যেকোনো যানবাহনের, অতিরিক্ত ঘর্ষণকে অতিক্রম করতে অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ করতে হয়। যার ফলে জ্বালানি শক্তির অপচয় হয়।
গাড়ির ইঞ্জিন যে গরম হয়ে উঠে সেটিও ঘর্ষণের কারণেই। ঘর্ষণের কারণে অপ্রয়োজনীয় তাপ সৃষ্টি করে শক্তির অপচয় হয়।
প্রশ্নঃ চাকার বৃত্তাকার আকার কোন বলকে নূন্যতম পর্যায়ে নামিয়ে আনে?
[ ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইনস্টিটিউট কলেজ ]
চাকা লাগানোর ফলে আর্বত ঘর্ষণের মান পিছলানো ঘর্ষণের তুলনায় অনেক কমে যায়।
তেল, মবিল, গ্রিজ পিচ্ছিলকারী পদার্থ যা ঘর্ষণের মাত্রা কমায় । অর্থাৎ এরা লুব্রিকেন্ট জাতীয় পদার্থ
সংরক্ষণশীল বল হলো- অভিকর্ষ বল, তড়িৎ বল, চৌম্বক বল ইত্যাদি। অসংরক্ষণশীল বল হলো- ঘর্ষণ বল, সান্দ্র বল ।
যখন কোনো বস্তু তরল বা বায়বীয় পদার্থের ভেতর দিয়ে যায় তখন সেটি যে ঘর্ষণ বল অনুভব করে সেটি হচ্ছে প্রবাহী ঘর্ষণ। প্যারাস্যুট নিয়ে যখন কেউ প্লেন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন বাতাসের প্রবাহী ঘর্ষণের কারণে ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসতে পারে
সাইকেলের চাকা রাস্তার তলের উপর দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে বা ঘুরতে ঘুরতে চলে বলে এটি আবর্ত ঘর্ষণ হবে।
গতি ঘর্ষণ বস্তুর ওজনের উপর নির্ভর করে । ওজনের ক্ষেত্রে, ট্রাক > প্রাইভেট কার = মোটর সাইকেল > বাইসাইকেল
যখন কোনো বস্তু তরল বা বায়বীয় পদার্থের ভিতর দিয়ে যায় তখন সে ঘর্ষণ বল অনুভব করে সেটি হচ্ছে প্রবাহী ঘর্ষণ । তাই মার্বেল গ্লিসারিনে গেলে প্রবাহী ঘর্ষণ বল অনুভব করে। আবার, একটি বস্তু যখন গড়িয়ে বা ঘুরতে ঘুরতে যায় তখন আবর্ত ঘর্ষণ, স্থিতিশীল বস্তু গতিশীল হওয়ার উপক্রম হলে স্থিতি ঘর্ষণ, গতিশীল বস্তুর জন্য গতীয় ঘর্ষণ ।
সবচেয়ে দূর্বল ঘর্ষণ বল আবর্ত ঘর্ষণ বল । একটি বস্তু অপর একটি তলের উপর দিয়ে গড়িয়ে চলার সময় গতির বিরুদ্ধে যে ঘর্ষণ ক্রিয়া করে তাকে আবর্ত ঘর্ষণ বলে।
যখন কোনো বস্তু তরল বা বায়বীয় পদার্থের ভেতর দিয়ে যায় তখন যে ঘর্ষণ বল অনুভূত হয় তাই প্রবাহী ঘর্ষণ। পানি তরল পদার্থ তাই পানিতে সাঁতার কাটার সময় প্রবাহী ঘর্ষণের বাঁধা অতিক্রম করতে হয়।
প্রবাহী ঘর্ষণের জন্য মাছ পানিতে চলাচল করতে পারে। কোনো বস্তু প্রবাহী পদার্থের মধ্যে গতিশীল হলে যে ঘর্ষণ ক্রিয়া করে তাকে প্রবাহী ঘর্ষণ বলে ।
প্রশ্নঃ শক্ত মাটিতে হাটার ক্ষেত্রে আমরা নিউটনের কোন সূত্রের সাহায্যে এগিয়ে যাই।
[ মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা ]
নিউটনের তৃতীয় সূত্র জানা না থাকলে আমরা কখনোই হাঁটার বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারতাম না। আমরা যখন হাঁটি তখন আমরা পা দিয়ে মাটিতে ধাক্কা দিই। তখন মাটিও নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুসারে সমান ও বিপরীত বল প্রয়োগ করে ফলে আমরা হাঁটি।
মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তু যে বলে পরস্পরকে আকর্ষণকরে তার নাম মহাকর্ষ বল
মহাকর্ষ বল অভিকর্ষ বলের সমান তাই মহাকর্ষ বলের প্রভাবে ওজন অনুভব করা যায়
গতিশীল বস্তুর ভর ও বেগের সমন্বয়ে যে ভৌত রাশির উদ্ভব হয় তা হলো ঐ বস্তুর ভরবেগ। সহজভাবে ভর এবং বেগের গুণফল হলো ভরবেগ ।