প্রশ্নঃ শালবন বিহার কোন রাজবংশের কীর্তি?
[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]
ক. দেব
খ. রাঢ়
গ. পাল
ঘ. চন্দ্র
উত্তরঃ দেব
ব্যাখ্যাঃ
শালবন বিহার বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এর কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
অবস্থান:
- কুমিল্লা জেলার কোটবাড়ি এলাকায় লালমাই পাহাড়ের মাঝে এর অবস্থান।
- এটি কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।
ইতিহাস:
- মনে করা হয়, খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষভাগ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এটি নির্মাণ করেছিলেন।
- এটি ছিল একটি বৌদ্ধ মঠ বা বিহার এবং একসময় এটি শিক্ষা ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল।
- খননকার্যের ফলে এখানে ৭ম থেকে ১২শ শতাব্দীর বিভিন্ন প্রত্নবস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে।
স্থাপত্য:
- শালবন বিহার পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মতো হলেও আকারে ছোট।
- এটি একটি চতুর্ভুজাকার স্থাপত্য, যার প্রতিটি বাহু প্রায় ১৬৭.৬ মিটার দীর্ঘ।
- বিহারের চারদিকে ভিক্ষুদের থাকার জন্য ১১৫টি কক্ষ রয়েছে।
- উত্তর দিকে একটি বিশাল প্রবেশদ্বার রয়েছে।
- বিহারের মাঝখানে একটি কেন্দ্রীয় মন্দির ছিল।
- বিহারের দেওয়াল পোড়ামাটির ফলক ও অলংকৃত ইট দিয়ে সজ্জিত ছিল।
গুরুত্ব:
- শালবন বিহার প্রাচীন বাংলার বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক মূল্যবান নিদর্শন।
- এটি তৎকালীন শিক্ষা ব্যবস্থা ও ধর্মীয় জীবন সম্পর্কে ধারণা দেয়।
- এটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
বর্তমানে শালবন বিহার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।