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
  • আইনের শাসন (Rule of Law): আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয় এবং সকলের জন্য আইনের সমান প্রয়োগ নিশ্চিত করা।
  • স্বচ্ছতা (Transparency): সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া জনগণের কাছে উন্মুক্ত ও সহজবোধ্য রাখা।
  • জবাবদিহিতা (Accountability): সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের তাদের কর্মকাণ্ড এবং সিদ্ধান্তের জন্য জনগণের কাছে দায়বদ্ধ রাখা।
  • কার্যকরিতা ও দক্ষতা (Effectiveness and Efficiency): সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সেবা প্রদান নিশ্চিত করা।
  • সমতা ও অন্তর্ভুক্তিতা (Equity and Inclusiveness): সমাজের সকল সদস্যের, বিশেষ করে দুর্বল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ও সুযোগ নিশ্চিত করা।
  • প্রতিক্রিয়াশীলতা (Responsiveness): জনগণের চাহিদা ও প্রত্যাশার প্রতি সংবেদনশীল থাকা এবং সে অনুযায়ী নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা।
  • ঐকমত্য (Consensus Orientation): বিভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠীর মধ্যে আলোচনা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
ক. সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
খ. নিজের অধিকার ভোগ করা
গ. সৎভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা
ঘ. নিয়মিত কর প্রদান করা
উত্তরঃ নিয়মিত কর প্রদান করা
ব্যাখ্যাঃ

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হলো নিয়মিত কর প্রদান করা

নিয়মিত কর প্রদানের মাধ্যমে নাগরিকরা রাষ্ট্রকে জনকল্যাণমূলক কাজ এবং সরকারি পরিষেবাগুলো পরিচালনা করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এটি একটি দায়িত্বশীল নাগরিকের কর্তব্য এবং সুশাসনের অন্যতম ভিত্তি।

যদিও অন্যান্য বিকল্পগুলোও গুরুত্বপূর্ণ, তবে নিয়মিত কর প্রদান সরাসরি রাষ্ট্রের আর্থিক সক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে, যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অন্যান্য সরকারি কার্যক্রমের মাধ্যমে সুশাসনকে শক্তিশালী করে।

আসুন অন্য বিকল্পগুলো বিবেচনা করি:

  • কঃ সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা: এটি একটি ব্যাপক ধারণা। নাগরিকরা বিভিন্নভাবে সরকার পরিচালনায় সাহায্য করতে পারে, যেমন - মতামত প্রদান, নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ, তবে নিয়মিত কর প্রদান একটি সুনির্দিষ্ট ও অপরিহার্য কর্তব্য।
  • খঃ নিজের অধিকার ভোগ করা: অধিকার ভোগ করা গুরুত্বপূর্ণ, তবে একইসাথে অন্যের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য পালন করাও জরুরি। শুধু অধিকার ভোগ করা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট নয়।
  • গঃ সৎভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা: সৎভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক এবং পরোক্ষভাবে সুশাসনে অবদান রাখে, তবে নিয়মিত কর প্রদান সরাসরি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ যোগ করে।

সুতরাং, সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তর হলো ঘঃ নিয়মিত কর প্রদান করা

ক. ১৯৯৫
খ. ১৯৯৭
গ. ১৯৯৮
ঘ. ১৯৯৯
উত্তরঃ ১৯৯৭
ব্যাখ্যাঃ

ইউএনডিপি (UNDP) ১৯৯৭ সালে সুশাসনের সংজ্ঞা প্রবর্তন করে। এই সংজ্ঞাটি 'Governance for Sustainable Human Development' নামক কৌশলপত্রে প্রদান করা হয়েছিল, যেখানে সুশাসনের ৯টি উপাদানের কথা উল্লেখ করা হয়।

এই উপাদানগুলো হলো:

১. অংশগ্রহণ (Participation): সমাজের সকল স্তরের মানুষ, বিশেষ করে নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সরাসরি বা বৈধ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে অংশ নেবে। ২. আইনের শাসন (Rule of Law): আইন সবার জন্য সমান হবে এবং তা নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগ করা হবে, বিশেষ করে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে। ৩. স্বচ্ছতা (Transparency): সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং এর বাস্তবায়ন স্বচ্ছ হবে, যাতে জনগণ তথ্যের অবাধ প্রবাহের মাধ্যমে সব কিছু জানতে ও পর্যবেক্ষণ করতে পারে। ৪. সংবেদনশীলতা (Responsiveness): প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়াগুলো সকল অংশীজনের প্রতি সংবেদনশীল হবে এবং তাদের চাহিদা পূরণে সচেষ্ট থাকবে। ৫. ঐক্যমত্যের প্রবণতা (Consensus Orientation): সমাজের বিভিন্ন স্বার্থের মধ্যে মধ্যস্থতা করে একটি বৃহত্তর ঐকমত্যে পৌঁছানো, যা সমাজের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষা করে। ৬. সমতা ও ন্যায্যতা (Equity and Inclusiveness): সমাজের কোনো অংশই যেন বাদ না পড়ে এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য উন্নতি ও ভালো থাকার সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। ৭. কার্যকারিতা ও দক্ষতা (Effectiveness and Efficiency): প্রক্রিয়া এবং প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে এবং কার্যকর ফলাফল দেবে। ৮. জবাবদিহিতা (Accountability): সরকার, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা জনগণের কাছে এবং প্রতিষ্ঠানের অংশীজনদের কাছে জবাবদিহি থাকবে। ৯. কৌশলগত দূরদৃষ্টি (Strategic Vision): নেতা এবং জনগণ সুশাসন ও মানব উন্নয়নের জন্য একটি বিস্তৃত এবং দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি রাখবে, যা ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে।

ক. অংশগ্রহণ
খ. জবাবদিহিতা
গ. স্বচ্ছতা
ঘ. সাফলতা
উত্তরঃ স্বচ্ছতা
ব্যাখ্যাঃ

সুশাসনের স্বচ্ছতার নীতি সংগঠনের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করে। এটি একটি প্রতিষ্ঠানের আয় -ব্যয়ের স্বচ্ছতা প্রকাশ করার মাধ্যমে জবাবদিহিতা, সাম্য ও সমতার বিষয়টিকেও নিশ্চিত করে।

ক. শাসন প্রক্রিয়া ও মানব উন্নয়ন
খ. শাসন প্রক্রিয়া এবং সুশাসন
গ. শাসন প্রক্রিয়া এবং নৈতিক শাসন প্রক্রিয়া
ঘ. শাসন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়ন
উত্তরঃ শাসন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়ন
ব্যাখ্যাঃ

বিশ্বব্যাংক ১৯৯২ সালে প্রকাশিত "Governance and Development" (শাসন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়ন) নামক রিপোর্টে সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করেছে।

ক. অংশগ্রহণ
খ. স্বচ্ছটা
গ. নৈতিক শাসন
ঘ. জবাবদিহিতা
উত্তরঃ নৈতিক শাসন
ব্যাখ্যাঃ

সুশাসনের মূল উপাদানগুলো হলো: অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন, সংবেদনশীলতা, সাম্য ও সমতা, কার্যকারিতা ও দক্ষতা, এবং কৌশলগত দূরদৃষ্টি।

প্রদত্ত বিকল্পগুলো থেকে:

  • কঃ অংশগ্রহণ (Participation) - সুশাসনের একটি মূল উপাদান।
  • খঃ স্বচ্ছতা (Transparency) - সুশাসনের একটি মূল উপাদান।
  • গঃ নৈতিক শাসন (Ethical Governance) - এটি সুশাসনের একটি ফলাফল বা লক্ষ্য, কিন্তু সরাসরি সুশাসনের একটি স্বতন্ত্র "উপাদান" হিসেবে এরিস্টটলের বা UNDP/World Bank এর সংজ্ঞায় উল্লেখিত হয় না। এটি সুশাসনের অন্তর্নিহিত একটি গুণ বা আদর্শ, যা অন্যান্য উপাদান (যেমন স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা) সঠিকভাবে পালিত হলে অর্জিত হয়।
  • ঘঃ জবাবদিহিতা (Accountability) - সুশাসনের একটি মূল উপাদান।

যেহেতু নৈতিক শাসন সরাসরি একটি পৃথক উপাদান হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় না, বরং এটি সুশাসনের বৃহত্তর ধারণার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই এই বিকল্পটি অন্যদের থেকে আলাদা।

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো গঃ নৈতিক শাসন

ক. রাজনীতি
খ. বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়
গ. সংবাদ মাধ্যম
ঘ. যুবশক্তি
উত্তরঃ সংবাদ মাধ্যম
ব্যাখ্যাঃ

রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হলো গণমাধ্যম (Media)

ঐতিহ্যগতভাবে, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ হলো: ১. আইনসভা (Legislature): আইন প্রণয়ন করে। ২. শাসন বিভাগ (Executive): আইন প্রয়োগ করে। ৩. বিচার বিভাগ (Judiciary): আইন ব্যাখ্যা করে এবং বিচার নিশ্চিত করে।

গণমাধ্যমকে "চতুর্থ স্তম্ভ" বলা হয় কারণ এটি সরকারের উপর নজরদারি রাখে, জনমত তৈরি করে, তথ্য সরবরাহ করে এবং জনগণের কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করে, যা একটি সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। এটি সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ক. ৬টি
খ. ৭টি
গ. ৮টি
ঘ. ৯টি
উত্তরঃ ৯টি
ব্যাখ্যাঃ

১৯৯৭ সালে ইউএনডিপি (UNDP) সুশাসন নিশ্চিতকরণে আটটি (8টি) উপাদানের কথা উল্লেখ করেছে।

এই উপাদানগুলো হলো: ১. অংশগ্রহণ (Participation) ২. আইনের শাসন (Rule of Law) ৩. স্বচ্ছতা (Transparency) ৪. সাড়া দান (Responsiveness) ৫. ঐকমত্য অভিমুখিতা (Consensus Orientation) ৬. সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (Equity and Inclusiveness) ৭. কার্যকারিতা ও দক্ষতা (Effectiveness and Efficiency) ৮. জবাবদিহিতা (Accountability)

ক. পুরস্কার ও শাস্তির ক্ষেত্রে সমতার নীতি প্রয়োগ
খ. আইনের শাসন
গ. সুশাসনের জন্য উচ্চ শিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগ
ঘ. অধিকার ও সুযোগের ক্ষেত্রে সমতার নিশ্চিতকরণ
উত্তরঃ সুশাসনের জন্য উচ্চ শিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগ
ব্যাখ্যাঃ

নৈতিক মূলনীতি নয় এমন বিকল্পটি হলো সুশাসনের জন্য উচ্চ শিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগ

ব্যাখ্যা:

  • কঃ পুরস্কার ও শাস্তির ক্ষেত্রে সমতার নীতি প্রয়োগ: এটি ন্যায়পরায়ণতার একটি মৌলিক নীতি। এর অর্থ হলো, যোগ্যতা ও অপরাধ নির্বিশেষে সকল ক্ষেত্রে সমানভাবে আইন প্রয়োগ করা।

  • খঃ আইনের শাসন: ন্যায়পরায়ণতার অন্যতম ভিত্তি হলো আইনের শাসন। এর মানে হলো সকল নাগরিক আইনের অধীন এবং আইন সবার জন্য সমান।

  • ঘঃ অধিকার ও সুযোগের ক্ষেত্রে সমতার নিশ্চিতকরণ: এটিও ন্যায়পরায়ণতার একটি মূলনীতি, যা নিশ্চিত করে যে সমাজের সকল সদস্যের মৌলিক অধিকার এবং সুযোগের ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য থাকবে না।

  • গঃ সুশাসনের জন্য উচ্চ শিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগ: উচ্চ শিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগ সুশাসনের জন্য সহায়ক হতে পারে এবং এটি একটি বাস্তবসম্মত প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। তবে, এটি সরাসরি ন্যায়পরায়ণতার নৈতিক মূলনীতি নয়। ন্যায়পরায়ণতার মূলনীতিগুলো আদর্শগত এবং সর্বজনীন ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত (যেমন সমতা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, নিরপেক্ষতা), যেখানে উচ্চ শিক্ষা একটি গুণগত যোগ্যতা মাত্র। একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি নৈতিক বা ন্যায়পরায়ণ নাও হতে পারেন।

ক. যথা সময়ে অফিসে আগমন ও অফিস ত্যাগ করা
খ. দাপ্তরিক কাজে কোনো অবৈধ সুবিধা গ্রহণ না করা
গ. নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে অর্পিত দায়িত্ব যথাবিধি সম্পন্ন করা
ঘ. ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যে কোনো নির্দেশ প্রতিপালন করা
উত্তরঃ নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে অর্পিত দায়িত্ব যথাবিধি সম্পন্ন করা
ব্যাখ্যাঃ

সরকারি চাকরিতে সততার মাপকাঠি হিসেবে যে গুণগুলো উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা হলো নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে অর্পিত দায়িত্ব যথাবিধি সম্পন্ন করা

ব্যাখ্যা:

  • কঃ যথা সময়ে অফিসে আগমন ও অফিস ত্যাগ করা: এটি শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার অংশ, কিন্তু কেবল এটিই সততার সম্পূর্ণ মাপকাঠি নয়। একজন ব্যক্তি সময় মেনে অফিসে এলেও কাজের ক্ষেত্রে অসৎ হতে পারেন।
  • খঃ দাপ্তরিক কাজে কোনো অবৈধ সুবিধা গ্রহণ না করা: এটি সততার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অবৈধ সুবিধা গ্রহণ না করা অবশ্যই সততার লক্ষণ, তবে এটি সততার একটি দিক মাত্র। সততা এর চেয়েও ব্যাপক।
  • গঃ নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে অর্পিত দায়িত্ব যথাবিধি সম্পন্ন করা: এটি সততার সবচেয়ে ব্যাপক এবং সঠিক মাপকাঠি।
    • নির্মোহ: মানে হলো ব্যক্তিগত স্বার্থ, লোভ বা আসক্তি থেকে মুক্ত থাকা।
    • নিরপেক্ষভাবে: মানে হলো কোনো রকম পক্ষপাতিত্ব ছাড়া, সবার প্রতি সমান আচরণ করা।
    • অর্পিত দায়িত্ব যথাবিধি সম্পন্ন করা: মানে হলো সঠিকভাবে, নিয়ম মেনে এবং সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে নিজের কর্তব্য পালন করা। এই তিনটি উপাদান একত্রিত হয়েই একজন সরকারি কর্মকর্তার সম্পূর্ণ সততাকে প্রকাশ করে।
  • ঘঃ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যে কোনো নির্দেশ প্রতিপালন করা: এটিও শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ডের অংশ। তবে, ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ যদি অনৈতিক বা অবৈধ হয়, তবে তা প্রতিপালন করা সততার পরিপন্থী হতে পারে। একজন সৎ কর্মকর্তা অনৈতিক নির্দেশ মানতে পারেন না।

সুতরাং, নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে অর্পিত দায়িত্ব যথাবিধি সম্পন্ন করা হলো সরকারি চাকরিতে সততার সবচেয়ে ব্যাপক ও সঠিক মাপকাঠি।

ক. এরিস্টটল
খ. জন স্টুয়ার্ট মিল
গ. ম্যাককরনী
ঘ. মেকিয়াভেলি
উত্তরঃ ম্যাককরনী
ব্যাখ্যাঃ

ঐ উক্তিটি ম্যাককরনি (MacCorney)-এর।

তিনি সুশাসনকে রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজ, এবং সরকার ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন, যেখানে সকলের অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।

ক. সুশাসন
খ. আইনের শাসন
গ. রাজনীতি
ঘ. মানবাধিকার
উত্তরঃ সুশাসন
ব্যাখ্যাঃ

জনগণ, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠ প্রত্যয় হলো সুশাসন (Good Governance)

সুশাসন এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে সরকার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন এবং জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় বিষয়াদি পরিচালনা করে। এটি সরকার, জনগণ এবং প্রশাসনের মধ্যে কার্যকর ও ইতিবাচক সম্পর্ক স্থাপন করে।

ক. সুসম্পর্ক গড়ে তোলে
খ. আস্থার সর্ম্পক গড়ে তোলে
গ. শান্তির সম্পর্ক গড়ে তোলে
ঘ. কোনোটিই নয়
উত্তরঃ আস্থার সর্ম্পক গড়ে তোলে
ব্যাখ্যাঃ

সুশাসন হচ্ছে এমন এক শাসন ব্যবস্থা যা শাসক ও শাসিতের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলে

ব্যাখ্যা: সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো শাসক ও শাসিতের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা। যখন শাসক জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করেন, তখন শাসিত জনগণ শাসকদের প্রতি আস্থাশীল হয়। এই আস্থার সম্পর্কই একটি সুষম ও স্থিতিশীল শাসন ব্যবস্থার জন্ম দেয়।

ক. অর্থনৈতিক উন্নয়ন
খ. অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন
গ. সামাজিক উন্নয়ন
ঘ. সবগুলোই
উত্তরঃ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন
ব্যাখ্যাঃ

সুশাসনের পূর্বশর্ত হিসেবে বিভিন্ন বিষয়কে উল্লেখ করা হয়, যেমন- আইনের শাসন, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণ, সাম্যতা ইত্যাদি।

বিকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তরটি হলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন

ব্যাখ্যা: অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সুশাসনের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে। একটি দেশের জনগণ যখন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয় এবং সামাজিক দিক থেকে উন্নত (যেমন - শিক্ষা, স্বাস্থ্য) হয়, তখন তারা সচেতন হয় এবং শাসন প্রক্রিয়ায় কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। এটি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে, দুর্নীতি কমাতে এবং সামগ্রিকভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দীর্ঘস্থায়ী করা কঠিন।

ক. আইনের শাসন
খ. জবাবদিহিতা
গ. স্বজনপ্রীতি
ঘ. ন্যায়পরায়ণতা
উত্তরঃ স্বজনপ্রীতি
ব্যাখ্যাঃ

সুশাসনের পথে অন্তরায় স্বজনপ্রীতি

ব্যাখ্যা:

  • আইনের শাসন, জবাবদিহিতা এবং ন্যায়পরায়ণতা – এগুলো সুশাসনের অপরিহার্য উপাদান বা ভিত্তি। এগুলো সুশাসনের পথে অন্তরায় নয়, বরং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে।
  • স্বজনপ্রীতি (Nepotism) হলো ক্ষমতার অপব্যবহার করে আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের অন্যায়ভাবে সুবিধা দেওয়া। এটি স্বচ্ছতা, যোগ্যতা এবং নিরপেক্ষতার পরিপন্থী, যা সুশাসনের পথে একটি বড় অন্তরায়
ক. মত প্রকাশের স্বাধীনতা
খ. প্রশাসনের নিরপেক্ষতা
গ. নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
ঘ. নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা
উত্তরঃ মত প্রকাশের স্বাধীনতা
ব্যাখ্যাঃ

গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় সুশাসন হলো একটি কাঙ্কিত বিষয়, যা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা, নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ইত্যাদি বিষয়গুলো পূর্ণমাত্রায় বজায় থাকলেও যদি মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়টি না থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সুশাসন থাকে না। কেননা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার মাধ্যমেই রাষ্ট্রীয় যাবতীয় কাজের সমালোচনা করে সুন্দর রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।

ক. সুশাসনের সামাজিক দিক
খ. সুশাসনের অর্থনৈতিক দিক
গ. সুশাসনের মূল্যবোধের দিক
ঘ. সুশাসনের গণতান্ত্রিক দিক
উত্তরঃ সুশাসনের অর্থনৈতিক দিক
ব্যাখ্যাঃ

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (Millennium Development Goals - MDGs) হলো ২০০০ সালে জাতিসংঘের সহস্রাব্দ শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত আটটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন লক্ষ্য। এই লক্ষ্যগুলো ২০১৫ সালের মধ্যে অর্জন করার জন্য বিশ্বের ১৯১টি জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্র এবং কমপক্ষে ২২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল।

এমডিজি-র প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ২১ শতকের শুরুতে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবেলা করা এবং একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পরিমাপযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা। এর মাধ্যমে চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধার মতো মৌলিক সমস্যাগুলো থেকে বিশ্বকে মুক্ত করার একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা শুরু হয়।

ক. ধারা ০৭
খ. ধারা ২৭
গ. ধারা ৩৭
ঘ. ধারা ৪৭
উত্তরঃ ধারা ২৭
ব্যাখ্যাঃ

"আইনের চোখে সব নাগরিক সমান।" - বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ নম্বর ধারায় এই নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। এই ধারাটি আইনের দৃষ্টিতে সমতা নিশ্চিত করে।

ক. টেকসই উন্নয়ন
খ. সাংস্কৃতিক উন্নয়ন
গ. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন
ঘ. উপরের কোনোটিই নয়
উত্তরঃ টেকসই উন্নয়ন
ব্যাখ্যাঃ

Johannesburg Plan of Implementation (JPOI) হলো ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত World Summit on Sustainable Development (WSSD)-এর একটি প্রধান ফলাফল। এই পরিকল্পনাটি টেকসই উন্নয়ন (Sustainable Development)-এর প্রতি বিশ্বব্যাপী অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করে এবং এটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের রূপরেখা দেয়।

JPOI-এর মূল ফোকাস ছিল দারিদ্র্য দূরীকরণ, উৎপাদন ও ভোগের টেকসই ধরন পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন করা। যদিও সুশাসনের ধারণা (যেমন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, আইনের শাসন, দুর্নীতি দমন) টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে বলে JPOI-তে উল্লেখ করা হয়েছে, এর প্রধান এবং অধিকতর গুরুত্বের বিষয় ছিল টেকসই উন্নয়ন

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো: কঃ টেকসই উন্নয়ন

ক. জাতিসংঘ
খ. ইউএনডিপি
গ. বিশ্বব্যাংক
ঘ. আইএমএফ
উত্তরঃ বিশ্বব্যাংক
ব্যাখ্যাঃ

'সুশাসন' (Good Governance) শব্দটি সর্বপ্রথম সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে বিশ্বব্যাংক (World Bank)

১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক আফ্রিকার উন্নয়ন নিয়ে তাদের এক রিপোর্টে (Sub-Saharan Africa: From Crisis to Sustainable Growth) এই শব্দটি ব্যবহার করে এবং এর একটি বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করে। এরপর থেকে সুশাসন ধারণাটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন আলোচনায় একটি কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে ওঠে।

ক. সামাজিক অবক্ষয়ের
খ. মূল্যবোধ অবক্ষয়ের
গ. সুশাসনের
ঘ. শিক্ষার গুণগতমানের
উত্তরঃ সুশাসনের
ব্যাখ্যাঃ

নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী গণমাধ্যমের অনুপস্থিতি একটি সুস্থ ও গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য বহুবিধ অন্তরায় সৃষ্টি করে। এর প্রধান কিছু দিক নিচে তুলে ধরা হলো:

১. সুশাসনের অন্তরায়: এটি সবচেয়ে বড় অন্তরায়। নিরপেক্ষ গণমাধ্যম সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে এবং দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অস্বচ্ছতা প্রকাশ করে। গণমাধ্যম নিরপেক্ষ না হলে সরকার বা ক্ষমতাশীলদের ভুল পদক্ষেপ, অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হয় না, ফলে সুশাসন ব্যাহত হয়।

২. গণতন্ত্রের অন্তরায়: গণতন্ত্রে জনগণের মতামত এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ অত্যন্ত জরুরি। নিরপেক্ষ গণমাধ্যম না থাকলে জনগণ সঠিক তথ্য থেকে বঞ্চিত হয়, ফলে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়ে। এটি জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ও অংশগ্রহণে বাধা দেয়।

৩. মত প্রকাশের স্বাধীনতার অন্তরায়: গণমাধ্যমই হলো সাধারণ মানুষের মত প্রকাশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। যদি গণমাধ্যম শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে ভিন্নমত ও সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বরগুলো প্রকাশের সুযোগ পায় না, যা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করে।

৪. জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব: একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম সরকার, প্রশাসন এবং অন্যান্য ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। এর অনুপস্থিতিতে এসব প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠতে পারে।

৫. তথ্য বিকৃতি ও গুজব: নিরপেক্ষ গণমাধ্যম না থাকলে তথ্য বিকৃতি, মিথ্যা সংবাদ এবং গুজবের বিস্তার ঘটে। এতে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়, জনমনে অবিশ্বাস বাড়ে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে।

৬. দুর্নীতি বৃদ্ধি: গণমাধ্যমকে প্রায়শই "চতুর্থ স্তম্ভ" বলা হয়, যা সরকার ও সমাজের অন্যান্য স্তম্ভের ওপর নজর রাখে। এর অনুপস্থিতি দুর্নীতিবাজদের অবাধে কাজ করার সুযোগ করে দেয়, কারণ তাদের অপকর্ম প্রকাশের ভয় থাকে না।

৭. সামাজিক ন্যায়বিচারের অভাব: নিরপেক্ষ গণমাধ্যম সমাজের বঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর হতে পারে। এর অনুপস্থিতিতে তাদের সমস্যাগুলো সমাজের সামনে আসে না, ফলে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।

৮. উন্নয়নের অন্তরায়: সঠিক তথ্য প্রবাহ এবং সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার অভাবে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে ত্রুটি থাকতে পারে, দুর্নীতির কারণে সম্পদের অপচয় হতে পারে এবং জনকল্যাণমূলক উদ্যোগগুলো সফল নাও হতে পারে, যা সামগ্রিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে।

সংক্ষেপে, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী গণমাধ্যমের অনুপস্থিতি একটি সমাজের গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার এবং সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য মারাত্মক অন্তরায়।