আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

 ২১৯
 ২২১
 ২২৩
 ২২৫
ব্যাখ্যাঃ

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ২৩২টি আসনে জয়লাভ করেছিল।

মোট ৩০৯টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসনে জয়লাভ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। পরবর্তীতে উপনির্বাচনে আরও ৯টি আসনে জয়লাভ করে তাদের মোট আসন সংখ্যা ২৩২-এ পৌঁছেছিল।

 ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬
 ২৩ মার্চ ১৯৬৬
 ২৬ মার্চ ১৯৬৬
 ৩১ মার্চ ১৯৬৬
ব্যাখ্যাঃ

ঐতিহাসিক ‘ছয়-দফা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি লাহোরে (তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান) বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সম্মেলনে উত্থাপন করেন।

পরবর্তীতে, ১৯৬৬ সালের ২৩শে মার্চ ঢাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে এই ছয়-দফা দলের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি হিসেবে গৃহীত হয়।

 শেখ মুজিবুর রহমান
 শামছুল হক
 আতাউর রহমান খান
 আবুল হাশিম
ব্যাখ্যাঃ

‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে (হুমায়ুন সাহেবের বাড়ি) 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ' প্রতিষ্ঠিত হয়। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন এই দলের প্রথম সভাপতি এবং শামসুল হক ছিলেন প্রথম সাধারণ সম্পাদক।

 ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪
 ২২ মার্চ ১৯৫৮
 ২০ এপ্রিল ১৯৬২
 ২৩ মার্চ ১৯৬৬
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ২৩ মার্চ ১৯৬৬

যদিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সম্মেলনে প্রথম ছয় দফা উত্থাপন করেন, তবে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় ২৩ মার্চ ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায়। এই সভায় ছয় দফা প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয় এবং এটি বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

 ৩টি
 ৪টি
 ৫টি
 ৬টি
ব্যাখ্যাঃ

১৯৬৬ সালের ৬ দফার মধ্যে ৩টি দফা অর্থনীতি বিষয়ক ছিল। এই দফাগুলো ছিল:

  • তৃতীয় দফা: পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য দুটি পৃথক অথচ সহজে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা ব্যবস্থা চালু করতে হবে; অথবা এর বিকল্প হিসেবে একটি মুদ্রাব্যবস্থা সারা দেশের জন্য চালু থাকতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য স্বতন্ত্র ব্যাংকিং রিজার্ভের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • চতুর্থ দফা: সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, শুল্ক ধার্য ও আদায়ের ক্ষমতা আঞ্চলিক সরকারের হাতে ন্যস্ত করতে হবে এবং আদায়কৃত রাজস্বের একটি নির্দিষ্ট অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হবে।
  • পঞ্চম দফা: পূর্ব পাকিস্তানের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার পৃথক হিসাব রাখতে হবে এবং এর ওপর পূর্বাঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হলে তা উভয় অঞ্চলের জন্য সমান অথবা নির্ধারিত অনুপাতে সরবরাহ করা হবে।

অন্যান্য তিনটি দফা ছিল মূলত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয় সম্পর্কিত।

 শাসনতান্ত্রিক কাঠামো
 কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা
 স্বতন্ত্র মুদ্রা ব্যবস্থা
 বিচার ব্যবস্থা
ব্যাখ্যাঃ

ঐতিহাসিক ছয় দফা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান উত্থাপন করেন।

ছয় দফার মূল বিষয়বস্তু ছিল:

১. প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন: পাকিস্তানকে একটি ফেডারেল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং প্রদেশগুলোকে পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। কেবল প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকবে।

২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা: কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে কেবল দুটি বিষয় থাকবে - প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক সম্পর্ক। অবশিষ্ট সকল ক্ষমতা প্রদেশের হাতে ন্যস্ত করতে হবে।

৩. মুদ্রাব্যবস্থা: দুটি পৃথক অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু করতে হবে। অথবা, সমগ্র দেশের জন্য একটি মুদ্রাব্যবস্থা থাকবে, তবে সেক্ষেত্রে প্রদেশগুলোর জন্য পৃথক পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভ রাখতে হবে।

৪. রাজস্ব ও কর ধার্য: সকল প্রকার কর ও রাজস্ব ধার্যের ক্ষমতা প্রদেশের হাতে থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রাদেশিক রাজস্বের একটি নির্দিষ্ট অংশ পাবে।

৫. বৈদেশিক বাণিজ্য: প্রদেশগুলোকে তাদের নিজস্ব উৎপাদিত পণ্যের বৈদেশিক বাণিজ্য করার এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অধিকার দিতে হবে। অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব প্রদেশের হাতে থাকবে এবং কেন্দ্রীয় সরকার তার প্রয়োজন অনুযায়ী প্রদেশের কাছ থেকে মুদ্রা গ্রহণ করবে।

৬. সামরিক বাহিনী: প্রদেশগুলোকে নিজস্ব মিলিশিয়া বা আধা-সামরিক বাহিনী গঠনের ক্ষমতা দিতে হবে।

 আইয়ুব খান
 ইয়াহিয়া খান
 ভুট্রো
 কিসিঞ্জার
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের একটি লাইন হলো তিনি আমার কথা রাখলেন না, তিনি রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা।

উল্লেখ্য, ৭ই মার্চের ভাষণের প্রথম বাক্য ছিলো আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। এই ভাষণে ৬টি রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং ৪টি দাবির কথা বলেছেন। ভাষণটি সংরক্ষণ করেন মুহিবুর রহমান খাঁ। এ ভাষণে ৩৫টি বিধির কথা বলা হয়। এটি বিশ্বের ১০টি ভাষণের মধ্যে অন্যতম।

 ফেব্রুয়ারিতে
 মে মাসে
 জুলাই মাসে
 আগস্টে
ব্যাখ্যাঃ

ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি। এটি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পেশ করেন।

 শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক
 হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
 মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
 নবাব স্যার সলিমুল্লাহ
ব্যাখ্যাঃ

১৯৫৪ সালের পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা পাকিস্তানের রাজনীতিতে এবং বিশেষ করে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এটি ছিল পূর্ব বাংলার প্রথম সরাসরি নির্বাচন যেখানে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছিল।

প্রেক্ষাপট: ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর পাকিস্তান গঠিত হয় এবং পূর্ব বাংলা তার একটি অংশ হয়। শুরু থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছিল। ভাষার প্রশ্নে (১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন), অর্থনৈতিক বৈষম্য, এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রবণতা পূর্ব বাংলার মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করে। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৫৩ সালে পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়া হয়।

যুক্তফ্রন্ট গঠন: এই নির্বাচনে পশ্চিম পাকিস্তানের মুসলিম লীগের একাধিপত্য ভাঙার লক্ষ্যে পূর্ব বাংলার প্রধান বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে "যুক্তফ্রন্ট" গঠন করে। এই ফ্রন্টে চারটি প্রধান দল ছিল: ১. আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরে আওয়ামী লীগ) - নেতা: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমান। ২. কৃষক শ্রমিক পার্টি - নেতা: শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক। ৩. নেজামে ইসলাম পার্টি - নেতা: মওলানা আতাহার আলী। ৪. গণতন্ত্রী দল - নেতা: হাজী মোহাম্মদ দানেশ।

যুক্তফ্রন্টের প্রধান লক্ষ্য ছিল মুসলিম লীগের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটানো এবং পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা করা।

নির্বাচনী ইশতেহার (২১ দফা): যুক্তফ্রন্ট তাদের নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে ঐতিহাসিক "২১ দফা" ঘোষণা করে। এই ২১ দফা ছিল মূলত পূর্ব বাংলার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দফাগুলো ছিল:

  • বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা।
  • জমিদারী প্রথা বিলোপ করা।
  • পাট শিল্পকে জাতীয়করণ করা।
  • বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন।
  • বিচার বিভাগকে শাসন বিভাগ থেকে পৃথক করা।
  • পূর্ব বাংলার পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা করা (প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও মুদ্রা ব্যতীত)।
  • ঐতিহাসিক ২১শে ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ও সরকারি ছুটি ঘোষণা।

নির্বাচনের ফলাফল: ১৯৫৪ সালের ৮ থেকে ১২ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ভূমিধস বিজয় লাভ করে। মোট ৩০৯টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসনে (মুসলিম লীগ কোটা) জয়লাভ করে। মুসলিম লীগ মাত্র ৯টি আসন পায়, যা তাদের শোচনীয় পরাজয় ছিল। অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বাকি আসনগুলো পায়।

 বিল অব রাইটস
 ম্যাগনাকার্টা
 পিটিশন অব রাইটস
 মুখ্য আইন
ব্যাখ্যাঃ

ঐতিহাসিক ৬-দফাকে ম্যাগনা কার্টার সাথে তুলনা করা হয়।

৬-দফা ও ম্যাগনা কার্টা

ম্যাগনা কার্টা ছিল ১২১৫ সালে ইংল্যান্ডের রাজা জন এবং তার ব্যারনদের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি ঐতিহাসিক চুক্তি, যা রাজার ক্ষমতাকে সীমিত করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। একইভাবে, ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬-দফা কর্মসূচি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে জোরালোভাবে তুলে ধরেছিল। এটি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালির মুক্তির সনদ, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করে। এ কারণেই ৬-দফাকে বাঙালির মুক্তির সনদ বা ম্যাগনা কার্টা বলা হয়।

 ধানের শীষ
 নৌকা
 লাঙ্গল
 বাইসাইকেল
ব্যাখ্যাঃ

১৯৫৪ সালের পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট একতরফা বিজয় লাভ করেছিল।

  • গঠন: এই যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল মূলত চারটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে: ১. আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরে আওয়ামী লীগ) - যার নেতা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। ২. কৃষক শ্রমিক পার্টি - যার নেতা ছিলেন শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক। ৩. নেজামে ইসলাম পার্টি। ৪. গণতন্ত্রী দল।

  • নির্বাচনী ইশতেহার: যুক্তফ্রন্ট ২১-দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল, যা জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এই ২১-দফার মূল বিষয়গুলো ছিল পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা, জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ, পাট শিল্প জাতীয়করণ ইত্যাদি।

  • ফলাফল: এই নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ভূমিধস বিজয় অর্জন করে। তারা ৩০০টি মুসলিম আসনের মধ্যে ২২৩টি (কিছু সূত্রে ২২৩ বা ২৩৬টি) আসনে জয়লাভ করে, যেখানে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ মাত্র ৯টি আসনে (কিছু সূত্রে ৭ থেকে ১০টি) জয়লাভ করে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়।

এই নির্বাচনটি পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতিতে একটি যুগান্তকারী ঘটনা ছিল এবং এটি বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের পথকে আরও সুগম করেছিল।

 ১৯৭০ সালে
 ১৯৬৬ সালে
 ১৯৬৫ সালে
 ১৯৬৯ সালে
ব্যাখ্যাঃ

ছয় দফা দাবি ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক উত্থাপিত একটি ঐতিহাসিক কর্মসূচি, যা পরবর্তীকালে বাঙালির মুক্তি সনদ বা ম্যাগনাকার্টা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু এই ছয় দফা দাবি পেশ করেন। ৭ জুনকে প্রতি বছর '৬ দফা দিবস' হিসেবে পালন করা হয়।

নিচে ছয় দফা দাবির বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:

৬ দফা দাবিসমূহ:

১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি:

  • ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেল বা যুক্তরাষ্ট্রীয় রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
  • সরকারের ধরন হবে সংসদীয় পদ্ধতির।
  • প্রাপ্তবয়স্কদের সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে সকল আইনসভা গঠিত হবে এবং আইনসভা সার্বভৌম হবে।
  • জনসংখ্যার অনুপাতে পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিনিধি থাকবে।

২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা:

  • কেন্দ্রীয় বা যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের ক্ষমতা শুধুমাত্র দুটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে: প্রতিরক্ষা (Defence) ও পররাষ্ট্র (Foreign Affairs)।
  • অবশিষ্ট সকল ক্ষমতা অঙ্গরাজ্যগুলোর (প্রদেশ) হাতে থাকবে।

৩. মুদ্রা ও অর্থ বিষয়ক ক্ষমতা:

  • পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য দুটি পৃথক অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এক্ষেত্রে দুটি অঞ্চলের জন্য দুটি স্বতন্ত্র রিজার্ভ ব্যাংক থাকবে এবং মুদ্রার পরিচালনা ক্ষমতা আঞ্চলিক সরকারের হাতে থাকবে।
  • অথবা, একটি মুদ্রা ব্যবস্থা চালু থাকবে, তবে সংবিধানের এমন বিধান থাকতে হবে যাতে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে মূলধন পাচার হতে না পারে।

৪. কর বা রাজস্ব বিষয়ক ক্ষমতা:

  • সকল প্রকার কর (Tax), খাজনা ও শুল্ক ধার্য ও আদায়ের ক্ষমতা অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে থাকবে।
  • প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক বিষয়সহ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে সংবিধানে নির্দেশিত হারে বা নির্ধারিত অনুপাতের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনীয় রাজস্বের যোগান দেওয়া হবে।

৫. বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা:

  • ফেডারেশনভুক্ত প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের বহির্বাণিজ্যের পৃথক হিসাব রাখতে হবে।
  • বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাজ্যগুলোর এখতিয়ারে থাকবে এবং অঙ্গরাজ্যগুলো নিজ নিজ প্রয়োজনে তা ব্যবহার করবে।
  • কেন্দ্রীয় সরকারের যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে, তা সংবিধান নির্দেশিত বিধি অনুযায়ী অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে আদায় করা হবে।
  • দেশের বৈদেশিক নীতির কাঠামোর মধ্যে, যার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকবে, বৈদেশিক বাণিজ্য ও বৈদেশিক সাহায্য সম্পর্কে চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা আঞ্চলিক বা প্রাদেশিক সরকারগুলোর হাতে থাকবে।

৬. আঞ্চলিক মিলিশিয়া ও আধা-সামরিক বাহিনী গঠন:

  • পূর্ব পাকিস্তানের কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোকে মিলিশিয়া বা আধা-সামরিক বাহিনী গঠনের ক্ষমতা দিতে হবে।

ছয় দফা দাবি ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের শোষণমুক্তি ও স্বাধিকার অর্জনের মূল ভিত্তি। এটি পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করে।

 ইসলামাবাদের সামরিক সরকার পদত্যাগের আন্দোলন
 পূর্ব পাকিস্তানের অসহযোগ আন্দোলন
 প্রেসিডেন্ট ইয়াহহিয়ার পদত্যাগ আন্দোলন
 মার্শাল ‘ল’ পদত্যাগের আন্দোলন
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণের সময়কালে পূর্ব পাকিস্তানে যে আন্দোলন চলছিল, সেটি ছিল অসহযোগ আন্দোলন

১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করার পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আন্দোলন শুরু হয়। ২ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন, এবং ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এটি চলমান ছিল। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের বেসামরিক প্রশাসন কার্যত শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে চলছিল এবং পশ্চিম পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ অকার্যকর হয়ে পড়েছিল।

 এক রাজনৈতিক মতবাদের
 এক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের
 এক নতুন জাতীয় চেতনার
 এক নতুন সমাজ ব্যবস্থার
ব্যাখ্যাঃ

ভাষা আন্দোলন নিখিল পাকিস্তানের শতকরা ৫৬ ভাগ জনগণের মুখের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের আন্দোলন। ভাষা আন্দোলনে এক নতুন জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটে এবং এ চেতনাই ক্রমে ক্রমে বাঙালি জাতীয়তাবাদের জন্ম দেয়।

 নুরুল আমিন
 লিয়াকত আলী খান
 মোহাম্মদ আলী
 খাজা নাজিমুদ্দীন
ব্যাখ্যাঃ

২৭ জানুয়ারি, ১৯৫২ তৎকালীন পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন কর্তৃক পল্টন ময়দানে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পুনরায় উর্দুর কথা ঘোষিত হলে ভাষা আন্দোলন বেগবান হয়ে ওঠে এবং ২১ ফেব্রুয়ারির আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। খাজা নাজিমুদ্দীন ১৭ অক্টোবর, ১৯৫১ থেকে ১৭ এপ্রিল, ১৯৫৩ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

 ১৯৫০ সালে
 ১৯৪৮ সালে
 ১৯৪৭ সালে
 ১৯৫৪ সালে
ব্যাখ্যাঃ

পূর্ববঙ্গ জমিদারি দখল ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রণীত হয়েছিল এবং ১৯৫১ সালের ১৬ মে পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর জেনারেলের সম্মতিক্রমে আইনের মর্যাদা লাভ করে।

 ১৯৬৫ সালে
 ১৯৬৬ সালে
 ১৯৬৭ সালে
 ১৯৬৮ সালে
ব্যাখ্যাঃ

১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বা ম্যাগনাকার্টা নামে পরিচিত ‘৬ দফা দাবি’ পেশ করেন। ১৯৬৬ সালের ২৩ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘৬ দফা দাবি’ উত্থাপন করা হয়। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গণআন্দোলন শুরু হলে পুলিশের গুলিতে বিভিন্ন স্থানে ১১ জন বাঙালি নিহত হন। এ জন্য প্রতি বছর ৭ জুন ছয় দফা দিবস পালিত হয়।

 স্বতন্ত্র মুদ্রা ব্যবস্থা
 বিচার ব্যবস্থা
 শাসনতান্ত্রিক কাঠামো
 কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা
ব্যাখ্যাঃ

ছয় দফার দাবিগুলো ছিল:

১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি: দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো হবে ফেডারেল বা যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং সরকার পদ্ধতি হবে সংসদীয়। প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত আইন সভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত হবে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার।

২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা শুধুমাত্র দুটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে, যথা - প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক যোগাযোগ। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে প্রাদেশিক সরকারগুলোর ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।

৩. মুদ্রা বা অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা: পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য দুটি পৃথক অথচ সহজে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। অথবা, এর বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে একটি মুদ্রাই থাকবে, তবে এ ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের মুদ্রা যাতে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার হতে না পারে, তার জন্য সাংবিধানিক বিধান রাখতে হবে।

৪. রাজস্ব, কর, বা শুল্ক সংক্রান্ত ক্ষমতা: সকল প্রকার রাজস্ব, কর ও শুল্ক ধার্য ও আদায়ের ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারগুলোর হাতে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোন রাজস্ব ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। প্রাদেশিক সরকারের আদায়কৃত রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারকে তার ব্যয় নির্বাহের জন্য দেওয়া হবে।

৫. বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা: বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই অঞ্চলের জন্য পৃথক পৃথক হিসাব রাখতে হবে এবং পূর্ব পাকিস্তানের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পূর্ব পাকিস্তানের অধীনেই থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের উপর এর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।

৬. আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা: আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য প্রাদেশিক সরকারগুলোকে আধাসামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা দিতে হবে।

 বৈদেশিক বাণিজ্য
 মুদ্রা বা অর্থ
 রাজস্ব
 কেন্দ্রীয় সরকার
ব্যাখ্যাঃ

বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফার ২য় দফাটি কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা সম্পর্কিত।

এই দফায় বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে শুধু মাত্র দুটি ক্ষমতা থাকবে। একটি হলো প্রতিরক্ষা এবং অপরটি হলো বৈদেশিক সম্পর্ক। বাকি সকল ক্ষমতা অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে ন্যস্ত থাকবে।

 ১৬৭
 ১৬২
 ২৯৮
 ৩০০
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭০ সালের নির্বাচনে মোট আসন ৩১৩ টি, এর মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসন ১৩ টি। পূর্ব পাকিস্তানের আসন সংখ্যা মোট ১৬৯ টি এবং পশ্চিম পাকিস্তানের আসন সংখ্যা মোট ১৪৪ টি। আওয়ামী লীগ ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টিতে জয়লাভ করে।

 ১৬৭
 ১৬৯
 ১৬৩
 ১৬৫
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য জাতীয় পরিষদে ১৬২টি সাধারণ আসন বরাদ্দ ছিল। এর পাশাপাশি, মহিলাদের জন্য ৭টি সংরক্ষিত আসনও ছিল, যা জাতীয় পরিষদের সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হতো।

সুতরাং, মোট আসন ছিল ১৬২ + ৭ = ১৬৯টি

 ১১ দফা
 ২১ দফা
 ৬ দফা
 8 দফা
ব্যাখ্যাঃ

১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনকে বাঙালির মুক্তির সনদ বা ম্যাগনাকার্টা হিসেবে গণ্য করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ঘোষিত এই ছয় দফা কর্মসূচিতে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য স্বায়ত্তশাসন ও অর্থনৈতিক মুক্তির দাবি করা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করে। তাই এটিকে বাঙালির অধিকার ও স্বাধীনতার মৌলিক সনদ হিসেবে দেখা হয়।