Medical pএhysics এর আওতাধীন বিষয়সমূহ হলো, এক্সরে,সিটিস্কেন,এমআরআই,এন্ডোসকোপি,আলট্রাসনোগ্রাফি,রেডিওথেরাপি প্রভৃতি।Medical physics কে অনেক সময় Biomedical Engineering ও বলা হয়।
পদার্থবিজ্ঞানীরা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের দৃশ্যমান গ্রহ নক্ষত্র ও গ্যালাক্সির 4% (চার শতাংশ) ব্যাখ্যা করতে পারেন। বাকি অংশ ব্যাখ্যা করতে হলে রহস্যময় ডার্কম্যাটার ও ডার্ক এনার্জির ধারণা মেনে নিতে হয়। যার গঠন নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে যাচ্ছেন।
গ্রিক বিজ্ঞানী থেলিসের নাম আলাদাভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে, কারণ তিনিই প্রথম কার্যকারণ এবং যুক্তি ছাড়া শুধু ধর্ম, অতীন্দ্রিয় এবং পৌরাণিক কাহিনিভিত্তিক ব্যাখ্যা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন। থেলিস সূর্যগ্রহণের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এবং লোডস্টোনের চৌম্বক ধর্ম সম্পর্কে জানতেন ।
আলোকবিজ্ঞান এবং অন্যান্য কাজের সাথে সাথে গণিতের নতুন একটি শাখা ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী নিউটন ও লিবনিজ।
প্রশ্নঃ বিকিরণ সংক্রান্ত কোয়ান্টাম সংখ্যায়ন তত্ত্বের সঠিক গাণিতিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন—
[ Chit-22 ]
বিকিরণ সংক্রান্ত কোয়ান্টাম সংখ্যার তত্ত্বের সঠিক ব্যাখ্যা দেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। পদার্থবিজ্ঞানের জগতে যে অবদান তিনি রেখেছিলেন তার স্বীকৃতি স্বরূপ এক শ্রেণির মৌলিক কণাকে বোজন নাম দেওয়া হয় ।
বিজ্ঞানী ডিরাক 1931 সালে কোয়ান্টাম তত্ত্বের সাথে থিওরি অব রিলেটিভিটি ব্যবহার করে প্রতি পদার্থের অস্তিত্ব ঘোষণা করেন ।
পিথাগোরাস (প্রায় ৫৮২-৫০১) একজন গ্রিক
দার্শনিক, গণিতবিদ ও ধর্মীয় পণ্ডিত ছিলেন। পিথাগোরাস সমকোণী ত্রিভুজের বাহুগুলোর সম্পর্কের সূত্রের জন্য সারাবিশ্বে পরিচিত (যাকে পিথাগোরাসের সূত্র বলা হয়)। তিনি এমন একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে গণিত, সঙ্গীত, বিজ্ঞান, দর্শন ও ধর্ম শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। সংখ্যাতত্ত্ব এবং ত্রিমাত্রিক ও ক্ষেত্রফল সম্পৰ্কীয় জ্যামিতি শাস্ত্রে পিথাগোরাস অনেক বেশি অবদান রাখেন। তিনি ২ এর বর্গমূলসহ অমূলদ সংখ্যার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তিনি অনুপাত ও সমানুপাত নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা করেন।
গ্রিক দার্শনিক ডেমোক্রিটাস (খ্রিস্টপূর্ব ৪৬০-370) ধারণা দেন যে পদার্থের অবিভাজ্য একক রয়েছে। তিনি এর নাম দেন এটম বা পরমাণু। পরমাণু সম্পর্কে তার এ ধারণা বর্তমান ধারণার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা হলেও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আল জাবির বইটি আল খোয়ারিজমির লেখা। মুসলিম গণিতবিদ এবং বিজ্ঞানীদের ভেতর আল খোয়ারিজমির নাম উল্লেখযোগ্য। তার লেখা আল জাবির বই থেকে বর্তমান এলজেবরা
নামটি এসেছে।
1543 সালে কোপার্নিকাস তার বইয়ে সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের ব্যাখ্যা প্রদান করেন। আর্যভট্ট শূন্য (০) এবং রাদারফোর্ড পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ধারণা দেন । গ্রিক বিজ্ঞানী থেলিস সূর্যগ্রহণের ভবিষ্যদ্বানী করেন । গ্যালিলিওকে সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের প্রবক্তা বলা হয়
গ্যালিলিও সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের প্রবক্তা হওয়ার কারণে তিনি চার্চের কোপানলে পড়েন এবং শেষ জীবনে তাকে গৃহবন্দি হয়ে কাটাতে হয়।
প্রশ্নঃ তড়িৎক্ষেত্র ও চৌম্বকক্ষেত্রকে একীভূত করে তাড়িতচৌম্বক তত্ত্বের বিকাশ ঘটান কে?
[ [বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা; ]
১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী নিউটন বলবিদ্যার তিনটি এবং মহাকর্ষ বলের সূত্র প্রকাশ করেন, যেটি বল এবং গতিবিদ্যার ভিত্তি তৈরি করে দেয়। আলোকবিজ্ঞান এবং অন্য আরও কাজের সাথে সাথে বিজ্ঞানী নিউটন লিবনিজের সাথে গণিতের নতুন একটি শাখা ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেছিলেন।
অষ্টাদশ শতাব্দীর আগে তাপকে ভরহীন এক ধরনের তরল হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ১৭৯৮ সালে কাউন্ট রামফোর্ড দেখান, তাপ এক ধরনের শক্তি এবং যান্ত্রিক শক্তিকে তাপশক্তিতে রূপান্তর করা যায়।
আলবার্ট আইনস্টাইন : ১৯০৫ সালে আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটি থেকে আপেক্ষিক তত্ত্বের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় । থিওরি অব রিলেটিভিটি থেকে সর্বকালের সবচেয়ে চমকপ্রদ সূত্র E = mc2 বের হয়ে আসে, যেখানে দেখানো হয় বস্তুর ভরকে শক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব।
১৮৯৯ সালে পিয়ারে কুরি ও মেরি কুরি রেডিয়াম দৈর্ঘ্য আবিষ্কার করেন ।
প্রশ্নঃ কে দেখিয়েছিলেন, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবগুলো গ্যালাক্সি একে অন্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছে?
[ Chit-20 ]
1924 সালে হাবল দেখান বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবগুলো
গ্যালাক্সি একে অন্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, যেটি প্রদর্শন করে যে বিশ্বব্রহ্মান্ড ধীরে ধীরে প্রসারিত হচ্ছে। যার অর্থ অতীতে একসময় পুরো বিশ্বব্রহ্মান্ড এক জায়গায় ছিল। বিজ্ঞানীরা দেখান প্রায় চৌদ্দ বিলিয়ন বছর আগে 'বিগ ব্যাং' নামে একটি প্রচন্ড বিস্ফোরণে বিশ্বব্রহ্মান্ড তৈরি হওয়ার পর সেটি প্রসারিত হতে থাকে।
1938 সালে অটোহান এবং স্ট্রেসম্যান একটি নিউক্লিয়াসকে ভেঙে দেখান যে নিউক্লিয়াসের ভর যেটুকু কমে গিয়েছে সেটা শক্তি হিসেবে বের হয়েছে। এই সূত্রটি ব্যবহার করে নিউক্লিয়ার বোমা তৈরি করে সেটি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে ফেলে মুহূর্তের মাঝে লক্ষ লক্ষ মানুষ মেরে ফেলা সম্ভব হয়েছিল। শুধু যে মারণাস্ত্র তৈরি করা সম্ভব তা নয়, এই শক্তি মানুষের কাজেও লাগানো সম্ভব।
প্রশ্নঃ কোন রশ্মি বিকিরণ ব্যাখ্যা করার সময় দুর্বল নিউক্লিয় বল আবিষ্কৃত হয়?
[ ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা ]
বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের অন্তর্গত রুপপুর নামক স্থানে নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হবে।
ভর, তড়িৎ প্রবাহ, পদার্থের পরিমাণ মৌলিক রাশি। তাপ এক প্রকার শক্তি যা যৌগিক রাশি।
যে সকল রাশি অন্য রাশির উপর নির্ভরশীল নয় বরং অন্য রাশি এই রাশির উপর নির্ভরশীল সেগুলো মৌলিক রাশি । যেমন— দর্ঘ্য, ভর, সময়, তড়িৎ প্রবাহ, তাপমাত্রা, পদার্থের পরিমাণ ও দীপন চীব্রতা। অপরদিকে তাপ, শক্তি, তড়িৎ পরিবাহিত যৌগিক রাশি।
ওজন ভর × ত্বরণ = ভর x বেগ সময় : ভর x সরণ সময় অর্থাৎ, ওজন তিনটি মৌলিক রাশির সমন্বয়ে গঠিত। তাই এটি অন্য রাশির উপর নির্ভরশীল।
বেগ
» তথ্য-ব্যাখ্যা : বল ভর × ত্বরণ = ভর x = সময়
সরণ ভর × সরণ সময় × সময় সময় = ভর x
অর্থাৎ বল তিনটি মৌলিক রাশির সমন্বয়ে গঠিত লব্ধ রাশি।
ক্ষমতা =কাজ/সময়=বল/(ক্ষেত্রফল*সময়)
ফ্রান্সের স্যাভ্রেতে ইন্টারন্যাশনাল ওয়েটস এন্ড মেজারসে রক্ষিত প্লাটিনাম ইরিডিয়াম সংকর ধাতুর তৈরি একটি সিলিন্ডারের ভরকে 1 kg বলে। এ সিলিন্ডারের ব্যাস ও উচ্চতা একই
অর্থাৎ 3.9 cm
শূন্য মাধ্যমে এক সেকেন্ডের 299,792,458 ভাগের এক ভাগ সময়ে আলো, যে দূরত্ব অতিক্রম করে সেটি হচ্ছে এক মিটার।