আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

 ২ (দুই) নম্বর
 ৩ (তিন) নম্বর
 ৪ (চার) নম্বর
 ৫ (পাঁচ) নম্বর
ব্যাখ্যাঃ

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর ২ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ এবং পরবর্তীতে মেজর এ.টি.এম. হায়দার। ২ নম্বর সেক্টরের আওতাধীন এলাকা ছিল ঢাকা, কুমিল্লা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ।

 ৭ জন
 ৬৮ জন
 ১৭৫ জন
 ৪২৬ জন
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৭৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই খেতাব প্রদান করা হয়।

 তাজউদ্দিন আহমেদ
 এ এইচ এম কামরুজ্জামান
 সৈয়দ নজরুল ইসলাম
 এম মনসুর আলী
ব্যাখ্যাঃ

মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ছিলেন এ এইচ এম কামরুজ্জামান

অন্যান্য পদাধিকারীগণ ছিলেন:

  • তাজউদ্দিন আহমেদ: প্রধানমন্ত্রী
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম: উপ-রাষ্ট্রপতি (রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি)
  • এম মনসুর আলী: অর্থমন্ত্রী

উত্তর: এ এইচ এম কামরুজ্জামান।

 ২৬ মার্চ ১৯৭১
 ৭ মার্চ ১৯৭১
 ৩ মার্চ ১৯৭১
 ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
ব্যাখ্যাঃ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। তিনি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) প্রায় ১০ লক্ষ লোকের বিশাল জনসভায় এই ঘোষণা দেন।

 নিউইয়র্ক
 বােস্টন
 লন্ডন
 ক্যানবেরা
ব্যাখ্যাঃ

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ (Concert for Bangladesh) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এটি ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট দুটি পর্যায়ে (দুপুর ও সন্ধ্যায়) অনুষ্ঠিত হয়। জর্জ হ্যারিসন এবং রবি শঙ্কর এই কনসার্টের আয়োজন করেন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন শরণার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহ এবং বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরি করা।

 তাজউদ্দিন আহমদ
 সৈয়দ নজরুল ইসলাম
 এম. মনসুর আলী
 এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান
ব্যাখ্যাঃ

মুজিবনগর সরকারের অর্থনীতি বিষয়ক ও পরিকল্পনা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন এম. মনসুর আলী। তিনি মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো পরিচালনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন।

 ৬ নম্বর
 ৭ নম্বর
 ৮ নম্বর
 ৯ নম্বর
ব্যাখ্যাঃ

ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব ও আত্মত্যাগের জন্য তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব প্রদান করা হয়।

এখানে তার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলো:

  • জন্ম ও প্রাথমিক জীবন: তিনি ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল জেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ এবং মাতার নাম জেন্নাতুন্নেসা।
  • পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান: নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগদান করেন এবং ল্যান্স নায়েক পদে উন্নীত হন।
  • মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তিনি ৮ নম্বর সেক্টরের অধীনে বিভিন্ন সম্মুখযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
  • বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ ও শাহাদাত: ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে পাক হানাদারদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে তিনি অসাধারণ বীরত্ব দেখান। শত্রুদের মেশিনগান পোস্টে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তাদের প্রতিরোধ ভেঙে দেন। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। সহযোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে আহত অবস্থায়ও যুদ্ধ চালিয়ে যান এবং শেষ পর্যন্ত শহীদ হন। তার এই অসীম সাহস ও আত্মত্যাগ মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধি করে।
  • বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব: মুক্তিযুদ্ধে তার বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব "বীরশ্রেষ্ঠ" প্রদান করে।
  • স্মৃতিস্তম্ভ: তার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য নড়াইল এবং গোয়ালহাটিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।
 চট্টগ্রাম
 কলকাতা
 লন্ডন
 নিউইয়র্ক
ব্যাখ্যাঃ

দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ছিল ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত দুটি বেনিফিট কনসার্ট। এই কনসার্ট দুটি আয়োজন করেছিলেন বিখ্যাত ভারতীয় সেতারবাদক রবিশঙ্কর এবং প্রাক্তন বিটলস সদস্য জর্জ হ্যারিসন।

উদ্দেশ্য:

কনসার্টটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ১৯৭১ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ভোলা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (তৎকালীন বাংলাদেশ) শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ করা।

আয়োজক:

রবিশঙ্করই প্রথম জর্জ হ্যারিসনকে এই বিষয়ে অবগত করেন এবং একটি কনসার্ট আয়োজনের প্রস্তাব দেন। জর্জ হ্যারিসন এই উদ্যোগে সাড়া দেন এবং বন্ধু ও অন্যান্য বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীদের একত্রিত করে এই ঐতিহাসিক কনসার্টের আয়োজন করেন।

অংশগ্রহণকারী শিল্পী:

কনসার্টে সঙ্গীত পরিবেশন করেন:

  • জর্জ হ্যারিসন
  • রবিশঙ্কর
  • বব ডিলান
  • রিঙ্গো স্টার
  • এরিক ক্ল্যাপটন
  • বিলি Preston
  • লিওন রাসেল
  • ব্যাডফিঙ্গার
 জয় বাংলা
 বাংলাদেশ
 স্বাধীনতা
 মুক্তির ডাক
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো কঃ জয় বাংলা

১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার কর্তৃক প্রকাশিত পত্রিকার নাম ছিল জয় বাংলা। এটি মুক্তিযুদ্ধের সময় জনগণের মনোবল চাঙ্গা রাখতে এবং মুক্তিযুদ্ধের বার্তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

 ১৯৯৬
 ১৯৯৮
 ২০০০
 ২০০৮
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও এর পেছনের ইতিহাসকে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে নির্মিত একটি জাদুঘর। এটি ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত।

প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস:

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর একটি বেসরকারি উদ্যোগ। আটজন ট্রাস্টির উদ্যোগে ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ ঢাকার সেগুনবাগিচায় একটি ভাড়া করা বাড়িতে এর যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে, ২০১৭ সালের ১৬ই এপ্রিল জাদুঘরটি আগারগাঁওয়ে তার নিজস্ব নবনির্মিত ভবনে স্থানান্তরিত হয়। এই জাদুঘরটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।

সংগ্রহ:

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বহু দুর্লভ নিদর্শন ও স্মারক সংগৃহীত আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:

  • মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত অস্ত্র ও সরঞ্জাম
  • শহীদদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র
  • মুক্তিযুদ্ধের সময়ের আলোকচিত্র ও প্রামাণ্য দলিল
  • তৎকালীন পত্রপত্রিকা ও পোস্টার
  • মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত চিঠি ও ডায়েরি
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল
  • আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন ও সংহতির নিদর্শন

জাদুঘরের গ্যালারিগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, ২৫শে মার্চের গণহত্যা, প্রতিরোধ যুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধকালীন জীবন, বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং চূড়ান্ত বিজয়সহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর শুধু একটি সংগ্রহশালা নয়, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জীবন্ত প্রতীক এবং নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

 সিপাহী মোস্তাফা কামাল
 ল্যান্স নায়েক মুন্সি আবদুর রউফ
 ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ
 সিপাহী হামিদুর রহমান
ব্যাখ্যাঃ

সিপাহী হামিদুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত সাত জন শহীদের একজন।

তাঁর সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • জন্ম: ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩
  • জন্মস্থান: খোর্দ্দ খালিশপুর, মহেশপুর, ঝিনাইদহ
  • পিতা: আক্কাস আলী মন্ডল
  • মাতা: কায়দুন্নেছা
  • মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ: ১৯৭১ সালে, মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সি কোম্পানির সৈনিক ছিলেন।
  • বীরত্ব: ১৯৭১ সালের ২৮শে অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই সীমান্ত ফাঁড়িতে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে তিনি শহীদ হন। যুদ্ধে তিনি অসীম সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দেন। শত্রুদের মেশিনগানের গুলিবৃষ্টি উপেক্ষা করে তিনি একা দুটি এলএমজি পোস্ট দখল করে নেন এবং দলের বাকি মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন রক্ষা করেন।
  • বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব: মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য বীরত্ব ও আত্মত্যাগের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করে।
  • সমাধি: প্রথমে তার মরদেহ ত্রিপুরা রাজ্যের আমসার হাতিমেরছড়া গ্রামে সমাহিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে, দীর্ঘ ৩৪ বছর পর, ২০০৭ সালের ১০ই ডিসেম্বর তার দেহাবশেষ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয় এবং ১১ই ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।

সিপাহী হামিদুর রহমান তার অসীম সাহস ও দেশপ্রেমের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

১২. কে বীরশ্রেষ্ঠ নন?

[ বিসিএস ৪১তম ]

 হামিদুর রহমান
 মোস্তফা কামাল
 মুন্সী আবদুর রহিম
 নূর মোহাম্মদ শেখ
ব্যাখ্যাঃ

বীরশ্রেষ্ঠ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ এই খেতাব প্রদান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে এই খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে।

এই সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ হলেন:

১. ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর: ৭ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন এবং চাপাইনবাবগঞ্জে শহীদ হন। ২. ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান: বিমান বাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ছিলেন এবং পাকিস্তান থেকে একটি বিমান ছিনতাই করে আসার সময় শহীদ হন। ৩. সিপাহী হামিদুর রহমান: ৪ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন এবং মৌলভীবাজারে শহীদ হন। ৪. ল্যান্স নায়েক মুন্সি আবদুর রউফ: ৮ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন এবং রাঙামাটিতে শহীদ হন। ৫. ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ: ৮ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন এবং নড়াইলে শহীদ হন। ৬. সিপাহী মোস্তফা কামাল: ২ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ হন। ৭. রুহুল আমিন: নৌবাহিনীর আর্টিলারি অফিসার ছিলেন এবং খুলনায় শহীদ হন।

এই সাতজন বীর তাদের জীবন উৎসর্গ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগ চিরকাল বাঙালি জাতির হৃদয়ে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয় থাকবে।

 ১০ এপ্রিল, ১৯৭১
 ১১ এপ্রিল, ১৯৭১
 ১২ এপ্রিল, ১৯৭১
 ১৩ এপ্রিল, ১৯৭১
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ বাহিনী প্রথমে ৪ এপ্রিল ১৯৭১ সালে বেসরকারিভাবে গঠিত হয়। এরপর ১১ এপ্রিল এ বাহিনীকে সম্প্রসারণ করে পুনর্গঠন করা হয়। ১২ এপ্রিল ১৯৭১ সালে লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এম. এ. রব-কে চিফ অব স্টাফ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাহিনীর কার্যক্রম শুরু করা হয় এবং একই সাথে কলকাতার ৮, থিয়েটার রোডে বাংলাদেশ বাহিনীর সদর দপ্তর স্থাপিত হয়।

 ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪
 ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪
 ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪
 ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪
ব্যাখ্যাঃ

পাকিস্তান ১৯৭৪ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

ঐ বছর লাহোরে অনুষ্ঠিত ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের পূর্বে পাকিস্তান এই স্বীকৃতি প্রদান করে। এর ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐ সম্মেলনে যোগ দিতে পেরেছিলেন এবং বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে।

 যুক্তরাজ্য
 ফ্রান্স
 যুক্তরাষ্ট্র
 সোভিয়েত ইউনিয়ন
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের পক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়ন (তৎকালীন ইউএসএসআর) ভেটো প্রদান করেছিল।

ডিসেম্বর মাসের শুরুতে, যখন ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযানে নামে, তখন পাকিস্তান এবং তাদের মিত্ররা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করে। এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় ও মুক্তিবাহিনীর অগ্রগতি থামানো এবং পাকিস্তানের দখলদারিত্ব বজায় রাখা।

সোভিয়েত ইউনিয়ন এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এবং ৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ভেটো প্রদান করে। এর ফলে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।

পরবর্তীতে, ৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে একই বিষয়ে আরেকটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে সোভিয়েত ইউনিয়ন আবারও দ্বিতীয় ভেটো প্রদান করে।

সোভিয়েত ইউনিয়নের এই ভেটো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর কারণে জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হতে পারেনি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথ আরও সুগম হয়েছিল।

 চতুর্থ
 পঞ্চম
 ষষ্ঠ
 সপ্তম
ব্যাখ্যাঃ

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের সংবিধানের সপ্তম তফসিলে সংযোজন করা হয়েছে।

সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল তারিখে মুজিবনগর সরকার কর্তৃক জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এই সংবিধানের সপ্তম তফসিলে বর্ণিত রয়েছে।

 ১২ ই এপ্রিল , ১৯৭১
 ১০ ই এপ্রিল, ১৯৭১
 ১৪ ই এপ্রিল , ১৯৭১
 ১৭ ই এপ্রিল, ১৯৭১
ব্যাখ্যাঃ

মুজিবনগর সরকার, যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নামেও পরিচিত, ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গঠিত অস্থায়ী সরকার। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়।

এখানে মুজিবনগর সরকার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো:

  • গঠন: ১০ এপ্রিল, ১৯৭১।

  • শপথ গ্রহণ: ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১। এই দিনে মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে (যা পরবর্তীতে মুজিবনগর নামে পরিচিত হয়) আনুষ্ঠানিকভাবে এই সরকার শপথ গ্রহণ করে।

  • রাজধানী: অস্থায়ী রাজধানী ছিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকানন, যা পরে 'মুজিবনগর' নামকরণ করা হয়।

  • গঠনের কারণ: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনার জন্য একটি বৈধ ও কার্যকরী প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করা এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করা।

  • নেতৃবৃন্দ:

    • রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (কারাগারে থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন)।
    • উপরাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
    • প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দীন আহমদ।
    • অর্থমন্ত্রী: এম. মনসুর আলী।
    • স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী: এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান।
    • পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী: খন্দকার মোশতাক আহমেদ।
    • সেনাবাহিনীর প্রধান: কর্ণেল এম. এ. জি. ওসমানী (পরবর্তীতে জেনারেল)।
  • ভূমিকা: এই সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে সফলভাবে নেতৃত্ব দেয়। এটি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে, মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের সংগঠিত করে, আন্তর্জাতিক বিশ্বের সমর্থন আদায়ে কাজ করে এবং স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের পথ প্রশস্ত করে।

মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের প্রথম সরকার হিসেবে স্বীকৃত এবং এটি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জনে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেছিল।

 ১০ নং সেক্টর
 ১১ নং সেক্টর
 ৮ নং সেক্টর
 ৯ নং সেক্টর
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ-কমান্ডো গঠিত হয় ১০ নম্বর সেক্টর নিয়ে।

যদিও ১০ নম্বর সেক্টরের কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমানা ছিল না, এটি সমগ্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ এবং সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা নিয়ে গঠিত হয়েছিল। এই সেক্টরের প্রধান কাজ ছিল জলপথে শত্রু পাকিস্তানি বাহিনীর চলাচল ব্যাহত করা এবং নৌ অভিযান পরিচালনা করা। 'অপারেশন জ্যাকপট' ছিল নৌ-কমান্ডোদের অন্যতম সফল অভিযান।

 ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী
 তাজউদ্দীন আহমদ
 এ. এইচ, এম কামারুজ্জামান
 খন্দকার মোশতাক আহমদ
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল গঠিত এবং ১৭ই এপ্রিল শপথ গ্রহণকারী মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদে এ. এইচ. এম কামারুজ্জামান ছিলেন ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী

অন্যান্য মন্ত্রীদের তালিকা:

  • ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী: অর্থমন্ত্রী
  • তাজউদ্দীন আহমদ: প্রধানমন্ত্রী
  • খন্দকার মোশতাক আহমদ: পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী
 বীরপ্রতীক
 বীরশ্রেষ্ঠ
 বীরউত্তম
 বীরবিক্রম
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে মর্যাদা অনুসারে তৃতীয় বীরত্বসূচক খেতাব হলো: বীরবিক্রম

বাংলাদেশের বীরত্বসূচক খেতাবসমূহের ক্রম

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ মোট চারটি সামরিক খেতাব প্রদান করা হয়। এগুলোর মর্যাদার ক্রম নিম্নরূপ:

১. বীরশ্রেষ্ঠ: এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব। ২. বীরউত্তম: এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব। ৩. বীরবিক্রম: এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব। ৪. বীরপ্রতীক: এটি চতুর্থ ও সর্বনিম্ন সামরিক খেতাব।

 বেতার/রেডিওর মাধ্যমে
 ওয়্যারলেসের মাধ্যমে
 টেলিগ্রামের মাধ্যম
 টেলিভিশনের মাধ্যমে
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী 'অপারেশন সার্চলাইট' নামে নিরস্ত্র বাঙালির উপর গণহত্যা শুরু করলে, সেই রাতেই (২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা করেন।

এই ঘোষণাটি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল:

  • ওয়্যারলেসের মাধ্যমে: ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে বঙ্গবন্ধু একটি ক্ষুদে বার্তা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে চট্টগ্রামে প্রেরণ করেন। সেই বার্তায় তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যার যা কিছু আছে, তা নিয়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
  • অন্যান্য মাধ্যমে প্রচার: পরবর্তীতে এই ঘোষণাটি চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে এম. এ. হান্নান এবং পরবর্তীতে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পাঠ করেন, যা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে।

বাংলাদেশের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর এই স্বাধীনতার ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই ঘোষণার দিনটি, অর্থাৎ ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

 ২৫ মার্চ, ১৯৭১
 ২৬ মার্চ, ১৯৭১
 ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১
 ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে বুদ্ধিজীবীদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

যদিও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ 'অপারেশন সার্চলাইট' শুরু হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবী নিধন শুরু করে, তবে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক আগে, বিশেষ করে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এই হত্যাযজ্ঞ ব্যাপক আকার ধারণ করে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসর আল-বদর, আল-শামস ও রাজাকার বাহিনী দেশের বুদ্ধিজীবীদের একটি তালিকা তৈরি করে এবং তাদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে, যাতে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা লাভের পর মেধাশূন্য হয়ে পড়ে।

এই দিনটিকে বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

 যুক্তরাজ্য
 পূর্ব জার্মানি
 স্পেন
 গ্রিস
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম ইউরোপীয় দেশ হলো পূর্ব জার্মানি (East Germany)

পূর্ব জার্মানি ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

 স্যার এ.এফ. রহমান
 রমেশচন্দ্র মজুমদার
 সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন
 বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

২৫শে মার্চ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালালে এর প্রতিবাদে তিনি জেনেভায় অবস্থানকালে উপাচার্যের পদ ত্যাগ করেন।

 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
 জেনারেল এম. এ. জি ওসমানী
 কর্নেল শফিউল্লাহ
 মেজর জিয়াউর রহমান
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

যদিও জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী ছিলেন মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি (Commander-in-Chief), সাংবিধানিকভাবে এবং যুদ্ধের রাজনৈতিক নেতৃত্ব হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সর্বাধিনায়ক (Supreme Commander)। মুজিবনগর সরকারের ঘোষণাপত্রে রাষ্ট্রপতিকে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছিল।

 রিচার্ড সেশন
 মার্কাস ফ্রান্ডা
 গ্যারি জে ব্যাস
 পল ওয়ালেচ
ব্যাখ্যাঃ

দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম (The Blood Telegram) গ্রন্থটির লেখক হলেন গ্যারি জে. বাস (Gary J. Bass)

এই বইটি ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার ওপর রচিত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গবেষণামূলক গ্রন্থ।

 ৭ মার্চ, ১৯৭১ খ্রি.
 ২৬ মার্চ, ১৯৭১ খ্রি.
 ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ খ্রি.
 ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ খ্রি.
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়।

তবে, এই সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে এবং কার্যক্রম শুরু করে ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ তারিখে, মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে (যা পরবর্তীতে মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে)।

 যশোর
 কুষ্টিয়া
 মেহেরপুর
 চুয়াডাঙ্গা
ব্যাখ্যাঃ

মুজিবনগর মেহেরপুর জেলায় অবস্থিত।

 ১৬ ডিসেম্বর
 ৭ মার্চ
 ২৬ মার্চ
 ১৭ এপ্রিল
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ২৬শে মার্চ। এটি স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

 মে. জে. জিয়াউর রহমান
 মে. জে. সফিউল্লাহ
 লে. জে. এইচ. এম এরশাদ
 জে. আতাউল গনি ওসমানী
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধের সময় অর্থাৎ ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 শেখ মুজিবুর রহমান
 জেনারেল আতাউল গনি ওসমানি
 তাজউদ্দিন আহমদ
 ক্যাপটেন মনসুর আলী
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তক্রমে ১১ এপ্রিল ১৯৭১ জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ‍নিযুক্ত করা হয়।

 ৪টি
 ৭টি
 ১১টি
 ১৪টি
ব্যাখ্যাঃ

জেনারেল এম. এ. জি ওসমানী আনুষ্ঠানিকভাবে সশস্ত্র বাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার সামরিক কৌশল হিসেবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সমগ্র ভৌগোলিক এলাকাকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করেন।

 ৫ জন
 ৭ জন
 ২ জন
 ৬ জন
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখার জন্য ২ জন নারীকে "বীর প্রতীক" উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। তারা হলেন:
1. ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম (সেনাবাহিনী, ২ নম্বর সেক্টর) 2. মোসাম্মৎ তারামন বেগম (গণবাহিনী, ১১ নম্বর সেক্টর)

তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় অসাধারণ সাহস ও অবদানের জন্য এই বীরত্বসূচক খেতাবে ভূষিত হন।

 ১৯৯২ সনে
 ২০০০ সনে
 ২০০১ সনে
 ২০০২ সনে
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয় ২৩ অক্টোবর ২০০১। সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি ২০০১ সালে ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ নামে এ মন্ত্রণালয়টি গঠন করেন।

 ২৫৭ জন
 ১৬৩ জন
 ৪৪ জন
 ৬৮ জন
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ৪টি রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদান করা হয় ৬৭৬ জনকে। তার মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ ৭ জন, বীর উত্তম ৬৮ জন, বীর বিক্রম ১৭৫ জন, বীর প্রতীক ৪২৬ জন। ৬ জুন ২০২১ চারজনের খেতাব বাতিল করা হয়। যার মধ্যে ১ জন বীর উত্তম, ১ জন বীর বিক্রম ও ২ জন বীর প্রতীক।

 নাটোর
 চাঁপাইনবাবগঞ্জ
 জয়পুরহাট
 নওগাঁ
ব্যাখ্যাঃ

বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ১৯৪৮ সালে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাত নম্বর সেক্টরে মুক্তিবাহিনী সাব সেক্টর কমান্ডার হিসেবে তিনি দায়িত্বরত ছিলেন। ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ তিনি পাকবাহিনীর সাথে সরাসরি যুদ্ধে শহীদ হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক গৌড়ের ছোট সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে তাকে সমাহিত করা হয়।

 আট
 দশ
 এগারো
 পনের
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৪ এপ্রিল মুক্তিফৌজ নামে মুক্তিবাহিনী গঠিত হয় এবং ৯ এপ্রিল এর নামকরণ করা হয় মুক্তিবাহিনী। পরবর্তীতে জেনারেল এম.এ.জি. ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলে তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশকে যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করেন।

 ঢাকায়
 লাহোরে
 করাচিতে
 নারায়ণগঞ্জে
ব্যাখ্যাঃ

পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার প্রশ্নে ১৯৬৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর এক মহাসম্মেলনে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয়-দফা দাবি উত্থাপন করেন। এটাই ইতিহাসে 'ছয় দফা কর্মসূচি' নামে পরিচিত।

 জেনারেল মোহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী
 গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার
 ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান
 ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়ের দিন আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার। উল্লেখ্য, এ সময় পাকিস্তান বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীর প্রধান জেনারেল এ কে নিয়াজির সাথে পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিলে যৌথ বাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন ভারতীয় মিত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা।

 ১০ এপ্রিল, ১৯৭১
 ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১
 ৭ মার্চ, ১৯৭১
 ২৫ মার্চ, ১৯৭১
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর থেকে জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়।

 ইরাক
 মিশর
 কুয়েত
 জর্ডান
ব্যাখ্যাঃ

আরব ভূখণ্ডের দেশ হিসেবে প্রথম ইরাক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে ৮ জুলাই, ১৯৭২ এবং প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে সেনেগাল ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। মিশর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩ কুয়েত স্বীকৃতি দেয় ৪ নভেম্বর, ১৯৭৩ । উল্লেখ্য, বাংলাদেশেকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দেশ ভুটান (৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১)।

 সাতক্ষীরায়
 মেহেরপুরে
 চুয়াডাঙ্গায়
 নবাবগঞ্জে
ব্যাখ্যাঃ

মুজিবনগর, খুলনা বিভাগের মেহেরপুর জেলায় অবস্থিত। এখানেই ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ শপথ গ্রহণ করে। উল্লেখ্য, বৈদ্যনাথতলা ইউনিয়নের ভবের পাড়া গ্রামের নাম পরিবর্তন করেই মুজিবনগর রাখা হয়।

 রমনা পার্কে
 পল্টন ময়দানে
 তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে
 ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনী ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পন করে।

 ৯টি
 ১১টি
 ১৫টি
 ১৭টি
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৪ এপ্রিল সিলেটে মুক্তিফৌজ গঠিত হয় এবং ৯ এপ্রিল এর নামকরণ করা হয় মুক্তিবাহিনী। পরবর্তী জুলাই মাসে সেনাপতি এম.এ.জি ওসমানী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের পরামর্শে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টর ও ৩টি ব্রিগেডে ভাগ করেন।

 জেনারেল নিয়াজী
 জেনারেল টিক্কা খান
 জেনারেল ইয়াহিয়া খান
 জেনারেল হামিদ খান
ব্যাখ্যাঃ

জেনারেল ইয়াহিয়া খান ছিলেন সামরিক শাসক ও পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুব খান ১৯৬৯ সালের ২৪ মার্চ ইয়াহিয়া খানের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে পদত্যাগ করেন। জেনারেল টিক্কা খান পাকিস্তান আমলে ১৯৭১ সালে বাংলার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 ১৪ ডিসেম্বর
 ১৬ ডিসেম্বর
 ২১ ডিসেম্বর
 ২৩ ডিসেম্বর
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিদের জয় নিশ্চিত দেখে পাকবাহিনী ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর নির্বিচারে বহু বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। তাই তাদের স্মরণে ১৪ ডিসেম্বরকে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়।

 রফিকুল ইসলাম
 রশীদ করিম
 মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং
 কর্নেল সিদ্দিক মালিক
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭৮ সালে প্রকাশিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং ইংরেজি ভাষার ‘The Liberation of Bangladesh’ গ্রন্হটি রচনা করেন।

 ১৯টি
 ৯টি
 ৮টি
 ১১টি
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৪ এপ্রিল সিলেটে মুক্তিফৌজ গঠিত হয় এবং ৯ এপ্রিল এর নামকরণ করা হয় মুক্তিবাহিনী। পরবর্তীতে জুলাই মাসে সেনাপতি এম.এ.জি ওসমানী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের পরামর্শে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টর ও ৩টি ব্রিগেডে ভাগ করেন।

 তিন নম্বর সেক্টর
 দুই নম্বর সেক্টর
 চার নম্বর সেক্টর
 এক নম্বর সেক্টর
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর ২ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল।

 ৯ জন
 ৭ জন
 ৮ জন
 ১০ জন
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বের জন্য সর্বোচ্চ ৭ জন ব্যক্তিকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাব প্রদান করা হয়। এই খেতাব বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান, যা মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও আত্মত্যাগের জন্য প্রদান করা হয়।

বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত ৭ জন হলেন:
1. মোহাম্মদ রুহুল আমিন
2. মোস্তফা কামাল
3. মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
4. মোহাম্মদ মোস্তফা
5. মুনশী আব্দুর রউফ
6. মোহাম্মদ রুহুল আমিন
7. মাতিউর রহমান

 ঢাকায়
 নারায়ণগঞ্জে
 লাহোরে
 করাচীতে
ব্যাখ্যাঃ

পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার প্রশ্ন ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর এক মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষার দাবি সম্বলিত একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এটাই ইতিহাসে ‘ছয় দফা কর্মসূচি’ নামে পরিচিত। অবশেষে লাহোরে অনুষ্ঠিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ৬ দফা কর্মসূচি পেশ করেন।

 ভারত
 রাশিয়া
 ভুটান
 নেপাল
ব্যাখ্যাঃ

ভুটান প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে । উল্লেখ্য, একই দিনে ভারত বাংলাদেশকে দ্বিতীয় হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এছাড়া রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) স্বীকৃতি দেয় ২৪ জানুয়ারি, ১৯৭২ এবং নেপাল স্বীকৃতি দেয় ১৬ জানুয়ারি, ১৯৭২ । আরব ভূখণ্ডের মধ্যে প্রথম ইরাক (৮ জুলাই, ১৯৭২) এবং প্রথম অনারব মুসলিম দেশ হিসেবে সেনেগাল (১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২) বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।

 ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২
 ২৪ জানুয়ারি, ১৯৭২
 ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
 ৪ এপ্রিল, ১৯৭২
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ ভুটান। ভুটান এবং ভারত ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তবে ভুটান ভারতের দুই-তিন ঘণ্টা আগে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে তারবার্তা পাঠায়। এছাড়াও আরব ভূখণ্ড মধ্যে প্রথম ইরাক, প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সেনেগাল এবং প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় পূর্ব জার্মানি (১১ জানুয়ারি, ১৯৭২)।

 ৪টি
 ৫টি
 ৬টি
 ৭টি
ব্যাখ্যাঃ

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৯৯৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকার ৫টি সড়কের নতুন নামকরণ করা হয়। তাছাড়াও বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে ঢাকার মিরপুরে। এর স্থপতি মোস্তাফা হারুন কুদ্দুস হিলি।

 ৯টি
 ১০টি
 ১১টি
 ১২টি
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৪ এপ্রিল সিলেটে মুক্তিফৌজ গঠিত হয় এবং ৯ এপ্রিল এর নামকরণ করা হয় মুক্তিবাহিনী। পরবর্তীতে ১১ এপ্রিল যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়।

 সিপাহী
 ল্যান্স নায়েক
 হাবিলদার
 ক্যাপ্টেন
ব্যাখ্যাঃ
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের পদবি:
বীরশ্রেষ্ঠের নাম পদবি
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ক্যাপ্টেন
হামিদুর রহমান সিপাহী
মোস্তফা কামাল সিপাহী
রুহুল আমিন ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার
মতিউর রহমান ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট
মুন্সি আব্দুর রউফ ল্যান্সনায়েক
নূর মোহাম্মদ শেখ ল্যান্সনায়েক
 ২৬ মার্চ, ১৯৭১
 ১০ এপ্রিল, ১৯৭১
 ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
 ১০ নভেম্বর, ১৯৭১
ব্যাখ্যাঃ

মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় এবং ১৭ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র গৃহীত হয় এবং শপথ গ্রহণ করে। ১৭ এপ্রিল অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

 সাত
 আট
 ছয়
 পাঁচ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসীম বীরত্ব ও সাহসিকতা প্রদর্শণ এবং আত্মত্যাগের জন্য ৭ জন সূর্যসন্তানকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাব দেয়া হয়।

 সিপাহী
 ল্যান্সনায়েক
 লেফটেন্যান্ট
 ক্যাপ্টেন
ব্যাখ্যাঃ
বীরশ্রেষ্ঠের নাম পদবি
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ক্যাপ্টেন
হামিদুর রহমান সিপাহী
মোস্তফা কামাল সিপাহী
রুহুল আমিন ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার
মতিউর রহমান ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট
মুন্সি আব্দুর রউফ ল্যান্সনায়েক
নূর মোহাম্মদ শেখ ল্যান্সনায়েক
 ১৪ ডিসেম্বর
 ১৩ ডিসেম্বর
 ১২ ডিসেম্বর
 ১১ ডিসেম্বর
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পাকবাহিনী ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর নির্বিচারে বহু বুদ্ধিজীবী হত্যা করে। তাই তাদের স্মরণে ১৪ ডিসেম্বরকে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

 ২৬ মার্চ
 ১৬ ডিসেম্বর
 ২১ ফেব্রুয়ারি
 ১৪ ডিসেম্বরর
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিদের বিজয় নিশ্চিত দেখে পাকবাহিনী ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর নির্বিচারে বহু বুদ্ধিজীবী হত্যা করে। তাই তাদের স্মরণে ১৪ ডিসেম্বরকে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।