আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

 ৫.৫° সেলসিয়াস/কিলোমিটার
 ৬.৫° সেলসিয়াস/কিলোমিটার
 ৭.৫° সেলসিয়াস/কিলোমিটার
 ৮.৫° সেলসিয়াস/কিলোমিটার
ব্যাখ্যাঃ

ট্রপোমণ্ডলে (Troposphere) উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুর তাপমাত্রা সাধারণত কমতে থাকে। এই হ্রাসের গড় হারকে পরিসীমা হ্রাস হার (Lapse Rate) বলা হয়। সাধারণভাবে, প্রতি ১ কিলোমিটার উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে তাপমাত্রা প্রায় ৬.৫°C হ্রাস পায়। তবে এটি বিভিন্ন পরিবেশগত পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল হতে পারে।

ট্রপোমণ্ডল বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তর, যেখানে আমাদের আবহাওয়া ও জলবায়ুর কার্যক্রম ঘটে। উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে তাপমাত্রা কমার প্রধান কারণ হলো:
1. বায়ুর ঘনত্ব কমে যাওয়া, ফলে তাপমাত্রা ধারণের ক্ষমতা হ্রাস পায়।
2. ভূপৃষ্ঠ থেকে তাপ শোষণ কম হওয়া, কারণ সূর্যের তাপ মূলত পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত হয়।

 ঘড়ির কাটার দিকে
 ঘড়ির কাটার বিপরীতে
 সোজা
 কোনটাই সঠিক নয়
ব্যাখ্যাঃ

উত্তর গোলার্ধে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের বায়ু ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে (counter-clockwise) প্রবাহিত হয়।

এর কারণ হলো কোরিওলিস প্রভাব। পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে বায়ু উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়। ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে নিম্নচাপ থাকে। এই নিম্নচাপের দিকে বায়ু যখন ছুটে আসে, তখন কোরিওলিস প্রভাবের কারণে উত্তর গোলার্ধে তা ডান দিকে বেঁকে একটি ঘড়ির কাঁটার বিপরীত ঘূর্ণনের সৃষ্টি করে।

 স্ট্রাটোমণ্ডল
 ট্রপোমন্ডল
 মেসোমন্ডল
 তাপমন্ডল
ব্যাখ্যাঃ

ওজোন স্তরটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে অবস্থিত। এই স্তরটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ থেকে ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় বিস্তৃত। ওজোন স্তরের সবচেয়ে বেশি ঘনত্ব দেখা যায় প্রায় ১৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায়।

এখানে ওজোন গ্যাসের (O₃) একটি অপেক্ষাকৃত ঘন স্তর বিদ্যমান, যা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মির (Ultraviolet rays) বেশিরভাগ অংশ শোষণ করে নেয় এবং পৃথিবীর জীবজগতকে রক্ষা করে। এই কারণে ওজোন স্তরকে পৃথিবীর সুরক্ষা কবচ বলা হয়।

 অয়ন বায়ু
 নিয়ত বায়ু
 প্রত্যয়ন বায়ু
 মৌসুমী বায়ু
ব্যাখ্যাঃ

নিয়ত বায়ু হলো এমন ধরনের বায়ুপ্রবাহ, যা পৃথিবীর নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে সারাবছর ধরে একই দিকে নিয়মিতভাবে প্রবাহিত হয়। এই বায়ুপ্রবাহ পৃথিবীর চাপ বলয় এবং আবর্তনের ফলে সৃষ্টি হয়।

প্রধান প্রকারভেদ

নিয়ত বায়ু তিন ধরনের হয়:

  • আয়ন বায়ু (Trade Winds): এটি কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়।
  • প্রত্যায়ন বায়ু (Westerlies): এটি কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে সুমেরু ও কুমেরু বৃত্তস্থ নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়।
  • মেরু বায়ু (Polar Easterlies): এটি সুমেরু ও কুমেরু উচ্চচাপ বলয় থেকে সুমেরু ও কুমেরু বৃত্তস্থ নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়।
 নাইট্রোজেন
 হাইড্রোজেন
 কার্বন
 ফসফরাস
ব্যাখ্যাঃ

বায়ুতে নাইট্রোজেন (৭৮.০২%), অক্সিজেন (২০.৭১%), আর্গন (০.৮০%), কার্বন ডাই-অক্সাইড হিসেবে কার্বন (০.০৩%), নিয়ন (০.০০১৮%), হিলিয়াম (০.০০০৫%), ক্রিপ্‌টন (০.০০০১২%), জেনন (০.০০০০৯%), হাইড্রোজেন (০.০০০০৫%), মিথেন (০.০০০০২%) এবং আরো নানাবিধ গ্যাসীয় উপাদান বিদ্যমান। কিন্তু ফসফরাস বায়ুর উপাদান নয়।

 কার্বন-ডাই-অক্সাইড
 জলীয় বাষ্প
 CFC বা ক্লোরোফ্লোরো কার্বন
 নাইট্রিক অক্সাইড
ব্যাখ্যাঃ সিএফসি হলো ক্লোরোফ্লোরো কার্বনের সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি বায়ুমন্ডলের ওজোনস্তরে পৌঁছে ওজোনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে অক্সিজেন পরিণত করে \((CFC+O_3→O_2+......\)) । এর ফলে ওজোনস্তর হালকা বা ফুটো হয়ে যায়। এই ফাটল দিয়ে মাহজাগতিক বিভিন্ন রশ্মি পৃথিবীতে এসে জীবজগতের ক্ষতিসাধন করে।
 ফুসফুসে রোগ সৃষ্টি করে
 গ্রিন হাউজ ইফেক্টে অবদান রাখে
 ওজোনস্তরে ফুটো সৃষ্টি করে
 দাহ্য বলে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা ঘটায়
ব্যাখ্যাঃ

সিএফসি হচ্ছে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (Chloro Flore Carbon) । এ গ্যাস বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তরকে ফুটো করে দেয়। ফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে এসে পৌঁছে। এতে মানুষের চর্ম ক্যান্সার ও অন্যান্য মারাত্মক রোগ দেখা দেয়।

 অয়ন বায়ু
 প্রত্যয়ন বায়ু
 মৌসুমী বায়ু
 নিয়ত বায়ু
ব্যাখ্যাঃ

পৃথিবীর চাপ বলয় দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে উচ্চচাপ অঞ্চল হতে নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবাহিত হওয়ার সময় বায়ুর উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে যায়। এভাবে উচ্চচাপ বলয় থেকে নিম্নচাপ বলয়ের দিকে নিয়মিতভাবে যে বায়ু সারা বছর প্রবাহিত হয় তাকে নিয়ত বায়ু বলে।

 বায়ু প্রবাহের প্রভাব
 সমুদ্রের পানিতে তাপ পরিচালনা
 সমু্দ্রের পানিতে ঘনত্বের তারতম্য
 সমুদ্রের ঘূর্ণিঝড়
ব্যাখ্যাঃ

সমুদ্র স্রোতের কারণগুলো হচ্ছে বায়ু প্রবাহ, উষ্ণতার তারতম্য, লবণাক্ততার তারতম্য, বাষ্পীভবনের তারতম্য, ঘভীরতার তারতম্য, পৃথিবীর আবর্তন এবং মূলভাগের অবস্থান।

 আয়ন বায়ু
 প্রত্যয়ন বায়ু
 মৌসুমী বায়ু
 নিয়ত বায়ু
ব্যাখ্যাঃ

পৃথিবীর চাপ বলয় দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে বায়ু উচ্চচাপ অঞ্চল হতে নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবাহিত হওয়ার সময় উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে যায়। এভাবে সারা বছর একই দিকে নিয়মিতভাবে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তাকে নিয়ত বায়ু বলে।

 $CO$
 $CO_2$
 $S_2O$
 $CFC$
ব্যাখ্যাঃ

বন-জঙ্গল ধ্বংস করার ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড (Carbon Dioxide - CO2) গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এর কারণ হলো:

  • সালোকসংশ্লেষণ ব্যাহত: গাছপালা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। বন-জঙ্গল ধ্বংস হলে এই প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, ফলে বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণের পরিমাণ কমে যায়।
  • কার্বন নির্গমন: গাছপালা পোড়ানো বা কেটে ফেলার ফলে তাদের মধ্যে সঞ্চিত কার্বন কার্বন ডাই অক্সাইড রূপে বায়ুমণ্ডলে মুক্ত হয়।
  • জৈব পদার্থের পচন: গাছপালা পচে গেলেও কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়।

কার্বন ডাই অক্সাইড একটি প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস, যা বায়ুমণ্ডলে বৃদ্ধি পেলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তে থাকে এবং জলবায়ু পরিবর্তনে এর বড় প্রভাব পড়ে।