আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

 UNDP
 World Bank
 IMF
 BRICS
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ World Bank

World Development Report (WDR) বিশ্ব ব্যাংকের (World Bank) বার্ষিক প্রকাশনা। প্রতি বছর এই রিপোর্টে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-সামাজিক বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ ও তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

 IDB
 IMF
 WTO
 ADB
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ IMF (International Monetary Fund)।

"Bretton Woods Institutions" বলতে মূলত দুটি সংস্থাকে বোঝানো হয়, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য ১৯৪৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের ব্রেটন উডস নামক স্থানে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল:

১. International Monetary Fund (IMF): আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। এর প্রধান কাজ হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং সদস্য দেশগুলোকে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সংক্রান্ত সমস্যায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।

২. World Bank: বিশ্ব ব্যাংক। এর প্রধান লক্ষ্য হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দারিদ্র্য বিমোচন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য ঋণ ও অন্যান্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।

আপনার দেওয়া অন্যান্য বিকল্পগুলো "Bretton Woods Institutions"-এর অন্তর্ভুক্ত নয়:

  • IDB (Inter-American Development Bank): এটি ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করা একটি আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংক।
  • WTO (World Trade Organization): বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়মকানুন নির্ধারণ এবং তত্ত্বাবধান করে। এটি ১৯৯৫ সালে General Agreement on Tariffs and Trade (GATT)-এর উত্তরসূরি হিসেবে গঠিত হয়।
  • ADB (Asian Development Bank): এটি এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করা একটি আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংক।
 জেনেভা
 রোম
 নিউইয়র্ক
 ওয়াশিংটন ডিসি
ব্যাখ্যাঃ

WIPO এর পূর্ণরূপ হল World Intellectual Property Organization (বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা)। এটি জাতিসংঘের ১৫টি বিশেষায়িত সংস্থার মধ্যে একটি। ১৯৬৭ সালের WIPO কনভেনশন অনুসারে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে মেধা সম্পদের (যেমন: উদ্ভাবন, ট্রেডমার্ক, শিল্প নকশা, কপিরাইট ইত্যাদি) প্রচার ও সুরক্ষার জন্য এই সংস্থাটি গঠিত হয়েছে। এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে অবস্থিত।

WIPO এর প্রধান কাজগুলো হলো:

  • আন্তর্জাতিক মেধাসম্পদ আইনের উন্নয়ন ও সমন্বয় করা।
  • মেধাসম্পদ সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং নীতি প্রণয়ন করা।
  • সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে মেধাসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য কারিগরি সহায়তা প্রদান করা।
  • মেধাসম্পদ সংক্রান্ত তথ্য ও পরিসংখ্যা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রকাশ করা।
  • বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেধাসম্পদ সুরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করা, যেমন:
    • প্যাটেন্ট কো-অপারেশন ট্রিটি (PCT): আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্যাটেন্ট পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করে।
    • মাদ্রিদ সিস্টেম: একযোগে বহু দেশে ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের সুযোগ সৃষ্টি করে।
    • হেগ সিস্টেম: আন্তর্জাতিক শিল্প নকশা নিবন্ধনের ব্যবস্থা করে।
    • লিসবন সিস্টেম: উৎপত্তির ভৌগোলিক চিহ্নের সুরক্ষার জন্য কাজ করে।
  • মেধাসম্পদ সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিকল্প উপায় সরবরাহ করা, যেমন মধ্যস্থতা ও সালিশ।
  • মেধাসম্পদের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা।

বর্তমানে ১৯৩টি রাষ্ট্র WIPO এর সদস্য। ফিলিস্তিনের পর্যবেক্ষকের মর্যাদা রয়েছে। WIPO বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি পরিচালনা করে এবং নীতি নির্ধারণী ফোরাম হিসেবে কাজ করে, যেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের মেধাসম্পদ সংক্রান্ত নীতি নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সংস্থাটি বিভিন্ন সেমিনার, কর্মশালা এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে মেধাসম্পদ বিষয়ে জ্ঞান এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে।

 ECOSOC
 FAO
 WHO
 HRC
ব্যাখ্যাঃ

করোনা ভাইরাসকে ‘Pandemic’ বা মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)

ঘোষণার তারিখ: ১১ মার্চ ২০২০

WHO-এর বক্তব্য:

WHO-এর মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস ওই দিন বলেন:

“গত দুই সপ্তাহে চীনের বাইরে COVID-19 সংক্রমণের সংখ্যা ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আক্রান্ত দেশের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১৮,০০০-এর বেশি সংক্রমণ এবং ৪,২৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এই পরিস্থিতিকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করছি।”

 ১৯৪৪ সালে
 ১৯৪৫ সালে
 ১৯৪৮ সালে
 ১৯৪৯ সালে
ব্যাখ্যাঃ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (International Monetary Fund - IMF) হলো জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। এর প্রধান কাজ হলো সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, আন্তর্জাতিক মুদ্রা সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো, উচ্চ কর্মসংস্থান এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করা এবং বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য কমানো।

প্রতিষ্ঠা ও কার্যক্রম:

  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের ব্রেটন উডস সম্মেলনে একটি চুক্তির মাধ্যমে আইএমএফ প্রতিষ্ঠিত হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৪৫ সালের ২৭শে ডিসেম্বর।
  • সদস্যপদ: বর্তমানে (মে ২০২৫) ১৯০টি দেশ আইএমএফের সদস্য।
  • সদর দপ্তর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, ডি.সি.-তে এর সদর দপ্তর অবস্থিত।
  • কার্যক্রম: আইএমএফ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, যার মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো:
    • অর্থনৈতিক নজরদারি: সদস্য দেশগুলোর অর্থনীতির ওপর নজরদারি রাখা এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি চিহ্নিত করে নীতি পরামর্শ দেওয়া।
    • আর্থিক সহায়তা: ব্যালেন্স অব পেমেন্টের সমস্যায় পড়া সদস্য দেশগুলোকে ঋণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। এই ঋণের শর্তের বিনিময়ে দেশগুলোকে কিছু নীতি সংস্কার করতে হয়।
    • কারিগরি সহায়তা: সদস্য দেশগুলোকে সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা, মুদ্রা ও আর্থিক নীতি, এবং পরিসংখ্যানের মতো বিষয়ে কারিগরি জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

উদ্দেশ্য:

আইএমএফের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:

  • আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
  • সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুদ্রা সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
  • বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্যহীনতা দূর করতে সহায়তা করা।
  • বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
  • সদস্য দেশগুলোকে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করা।

বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ১৭ই আগস্ট আইএমএফের সদস্যপদ লাভ করে।

 আই. এল. ও
 হু (WHO)
 ASEAN (আশিয়ান)
 উপরের সবকটি
ব্যাখ্যাঃ

ASEAN (আশিয়ান) জাতিসংঘের সহযোগী নয়।

ব্যাখ্যা:

  • আই.এল.ও (ILO - International Labour Organization): এটি জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা আন্তর্জাতিক শ্রম মান নির্ধারণ এবং শ্রম অধিকার উন্নয়নে কাজ করে।
  • হু (WHO - World Health Organization): এটি জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য পরিস্থিতি উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে।
  • ASEAN (আশিয়ান - Association of Southeast Asian Nations): এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের একটি আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা। এটি জাতিসংঘের কোনো সহযোগী বা বিশেষায়িত সংস্থা নয়, বরং একটি স্বাধীন আঞ্চলিক জোট।
 নিউইয়র্ক
 রোম
 জেনেভা
 লন্ডন
ব্যাখ্যাঃ

ইউএনএইচসিআর (UNHCR) হলো জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (United Nations High Commissioner for Refugees)। এটি জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা বিশ্বব্যাপী শরণার্থী, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায় এবং রাষ্ট্রবিহীন মানুষদের সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করে।

প্রতিষ্ঠা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সৃষ্ট ব্যাপক শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় ১৯৫০ সালের ১৪ ডিসেম্বর ইউএনএইচসিআর প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মূল লক্ষ্য ছিল যুদ্ধকালীন শরণার্থীদের পুনর্বাসনে সহায়তা করা। ১৯৫১ সালে 'শরণার্থীদের অবস্থা সম্পর্কিত কনভেনশন' (১৯৫১ শরণার্থী কনভেনশন) গৃহীত হওয়ার পর এটি আরও সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট লাভ করে।

সদর দপ্তর: ইউএনএইচসিআর-এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে অবস্থিত।

মূল কাজ ও উদ্দেশ্য: ইউএনএইচসিআর-এর প্রধান কাজগুলো হলো:

১. সুরক্ষা প্রদান: যুদ্ধ, সংঘাত, নিপীড়ন বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যারা নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে (শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি, রাষ্ট্রবিহীন ব্যক্তি), তাদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এর মধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন থেকে সুরক্ষা, মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং সহিংসতা ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা থেকে রক্ষা করা।

২. মানবিক সহায়তা: আশ্রয়, খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজন পূরণে সহায়তা করা।

৩. দীর্ঘমেয়াদী সমাধান: বাস্তুচ্যুতদের জন্য স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা। এর তিনটি প্রধান উপায় হলো:

  • স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসন: যখন নিজ দেশে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়, তখন শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে সহায়তা করা।
  • স্থানীয় সংহতকরণ: যদি নিজ দেশে ফেরা সম্ভব না হয়, তবে আশ্রয়দানকারী দেশেই তাদের স্থানীয় সমাজে সংহত হতে সহায়তা করা।
  • তৃতীয় দেশে পুনর্বাসন: খুব সীমিত ক্ষেত্রে, যদি প্রত্যাবাসন বা স্থানীয় সংহতকরণ কোনোটিই সম্ভব না হয়, তবে তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসন করা।

৪. রাষ্ট্রবিহীনতা দূর করা: রাষ্ট্রবিহীন ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব লাভে সহায়তা করা এবং ভবিষ্যতে রাষ্ট্রবিহীনতা প্রতিরোধের জন্য কাজ করা।

৫. আইনি কাঠামো তৈরি ও প্রয়োগ: আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন (যেমন ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন) এবং রাষ্ট্রবিহীনতা সম্পর্কিত কনভেনশনগুলোর বাস্তবায়ন ও অনুসরণ নিশ্চিত করা।

৬. সচেতনতা বৃদ্ধি ও অ্যাডভোকেসি: বিশ্বব্যাপী শরণার্থী সংকট সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শরণার্থী অধিকারের পক্ষে ও তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার পক্ষে ওকালতি করা।

 ১৯৬৯
 ১৯৭১
 ১৯৭৫
 ১৯৭৮
ব্যাখ্যাঃ

IMF এর গঠনতন্ত্র (Articles of Agreement) বেশ কয়েকবার সংশোধন করা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কিছু সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে:

১. প্রথম সংশোধনী (১৯৬৯ সাল): এই সংশোধনীটি Special Drawing Rights (SDR) সুবিধা প্রবর্তনের জন্য করা হয়েছিল। এটি আন্তর্জাতিক তারল্য সংকট মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।

২. দ্বিতীয় সংশোধনী (১৯৭৮ সাল): এই সংশোধনীটি মূলত ফ্লোটিং এক্সচেঞ্জ রেট সিস্টেমকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য করা হয়েছিল। ব্রেটন উডস ব্যবস্থার অধীনে স্থির বিনিময় হার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পর এই পরিবর্তন আনা হয়। এটি স্বর্ণের আনুষ্ঠানিক ভূমিকা বাতিল করে এবং সদস্য দেশগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার নীতিতে আইএমএফের নজরদারি (surveillance) জোরদার করে।

৩. সাম্প্রতিক সংশোধনী (২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর গৃহীত, ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর): এই সংশোধনীটি আইএমএফের গভর্ন্যান্স কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনে, বিশেষ করে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর কোটা (Quotas) এবং ভোটিং ক্ষমতা বাড়ানো হয়, যাতে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তাদের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা প্রতিফলিত হয়।

সংক্ষেপে, IMF এর গঠনতন্ত্রে মোট সাতবার সংশোধনী আনা হয়েছে, যার মধ্যে প্রথমটি ছিল ১৯৬৯ সালে SDR প্রবর্তনের জন্য।

 দেশ থেকে পোলিও নির্মূল
 HIV/AIDS নির্মূল করা
 যক্ষ্মা নির্মূল করা
 ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করা
ব্যাখ্যাঃ

MDG-এর পূর্ণরূপ হলো Millennium Development Goals (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা)। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ২০০০ সালে আটটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে, যা ২০১৫ সালের মধ্যে অর্জন করার অঙ্গীকার করা হয়েছিল।

MDG-এর অন্যতম লক্ষ্যগুলো হলো:

১. চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূল করা: দৈনিক ১.২৫ ডলারের কম আয়ের মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা এবং ক্ষুধা ও অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যা কমানো। ২. সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন: ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা। ৩. লিঙ্গ সমতা উন্নীত করা এবং নারীর ক্ষমতায়ন: প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা আনয়ন এবং অকৃষি খাতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি। ৪. শিশু মৃত্যু হ্রাস করা: পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার দুই-তৃতীয়াংশ হ্রাস করা। ৫. মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন: মাতৃমৃত্যুর হার তিন-চতুর্থাংশ কমানো। ৬. এইচআইভি/এইডস, ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ: এইডস, ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য প্রধান রোগের বিস্তার রোধ এবং এর চিকিৎসায় প্রবেশাধিকার বাড়ানো। ৭. পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা: পরিবেশগত সম্পদ রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং নিরাপদ পানীয়জল ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার সহজলভ্যতা বৃদ্ধি। ৮. উন্নয়নের জন্য একটি বৈশ্বিক অংশীদারত্ব বিকাশ: উন্নয়নশীল দেশগুলোর চাহিদা পূরণে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাণিজ্য ও ঋণের ক্ষেত্রে ন্যায়পরায়ণতা নিশ্চিত করা এবং নতুন প্রযুক্তির সহজলভ্যতা বাড়ানো।

 প্রশাসক
 মহাপরিচালক
 মহাসচিব
 প্রেসিডেন্ট
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP)-এর শীর্ষ পদটি হলো Administrator (অ্যাডমিনিস্ট্রেটর)

তিনিই ইউ.এন.ডি.পি-এর প্রধান কার্যনির্বাহী। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP)-এর শীর্ষ পদটি হলো প্রশাসক (Administrator)

 International Panel on Climate Change
 Intergovernmental Panel on Climate Change
 Intragovernmental Panel on Climate Change
 International Public Committee for Climate Change
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের সংস্থা IPCC-এর পূর্ণরূপ হলো Intergovernmental Panel on Climate Change (জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেল)।

IPCC হলো জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিজ্ঞানের মূল্যায়নের জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এটি জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত সরকার এবং বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (WMO) যৌথ উদ্যোগে ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

IPCC-এর প্রধান কাজ:

  • জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত ও আর্থ-সামাজিক তথ্যের মূল্যায়ন করা।
  • জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ, প্রভাব, ঝুঁকি এবং অভিযোজন ও প্রশমন কৌশল সম্পর্কে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা।
  • সরকারগুলোকে জলবায়ু নীতি নির্ধারণে বৈজ্ঞানিক তথ্য সরবরাহ করা।
  • জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণায় নিয়োজিত বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

IPCC কোনো নিজস্ব গবেষণা পরিচালনা করে না। বরং, বিশ্বজুড়ে প্রকাশিত জলবায়ু বিজ্ঞান সম্পর্কিত গবেষণা প্রবন্ধ পর্যালোচনা করে এবং সেগুলোর ভিত্তিতে সমন্বিত মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করে। এই প্রতিবেদনগুলো নীতি নির্ধারক, বিজ্ঞানী এবং সাধারণ মানুষের কাছে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করে।

IPCC-এর মূল্যায়নের ভিত্তিতেই জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন কনভেনশন (UNFCCC) এবং প্যারিস চুক্তির মতো আন্তর্জাতিক চুক্তি ও নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।

 পোলিও
 ফাইলেরিয়া
 কালাজ্বর
 সবগুলো
ব্যাখ্যাঃ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বাংলাদেশকে ম্যালেরিয়া মুক্ত ঘোষণা করেনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বাংলাদেশকে সম্প্রতি (বিশেষ করে ২০২৩ সালের পর থেকে) ফাইলেরিয়া মুক্ত বা কালাজ্বর মুক্ত ঘোষণা করেছে, এমন কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আমার কাছে নেই।

তবে, অতীতে কিছু রোগ নির্মূলে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য আছে যা WHO দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে। যেমন:

  • পোলিও মুক্ত: ২০১৪ সালে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলকে পোলিও মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
  • মাতৃ ও নবজাতক টিটেনাস মুক্ত: ২০১৫ সালে বাংলাদেশ মাতৃ ও নবজাতক টিটেনাস মুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে।

আপনি যদি নির্দিষ্ট করে কোন রোগ সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমি আরও ভালোভাবে তথ্য দিতে পারব।